তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯১৬
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সাথে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সাড়্গাৎ
ঢাকা, ২৫ জ্যৈষ্ঠ (৮ জুন):
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরম্নল হামিদের সাথে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত সোফি অ্যবার্ট (ঝড়ঢ়যরব অঁনবৎঃ) আজ সচিবালয়ে তাঁর অফিসকড়্গে সাড়্গাৎ করেন। এ সময় তারা পারস্পরিক স্বার্থসংশিস্নষ্ট দ্বিপাড়্গিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর গুরম্নত্বারোপ করে বলেন, আমাদের সম্পর্ক সুদৃঢ় করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। সামুদ্রিক পরিবেশ ও সম্পদ নিয়ে বাংলাদেশের ধারনা আরো উন্নত করতে ফ্রান্স বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা দিতে ইচ্ছুক। এসময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের কার্যক্রম শুরম্ন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীসহ ছাত্রছাত্রীদের প্রশিড়্গণ ও বৃত্তির বিষয়ে ফ্রান্সের সহযোগিতার কথা উলেস্নখ করেন। সমুদ্রে গবেষণার জন্য বাংলাদেশ জাহাজ পেতে আগ্রহী হলে ফ্রান্স ইসিএ (ঊীঢ়ড়ৎঃ ঈৎবফরঃ অমবহপু) অর্থায়নসহ সহযোগিতা করতে প্রস'ত বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
প্রতিমন্ত্রী ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে বলেন, ফ্রান্স বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী দেশ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা যে বিশাল সমুদ্রসীমা অর্জন করেছি, সেখানে গবেষণার জন্য উপযুক্ত জাহাজ প্রয়োজন। আমরা সমুদ্র থেকে সম্পদ আহরণ করতে চাই। এ বিষয়ে আমরা দ্রম্নত পদড়্গেপ নিচ্ছি।
#
আসলাম/আফরাজ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৬/১৭৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯১৫
বাজার তদারকি
২২ প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৮৩ হাজার টাকা জরিমানা
ঢাকা, ২৫ জ্যৈষ্ঠ (৮ জুন):
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় আজ ঢাকা মহানগর, মৌলভীবাজার, মাদারীপুর ও পঞ্চগড়ে বাজার তদারকি করে। তদারকিকালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘনের দায়ে ২২টি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৮৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ঢাকা মহানগরীর লালবাগ এলাকায় পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে মালেক বেকারিকে ৫ হাজার টাকা ও হƒদয় কনফেকশনারিকে ৫ হাজার টাকা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরি ও পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে হরিপদ মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ২০ হাজার জরিমানা করা হয়।
অপরদিকে কামরাঙ্গিরচর এলাকায় অভিযোগের ভিত্তিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরি ও পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে এম আর ফুড প্রোডাক্টসকে ৫০ হাজার টাকা ও কর্ণফুলী সেমাইকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও নগরীর রামপুরা এলাকায় পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে মেসার্স খোরশেদ স্টোরকে ২ হাজার টাকা ও সাইফুল মাংস বিতানকে ১ হাজার টাকা এবং পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে গ্রামীণ সুইটস ও মা ফার্মেসিকে ৫ হাজার টাকা করে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অপরদিকে মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় ৮টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭ হাজার টাকা, পঞ্চগড় জেলায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরির অপরাধে নিউ মৌচাক হোটেল এন্ড রেস্তোরাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
#
আফরোজা/আফরাজ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৬/১৭০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯১৪
৪০০ কেজি জাটকা আটক
ঢাকা, ২৫ জ্যৈষ্ঠ (৮ জুন):
কোস্টগার্ডের চাঁদপুর স্টেশনের একটি অপারেশন দল গতরাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাঁদপুরের মেঘনা মোহনায় অভিযান চালিয়ে ‘যাত্রীবাহী লঞ্চ কর্ণফুলী-১’ হতে ৪০০ কেজি জাটকা আটক করেছে। আটককৃত জাটকার মূল্য প্রায় ২ লাখ টাকা।
আটককৃত জাটকা জেলা মৎস্য কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়।
#
শামীম/আফরাজ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৬/১৬১০ঘণ্টা
Handout Number : 1913
World Bank to continue support education in Bangladesh
Washington DC, 8 June:
The World Bank will continue its support to the education sector in Bangladesh.
This was informed at a high level meeting between the Bangladesh government and the World Bank at the organization’s headquarters in Washington DC in the USA yesterday.
Education Minister Nurul Islam Nahid led Bangladesh delegation at the meeting while Vice President of the World Bank Annette Dixon, led the World Bank delegation.
The World Bank Vice President said, her organization will continue its support for the expansion and qualitative improvement of education in Bangladesh. The World Bank Vice President lauded the success achieved in Bangladesh’s education, especially spread of women education, prevention of dropout, and modernization of technical and vocational education. The World Bank delegate while exchanging views, congratulated the government of Bangladesh led by Sheikh Hasina and Education Minister Nurul Islam Nahid for the world acclaimed achievements in the education sector in Bangladesh.
Education Minister highlighted various programmes taken in Bangladesh for the emancipation of women’s education and for the modernization of technical, vocational and madrasha education. He thanked the development partners, especially World Bank, for their generous support for the development of education in Bangladesh.
Vice President of the World Bank informed that her organization would take steps for launching more new projects to accelerate the educational development in Bangladesh. The World Bank President Dr. Jim Yong Kim would visit Bangladesh in October 2016, she added.
Education Secretary Md. Sohrab Hossain, SEQAEP Project Director Dr. Md. Mahmudul Haq and World Bank Alternative Director Md Mosharraf Hossain Bhuiyan were present in the Bangladesh delegation in the meeting. World Bank high officials including representatives from its Asian and South Asian region assisted Vice President Annette Dixon at the meeting.
Education Minister arrived in Washington DC on 4 June to take part in the meeting with World Bank on cooperation for the development of education in Bangladesh.
#
Saifullah/Afraz/Mahmud/Sanjib/Joynul /2016/1640 hours
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯১২
খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক
ঢাকা, ২৫ জ্যৈষ্ঠ (৮ জুন):
দশম জাতীয় সংসদের খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১৫তম বৈঠক আজ জাতীয় সংসদভবনে অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল ওয়াদুদের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য খাদ্যমন্ত্রী মো. কামরুল ইসলাম, মো. হাসিবুর রহমান স্বপন, খন্দকার আবদুল বাতেন এবং শেখ ফজলে নূর তাপস বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
কমিটি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের চলমান ক্রয় কার্যক্রম ই-টেন্ডারিং প্রক্রিয়ায় করার বিষয়ে সুপারিশ করে।
বৈঠকে বেসরকারি আমদানিকারকদের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে জি টু জি পর্যায়ে গম আমদানি বৃদ্ধি করার সুপারিশ করা হয়।
কমিটি নিরাপদ খাদ্যের গুরুত্ব এবং খাদ্যপণ্যে ভেজাল প্রতিরোধে গণমাধ্যমে প্রচারিত সচেতনতামূলক কার্যক্রমে সšুÍষ্টি প্রকাশ করে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব এস এম বদরুদ্দোজা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
মৌমিতা/আফরাজ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৬/১৬০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯১১
জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে শিশুর জন্ম নিবন্ধন সম্পন্নের তাগিদ এলজিআরডি মন্ত্রীর
ঢাকা, ৮ জুন (২৫ জ্যৈষ্ঠ) :
স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, প্রতিটি শিশু জন্মের পর তার জন্ম তথ্য নিবন্ধন একটি মৌলিক অধিকার। রাষ্ট্রের পক্ষ হতে এ তথ্য নিবন্ধন করতে হবে। কারণ একজন ব্যক্তির পরিচয় ব্যক্ত হয় জন্ম নিবন্ধনের মাধ্যমে।
মন্ত্রী আজ বিদ্যুৎ ভবনে ‘শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধনের হার বৃদ্ধি এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধকল্পে জন্ম সনদের ব্যবহার’ শীর্ষক জাতীয় কর্মশালা ২০১৬-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম, ইউনিসেফের বাংলাদেশস্থ কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ঊফড়ঁধৎফ ইবরমনবফবৎ এবং জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন প্রকল্পের পরিচালক মুজিবুর রহমান এনডিসি।
মন্ত্রী বলেন, ব্যক্তি জীবনে জন্ম নিবন্ধন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বর্তমান আইন ও বিধিমালার আওতায় রাষ্ট্রের দেয়া গুরুত্বপূর্ণ ১৭ টি সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন ও চারটি সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে মৃত্যু নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন ২০০৪’ অনুযায়ী শিশু জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধন শতকরা ১০০ ভাগ করার কথা। সার্বিক জন্ম নিবন্ধনের হার শতকরা ৮৭ ভাগ হলেও জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধনের হার বর্তমানে শতকরা ৩ ভাগের নীচে। যা মোটেও সন্তোষজনক নয়।
মন্ত্রী জেলা পর্যায়ে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম তদারকির কাজে নিয়োজিত উপপরিচালক, স্থানীয় সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জন্ম নিবন্ধনের এ হার বৃদ্ধি করতে জোর তৎপরতা চালানোর আহ্বান জানান। ৪৫ দিনের মধ্যে শিশুর জন্ম নিবন্ধনের হার উল্লেযোগ্য হারে বাড়াতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহায়তা নেয়া হলে অবস্থার অনেক উন্নতি হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
#
শহিদুল/মোবাস্বেরা/খাদীজা/গিয়াস/রফিকুল/আসমা/২০১৬/১৪৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯০৯
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মে মাসের বেতন ভাতাদি’র চেক ব্যাংকে হস্তান্তর
ঢাকা, ৮ জুন (২৫ জ্যৈষ্ঠ):
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমূহের (স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা) শিক্ষক-কর্মচারীদের মে মাসের বেতন-ভাতাদি’র সরকারি অংশের ১২টি চেক অনুদান বণ্টনকারী অগ্রণী ব্যাংক ও রূপালী ব্যাংক লিমিটেড, প্রধান কার্যালয়ে এবং জনতা ও সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, স্থানীয় কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট শাখা ব্যাংক হতে শিক্ষক-কর্মচারীগণ তাদের স্ব-স্ব ব্যাংক একাউন্ট নম্বরের মাধ্যমে মে মাসের বেতন-ভাতাদি’র সরকারি অংশ উত্তোলন করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, এপ্রিল মাসের বেতন-ভাতার এমপিও কপি ও ভাউচার সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে না পৌঁছানোর কারণে অথবা অন্য কোনো কারণে যে সকল প্রতিষ্ঠান বেতন-ভাতাদি উত্তোলন করতে পারেনি সে সকল প্রতিষ্ঠান বর্তমান মাসের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা উত্তোলন করতে পারবে।
#
শফিকুল/মোবাস্বেরা/খাদীজা/রফিকুল/কামাল/২০১৬/১৪২৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯১০
বাংলাদেশে শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধিতে অব্যাহত সহযোগিতার আশ্বাস বিশ্বব্যাংকের
ঢাকা, ৮ জুন (২৫ জ্যৈষ্ঠ):
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গতকাল ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের হেডকোয়ার্টারে ব্যাংকটির ভাইস প্রেসিডেন্ট অহহবঃঃব উরীড়হ এর সাথে বৈঠক করেন। বৈঠকে বাংলাদেশে শিক্ষার উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ভাইস প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে শিক্ষার ব্যাপক উন্নয়ন, নারী শিক্ষার প্রসার ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী ঝরে পড়া রোধ এবং কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্বারোপসহ সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থায় সফলতার জন্য শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে শিক্ষার উন্নয়ন, শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধি করতে বিশ্বব্যাংকের সাহায্য ও সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা সচিব সোহরাব হোসেন, অতিরিক্ত সচিব ও সেকায়েপ’র প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মাহমুদ-উল-হক এবং বিশ্বব্যাংকের বিকল্প পরিচালক মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসেন ভূইয়া। এছাড়া বৈঠকে বিশ্বব্যাংকের কয়েকজন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, এশীয় ও দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশে শিক্ষার উন্নয়নে আরো নতুন প্রকল্প গ্রহণের জন্য বিশ্বব্যাংক উদ্যোগ নিবে। তিনি বলেন, আগামী অক্টোবর মাসে বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট উৎ. ঔরস ণড়হম করস বাংলাদেশ সফর করবেন।
শিক্ষা সচিব সোহরাব হোসেন জানান, ইতোমধ্যেই বিশ্বব্যাংকের শিক্ষা সংশ্লিষ্ট উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে শিক্ষামন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের পৃথক পৃথক চারটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
#
সাইফুল্লাহ/মোবাস্বেরা/নুসরাত/খাদীজা/রফিকুল/কামাল/২০১৬/১৪২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯০৮
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে ভূমিকম্পে করণীয় বিষয়ক সভা
ঢাকা, ৮ জুন (২৫ জ্যৈষ্ঠ) :
ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতা ও প্রস্তুতি নিয়ে সরকার তৎপর রয়েছে। ইতোমধ্যে ১০০ কোটি টাকার তাঁবু ক্রয় করা হয়েছে। ভূমিকম্প পরবর্তী অনুসন্ধান ও উদ্ধার তৎপরতার জন্য ৬৯ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কাছে হস্তান্তর করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। এছাড়া উদ্ধার তৎপরতার জন্য ১৭০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি ক্রয় প্রক্রিয়াধীন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ্ কামালের সভাপতিত্বে গত ৮ এপ্রিল মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ভূমিকম্প সম্পর্কে সচেতনতা বিষয়ে করণীয় ও সরকারের প্রস্তুতিমূলক এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
সভায় আরো জানানো হয়, ভূমিকম্পে করণীয় নির্ধারণসহ জনসচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সারাদেশে প্রতিটি জেলায় সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবীসহ সর্বস্তরের পেশাজীবী, এনজিও কর্মী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থী, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের জনপ্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের জনগণকে সম্পৃক্ত করে একযোগে ভূমিকম্প সচেতনতা বিষয়ক মহড়া প্রতিটি জেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাছাড়া ঢাকা মহানগরীকে বিভিন্ন জোনে বিভক্ত করে ৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভূমিকম্পে করণীয় সম্পর্কে মহড়া আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ১৩ অক্টোবর আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে সারাদেশে একসাথে ভূমিকম্পে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মহড়া আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হবে।
ভূমিকম্পে করণীয় বিষয়ে সভায় যেসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় সেগুলো হল ঃ
কোর কাটিং মেশিন এবং বিল্ডিং স্ক্যানার মেশিন সংগ্রহপূর্বক ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্স এর কাছে হস্তান্তর করা; ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্সকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় আনয়নের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা; ভবন মালিকগণ সরকারের নিযুক্ত সার্টিফাইড এজেন্সির মাধ্যমে ভবন পরীক্ষানিরীক্ষা করিয়ে ভবনের উপযুক্ততা সম্পর্কে সনদ রাজউকে জমা প্রদানের বিষয়ে জনসাধারণকে সচেতন করা; নির্দিষ্ট মাত্রার ভূমিকম্পে গ্যাস সংযোগ যাতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সেজন্য সারাদেশে গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাস লাইনের সেন্সর লাগানোর ব্যবস্থা গ্রহণ; ভবনের নকশা অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ নকশা অনুযায়ী মাটি পরীক্ষাপূর্বক ভবন নির্মাণ কার্যক্রম তদারকির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা; ভূমিকম্পে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিতকরণসহ তা ভেঙ্গে ফেলার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, আরকিওলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট, ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্স, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডিএমভিএস এবং বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের একজন করে প্রতিনিধি সমন্বয়ে সেল গঠন করা।
সভায় বুয়েটের অধ্যাপক মেহেদী আলম আনসারী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক মাকসুদ কামাল, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের উপসচিব ড. মহঃ শের আলী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডিএমভিএস বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরিন উপস্থিত ছিলেন।
#
শাহ্ কামাল/মোবাস্বেরা/খাদীজা/রফিকুল/শামীম/২০১৬/ ১২৫১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯০৭
৯ জুন বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ৮ জুন (২৫ জ্যৈষ্ঠ) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৯ জুন বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও ৯ জুন ২০১৬ ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ দিবস উপলক্ষে আমি বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডসহ উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও সুবিধাভোগীদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
চলমান সমাজের সঙ্গে সংগতি রেখে ভবিষ্যতের জন্য সরকারি নীতি নির্ধারণ এবং এর বাস্তবায়ন যে কোনো দেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এটি একটি সমন্বিত উদ্যোগ এবং দেশের সামগ্রিক আর্থসামাজিক উন্নয়নে এর গুরুত্ব অপরিসীম। সরকারি নীতি বাস্তবায়নের প্রতি পর্যায়ে মান বজায় রাখার পূর্বশর্ত হচ্ছে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা। অ্যাক্রেডিটেশন স্বাস্থ্যসেবা, তথ্য ও পরিবেশ সুরক্ষা, জননিরাপত্তা, খাদ্যনিরাপত্তা এবং জাতীয় মান অবকাঠামো উন্নয়নে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাজে সহায়তা করে থাকে। এটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। এ প্রেক্ষিতে দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘অপপৎবফরঃধঃরড়হ: অ এষড়নধষ ঞড়ড়ষ ঃড় ঝঁঢ়ঢ়ড়ৎঃ চঁনষরপ চড়ষরপু’ যা অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
আমাদের সরকার বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে ‘রূপকল্প-২০২১’ ও ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এছাড়া জাতিসংঘ ঘোষিত ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য’ বাস্তবায়নে আমরা ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। সরকারি নীতি নির্ধারণ ও দেশের সার্বিক উন্নয়নে আমরা সকলের সমন্বয়ে একযোগে কাজ করে যাচ্ছি।
আমি আশা করি, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড সরকারি নীতি নির্ধারণ, জাতীয় মান অবকাঠামো উন্নয়ন এবং দেশের রপ্তানি বাণিজ্যকে আরো সম্প্রসারণ ও গতিশীল করতে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখবে।
আমি বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস-২০১৬ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
নুরএলাহি/মোবাস্বেরা/নুসরাত/রফিকুল/আসমা/২০১৬/১১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯০৬
৯ জুন বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ৮ জুন (২৫ জ্যৈষ্ঠ) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ৯ জুন বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) প্রতি বছরের মতো এবারও ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস’ যথাযথ মর্যাদার সাথে পালন করছে জেনে আমি আনন্দিত।
পরিবর্তনশীল বিশ্বে প্রতিনিয়ত বর্ধিত চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে নতুন নতুন নিয়মনীতি প্রবর্তিত হচ্ছে। বিশ্বমান, চাহিদা, সন্তুষ্টিসহ সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থাসমূহ যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন করে থাকে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ‘অপপৎবফরঃধঃরড়হ: অ এষড়নধষ ঞড়ড়ষ ঃড় ঝঁঢ়ঢ়ড়ৎঃ চঁনষরপ চড়ষরপু’ অত্যন্ত সময়োপযোগী বলে আমি মনে করি। মান (ঝঃধহফধৎফং), সাদৃশ্য মূল্যায়ন (ঈড়হভড়ৎসরঃু ধংংবংংসবহঃ) ও অ্যাক্রেডিটেশন (অপপৎবফরঃধঃরড়হ) বিষয়গুলো বর্তমান বিশ্ববাণিজ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলোর উপরই পণ্য ও সেবার স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার অনেকাংশে নির্ভরশীল। তাই সরকারি নীতি নির্ধারণী সংস্থাসমূহ এগুলোকে ভিত্তি করেই পরিবেশ সুরক্ষা, জননিরাপত্তা, প্রতারণা প্রতিরোধ, কার্যকর বাজার ও জনআস্থা সৃষ্টিতে অধিকতর কার্যকরী আইন প্রণয়ন করে থাকে।
বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড দক্ষতা ও আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বিভিন্ন পরীক্ষাগার, সনদ প্রদানকারী সংস্থা, পরিদর্শন সংস্থাকে অ্যাক্রেডিটেশন প্রদানের ফলে দেশীয় পণ্য ও সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর দেশি-বিদেশি ভোক্তাদের আস্থা সৃষ্টি হচ্ছে। অ্যাক্রেডিটেশন প্রদানের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও বিশ্বস্ততা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। আমার বিশ্বাস বিএবি জাতীয় স্বার্থে তাদের অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে আন্তর্জাতিক মান অব্যাহত রাখতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।
আমি ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস-২০১৬’ উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির সাফল্য কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
আজাদ/মোবাস্বেরা/নুসরাত/রফিকুল/আসমা/২০১৬/১১০০ ঘণ্টা