Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১

তথ্যবিবরণী ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর :  ৭৫৮

বাংলাদেশে ইফাদের বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান অর্থমন্ত্রীর

ঢাকা, ৩ ফাল্গুন (১৬ ফেব্রুয়ারি) :   

            আগামী ১৭-১৮ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইফাদ) এর ৪৪তম গভর্নিং কাউন্সিল ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য প্রতি বছর গভর্নিং কাউন্সিলের সভা ইতালিস্থ রোমে ইফাদের সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে; কিন্তু এবারই কোভিড-১৯ মহামারির কারণে প্রথম ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হবে।

            আজ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এবং আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইফাদ)-এর প্রেসিডেন্টের সাথে একটি ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় বাংলাদেশ সরকারের আট সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেন। তন্মধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মেসবাহুল ইসলাম, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সমন্বয় ও নরডিক অনুবিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ,  রোমে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্টদূত এবং ইকোনমিক কাউন্সিলর অংশগ্রহণ করেন। ইফাদের পক্ষ থেকে ইফাদ প্রেসিডেন্ট Gilbert F. Houngbo এবং তাঁর দল অংশগ্রহণ করেন।

            সভার শুরুতে অর্থমন্ত্রী ইফাদের প্রেসিডেন্টকে ভার্চুয়াল সভায় অংশগ্রহণ এবং ২য় বারের মতো ইফাদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে অগ্রিম ধন্যবাদ জানান।

            ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইফাদ) এর সদস্য পদ প্রাপ্তির পর থেকে বাংলাদেশে ইফাদের মোট ক্রমপুঞ্জিত বিনিয়োগের পরিমাণ ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতি তথা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য ইফাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বাংলাদেশে ইফাদের কান্ট্রি প্রোগ্রামে অর্থায়নের পরিমাণ ৯৮৮ দশমিক ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, তন্মধ্যে ইফাদের অবদান ৪১৫ দশমিক ৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার; জিওবি’র অবদান ১৩৫ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, অবশিষ্ট অন্যান্য দাতা সংস্থার। ইফাদ এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ৩৪টি প্রকল্পে ঋণ ও অনুদান সহায়তা প্রদান করেছে। এ বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতি তথা ১১ দশমিক ৭ মিলিয়ন পরিবার উপকৃত হয়েছে। ৩৪টি প্রকল্পের মধ্যে ২৭টি প্রকল্প সমাপ্ত হয়েছে এবং বাকি ৭টি প্রকল্প কৃষি মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে। উক্ত প্রকল্পসমূহে ইফাদ বিভিন্ন-সহ-অর্থায়নকারী দাতাসংস্থা যেমনঃ বিশ্বব্যাংক, এডিবি, নেদারল্যান্ড, স্পেন এবং ডেনমার্কের মতো দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগীর সাথে অংশীদারীত্বের ভিত্তিতে ঋণ ও অনুদান সহায়তা প্রদান করেছে।

            ইফাদ প্রেসিডেন্ট আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্যমুক্ত পৃথিবী গড়ার প্রত্যয়ে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন।  এসডিজির Goal-1 এবং Goal-2 এর অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো তথা খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন, ইফাদের গৃহীত কার্যক্রমের বিনিয়োগ বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, জেন্ডার, পুষ্টি, আদিবাসী জনগণের জীবন মানের উন্নয়ন ইত্যাদি উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইফাদের কারিগরি জ্ঞান, উদ্ভাবনী চিন্তা ও অভিজ্ঞতার আলোকে দরিদ্র, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের কাজে লাগিয়ে কৃষি প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি এবং গ্রামীণ এলাকায়  কর্মসংস্থান সৃষ্টি-সহ টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে ইফাদের ১২তম পরিপূরণে (12th Replenishment) বাংলাদেশের চাঁদার পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য সহেযাগিতা কামনা করেন। ১২তম পরিপূরণ বাস্তবায়নে  আগামী তিন বছরে (২০২২ হতে ২০২৪ সাল) মোট ঋণ ও অনুদান বাবদ ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের প্রেক্ষাপটে ইফাদের সদস্য রাষ্ট্রসমূহ হতে ১ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সংগ্রহের নিমিত্ত সদস্য দেশসমূহের চাঁদা বৃদ্ধির জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

            সর্বশেষে অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তি উদ্‌যাপনের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য ইফাদের প্রেসিডেন্টকে  আমন্ত্রণ জানান। তিনি নতুন মেয়াদে আগামী চার বছরের জন্য প্রেসিডেন্টকে পুনঃ নির্বাচন বিষয়ে বাংলাদেশের সমর্থন ব্যক্ত করেন।

#

তৌহিদুল/নাইচ/রফিকুল/সেলিম/২০২১/২২২০ ঘণ্টা  

Handout                                                                                                              Number : 757

Joint Statement on Bangladesh-UK Trade and Investment Dialogue

Dhaka, 16 February 2021 :

            The first ever Bangladesh-UK Trade and Investment Dialogue took place at the Ministry of Commerce in Dhaka today.

            The UK Government was represented by the British High Commissioner Robert Chatterton Dickson and the Government of Bangladesh was represented by the Commerce Secretary Dr. Md. Jafar Uddin.  The discussions were cordial and constructive. 

            Bangladesh and the UK agreed to develop a future trade partnership that will increase mutual prosperity and further Bangladesh’s economic development as it graduates from Least Developed Country status.

            Both countries agreed to improve the trading relationship through a mutual commitment to private sector led growth, encouraging investment, and addressing barriers to trade faced by their companies when exporting goods and services.

            The UK and Bangladesh discussed cooperation in areas such as GSP, LDC graduation, investment cooperation, access of Bangladeshi professionals at UK service sectors, trade facilitation, ease of doing business, financial sector development, higher education provision, taxation issues and intellectual property protection.

            The British High Commissioner said the UK is committed to working with Bangladesh to create a trade and investment relationship that helps both of our economies grow. Foreign Investment can provide jobs, transfer skills and generate revenue. A conducive business environment and removal of market access barriers can benefit both countries.

            The Secretary Ministry of Commerce said this dialogue will pave the way for our products, services and professionals to penetrate the UK market and contribute to increased investment in Bangladesh and expand our export.

#

Bakshi/Roksana/Masum/Rafiqul/Rezaul/2021/2146  hours

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ৭৫৬

বঙ্গবীর এম এ জি ওসমানী৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা মন্ত্রী     

ঢাকা, ৩ ফাল্গুন (১৬ ফেব্রুয়ারি) :   

          পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি বঙ্গবীর এম এ জি ওসমানী ছিলেন এক অকুতোভয় সৈনিক এবং আদর্শ, দেশপ্রেম ও মূল্যবোধের এক অনন্য প্রতীক। বীরত্ব, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও সময়ানুবর্তিতা ইত্যাদি চারিত্রিক গুণাবলীর জন্যে ইতিহাসে তিনি অমর হয়ে থাকবেন।

          মন্ত্রী আজ ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তি বাহিনীর প্রধান সেনাপতি বঙ্গবীর এম এ জি ওসমানীর ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবীর ওসমানী স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন।  

           মন্ত্রী এ সময় তরুণ প্রজন্মকে এম এ জি ওসমানীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হওয়ার আহ্বান জানান।

          অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, সাবেক অতিরিক্ত সচিব জালাল আহমেদ, সাবেক ইকোনমিক মিনিস্টার ইয়াহিয়া চৌধুরী, সিলেট বিভাগীয় চাকুরিজীবী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফাহিমা খানম চৌধুরী মনি, সিলেট বিভাগীয় যোগাযোগ উন্নয়ন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন সোহেল,  এডভোকেট আফাজুল ইসলাম, বঙ্গবীর ওসমানী স্মৃতি পরিষদের মহাসচিব এম এ রকিব খান এবং মৃত্যুবার্ষিকী উদ্‌যাপন কমিটির আহ্বায়ক কবি মুহাম্মদ আব্দুল খালেক প্রমুখ।

#

শাহেদ/নাইচ/রফিকুল/সেলিম/২০২১/২২৩০ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                                 নম্বর : ৭৫৫

                 পণ্য আমদানি-রপ্তানির সনদ মিলবে অনলাইনে সেবা সহজীকরণের ফলে দুর্ভোগ লাঘব হবে ও স্বচ্ছতা বাড়বে

                                                                                                                                            -- কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা, ৩ ফাল্গুন (১৬ ফেব্রুয়ারি) :

          কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অধীন উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইং এর অটোমেশন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। এর ফলে এখন থেকে কৃষিপণ্য আমদানি-রপ্তানির সনদ মিলবে অনলাইনে। কৃষিমন্ত্রী  আজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে অনলাইনে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

          অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, এই অটোমেশনের ফলে সেবাগ্রহীতারা দ্রুত সহজে সেবা পাবেন।  সনদ গ্রহণে ভোগান্তি কমবে এবং পুরো প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে। রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পাবে। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেটি ছিল অত্যন্ত দূরদর্শিতা ও প্রজ্ঞার প্রতিফলন। ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বাস্তব রূপ লাভ করেছে। আইসিটির সুযোগ সুবিধা আজ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে গেছে। এর ফলে প্রশাসনিক কাজকর্ম অনেক বেশি দ্রুতগতিসম্পন্ন, স্বচ্ছ এবং দুর্নীতিমুক্ত হয়েছে।

          অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মেসবাহুল ইসলাম, বাণিজ্যসচিব ড. মোঃ জাফর উদ্দীন এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মোঃ হাসানুজ্জামান কল্লোল। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আসাদুল্লাহ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

          উল্লেখ্য, বর্তমানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ৩০টি বিভাগে প্রায় ৪ হাজার আমদানিকারক এবং রপ্তানিকারক রয়েছে যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পণ্য আমদানি-রপ্তানি এর সাথে জড়িত। এই অটোমেশন প্রক্রিয়ার পর আর কোনো ধরনের সনদ প্রদান কার্যক্রম ম্যানুয়ালি চলবে না।

          অটোমেশন প্রক্রিয়ার অধীনে রয়েছে পণ্যের জন্য ইম্পোর্ট পারমিট সার্টিফিকেট, ফাইটো স্যানিটারি সার্টিফিকেট, রিলিজ অর্ডার সার্টিফিকেট, অ্যানকোরেজ সার্টিফিকেট সম্পর্কিত সকল কার্যক্রম। অটোমেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গ্রাহক অনলাইনেই এসব সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং সার্টিফিকেট সংগ্রহও করতে সক্ষম হবেন। অন্যদিকে সুরক্ষিত ডাটাবেজ এসব সার্টিফিকেটের স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা প্রদান করতে সক্ষম হবে। এছাড়াও সার্টিফিকেটের নির্দিষ্ট নম্বর দিয়ে সার্টিফিকেটের সত্যতা যাচাই বা ভেরিফিকেশনেরও সুযোগ রয়েছে।

#

কামরুল/রোকসানা/মাসুম/মোশারফ/জয়নুল/২০২১/২১৪৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                               নম্বর : ৭৫৪

২৪ ফেব্রুয়ারি দেশে আসছে বিমানের নতুন ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ

                                       -- বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী     

ঢাকা, ৩ ফাল্গুন (১৬ ফেব্রুয়ারি) :   

          বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় কানাডার ডিহ্যাবিল্যান্ড থেকে ক্রয়কৃত নতুন ৩টি ড্যাশ-৮  উড়োজাহাজের দ্বিতীয়টি  ২৪ ফেব্রুয়ারি এবং তৃতীয়টি ৪ মার্চ দেশে আসবে। এই উড়োজাহাজগুলো বহরে যুক্ত হওয়ার পর বিমান তার অভ্যন্তরীণ ও স্বল্প দূরত্বের আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রীদের আরো উন্নত সেবা প্রদান করতে সক্ষম হবে। গত বছরের ডিসেম্বর মাসের ২৭ তারিখ প্রথম ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজটি বিমানের বহরে যুক্ত হয়েছে।

          আজ রাজধানীর ধানমণ্ডিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ধানমন্ডি সেলস্ সেন্টারের বাণিজ্যিক সেবার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

          উল্লেখ্য, বিমানের ধানমন্ডির সেলস্ সেন্টার থেকে সম্মানিত যাত্রীবৃন্দ ও জনসাধারণ বিমানের সকল গন্তব্যের টিকিট কেনার পাশাপাশি বিমান পোল্ট্রি কমপ্লেক্সের নিজস্ব জায়গায় সম্পূর্ণ অর্গানিক পদ্ধতিতে উৎপাদিত মুরগির মাংস, ডিম, মাছ , মৌসুমী শাকসবজি, গরুর দুধ ও গরুর মাংস ক্রয় করতে পারবেন।

          তিনি আরো বলেন, দেশের এভিয়েশন শিল্পের বিকাশে পথ প্রদর্শক বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। প্রতিষ্ঠার পর হতে বিগত ৪৮ বছরে বিমান নানা বিবর্তনের মধ্য দিয়ে তার সময় অতিবাহিত করেছে। বর্তমানে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক আগ্রহ ও নির্দেশনায় বিমানকে নতুন করে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। সেবার মান নিশ্চিত করার পাশাপাশি বিমান তারুণ্যদীপ্ত বহরের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ অপারেশনের পরিধি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় বিমানের বহরে ইতোমধ্যে নতুন ১২টি বোয়িং ও একটি ড্যাশ-৮  উড়োজাহাজসহ সর্বমোট ১৩টি সর্বাধুনিক উড়োজাহাজ যুক্ত হয়েছে।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেবার মান বৃদ্ধির মাধ্যমে গ্রাহক সন্তুষ্টি অর্জন করে বিমানকে যাত্রীদের আস্থা ও ভালোবাসার ব্র্যান্ডে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ চলছে। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

          অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোকাম্মেল হোসেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোঃ সাজ্জাদুল হাসান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোকাব্বির হোসেন, বিমান পরিচালনা পর্ষদের সদস্য খন্দকার আতিক-ই-রাব্বানী।

#

তানভীর/রোকসানা/মাসুম/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২১০০ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর :  ৭৫৩

প্রাথমিক শিক্ষা সকল শিক্ষার মূলভিত্তি

চিকিৎসা সহযোগিতা ও উচ্চশিক্ষা উপবৃত্তির চেক প্রদান অনুষ্ঠানে গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ৩ ফাল্গুন (১৬ ফেব্রুয়ারি) :   

          প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন বলেছেন,  প্রাথমিক শিক্ষা সকল শিক্ষার মূলভিত্তি এবং শিক্ষকরা শিক্ষিত জাতি গড়ার কারিগর। তাই সরকার শিক্ষক সমাজের মর্যাদা ও আর্থিক সহায়তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে  প্রধান শিক্ষকের পদ দ্বিতীয় শ্রেণি-সহ সহকারী শিক্ষকদের বেতনস্কেল ১৩তম গ্রেডে  উন্নীত করেছে।

          প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর মিরপুরে প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (পিটিআই) এর সম্মেলন কক্ষে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃক শিক্ষকদের চিকিৎসা সহযোগিতা ও সন্তানদের  উচ্চশিক্ষা উপবৃত্তির চেক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট শিক্ষকদের চিকিৎসা সহযোগিতা ও সন্তানদের উচ্চশিক্ষা উপবৃত্তি প্রদানের  সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। ট্রাস্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও তাদের পোষ্যদের চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তা ও সন্তানদের উচ্চশিক্ষায় উপবৃত্তি, মৃতদেহ পরিবহণে যৌক্তিক খরচ এবং আকস্মিক দুর্ঘটনার/প্রাকৃতিক দুর্যোগে আর্থিক সহায়তা প্রদান-সহ  কল্যাণমূলক কাজ করে থাকে। তিনি আরো বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্নে  সরকার প্রধান কর্তৃক প্রদত্ত ২০ লাখ টাকা এবং শিক্ষকদের প্রাথমিক চাঁদা ২০ টাকা ও বাৎসরিক দুই টাকা চাঁদায় কল্যাণ ট্রাস্টের তহবিল গঠিত হয় ও কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে কয়েক দফায় চাঁদা বৃদ্ধি করে ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে ট্রাস্টের মূলধন প্রায় ৩০ কোটি টাকা আমানত হিসেবে রয়েছে যার মধ্যে ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার প্রধান হিসেবে ২৫ কোটি টাকা প্রদান করেন। উক্ত টাকার সুদ থেকে এবং শিক্ষকদের বার্ষিক চাঁদার টাকার মাধ্যমে শিক্ষকদের চিকিৎসা সহযোগিতা ও সন্তানদের উচ্চ শিক্ষার উপবৃত্তি এবং কর্মচারীদের বেতন ভাতাদি-সহ অফিস পরিচালনার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

          অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী ২০ জন শিক্ষকদের মাঝে চিকিৎসা সহযোগিতা বাবদ ট্রাস্টের আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান করেন। এবছর সারা দেশে ৭৯০ জন শিক্ষকের মধ্যে ট্রাস্টের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।

          প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহাম্মদ মনসুরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে  অন্যান্যের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ ও পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ মিজানুর রহমান এবং শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্টের সম্পাদক ও প্রধান শিক্ষক মাসুমা খানম অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

#

রবীন্দ্রনাথ/নাইচ/রফিকুল/সেলিম/২০২১/২২১০ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                               নম্বর : ৭৫২

নিয়মবহির্ভূত কাঁচাপাট মজুতের বিরুদ্ধে অভিযান

ঢাকা, ৩ ফাল্গুন (১৬ ফেব্রুয়ারি) :   

          অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রয়োজনীয় কাঁচাপাট সরবরাহ নিশ্চিতকরণ এবং পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানির ধারা বেগবান করার লক্ষ্যে নিয়মবহির্ভূত কাঁচাপাট মজুতের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান অব্যাহত রেখেছে  পাট অধিদপ্তর।

          আজ বগুড়া জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাসিম রেজার নেতৃত্বে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার  মোকামতলা বাজারে মোঃ বজলুর রশিদ (নান্নু) এর পাটের গুদামে নিয়মবহির্ভূতভাবে প্রায় তিন হাজার মণ পাট ৩  মাসের অধিক সময় মজুত করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরির জন্য পাট আইন, ২০১৭ ও কৃষি বিপণন আইন, ২০১৮  অনুযায়ী  তাকে বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং তার গুদামে মজুত পাট ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাট অধিদপ্তরের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে বিক্রি করতে নির্দেশ প্রদান করা হয়।      

          এ সময় পাট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ মোশাররফ হোসেন ও মুখ্য পরিদর্শক মোঃ সোহেল রানার উপস্থিতিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এই সময় জেলা পুলিশ ও এপিবিএন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

#

সৈকত/নাইচ/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২১১০ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                                 নম্বর : ৭৫১

ড. ওয়াজেদ মিয়া  নির্লোভ নিরহংকার ছিলেন

                                 -- আইসিটি প্রতিমন্ত্রী  

ঢাকা, ৩ ফাল্গুন (১৬ ফেব্রুয়ারি) :   

          তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন নির্লোভ, নিরহংকার ও সাদা মনের মানুষ। বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী ড. ওয়াজেদ মিয়া তাঁর সমগ্র কর্মজীবনে মেধা, মনন ও সৃজনশীলতা দিয়ে দেশ, জাতি ও জনগণের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন।

          প্রতিমন্ত্রী আজ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার ৮০তম জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর কর্মময় জীবনের ওপর অনলাইন প্লাটফর্মে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

          তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন  তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মিজ রীনা পারভীন, রংপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ আসিব আহসান, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের পরিচালক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ হোসেন, ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ফাউন্ডেশনের সভাপতি আলহাজ এ কে এম ছায়াদাত হোসেন বকুল, পীরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র  ও উপজেলা আওয়ামী লীগের  সাধারণ সম্পাদক তাজিমুল ইসলাম শামীম।

          আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়া ক্ষমতার অনেক কাছাকাছি থেকেও কখনও ক্ষমতার দাপট দেখাননি উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটাই ছিল তাঁর জীবনের অন্যতম বড় একটি দিক। ড. ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন একজন নম্র, ভদ্র, সদালাপী ও উদারনৈতিক মানুষ।

          ড. ওয়াজেদ মিয়া  তীক্ষ্ণ মেধার অধিকারী ছিলেন উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধিকার আন্দোলনে ড. ওয়াজেদ রাজপথে সাহসী ভূমিকা রেখেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রয়াত স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়াকে একজন আদর্শ পিতা ও স্বামী উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ড. ওয়াজেদ মিয়ার সুযোগ্য পুত্র সজীব ওয়াজেদ আন্তর্জাতিক আইটি প্রকৌশলী ও কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল আন্তর্জাতিক অটিজম বিশেষজ্ঞ। নাটোরে ড. ওয়াজেদ মিয়া কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে  খ্যাতিমান এ বিজ্ঞানীর আদর্শ তুলে ধরতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

          তিনি বলেন, ড. ওয়াজেদ মিয়ার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে যে স্বপ্ন ছিল তা আজ বাস্তবায়নের পথে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করায় ড. ওয়াজেদ মিয়া সবার জন্য আদর্শ হয়ে থাকবে এবং তাঁর অবদানের জন্য মানুষ তাঁকে চিরকাল স্মরণ করবে। তিনি বলেন, ওয়াজেদ মিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে   উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ তথা প্রযুক্তিনির্ভর ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণ করলেই ওয়াজেদ মিয়ার আত্মা শান্তি পাবে।

          পরে মরহুম ড. ওয়াজেদ মিয়ার আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

#

শহিদুল/রোকসানা/মাসুম/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২০২০ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ৭৫০

 তাঁতশিল্প এবং তাঁতিদের জীবনমান উন্নয়ন করাই বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য

                                                               -- বস্ত্র মন্ত্রী

ঢাকা, ৩ ফাল্গুন (১৬ ফেব্রুয়ারি) :

          বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক বলেছেন, তাঁতশিল্প এবং তাঁতিদের উন্নয়ন করাই বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য। মন্ত্রী তাঁতিদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা ও নীতিমালা প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। তাঁতিদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং মূলধন যোগানের কষ্ট দূর করার জন্য সরকার কাজ করছে।

          আজ কক্সবাজার বেসিক সেন্টার পরিদর্শনকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া আক্তার সুইটি-সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

          মন্ত্রী বলেন, তাঁতশিল্প বাংলাদেশের ঐতিহ্যের ধারক। এ শিল্পে  প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১৫ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হচ্ছে। বছরে ৪৭ কোটি ৪৭ লাখ ৪০ হাজার মিটার কাপড় উৎপাদনের মাধ্যমে তাঁতশিল্প দেশের বস্ত্র চাহিদার প্রায় ২৮ ভাগ পূরণ করে থাকে। তাঁতিদের জন্য ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির আওতায় ডিসেম্বর, ২০২০ পর্যন্ত ৪৬ হাজার ৬৪৫ জন প্রান্তিক তাঁতিকে ৯ হাজার ৬৮৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।

          মন্ত্রী আরো বলেন, পদ্মা সেতু সংলগ্ন মাদারীপুরের শিবচর ও শরীয়তপুরের জাজিরায় নির্মিত হচ্ছে শেখ হাসিনা তাঁত পল্লী। সরকারের পক্ষ থেকে তাঁতিদের সুতা রংসহ বিভিন্ন কাঁচামালের সুবিধা দেয়া হবে। নির্মিত হবে আন্তর্জাতিক মানের প্রর্দশনী ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।

          মন্ত্রী বলেন, তাঁত শিল্প বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ কুটির শিল্প। জাতীয় অর্থনীতিতে তাঁত শিল্পের ভূমিকা অপরিসীম। সর্বশেষ তাঁত শুমারি অনুযায়ী, দেশের অভ্যন্তরীণ বস্ত্র চাহিদার ৪০ শতাংশ তাঁত শিল্প যোগান দিয়ে থাকে। এ শিল্পের বার্ষিক উদপাদনের পরিমাণ ৬৮ দশমিক ৭০ শতাংশ। আর জাতীয় অর্থনীতিতে মূল্য সংযোজনের দিক থেকে তাঁত শিল্প খাতের অবদান ১ হাজার ২২৭ কোটি টাকা। আরো জানা গেছে, দেশে বিদ্যমান ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫১২টি তাঁত ইউনিটে মোট হস্তচালিত তাঁতের সংখ্যা ৫ লাখ ৫ হাজার ৫৫৬টি। এর মধ্যে চালু তাঁতের সংখ্যা ৩ লাখ ১১ হাজার ৮৫১টি।

#

সৈকত/রোকসানা/নাইচ/রেজুয়ান/মোশারফ/জয়নুল/২০২১/২১১০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                      নম্বর : ৭৪৯

আল জাজিরার রিপোর্ট তাদেরকেই ক্ষতিগ্রস্ত করেছে

                                           -- তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ৩ ফাল্গুন (১৬ ফেব্রুয়ারি) : 

          ‘আল জাজিরার সাম্প্রতিক রিপোর্ট তাদেরকেই ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, বাংলাদেশে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রচণ্ডভাবে লোপ পেয়ে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে, বিশ্বব্যাপী তাদের বস্তুনিষ্ঠতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে’ বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ। 

          আজ সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আল জাজিরার জন্য আমার কষ্ট হচ্ছে যে, ‘অল দা প্রাইম মিনিস্টার্স মেন’ রিপোর্টটি দেয়ার পর তারা বাংলাদেশে প্রচণ্ডভাবে প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে, তাদের গ্রহণযোগ্যতা, বিশ্বাসযোগ্যতা প্রচণ্ডভাবে লোপ পেয়ে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।’ 

          আল জাজিরায় যে রিপোর্টটি করা হয়েছে, সেটির শিরোনামের সাথে রিপোর্টের কোনো সম্পর্ক নেই উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রিপোর্টের শিরোনাম দিয়েছে ‘অল দা প্রাইম মিনিস্টার্স মেন’ আর ভেতরের প্রতিবেদনটি হচ্ছে সেনাপ্রধান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে এবং প্রতিবেদনটা দেখেশুনে মনে হয়েছে এটি ব্যক্তিগত আক্রোশবশত, ‘এনিমোসিটি’বশত। আল জাজিরার মতো একটা টেলিভিশনে এই ব্যক্তিগত আক্রোশবশত রিপোর্টের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে আল জাজিরার গ্রহণযোগ্যতা বহুগুণে কমেছে এবং বিশ্বব্যাপী আল জাজিরার নিরপেক্ষতা, বস্তুনিষ্ঠতা এবং তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত রিপোর্টিং নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।’ 

 

          অবশ্য আল জাজিরা নিয়ে এই প্রশ্ন আজকে যে প্রথমবার উঠেছে তা নয়, এ প্রশ্ন বহুবার বহুদেশে উঠেছে, আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ আছে, এমনকি ভারতেও বন্ধ করা হয়েছিল, এখনও অনেক দেশে বন্ধ রাখা হয়েছে, জানান ড. হাছান মাহ্‌মুদ। 

 

          দেশে আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধের ব্যবস্থা কেন নেয়া হয়নি -এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেখুন আমরা তো ব্যবস্থা নিতে পারতাম। অন্যদেশে যেভাবে বন্ধ করা হয় আমাদের দেশে চাইলেই সেভাবে বন্ধ করতে পারতাম, কিন্তু আমরা তা করিনি। কারণ আমরা গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। কিন্তু অবাধ স্বাধীনতার পাশাপাশি সমস্ত গণমাধ্যমেরও নিজস্ব দায়িত্ব থাকে। আল জাজিরা এক্ষেত্রে তাদের দায়িত্বশীলতা পালনে ব্যর্থ হয়েছে। তারা একটি পক্ষ হয়ে কাজ করেছে এবং আমরা যতটুকু শুনেছি সম্ভবত এটির সাথে আরো বহুপক্ষ যুক্ত আছে। সেনাপ্রধানকে টার্গেট করে সরকারের সমালোচনা করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে অথচ রিপোর্টের সাথে সরকারের বা প্রধানমন্ত্রীর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।’ 

 

          আর সরকারের পক্ষ থেকে এখনো আইনি ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি, কিন্তু কোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি যদি আদালতে যায় সেক্ষেত্রে আদালত থেকে যদি কোনো ন

2021-02-17-09-56-815b9a0129826822c5c7938ff1d5dec0.docx