তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৯৩১
গৃহহীন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পরিবারের জন্য বিশেষ গৃহায়ন প্রকল্পের উদ্যোগ
--ভূমিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৯ অগ্রহায়ণ (১৪ ডিসেম্বর) :
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন ‘ভূমি ব্যবহার ও মালিকানা স্বত্ব’ আইনের খসড়া চূড়ান্তকরণের পথে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে, পরবর্তী বাজেট অধিবেশনের পূর্বেই সংসদে আইন তৈরির জন্য তা প্রেরণ করা হবে। তিনি সরকারের গৃহায়ন কর্মসূচির আওতায় গৃহহীন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পরিবারের জন্য বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের উদ্যোগ গ্রহণের কথা জানান।
আজ রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা নেটজ পার্টনারশিপ ফর ডেভেলপমেন্ট এন্ড জাস্টিস (নেটজ বাংলাদেশ) এর আয়োজনে ‘দ্বন্দ্বের পরিবর্তনশীলতা এবং অহিংস রূপান্তরমূলক পদ্ধতি : প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভূমি অধিকারের ওপর একটি নিবিড় পর্যবেক্ষণ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এই সময় ভূমিমন্ত্রী আশাপ্রকাশ করেন একই সময় ‘ভূমি ব্যবহার স্বত্ব গ্রহণ আইন’ এবং ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন’-এর খসড়াও সংসদে প্রেরণ করা সম্ভব হবে।
মন্ত্রী জানান, ‘ভূমি ব্যবহার ও মালিকানা স্বত্ব আইনে’র আওতায় নাগরিকদের ‘সার্টিফিকেট অভ্ ল্যান্ড ওনারশিপ’ তথা সিএলও নামক একটি ডকুমেন্ট দেওয়া হবে যেখানে ভূমি মালিকানার সব তথ্য থাকবে - জমির মালিকানা প্রমাণের জন্য বিভিন্ন ধরনের দলিলাদির প্রয়োজন হবে না। এছাড়া একই সাথে স্মার্ট কার্ডও দেওয়া হবে। কার্ডে মালিকানার সব ডিজিটাল তথ্য থাকবে। ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার’ আইনের আওতায় অবৈধ ভূমি দখলকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করে উপযুক্ত শাস্তি ও জরিমানার ব্যবস্থা থাকবে। ‘ভূমি ব্যবহার স্বত্ব গ্রহণ’-আইনের আওতায় মাটির তলদেশ দিয়ে পাইপলাইন স্থাপন ও মাটির নিচে অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে পুরো জমি অধিগ্রহণ করার প্রয়োজন হবে না, অধিকন্তু জমির মালিক আর্থিক ক্ষতিপূরণ পাবেন।
মন্ত্রী বলেন, তিনটি আইন পাস হলে তা ভূমিসেবা ডিজিটালাইজেশনের পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে যা পুরো ভূমি ব্যবস্থাপনায় আমূল সংস্কার আনবে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার কাউকে সংখ্যালঘু হিসেবে বিবেচনা করে না। আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক, আমরা বাংলাদেশি। বাংলাদেশ বহু নৃগোষ্ঠী সংবলিত একটি দেশ।
মন্ত্রী মনে করেন, বাংলাদেশ ডিজিটাল জরিপ শেষ হলে জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব অনেকাংশে কমে আসবে। তিনি বলেন, আমরা নাগরিকদের জন্য ‘কমফোর্ট জোন' তৈরি করছি এবং দেশের অপেক্ষাকৃত অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল জনগোষ্ঠীর জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছি।
সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান, ডাসকো ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আকরামুল হক অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন।
#
নাহিয়ান/সিরাজ/এনায়েত/মোশারফ/মাহমুদ/রেজাউল/২০২২/১৯৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৯৩০
স্বাধীনতা বিরোধীরা এখনো সক্রিয়
--জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৯ অগ্রহায়ণ (১৪ ডিসেম্বর) :
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, যারা এদেশের স্বাধীনতা চায়নি তারা এখনো সক্রিয়। তারা এখনো এদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে চলেছে।
আজ জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম) এ শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে “মুক্তিযুদ্ধে শহিদ চিকিৎসক জীবনকোষ” গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে প্রতিমন্ত্রী এসব বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতা করেছে তারা এদেশের উন্নয়ন চায় না। তারা চায় এদেশের মানুষের মন থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মুছে দিতে। তাই স্বাধীনতা বিরোধীরা এদেশের উন্নয়নকে করতে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী সকলকে এসব ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
নিপসম এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. বায়োজিদ খুরশিদ রিয়াজের সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডাক্তার মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
#
শিবলী/সিরাজ/এনায়েত/মাহমুদ/লিখন/২০২২/১৬০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৯২৮
পবিত্র রমজান সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে
রংপুর, ২৯ অগ্রহায়ণ (১৪ ডিসেম্বর) :
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এলসি জিরো মার্জিন অথবা ন্যূনতম মার্জিন করা হয়েছে। পরবর্তীতে নিয়ম অনুযায়ী ৬ মাস পর সেই পণ্যের বকেয়া পরিশোধ করতে পারবেন। এলসি ওপেনের কারণে অন্য ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
মন্ত্রী আজ রংপুর ডায়াবেটিক সমিতির উন্নয়নমূলক কাজ পরিদর্শন করে সমিতির মতবিনিময় সভায় যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশে আমদানি নির্ভর পণ্য ডাল, তেল, চিনি এগুলোর দাম কিছুটা বেড়েছে। কারণ বিশ্ববাজারে এসব পণ্যের দাম বেশি। তবে দেশে কৃষিজাত পণ্যের দাম কম রয়েছে। আগামী দু'তিন মাস এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে। দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তাই যতদিন পর্যন্ত প্রয়োজন ততদিন টিসিবি’র মাধ্যমে এক কোটি পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দেয়া হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, আমদানির ক্ষেত্রে বাজারের অবস্থা বিবেচনা করে ডলার সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে রেমিট্যান্সের টাকা কম দেয়া হচ্ছে না। তিনি বলেন, ডলারের দাম বাড়ার কারণে আমদানি পণ্যের দাম বেড়েছে। সে হিসেবে ডলারের মূল্য ধরে পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করা হচ্ছে। তাই অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে মুদ্রাস্ফীতি কম রয়েছে। আমদানি ব্যয় কমাতে প্রধানমন্ত্রী আমাদের সাশ্রয়ী হতে বলেছেন। বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে দেশের শতকরা ৪০ ভাগ বিদ্যুৎ খরচ কম হয়েছে। বর্তমানে আমদানি ও রপ্তানি সূচকের মধ্যে পার্থক্য কমে এসেছে। বিলাসবহুল পণ্য আমদানি কমিয়ে ডলার সাশ্রয় করা হচ্ছে।
দেশের চলমান রাজনীতি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি আন্দোলন করবে এটা তাদের অধিকার। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের শেষ কথা। রাজপথে থেকে কেউ কাউকে ক্ষমতা থেকে উঠিয়ে দেবে, এটা সম্ভব নয়। আগামী নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ করা উচিত।
পরে মন্ত্রী ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণ কর্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং পীরগাছা উপজেলায় তাম্বুলপুর ইউনিয়নে তাফসির মাহফিলে যোগদান করেন।
#
বকসী/সিরাজ/এনায়েত/মোশারফ/মাহমুদ/লিখন/২০২২/১৭৩৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৯২৭
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ২৯ অগ্রহায়ণ (১৪ ডিসেম্বর) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২১ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৭৮ শতাংশ। এ সময় ২ হাজার ৭০০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৩৭ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৮৬ হাজার ৫৫৬ জন।
#
কবীর/সিরাজ/এনায়েত/মোশারফ/মাহমুদ/রেজাউল/২০২২/১৭০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২২৬
আত্মস্বীকৃত খুনিদের যেন কোনো দেশ আশ্রয় না দেয় সেজন্য জাতিসংঘে প্রস্তাব তোলা হবে
--পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকা, ২৯ অগ্রহায়ণ (১৪ ডিসেম্বর) :
আত্মস্বীকৃত খুনিদের যেন কোনো দেশ আশ্রয় না দেয় সেজন্য জাতিসংঘে প্রস্তাব তোলা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
গতকাল রাজধানীর সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত কিছু খুনি বিভিন্ন দেশে পালিয়ে রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে আমরা একজনকে ফিরিয়ে আনতে পেরেছি। কিন্তু এখনো ৫ জন আত্মস্বীকৃত খুনি বিভিন্ন দেশে রয়ে গেছে।’ গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের মানুষের ত্যাগের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেখানে গণতন্ত্রের জন্যে, মানবাধিকারের জন্যে, ন্যায়বিচারের জন্যে, মানবিক মর্যাদার জন্যে ৩০ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েছে। পৃথিবীর অন্য কোথাও এতো মানুষ ন্যায়বিচারের জন্যে, গণতন্ত্রের জন্যে, মানবিক মর্যাদা ও মানবাধিকারের জন্যে রক্ত দেয় নাই।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের জাতির পিতা হিসেবে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য মাত্র নয় মাসের মধ্যে একটি উন্নত শাসনতন্ত্র দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে ৩ বছর দেশ পরিচালনা করেছেন। এই সাড়ে ৩ বছরে তিনি ১২৬ টি দেশের স্বীকৃতি আদায় করেছেন। বঙ্গবন্ধুর ডায়নামিক ও ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছিল। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে এদেশে আইনের শাসন ভূলুণ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আবার কাজ শুরু করে। আর গত ১৩ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনামলে আর্থসামাজিক সূচকগুলোতে প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় আমরা অনেক অগ্রগতি অর্জন করেছি। তিনি বলেন, ‘দারিদ্র্য একটা অভিশাপ। এই দারিদ্র্যকেও আমরা মোটামুটি অর্ধেকে নামিয়ে এনেছি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশের উন্নয়নের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতার ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা দেখেছি দুনিয়ায় যেখানেই সরকার স্থিতিশীল, সেখানে শান্তি বিরাজ করে।’
ড. মোমেন সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, রুয়ান্ডা, সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদাহরণ টেনে বলেন, ‘এসব দেশে দীর্ঘদিন স্থিতিশীল সরকার থাকার কারণে অনেক উন্নয়ন হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘যেসব অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নাই সেখানে উন্নত দেশও ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।’ ইরাক ও লিবিয়ার উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এসব দেশের অবস্থা একসময় অনেক ভাল থাকলেও ঐ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা না থাকায় তারা এখন কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন। সুতরাং যেখানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নাই সেখানে মানুষের কল্যাণ হয় না, মানুষের বড় কষ্ট হয়।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার এডভোকেট শামসুল হক টুকু। অন্যান্যের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সভাপতি
ড. মশিউর মালেকসহ বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
#
মোহসিন/সিরাজ/এনায়েত/মোশারফ/মাহমুদ/লিখন/২০২২/১৬০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪৯২৫
সব কিছু ছাপিয়ে উন্নয়নের পথে বাংলাদেশ
--পরিকল্পনা মন্ত্রী
ঢাকা, ২৯ অগ্রহায়ণ (১৪ ডিসেম্বর) :
পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, সব কিছু ছাপিয়ে উন্নয়নের পথে বাংলাদেশ। যারা সরকারের বিরোধিতা করে তারাও অনুধাবন করে একথা। আমরা এমন একজন রাষ্ট্রনায়ক পেয়েছি যিনি খুবই কৌতূহলী। তার কৌতূহলেই আজকের পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্নফুলী টানেল এমনকি মহাকাশে স্যাটেলাইট। আপনারা বাস্তবধর্মী আইডিয়া দেন, তা বাস্তবায়নের পথ মসৃণ করবে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হাওরের টেকসই উন্নয়নে পরিবেশের ওপর সর্ব্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করতে হবে। হাওরে রয়েছে খাদ্য উৎপাদন ও মৎস্য উৎপাদন, যা সমগ্রিক রাষ্ট্রের উন্নয়নের অংশীদার।
আজ রাজধানীর পানি ভবনের সম্মেলনকক্ষে হাওর অঞ্চলের টেকসই বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
গেস্ট অব অনার পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন; জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী হাওরের জনগণের বিষয়ে সবসময়ই চিন্তা করেন। প্রকৌশলীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে এ বছর আগাম বন্যায় হাওরাঞ্চলে ক্ষতির পরিমাণ কমানো সম্ভব হয়েছে। এ বছর বন্যায় পাঁচ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, হাওরাঞ্চল প্রাকৃতিক সম্পদের ভান্ডার। কেবল ভূপ্রকৃতিগত বৈচিত্র্যের কারণেই নয়; অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃষ্টিকোণ থেকেও সম্ভাবনার বিরাট স্থানজুড়ে আছে হাওর। হাওরের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাস অত্যন্ত সমৃদ্ধ। হাওরাঞ্চলের নদী ও খালগুলো খনন করা হলে পানি সহজে বের হয়ে যাবে, সময়মতো ফসলের আবাদ করা যাবে। বাংলাদেশের মোট ধান উৎপাদনের একটি বড় অংশ আসে হাওর থেকে। ভবিষ্যতে হাওরের টেকসই বন্যা নিয়ন্ত্রণ করে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিসহ খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জিত হবে।
গেস্ট অব অনার উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক ইচ্ছায় দেশে নদীভাঙন কবলিত এলাকা একতৃতীয়াংশ কমেছে। দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে, সর্বক্ষেত্রে সফলতা। এখন লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশের। হাওর অঞ্চলে বছরে প্রায় দুই থেকে পাঁচ হাজার মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। কৃষি উৎপাদনে, মাছ উৎপাদনে এবং অন্যান্য অ্যাকোয়াকালচার ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি হাওর অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রায়ও বৃষ্টিপাতের একটি উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশে হাওরের মানুষ পানিতে ঢুবে থাকবে তা হতে পারে না। হাওরের তাৎপর্য তুলে ধরে হাওরের জন্য বাস্তবতার ভিত্তিতে স্থায়ী সমাধানের পথ খুঁজে তা বাস্তবায়ন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী হাওরের সমস্যাগুলোর স্থায়ী সমাধান চান।
বিশেষ অতিথি সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার, পিএএ ও ড. আইনুন নিশাদ, বিশিষ্ট পানিসম্পদ বিশেষজ্ঞ। সভাপতিত্ব করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার ফজলুর রশিদ।
#
গিয়াস/সিরাজ/এনায়েত/মোশারফ/মাহমুদ/লিখন/২০২২/১৬০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৯২৪
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশ
ঢাকা, ২৯ অগ্রহায়ণ (১৪ ডিসেম্বর) :
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০২০ এর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে সর্বমোট ৩৭ হাজার ৫৭৪ জন প্রার্থীকে সহকারী শিক্ষক পদে প্রাথমিকভাবে নির্বাচনপূর্বক ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
নির্বাচিত প্রার্থীরা মোবাইল নম্বরে ফলাফলের এসএমএস পাবেন। এছাড়া প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে (www.mopme.gov.bd) এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে (www.dpe.gov.bd) ফলাফল পাওয়া যাবে।
নির্বাচিত প্রার্থীগণকে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সকল সনদের মূলকপি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ৩ কপি, যথাযথভাবে পূরণকৃত পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম সিভিল সার্জন কর্তৃক প্রদত্ত স্বাস্থ্যগত উপযুক্ততার সনদসহ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
#
তুহিন/পরীক্ষিৎ/ডালিয়া/মেহেদী/রবি/মাসুম/২০২২/১৫০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৯২৩
মহান বিজয় দিবস-২০২২ উদ্যাপনের লক্ষ্যে এবার জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে
ঢাকা, ২৯ অগ্রহায়ণ (১৪ ডিসেম্বর) :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস-২০২২ উদ্যাপনের লক্ষ্যে এবার জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে।
সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিকবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধে মিত্রবাহিনীর সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণকারী আমন্ত্রিত ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যগণ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
এছাড়া সকাল সাড়ে ১০টায় তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরস্থ জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সম্মিলিত বাহিনীর বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করবেন। প্রধানমন্ত্রীও এ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
দিনটি সরকারি ছুটির দিন। সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপসমূহকে জাতীয় পতাকা ও অন্যান্য পতাকায় সজ্জিত করা হবে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিভিন্ন বাহিনীর বাদক দল বাদ্য বাজাবেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী প্রদান করবেন। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। এ উপলক্ষ্যে ইলেকট্রনিক মিডিয়াসমূহ মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে।
বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করবে।
বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় পর্যায় এবং জেলা-উপজেলায় ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে।
ডাক বিভাগ স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করবে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হবে এবং এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, হাসপাতাল, জেলখানা, শিশু বিকাশ কেন্দ্রসহ অনুরূপ প্রতিষ্ঠানসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। দেশের সকল শিশু পার্ক ও জাদুঘরসমূহ বিনা টিকিটে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং সিনেমা হলে বিনামূল্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী হবে।
এদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা স্তম্ভ ও ভূগর্ভস্থ জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্যভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র ও পোস্টার প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে।
জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে অনুরূপ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে।
#
মারুফ/পরীক্ষিত/ডালিয়া/মেহেদী/রবি/মাহমুদা/শামীম/২০২২/ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৯২২
বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী জামায়াত-আলবদররাই বিএনপির প্রধান সহযোগী - বধ্যভূমি সৌধে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ২৯ অগ্রহায়ণ (১৪ ডিসেম্বর) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, দুঃখজনক হলেও সত্য, জামায়াতে ইসলামী, আল-বদরের নেতৃত্বে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড পরিচালিত হয়েছিল, তাদের নেতারাই এখন বিএনপির প্রধান সহযোগী। বুদ্ধিজীবী হত্যার সাথে যারা যুক্ত ছিল তাদের অনেকেই বিএনপির নেতা।
শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে রাজধানীর রায়েরবাজার বধ্যভূমি বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, আমরা আরো লক্ষ্য করেছি, ১০ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যার প্রক্রিয়াটা শুরু হয়, সাংবাদিক শহিদ সিরাজ উদ্দিন হোসেনসহ অনেককে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়, সে দিনই বিএনপি ঢাকায় সমাবেশ ডেকেছে যেটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আসলে তাদের যে পাকিস্তানপ্রীতি, পাকিস্তানের প্রতি অনুরক্তি সেগুলোই বারবার প্রকাশ পাচ্ছে, যেমন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব বলেছেন ‘পাকিস্তানই ভালো ছিল।’
মন্ত্রী বলেন, যারা স্বাধীনতাবিরোধী ছিল, যারা বুদ্ধিজীবী হত্যার সাথে যুক্ত, দেশটাই যারা চায়নি, তারা এদেশে রাজনীতি করে, তাদেরকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া হয়, স্বাধীনতার ৫১ বছর পর এটি আসলে কখনই সমীচীন নয়। কিন্তু এই অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও লালন-পালনকারি হচ্ছে বিএনপি এবং বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করা হবে কি না -এ প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, জনগণের কাছে তারা অনেক আগেই প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। আইনগত কিছু প্রক্রিয়া আছে। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টরা সেই আইনগত প্রক্রিয়াগুলোই দেখছে। তবে আমি মনে করি, জনগণের কাছ থেকে তারা ইতোমধ্যেই নিষিদ্ধ হয়ে গেছে।
বুদ্ধিজীবী দিবস নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে আমাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করা হয়েছিল। তবে বুদ্ধিজীবী হত্যার প্রক্রিয়া শুরু হয় ১০ ডিসেম্বর। ১০ ডিসেম্বর সাংবাদিক শহীদ সিরাজ উদ্দিন হোসেন এবং আরো কয়েকজনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানিরা যখন বুঝতে পারলো তাদের পরাজয় আসন্ন তখন যে জাতি স্বাধীন হতে যাচ্ছে সেই জাতিকে পঙ্গু করার জন্যই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, আইনজীবী, ডাক্তার, প্রকৌশলী -এদের হত্যা করা হয়।
#
আকরাম/পরীক্ষিৎ/ডালিয়া/আসমা/২০২২/১৩৩০ ঘণ্টা
Handout Number: 4921
Indian High Commissioner calls on Foreign Minister
Dhaka, 14 December 2022:
The High Commissioner for India to Bangladesh Mr. Pranay Kumar Verma has called on Foreign Minister Dr. A K Abdul Momen at his office today. They discussed issues of mutual interest.
Dr. Momen recalled with satisfaction the arrangements made by the Government of India during his recent visit to Silchar, Assam in the first week of this month, to participate in the first edition of the Silchar-Sylhet Festival. The Prime Ministers of both Bangladesh and India on numerous occasions have emphasized on building common platforms for promoting understanding and cooperation to further strengthen Bangladesh-India ties. Following their guidance, this festival revisited the connection, heritage, historical cultural and linguistic affinity between the two countries in order to strengthen the age-old people-to-people ties.
The Foreign Minister stressed on resuming Guwahati-Dhaka air service and also underscored the need to have direct air connectivity between Guwahati-Sylhet and direct bus service between Sylhet-Silchar for promoting people-to-people contacts, boosting bilateral ties and ensuring collective prosperity in the region.
The Foreign Minister thanked India for inviting Bangladesh to attend the G20 meetings as a ‘Guest Country’ for the tenure of their G20 Presidency. He noted that it would uphold our image in the regional settings. He also called for bolder solidarity to address the issues faced by the Global South to tackle the combined challenges of the COVID-19 crisis, the crisis in Europe, and financing for climate emergency and SDG implementation.
#
Mohsin/ Parikshit/Dalia/ Rabi/Mahmuda/Shamim/2022/1120 hour
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৯২০
ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের ৩০ বছর পূর্তিতে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২৯ অগ্রহায়ণ (১৪ ডিসেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ১৫ ডিসেম্বর ভাষাবিজ্ঞান বিভাগ এর ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগ এর ৩০ বছর পূর্তিতে আমি বিভাগের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।
ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সূচিত হয়েছিল ‘বাংলাদেশ’ নামক জাতি রাষ্ট্র গঠনের লড়াই, যার নেতৃত্ব দেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ, স্বাধীনভাবে ভাষাচর্চার অনুকূল পরিবেশ। বাংলা ভাষার সমৃদ্ধি ও সৃজনে তিনি কতটা সচেতন ও উদ্যোগী ছিলেন, তাঁর গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ ও ভাষণসমূহ বিশ্লেষণ করলেই তা অনুধাবন করা যায়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র নয় মাসেই আমাদের একটি সংবিধান উপহার দিয়েছেন। সেই সংবিধানের ১৭নং অনুচ্ছেদে সমাজের প্রয়োজনের সঙ্গে শিক্ষাকে সঙ্গতিপূর্ণ করার জন্য এবং সেই প্রয়োজন সিদ্ধ করার উদ্দেশ্যে যথাযথ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও সদিচ্ছা প্রণোদিত নাগরিক সৃষ্টির জন্য রাষ্ট্রকর্তৃক কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের উল্লেখ করেছেন। তিনি ১৯৭২ সালে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. কুদরত-ই-খুদাকে প্রধান করে একটি শিক্ষা কমিশন গঠন করেছিলেন। জাতির পিতা সদ্য স্বাধীন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করেন, প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বজনীন, অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করেন এবং ৩৬ হাজার ১৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ করেন।
আওয়ামী লীগ সরকার দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ, নৈতিক মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন আগামী প্রজন্ম এবং একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে দেশের সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন এনেছে। আমরা শিক্ষাকে যুগোপযোগী করতে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছি। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করা হয়েছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রকাশিত পাঠ্যপুস্তকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরেছি। নারী শিক্ষা প্রসারে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ২০১০ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে আমরা শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করছি। ২০১৭ সাল হতে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেইল পাঠ্যপুস্তকসহ চাকমা, মারমা, গারো, ত্রিপুরা ও সাদারি এই ৫টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাতৃভাষায় রচিত পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে। আমরা নতুন নতুন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা স্থাপন করছি। প্রতিটি জেলায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। শত শত বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করেছি এবং এ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। শিক্ষকগণের পদমর্যদা ও বেতন বৃদ্ধি করার পাশাপাশি তাঁদের মানোন্নয়নে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।
আধুনিক বিশ্বে ভাষাকে অত্যন্ত কার্যকর সম্পদ বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ভাষা গবেষণা ও চর্চার মধ্য দিয়ে ভাষাবিজ্ঞান বিভাগ তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে আসছে। বাংলা ভাষাকে প্রযুক্তি ঘনিষ্ঠ করার ক্ষেত্রে আমাদের সরকার ধারাবাহিকভাবে কাজ করে চলছে। ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণ এক্ষেত্রে নানাভাবে ভূমিকা রেখেছেন এবং ভবিষ্যতেও এটি অব্যাহত থাকবে বলে আমি প্রত্যাশা করি। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সম