তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৩৯২
কাতারের পররাষ্ট্র সচিবের সাথে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
দোহা (কাতার), ১৮ নভেম্বর :
কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো: জসীম উদ্দিন আজ কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মহাসচিব (পররাষ্ট্রসচিব) ড. আহমাদ হাসান আল হাম্মাদির সাথে বৈঠক করেন। এ সময় বাংলাদেশ-কাতারের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কাতারে চার লাখের অধিক প্রবাসী বাংলাদেশির উপস্থিতিকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অন্যতম প্রধান ভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করেন। করোনা মহামারির সময় প্রবাসী বাংলাদেশিদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্রদূত কাতার সরকারকে ধন্যবাদ জানান। দুদেশের অর্থনীতিতে তাদের অবদানের কথা তুলে ধরে কাতারে বাংলাদেশি কমিউনিটির স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে পররাষ্ট্র সচিবের সাথে রাষ্ট্রদূত আলোচনা করেন।
বাংলাদেশ-কাতার বাণিজ্য সম্পর্ককে দুদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দ্বিতীয় অন্যতম ভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করার ওপর গুরত্বারোপ করেন। কাতারের পররাষ্ট্র সচিব বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের সাথে একমত প্রকাশ করে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে দুদেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সইয়ের বিষয়ে সমর্থন জানান। অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময়, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী পর্যায়ে দ্বিতীয় ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) অনুষ্ঠান, বিনিয়োগবৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সহযোগিতা বৃদ্ধি, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কাতার সরকারের অব্যাহত সমর্থন নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।
বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া বিভাগের প্রধান খালিদ ইব্রাহিম আল-হামার এবং দূতাবাসের কাউন্সেলর (রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক) মো: মাহবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
#
খাদীজা/অনসূয়া/শাহ আলম/কামাল/আসমা/২০২০/১২৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৩৯১
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ৩ অগ্রহায়ণ (১৮ নভেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট সকল দুর্যোগ-দুর্ঘটনার বিষয়ে জনসাধারণকে সচেতন করার লক্ষ্যে ১৯ নভেম্বর থেকে ‘ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ ২০২০’ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আমি শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর একটি জরুরি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান। ভূমিকম্প, অগ্নি দুর্ঘটনা, নৌযান দুর্ঘটনা, সড়ক দুর্ঘটনাসহ যে কোন মানবসৃষ্ট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে এ বিভাগের কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অগ্নি নির্বাপণ ও উদ্ধারকাজে অংশ নেন। এ কারণে নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এই প্রতিষ্ঠানের সামর্থ্য বৃদ্ধির জন্য বাস্তবমুখী ও কার্যকর উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। দেশের প্রতিটি উপজেলায় ন্যূনতম একটি করে ফায়ার স্টেশন নির্মাণের কর্মসূচি বাস্তবায়ন শেষ পর্যায়ে। আমরা ফায়ার স্টেশনের সংখ্যা ২০৬টি থেকে ইতোমধ্যে ৪৩৫টিতে উন্নীত করেছি। নির্মাণসম্পন্ন আরো বেশ কিছু ফায়ার স্টেশন চালুর অপেক্ষায় আছে। ফায়ার স্টেশনের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি এ বিভাগের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর ব্যাপারেও আমরা ইতোমধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছি।
আমি আশা করি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স –এর কর্মীরা নতুন উদ্যমে সাহস, সততা, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্বপালন করবেন এবং নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়নের মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ে তুলতে সহায়তা করবেন।
আমি ‘ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ ২০২০’-এর সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/অনসূয়া/শাহ আলম/কামাল/শামীম/২০২০/১০১৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৩৯০
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ৩ অগ্রহায়ণ (১৮ নভেম্বর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ-২০২০’ উপলক্ষ্যে আমি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা-কমচারীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। অগ্নিনির্বাপণ, অগ্নিপ্রতিরোধ, উদ্ধার ও অন্যান্য সেবা কার্যক্রম সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিতকরণ এবং সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশব্যাপী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ পালনের উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আমি বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালনকালে নিহত ফায়ার সার্ভিসকর্মীদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।
অগ্নিনির্বাপণ, আহতদের সেবা প্রদান, মুমূর্ষু রোগী পরিবহন এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়সহ যে-কোনো মানবসৃষ্ট দুর্যোগে জনজীবনের নিরাপত্তা বিধানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন দুর্যোগের সময় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রথম সাড়াদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে হিসেবে সবসময় জনগণের পাশে এসে দাঁড়ান। তাদের উপস্থিতি আহত ও দুর্ঘটনায় আটকে পড়া মানুষকে বাঁচার সাহস যোগায়। শিল্পায়ন ও নগরায়নের ব্যাপকতার ফলে দেশে দুর্ঘটনার হার ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন দুর্যোগে উদ্ধারকাজ পরিচালনায় দেখা দিচ্ছে নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ। এসকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ফায়ার সার্ভিসকর্মীদের আধুনিক সরঞ্জাম সরবরাহ ও উন্নত প্রশিক্ষণ অত্যন্ত জরুরি। সরকার এ লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে আমি আশা করি।
ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বজ্রপাত ও ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বজ্রপাত ও ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় জনসচেতনতা সৃষ্টিতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন আয়োজন জনগণের সাথে এ বিভাগের কর্মীদের ঘনিষ্ঠতা ও পারস্পরিক যোগাযোগ আরও বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।
আমি ‘ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ - ২০২০’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সকল কর্মসূচি সফল হোক - এ কামনা করি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
আজাদ/অনসূয়া/শাহ আলম/কামাল/আসমা/২০২০/১২২১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৩৮৯
গভীর সমুদ্রে বৈজ্ঞানিক গবেষণার কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার আহ্বান বাংলাদেশের
নিউইয়র্ক, ১৮ নভেম্বর :
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেছেন, সুনীল অর্থনীতি থেকে উদ্ভূত সম্ভাবনার পূর্ণ সুফল ঘরে তুলতে আমাদের প্রয়োজন সমুদ্রসম্পদে বিশেষ করে জাতীয় সমুদ্রসীমানার বাইরে এবং আন্তর্জাতিক সমুদ্র-তলদেশ কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ন্যায়সংগত অংশীদারিত্ব।
গতকাল, আন্তর্জাতিক সমুদ্র-তলদেশ কর্তৃপক্ষ প্রণীত সমুদ্রে বৈজ্ঞানিক গবেষণার খসড়া কর্মপরিকল্পনার ওপর আয়োজিত উচ্চপর্যায়ের ভার্চুয়াল সভায় তিনি একথা বলেন। টেকসই উন্নয়নলক্ষ্য বাস্তবায়ন এবং জাতিসংঘের সমুদ্রবিজ্ঞান দশককে এগিয়ে নিতে এই কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়।
বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহীত রূপকল্প ২০৪১ এর উদাহরণ টেনে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, দেশের সমুদ্রসম্পদের কার্যকর ব্যবহার ও বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বিনির্মাণে বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করছে, যাতে রূপকল্প-২০৪১ এর অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হয়। প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার ও ভারতের সাথে সমুদ্রসীমার শান্তিপূর্ণ মিমাংসার পর সুনীল অর্থনীতি বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নখাত হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে উল্লেখ করেন তিনি। আন্তর্জাতিক সমুদ্রতলদেশ কর্তৃপক্ষসহ অন্যান্য অংশীজনের সাথে গভীর সমুদ্র এলাকায় যৌথ গবেষণা পরিচালনা করার বিষয়ে বাংলাদেশের গভীর আগ্রহের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
গভীর সমুদ্র তলদেশে গবেষণা এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক সমুদ্রতলদেশ কর্তৃপক্ষ গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগসমূহকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। গভীর সমুদ্রে বৈজ্ঞানিক গবেষণা পরিচালনার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ের ওপর জোর দেন তিনি। এগুলো হলো: উন্নয়নশীল দেশসমূহের সক্ষমতা বিনির্মাণ ও কারিগরি ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদান করা; সকলের অন্তর্ভুক্তি এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রতিস্তরে বহু-অংশীজনভিত্তিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করা; পর্যাপ্ত, সম্ভাব্য ও উদ্ভাবনী অর্থায়ন নিশ্চিত করা এবং সর্বোপরি সমুদ্র-পরিবেশসহ জীববৈচিত্র্য অক্ষুন্ন রাখা। এছাড়া গভীর সমুদ্রে বৈজ্ঞানিক গবেষণা ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার বিষয়েও গুরুত্ব প্রদান করেন তিনি।
আন্তর্জাতিক সমুদ্র তলদেশ কর্তৃপক্ষের মহাসচিব মাইকেল ডব্লিউ লজ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কোরিয়ার সমুদ্র ও মৎস্যসম্পদ মন্ত্রী, নরওয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্টেট সেক্রেটারি এবং জাতিসংঘ সদস্য দেশসমূহের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সমুদ্রতলদেশ কর্তৃপক্ষ পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে।
#
অনসূয়া/শাহ কামাল/কামাল/শামীম/২০২০/১২২৩ ঘণ্টা