তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৮০০
নারী-পুরুষের সমঅধিকারের ভিত্তিতে একসাথে কাজ করলেই কেবল স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব
-- মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী
গাজীপুর, ৮ চৈত্র (২২ মার্চ):
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি) বলেছেন, নারী-পুরুষের সমঅধিকারের ভিত্তিতে একসাথে কাজ করলেই কেবল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া সম্ভব।
আজ গাজীপুরের টঙ্গীর ৪৯ নং ওয়ার্ডের টিডিএইচ স্কুলে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর উদ্যোগে মেন কেয়ার বিষয়ক লার্নিং ক্যাম্প সেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।
‘পরিবারে পুরুষের ভূমিকা’ শীর্ষক এই বুট ক্যাম্প ও লানিং ক্যাম্পে ১১০ জন দম্পতি দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে। পরিবারে নারী ও পুরুষের সমান অংশগ্রহণ একটি আদর্শ সমাজ গঠনের অন্যতম উপজীব্য। পারিবারিক ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং সুখ-সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে বাবা-মা দুজনের সমান ভূমিকা থাকে যা শিশুদের সঠিক বিকাশের জন্যও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। উক্ত ক্যাম্পে এ বিষয়ের ওপর আলোকপাত করে গঠিত মেন কেয়ার মডেলের ওপর ১১০ জন দম্পতি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। আয়োজনের অংশ হিসেবে দম্পতিগণ ১০টি সেশনের মাধ্যমে মেন কেয়ার মডেল, পরিবারে পিতার ভূমিকা, গর্ভধারণ ও পরিবার পরিকল্পনা, শিশুর পরিচর্যা ও অধিকার এবং ইতিবাচক পিতৃত্বসহ বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান লাভ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণ প্রত্যক্ষ করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি। তিনি বলেন ‘বর্তমান সময়ে যেখানে পারিবারিক সহিংসতা আমাদের জন্য একটি দুশ্চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে সেই সময় এ ধরনের লার্নিং ক্যাম্পের অয়োজন সত্যিই এক সময়োপযোগী পদক্ষেপ। আমি দীর্ঘদিন যাবত ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত এবং অবহিত তাই তাদের এ ধরনের আয়োজনকে সাধুবাদ জানাই’।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পুরুষদের মধ্যে শিশু যত্ন ও পালন-পোষণের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি এবং পারিবারিক কাজে সংশ্লিষ্টতা আমাদের সমাজের জন্য একটি ইতিবাচক দিক। এই ক্যাম্পগুলো পারিবারিক বন্ধনকে আরো দৃঢ় করে, শিশুদের সুস্থ বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সহায়তা করবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী-টঙ্গী জোন, মোঃ সোহেল রানা; ৪৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আমির হামজা; ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর সিনিয়র ডিরেক্টর অপারেশন চন্দন জেড গোমেজ; ডেপুটি ডিরেক্টর ফিল্ড প্রোগ্রাম অপারেশন মঞ্জু মারিয়া পালমা; সিনিয়র ম্যানেজার আরবান প্রোগ্রাম জোয়ান্না ডি রোজারিও; তুন্নাজিনা হক ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর জেন্ডার ইকুয়েলিটি এন্ড সোশ্যাল ইনক্লুশন; গাজীপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি কালিম উদ্দিন ইকবালসহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
আয়োজনের শেষ অংশে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় এবং সেরা স্টল ও প্রশিক্ষকগণকে পুরস্কৃত করা হয়।
#
আলম/শফি/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৭৯৯
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর ভুটানের ‘পাসাখা স্থলবন্দর’ পরিদর্শন
বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা
ঢাকা, ৮ চৈত্র (২২ মার্চ):
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আজ স্থলপথে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে স্থল রুটসমূহের বিদ্যমান সুবিধাদি, সম্ভাবনা ও প্রতিবন্ধকতা সরেজমিন পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে ভুটানের ‘পাসাখা স্থলবন্দর’ পরিদর্শন করেন।
প্রতিমন্ত্রী আজ সকালে পঞ্চগড় জেলায় ‘বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর’ দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ফুলবাড়ী স্থলবন্দর হয়ে ভুটানের ফুন্টসিলিং সীমান্ত পরিদর্শনে যান। এসময় তিনি বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরও পরিদর্শন করেন।
ভুটানের ফুন্টসিলিং সীমান্তে প্রতিমন্ত্রীকে স্বাগত জানান ফুন্টসিলিং-এর গভর্নর কারমি জারমি (karmi jurmi)। ফুন্টসিলিং সীমান্ত থেকে তারা ‘পাসাখা স্থলবন্দর’ পরিদর্শনে যান। তারা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথা বলেন। বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা করেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুন্সী মোঃ মনিরুজ্জামান, বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালনা বোর্ডের খণ্ডকালীন সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া এবং স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এম হাসান আলী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, পঞ্চগড় জেলার ‘বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর’ দিয়ে ভারত হয়ে ভুটান ও নেপালের সাথে স্থলপথে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা সার্কের বাইরে বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান ও নেপালের মধ্যে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক, আঞ্চলিক সহযোগিতা ও ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে পৃথক বলয় প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান ও নেপালের সমন্বয়ে সার্কের বাইরে পৃথক বলয় গড়ে উঠলে উক্ত দেশসমূহের মধ্যে স্থলপথে আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে।
#
জাহাঙ্গীর/শফি/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২০৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৭৯৮
বিএনপি দেশকে মগের মুল্লুক বানাতে চেয়েছিল, ব্যর্থ হয়ে খেই হারিয়েছে
---পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকা, ৮ চৈত্র (২২ মার্চ):
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, বিএনপি দেশকে মগের মুল্লুক বানাতে চেয়েছিল। সে জন্য তারা নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছিল, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে খেই হারিয়ে ফেলেছে।
আজ রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় চলমান রাজনীতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির বেগে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন যে অপশক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পটভূমি তৈরি করেছিল, হত্যায় জড়িত ছিল, শুধু বঙ্গবন্ধু নয় স্বাধীনতারও বিরোধিতা করেছিল, সেই অপশক্তির ধারাবাহিক অপশক্তি এখন দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি ভেস্তে দিতে, দেশকে পেছেনে নিয়ে যেতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা প্রকাশ্যেই দেশকে পেছনে নেওয়ার জন্য ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ শ্লোগান দেয়।’
এই রাজনৈতিক অপশক্তি বার বার দেশে গণতন্ত্র নস্যাৎ করতে চেয়েছে, সেই চক্রান্তেই বিএনপি গত নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছিল, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে দিবাস্বপ্নের চূড়া থেকে ধপাস করে পড়ে গিয়ে এখন হাঁটছে, লিফলেট দিচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন- ‘আপনারা হাঁটেন, দৌড়ান কিন্তু আবার যদি মানুষ পোড়ানোর অপচেষ্টা করেন, জনগণ উচিত শিক্ষা দেবে।’
‘দুর্যোগে মানুষের পাশে নয়, বিদেশে পুরস্কার নিতে ব্যস্ত থাকেন ড. ইউনুস’ ও ‘কিছু ব্যক্তিবিশেষও রাজনৈতিক অপশক্তির সাথে যুক্ত হয়েছে যারা বিশ্বের সামনে দেশকে দরিদ্র বলে অপপ্রচার চালিয়ে নিজে নানা পুরস্কার নেয়’ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, ‘ড. ইউনূসের প্রতি সম্মান রেখেই বলতে চাই, দেশের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে তাঁর কোনো চিন্তা নাই। দেশে যখন বন্যা হয় তখন তাঁকে পাওয়া যায় না, দেশে যখন মানুষ পোড়ানো হয় তখন তাঁর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায় না, দেশে যখন দুর্যোগ হয় তখন ড. ইউনুসকে বিদেশে পুরস্কার নিতে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়।’
‘ড. ইউনুসের লবিস্ট ফার্ম পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় যত পুরস্কার দেওয়া হয় সেসব জায়গায় যোগাযোগ করে পুরস্কার আনে অথচ তিনি দেশের কাজে নাই -এটি অত্যন্ত হাস্যকর’ বলেন মন্ত্রী।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান এবং আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য এডভোকেট বলরাম পোদ্দার সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন। প্রতিমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর পরম আত্মত্যাগী জীবনের ওপর সংক্ষেপে আলোকপাত করেন।
ঢাকার সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে ও স্বাধীনতা পরিষদের সভাপতি জিন্নাত আলী খান ও সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েলের পরিচালনায় স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, ইসলামি চিন্তাবিদ শাইখ আকরামুজ্জামান মাদানী, যুবলীগ নেতা মানিক লাল ঘোষ, বঙ্গবন্ধু একাডেমির মহাসচিব হুমায়ুন কবির মিজি প্রমুখ সভায় বক্তব্য দেন।
আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধু ও সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও মানুষের কল্যাণ প্রার্থনা করে মোনাজাত পরিচালিত হয়।
#
আকরাম/শফি/রফিকুল/আব্বাস/২০২৪/১৯২১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৭৯৭
রংপুর বিভাগের ১৯টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে ‘হার’ পাওয়ার প্রকল্প
রংপুর, ৮ চৈত্র (২২ মার্চ):
প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে সরকার ২০২২ সালের জুলাই মাসে ‘হার পাওয়ার প্রকল্প’ চালু করে। রংপুর বিভাগের সাত জেলার ১৯টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে ‘হার’ পাওয়ার প্রকল্প। পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলার সদর উপজেলাসহ তিনটি করে উপজেলায় এবং রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় এই প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান।
এই প্রকল্পের আওতায় ছয়টি কোর্স পরিচালিত হচ্ছে। কোসর্সমূহ হচ্ছে: ওমেন কল সেন্টার এজেন্ট, ওমেন ই-কমার্স প্রোফেশনাল, ওমেন আইটি সার্ভিস প্রোভাইডার, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ও ডিজিটাল মার্কেটিং। এসব কোর্সে অংশগ্রহণকারীদের পাঁচ মাসের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণ শেষে উত্তীর্ণ প্রশিক্ষণার্থীদের নিয়ে এক মাসের মেন্টরশিপ প্রোগ্রাম আয়োজন করা হয়। এছাড়া ‘হার’ পাওয়ার প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণার্থীদের একটি করে ল্যাপটপ প্রদান করা হচ্ছে।
১৮-৪০ বছর বয়সি ন্যূনতম এসএসসি পাশ নারীরা এসব কোর্সে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। প্রশিক্ষণার্থী বাছাইয়ে সুবিধাবঞ্চিত, অনগ্রসর, দরিদ্র ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন নারীদের অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, দেশের ৪৪টি জেলার ১৩০টি উপজেলায় হার পাওয়ার প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। ২০২৫ সালের জুন মাসে এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে।
#
মামুন/শফি/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/১৭২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৭৯৬
ডাকঘরকে কর্মসংস্থানের হাব-এ রূপান্তর করার কাজ চলছে
---জুনাইদ আহমেদ পলক
ঢাকা, ৮ চৈত্র (২২ মার্চ) :
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বহুমাত্রিক সেবা বৃদ্ধি এবং পিপিপি’র আওতায় স্মার্ট সার্ভিস সেবার মাধ্যমে ডাকঘরকে তরুণ-তরুণীদের জন্য ব্যাপক কর্মসংস্থানের হাব-এ রূপান্তর করার কাজ চলছে। ইতোমধ্যে খুলনার কয়রায় স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট চালু করা হয়েছে এবং এ মাসে আরো চারটি এবং আগামী মাসে আরো ৫০০টি ডাকঘরকে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে রূপান্তর করা হবে। পর্যায়ক্রমে দেশে সাড়ে আট হাজার ডাকঘরকে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে রূপান্তর করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ স্মার্ট প্ল্যাটফর্মে বরিশালে ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত জিপিও ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট ডাকঘর অপরিহার্য উল্লেখ করে বলেন, ডাকঘরের বিস্তীর্ণ নেটওয়ার্ক, বিশাল অবকাঠামো ও জনবল ব্যবহার করে প্রত্যন্ত এলাকাসহ দেশের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় স্মার্ট ডাক সেবা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। আজকের ডিজিটাল প্রযুক্তির যুগে প্রতিটি মানুষে মানুষে যোগাযোগের ব্যবস্থাও ডাক অধিদপ্তর করতে পারে। এই প্রতিষ্ঠান দেশের প্রতি প্রান্তের প্রতিটি মানুষ চেনে। জি-টু-জি ডাক সেবা এবং ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব প্রদানের পাশপাশি স্মার্ট সক্ষমতা তৈরির জন্য মানসিকতা ও বিদ্যমান
ধ্যান-ধারণার পরিবর্তন, স্মার্ট প্রযুক্তি গ্রহণ এবং স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহারের সক্ষমতা তৈরি করতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশের শক্তিশালী ভিত্তির ওপর প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রা শুরু হয়েছে। জ্ঞানভিত্তিক একটি স্মার্ট সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠায় ডাক অধিদপ্তরের ভূমিকা অপরিসীম বলে প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাইজেশনের প্রভাবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে চিঠি আদান-প্রদানের যুগ শেষ হয়ে গেলেও পণ্য পরিবহণে ডাকঘর হবে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সেবা প্রতিষ্ঠান। ডাকঘরকে মেইল ডেলিভারি সেবা থেকে সার্ভিস ডেলিভারি সেবায় রূপান্তর করতে পারলে প্রতিষ্ঠানটি দেশের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখতে সক্ষম হবে। তিনি বরিশালে রাত্রিকালীন ডাকঘরের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
বরিশালের জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তরুণ কান্তি সিকদার, দক্ষিণাঞ্চল খুলনার পোস্ট মাস্টার জেনারেল শামসুল আলম বক্তৃতা করেন।
পরে প্রতিমন্ত্রী নবনির্মিত জিপিও ভবনের উদ্বোধন করেন।
#
শেফায়েত/শফি/রফিকুল/আব্বাস/২০২৪/১৭৪২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৭৯৫
শান্তি-সম্প্রীতি স্থাপনের এক অনন্য হাতিয়ার পানি
-পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৮ চৈত্র (২২ মার্চ) :
পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যেসব সংকট বাড়ছে তার অন্যতম সুপেয় ও ব্যবহারযোগ্য পানি। জলবায়ুর পরিবর্তন শুধুমাত্র প্রাকৃতিক কারণেই নয়, এর মধ্যে মানবসৃষ্ট কারণও রয়েছে। ব্যক্তি পর্যায় হতে বৈশ্বিক পর্যায়ে শান্তি-সম্প্রীতি স্থাপনের এক অনন্য হাতিয়ার পানি। ভূ-উপরস্থ ও ভূ-গর্ভস্থ পানির গুনগতমান বজায় রাখা, জলাধারের পানি প্রবাহ অটুট রাখা, পানির বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যবহার ও সামাজিকভাবে পানি সংরক্ষণ এবং পানির অপচয়রোধে সচেতনতার প্রসার সামগ্রিকভাবে বৈশ্বিক-আঞ্চলিক-জাতীয় উন্নয়ন কার্যক্রমকে ত্বরান্বিতকরণে ভূমিকা রাখবে।
আজ রাজধানীর পানি ভবনের হলরুমে ‘বিশ্ব পানি দিবস- ২০২৪’ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের নির্বাচনি ইশতেহার বাস্তবায়নে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ: উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’ স্লোগানের আলোকে গৃহিত পানিখাতে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সকলকেই সচেষ্ট হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ও মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে কাজ করে যাচ্ছেন। তার হাত ধরে স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আগামী দিনের জন্য বাসযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিত করতে পানি সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও পানি সংবেদনশীল টেকসই উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনায় সকলকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রকল্প গ্রহণ, বাস্তবায়ন ও মনিটরিং ধাপে নাগরিককেন্দ্রিক, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থাপনা বজায় রাখতে হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি বাস্তবায়ন, জাতীয় উন্নয়নের সঙ্গে সংগতিপূর্ণভাবে বদ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ এর লক্ষ্য পূরণে সর্ব্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসানের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন বাপাউবো এর মহাপরিচালক মুহাম্মদ আমিরুল হক ভূঞা, পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার মহাপরিচালক, মোঃ রেজাউল মাকছুদ জাহেদী ও সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস) এর নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা আবদুল্লাহ খান।
‘Water for Peace’ অর্থাৎ ‘শান্তির জন্য পানি’ প্রতিপাদ্যের আলোকে দিবসের শুরুতে বর্নাঢ্য র্যালি পানি ভবন হতে সার্ক ফোয়ারা প্রদক্ষিণ করে। আলোচনা শেষে অনলাইন স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
#
গিয়াস/কামরুজ্জামান/জুলফিকার/রবি/সাজ্জাদ/আলী/শামীম/২০২৪/১৫২৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৭৯৪
রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে রংপুরে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
রংপুর, ৮ চৈত্র (২২ মার্চ) :
রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে রংপুরে গতকাল মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ মনিরুজ্জামান তাঁর কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন।
মতবিনিময় সভায় রমজান মাসের পবিত্রতা রক্ষা, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ, মজুত ও মূল্য পরিস্থিতি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সভায় পণ্যের বিপণন, আমদানি, পরিবহণ, সংরক্ষণ, বাজারজাতকরণ থেকে শুরু করে ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছানোর প্রত্যেকটি ধাপে মনিটরিং জোরদার করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ সায়ফুজ্জামান ফারুকী, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) উত্তম কুমার পাল, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আজাহারুল ইসলাম, রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আকবর আলী, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি রেজাউল ইসলামসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
#
মামুন/কামরুজ্জামান/জুলফিকার/রবি/সাজ্জাদ/শামীম/২০২৪/১৪৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৭৯৩
ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা নদীরক্ষা কমিটির বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত
রংপুর, ৮ চৈত্র (২২ মার্চ) :
ঠাকুরগাঁওয়ে গতকাল জেলা নদীরক্ষা কমিটির বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নদীরক্ষা কমিশনের পরিচালক দেলোয়ার হোসেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রামকৃষ্ণ বর্মন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জাতীয় নদীরক্ষা কমিশনের পরিচালক বলেন, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য রক্ষায় নদীর রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। একটি অসাধু চক্র অবৈধভাবে নদী দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করছে। নদী দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ প্রতিরোধে তিনি সংশ্লিষ্টদের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
জেলা নদীরক্ষা কমিটির সভায় আরো বক্তৃতা করেন ঠাকুরগাঁও এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন বিশ্বাস, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম যাকারিয়া ও ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলায়েত হোসেন।
#
মামুন/কামরুজ্জামান/জুলফিকার/রবি/সাজ্জাদ/শামীম/২০২৪/১৪১৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৭৯২
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রীর সাথে সিআরপি প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ৮ চৈত্র (২২ মার্চ) :
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসানের সাথে পক্ষাঘাতগ্রস্থদের পুনর্বাসন কেন্দ্র বা সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অব দ্য প্যারালাইজড (সিআরপি) এর প্রতিনিধিদল গতকাল মন্ত্রণালয়ের তাঁর দপ্তরে সাক্ষাৎ করেছে। সিআরপি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ভেলরি এ টেইলর।
সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধীবান্ধব সরকার। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য বিভিন্ন সুযোগসুবিধার পাশাপাশি খেলাধুলার সুবিধা নিশ্চিতেও সরকার বদ্ধপরিকর । খেলাধুলায় সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক জাতীয় সংসদের পাশে একটি প্রতিবন্ধী স্টেডিয়াম নির্মাণ করছে। এছাড়া, সিআরপিতে যে সকল প্রতিবন্ধীরা রয়েছে তাদের খেলাধুলার সুযোগসুবিধা বৃদ্ধিতেও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।
এ সময়ে সিআরপি’র প্রতিষ্ঠাতা ভেলরি এ টেইলর মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, প্রতিবন্ধীদের পুনর্বাসনের পাশাপাশি সিআরপিতে নিয়মিত হুইলচেয়ার বাস্কেটবল ফুটবল ও ক্রিকেট খেলা আয়োজন করা হয়। টেইলর মন্ত্রীকে সাভারে সিআরপি পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানালে তিনি পরিদর্শনের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
#
কামরুজ্জামান/জুলফিকার/রবি/সাজ্জাদ/আলী/মাসুম/২০২৪/১২৪৫ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৭৯১
বিশ্ব আবহাওয়া দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ৮ চৈত্র (২২ মার্চ) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ২৩ মার্চ ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস- ২০২৪’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সদস্যভুক্ত রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস-২০২৪’ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির এবছরের প্রতিপাদ্য,- ‘At the frontline of climate action’ যথোপযুক্ত, সময়োপযোগী ও তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলির মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আওয়ামী লীগ সরকার বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে সরকার জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন ব্যবস্থাকে প্রাধান্য দিয়ে ১০০ বছর মেয়াদি বদ্বীপ পরিকল্পনা, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। পর্যায়ক্রমে এ সকল পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন ও ২০৪১ সালে একটি উন্নত রাষ্ট্রের মর্যাদা লাভে সক্ষম হবে।
আওয়ামী লীগ সরকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরে আধুনিক কারিগরি ও প্রযুক্তির সন্নিবেশ করেছে। ফলে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সার্বিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ অন্যান্য চরম আবহাওয়ার বিভিন্ন মেয়াদী পূর্বাভাস ও সতর্কবার্তা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আগাম পূর্বাভাস প্রদানে বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ ও প্রভাব থেকে উত্তরণের জন্য পরিবেশের বিপর্যয় রোধ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহায়ক কৌশল নির্ধারণ, প্রাকৃতিক সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার, জলবায়ুর পরিবর্তনের অভিঘাত সহিষ্ণু বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল। আন্তর্জাতিক পর্যায়েও জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণে বাংলাদেশ তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
আমাদের সরকার আবহাওয়ার বিদ্যমান পর্যবেক্ষণাগারসমূহের সাথে কৃষি আবহাওয়া পূর্বাভাস সেবার মান উন্নয়নে আরো ৭টি নতুন কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার স্থাপনসহ কৃষি আবহাওয়া বিষয়ক গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করেছে। ৫টি আবহাওয়া ভূপৃষ্ঠ পর্যবেক্ষণাগার, ১৩টি ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ৩টি স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড রিসিভিং স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কালবৈশাখী ও বজ্রঝড়ের সতর্কবার্তা প্রদানসহ নিরাপদ বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণে জয়দেবপুরে ১টি আধুনিক ডপলার রাডার স্থাপন করা হয়েছে এবং রংপুরে অপর ১টি ডপলার রাডার স্থাপনের কাজ চলমান আছে। আসুন, সকলে মিলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আজীবন স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ে তুলি।
আমি ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস-২০২৪’ এর সার্বিক সফলতা কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/ কামরুজ্জামান/জুলফিকার/রবি/সাজ্জাদ/আলী/মাসুম/২০২৪/১১০০ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৭৯০
বিশ্ব আবহাওয়া দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ৮ চৈত্র (২২ মার্চ) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আগামীকাল ২৩ মার্চ ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস ২০২৪’ উদ্যাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।
ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ হলেও তা দিনে দিনে চরমভাবাপন্ন হয়ে উঠছে। ফলে দেশের কৃষি, জনস্বাস্থ্য, মৎস্য, জীববৈচিত্র্যসহ সামগ্রিক ক্ষেত্রে এর বিরূপ প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বাংলাদেশে দুর্যোগের সংখ্যা ও তীব্রতা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। জলবায়ু ও আবহাওয়ার পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবিলার জন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রম ও উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করছে। আবহাওয়া, জলবায়ু ও পানির প্রভাবে সৃষ্ট দুর্যোগকালীন ক্ষয়ক্ষতি সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে বাংল