তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৮৯
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে পৃথিবীর কোনো শক্তি
বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে দমিয়ে রাখতে পারবেনা
-নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
গাইবান্ধা, ১৩ শ্রাবণ (২৮ জুলাই) :
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তিনি আমাদের মূল্যবান সম্পদ। তাঁর উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে রুখে দেয়ার জন্য বিভিন্ন মহল নৈরাজ্য ও ষড়যন্ত্র করছে। সে ষড়যন্ত্র রুখতে হলে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে পৃথিবীর কোনো শক্তি বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে দমিয়ে রাখতে
পারবে না।
প্রতিমন্ত্রী আজ গাইবান্ধায় আগামী ২ আগস্ট ২০২৩ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র রংপুর বিভাগীয় মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বর্ধিত সভায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ১২ বছর পর আগামী দুই আগস্ট রংপুরে আসছেন। ১২ বছরে রংপুর বদলে গেছে। রংপুর বিভাগ হয়েছে। ১২ বছরে রংপুরে যোগাযোগ নেটওয়ার্ক অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। ১২ বছরের রংপুরে মংগা দূর হয়ে গেছে। ১২ বছরে রংপুরের আটটি জেলায় আটটি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন হয়ে গেছে; মেডিকেল কলেজ হয়ে গেছে। সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উত্তীর্ণ করার কার্যক্রম চলছে । লালমনিরহাটে এরোনটিকেল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা হয়েছে। রংপুর বিভাগ আমরা পিছিয়ে নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী এবং সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বক্তৃতা করেন।
#
জাহাঙ্গীর/আরমান/শামীম/২০২৩/২০২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৮৮
জাহাজ পুন:প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করব
---শিল্পমন্ত্রী
ঢাকা, ১৩ শ্রাবণ (২৮ জুলাই) :
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেছেন, জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাবনাময় খাত। এ শিল্পে বাংলাদেশ পরিবেশগত, পেশাগত সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্য বিষয়ে উল্লেখ্যযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে। আমরা এ শিল্পকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করব।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক সমুদ্র সংস্থা (আইএমও) প্রবর্তিত দি হংকং ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর দি সেফ এন্ড এনভায়রনমেন্টালি সাউন্ড রিসাইক্লিং অব শিপস, ২০০৯ (দি হংকং কনভেনশন) অনুমোদন করেছে। এ শিল্পের আধুনিকায়ন এবং সমুদ্র ও শিল্প বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উন্নত দেশগুলোর প্রতি কারিগরি, প্রযুক্তিগত ও টেকসই বিনিয়োগ সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
আজ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) "৫ম আন্তর্জাতিক মেরিনটেক বাংলাদেশ এক্সপো এন্ড ডায়ালগ-২০২৩" এর জাহাজ নির্মাণ, শিপব্রেকিং এবং গ্রিন শিপ রিসাইক্লিং সেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এক্সপোনেট এক্সিবিশন এর উদ্যোগে ও নৌপরিবহণ দপ্তরের সহযোগিতায় তিনদিনব্যাপী (২৭-২৯ জুলাই) এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশের শিপইয়ার্ডগুলো জাহাজ নির্মাণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সরকারি ডকইয়ার্ড ও শিপইয়ার্ডগুলো নৌবাহিনীর হাতে দেওয়ায় সেগুলো এগিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকার ‘জাহাজ ক্রেতা জাতি’ থেকে ‘জাহাজ নির্মাণকারী জাতি’ হতে চায়। প্রধানমন্ত্রী পায়রা বন্দর এলাকায় জাহাজ নির্মাণ ও জাহাজ মেরামতশিল্প গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন। প্রস্তাবিত এ প্রকল্প চূড়ান্ত হলে বাংলাদেশে বিশ্বমানের জাহাজ নির্মাণ কারখানা স্থাপন করা সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে আলোচকরা জানান,
গ্লোবাল শিপ রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রির হিসাবে ভারত, বাংলাদেশ, চীন এবং পাকিস্তানের বাজারের শেয়ার সবচেয়ে বেশি এবং শিপ রিসাইক্লিং ব্যবসার জন্য গ্লোবাল সেন্টার হিসেবে বিবেচিত হয়। বাংলাদেশের জাহাজ রিসাইক্লিং শিল্পের বর্তমান অবস্থা এবং এইচকেসি কনভেনশন বা ইইউ শিপিং শিল্প কীভাবে বাংলাদেশে জাহাজ পুনর্ব্যবহারযোগ্য সুবিধার সুবিধা নিতে পারে এবং অংশীদারিত্ব বাড়াতে পারে সে বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মোঃ আল-আমিন, নেভাল আর্কিটেক্ট কবির গ্ৰুপের গ্রিন প্লান্ট হেড।
সবুজ জাহাজ নির্মাণের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড তরিকুল ইসলাম, নেভাল আর্কিটেক্ট অ্যান্ড মেরিন (বুয়েট), পিএইচডি, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর, আনন্দ গ্রুপ। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসাবে সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোঃ মমিনুর রশীদ।
#
মাহমুদুল/আরমান/শামীম/২০২৩/২০১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৮৭
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১৩ শ্রাবণ (২৮ জুলাই) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৬১ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৪ দশমিক শূন্য এক শতাংশ। এ সময় ১ হাজার ৫২২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ১ জন মারা গেছে। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৭২ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১১ হাজার ২২৮ জন।
#
সুলতানা/আরমান/সেলিম/২০২৩/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৮৬
চেন্নাইতে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক জি-২০ সম্মেলন
জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতির জন্য অবিলম্বে নতুন তহবিল ব্যবস্থার কার্যকরী করতে হবে
-- পরিবেশমন্ত্রী
চেন্নাই (ভারত), ১৩ শ্রাবণ (২৮ জুলাই):
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন জনিত ক্ষয়ক্ষতির জন্য নতুন তহবিল ব্যবস্থার অবিলম্বে কার্যকরীকরণ বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা ২০২৩-২০৫০ বাস্তবায়নে উন্নত দেশগুলোর সক্রিয় সহায়তা প্রয়োজন। মন্ত্রী বলেন, উন্নয়নশীল দেশে বসবাসকারী লাখ লাখ দরিদ্র মানুষের ঝুঁকি কমাতে উন্নত দেশগুলোকে নেতৃত্ব দিতে হবে।
আজ ভারতের চেন্নাইতে অনুষ্ঠিত জি-২০ পরিবেশ ও জলবায়ু টেকসই মন্ত্রী পর্যায়ের সভায় ‘এনভায়রনমেন্ট এন্ড ক্লাইমেট সাসটেইনেবিলিটি: ক্লাইমেট চেইঞ্জ, ওশান /ব্লু ইকোনমি, রিসোর্স ইফিসিয়েন্সি এন্ড সার্কুলার ইকোনমি’ বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের সেশনে পরিবেশ মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্বকে টেকসই ও সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনায় কাজ করতে হবে। আমরা একক-ব্যবহারের প্লাস্টিক হ্রাস সহ সার্কুলার পদ্ধতির প্রসারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সমুদ্রের তলদেশের জমা বর্জের হুমকির জন্য সম্মিলিত পদক্ষেপ প্রয়োজন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, আমরা সমুদ্রের তলদেশের জমা বর্জ কমানোর জন্য নীতি ও পরিকল্পনা তৈরি করতে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতা গড়ে তোলার প্রস্তাব করছি। আমাদের নদীতে প্রবাহিত প্লাস্টিক এবং মাইক্রোবিডগুলি সনাক্ত এবং হ্রাস করার জন্য আমাদের অবশ্যই ব্যবস্থা স্থাপন করতে হবে, আমাদের মহাসাগর এবং সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখতে হবে।
সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের অন্যতম সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আবদুল্লাহ হারুন এবং উপসচিব মোঃ আমিরুল কায়সার।
#
দীপংকর/আরমান/সেলিম/২০২৩/১৮১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৮৫
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এ বছর পাস করেছে ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ শিক্ষার্থী
ঢাকা, ১৩ শ্রাবণ (২৮ জুলাই):
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় এ বছর পাস করেছে ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন।
আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত ফলাফল তুলে ধরে এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোলেমান খান, আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার ও অন্যান্য শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল ৯টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের সংক্ষিপ্ত বিবরণী হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট অংশগ্রহণকারী ২০ লাখ, ৪১ হাজার ৪৫০ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ৯ হাজার ৮০৩ জন এবং ছাত্রী ১০ লাখ ৩১ হাজার ৬৪৭ জন। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৬ লাখ ৪১ হাজার ১৪০ জন। মোট উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৪০৪ জন এবং ছাত্রী হয়েছে ৮ লাখ ৪৪ হাজার ৭৩৬ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। মোট পরীক্ষার্থীর গড় পাসের হার ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ, ছাত্র ৭৮ দশমিক ৮৭ এবং ছাত্রী ৮১ দশমিক ৮৮ শতাংশ উত্তীর্ণ হয়েছে। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন, এর মধ্যে ছাত্র ৮৪ হাজার ৯৬৪ জন এবং ছাত্রী ৯৮ হাজার ৬১৪ জন। এ বছর মোট ২০ হাজার ৭১৪টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ৩ হাজার ৮১০টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় দিয়েছে।
দেশের নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় মোট অংশ নিয়েছে ১৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯১৯ জন। এরমধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ৭৬ হাজার ৫১৯ জন এবং ছাত্রী ৮ লাখ ৫৭ হাজার ৪০০ জন। এসএসসি পরীক্ষায় এবার মোট উত্তীর্ণ হয়েছে ১৩ লাখ ২২ হাজার ৪৪৬ জন। এরমধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ১৬ হাজার ৭১ জন এবং ছাত্রী ৭ লাখ ৬ হাজার ৩৭৫ জন। এসএসসিতে পাসের হার ৮০ দশমিক ৯৪ শতাংশ, ছাত্র ৭৯ দশমিক ৩৪ এবং ছাত্রী ৮২ দশমিক ৩৯ শতাংশ। এসএসসিতে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৫৯ হাজার ২২০ জন, এরমধ্যে ছাত্র ৭০ হাজার ৯৭৫ জন এবং ছাত্রী ৮৮ হাজার ২৪৫ জন। পরিসংখ্যানে এসএসসিতে পাসের হার ও জিপিএ-৫-এর ক্ষেত্রে মেয়েরা এগিয়ে।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষায় মোট অংশ নিয়েছে ২ লাখ ৮৫ হাজার ৮৭ জন, এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬৫৫ জন এবং ছাত্রী ১ লাখ ৪৫ হাজার, ৪৩২ জন। দাখিল পরীক্ষায় মোট উত্তীর্ণ হয়েছে ২ লাখ ১২ হাজার ৯৬৪ জন, এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৯৫০ জন এবং ছাত্রী ১ লাখ ১২ হাজার ১৪ জন। দাখিল পরীক্ষায় পাসের হার ৭৪ দশমিক ৭০, এর মধ্যে ছাত্র ৭২ দশমিক ২৯ এবং ছাত্রী ৭৭ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। দাখিলে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ২১৩ জন, এর মধ্যে ছাত্র ৩ হাজার ১৮৮ জন এবং ছাত্রী ৩ হাজার ২৫ জন। দাখিলের পরিসংখ্যানে পাসের হারে মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে।
এসএসসি ভোকেশনাল ও দাখিল ভোকেশনাল পরীক্ষায় সর্বমোট অংশ নিয়েছে ১ লাখ ২২ হাজার ৪৪৪ জন, এর মধ্যে ছাত্র ৯৩ হাজার ৬২৯ জন এবং ছাত্রী ২৮ হাজার ৮১৫ জন। মোট উত্তীর্ণ হয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ৭৩০ জন, এর মধ্যে ছাত্র ৭৯ হাজার ৩৮৩ জন এবং ছাত্র ২৬ হাজার ৩৪৭ জন।
এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় বিদেশের কেন্দ্রে অংশ নিয়েছে মোট ৩৭৫ জন, এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৩২০ জন। বিদেশের কেন্দ্রগুলোর পাসের হার ৮৫ দশমিক ৩৩।
সংবাদ সম্মেলনে ফলাফলের পরিসংখ্যান তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ বছর সকল শিক্ষা বোর্ডে উত্তীর্ণ ছাত্রের চেয়ে ৪৮ হাজার ৩৩২ জন বেশি ছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছে এবং ছাত্রের চেয়ে ১৩ হাজার ৬৫০ জন বেশি ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এ বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডর অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মোট ছাত্রের চেয়ে ৯০ হাজার ৩০৪ জন ছাত্রী বেশি উত্তীর্ণ হয়েছে। এবং ছাত্রের তুলনায় ১৭ হাজার ২৭০ ছাত্রী বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছে।
#
খায়ের/আরমান/সেলিম/২০২৩/১৭৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৮৪
বান্দরবানে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে গরিব ও অস্বচ্ছল মানুষদের
মাঝে রিক্সা বিতরণ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী
বান্দরবান, ১৩ শ্রাবণ (২৮ জুলাই):
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় জনপ্রতিনিধিদের বলেন, গরিব ও অস্বচ্ছল মানুষদের পাশে থাকতে। দেশব্যাপী বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা, ভিজিডি, ভিজিএফ, হরিজন, বেদে, হিজড়া ভাতা, বিনামূল্যে ছাত্রছাত্রীদের পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, গরিব ছাত্রীদের উপবৃত্তি প্রদান, অবৈতনিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালুসহ নানান আর্থিক অনুদান প্রদান করে আসছে আওয়ামী লীগ সরকার।
আজ বান্দরবান সদরে রাজার মাঠ প্রাঙ্গণে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের যৌথ উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে অসহায় মানুষের মাঝে রিক্সা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান গরিব বান্ধব সরকার দেশের গরিব ও অস্বচ্ছল মানুষদের ভাগোন্নয়নে কাজ অব্যাহত রেখেছে। তিনি বলেন, সরকার গৃহহীনদের জন্য জায়গাসহ গৃহ তৈরি করে দিচ্ছে। একটি বাড়ি, একটি খামার, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে মিশ্র ফলের বাগান সৃজন করা। নারীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে গাভী বিতরণ, কৃষিক্ষেত্রে ও গৃহস্থালী কাজে নারীদের স্বাবলম্বি করতে বিভিন্ন কৃষি সরঞ্জাম উপকরণ বিতরণ অব্যাহত রেখেছে সরকার।
মন্ত্রী আরো বলেন, যেসব দুর্গম জায়গায় বিদ্যুৎ নাই, সেসব জায়গায় বিদ্যুতের আলো ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে সোলার প্যানেল বিতরণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, পাহাড়ি মানুষের দুর্গম পথে চলাচলের পথ সহজ করতে রাস্তাঘাট, ব্রীজ, কালভার্টসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার অনেক উন্নয়ন ঘটিয়েছে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার। মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার প্রসারে পার্বত্য অঞ্চলে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে সরকার। বান্দরবান জেলার শিক্ষার ব্যবস্থার উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে মন্ত্রী বীর বাহাদুর বলেন, যেখানে বান্দরবানে একটি-দুইটি কলেজ ছিল, বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৪ বছরে ১৪টি কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তিনি বলেন, বান্দরবানের প্রতিটি উপজেলায় হাইস্কুল হয়েছে, কলেজ হয়েছে, রাস্তাঘাট হয়েছে, হাসপাতাল হয়েছে, এ্যাম্বুলেন্স হয়েছে, ফায়ার ব্রিগ্রেড স্টেশন হয়েছে। তিনি বলেন, এখানকার অস্বচ্ছল ভাইয়েরা যারা প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেলেন, আপনাদের আয়ের সংস্থান এ রিক্সা শুধুমাত্র জীবিকা নির্বাহে ব্যবহার করবেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য কামনা করে সকলকে দোয়া করার আহ্বান জানান। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের সকল শ্রেণীকে একসাথে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। কাউকে পেছনে ফেলে দেশের উন্নয়ন তরান্বিত হবে না। সকলের সমঅধিকার নিশ্চিত এবং সুজলা সুফলা একটি বাংলাদেশ তৈরি করতে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে অগ্রণী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান পার্বত্য মন্ত্রী।
মন্ত্রী বান্দরবানকে কৃষি ফলনে সবুজ বিপ্লবের নগরী আখ্যা দিয়ে বলেন, বান্দরবানের উৎপাদিত আম, কাঁঠাল, আনারস, কলা, ড্রাগন ফল বান্দরবানকে সবুজ বিপ্লবের নগরীতে পরিণত করেছে। তিনি বলেন, বান্দরবান খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ জেলায় পরিণত হওয়ার দিকে এগুচ্ছে। আর এসব কিছুর প্রেরণা প্রদানকারী হলেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।
বান্দরবান জেলা সদরের ২০ জন গরিব ও অসচ্ছল ব্যক্তিকে শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে প্রত্যেককে ১টি করে রিক্সা বিতরণ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।
পার্বত্য জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সিং ইয়ং ম্রো এর সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এটি এম কাউছার হোসেন, বান্দরবান পৌরসভার মেয়র সৌরভ দাশ শেখর, বান্দরবান সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর, সদর উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা নার্গিস আক্তার, সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মোজাফফর, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জিয়াউর রহমান, সদস্য লক্ষীপদ দাশ, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামশুল ইসলাম, বান্দরবান প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক মিনারুল হকসহ বিভিন্ন দপ্তরের সরকারী কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
রেজুয়ান/আরমান/সেলিম/২০২৩/১৭২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৮৩
উপগ্রহের ইন্টারনেট সম্পর্কে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীকে স্টারলিংকের ডিজিটাল উপস্থাপনা
ঢাকা, ১৩ শ্রাবণ (২৮ জুলাই) :
ইলন মাস্কের মহাকাশ বিষয়ক সংস্থা স্পেসএক্সের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবা সম্পর্কে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের নিকট একটি ডিজিটাল উপস্থাপনা পেশ করে। স্টার লিংকের দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল গতকাল ঢাকায় বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের কার্যালয়ে এই উপস্থাপনা পেশ করে।
বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার ও বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, বিটিআরসি’র কমিশনারবৃন্দ এবং মহাপরিচালকবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রচলিত ইন্টারনেট সেবা মুঠোফোন টাওয়ার ও সাবমেরিন কেব্লনির্ভর হলেও স্টারলিংক কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা দেয়। স্টারলিংক এলে বিরূপ আবহাওয়ায় কতটা কাজ করবে, ডিভাইসগুলোর চুরি রোধ, সেবার বিনিময়ে ডলারের পেমেন্টের বিষয়গুলো কী হতে পারে—সেসব বিষয় উপস্থাপনায় উঠে আসে। পাশাপাশি জননিরাপত্তার কারণে আইনি নজরদারির বিষয়েও আলোচনা হয়। ইন্টারনেট সেবার মাধ্যমে জনগণের কাছে কী যাচ্ছে, তাতে সরকারের নজর রাখার বিষয় ইত্যাদি উপস্থাপনাকালে উঠে আসে। দেশে ইন্টারনেট সেবার ক্ষেত্রে সংযোগগুলোর গেটওয়েতে সরকারের নজরদারি প্রযুক্তি বসানো থাকে। জাতীয় স্বার্থে সরকারের এই নজরদারির বিষয়, দেশের আইন, উদ্দেশ্যেসহ ইত্যাদি বিষয় উপস্থাপনকালে উঠে আসে।
স্টারলিংককে বাংলাদেশে আসতে টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বিটিআরসি’র লাইসেন্স প্রয়োজন হবে। এই ক্ষেত্রে আইনি নজরদারিতে প্রযুক্তিগত ও নীতিগত বিষয় রয়েছে। এছাড়াও যেসব অঞ্চলের জন্য এই সেবা, সেখানকার মানুষের খরচ বহনের সক্ষমতা, ডিজিটাল নিরাপত্তা, কমিউনিটি স্টান্ডার্ডসহ ইত্যাদি বিষয় জড়িত। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে বাংলাদেশের স্যাটেলাইট কোম্পানিরই সক্ষমতা আছে দুর্গম অঞ্চলে ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার। স্টারলিংক এলে কী উপকার হবে, স্টারলিংকের সেবা দেশের বিদ্যমান কাঠামোকে কতটা চ্যালেঞ্জ করবে এগুলোও বিবেচ্য বিষয়। স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা হওয়ায় স্টারলিংক ব্যবহার করার জন্য অ্যান্টেনার প্রয়োজন হয়, যা অনেকটা ছোট আকারের ডিশের মতো। এই অ্যান্টেনা দিয়ে ভবনের যেকোনো প্রান্তে ইন্টারনেট সিগন্যাল পাওয়া যায়।
#
শেফায়েত/আরমান/সেলিম/২০২৩/১৭৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৮২
পরিকল্পিতভাবে নদীরক্ষার কাজ শুরু করা হয়েছে
-- পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী
বরিশাল, ১৩ শ্রাবণ (২৮ জুলাই):
পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, নদীর অব্যাহত ভাঙনে প্রতিদিনই নিঃস্ব হচ্ছেন নদী পাড়ের বাসিন্দারা। তেমনি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে আবাদি জমি, সরকারি-বেসরকারি অসংখ্য স্থাপনা, হাট-বাজার, নদী তীরবর্তী ঘরবাড়ি, মসজিদ ও গাছপালা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় পরিকল্পিতভাবে নদীরক্ষা প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়েছে। এছাড়া নদী শাসন ও স্থায়ীভাবে ভাঙন প্রতিরোধে বিভিন্ন এলাকায় প্রকল্প গ্রহণ করেও কাজ শুরু করেছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
আজ বরিশাল সদর উপজেলার চন্দ্রমোহন ইউনিয়ন ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুরে ভাঙন কাবলিত এলাকায় পরিদর্শন করে এবং এলাকায় চলমান কাজের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের দুঃখ দূর্দশার কথা শোনেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অপরিকল্পিত ও অবৈধভাবে বালি উত্তোলন বন্ধ করা না হলে নদী ভাঙন রোধ হবে না। নির্ধারিত বালু মহাল ছাড়া অপরিকল্পিত বালি উত্তোলন বন্ধ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময়ই নদী ভাঙন কবলিতদের পাশে ছিলেন এবং থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী নদী ভাঙা ও বন্যা কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ভাঙন প্রতিরোধে একদিকে তিনি নদী শাসন ও আরেক দিকে তিনি নদীতে ড্রেজিং করেন। প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে যে যে স্থানে ভাঙছে সব জায়গাতেই শক্তিশালী টেকসই বাঁধ দেওয়া নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে বাংলাদেশে দুর্যোগ সহনীয় রাষ্ট্রে পরিণত হয়।
সংসদ সদস্য পংকজ নাথ, বরিশাল মহানগর যুবলীগ নেতা মাহমুদুল হক খান মামুন, বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী এবং বরিশাল সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান মধু এসময় উপস্থিত ছিলেন
#
গিয়াস/আরমান/সেলিম/২০২৩/১৭৫৫ ঘণ্টা
Handout Number : 281
Environment Minister urged developed countries
for active support in NAP implementations
Chennai (India), July 28 :
Minister of Environment, Forest and Climate Change Md. Shahab Uddin urged for active support from developed nations in implementing the National Adaptation Plan 2023-2050 for tackling negative impacts of climate change. He said immediate operationalization of new funding arrangements for Loss and Damage is crucial for vulnerable countries like Bangladesh. We urge developed countries to take the lead to reduce the vulnerabilities of the poor millions living in developing countries.
Environment minister said this in the Ministerial Intervention on the theme 'Environment & Climate Sustainability: Climate Change, Ocean/Blue Economy, Resource Efficiency & Circular Economy' in the G20 Environment and Climate Sustainability Ministerial Meeting held on 28 July, in Chennai, India.
In the second Session of the conference, the environment minister said world must work towards sustainable and integrated water resources management to ensure food and nutrition security. We are committed to promoting circular economy approaches including reduction of single-use plastics. The threat of marine litter requires collective action.
Environment Minister said we propose building bilateral and multilateral cooperation among neighboring countries to develop policies and plans for reducing marine litter. We must establish mechanisms to trace and reduce plastics and microbeads flowing into our rivers, safeguarding our oceans and marine ecosystems.
Additional Secretary (Administration) of the Ministry of Environment, Forest and Climate Change Iqbal Abdullah Harun and Deputy Secretary (Environment-1) Md. Amirul Kyser attended the conference as members of the Bangladesh delegation.
#
Dipankar/Arman/Salim/2023/16.30 Hrs.
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৮০
কাঁটাতার পারেনি ছিঁড়তে নাড়ির বন্ধন
-- কলকাতায় চলচ্চিত্র উৎসবে তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৩ শ্রাবণ (২৮ জুলাই) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, সীমান্তের কাঁটাতার বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গকে বিভক্ত করলেও, আমাদের হৃদয় ও নাড়ির বন্ধন ছিন্ন করতে পারেনি। একই মাটির গন্ধ, একই নদীর জল, একই পাখির কলতান, একই মেঘমালার বৃষ্টি, একই সংস্কৃতিতে আমাদের জীবন।
দক্ষিণ কলকাতার নন্দন-১ প্রেক্ষাগৃহে গতকাল পঞ্চম বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় দুই বাংলার চলচ্চিত্রকারেরা একসাথে কাজ করলে বাংলা চলচ্চিত্র বিশ্ব অঙ্গন দখল করবে, এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
হাছান মাহ্মুদ বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরেই বাংলাদেশে চলচ্চিত্র শিল্পের সূচনা। তিনি বলেন, চলচ্চিত্র এমন একটা মাধ্যম যা দেখে শত শত বছরের আগের অবস্থা জানা যায়, আবার ভবিষ্যতের ছবিও আঁকা যায়। সবার সহযোগিতায় বিগত বছরগুলোতে কলকাতায় বাংলাদেশের চলচ্চিত্র উৎসব যেমন সফলতা পেয়েছে, এ বছরও তেমনি পাবে, আশা প্রকাশ করেন তথ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের বিদ্যালয় ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।
ব্রাত্য বসু বলেন, আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতি আলাদা নয়। সেক্ষেত্রে আমি মনে করি এটা দুই বাংলার চলচ্চিত্র উৎসব। পঞ্চম বর্ষেও নিশ্চয়ই উৎসবের সিনেমা পশ্চিমবঙ্গবাসীকে আকৃষ্ট করবে। আমরাও চাই কলকাতার ছবি নিয়ে বাংলাদেশে উৎসব হোক। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে কথাবার্তা চলছে।
বাংলাদেশের সংসদ সদস্য এরোমা দত্ত, অতিরিক্ত সচিব মোঃ ফারুক আহমেদ, কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস, অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ, অভিনেত্রী পূর্ণিমা, অরুণা বিশ্বাস, নুসরাত ফারিয়া, গায়ক রূপঙ্কর বাগচী, প্রিয়াঙ্কা গোপ প্রমুখ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের আয়োজনে সেখানকার ঐতিহাসিক নন্দন-১ ও ২ প্রেক্ষাগৃহে ২৯ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুর ১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত উৎসবে ‘হাসিনা-আ ডটার’স টেল, জেকে-১৯৭১, বীরকন্যা প্রীতিলতা, লালশাড়ি, গেরিলা, দামাল, পরাণ, গুণিনসহ মোট ২৪টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে।
#
আকরাম/