তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৬৬১
ধর্মীয় সহনশীলতায় বাংলাদেশ সমসাময়িক বিশ্বে উজ্জ্বল উদাহরণ
- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ২১ বৈশাখ (৪ মে) :
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাম্প্রদায়িক চেতনার ফলেই ১৯৭১ সালে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। তিনি বলেন, ধর্মবর্ণনির্বিশেষে সবার দেশ বাংলাদেশ। বাংলাদেশের নাগরিকত্ব কোনো ধর্মের ভিত্তিতে হয় না, জন্মসূত্রে আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক।
মন্ত্রী আজ বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন আয়োজিত শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা-২০২৩ উপলক্ষ্যে ঢাকার মেরুল বাড্ডাস্থ আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাথু বেহ এবং সভাপতিত্ব করেন উপসংঘরাজ ধর্মপ্রিয় মহাথের।
মন্ত্রী বলেন, বাঙালির ঐতিহ্য হচ্ছে অসাম্প্রদায়িক চেতনা। হাজার বছর ধরে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষ মিলেমিশে পাশাপাশি বসবাস করেছে। তিনি বলেন, ধর্মীয় সহনশীলতায় বাংলাদেশ সমসাময়িক বিশ্বে উজ্জ্বল উদাহরণ।
মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, বিএনপি শাসনামলে চট্টগ্রামের রাউজানে হিন্দু ধর্মের মানুষদের ওপর যে বর্বর নির্যাতন হয়েছে তা পাকিস্তানি হানাদারদের নৃশংসতাকেও হার মানায়। বর্তমান সরকারের আমলে ধারাবাহিক নানা উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল ধর্মের নাগরিকদের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করেছেন। তিনি বলেন, এই দেশটা আমাদের সবার এবং দেশের উন্নয়নে সবাইকে আত্মনিয়োগ করতে হবে।
#
হেমায়েত/রাহাত/রফিকুল/শামীম/২০২৩/২১৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৬৬০
বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ-ভারত
যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির ২১তম সভা অনুষ্ঠিত
খুলনা, ২১ বৈশাখ (৪ মে) :
বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত বাংলাদেশ-ভারত যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির ২১তম সভা আজ ওজোপাডিকোর খুলনাস্থ বিদ্যুৎ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আয়োজিত সভায় বাংলাদেশের পক্ষে বিদ্যুৎ সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান এবং ভারতের পক্ষে ভারতের বিদ্যুৎ সচিব অলক কুমার (Alok Kumar) নেতৃত্ব দেন। সভায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা সংক্রান্ত চলমান কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। সভায় বাংলাদেশ থেকে ভারতে বিদ্যুৎ রপ্তানিসহ বিআইএফপিসিএলের মাধ্যমে ভারতে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের সম্ভাবনা এবং বিআইএফপিসিএল কর্তৃক সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়।
বিদ্যুৎ আমদানির জন্য ভারত-বাংলাদেশ আন্তঃসংযোগ লিংকসহ স্টিয়ারিং কমিটির সভায় জিএমআর কর্তৃক নেপালে উৎপাদিত জল বিদ্যুৎ হতে ভারতের মাধ্যমে বাংলাদেশে ৫০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানির লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষর; ভুটানে জল বিদ্যুৎ প্রকল্পে বাংলাদেশ, ভারত ও ভুটানের ত্রিপাক্ষিক বিনিয়োগ এবং উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আমদানির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এছাড়া সভায় বাগেরহাটের রামপালে বাস্তবায়নাধীন ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থারমাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের ১ম ইউনিটের পরিচালন ও ২য় ইউনিটের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আগামী জুনের মধ্যে ২য় ইউনিটের সিনক্রোনাইজ সম্পন্ন হবে মর্মে সভায় আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
সভায় ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উচ্চ ক্ষমতার আন্তঃসংযোগ কাটিহার-পার্বতীপুর-বরানগর ৭৬৫ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন বাস্তবায়নের বিষয়টি পর্যালোচনা করা হয়। ক্রস বর্ডার ট্রেড ও প্রকল্পগুলোর যৌথ উন্নয়ন এবং বাংলাদেশে জ্বালানি দক্ষতা প্রকল্পও আলোচনায় স্থান পায়।
এর আগে বাংলাদেশ-ভারত জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের ২১তম সভা ৩ মে একই স্থানে অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত বাংলাদেশ-ভারত জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটি ও জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের ২০তম সভা গতবছর মে মাসে ভারতের ধর্মশালায় অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির পরবর্তী সভা আগামী নভেম্বর মাসে ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
#
আসলাম/রাহাত/রফিকুল/শামীম/২০২৩/২০৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৬৫৯
ফকির আলমগীর ছিলেন বাংলাদেশের গণসংগীত জগতের প্রাণপুরুষ
-- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২১ বৈশাখ (৪ মে) :
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ফকির আলমগীর ছিলেন বাংলাদেশের গণসংগীত জগতের প্রাণপুরুষ। প্রয়াত এ গণসংগীত শিল্পী ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সরকার তাঁর এ অসামান্য অবদানের জন্য ইতোমধ্যে তাঁকে একুশে পদকে ভূষিত করেছে। তিনি দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হবার যোগ্য। সেজন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব পাঠানো হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী আয়োজিত সংগঠনটির ‘ষোড়শ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সত্যেন সেন সম্মাননা পদক-২০২৩’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, আমাদের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিকে তৃণমূল পর্যায়ে প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, যদিও আমাদের বাজেট প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। তবুও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংস্কৃতিকে অর্থ দিয়ে পরিমাপ করা যাবে না, একে হৃদয়ে ধারণ করতে হবে।
সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি ড. হায়াৎ মামুদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান ও সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. নিগার চৌধুরী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট। শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন ফকির আলমগীরের পুত্র মাসুক আলমগীর।
উল্লেখ্য, প্রগতিশীল সাহিত্য ও সংস্কৃতি আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ, বিশিষ্ট সুরকার ও গীতিকার ‘সত্যেন সেন’ এর নামে প্রবর্তিত সম্মাননা পদক এ বছর বরেণ্য গণসংগীত শিল্পী প্রয়াত ফকির আলমগীরকে প্রদান করা হয়।
#
ফয়সল/রাহাত/রফিকুল/লিখন/২০২৩/২০২৭ঘণ্টা
Handout Number : 1658
Bangladesh-US Partnership Dialogue held in Washington
Dhaka, May 04 :
The 9th Bangladesh-US Partnership Dialogue was held at the U.S. Department of State in Washington DC on 3 May, where key bilateral and global issues of mutual interest were discussed. Foreign Secretary Ambassador Masud Bin Momen and U.S. Under Secretary of State for Political Affairs Ambassador Victoria Nuland led their respective delegations.
Foreign Secretary Momen briefed the US side about the Prime Minister’s visit to Japan and later to Washington DC to celebrate the 50 years of partnership between Bangladesh and the World Bank. He also shared the outline of Bangladesh’s recently released Indo-Pacific outlook. Ambassador Nuland noted number of areas of convergence between the two countries' respective Indo-Pacific documents. Foreign Secretary Momen also briefed his US counterpart about various measures taken by the Election Commission to pave the way for free and fair elections at both local and national level. The US side appreciated the Bangladesh Prime Minister’s express commitment on free and fair elections as well as openness to engage international election monitors.
The Bangladesh Foreign Secretary shared some of the positive developments on Bangladesh’s recent human rights performance. He reiterated the call for lifting the sanctions on RAB and extraditing Rashed Chowdhury, the self-confessed killer of Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman.
Ambassador Nuland acknowledged the Bangladesh Government’s announcement to review the Digital Security Act by this year. She also emphasized the importance of continuing progress with the labour sector reform in order for attracting enhanced investment from the US.
Both sides expressed satisfaction at the growing and vibrant business cooperation in a number of critical sectors. They agreed to continue working further on cyber security and data protection to enhance business engagements by the US tech giants in Bangladesh.
Ambassador Nuland appreciated Bangladesh’s remarkable generosity in hosting the Rohingyas from Myanmar and assured USA’s continued humanitarian support. Foreign Secretary Momen briefed her about the latest situation of the funding for Rohingya response as well as the renewed pilot scheme for repatriating a limited number of Rohingyas to Myanmar. Both sides agreed to further scale up the resettlement programme for some of the most vulnerable Rohingyas.
The two sides exchanged their views on the climate change related issues and discussed areas of cooperation in this regard. The Foreign Secretary invited Under Secretary Nuland to the 10th round of the Partnership Dialogue which will take place in Dhaka next year.
Bangladesh Ambassador to USA Muhammad Imran and senior officials from relevant Ministries and Bangladesh Embassy in Washington were present in the meeting. The US Ambassador to Bangladesh Peter Haas, Ambassador Donald Lu and senior officials from the US State Department, White House and the USAID were present from the US side.
#
Mohsin/Arman/Rafiqul/Salim/2023/1700 Hrs.
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৬৫৭
অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ের সাথে নাগরিক সচেতনতা জরুরি
-- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ২১ বৈশাখ (৪ মে):
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে অবকাঠামো নির্মাণে সকল আইন যথাযথভাবে অনুসরণ করার বিকল্প নেই। সেজন্য একটি এলাকায় পর্যাপ্ত রাস্তাঘাট, জলাধার ও উন্মুক্ত স্থান থাকতে হবেও বলে জানান তিনি। বলেন, বসবাসযোগ্য ঢাকা নির্মাণে এই শহরের জনসংখ্যা এবং তাদের জন্য সুযোগ সুবিধা নির্ধারণ করতে হবে। অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপ এবং অপর্যাপ্ত নাগরিক সুবিধার কারণে ঢাকা শহর দিন দিন বসবাসের যোগ্যতার মাপকাঠিতে নিম্নগামী।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত ‘বার বার অগ্নিদুর্ঘটনার কারণ: প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক নগর সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি অমিতোষ পাল।
মন্ত্রী বলেন, সরকারি সংস্থাসমূহের সঠিক সমন্বয়ের সাথে অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধে জনগণের সচেতনতাও জরুরি। সবাই স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করলে অগ্নিদুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, একটি বিল্ডিং বা মার্কেট নির্মাণের সময় বিশেষজ্ঞ হিসেবে আর্কিটেক্ট থেকে শুরু করে ইঞ্জিনিয়ার সবাই পরিকল্পনা করে অবকাঠামো নির্মাণ করেন। নির্মাণের সময় যদি সঠিক নিয়ম মেনে অবকাঠামো নির্মাণ করা না হয় তাহলে সেখানে অগ্নি ঝুঁকি অবশ্যম্ভাবী।
তাজুল ইসলাম বলেন, যে কোনো ধরনের অবকাঠামো নির্মাণে আইনের ব্যতয় হলে যিনি আইন ভঙ্গ করেছেন তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। সে ক্ষেত্রে ইঞ্জিনিয়ার, আর্কিটেক্ট বা ভবনের মালিক যার অবহেলায় অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটবে তাকেই শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
এ সময় অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে নিয়মিত মহড়া এবং প্রশিক্ষণের ওপর জোর দেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর চেয়ারম্যান মোঃ আনিছুর রহমান মিঞা, আলোচক হিসেবে ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান, ঢাকা ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী কামরুল হাসান, ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক লে. কর্নেল মোঃ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অভ্ প্লানার্সের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান।
#
হেমায়েত/আরমান/রফিকুল/সেলিম/২০২৩/১৭৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৬৫৬
অগ্নিসন্ত্রাসী ও হুকুমদাতাদের বিচার হবে
---তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ২১ বৈশাখ (৪ মে) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশে ২০১৩-১৪-১৫ সালে বিএনপি-জামাতের নেতাদের নির্দেশে সন্ত্রাসীরা রাজনৈতিক দাবি-দাওয়া আদায়ের নামে অবরোধের সময় যেভাবে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে, তা শুধু দেশের ইতিহাসেই নয়, পৃথিবীর রাজনৈতিক ইতিহাসে সমসাময়িককালে কোথাও ঘটেনি।’ তিনি বলেন, শুধু যারা পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছে তাদের বিচার হলেই হবে না, যারা এর হুকুমদাতা, অর্থদাতা তাদেরও বিচার হতে হবে এবং এই অপরাধের যদি বিচার না হয় তাহলে এ ধরনের অপরাধ আরো ঘটবে।
আজ রাজধানীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ এলাকায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে ‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ' সংগঠন আয়োজিত 'মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী বিএনপি-জামাতের অগ্নিসন্ত্রাসী ও হুকুমদাতাদের বিচারের দাবিতে প্রতিকী অনশন’ শীর্ষক কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসীরা ২০১৩-১৪-১৫ সালে অসহায় মানুষের ওপর, স্কুলগামী বালক-বালিকার ওপর, বিশ্ব ইজতেমা থেকে ফেরত মানুষের ওপর, বাসযাত্রীদের ওপর, অবরোধের কারণে থেমে থাকা ট্রাকে ঘুমন্ত চালকের ওপর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে পুড়িয়ে তাদের শরীর অঙ্গার করে দিয়েছে, মানবতাকে ভূলুণ্ঠিত করেছে।
হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘শুধু পেট্রোল বোমা নিক্ষেপকারীরাই অপরাধী নয়, এর নির্দেশ সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপারে লন্ডন থেকে এসেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব, গয়েশ্বর রায় বাবু, মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির নেতারাই এই হামলার নির্দেশদাতা। তাদের নির্দেশে, তাদের অর্থায়নেই এই পেট্রোল বোমা হামলা পরিচালনা করা হয়েছে। আজকে সেই পেট্রোল বোমা হামলার শিকার যারা, তারা বিচারের দাবি নিয়ে এসেছে। মির্জা ফখরুল সাহেব বড় বড় কথা বলেন, কিন্তু তার দলের নেতৃত্বে যে অপরাধ হয়েছে, তার দায় তিনি এড়াতে পারেন না। সব অপরাধীরই বিচার হতে হবে।’
তিনি বলেন, অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার এই খেটে খাওয়া মানুষগুলো এ দেশের নাগরিক ও মালিক। তারা রাজনীতি করে না, রাজনীতি বোঝে না এবং তারা কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতেও যায়নি, প্রাত্যহিক কাজে জীবিকার তাগিদে বেরিয়েছিল। এই ধরনের ন্যাক্কারজনক মানবতাবিরোধী ঘটনা বিশ্বের কোথাও ঘটেনি।
পেট্রোল বোমা হামলার শিকার ও তাদের পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, 'এই মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি প্রয়োজন। তাই আমি মনে করি এই মামলাগুলো দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে হওয়া প্রয়োজন এবং অগ্নিসন্ত্রাসের হুকুমদাতা, অর্থদাতাদেরও বিচারের আওতায় আনা উচিত। এই অপরাধের উপযুক্ত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবির সাথে আমি একাত্মতা প্রকাশ করছি।'
এ সময় বিদেশি সংস্থা, কূটনীতিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, যারা মানবাধিকারের কথা বলেন, তাদের উচিত এই অধিকার ক্ষুন্ন হওয়া মানুষগুলোর সাথে সংহতি জানানো। তাহলে এই ধরনের অপরাধ চিরতরে বন্ধ হওয়ার পথ সুগম হবে।
চলমান পাতা-২
পাতা-২
পেট্রোল বোমা হামলায় আহত সংসদ সদস্য এড. খোদেজা নাসরিনের সভাপতিত্বে অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ সংগঠনের আহ্বায়ক শাহাদাৎ হোসেন বাবুলের সঞ্চালনায় ও মোঃ রাশেদুল ইসলামের সমন্বয়ে পেট্রোল বোমায় অগ্নিদগ্ধ গীতা রাণী সেন, নিহত নাহিদের মাতা রুনি বেগম, নিহত ইউসুফের সন্তান জাহেদুল ইসলাম, নিহত আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী পারভীন, নিহত পুলিশ সদস্য সিদ্ধার্থের পিতা বিমল চন্দ্র সরকারসহ পেট্রোল বোমা হামলার শিকার প্রায় শতাধিক নারী-পুরুষ কর্মসূচিতে অপরাধীদের বিচার দাবি করে মর্মস্পর্শী বক্তব্য দেন।
পেট্রোল বোমায় আহত ও নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ঢাবি সমাজ কল্যাণ অনুষদের ডিন জিয়া রহমান, আওয়ামী লীগের উপ প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, একুশে টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী পীযুষ বন্দোপাধ্যায়, ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর প্রমুখ।
কর্মসূচিতে আগত পেট্রোল বোমায় আহত ও নিহতদের স্বজনদের পানি পান করিয়ে তাদের অনশন ভঙ্গ করান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ।
#
আকরাম/আরমান/রফিকুল/আব্বাস/২০২৩/১৭১১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৬৫৫
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ২১ বৈশাখ (৪ মে) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২৩ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার এক দশমিক ১৪ শতাংশ। এ সময় ২ হাজার ২৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৪৬ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ৫ হাজার ৮০৬ জন।
#
সুলতানা/আরমান/রফিকুল/আব্বাস/২০২৩/১৬৫১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৬৫৪
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় নিরাপত্তা পরিষদকে সংহতি প্রদর্শনের আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত মুহিত
নিউইয়র্ক, ৪ মে:
রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের মাতৃভূমি মায়ানমার থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর প্রায় ছয় বছর কেটে গেছে। এই সংকট নিরসনে নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বরং ক্রমাগত নীরব ভূমিকা পালন করছে।
গতকাল জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে অনুষ্ঠিত ‘ফিউচার প্রুফিং ট্রাস্ট ফর সাস্টেইনিং পিস’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত।
জনগণ ও বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অবিশ্বাসের প্রসঙ্গ টেনে রাষ্ট্রদূত বিশ্বশান্তির জন্য দৃশ্যমান হুমকিসমূহ মোকাবেলা এবং রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের মতো সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণদের সুরক্ষায় সংহতি ও ঐক্য প্রদর্শনের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মাঝে বিশ্বাস অর্জনের জন্য পরিষদকে আরো বেশি সক্রিয় হওয়া আবশ্যক।
স্থায়ী প্রতিনিধি মুহিত তাঁর বক্তব্যে বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার্থে শান্তিরক্ষীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জাতিসংঘ শান্তি বিনির্মাণ কমিশনারকে এ সংক্রান্ত ম্যান্ডেট আরো জোরদার করারও আহ্বান জানান। রাষ্ট্রদূত টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তি বিনির্মাণে নারীর পূর্ণ, সমান ও অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও মানবাধিকার রক্ষাসহ বৃহত্তর শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে তিনি জাতিসংঘের এ সকল কর্মসূচির পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন।
#
সিরাজ/রবি/মাহমুদা/কলি/মাসুম/২০২৩/১০৩০ঘণ্টা