Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৮ মে ২০১৮

তথ্যবিবরণী 28/05/2018

তথ্যবিবরণী                                                                                                                      নম্বর : ১৫৯৮

স্কিলস্-২১ প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী 
সমন্বিত কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়ন লক্ষ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে

ঢাকা, ১৪ জ্যৈষ্ঠ (২৮ মে ): 
শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে একটি কার্যকর কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ (টিভিইটি) ব্যবস্থা বাংলাদেশের বিভিন্ন আর্থসামাজিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। একটি সমন্বিত ও সুষম কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তরে সহায়তা করবে।  
শিক্ষামন্ত্রী আজ ঢাকায় হোটেল রেডিসনে ”স্কিলস্-২১: এম্úাওয়ারিং সিটিজেনস্ ফর ইনক্লুসিভ এন্ড সাসটেইনেবল গ্রোথ’  প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা  (আইএলও) যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর অর্থায়নে শিক্ষা কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের অধীনে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। 
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জনশক্তিকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করা এবং উন্নয়ন লক্ষ্য পূরণে স্কিলস্-২১ প্রকল্প মূল্যবান অবদান রাখবে। কারিগরি শিক্ষার আধুনিকায়ন, শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ জনবল তৈরি, কাজের সুযোগ তৈরি এবং উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য। তিনি বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক (বিকিউএফ) চালু করা হবে, যা দক্ষতা উন্নয়ন ও কারিগরি শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে।
তিনি বলেন, কারিগরি শিক্ষার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ২০০৯ সালে মাত্র একভাগ শিক্ষার্থী কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করতো। বর্তমানে পরিস্থিতির অনেক পরিবর্তন হয়েছে। দেশে প্রায় ৭ হাজার ৭০০ সরকারি-বেসরকারি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মোট শিক্ষার্থীর শতকরা ১৪ ভাগের বেশি শিক্ষার্থী বর্তমানে কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করছে। ২০২০ সালে তা  ২০ শতাংশে এবং ২০৩০ সালে ৩০ শতাংশে উন্নীত করা হবে। সরকার টেকসই উন্নয়নের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ও দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। নতুন করে নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষকদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সিঙ্গাপুর ও চীনে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। কারিগরি প্রতিষ্ঠানের জন্য ভালো মানের শিক্ষক তৈরির লক্ষ্যে দেশে একটি ইনস্টিটিউট স্থাপনের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। তিনি আরো বলেন, শুধু ডিগ্রি অর্জন করলেই হবে না।  দক্ষতা অর্জনের জন্য পড়াশুনা করতে হবে। তিনি কারিগরি শিক্ষা গ্রহণে নিজ নিজ সন্তানকে উৎসাহিত করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অশোক কুমার বিশ্বাস, ইইউ ডেলিগেশনের হেড অভ্ কো-অপারেশন ডোয়ার্তে বোসে (উড়বৎঃব ইড়ংংব), প্রকল্পের প্রধান কারিগরি উপদেষ্টা ¯েœহাল ভি. সোনেজি (ঝহবযধষ ঠ. ঝড়হবলর), প্রকল্পের টিভিইটি ও দক্ষতা উন্নয়ন  বিশেষজ্ঞ খরমধুধ উঁসধড়ধহম এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুরুল কাদের বক্তব্য রাখেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ইফতার মাহফিল
বিকালে শিক্ষামন্ত্রী রাজধানীর আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ মিলনায়তনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। মন্ত্রী এসময় শিক্ষাক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তনের উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরো আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর মোঃ মাহাবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইন এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ আলমগীর।
#

আফরাজুর/মাহমুদ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৮/১৯৪৯ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                       নম্বর : ১৫৯৭
 
অর্থনীতি প্রবৃদ্ধি অর্জনে ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগ একটি নিয়ামক শক্তি
                                                 --- প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গাঁ 
গাজীপুর, ১৪ জ্যৈষ্ঠ (২৮ মে) 
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ বলেছেন, উচ্চ অর্থনীতি প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগ একটি নিয়ামক শক্তি। এ উপলদ্ধি থেকে বর্তমান সরকার ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধি অর্জনে কাজ করছে। 
প্রতিমন্ত্রী আজ গাজীপুর জেলার শ্রীপুরের মাওনা এলাকায় প্যারাডাইস স্পিনিং মিল পরিদর্শনশেষে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। এসময় মিলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ব্যক্তি বিনিয়োগ বিকাশে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাসমূহ চিহ্নিতপূর্বক দেশে বিনিয়োগ পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সর্বাত্মক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। এজন্য কর্মসৃজনের মাধ্যমে ভোগ চাহিদার ধারাকে সমুন্নত রাখতে কাজ করছে। তিনি বলেন, বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য একটি শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো প্রয়োজন। এজন্য সরকার বিনিয়োগ বোর্ড ও প্রাইভেটাইজেশন কমিশন একীভূত করে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন করেছে। এ প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগবান্ধব পদক্ষেপের মাধ্যমে সরাসরি বিনিয়োগ পরিবেশ সৃষ্টির কাজ করছে। এজন্য ওয়ানস্টপ সার্ভিস আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। মিল কর্তৃপক্ষকে নিছক ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনা না করে দেশপ্রেমের ব্রত নিয়ে দারিদ্র্যমোচন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে সরকারের সহায়ক ভুমিকা রাখার পরামর্শ দেন প্রতিমন্ত্রী ।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী প্যারাডাইস স্পিনিং মিলের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখেন। 
#
আহসান/অনসূয়া/রেজ্জাকুল/শামীম/২০১৮/১৫১০ ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                     নম্বর : ১৫৯৬
‘সংবেদনশীল সাংবাদিকতা’ কর্মশালায় তথ্যমন্ত্রী
বস্তুনিষ্ঠ হোন, উস্কানি নয়, শান্তিই হোক লক্ষ্য
ঢাকা, ১৪ জ্যৈষ্ঠ (২৮ মে) 
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, কোনো সংঘাতের ঘটনা বা সংবেদনশীল সংবাদ পরিবেশনে বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখা ও উস্কানি পরিহার করে শান্তির লক্ষ্যে কাজ করাই গণমাধ্যমের দায়িত্ব। 
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ‘ইন্টারনিউজ’র সহায়তায় বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও এন্ড কমিউনিকেশন (বিএনএনআরসি)’র আয়োজনে রাজধানীর ফার্মগেটে ডেইলি স্টার মিলনায়তনে রোববার দিনব্যাপী ‘কনফ্লিক্ট সেনসিটিভ জার্নালিজম’ শীর্ষক কর্মশালার সমাপনীতে তথ্যমন্ত্রী একথা বলেন। 
‘তথ্যের ঘাটতি গুজবের পৃথিবী তৈরি করে’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিরোধপূর্ণ ঘটনা বিষয়ে সাংবাদিকতা অবশ্যই তথ্যনির্ভর ও বস্তুনিষ্ঠ হতে হবে, যাতে গুজব বিলীন হয়ে যায়। 
মায়ানমার থেকে আগত ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার ঘটনাসহ প্রতিবেশি দেশগুলোর মধ্যে বিভিন্ন ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকতাও যাতে কখনো বিভ্রান্তিকর বা উস্কানিমূলক না হয়, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান হাসানুল হক ইনু। 
বিএনএনআরসি’র প্রধান নির্বাহী এ এইচ এম বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালার সমাপনীতে বক্তব্য রাখেন ইন্টারনিউজ প্রতিনিধি নিকোলাস নিউজেন্ট এবং ইন্টারনিউজ বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর সায়েদ জায়েন আল মাহমুদ।
সংঘাত সংবেদনশীল সাংবাদিকতা এবং প্রতিবেদন তৈরিতে সাংবাদিকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ইন্টারনিউজ এবং বিএনএনআরসি’র ধারাবাহিক উদ্যোগের এটি ছিল তৃতীয় কর্মশালা। এর আগের দুটি কর্মশালা চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হয়।
#
আকরাম/অনসূয়া/রেজ্জাকুল/শামীম/২০১৮/১৪৫৮ ঘণ্টা 
 
তথ্যবিবরণী                                                                                      নম্বর : ১৫৯৫
 
সাবেক হুইপ ও সংসদ সদস্য সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম এর জানাজা অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ১৪ জ্যৈষ্ঠ (২৮ মে) 
জাতীয় সংসদের ২৮৩ চট্টগ্রাম ৫ আসন থেকে নির্বাচিত সাবেক হুইপ ও সংসদ সদস্য সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের নামাজে জানাজা আজ সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হয়। সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম
২৭ মে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন (ইন্নালিল্লাহে.......রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। মৃত্যুকালে তিনি দুই কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
সংসদের বিরোধী দলীয় নেতার পক্ষে বিরোধী দলীয় হুইপ মো. নূরুল ইসলাম ওমর, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর চেয়ারপার্সনের পক্ষে ইকবাল মাহমুদ টুকু’র নেতৃত্বে দলের নেতৃবৃন্দ  মরহুমের মরদেহে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
পরে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
#
তারিক/অনসূয়া/জসীম/শামীম/২০১৮/১৫০৩ ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর ঃ ১৫৯৪
 
আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী 
 
ঢাকা, ১৪ জ্যৈষ্ঠ (২৮ মে) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ২৯ মে ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০১৮’ উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০১৮ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের সকল শান্তিরক্ষীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন । 
বাংলাদেশ বিশ্বশান্তি ও সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী। ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গৃহীত এ মূলমন্ত্র ধারণ করে আমাদের পররাষ্ট্র নীতি পরিচালিত হচ্ছে। বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে  আজ শান্তি ও সম্প্রীতির এক উজ্জ¦ল দৃষ্টান্ত হিসেবে পরিচিত। ১৯৮৮ সাল থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিয়ে অদ্যাবধি বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সদস্যরা সর্বোচ্চ পেশাদারি মনোভাব, আনুগত্য ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে চলেছেন। তাদের অনন্য অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক পরিম-লে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ¦ল হয়েছে এবং আমাদের শান্তিরক্ষীরা একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে।  
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে অন্যতম শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আজ বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত। পেশাদারিত্বের পাশাপাশি অর্পিত দায়িত্ব পালনে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের এই সাফল্য অর্জনে ভূমিকা রেখেছে। আমি আশা করি আমাদের শান্তিরক্ষী সদস্যরা বিশ্বশান্তি, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আগামী দিনগুলোতেও এই ধারা অব্যাহত রাখবে।
এ বছর জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের অংশ গ্রহণের ৩০ বছর পূর্তি হচ্ছে। বিশ্ব শান্তি রক্ষার মহান দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যে সকল শান্তিরক্ষী সদস্য তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছেন আমি তাঁদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। আমি তাঁদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
আমি ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০১৮’ উদযাপনের সার্বিক সাফল্য কামনা করছি। 
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
 
আজাদ/অনসূয়া/জসীম/রেজ্জাকুল/শামীম/২০১৮/১১৩০ ঘণ্টা 
 
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ১৫৯১ 
আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
 
ঢাকা, ১৪ জ্যৈষ্ঠ (২৮ মে ) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৯ মে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০১৮ উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০১৮ উপলক্ষে আমি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত সকল বাংলাদেশি সদস্যকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। মিশনে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যাঁরা শহিদ হয়েছেন আমি তাঁদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করছি। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সৈন্য প্রেরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শীর্ষস্থানীয় দেশ। মিশনে দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশের সদস্যগণ বিপদসঙ্কুল এবং সংঘাতপূর্ণ এলাকায় নিয়োজিত থাকেন। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের দৃষ্টান্তমূলক সেবা, কঠোর পরিশ্রম, আত্মত্যাগ, নিঃস্বার্থ মনোভাব এবং সাহসিকতা আজ প্রশংসিত হচ্ছে সারাবিশ্বে।
বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের প্রতি আমাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছি। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষা বাহিনীর সদস্যগণ তাঁদের দক্ষতা, পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতা দিয়ে বিশ্বের শান্তিরক্ষায় আরো কার্যকর ভূমিকা রাখবেন এ আমার প্রত্যাশা।
আমি ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০১৮’-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি। 
                                                                            জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
         বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/অনসূয়া/জসীম/শামীম/২০১৮/১০৪৪ ঘণ্টা 
 
Todays handout (3).docx