তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৪৪
আবুল মাল আবদুল মুহিত সারাজীবন দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন, স্মরণসভায় বক্তারা
ঢাকা, ১ আষাঢ় (১৫ জুন) :
বাংলাদেশের সাবেক সফল অর্থমন্ত্রী মরহুম আবুল মাল আবদুল মুহিত সারা জীবন দেশের কল্যাণে, মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। তাঁর চিন্তাভাবনার কেন্দ্রে ছিল বাংলাদেশ। দেশের কীভাবে উন্নয়ন করা যায়, কীভাবে মানুষের কল্যাণে কাজ করা যায়, তিনি সবসময় সেই চেষ্টা করে গেছেন। আজ রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ) আয়োজিত মরহুম আবুল মাল আবদুল মুহিতের স্মরণসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
স্মরণসভায় স্পিকার বলেন, আবুল মাল আবদুল মুহিত এমন এক ব্যক্তিত্ব যাকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম অনুসরণ করে যাবে। মুহিত সাহেব মোট ১১ বার, এর মধ্যে টানা ৯ বার জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ করেছিলেন। আমরা তাঁকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি।
স্পিকার আরো বলেন, কোন প্রস্তাব যুক্তিসঙ্গত হলে, মানুষের কল্যাণের জন্য হলে তিনি তা গ্রহণ করতেন। মুহিত সাহেব অত্যন্ত প্রজ্ঞাবান ও দূরদর্শী ছিলেন। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে আবুল মাল আব্দুল মুহিত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে গেছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৮ এই সময়কালে মুহিত ভাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে কাজ করার সুযোগ পান এবং তখন থেকেই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কী হবে, পদক্ষেপ কী হওয়া উচিত তা নিয়ে অনেক কাজ করেন।
ড. মোমেন বলেন, মুহিত ভাই আমাদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে যে ভূমিকা রেখেছেন এটা কখনোই সম্ভব হতো না, যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে সুযোগ করে না দিতেন।
বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ) এর সভাপতি এম এ মুবিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ স্মরণসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিপিএমসিএ'র মহাসচিব ডা. আনোয়ার হোসেন খান, বিটিআরসি'র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদার, আবুল মাল আব্দুল মুহিতের বোন জাতীয় অধ্যাপক ডা. শায়লা খাতুন প্রমুখ।
#
মোহসিন/পাশা/এনায়েত/সঞ্জীব/শামীম/২০২২/২০৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৪৩
রাষ্ট্রপতি ও তাঁর পরিবারের খানার তথ্য সংগ্রহ
ঢাকা, ১ আষাঢ় (১৫ জুন) :
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ উপলক্ষ্যে আজ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও তাঁর পরিবারের খানার তথ্য সংগ্রহ করা হয়। পরিসংখ্যান ব্যুরোর গণনাকারীরা রাষ্ট্রপতিকে গণনাভুক্ত করেন।
এ সময় রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেন, জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জনশুমারি ও গৃহগণনার তথ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি সঠিক তথ্য দিয়ে এ শুমারি সফল করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। এ শুমারি থেকে কেউ যাতে বাদ না যায় এবং কেউ যাতে একাধিকবার অন্তর্ভুক্ত না হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন থাকার নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম এবং সচিব সংযুক্ত মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
ইমরানুল/পাশা/সঞ্জীব/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/২০৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৪২
দেশপ্রেম, সততা থাকলে ষড়যন্ত্র করে কোনো উন্নয়ন ঠেকানো যায় না
-- এনামুল হক শামীম
ঢাকা, ১ আষাঢ় (১৫ জুন) :
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেছেন, দেশপ্রেম, সততা ও সৎ সাহস থাকলে ষড়যন্ত্র করে কোনো উন্নয়ন ঠেকানো যায় না, পদ্মা সেতু তার প্রমাণ। দেশি-বিদেশি একটি চক্র ষড়যন্ত্র করে পদ্মা সেতু যেন নির্মাণ করা না হয় সেজন্য মিথ্যা অপবাদ দিয়েছিল। কিন্তু সততার প্রতীক, বঙ্গবন্ধু কন্যা নিজস্ব অর্থায়নের পদ্মা সেতু নির্মাণ করে প্রমাণ করেছেন তিনি অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেন না। পদ্মা সেতু শেখ হাসিনা সরকারের সক্ষমতার প্রতীক।
আজ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এনামুল হক শামীম বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার কোনো উন্নয়নশীল দেশের মানুষ যে নিজেদের উদ্যোগে এ রকম দৃষ্টিনন্দন ও টেকসই স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবে, তা এক সময় ভাবতেও পারতো না বিশ্ব। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অদম্য আত্মবিশ্বাস ও দূরদর্শী পরিকল্পনায় তা আজ বাস্তবে পরিণত হয়েছে। এখন বাংলাদেশকে স্যালুট দিচ্ছে সবাই। ২৫ জুন উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা পদ্মা সেতু এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের মর্যাদার প্রতীকে পরিণত হয়েছে।
উপমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা দেশে তৈরি হচ্ছে। পদ্মা সেতু হচ্ছে আমাদের মডেল। উপর দিয়ে আকাশপথে বিমান যাবে, পদ্মা সেতু দিয়ে গাড়ি যাবে, রেল যাবে, নিচ দিয়ে নৌকা যাবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমাদের এ ধরনের একটি যোগাযোগ ব্যবস্থা বাংলাদেশে তৈরি হচ্ছে।
জনসভাস্থলে জনসমাগম কেমন হবে জানতে চাইলে উপমন্ত্রী বলেন, স্বপ্নের পদ্মা সেতু নিয়ে উচ্ছ্বাস সারা দেশের মানুষের। বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের উৎসাহ ও আগ্রহটা বেশি। এজন্য শরীয়তপুর, মাদারীপুর, ফরিদপুর, বাগেরহাট, গোপালগঞ্জ এলাকার যারা চলতে সক্ষম সেসব মানুষ জনসভায় অংশ নেবে। এই জনসভায় অংশ নিতে যারা বিদেশে থাকেন তারাও দেশে আসছেন। লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে জনসভা জনস্রোতে পরিণত হবে।
#
গিয়াস/পাশা/এনায়েত/সঞ্জীব/রফিকুল/মাহমুদ/শামীম/২০২২/২০৩৪ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৪১
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সাথে জাইকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ১ আষাঢ় (১৫ জুন) :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সাথে আজ সচিবালয়স্থ তাঁর অফিস কক্ষে জাইকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট Keiichiro Nakazawa সাক্ষাৎ করেন। এসময় পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
জাইকার ভাইস প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে কাজ করতে পারার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, অবকাঠামো নির্মাণে জাইকা আরো অবদান রাখতে পারে। ২০৪১ সালের লক্ষ্য বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সাথে শিল্পের বৈচিত্র্যময়তা বাড়ানো প্রয়োজন। মধ্যম আয়ের দেশের জন্য নগরায়ন একটি চ্যালেঞ্জ। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে যাওয়াও বেশ কঠিন। জলবায়ু পরিবর্তন সাপেক্ষে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মসৃণ রূপান্তর (Smooth Transition), মহেশখালী-মাতারবাড়ী সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন কাযর্ক্রম এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি এই তিনটি খাতে জাইকা আরো অবদান রাখতে চায়। কয়েকটি বেসরকারি জাপানিজ কোম্পানি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশে জাইকার অবদান স্মরণ করে বলেন, জাপান বাংলাদেশের পরিক্ষিত বন্ধু। ২০৪১ সালের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে জাপানের আরো সহযোগিতা চাই। সমন্বিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মহাপরিকল্পনায় প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর বিষয়টি থাকতে পারে। জ্বালানির রূপান্তর প্রক্রিয়ায় যথাযথ প্রযুক্তির সন্নিবেশ করা যেতে পারলে সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পাওয়া যাবে। সাশ্রয়ী মূল্য নির্ধারণ এবং নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেল সরবরাহের চ্যালেঞ্জের সমাধানে এই মহাপরিকল্পনা থাকা উচিত।
প্রতিমন্ত্রী এ সময় সক্ষমতা বৃদ্ধির আওতায় জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে জাইকার ভাইস প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ করেন।
এসময় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন ও বাংলাদেশের জাইকার প্রধান প্রতিনিধি Yuho Hayakawa উপস্থিত ছিলেন।
#
আসলাম/পাশা/এনায়েত/সঞ্জীব/সেলিম/২০২২/১৯৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৪০
সাংবাদিকদের জন্য নতুন আইন হচ্ছে না, ৯ম ওয়েজবোর্ড অবাস্তবায়নে পত্রিকার সরকারি সুবিধা প্রত্যাহারের দাবি বিএফইউজের
ঢাকা, ১ আষাঢ় (১৫ জুন) :
সাংবাদিকদের জন্য নতুন কোনো আইন হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ। একইসাথে নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন না করলে পত্রিকার নিউজপ্রিন্ট কোটা, পরিচয়পত্র, বিজ্ঞাপন, ক্রোড়পত্র বিষয়ে সরকারি সুবিধা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন।
আজ সচিবালয়ে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে এ বিষয়ে প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যানের সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্তী
বলেন, ‘প্রেস কাউন্সিলের বেশিরভাগ সদস্যই সাংবাদিক এবং সম্পাদক। তারাই প্রেস কাউন্সিলকে শক্তিশালী করতে ১৯৭৪ সালের আইন সংশোধনের জন্য ৫ বছর আগে একটা প্রস্তাব করেছিলেন। সেটি এখনো প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। সাংবাদিকদের জন্য দেশে কোনো নতুন আইন হচ্ছে না।’
মন্ত্রী এসময় দেশের গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, অনেক অনিবন্ধিত অনলাইন, আইপি টিভি এমন কি ইউটিউব চ্যানেলে কর্মরতরাও সবাই সাংবাদিক পরিচয় দেয়। তাদের কেউ কেউ আবার জেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করে। সেজন্য আবার বেতন না দিয়ে উলটো তাদের কাছ থেকে টাকা নেয়। কেউ কেউ সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মানুষকে ধোঁকা দেয়। বাস্তবতা হলো, এদের কারণে প্রকৃত সাংবাদিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সে জন্য আমরা প্রেস কাউন্সিল ও প্রেস ইনস্টিটিউটের সাথে আলাপ করেছি নিবন্ধিত গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়নের জন্য।
এর আগে বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, মহাসচিব দীপ আজাদ, কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল ও নির্বাহী সদস্যদের মধ্যে ড. উৎপল কুমার সরকার, নূরে জান্নাত আখতার সীমা, উম্মুল ওয়ালা সুইটি ও আঙ্গুর নাহার মন্টি মন্ত্রীর সাথে মতবিনিময়ে অংশ নেন। এসময় বিএফইউজের পক্ষ থেকে মন্ত্রীকে পাঁচ দফা দাবি সম্বলিত একটি পত্র হস্তান্তর করেন সভাপতি ওমর ফারুক।
নবম ওয়েজবোর্ড সংশোধন করে সংবাদপত্রের পাশাপাশি টিভি ও অনলাইন গণমাধ্যমে তা দ্রুত বাস্তবায়ন, এবং বাস্তবায়ন না করলে পত্রিকার নিউজপ্রিন্ট, এক্রিডিটেশন কার্ড, বিজ্ঞাপন, ক্রোড়পত্র বিষয়ে সরকারি সুবিধা প্রত্যাহার, পত্রিকার ঠিক প্রচার সংখ্যা নির্ধারণ, ডিক্লারেশনের ক্ষমতা ডিসি অফিস থেকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা ও গণমাধ্যম নিয়ে আইন প্রণয়নে বিএফইউজের সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত করার দাবিসহ পত্রটি উপস্থাপন করেন বিএফইউজে মহাসচিব দীপ আজাদ। ওমর ফারুক এবং মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল এসময় বক্তব্য রাখেন। মন্ত্রী দাবিগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষার আশ্বাস দেন।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন হচ্ছে। একটু আগে আমি খবর নিয়েছি, সে পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আমি আশা করি, শেষ পর্যন্ত উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নির্বাচন শেষ হবে এবং নির্বাচনের ফলাফলের মাধ্যমে জনগণের রায় প্রতিফলিত হবে।’
#
আকরাম/পাশা/রফিকুল/মাহমুদ/শামীম/২০২২/১৯০৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৩৯
ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নে মুহিতের অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে
--মোস্তাফা জব্বার
ঢাকা, ১ আষাঢ় (১৫ জুন) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার প্রণয়ন এবং ২০০৯ পরবর্তী সময়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সাবেক অর্থমন্ত্রী এম এ মুহিতের অবদান জাতির ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা হয়ে থাকবে। এছাড়া মোবাইল উৎপাদন এবং রপ্তানি ও দেশীয় সফটওয়্যার শিল্প বিকাশসহ আমদানিকারক থেকে ঊৎপাদক ও রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা দেশীয় শিল্পের জন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী আজ ঢাকা শেরাটন হোটেলে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশন আয়োজিত স্মরণ সভায় এসব কথা বলেন। এসোসিয়েশনের সভাপতি এ এ মুবিন খান সভাপতিত্ব করেন।
মন্ত্রী এম এ মুহিতের জীবনের উল্লেখ্যযোগ্য বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, তাঁর মেধা জ্ঞান, আদর্শ বাংলাদেশের ইতিহাসে চির অম্লান হয়ে থাকবে। মরহুম মুহিত যে কারও জীবনের আদর্শ হতে পারে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।। আবুল মাল আবদুল মুহিতকে বাংলাদেশের অর্থ ব্যবস্থাপনার কিংবদন্তি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তিনি ছিলেন এক বিরল প্রতিভার অধিকারী। তাঁর মৃত্যুতে দেশ একজন বিরল প্রতিভা হারিয়েছে । ২০০১ সালের পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গবেষণা সেলে তাঁর সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাঁর শূন্যতা পূরণ হবার নয়।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে আবুল মাল আবদুল মুহিতের অবদান চির জাগরূক হয়ে থাকবে বলে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মরহুম মুহিত তাঁর কর্মের মাঝে বেঁচে থাকবেন যুগ থেকে যুগান্তর।
#
শেফায়েত/পাশা/রফিকুল/মাহমুদ/শামীম/২০২২/১৮৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৩৮
সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তারা প্রাণিসম্পদ খাতকে সমৃদ্ধ করছে
--মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ঢাকা, ১ আষাঢ় (১৫ জুন) :
সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তারা দেশের প্রাণিসম্পদ খাতকে বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায় এবং বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে সমৃদ্ধ করছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
আজ গাজীপুরের শ্রীপুরে এসিআই অ্যানিমেল জেনেটিক্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, কৃষিপ্রধান বাংলাদেশে কৃষির বিস্তার না হলে দেশ থমকে যাবে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসায় বাংলাদেশ মাছ, মাংস ও ডিমে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। অদূর ভবিষ্যতে দুধেও স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে। তাঁর সরকার মনে করে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে, তাদের সাহায্য করতে হবে। তারা স্বাবলম্বী হলে দেশ স্বাবলম্বী হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতের খামারিদের সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করছে। সরকার চায় প্রাণিখাদ্য, মাছের খাদ্য দেশে উৎপাদন হোক। এক্ষেত্রে এসিআই এর মতো অন্যান্য বেসরকারি খাতকেও এগিয়ে আসতে হবে। এসিআই কৃত্রিম প্রজননের সিমেন সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও খামারিদের সরবরাহ করছে। কৃত্রিম প্রজননের সুবিধা নেয়া খামারিদের যেন কষ্ট না হয়, সেটা এসিআইকে লক্ষ্য রাখার জন্য এস আহ্বান জানান মন্ত্রী।
এসিআই এগ্রিবিজনেসের প্রেসিডেন্ট ড. ফা হ আনসারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা। শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তরিকুল ইসলাম, গাজীপুরের কালীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা ইয়াসমিন ও শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির হিমু এ সময় বক্তব্য প্রদান করেন।
#
ইফতেখার/পাশা/রফিকুল/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/১৯৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৩৭
আইসিটি বিভাগ ও এর অধীন দপ্তর/সংস্থার সাথে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
ঢাকা, ১ আষাঢ় (১৫ জুন) :
সরকারি কাজে স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সুশাসন সংহতকরণ, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়ন ও সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সাথে এর অধীন ৬টি দপ্তর ও সংস্থার সাথে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষরিত হয় এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান করা হয়।
আজ আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সভাকক্ষে আইসিটি বিভাগের সাথে এর অধীন সংস্থা/দপ্তরসমূহের প্রধানগণ স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
সংস্থাসমূহ হচ্ছে: বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর, কন্ট্রোলার অভ্ সার্টিফাইং অথরিটিজ, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি ও বাংলাদেশ ডাটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেড (বিডিসিসিএল)।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিসিসি’র নির্বাহী পরিচালক ডক্টর আব্দুল মান্নান, আইসিটি অধিদপ্তরেরর মহাপরিচালক রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, সিসিএ নিয়ন্ত্রক আবু সাঈদ চৌধুরী, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি’র মহাপরিচালক মোঃ খায়রুল আমীন, বাংলাদেশ ডেটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেড (বিডিসিসিএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সাঈদ চৌধুরীসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
সভাপতির বক্তৃতায় সিনিয়র সচিব বলেন, সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত মৌলিক লক্ষ্য তথা ভিশন ২০২১ বাস্তবায়িত হয়েছে। তিনি কর্মকর্তা- কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রযুক্তিনির্ভর, জ্ঞানসমৃদ্ধ, উচ্চ অর্থনীতির স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি অনুযায়ী অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি অতীতের কাজের সাথে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে কাজের পরিধি বাড়ানোর ওপর জোর দেন।
উল্লেখ্য, এপিএ চুক্তি অনুযায়ী অর্থবছর শেষে চুক্তিতে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রকৃত অর্জন মূল্যায়ন করা হয়। অনুষ্ঠানে ২০২১-২২ অর্থবছরের এপিএ এবং শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান করা হয়। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির চূড়ান্ত মূল্যায়নে (এপিএ) সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি প্রথম স্থান অর্জন করে। দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ও তৃতীয় স্থান অর্জন করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর। পরে প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রধানদের কাছে সার্টিফিকেট ও পুরস্কার প্রদান করা হয়।
#
শহিদুল/পাশা/রফিকুল/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/১৯৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৩৬
জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন ১৫ থেকে ১৯ জুন প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে
-- স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১ আষাঢ় (১৫ জুন) :
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন ১৫ থেকে ১৯ জুন প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে।
আজ বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর মাধ্যমে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন ২০২২ এর উদ্বোধনকালে মন্ত্রী একথা বলেন।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুকে নিকটস্থ ইপিআই ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ৬-১১ মাস বয়সী ২৪ লাখের অধিক শিশুকে নীল রঙের ১টি করে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল, ১২-৫৯ মাস বয়সী প্রায় ১ কোটি ৯৬ লাখের অধিক শিশুকে লাল রঙের ১টি করে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এছাড়া জন্মের পর (১ ঘণ্টার মধ্যে) শিশুকে শালদুধ খাওয়ানোসহ প্রথম ৬ মাস শিশুকে শুধু মায়ের দুধ খাওয়ানো বিষয়ে পুষ্টি বার্তা প্রচার করা হবে।
প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার স্থায়ী ইপিআই কেন্দ্রের মাধ্যমে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। প্রতি কেন্দ্রে ২ জন করে মোট ২ লাখ ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক এই কার্যক্রমে নিয়োজিত থাকবে। ১২টি জেলার ৪৬টি উপজেলার ২৪০টি ইউনিয়নকে দুর্গম এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে ক্যাম্পেইন পরবর্তী ৪ দিন বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাদ পড়া শিশু অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
এই ভিটামিন-এ প্লাসের গুণাগুণ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ভিটামিন ‘এ’ দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। ভিটামিন ‘এ’ শিশুর স্বাভাবিক দৃষ্টি শক্তি বজায় রাখে ফলে শিশু রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা পায়।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের ম্যানেজমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, জাতীয় পুষ্টি সেবার লাইন ডাইরেক্টর ডা. এস. এম. মোস্তাফিজুর রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
#
মাইদুল/পাশা/রফিকুল/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/১৮৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৩৫
বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশগুলোর রোল মডেল
-- যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১ আষাঢ় (১৫ জুন) :
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনৈতিক সংগঠন ডি-৮ এর ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপিত হয়েছে। বাংলাদেশসহ ডি-৮ এর গত দুই দশকের বিভিন্ন সাফল্য ও অর্জনগুলো তুলে ধরা হয় এই আয়োজনের মাধ্যমে।
রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে বক্তব্য প্রদান করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া সচিব মেজবাহ উদ্দিন স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষ্যে ‘আঞ্চলিক যুব উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনায় ডি-৮ এর ভূমিকা’ শীর্ষক একটি সেমিনারের আয়োজন করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলা ও ইউক্রেন রাশিয়ার মধ্যেকার যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের রয়েছে বিশাল সম্ভাবনাময় তরুণসমাজ। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের মেধাবী তরুণরা ডি-৮ ভুক্ত দেশসমূহের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে অনন্য অবদান রাখবে।
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি থেকে শুরু করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি, ক্রীড়া সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য একটি রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। ডি-৮ এর দেশগুলোর সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ আরো উন্নতি লাভ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশই প্রথম ডি-এইট ইয়ুথ ফোরাম ও ডি-এইট বিজনেস ফোরাম চালু করেছে। এছাড়া ডি এইট রোডম্যাপ প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সুবিধাবঞ্ছিত যুবকদের জন্য দেশের প্রতিটি উপজেলায় শেখ জামাল যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে।
সেমিনারে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীবৃন্দ, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত যুব প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে ডি-৮ সেক্রেটারিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ডি-৮ ভুক্ত দেশের যুব নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
আরিফ/পাশা/রফিকুল/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/১৮৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৩৪
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় পদক্ষেপে দেশ স্বল্পোন্নত হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটেছে
-আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্
আগৈলঝাড়া (বরিশাল), ১ আষাঢ় (১৫ জুন) :
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় পদক্ষেপ ও সময়োপযোগী সঠিক দিক-নির্দেশনার কারণে বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রীর অক্লান্ত শ্রম, মেধা ও প্রজ্ঞার কারণে ২০৪১ সালের মধ্যে সুখি, সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশে রূপান্তরে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে এ গতি পূর্ণতা পাবে।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ আজ বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার সেরালে পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠান সর্বাত্মকভাবে সফল করতে উপজেলার তৃণমুল জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের এক সমাবেশে এসব কথা বলেন। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনীল কুমার বাড়ৈ ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুর রইচ সেরনিয়াবাতসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চিরঞ্জীব আদর্শ, বর্ণাঢ্য জীবন ও কর্ম সমাজের সর্বস্তরে প্রতিফলন ঘটিয়ে স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৭৫ পরবর্তী গণতন্ত্রহীনতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী অপশক্তির দুঃশাসন থেকে জাতিকে মুক্ত করে বাংলাদেশকে আজ বিশ্ব দরবারে সুমহান উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তিনি জাতির জন্য শেখ হাসিনা কর্তৃক সুসম্পন্নকৃত কর্মযজ্ঞকে স্বীকৃতিদানের নমুনা হিসেবে পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বরিশাল থেক