তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫০০
চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রক্ষেপণ অনুযায়ী অর্জিত হবে
ঢাকা, ৩১ ভাদ্র (১৫ সেপ্টেম্বর):
চলতি অর্থবছরে (২০২০-২০২১) বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এডিবি। সংস্থাটি বলছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে ৫ শতাংশের ঘরে থাকবে।
এডিবির প্রক্ষেপণে সন্তোষ প্রকাশ করে অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্র্ষিকীতে দেশের মানুষ মহামারির মধ্যেও মনপ্রাণ দিয়ে কাজ করেছে। তারা দেশকে ভালবেসে কর্মস্পৃহা দেখিয়েছে বলেই এই অর্জন আসতে যাচ্ছে। গত দুমাসে শুধু রেমিট্যান্সেই আমাদের ৫০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। রফতানি বাণিজ্য পুনরায় আশানুরূপ অবস্থানে আসতে শুরু করেছে। তাই সবকিছু মিলে আশা করা যায় আমাদের এ অর্থবছরের প্রাক্কলন ৮ দশমিক ১ বা ৮ দশমিক ২ অর্জিত হবে। এডিবির এ প্রাক্কলন অনুযায়ী ২০২০-২০২১ অর্থবছেরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি এ অঞ্চলে চীন ও ভারতে পরেই অবস্থান করছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সুচিন্তিত সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা এবং সরকারের উদ্দীপনা ব্যবস্থার দ্রুত বাস্তবায়ন প্রত্যাশিত পুনরুদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। চলতি অর্থবছরে (২০২০-২০২১) বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। আজ মঙ্গলবার এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুকের (এডিও) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।
সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেন, মহামারি থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার পেতে শুরু করেছে। স্বাস্থ্য ও মহামারি পরিচালন ব্যবস্থার ওপর উল্লেখযোগ্য চাপ সত্ত্বেও সরকার উপযুক্ত অর্থনৈতিক প্রণোদনা ও সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে অর্থনীতিকে সুসংহত করেছে। দরিদ্র ও দুর্বলদের জন্য মৌলিক সেবা ও পণ্যাদি নিশ্চিত করেছে। রপ্তানি এবং রেমিট্যান্সগুলোতে সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সক্ষমতা, অর্থনৈতিক প্রণোদনা ও সামাজিক সুরক্ষার জন্য বিদেশি তহবিল সুরক্ষাসহ সরকারের সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার ফলে এই পুনরুদ্ধার সম্ভব হয়েছে।
#
গাজী তৌহিদুল/ফারহানা/খালিদ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২০/২১০৯ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪৯৯
কৃষিমন্ত্রীর সাথে এফএও’র বাংলাদেশ প্রতিনিধির সাক্ষাৎ
ঢাকা, ৩১ ভাদ্র (১৫ সেপ্টেম্বর):
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের নানাবিধ উদ্যোগ এবং কৃষিখাতে প্রণোদনার ফলে কৃষিতে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। বাংলাদেশ দানাদার জাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। এখন দেশে কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ খুবই প্রয়োজন। স্থানীয়ভাবে প্রক্রিয়াজাতকরণ কিছুটা হচ্ছে। তবে কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণে নেসলে, কেলোগ প্রভৃতির মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতা দরকার, আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ দরকার। এ সময় কৃষিমন্ত্রী কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ ও সহযোগিতার বিষয়ে এফএও’র সহযোগিতা কামনা করেন।
এফএও’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি বলেন, কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ বিষয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্থানীয় অফিসগুলোর সাথে যোগাযোগ করে সহযোগিতার বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, কৃষিক্ষেত্রের উদ্ভাবনী বা আইডিয়াগুলো সংরক্ষণ ও শেয়ার করার জন্য ‘ইনোভেশন ল্যাব’ স্থাপন করা প্রয়োজন।
কৃষিসচিব মোঃ নাসিরুজ্জামান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
কামরুল/ফারহানা/খালিদ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২০/২০৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪৯৮
ফুটবলার উন্নতি খাতুনকে ৫ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর
ঢাকা, ৩১ ভাদ্র (১৫ সেপ্টেম্বর):
উদীয়মান ফুটবলার উন্নতি খাতুনকে ৫ লাখ টাকা প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
আজ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সম্মেলনে কক্ষে প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত ৫ লাখ টাকার চেক উন্নতির হাতে তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল।
প্রতিমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন প্রদত্ত ২৪ হাজার টাকার মাসিক ক্রীড়া ভাতার চেকও উন্নতির হাতে তুলে দেন। এ সময়ে যুব ও ক্রীড়া সচিব মোঃ আখতার হোসেন, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজির আহমেদ, তথ্য কমিশনার আবদুল মালেক ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব
মোঃ মাসুদ করিম উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত খেলোয়াড়দের সহায়তা করতে তিন কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। এছাড়া তিনি অসহায় দুস্থ ক্রীড়াসেবীদের জন্য বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশনকে ১০ কোটি টাকা প্রদান করেছেন।
উদীয়মান ফুটবলার উন্নতি খাতুন প্রধানমন্ত্রী ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘আমি খুবই আনন্দিত যে প্রধানমন্ত্রী আমার পরিবারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। আমি দারুণভাবে উৎসাহিত। আমি দেশের জন্য সেরাটাই দেবার চেষ্টা করব ।’
উল্লেখ্য, উন্নতি খাতুন গত বছর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালিকা (অনূর্ধ্ব-১৭) সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন।
#
আরিফ/নাইচ/রফিকুল/আব্বাস/২০২০/১৯৩৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪৯৭
রেলপথ মন্ত্রীর সাথে ভারতীয় হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ৩১ ভাদ্র (১৫ সেপ্টেম্বর):
রেলপথ মন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজনের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ আজ রেলভবনে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে ভারতের অর্থায়নে বাংলাদেশ রেলওয়েতে যে সকল প্রকল্প চলমান আছে সে প্রকল্পগুলোর বিষয়ে আলোচনা হয়। বিশেষ করে ঢাকা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত তৃতীয় ও চতুর্থ এবং টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত ডাবল লাইন বিষয়ে। এছাড়া নির্মাণ করা হচ্ছে চিলাহাটি থেকে হলদিবাড়ি পর্যন্ত নতুন লাইন, সেখানে ভারতের অংশের ১৫০ মিটার নির্মাণ করলে বাংলাদেশের সাথে ভারতের যোগাযোগ চালু করা সম্ভব হবে। এটি যাতে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে চালু করা যায় সে বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রী ভারতীয় হাইকমিশনারকে অনুরোধ জানান ।
এছাড়া পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মিত হলে শিলিগুড়ি পর্যন্ত ট্রেন চালানো যাবে সে বিষয়েও আলোচনা করেন রেলপথ মন্ত্রী। এ সময় দুই দেশের মধ্যকার চালু কার্গো ও পণ্যবাহী ট্রেন বিষয়ে আলোচনা হয় এবং এটি দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি বড় সাফল্য বলে আলোচনা হয়।
বৈঠকে ভবিষ্যতে দেশের রেল যোগাযোগ ক্ষেত্রে উভয় দেশের সম্পর্ক আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ সেলিম রেজা এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মোঃ শামসুজ্জামান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
শরিফুল/ফারহানা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২০/১৯২৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪৯৬
এন এস সি অডিটোরিয়ামের নাম শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল অডিটোরিয়াম করার সিদ্ধান্ত গৃহীত
ঢাকা, ৩১ ভাদ্র (১৫ সেপ্টেম্বর):
এন এস সি (জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ) অডিটোরিয়ামের নাম শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল অডিটোরিয়াম করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
আজ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সভাকক্ষে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভাপতির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, শহীদ শেখ কামাল ছিলেন বাংলাদেশের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব, ১৯৭১ এর রণাঙ্গনের লড়াকু সৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, চির তারুণ্যের প্রতীক, মায়াবী আলোয় ভরা প্রতিভাধর সরল প্রাণের একজন প্রাণোচ্ছ্বল মানুষ। বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী ছিলেন শেখ কামাল।
জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, শেখ কামাল ছিলেন দেশের তরুণদের উজ্জ্বল প্রতিনিধি। মাত্র ২৬ বছর বয়সে তার জীবন প্রদীপ নিভে যাওয়ার আগে, দেশপ্রেম থেকে শুরু করে ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও সংগঠন পরিচালনার যে প্রতিভা এবং দক্ষতার পরিচয় তিনি রেখে গেছেন, তা শুধু আমাদের দেশের তরুণদের জন্যই নয়, পৃথিবীর যেকোনো দেশের, যে কোনো কালের তরুণ সমাজের অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ক্রীড়া জগতের উন্নয়নের জন্য তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘আবাহনী ক্রীড়া চক্র’। ফুটবলের উন্নতির জন্য ১৯৭৩ সালে আবাহনীতে বিদেশি কোচ ‘বিল হার্টস’ কে নিযুক্ত করেন। শুধু ফুটবল নয়, বাস্কেটবল ও হকিতেও তিনি পারদর্শী ছিলেন। ক্রীড়ার সব শাখাতেই ছিল তাঁর মুন্সিয়ানা ও অসামান্য সংগঠকের ভূমিকা। তাই সরকার এ দেশের ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদ শেখ কামালের অবদানকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে এন এস সি অডিটোরিয়ামের নাম শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল অডিটোরিয়াম করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
সভায় যুব ও ক্রীড়া সচিব মোঃ আকতার হোসেন, তথ্য কমিশনার আবদুল মালেক, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজির আহমেদসহ কার্যনির্বাহী কমিটির অন্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
আরিফ/নাইচ/রফিকুল/আব্বাস/২০২০/১৯২১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪৯৫
বন্ধ ঘোষিত রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শীঘ্রই চালু হবে
-- শ্রম প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৩১ ভাদ্র (১৫ সেপ্টেম্বর):
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, বন্ধ ঘোষিত ২৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল জিটুজি, পিপিপি এবং লিজিং ব্যবস্থাপনায় শীঘ্রই চালু হবে। চালু হলে এ সকল মিলের অবসানকৃত শ্রমিকরা অগ্রাধিকার পাবেন।
আজ ঢাকার ডেমরা এলাকায় করিম জুট মিল প্রাঙ্গণে সরকারি সিদ্ধান্তে বন্ধ ঘোষিত রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলসমূহের অবসরপ্রাপ্ত/অবসানকৃত শ্রমিকদের সকল পাওনা পরিশোধ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাট চাষে কৃষকরা যাতে নিরুৎসাহিত না হয় সেজন্য রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোকে টিকিয়ে রাখা প্রয়োজন। পাটজাত পণ্যের বৈচিত্র্যতা আনয়ন এবং কাঁচাপাট বেইল আকারে রপ্তানির বিষয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়কে আরো উদ্যোগী হতে হবে। সকলের সহযোগিতায় সোনালী আঁশের হারানো গৌরব ফিরে আসবে বলে প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
এ সময় করিম জুট মিলের ৩০ জন শ্রমিকের হাতে সঞ্চয়পত্র তুলে দেয়া হয়।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম বক্তৃতা করেন।
#
আকতারুল/ফারহানা/রফিকুল/রেজাউল/২০২০/১৯০২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪৯৪
প্রতারণার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের গণবিজ্ঞপ্তি
ঢাকা, ৩১ ভাদ্র (১৫ সেপ্টেম্বর):
বিভিন্ন প্রতারক চক্র ভূমি মন্ত্রণালয় কিংবা এর আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থায় চাকুরি প্রদানের নাম করে বিভিন্ন ব্যক্তি থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকতে আজ ভূমি মন্ত্রণালয় গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মাক্ছুদুর রহমান পাটওয়ারীর স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সম্প্রতি বিভিন্ন পত্রিকায় ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় ‘ভুয়া নিয়োগপত্র’ দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে নিয়োগ প্রার্থীদের থেকে অর্থ আদায় করে আত্মসাৎ করা হচ্ছে মর্মে কয়েকটি সংবাদ মন্ত্রণালয়ের গোচরীভূত হয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় প্রতারকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানাকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে”। এছাড়া ‘নিয়োগ প্রার্থীগণ যাতে প্রতারিত না হন সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়োগের যে কোনো তথ্য ভূমি মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার ওয়েবসাইটে যাচাই করে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যথাযথ উপায়ে আবেদন করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে’।
সর্বসাধারণের অবগতির জন্য মন্ত্রণালয় ও দপ্তর ও সংস্থাসমূহের ওয়েব এড্রেস গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করা হয়েছে। ওয়েব এড্রেস গুলো হলো ভূমি মন্ত্রণালয় minland.gov.bd, ভূমি আপীল বোর্ড www.lab.gov.bd, ভূমি সংস্কার বোর্ড www.lrb.gov.bd, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর www.dlrs.gov.bd, ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র www.latc.gov.bd.
এছাড়া কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারণার কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে নিকটস্থ থানাকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওয়েব এড্রেস www.facebook.com/minland.gov.bd.
#
নাহিয়ান/ফারহানা/রফিকুল/আব্বাস/২০২০/১৯০৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪৯৩
কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ৩১ ভাদ্র (১৫ সেপ্টেম্বর):
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৪ হাজার ৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ৭২৪ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ৪১ হাজার ৫৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৩ জন-সহ এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৮০২ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।
করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৪৫ হাজার ৫৯৪ জন।
#
দলিল উদ্দিন/ফারহানা/রফিকুল/রেজাউল/২০২০/১৭৩৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪৯১
মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে সংসদ চত্বরে চারা রোপণ করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকা, ৩১ ভাদ্র (১৫ সেপ্টেম্বর) :
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে এক কোটি বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় মুজিববর্ষ-২০২০ উপলক্ষ্যে জাতীয় সংসদ ভবন চত্বরে আজ বৃক্ষের চারা রোপণ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত করার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে দেশকে বাঁচাতে কৃষিকে গুরুত্ব দিতে হবে। তারই ধারাবাহিকতায় জাতীয় সংসদ ভবন চত্বরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি চলছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, করোনা পরিস্থিতি সফলভাবে মোকাবিলা করতে হলে কৃষির ওপর গুরুত্বারোপ অব্যাহত রাখতে হবে।
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে আরো অংশগ্রহণ করেন জাতীয় সংসদ সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী।
উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী-২০২০ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত সারাদেশে এক কোটি বৃক্ষের চারা রোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাতীয় সংসদ ভবন চত্বরে এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয় ও পিডব্লিউডি’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
সাব্বির/পরীক্ষিৎ/জুলফিকার/আসমা/২০২০/১৫৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪৯০
বাংলাদেশে আরো মাস্ক ও ভেন্টিলেটর প্রদানে তুরস্কের আগ্রহ
ঢাকা, ৩১ ভাদ্র (১৫ সেপ্টেম্বর) :
বাংলাদেশকে আরো ভেন্টিলেটর ও মাস্কসহ করোনা চিকিৎসা সামগ্রী প্রদানের আগ্রহ প্রকাশ করেছে তুরস্ক।
তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সাথে বৈঠককালে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
শিক্ষা বিনিময় ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদারকরণসহ দু’দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠকে দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্বারোপ করা হয়। এসময় Mevlut Cavusoglu বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির অঙ্গীকার পূনর্ব্যক্ত করেন তিনি। দ্রুততম সময়ে উভয় দেশের মধ্যে পরবর্তী Foreign Office Consultation ও Joint Economic Commission এর বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে তাঁরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বৈঠককালে বাংলাদেশে অবস্থানরত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সে দেশে প্রত্যাবর্তনে তুরস্ক সব ধরণের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে উল্লেখ করেন Mevlut Cavusoglu. আলোচনায় ডি-৮ এর কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করার বিষয়ে উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একমত পোষন করেন। উভয় দেশের পক্ষ থেকে প্যালেস্টাইনের অধিকারের বিষয়ে একাত্মতা প্রকাশ করা হয়। এসময় প্যালেস্টাইনের ন্যায়সঙ্গত অধিকারের পক্ষে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থানের বিষয়টি ড. মোমেন তুলে ধরেন।
চার দিনের সফরে ড. মোমেন বর্তমানে তুরস্কে অবস্থান করছেন।
#
তৌহিদুল/পরীক্ষিৎ/জুলফিকার/আসমা/২০২০/ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪৮৯
একনেকে প্রায় ৫৩৫ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন
ঢাকা, ৩১ ভাদ্র (১৫ সেপ্টেম্বর) :
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহি কমিটি-একনেক আজ ৫৩৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়সম্বলিত চারটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে।
এর মধ্যে জিওবি ৪৪০ কোটি ৯৪ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক উৎস হতে প্রাপ্ত ঋণ ৯৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক-এর চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনের সাথে সংযুক্ত হয়ে ভিডিও কনফারেন্স-এর মাধ্যমে শেরে বাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক-এর সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
অনুমোদিত প্রকল্পসমূহ হলো: গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ‘আরবান রেজিলিয়েন্স প্রজেক্ট (ইউআরপি): রাজউক (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প; শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প; মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন’ প্রকল্প এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক, গাজীপুর এর এ্যাপ্রোচ সড়ক প্রশস্তকরণ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, কৃষিমন্ত্রী মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন সভার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।
সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
শাহেদ/পরীক্ষিৎ/জুলফিকার/আসমা/২০২০/১৫৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪৮৮
১০ লাখ ৪০ হাজার অতিদরিদ্র নারীকে চাল প্রদান করা হবে
- মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৩১ ভাদ্র (১৫ সেপ্টেম্বর):
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, ভালনারেবল গ্রুপ
ডেভেলপমেন্ট (ভিজিডি)’র কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ২০২১-২২ সালে দুই বছর মেয়াদে ১০ লাখ
৪০ হাজার অতিদরিদ্র নারীদের মাঝে মাসে ৩০ কেজি করে চাল প্রদান করা হবে। সরকারের ভিজিডি কর্মসূচি দারিদ্রপীড়িত ও দুঃস্থ গ্রামীণ নারীদের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। ভিজিডির মাধ্যমে এসব নারীরা খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, পুষ্টিহীনতা, অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতাকে সফলভাবে অতিক্রম করে চরম দারিদ্রতার স্তর থেকে বের হয়ে আসার সক্ষমতা অর্জন করেছে’।
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত 'ভিজিডি কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির' সভায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, খাদ্য মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, ইআরডি, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও বিশ্ব খাদ্য সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, করোনাকালীন সময়ে আমাদের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি চলমান আছে। পাশাপাশি অসহায় ও দুঃস্থ নারীদের মোবাইল ব্যাংকের মাধ্যমে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে যা বাংলাদেশের নারী ও শিশুদের খাদ্য, পুষ্টি ও আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে বৃহৎ সামাজিক নিরাপত্তামূলক কার্যক্রম। মহিলা ও শিশু বিষক মন্ত্রণালয় থেকে ৭ লাখ ৭০ হাজার মাকে মাতৃত্বকালীন ও ২ লাখ ৭৫ হাজার কর্মজীবী নারীকে ল্যাক্টেটিং মাদার ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। এ মন্ত্রণালয় থেকে মোট সামাজিক নিরাপত্তা উপকারভোগীর সংখ্যা ২০ লাখ ৮৫ হাজার নারী। এ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গত ২০ বছরে ভিজিডির মোট উপকারভোগীর সংখ্যা ৭১ লাখ ৪০ হাজার।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, করোনা মহামারির কারণে অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। সমাজের নিম্ন আয় ও দিন আনে দিন খায় এমন শ্রেণীর মানুষ বিশেষ করে শ্রমজীবী নারীরা অনেক কষ্টে আছে। এই সময়ে প্রকৃত দুঃস্থ ও অসহায় নারী যারা ভিজিডিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সকল শর্ত যারা পূরণ করবে তাদের নির্বাচন করতে হবে। ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা কমিটিগুলোকে শতভাগ নিরপেক্ষতার সাথে ভিজিডি উপকারভোগী বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে বলে তিনি নির্দেশনা দেন। ভিজিডি বাছাই প্রক্রিয়া মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর থেকে সার্বক্ষণিক মনিটর করা হবে। এক্ষেত্রে কোন ধরনের অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি সংশ্লিষ্টদেরকে সতর্ক করে দেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী পথশিশু পুনর্বাসনে কাজ করে যাচ্ছে। ভিজিডি অতিদারিদ্রপীড়িত গ্রামীণ নারীদের দারিদ্রতা দূর করে স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করছে।
#
আলমগীর/পরীক্ষিৎ/জুলফিকার/রেজ্জাকুল/খোরশেদ/২০২০/১৩৩০ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪৮৭
বিশ্ব ওজোন দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ৩১ ভাদ্র (১৫ সেপ্টেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব ওজোন দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও আজ বিশ্ব ওজোন দিবস-২০২০ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
ওজোনস্তর সূর্য থেকে নিঃসরিত অতিবেগুনী রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাবে মানবদেহে চর্ম- ক্যান্সার, চোখের ছানিসহ অন্যান্য প্রাণী, উদ্ভিদ, শষ্য ও বাস্তুসংস্থানকে বিবিধ বিরুপ প্রতিক্রিয়া থেকে সুরক্ষা দেয়। ওজোনস্তর রক্ষার জন্য ১৯৮৫ সালে ভিয়েনা কনভেনশন এবং এর আওতায় ১৯৮৭ সালে মন্ট্রিল প্রটোকল গৃহীত হয়। ফলে বিগত ৩৫ বছরে পৃথিবীর সকল রাষ্ট্রের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ক্ষয়িষ্ণু ওজোনস্তর ধীরে ধীরে পুনর্গঠিত হতে শুরু করেছে এবং সূর্যালোক মানুষসহ পৃথিবীর সকল জীবের জন্য নিরাপদ হচ্ছে। এই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় বিশ্ব ওজোন দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য 'Ozone for life: 35 Years of ozone layer protection' অর্থাৎ ‘প্রাণ বাঁচাতে ওজোন : ওজোনস্তর সুরক্ষার ৩৫ বছর’ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও সময়োপযোগী হয়েছে।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অত্যন্ত সংবেদনশীল ছিলেন। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টির পর তিনি অন্যান্য গুরুদায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দেশব্যাপী বনায়ন ও উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী সৃষ্টিতে মনোনিবেশ করেছিলেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর আমরা মন্ট্রিল প্রটোকল যথাযথভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলাম। ১৯৯৭ সালে বায়ু দূষণ ও ওজোনস্তর ক্ষতিকারক গ্যাসের উৎপাদন ও ব্যবহার রোধে বায়ুর মানমাত্রা (Air Quality Standard) নির্ধারণ করে পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা প্রণয়ন এবং এর বাস্তবায়ন শুরু করেছিলাম। ২০০৮ সাল থেকে পরপর তিনদফা সরকার গঠনের ফলে আমরা ওজোনস্তর পুনর্গঠনে নানামুখী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আমরা ইতোমধ্যে দেশে এইচসিএফসি (Hydrochlorofluorocarbon) সহ অধিকাংশ ওজোনস্তর ক্ষয়কারী দ্রব্যের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছি। ২০০৯