Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৪ নভেম্বর ২০২৩

তথ্যবিবরণী ০৪ নভেম্বর ২০২৩

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ১৫৬৮

সমবায় শক্তিকে কাজে লাগাতে পারলে দেশের আমূল পরিবর্তন সম্ভব

                                                         -- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

 

ঢাকা, ১৯ কার্তিক (৪ নভেম্বর) :

গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নে সমবায়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমবায়ের মাধ্যমে গ্রামের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তনে গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন কারণ তিনি জানতেন একজন মানুষের পক্ষে যা করার সম্ভব নয় তা সমবায়ের মাধ্যমে দশজন মানুষ একত্রিত হয়ে অনায়াসে সম্ভব করতে পারে। ব্যক্তি মানুষের ছোট ছোট পুঁজিগুলো একত্রিত করে সমাজের অনেক কিছুরই পরিবর্তন করা সম্ভব উল্লেখ করেন তিনি।

 

মন্ত্রী আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সমবায় অধিদপ্তরে ৫২তম জাতীয় সমবায় দিবস ২০২৩ এবং  জাতীয় সমবায় পুরস্কার ২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

 

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, কুমিল্লার বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) এর মাধ্যমে পল্লী উন্নয়নে সমবায়ের বাস্তব প্রয়োগ আমাদের দেশে সফল হয়েছে। বার্ডের অনুসরণে দক্ষিণ কোরিয়াতেও সমবায়ের মাধ্যমে গ্রামীণ মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সফলতা পাওয়া গেছে জানিয়ে মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, সমবায়কে শক্তিশালী করণের মাধ্যমে আমরাও সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারি তাহলেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

 

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর দর্শন ছিল কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সমবায়ের মাধ্যমে উৎপাদন, বণ্টন ও বিপণন করে সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করা। দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু সমবায়ের ওপর যেভাবে গুরুত্বারোপ করেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাও একইভাবে গুরুত্বারোপ করেছেন।

 

মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকারের প্রথম মেয়াদে বাংলাদেশের দারিদ্র্যের হার ছিল ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ। একটানা ৩ মেয়াদে সরকার পরিচালনার ফলে গত সাড়ে ১৪ বছরে এ হার ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। দেশের অসহায়-দরিদ্র প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে ‘আশ্রয়ণ’ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ভূমিহীন-গৃহহীন ছিন্নমূল মানুষকে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের আওতায় এনেছেন। বর্তমানে সমবায় অধিদপ্তরের মাধ্যমে ৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

 

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন অভিযাত্রায় শহর ও গ্রামের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সমান অংশগ্রহণ থাকবে। কাউকে পিছনে ফেলে রাখা চলবে না। সমবায় অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে বর্তমানে প্রায় ১ লাখ ৮৯ হাজার সমবায় সমিতি রয়েছে। সমবায়ীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য হ্রাসে এ সমবায় সমিতিগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ব্যক্তি সদস্য সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ২২ লাখ।

 

মন্ত্রী এসময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায়  সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এই বিজয় বাংলাদেশের জন্য একটি বড় অর্জন। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবার বাংলাদেশের জন্য সবসময় সম্মান এবং মর্যাদা বয়ে এনেছে।

 

সভাপতির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, জাতির পিতা   চেয়েছিলেন গ্রামভিত্তিক সমবায়ের মাধ্যমে সম্মিলিত উদ্যোগকে জনগণের উন্নয়নে কাজে লাগাতে। এ লক্ষ্যে সমবায় অধিদপ্তর দেশের প্রতিটি উপজেলায় ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মহিলা সমবায় সমিতি’ গঠন করেছে। ইতোমধ্যে দেশের ২০০টি উপজেলায় কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়া ‘দুগ্ধ ঘাটতি উপজেলায় দুগ্ধ সমবায়ের কার্যক্রম সম্প্রসারণ' প্রকল্প চলমান রয়েছে, যা গ্রামীণ কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং পুষ্টি চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম নাহিদ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম, সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক মুনিমা হাফিজ।

 

#

হেমায়েত/পাশা/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৩/২১৪০ ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ১৫৬৭

শেখ কামাল ৫০ বছরের ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ যুবক

                              -- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

বোচাগঞ্জ (দিনাজপুর), ১৯ কার্তিক (৪ নভেম্বর) :

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী  খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল আমাদের ৫০ বছরের ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ যুবক। তিনি একাধারে শ্রেষ্ঠ অ্যাথলেট, বাস্কেটবল ও ক্রিকেট খেলোয়াড়, তিনি একজন সংগীত শিল্পী, তিনি একজন ক্রীড়া সংগঠক, সাংস্কৃতিক সংগঠক, রাজপথের স্পন্দিত তারুণ্য। তিনি স্বাধিকার আন্দোলন অন্যতম সংগঠক। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রথম কমিশন প্রাপ্ত কর্মকর্তা। তিনি বঙ্গবীর এমএজি ওসমানী এডিসি হিসেবে যুদ্ধকালীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তার নামে এই জিমনেসিয়ামের নামকরণ করা হয়েছে। ক্রীড়া, সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধ, রাজনীতি এবং দেশ সৃষ্টির সাথে তার বর্ণাঢ্য নাম জড়িত আছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট খুনিরা যখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে আসে তখন তিনি এর  প্রথম প্রতিরোধ করেছিলেন। শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের নামে প্রতিষ্ঠিত জিমনেসিয়ামটি আগামী প্রজন্মের জন্য তৈরি করা হয়েছে। লেখাপড়ার পাশাপাশি ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থেকে নিজেদের  বিকশিত করার জন্য এ জিমনেসিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

প্রতিমন্ত্রী আজ বোচাগঞ্জস্থ শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে (সেতাবগঞ্জ বড় মাঠ) শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল জিমনেসিয়ামের উদ্বোধন এবং সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ শাহনেওয়াজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডালিম সরকার, সেতাবগঞ্জ পৌর মেয়র মোঃ আসলাম, বোচাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলী প্রমুখ।

প্রতিমন্ত্রী আজ দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে  নবনির্মিত বোচাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনসহ ১৩টি নতুন ভবন ও তিনটি সড়ক উন্নয়ন কাজের  ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায়  বলেন, বোচাগঞ্জের ইতিহাসে আজ একটি স্মরণীয় দিন। আজকে এখানে বহুমাত্রিক উন্নয়ন কর্মসূচির উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হচ্ছে। এরকম একটি সুন্দর দিন বোচাগঞ্জবাসীর জন্য এর আগে আসেনি। ১০০ কোটি টাকার উপরে উন্নয়ন কাজ হচ্ছে। আজকে একজন শেখ হাসিনা আছেন বলেই বাংলাদেশ আজকে অনন্য উচ্চতায় চলে গেছে। মানুষ নির্ভয়ে রাতে ঘুমাতে পারে, শতভাগ শিশু স্কুলে যায়, উপবৃত্তি পায়, মাতৃত্বকালীন ভাতা পায়, মুক্তিযোদ্ধারা সম্মানের সাথে, মর্যাদার সাথে বসবাস করে। বাংলাদেশ আজকে মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট স্থাপন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আছেন বলেই তাবত দুনিয়া বাংলাদেশকে সমীহ করে, সম্মান করে, শ্রদ্ধা করে। আমরা ধন্য শেখ হাসিনার জন্য। শেখ হাসিনার ধমনীতে বঙ্গবন্ধুর রক্ত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরকে জাতিসত্তার পরিচয় দিয়ে গেছেন। তাবত দুনিয়ার কাছে পরিচয় করে দিয়েছেন, আমরা বাঙালি। একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের নাগরিক। পেলেস্টাইনের জনগণ একটি স্বাধীন দেশের জন্য একটি আবাসভূমির জন্য মরণপণ লড়াই করছেন। সেই স্বাধীনতা আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরকে দিয়েছেন। এটা আমাদের অনেক বড় প্রাপ্তি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার দেশরত্ন শেখ হাসিনা আজকে বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। আমাদের মন ভরে যায় যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা দেয়ার জন্য অপেক্ষা করেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রীর সাথে ছবি তোলেন, সেলফি তোলেন, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানাতে নুয়ে পড়েন, সম্মান দেখান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজকে বাংলাদেশকে কোথায় নিয়ে গেছেন! যে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ, শায়খ আব্দুর রহমান, বাংলা ভাই, গ্রেনেড হামলা, হত্যাকাণ্ড ছিল। নিরাপত্তা ছিল না। সে বাংলাদেশকে অবাধ নিরাপদ আবাস ভূমিতে পরিণত করেছেন শেখ হাসিনা। বোচাগঞ্জে আজকে ১০০ কোটি টাকার উপরে উন্নয়ন কাজের বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর সুফল পাবে এলাকার জনগণ। দল, মত, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলে এগুলোর সুবিধা পাবে। শেখ হাসিনা সকলের জন্য কাজ করেন। বাংলাদেশ সে জায়গায় চলে গেছে। এ বাংলাদেশকে ধরে রাখতে পারি। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। সেই নির্বাচনে শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ ও নৌকামার্কাকে জয়যুক্ত করে বাংলাদেশকে আরো উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশি পরিণত করতে হবে। শেখ হাসিনার হাতে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ। অতীতে অনেক দল, সরকার, প্রধানমন্ত্রী দেখেছি, কেউ আমাদেরকে নিরাপত্তা দিতে পারেন নাই, কেউ আবাসভূমি, বাসস্থান, খাবার, শিক্ষা, চিকিৎসা দিতে পারেন নাই। শেখ হাসিনা দিয়েছেন। মানুষের মৌলিক অধিকার দিয়েছেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনাকে আবারও জয়যুক্ত করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বোচাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে নবনির্মিত বোচাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন, নবনির্মিত উপজেলা কৃষি ভবন, উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে অবস্থিত নবনির্মিত ভাস্কর্য ‘অবিনাশী বাংলা’, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নবনির্মিত অফিস ভবন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের নবনির্মিত স্টোর রুম, নবনির্মিত গোপেন সাহার হাট মার্কেট ভবন, হাজী দানেশ কলেজের নবনির্মিত একাডেমিক ভবন, মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবনির্মিত একাডেমিক ভবন, বাজনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবনির্মিত একাডেমিক ভবন, দৌলা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবনির্মিত একাডেমিক ভবন, মোল্লাপাড়া দাখিল মাদ্রাসার নবনির্মিত একাডেমিক ভবন, কড়ই উচ্চ বিদ্যালয়ের নবনির্মিত একাডেমিক ভবন, তেতেরা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবনির্মিত একাডেমিক ভবন  ও মহেশাইল দাখিল মাদ্রাসার নবনির্মিত একাডেমিক ভবনের  উদ্বোধন এবং জালগাঁও ব্রিক্স ফিল্ড ব্রাক অফিসের নিকট হইতে দৌলা পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর, পশ্চিম বর্ষা হইতে কৃষ্টপুর এফআরএ ভায়া শাপলা জিপিএস পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর ও ইশানিয়া ইউপি অফিস হইতে মুরারীপুর কমিউনিটি ক্লিনিক হয়ে সেতাবগঞ্জ অটো রাইস মিলস পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

প্রতিমন্ত্রী এর আগে সেতাবগঞ্জস্থ বোচাগঞ্জ মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

প্রতিমন্ত্রী বোচাগঞ্জে ‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন’ সমবায়ের উন্নয়ন এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ৫১তম জাতীয় সমবায় দিবস  উপলক্ষ্যে  আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন।

#

জাহাঙ্গীর/পাশা/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৩/২১২০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ১৫৬৬

 

 

বিএনপি কৃষকদের গুলি করে হত্যা করেছিল

                         -- পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

 

বরিশাল, ১৯ কার্তিক (৪ নভেম্বর) :

 

পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, খালেদা জিয়া সারের জন্য কৃষকদের গুলি করে হত্যা করেছিলেন। উল্টোদিকে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কৃষকের ঘরে ঘরে পানির দরে সার পৌঁছে দিচ্ছে। সার চাইলে কৃষককে এখন আর মরতে হয় না, সময়মতো সার তাদের দোরগোড়ায় চলে যায়।

 

আজ বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদের কনফারেন্স কক্ষে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (সদর উপজেলার) আয়োজিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রবি মৌসুমে গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, চিনাবাদাম, সয়াবিন, মুগ, মসুর ও খেসারী ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি পুর্নবাসন কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ বিতরণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সরকারের আমলে ১৯৯৫ সালে সার, তেল, কীটনাশক ও কৃষিপণ্যের দাবিতে আন্দোলন করা ১৮ জন কৃষককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার ১৫ মার্চকে ‘কৃষক হত্যা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকদের জন্য সবসময় ভাবেন বাংলাদেশ একটি কৃষি নির্ভরশীল দেশ তাই কৃষকদের সহায়তা প্রদানে সরকার প্রায় ২৬ হাজার কোটি টাকার মতো ভর্তুকি দিয়ে আসছে যাতে কৃষকরা তাদের উৎপাদন করতে পারে। একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকারই সাধারণ মানুষের কথা জনগণের পাশে থেকে করে দেখাতে পেরেছে অন্যান্য সরকার নিজেদের ভাগ্য উন্নয়ন করলেও জনগণের কথা চিন্তা করেনি। তাই সকলের প্রতি আহ্বান থাকবে আপনাদের চোখে দৃশ্যমান উন্নয়ন এবং আপনাদের বিচার বুদ্ধি দিয়ে বিশ্লেষণ করে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পুনরায় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে।

 

অনুষ্ঠানে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডঃ মাহবুবুর রহমান মধু। বরিশাল সদর উপজেলা কৃষি অফিসার উত্তম ভৌমিকের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন বরিশাল মহানগর আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব মাহমুদুল হক খান মামুন, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন বিসিসি’র ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনামুল হক বাহারসহ আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

গিয়াস/পাশা/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৩/১৯৫০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ১৫৬৫

 

 

হরতাল-অবরোধের নামে বিএনপি-জামায়াত জোট সহ নামসর্বস্ব

কয়েকটি দল দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে

                                         -- আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্

 

বরিশাল, ১৯ কার্তিক (৪ নভেম্বর) :

 

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেছেন, হরতাল-অবরোধের নামে বিএনপি-জামাত জোট সহ নামসর্বস্ব কয়েকটি দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তিনি এসব ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

 

আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ আজ জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার সেরালে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন, স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি দেশের উন্নয়ন, শান্তি-শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা ও প্রগতির ধারাকে বাধাগ্রস্ত করতে ষড়যন্ত্র করছে। এদেরকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে।

 

আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ সংগঠনের কার্যক্রম আরো গণমুখী ও বরিশালবাসীর সার্বিক জীবনমান উন্নয়নে দলীয় নেতাকর্মীদেরকে ত্যাগের মনোভাব নিয়ে স্ব স্ব দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।

 

#

 

আহসান/পাশা/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৩/২০৪০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ১৫৬৪

 

 

প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশন আইন একটি মাইলফলক

                              -- সমাজকল্যাণ মন্ত্রী

 

ঢাকা,  ১৯ কার্তিক (৪ নভেম্বর) :

 

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন আইন ২০২৩ একটি মাইলফলক। এই আইনের ফলে প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে সরকারের কার্যক্রম আরো বেগবান হবে।

 

মন্ত্রী আজ রাজধানীর জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন আইন ২০২৩ ঐতিহাসিক অর্জন ও উদযাপন শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন।

 

মন্ত্রী বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে এ ফাউন্ডেশন কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার স্থায়ী ভবন নির্মাণ, থেরাপী সেন্টার প্রতিষ্ঠাসহ বহুবিধ কর্মকাকাণ্ডের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিকে প্রতিবন্ধীবান্ধব করেছে। মহান জাতীয় সংসদে এ আইন পাসের ফলে এর কর্মচারীরা নতুন উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে কাজ করবে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।

 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন আইন পাসের মাধ্যমে এ প্রতিষ্ঠানটি একটি আইনি কাঠামোর মধ্যে আসলো। পাশাপাশি এ প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বও বাড়লো। প্রতিবন্ধীদের জন্য সরকারের গৃহীত কর্মসূচি আন্তরিকতার সাথে বাস্তবায়ন করতে হবে।

 

অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র কর্মকর্তা কর্মচারী সোসাইটির সভাপতি ড. মোঃ রেজাউল কবিরের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন সমাজকল্যাণ সচিব মোঃ খায়রুল আলম সেখ।

 

#

 

জাকির/পাশা/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৩/২০৫০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ১৫৬৩

 

 

আগুন সন্ত্রাস চালিয়ে যারা গর্তে ঢুকেছে, তাদের বের করে এনে শায়েস্তা করা হবে

                                                                      - তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

 

চট্টগ্রাম, ১৯ কার্তিক (৪ নভেম্বর) :

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, ‘যারা আগুন সন্ত্রাস চালাচ্ছে, পুলিশ হত্যা করেছে, ইসরাইলি বাহিনীর অনুকরণে হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে, সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে, আমাদের মা-বোনদের কাপড় ধরে টানাটানি করেছে, আগুন সন্ত্রাস চালিয়ে এখন যারা গর্তে ঢুকেছে, তাদের গর্ত থেকে বের করে এনে শায়েস্তা করা হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি বলেছিল ২৮ তারিখ ফাইনাল খেলা হবে, কিন্তু তারা খেলার আগেই মাঠ ছেড়ে চলে গেছে। পুলিশ একটা গুলিও ছোঁড়ে নাই, পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেডের আওয়াজেই মির্জা ফখরুল সাহেবসহ সবাই মঞ্চ ছেড়ে চলে গেল, আর নেতাকর্মীরাও পেছনে পেছনে চলে গেল। অর্থাৎ খেলা শুরু হওয়ার আগেই মাঠ ছেড়ে চলে গেল বিএনপি।’

আজ বন্দরনগরী চট্টগ্রামের একটি কনভেনশন সেন্টারে আওয়ামী লীগের প্রয়াত প্রেসিডিয়াম সদস্য আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু’র ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ যৌথভাবে এই স্মরণ সভার আয়োজন করে। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রয়াত আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু’র সন্তান ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদিকা ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি এবং ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।

ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘বিএনপির-জামায়াত জোট নেতারা এখন জনশত্রুতে রূপান্তরিত হয়েছে, তারা গাড়িতে আগুন দেয়, জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করছে। ডাকাত ডাকাতি করে, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে না। চোর চুরি করে, সে মানুষের বাড়িতে আগুন দেয় না। আর এরা মানুষের সহায় সম্পত্তিতে আগুন দিচ্ছে। এরা জঘন্য ডাকাত এবং জঘন্য সন্ত্রাসীর চেয়েও এরা বেশি জঘন্য।’

সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘গাড়িচালক ভাইদের অনুরোধ জানাবো, গাড়িতে আত্মরক্ষার্থে কোনো দুষ্কৃতকারী আক্রমণ করলে সেই দুষ্কৃতকারীকে শায়েস্তা করবেন। আক্রান্ত হলে আক্রমণকারীকে প্রতিহত করতে আইনেও বাধা নেই। এই দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি ভেবেছিল কেউ কোলে করে শিশুদের মতো ফিডার খাওয়াতে খাওয়াতে ক্ষমতার দোলনায় বসিয়ে দিবে। সাউন্ড গ্রেনেডের আওয়াজে যারা পালিয়ে যায় তাদের সাথে কেউ থাকে না। সুতরাং তারা কাউকে পাবে না।’

আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা-স্থিতি নিশ্চিত করা সরকারি দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব। সেজন্য জনগণের পাশে থাকতে হবে। পাড়া-মহল্লায় দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। বাসে আগুন দিতে যদি কেউ উদ্যত হয়, তাদেরকে ধরে উপযুক্ত শিক্ষা দিতে হবে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে।’

 

 

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘নির্বাচন পর্যন্ত এই গণশত্রু ও দুষ্কৃতকারীরা দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করার অপচেষ্টা চালাবে। কারণে তারা নির্বাচনকে ভণ্ডুল করতে চায়। আমরা চাই, তারা এই পথ পরিহার করে নির্বাচনে এসে তাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুক। কিন্তু বিএনপির তারা জনগণকে ভয় পায়। তাই ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালের মতো জনগণের ওপর এখন পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ শুরু করেছে, মসজিদেও আগুন দিয়েছে। প্রধান বিচারপতির বাড়ি ও বিচারপতিদের কমপ্লেক্সে হামলা চালিয়েছে।’

প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু সমস্ত রক্তচক্ষুর মধ্যেও কখনো ক্ষমতার সাথে আপস করেন নাই উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, তাঁর জীবনাদর্শ থেকে শিক্ষা নিতে হবে কারণ, রাজনীতি হচ্ছে একটি ব্রত, রাজনীতি ক্ষমতায় যাওয়া, বিত্ত বৈভব ও খ্যাতি অর্জনের সোপান হওয়া উচিত নয়।

চট্টগ্রাম ৭ আসনের এমপি হাছান বলেন, আমি আখতারুজ্জামান বাবু ভাইকে কাছ থেকে দেখেছি, কেউ তার কাছে গেছে কাউকে না বলতে শুনিনি। তিনি একাধারে রাজনীতিবিদ ছিলেন, সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী ছিলেন এবং একজন বড় দানশীল ব্যক্তিত্ব ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অটল থেকে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন, কারাগারে গেছেন, ঝুঁকি নিয়ে দলের কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রয়াত আখতারুজ্জমান চৌধুরী বাবু সম্পর্কে তার সন্তান ভুমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, তিনি একজন আদর্শবান রাজনীতিবিদ ছিলেন, কখনো অন্যায়ের সাথে আপস করেননি। কর্মগুণে তিনি মরেও আমাদের মাঝে অমর হয়ে আছেন। সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহারুল ইসলাম চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান প্রমুখ সভায় বক্তব্য রাখেন।

 

#

আকরাম/পাশা/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/২০১০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ১৫৬২

 

ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা উদ্বোধন ১২ নভেম্বর

 

ঘোড়াশাল (নরসিংদী), ১৯ কার্তিক (৪ নভেম্বর) :

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১২ নভেম্বর নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলায় নবনির্মিত ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা উদ্বোধন করবেন। আজ শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন কারখানা প্রাঙ্গণে এ উপলক্ষ্যে সার্বিক প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. আনোয়ারুল আশরাফ খান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, বিসিআইসি’র চেয়ারম্যান মোঃ সাইদুর রহমান এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এসএম আলম উপস্থিত ছিলেন। 

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি গত ২১ এপ্রিল, ২০২২  নরসিংদী জেলায় ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। এর বার্ষিক সার উৎপাদনক্ষমতা ধরা হয়েছে ৯ দশমিক ২৪ লাখ মেট্রিক টন। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে দেশের অভ্যন্তরীণ ইউরিয়া সারের চাহিদা মেটাতে এবং সুলভমূল্যে কৃষকদের নিকট সার সরবরাহ নিশ্চিত করতে এটি ভূমিকা রাখবে।

 

মন্ত্রী বলেন, ‘ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্প’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের মধ্যে সর্ববৃহৎ সার কারখানা প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যা বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় বিরাট ভূমিকা রাখবে। নতুন সার কারখানাটি স্থাপিত হলে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের পাশাপাশি সার আমদানির ওপর নির্ভরতা হ্রাস পাবে, কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা বৃদ্ধি পাবে এবং দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

 

উল্লেখ্য, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন কাজ সম্পন্ন হলে দৈনিক ২৮০০ মে. টন (বার্ষিক ৯ লাখ ২৪ হাজার মে. টন) গ্রানুলার ইউরিয়া সার উৎপাদন হবে। সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন, শক্তিসাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব গ্রানুলার ইউরিয়া উৎপাদনে সক্ষম এই সার কারখানা দেশে ইউরিয়া সারের স্বল্পতা ও ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কারখানাটি দেশের কৃষি উৎপাদন, কৃষি অর্থনীতি, ব্যবসা বাণিজ্য সর্বোপরি দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। ‘ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্প’ এর ব্যয় হয়েছে ১৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। প্রকল্পের বিভিন্ন প্ল্যান্টের কাজ শেষ হয়েছে।  ইতোমধ্যে প্রকল্পের অ্যামোনিয়া প্ল্যান্ট, ইউরিয়া প্ল্যান্ট এবং ইউটিলিটি দৃশ্যমান। এছাড়া, পিডিবি হতে পাওয়ার রিসিভিং, ইমাজেন্সি ডিজেল জেনারেটরের লোড টেন্ট সম্পন্ন হয়েছে, কুলিং ওয়াটার সিস্টেমে ওয়াটার ফ্ল্যাশিং ও কেমিক্যাল ক্লিনিং, নাইট্রোজেন ইউনিটের Instrument Air Compressor এর প্রি-কমিশনিং এবং কমিশনিং  কার্যক্রম শেষ হয়েছে এবং পরীক্ষামূলক  সার উৎপাদন শুরু হয়েছে।

 

#

 

হাসান/পাশা/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৩/২০২০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ১৫৬১

যা-কিছু হবে সংবিধান ও আইনের মধ্যেই হতে হবে

                                              -- আইনমন্ত্রী

 ঢাকা, ১৯ কার্তিক (৪ নভেম্বর) :

          আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর দেওয়া সংবিধানে জনগণকে প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক বানিয়েছেন। এই সংবিধানের ২৬-৪৭ অনুচ্ছেদে মৌলিক অধিকারের বিধান সন্নিবেশ করা হয়েছে। সেখানে সকল নাগরিকের সুযোগের সমতা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সংসদ কীভাবে গঠিত হবে, সরকার কীভাবে গঠিত হবে, নির্বাচন কীভাবে অনুষ্ঠিত হবে তার সকল বিধান সংবিধানে সুষ্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আগামীতে যা-কিছু হবে, সংবিধান ও আইনের মধ্য থেকেই হতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে দেশ আবারও পিছিয়ে পড়বে।

          ‘জাতীয় সংবিধান দিবস ২০২৩’ উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে আজ রাজধানীর র‌্যাডিসন হোটেলে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে সভাপতির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

          আইনমন্ত্রী বলেন, বিগত অর্ধশত বছরের অভিজ্ঞতা বলে, যখনই বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু প্রবর্তিত সাংবিধানিক শাসন থেকে বিচ্যুত হয়েছে, তখনই দেশে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার ব্যাহত হয়েছে। দেশে অরাজক ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এবং মৌলিক মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। সর্বোপরি দেশের উন্নয়ন ব্যাহত হয়েছে। তাই অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আগামীতে যা-কিছু হবে, সংবিধান ও আইনের মধ্যে থেকেই হতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে আবারও জাতি পিছিয়ে পড়বে।

          মন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন করেছিলেন। বাঙালি জাতি স্বাধীনতার মাত্র ১০ মাসের মাথায় একটি গণমুখী ও বিশ্বমানের সংবিধান পেলেও এর পেছনের ইতিহাস অনেক বিস্তৃত ও কণ্টকিত। একটি গণমুখী সংবিধান পাওয়ার জন্য তৎকালীন পাক

2023-11-04-16-30-8b905d9c380d09ecea2ca9b3e1c2835d.docx