আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৪০০
জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ৭ শ্রাবণ (২২ জুলাই) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ২৩ জুলাই ‘জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস ২০২১’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“প্রতিবছরের মতো এবারও ‘জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস-২০২১’ পালিত হচ্ছে এবং এ দিবস উপলক্ষ্যে ‘জনপ্রশাসন পদক’ প্রদান করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ দিবস উপলক্ষ্যে সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই এবং পদকপ্রাপ্ত সকল সরকারি কর্মচারীকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কর্মচারীদের অত্যন্ত আপন মনে করতেন। তিনি ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ার বিশাল কর্মযজ্ঞে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে সিভিল সার্ভিসের মেধাবী কর্মকর্তাদের কাজের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকার সরকারি সেবা জনগণের নিকট সহজে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এবং প্রশাসনের কাজে গতি আনার জন্য প্রতিটি মন্ত্রণালয়/বিভাগে উদ্ভাবনী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে উদ্ভাবনী চর্চাকে প্রাতিষ্ঠানিক করেছে। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাজের মূল্যায়ন করা হচ্ছে। উদ্ভাবনী কাজকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আমরা জনপ্রশাসন পদক প্রদান করছি। সরকারি সেবার উৎকর্ষ সাধন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের নিত্য-নতুন ক্ষেত্র উন্মোচন, সরকারি সেবা-গ্রহীতাদের সন্তষ্টি বৃদ্ধি এবং উন্নত ও কার্যকর প্রক্রিয়ায় সেবা প্রদানের জন্য সরকারি কর্মচারীদের উদ্ভাবনমনস্ক হতে জনপ্রশাসন পদক বিশেষ অবদান রেখে চলেছে। এটি সরকারি কর্মচারীদের ইতিবাচক, উদ্ভাবনী, জনমুখী কার্যক্রমের সর্বোচ্চ স্বীকৃতি। শুধু সরকারি আদেশ পালন নয়; জনকল্যাণে নিজ উদ্যোগে গৃহীত এসকল কার্যক্রম দেশসেবার এক অনন্য দৃষ্টান্ত এবং সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের পাথেয় হয়ে থাকবে।
আওয়ামী লীগ সরকার অন্যান্য জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি সরকারি কর্মচারীদের কল্যাণের বিষয়েও আন্তরিকভাবে কাজ করে চলেছে। সরকারি কর্মচারীদের দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণ সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে; তাদের জন্য উচ্চশিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ করা হয়েছে; গণকর্মচারীদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য একাধিক প্রকল্প চলমান আছে। মাঠপর্যায়ে কর্মরত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মকর্তা এখন বৈদেশিক প্রশিক্ষণ ও উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাচ্ছেন। কর্মচারীদের বিভিন্ন প্রকার অনুদান ও কল্যাণ ভাতার পরিমাণ দ্বিগুণ করা হয়েছে। সরকারি কর্মচারীদের চিকিৎসাসেবা উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারি কর্মচারী হাসপাতালকে ১৫০ শয্যা হতে ৫০০ শয্যায় উন্নীত করা হচ্ছে। আমাদের সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর সরকারি কর্মচারীদের নববর্ষের ভাতা প্রদানসহ বেতন-ভাতা ১২৩ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা ইতঃপূর্বে অন্য কোনো সরকার করেনি।
কোভিড-১৯ এর বিস্তারে গোটা বিশ্ব আজ বিপর্যস্ত। আমরাও এর বাইরে নই। আর এই সংকটকালে জনপ্রশাসনের কর্মচারীগণ বিশেষ করে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে করোনা মোকাবিলায় কাজ করে যাচ্ছেন, এজন্য আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে এবারের জনপ্রশাসন পদক প্রদান করা হচ্ছে। সুতরাং এ বছরের জনপ্রশাসন পদকের একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। দেশের বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর নিকট সরকারি সেবা সহজভাবে পৌঁছে দিতে সেবা প্রদান পদ্ধতিকে তাদের উপযোগী করে তুলতে হবে। এ ক্ষেত্রে আপনাদের মেধা, দক্ষতা, নেতৃত্ব ও উদ্ভাবনী চেতনাকে কাজে লাগাতে হবে। প্রতিটি সরকারি কর্মচারীকে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে সর্বোচ্চ মেধা, দক্ষতা ও আন্তরিকতা প্রদর্শনের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের গতিকে অব্যাহত রেখে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করবেন।
আমি ‘জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস ২০২১’ এবং ‘জনপ্রশাসন পদক-২০২০ ও ২০২১’ প্রদান উপলক্ষ্যে আয়োজিত সকল অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য কামনা কারছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/পরীক্ষিৎ/রবি/রেজ্জাকুল/বিপু/২০২১/ ১১০০ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৩৯৯
‘জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ৭ শ্রাবণ (২২ জুলাই) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ২৩ জুলাই ‘জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস ২০২১’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস’ উপলক্ষ্যে আমি প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত সকল কর্মচারীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। জনসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে মেধা, সততা, মননশীলতা, সৃজনশীল কর্ম ও উদ্ভাবনী প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে কর্মস্পৃহা ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘জনপ্রশাসন পদক’ প্রবর্তন একটি প্রশংসনীয় পদক্ষেপ। এ বছর কোভিড পরিস্থিতির কারণে জনপ্রশাসন পদক ২০২০ এবং ২০২১ একসাথে প্রদান করা হচ্ছে। আমি পদকপ্রাপ্ত প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
করোনা মহামারির কারনে বিশ্বব্যাপী জীবনযাত্রা, কর্মসংস্থান, ব্যবসা-বাণিজ্য, আন্তঃদেশীয় যোগাযোগসহ সার্বিক অর্থনীতি মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। এ অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩১ দফা নির্দেশনা এবং সময়োচিত সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশ করোনা পরিস্থিতি সাফল্যের সাথে মোকাবিলা করে যাচ্ছে। করোনাকালে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের আন্তরিক প্রচেষ্টা কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণসহ আর্থ-সামাজিক খাতে গতিশীলতা ধরে রাখতে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে।
মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনাকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজকে পরিপূর্ণতা দানের লক্ষ্যে প্রণীত ‘রুপকল্প ২০২১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। একটি উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সরকার ঘোষণা করেছে ‘রুপকল্প ২০৪১’ এবং শতবর্ষ মেয়াদি ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’। সরকারের গৃহীত জনকল্যাণমূখী কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বিগত বছরগুলোতে ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন অব্যাহত রয়েছে। উন্নয়নের এ ধারাকে এগিয়ে নিতে সকলের সহযোগিতা যেমন প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন সরকারি কর্মচারীদের উদ্যোগ, দায়িত্বশীলতা, দক্ষতা সর্বোপরি দৃষ্টিভঙ্গির ইতিবাচক পরিবর্তন।
বঙ্গবন্ধু একটি সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। এ জন্য তিনি সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘সরকারি কর্মচারীদের মনোভাব পরিবর্তন করতে হবে, তারা শাসক নন, সেবক।’ জাতির পিতার প্রত্যাশা অনুযায়ী অধিকতর জনবান্ধব জনপ্রশাসন বিনির্মাণে ‘জনপ্রশাসন পদক’ প্রদান কর্মচারীগণকে উৎসাহিত করবে বলে আমার বিশ্বাস। আমি আশা করি, পদকপ্রাপ্তদের পথ অনুরসণ করে অন্যান্য কর্মচারীরাও জনকল্যাণে উদ্ভাবনী কাজে এগিয়ে আসবেন এবং রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবেন।
আমি জনপ্রশাসন পদক ২০২০ এবং ২০২১ প্রদান অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরানুল/পরীক্ষিৎ/রবি/রেজ্জাকুল/বিপু/২০২১/ ১১০০ ঘণ্টা