তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭০১
সিভিএফ দূত সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রীর অভিনন্দন
ঢাকা, ৭ শ্রাবণ (২২ জুলাই) :
ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) দূত মনোনীত হওয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন।
আজ এক অভিনন্দন বার্তায় জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী বলেন, ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ) এর দূত হিসেবে সায়মা ওয়াজেদ হোসেন জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর পক্ষে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার, গোষ্ঠীকে একত্রিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। সিভিএফ এর এজেন্ডা এবং মূল অগ্রাধিকারগুলো অনুসরণ করতে এবং জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর স্বার্থ রক্ষায় অবদান রাখবে। তিনি সদস্য দেশসমূহের মধ্যে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধ এবং অভিযোজন কার্যক্রম জোরদার করতে সফল হবেন বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন। সিভিএফ এর সভাপতি হিসেবে দুইবছর মেয়াদকালে দূত হিসেবে তিনি সদস্য দেশসমূহের মধ্যে মতৈক্য সৃষ্টিতে সাফল্যের সাথে কাজ করবেন মর্মে আশা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিশেষজ্ঞ প্যানেলের একজন সদস্য এবং বাংলাদেশের অটিজম বিষয়ক জাতীয় কমিটির চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশে অটিজম বিষয়ক বিভিন্ন নীতি নির্ধারণে উল্লেখযোগ্য সাফল্য লাভের পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে অটিজম বিষয়ক ‘শুভেচ্ছা দূত’ হিসেবে সায়মা ওয়াজেদ কাজ করছেন।
সম্প্রতি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিতে থাকা ৪৮টি দেশের বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের প্রেসিডেন্ট পদ পায় বাংলাদেশ। সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল ছাড়াও ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ) এ মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট নাশিদ কামাল, ফিলিপাইনের ডেপুটি স্পিকার লরেন লেগ্রেডা ও কঙ্গোর জলবায়ু বিশেষজ্ঞ তোসি মাপ্নু বিষয়ভিত্তিক দূত হিসেবে মনোনীত হয়েছেন।
#
দীপংকর/ফারহানা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২০/২১৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭০০
রাজধানীর পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা সরেজমিনে পরিদর্শন করলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ৭ শ্রাবণ (২২ জুলাই) :
রাজধানীতে জলাবদ্ধতা নিরসন বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঢাকা ওয়াসার গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে দেওয়া তথ্য পুরোপুরি সঠিক নয় এমন দাবি উঠায় দুই সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন খাল ও পাম্প হাউজ পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
আজ রাজধানীতে জলাবদ্ধতা নিরসনে বিভিন্ন দপ্তর বিভাগ গৃহীত কার্যক্রম পর্যালোচনা ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের নিজ কক্ষে অনলাইনে এক সভার আয়োজন করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
ঢাকা ওয়াসা এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে স্বাভাবিক উপায়ে পানি বের করতে না পারায় পাম্পিং করে পানি বের করে দিচ্ছে বলে সভায় জানানো হয়। কিন্তু ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস দাবি করে বলেন পাম্পিং হাউসগুলো সম্পূর্ণ কার্যকর নয়। এরই প্রেক্ষিতে সভা শেষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে সাথে নিয়ে তাৎক্ষণিক পাম্প হাউজ সরেজমিনে পরিদর্শনে বের হন মন্ত্রী।
এ মন্ত্রী তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কালুনগর পাম্প হাউজ এবং ২৪ নং ওয়ার্ডের বালুরঘাট এলাকার খাল পরিদর্শন করেন। পরে, সোনারগাঁও হোটেলের পাশে হাতিরঝিলের স্লুইচ গেট এবং মিরপুর বেড়িবাঁধে অবস্থিত গোড়ান চটবাড়ি পাম্প হাউজ পরিদর্শন করেন মোঃ তাজুল ইসলাম।
পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ, পানি উন্নয়ন বোর্ড জলাবদ্ধতা নিরসনে তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে যে তথ্য দিয়েছেন তা সরেজমিনে পরিদর্শন করে আশানুরূপ মিল পাওয়া যায়নি।
ঢাকার খাল ও জলাশয়গুলোর দেখভালের দায়িত্ব দুই সিটি কর্পোরেশনকে দেওয়া নিয়ে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সিটি কর্পোরেশনের সক্ষমতা বিবেচনায় নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নিবে তাঁর মন্ত্রণালয়।
এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিযর সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ-সহ মন্ত্রণালয়ের এবং দুই সিটি কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, অতীতে একটু বৃষ্টি হলেই পুরো ঢাকা নগরীতে প্রচুর জলাবদ্ধতা তৈরি হতো কিন্তু এখন অতিবর্ষণেও অতীতের ন্যায় জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে না।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ অনলাইনে অনুষ্ঠিত সভাটি সঞ্চালনা করেন।
#
হায়দার/ফারহানা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২০/২১২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৯৯
২৫ জুলাই থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট ও সৈয়দপুর রুটে
নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করবে বাংলাদেশ বিমান
ঢাকা, ৭ শ্রাবণ (২২ জুলাই) :
আগামী ২৫ জুলাই ২০২০ থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স অভ্যন্তরীণ রুট চট্টগ্রাম, সিলেট ও সৈয়দপুরে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করবে। যাত্রীরা বিমানের বিক্রয় অফিস, ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ ও এজেন্টের মাধ্যমে টিকিট ক্রয় করতে পারবেন।
বিস্তারিত তথ্যের জন্য বিমান ওয়েবসাইট : www.biman-airlines.com এবং বিমান কল সেন্টার : ০১৭৭৭৭১৫৬১৩-১৬ এ যোগাযোগ করা যাবে।
#
তানভীর/ফারহানা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২০/২১০০ঘণ্টাতথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৯৮
দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেন্টার অন ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি প্রতিষ্ঠা করা হবে
-- আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৭ শ্রাবণ (২২ জুলাই) :
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বৈশ্বিক মহামারী মোকাবিলায় কাজ করছে সরকার। করোনা ভাইরাস প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর সরকার পরিস্থিতি মোকাবিলায় একের পর এক সময়োপযোগী কার্যক্রম গ্রহণ করে চলেছে। বর্তমানে গ্রাম পর্যন্ত ইন্টাটারনেট কানেক্টিভিটি পৌঁছে গেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশর প্রযুক্তিগত অবকাঠামো তৈরির ফলেই দেশের মানুষ বিগত পাঁচ মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া সংসদ টেলিভিশন ও অনলাইন ডিজিটাল প্লাটফর্মে চালু রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ মিলনায়তনে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেন্টার অন ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি প্রতিষ্ঠা করা হবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা গবেষণা করে প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে শুধু বাংলাদেশের সমস্যাই সমাধান করবে না, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা ও সক্ষমতা অর্জন করতে সক্ষম হবে।
পলক আরো বলেন, দেশের সাড়ে চার কোটি শিক্ষার্থীকে প্রযুক্তিনির্ভর কর্মসংস্থানের উপযোগী করে তুলতে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মাধ্যমিক পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয় বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রযুক্তিতে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা অর্জনের সুযোগ করে দিতে সরকার সারা দেশে ৮ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করেছে এবং আরো ৫ হাজার ল্যাব স্থাপন করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল প্লাটফর্মে অনলাইনে ক্লাস করার সুযোগ তৈরি করা হলেও সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখনো সে সুযোগ গ্রহণ করতে পারেনি। কারণ তাদের অবকাঠামোগত প্রস্তুতি ছিল না। সে বিবেচনায় সারা দেশে ৩০০ টি সংসদীয় আসনে স্কুল অভ্ ফিউচার সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম মডেল স্কুল প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা রয়েছে। এর মাধ্যমে সারা দেশের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল ভোগ করতে পারবেন বলে জানান।
পলক বলেন, প্রযুক্তিনির্ভর কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে লক্ষ্যে লার্নিং এন্ড আর্নিং প্রকল্পের আওতায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থীকে অনলাইনে ট্রেনিং প্রদান করা হচ্ছে। ৬৪টি জেলায় শেখ কামাল ইনকিউবেশন সেন্টার ও সারা দেশে ২৮টি হাইটেক পার্ক তৈরি করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী সকলের জন্য নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা নিশ্চত করতে ইন্টারনেট প্রোভাইডারদের প্রতি আহ্বান জানান।
#
শহিদুল/ফারহানা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২০/২০৫০ঘণ্টা
Handout Number : 2697
Recent activities of a section of Bangladeshi workers in Vietnam
Dhaka, 22 July:
The attention of the Ministry of Foreign Affairs has been drawn to some media reports and social media contents about the activities of a section of workers currently staying in Vietnam.
The Government of Bangladesh is committed to uphold the rights of Bangladeshi migrant workers abroad and provides all necessary assistance. Bangladesh Mission in Hanoi has been supporting the Bangladesh nationals within the legal framework of Bangladesh and Vietnam.
All international flights are suspended in Vietnam since 25 March 2020. The Group of Bangladesh nationals who are demanding return flight to Bangladesh at Bangladesh government’s expense since 3 July 2020 are engaged in negative propaganda unjustifiably with the help of social media and some overseas TV channels.
The latest group of 17 people who are reportedly sitting in front of the Embassy demanding immediate repatriation has been interviewed by the Embassy officials and Vietnam authorities. It was communicated to the Embassy by the Vietnam side that the Ministry of Public Security of Vietnam issued an order to Ho Chi Minh City Police, Binh Duong Police and Vung Tau Police to investigate the brokers from Bangladesh and ensure security for foreign workers. Vietnam Police informed that they are working with Vietnam companies, who sponsored visas for these people to take responsibility of this Group and take them back to Vung Tau City, give them accommodation, job and facilitate their repatriation when commercial flights resume. Most of them went to Vietnam as visitors and not as legal workers. The Embassy informed 17 people of the employer’s commitment and assurance of the Government of Vietnam but those 17 people for unknown reasons are not cooperating. They appear determined not to go back to their workplace sticking to their one point demand for immediate return to Bangladesh at government expense.
Ministry of Foreign Affairs would like to categorically state that while the Government of Bangladesh is mindful to promote expatriate welfare particularly in the face of COVID pandemic worldwide, the Government will not encourage any activities by the expatriate workers detrimental to the image of Bangladesh and the excellent relations existing between Bangladesh and Vietnam.
#
Tohidul/Farhana/Sanjib/Shamim/2020/2004 hour
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৯৬
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পর্যটন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে
-বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৭ শ্রাবণ (২২ জুলাই) :
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী বলেছেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি পর্যটন শিল্প জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
স্থানীয় উন্নয়ন পরিকল্পনায় পর্যটনকে সম্পৃক্তকরণ ও পর্যটন সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে আজ বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড কর্তৃক পটুয়াখালী জেলার সাথে আয়োজিত অনলাইন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পর্যটনের প্রসার হলে তা পর্যটন গন্তব্য সন্নিহিত এলাকায় স্থানীয় জনগণের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি তাদের জীবনমান উন্নয়নে সহায়তা করবে। পর্যটকদের ব্যয় করা মুদ্রা স্থানীয় অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে। এর পাশাপাশি স্থানীয় ব্যবসা বাণিজ্য, ঐতিহ্যবাহী কুটির শিল্প ও সংস্কৃতির প্রসারেও তা সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
পর্যটন এলাকায় সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পর্যটন আকর্ষণ ও গন্তব্যে যাতে ময়লা-আবর্জনা জমে না থাকে এবং পর্যটক যাতে স্থানীয় লোকজনের কারণে কোন প্রকার সমস্যায় না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। স্থানীয় জনগণকে অন্তর্ভুক্ত করে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের পর্যটন গন্তব্যে সুন্দর ও সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিতে একসাথে কাজ করতে হবে। এই বিষয়ে অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই। পর্যটকদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মাহবুব আলী বলেন, দেশে বর্তমানে বিনিয়োগের সবচেয়ে উপযুক্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। পর্যটনের উন্নয়নে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান। তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য পর্যটন শিল্প ক্যারিয়ার গঠনের অন্যতম উপযুক্ত ক্ষেত্র হতে পারে। পর্যটন শিল্পে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সকল প্রকার নীতিগত সহযোগিতা প্রদানের জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় অত্যন্ত আন্তরিক।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের পরিচালক আবু তাহের মোহাম্মদ জাবেরের সঞ্চালনায় ও পটুয়াখালী জেলার জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ, পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিগণ, গণমাধ্যম কর্মী, বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ ও পর্যটনের সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন খাতের অংশীজন।
#
তানভীর/ফারহানা/সঞ্জীব/শামীম/১৯৪৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৯৫
বন্যা পরিস্থিতিতে প্রকৌশলীদের জনগণের পাশে থাকার নির্দেশনা পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর
ঢাকা, ৭ শ্রাবণ (২২ জুলাই) :
দেশে বিদ্যমান বন্যা পরিস্থিতিতে মাঠ পর্যায়ের সকল প্রকৌশলীদের জনগণের পাশে থেকে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।
আজ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জুম প্ল্যাটফরমে বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি, বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ এবং বন্যা মোকাবিলায় করণীয় সংক্রান্ত এক জরুরি সভায় তিনি এই নির্দেশনা দেন।
প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, প্রধান প্রকৌশলী থেকে নির্বাহী প্রকৌশলী পর্যন্ত সকলকে নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ সব জায়গায় কর্মকর্তাদের উপস্থিতি, নজরদারি এবং জিও ব্যাগ নিয়ে প্রস্তুতি নিশ্চিত করবে। বাঁধ যাতে না ভাঙ্গে সেদিকে সর্বোচ্চ সতর্কতা রাখতে হবে। অবশ্যই স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক খবর রাখতে হবে।
দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সক্ষমতার কথা জানিয়ে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ এখন শক্তিশালী। মাঠ পর্যায়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সকল কর্মকর্তারা দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আগামীতে সকল জেলাকেই স্থায়ী বাঁধপ্রকল্পের আওতায় আনা হবে।
সভায় অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মাহমুদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) রোকনুদ্দৌলা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক আমিনুল হক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক হাবীবুর রহমান, সিইজিআইএসের নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা, বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর সাইফুল ইসলাম (আইডব্লিউএফএম), বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর (ডব্লিউআরই) ড. মোঃ মোস্তফা আলী, জেলা পর্যায়ের প্রকৌশলী-সহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
আসিফ/ফারহানা/সঞ্জীব/শামীম/১৯৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৯৪
গোপালগঞ্জে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে পশুর চামড়া ছাড়ানো
এবং সংরক্ষণের কৌশল বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
গোপালগঞ্জ, ৭ শ্রাবণ (২২ জুলাই) :
গোপালগঞ্জে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে পশুর চামড়া ছাড়ানো এবং সংরক্ষণের কৌশল বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।
আজ গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আয়োজকদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে পশুর চামড়া ছাড়ানো এবং সংরক্ষণের কৌশল বিষয়ক এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন অত্যন্ত সময়োপযোগী পদক্ষেপ। তিনি বলেন, এ ধরনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম দেশে চামড়া শিল্পের উদ্যোক্তা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। মানসম্মত উপায়ে চামড়া ছাড়ানোর এ কৌশল সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। কারণ এ কৌশলের সাথে দেশের জনগণের স্বার্থ জড়িত। এ কাজটি ঠিকমতো করতে পারলে এ খাতে আরো বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে সমর্থ হবো।
বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চামড়া ছাড়ানো ও সংরক্ষনের প্রশিক্ষণ না থাকায় চামড়া শিল্প আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী গোপালগঞ্জের ন্যায় দেশের সকল জেলাকে এ জাতীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করার আহবান জানান। তিনি বলেন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর সবসময় এ জাতীয় বাস্তবভিত্তিক কার্যক্রমে পাশে আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। তিনি আরো উল্লেখ করেন, এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম যতো বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে নেওয়া যাবে ততই জাতীয় সম্পদ রক্ষা পাবে।
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানার সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আখতার হোসেন। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারগণ, শরিয়তপুর ও মাদারীপুর জেলার জেলা প্রশাসকগণ, বে-গ্রুপের চেয়ারম্যান শামচুর রহমান, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান-সহ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতা ও স্থানীয় সাংবাদিকগণ।
#
আরিফ/ফারহানা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২০/১৯৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৯৩
কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ৭ শ্রাবণ (২২ জুলাই) :
ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (এনডিআরসিসি) থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ৬৪ জেলায় ইতোমধ্যে ২ লাখ ১১ হাজার ১৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া শিশুখাদ্য-সহ অন্যান্য সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ১২২ কোটি ৯৭ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা জিআর (ক্যাশ) নগদ বিতরণ করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বরাদ্দকৃত এ সাহায্য দেশের সকল জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী আজ দেশে নতুন করে আরো ২ হাজার ৭৪৪ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ১৩ হাজার ২৫৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২ জন-সহ এ পর্যন্ত ২ হাজার ৭৫১ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ১৭ হাজার ২০৪ জন।
সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান এবং এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের সেবা প্রদান করা যাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে।
#
তাসমীন/ফারহানা/সঞ্জীব/শামীম/১৮৫৯ ঘণ্টা
তথ্যববিরণী নম্বর: ২৬৯২
উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণে ভূমি সেবার মান বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই
-ভূমিমন্ত্রী
ঢাকা, ৭ শ্রাবণ (২২ জুলাই) :
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণে ভূমি সেবার মান বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই।
আজ ঢাকায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘ভূমি সেবা ডিজিটাইজেশন মনিটরিং ও পর্যালোচনা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি’-এর ১ম সভায় সভাপতি হিসেবে বক্তব্য প্রদানের সময় ভূমিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
ভূমি মন্ত্রণালয়কে একটি সেবাধর্মী মন্ত্রণালয় উল্লেখ করে ভূমিমন্ত্রী আরো বলেন, এখন জনসাধারণকে সরাসরি ভূমি সেবা প্রদান করা যাচ্ছে। ভূমি সংক্রান্ত ব্যাপার কেবল সরাসরি মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে না, দেশের অর্থনীতিকেও প্রভাবিত করে।
ভূমিমন্ত্রী এ সময় দ্রুত অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানের ব্যবস্থা স্থাপনের কাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দেন।
ভূমি সচিব মোঃ মাক্ছুদুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, প্রত্যাশিত ভূমি সেবাগ্রহীতাদের হাতের মুঠোয় ভূমিসেবা প্রদানের লক্ষ্য বাস্তবায়নে গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম তত্ত্বাবধান, সমন্বয়-সাধন, পরিবীক্ষণ ও অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য 'ভূমি সেবা ডিজিটাইজেশন মনিটরিং ও পর্যালোচনা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি' গঠন করা হয়েছে।
ভূমি সচিবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান বেগম উম্মুল হাছনা, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ ইয়াকুব আলী পাটোয়ারী, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ তসলীমুল ইসলাম, ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পরিচালক মোঃ আব্দুল হাই-সহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় দুই জন জেলা প্রশাসক ও জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার-সহ মাঠ পর্যায়ে কর্মরত বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় অংশগ্রহণ করেন।
#
নাহিয়ান/ফারহানা/সঞ্জীব/শামীম/১৮১৫ ঘণ্টা
তথ্যববিরণী নম্বর: ২৬৯১
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদত্যাগ ইতিবাচক
-তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ৭ শ্রাবণ (২২ জুলাই) :
মহাপরিচালকের পদত্যাগ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ঢেলে সাজাতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে, বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ।
আজ সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে পদত্যাগ করায় ধন্যবাদ জানাই। কারণ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নিয়ে জনমনে অনেক অসন্তুষ্টি তৈরি হয়েছিল, বিশেষ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্তাব্যক্তিদের নিয়ে। সেই প্রেক্ষাপটে আমি মনে করি তার পদত্যাগ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ঢেলে সাজানোর ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।’
বন্যা নিয়ে বিএনপি নেতাদের বিরূপ মন্তব্যের জবাবে ড. হাছান মাহ্মুদ পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, ‘বন্যার পানি কি বাংলাদেশে এই প্রথম এলো! দেশে তো প্রতি বছরই বন্যা হয়, ঢাকা শহরেও প্রতিবছর পানি ওঠে। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল যখন বুঝি বন্যা হয় নাই?’
মন্ত্রী এ সময় ’৯১ সালের ঘূর্ণিঝড় ও ২০০৪ সালের বন্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘২০০৪ সালের বন্যায় বিএনপি’র অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান-সহ বহু মন্ত্রী-নেতার বাড়ির চারপাশে নোংরা পানি ছিল। এবং তারা গুলশান লেক সংস্কার করতে ব্যর্থ হয়েছিল বলেই তা ঘটেছিল।’
অবান্তর কথা বলা বিএনপি’র অভ্যাসে পরিণত হয়েছে, অবান্তর কথা না বলে তারা বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ালে বরং জনগণ উপকৃত হবে, বলেন ড. হাছান। নামসর্বস্ব পত্রিকা ও সাংবাদিক নামধারীদের বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেবে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এদেশের সাংবাদিকদের অত্যন্ত মেধাবী, প্রাজ্ঞ এবং সুলেখক হিসেবে বর্ণনা করেন এবং বলেন, তাদের রিপোর্টিং সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দিতে পারে, ভাষাহীনকে ভাষা দিতে ও ক্ষমতাহীনকে ক্ষমতাবান করতে পারে, যা অনেক সাংবাদিক নিষ্ঠার সাথে করে আসছেন। একইসাথে তিনি দুঃখ করে বলেন, ‘কিছু সাংবাদিক পরিচয়ধারী, যারা আসলে সাংবাদিক নয়, তাদের কারণে পুরো সাংবাদিক সমাজের বদনাম হতে পারে না। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি, যেখানে সাংবাদিক ভাইদের, সাংবাদিক ইউনিয়নগুলোর এবং সাংবাদিকদের অন্যান্য সংগঠনগুলো-সহ সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। যেহেতু এই অব্যবস্থা একদিনে হয়নি, দশকের পর দশক হয়ে আসছে, এটি ঠিক করতেও কিছুটা সময় লাগবে।’
এর আগে তথ্যমন্ত্রী আমেরিকান চেম্বার অভ কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচ্যাম)-এর পক্ষ থেকে ‘অ্যামচ্যাম কোভিড-১৯ ফ্রন্টলাইন এওয়ার্ড’ প্রদানের ঘোষণাদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত হন। মন্ত্রী তাদের এ উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, ‘করোনা মহামারির মধ্যেও যে সমস্ত সাংবাদিক, ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, মাঠ প্রশাসন সদস্য-সহ যারা জীবন হাতে নিয়ে কাজ করে চলেছেন, এবং যারা এই সেবা দিতে গিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন, তাদের পুরস্কৃত করার এই উদ্যোগকে আমি অভিনন্দন জানাই।’
ড. হাছান মাহ্মুদ তার বক্তৃত