Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৬ অক্টোবর ২০২৩

তথ্যবিবরণী ৬ অক্টোবর ২০২৩

Handout                                                                                                          Number : 1195

 

Foreign Minister inaugurated the Sylhet-Silchar Festival

 

Dhaka, 6 October :

Today in the evening at a hotel in Sylhet, Foreign Minister Dr. A K Abdul Momen inaugurated the 2nd round of Sylhet-Silchar Festival. The festival aims to promote cultural and people-to-people contact linking the two cities: Sylhet and Silchar. 

The first edition of the Sylhet-Silchar festival was held on 02-04 December 2022 in Silchar, Assam. In the inaugural session a number of speakers including Foreign Minister Dr. A K Abdul Momen, Dr. Rajkumar Ranjan Singh, Minister of State for External Affairs & Education of India and Mr. Ram Prasad Paul, Deputy Speaker of Tripura Legislative Assembly made their valued remarks.

Foreign Minister in his remarks mentioned that Bangladesh and North East India are much more than just next-door neighbours. The North-Eastern states played an important role during our War of Liberation in 1971. Economically, these States, particularly Assam, is growing fast and is at the heart of India’s Act East Policy in which Bangladesh also figures prominently, as Bangladesh enjoys unique strategic locations as a land bridge between South Asia and South-East Asia. Foreign Minister hoped that Sylhet-Silchar Festival will play a very effective role in further strengthening relations, especially with the North-east region by showcasing our common culture, similar cuisine, and shared aspirations.

Minister of State for External Affairs & Education of India Dr. Rajkumar Ranjan Singh in his remarks noted that Bangladesh and North East States of India can work together for the betterment of people. He expressed his satisfaction on the recent progress made on connectivity projects undertaken by the two governments. He appreciated the present Government led by Prime Minister Sheikh Hasina for strengthening relations with India and achieving remarkable socio-economic development made during the last fourteen years. 

All the speakers appreciated the initiative of holding Sylhet-Silchar festival and noted that meaningful and effective cooperation and interactions between Bangladesh and North East States of India are mutually beneficial for the people of both regions.  

During the festival people from both Sylhet and Silchar would showcase their cultural affinity and similarities. Almost hundred people from Silchar have crossed the border to attend this festival in Sylhet. Number of cultural teams from Sylhet and Silchar are expected to showcase their cultural performances. The festival is also organizing a culinary festival. 

#

 

Mohsin/Rafiqul/Shamim/2023/2140 hour

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ১১৯৪

একমাত্র আওয়ামী লীগই পারে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে

                                                      -- পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

বরিশাল, ২১ আশ্বিন (৬ অক্টোবর) :

পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, দেশের মানুষ মনে করে একমাত্র আওয়ামী লীগই পারে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে। কাজেই নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে আবারো দেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ দেবেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে আমরা এখন স্মার্ট বাংলাদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছি । আগামীতে আমাদের বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট সোসাইটি এবং স্মার্ট সিটিজেনের সমন্বয়ে গড়ে উঠবে স্মার্ট বাংলাদেশ।

আজ বরিশাল নগরীর সদর রোডের বিসিসি’র মেয়রের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ বরিশাল মহানগর শাখার নেতৃবৃন্দদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের প্রতি যতটা আন্তরিক সেভাবে তাঁর নেতৃত্বেই আগামী জাতীয় নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করে বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে। জনগণ এখন কাজে বিশ্বাসী, জনগণ দৃশ্যমান উন্নয়ন দেখে ফাঁকা আওয়াজে কান দিবে না। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে।

মতবিনিময় সভায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি)-এর নবনির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত, মেয়র পত্নী লুনা আব্দুল্লাহ, বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এড. আফজালুল করীম, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. লষ্কর নুরুল হক, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ মাহমুদুল হক খান মামুন, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কহিনুর বেগমসহ সকল ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

#

গিয়াস/রফিকুল/সেলিম/শামীম/২০২৩/২০৫০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ১১৯৩

 

উত্তরাকে সাংস্কৃতিক নগরী হিসাবে গড়ে তোলা হচ্ছে

                                       -- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ২১ আশ্বিন (৬ অক্টোবর) :

 

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, রাজধানীর উত্তরাকে সাংস্কৃতিক নগরী হিসাবে গড়ে তোলা হচ্ছে।  এ  লক্ষ্যে উত্তরা ৩য় ফেজ প্রকল্পে রাজউকের পক্ষ থেকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে ৪১ কাঠা জমি বরাদ্দ প্রদান করার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। বরাদ্দকৃত জায়গায় নান্দনিক সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স স্থাপন করা হবে যেখানে থাকবে আধুনিক মিলনায়তন, সিনেপ্লেক্স, লাইব্রেরি, জাদুঘর, প্রদর্শনী গ্যালারি-সহ সংস্কৃতির সকল শাখা চর্চার সুযোগ-সুবিধা।

 

প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর উত্তরাস্থ বিসিক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (সাবেক স্কিটি) মিলনায়তনে গীতাঞ্জলি ললিতকলা একাডেমির ১৯ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে একাডেমি আয়োজিত দুই দিনব্যাপী (৬-৭ অক্টোবর) বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

 

প্রধান অতিথি বলেন, গীতাঞ্জলি ললিতকলা একাডেমি উত্তরা অঞ্চলের সাংস্কৃতিক আন্দোলন ও জাগরণে নেতৃত্ব দিচ্ছে। আর এ সংগঠনটির কর্ণধার ও প্রাণপুরুষ মাহবুব আমিন মিঠু যিনি গত ১৯ বছর ধরে নানাবিধ সংকট ও বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও আন্তরিকতা, নিরলস শ্রম ও প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে এটিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিমন্ত্রী এসময় সংস্কৃতি চর্চার সুবিধার্থে বিসিক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (সাবেক স্কিটি) মিলনায়তন সংস্কারের জন্য শিল্পমন্ত্রী বরাবর আধা-সরকারি পত্র প্রদানসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।

 

বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক এবং গীতাঞ্জলি ললিতকলা একাডেমির উপদেষ্টা হাশেম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন গীতাঞ্জলি ললিতকলা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহবুব আমিন মিঠু। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব খেন চান।

 

উল্লেখ্য, দুই দিনব্যাপী গীতাঞ্জলি ললিতকলা একাডেমির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের সমাপনী দিনে (৭ অক্টোবর) দেশের শিক্ষা, শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য 'গীতাঞ্জলি সম্মাননা পদক-২০২৩' প্রদান করা হবে। যেসব বিশিষ্টজনরা গীতাঞ্জলি সম্মাননা পদক-২০২৩ পাচ্ছেন তাঁরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদ এর সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম হামিদ ও বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী অধ্যাপক জামাল আহমেদ। এদিন প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে সম্মাননা পদক-২০২৩ প্রাপ্ত গুণিজনদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করবেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম।

 

প্রতিমন্ত্রী পরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব পর্ষদ আয়োজিত ১২ দিনব্যাপী (৬-১৭ অক্টোবর) ‘দ্বাদশ গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২৩’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন।

 

#

 

আকরাম/রফিকুল/সেলিম/২০২৩/২০৪০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ১১৯২

 

বিএনপি’র রোডমার্চে বাবার ছবি দেখে বিষপান করা

ছাত্রলীগ নেতার পাশে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

 

চট্টগ্রাম, ২১ আশ্বিন (৬ অক্টোবর) :

 

চট্টগ্রামে বিএনপি’র রোডমার্চে অংশ নেওয়া বাবার ছবি দেখে ক্ষোভে বিষপান করা রাঙ্গুনিয়ার পোমরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতা নীরব ইমনকে (২২) দেখতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ।

 

আজ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৩ নং ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা ইমনের পাশে কিছু সময় কাটান তথ্যমন্ত্রী। এসময় তিনি অসুস্থ ছাত্রলীগ নেতার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। যথাযথ চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হাসপাতালের দায়িত্বশীলদের নির্দেশনা ও চিকিৎসা ব্যয়ের জন্য ছাত্রলীগ নেতার বাবা মোহাম্মদ জহিরের হাতে আর্থিক সহায়তাও তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী।

 

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে রাঙ্গুনিয়ার পোমরা ইউনিয়নের মালিরহাট এলাকার নিজ বসতঘরে বিষপান করেন নীরব ইমন। তিনি পোমরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তার বাবা জহির ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতি। ইমনের বাবা মোহাম্মদ জহির (৪৫) চট্টগ্রাম নগরীতে বিএনপির রোডমার্চ কর্মসূচিতে অংশ নেন, এরকম একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ইমনের মেসেঞ্জারে পাঠান তার বন্ধুরা। বিএনপির রোডমার্চে তার বাবার অংশ নেয়াকে মেনে নিতে পারেননি ইমন। ক্ষুব্ধ ইমন বাড়িতে ছুটে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে রাগারাগি করেন এবং এক পর্যায়ে বিষপান করে বসেন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

 

অসুস্থ ইমন শুক্রবার চমেক হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘মানুষ রাজনীতি করে দেশের উন্নয়নের জন্য, আমার বাবা অনেকদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত, কিন্তু তার দল রাঙ্গুনিয়ায় কোনো উন্নয়ন করেনি। রাঙ্গুনিয়ায় আমাদের নেতা তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহ্‌মুদ হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন করেছেন, হাজার হাজার ছেলে মেয়ের চাকুরি হয়েছে। আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত, আমার বাবাকে অনেকবার নিষেধ করেছি তিনি শোনেননি। বাবা অন্য দলের রাজনীতি করবে আর বন্ধুরা সেটা আমাকে দেখিয়ে দিবে সেটা মেনে নিতে পারিনি। এ সময় তার বাবা মোহাম্মিদ জহিরও পাশে উপস্থিত ছিলেন।’

 

চমেক হাসপাতাল মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. এম এ সাত্তার বলেন, বিষপানে অসুস্থ ইমনকে ৪৮ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।  প্রথমে যখন হাসপাতালে আনা হয় তখন খারাপ অবস্থায় ছিল। তাকে ওয়াশ করা হয়েছে। এখন তার অবস্থার উন্নতি হয়েছে। আশা করি সে দ্রুতই সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করতে পারবে।

 

#

 

আকরাম/রফিকুল/সেলিম/২০২৩/১৯৪০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ১১৯১

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

ঢাকা, ২১ আশ্বিন (৬ অক্টোবর) :

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৭ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ১ দশমিক ১৮ শতাংশ। এ সময় ৫৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।        

          গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৭৭ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৩ হাজার ৪০৯ জন।

#

 সুলতানা/রফিকুল/শামীম/২০২৩/১৮২০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                              নম্বর : ১১৯০

 

আজাদ তালুকদার ছিলেন অকুতোভয় লড়াকু সাংবাদিক

                                       - তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

চট্টগ্রাম, ২১ আশ্বিন (৬ অক্টোবর) :

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, প্রয়াত একুশে পত্রিকা সম্পাদক আজাদ তালুকদার যেমন অকুতোভয় সাংবাদিক ছিলেন, একই সাথে একজন লড়াকু মানুষ ছিলেন। ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার পর তিনি জানতেন, ধীরে ধীরে তাঁর জীবন প্রদীপ নিভে যাচ্ছে। তিনি কিন্তু ক্ষান্ত হননি, দমে যাননি, অবিরত লড়াই করেছেন। মন্ত্রী প্রয়াত আজাদ তালুকদারের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন।

মন্ত্রী আজ চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে একুশে পত্রিকা’র সদ্যপ্রয়াত সম্পাদক আজাদ তালুকদার স্মরণে দোয়া মাহফিল ও শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। 

একজন মেধাবী সাংবাদিক অল্প বয়সে চলে যাওয়া অত্যন্ত বেদনার উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজাদ তালুকদারের মৃত্যুর ক’দিন আগে আমি যখন হাসপাতালে তাঁকে দেখতে যাই, তখন তিনি যেভাবে মৃত্যুর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এবং মৃত্যুর পর কী করতে হবে দু’একটি কথাও আমাকে বলেছেন, মৃত্যুপথযাত্রীর সেই চারিত্রিক দৃঢ়তা আমি তাঁর মধ্যে দেখেছি।

মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামের অনেক বিষয় অনেকের চোখ এড়ালেও আজাদ তালুকদারের চোখ এড়ায়নি। অনেক ক্ষমতাধর ব্যক্তির বিরুদ্ধেও সঠিক রিপোর্টটি করেছেন, যেটি কেউ সাহস করে করেননি। অসংখ্য পত্রিকার ভিড়ে একটা পত্রিকা দাঁড় করানো খুব সহজ কাজ নয়। আবার সেটি পাঠকপ্রিয়তা পাওয়া আরো কঠিন কাজ। কিন্তু তিনি নিজে একা লড়াই করে কোনো বড় গ্রুপের কাছে বিক্রি না হয়ে একুশে পত্রিকা দাঁড় করিয়েছেন।

একুশে পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নজরুল কবির দীপু’র সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অভ্‌ ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজির উপাচার্য অধ্যাপক ড. ওবায়দুল করিম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র শাহজাহান সিকদার, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য কলিম সরওয়ার, বিএফইউজে’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব কাজী মহসিন, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুবেল খান, সাধারণ সম্পাদক ম শামসুল ইসলাম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, সাবেক সভাপতি আলী আব্বাস, সহসভাপতি চৌধুরী ফরিদ, ক্রীড়া সম্পাদক সোহেল সরওয়ার প্রমুখ।

#

আকরাম/রফিকুল/শামীম/২০২৩/১৭২০ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                               নম্বর : ১১৮৯

 

নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করা বিদেশিরাও সমর্থন করে না

                                    - তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

চট্টগ্রাম, ২১ আশ্বিন (৬ অক্টোবর) :

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং কেউ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা চালালে দেশের মানুষ যেমন প্রতিহত করবে, একইভাবে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার প্রক্রিয়া কখনো বিদেশিরাও সমর্থন করে না।

আজ চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে একুশে পত্রিকা’র সদ্যপ্রয়াত সম্পাদক আজাদ তালুকদার স্মরণে দোয়া মাহফিল ও শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

          সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব বলেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করবে না, এতেই প্রমাণিত হয় তারা নির্বাচনকে ভয় পাচ্ছে। কারণ তাদের কর্মসূচি ও সমাবেশগুলোতে মানুষ হচ্ছে না। ফলে তারা বুঝতে পেরেছে নির্বাচনে জয়লাভের সম্ভাবনা নেই। এ জন্য নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার পথে তারা হাঁটছে। কিন্তু সেটি এই দেশের মানুষ হতে দেবে না।’

চট্টগ্রামে রোডমার্চ শেষে বিএনপি সরকারকে ১৮ তারিখের মধ্যে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়েছে, এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘এ রকম আল্টিমেটাম তো বিএনপি গত ১৩-১৪ বছরে বহুবার দিয়েছে। গত ডিসেম্বরেও তাদের আল্টিমেটাম ছিল, তারপর খালেদা জিয়াকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিদেশ পাঠানোর আল্টিমেটামও ছিল। এখন ১৮ তারিখ আবার আল্টিমেটাম দিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এই আল্টিমেটাম কি এ বছরের ১৮ তারিখ নাকি আগামী বছরের ১৮ তারিখ, নাকি তারও পরের বছরের ১৮ তারিখ সেটিও অনেকে প্রশ্ন রেখেছে। বিএনপির আল্টিমেটাম ফাঁকা বুলি ছাড়া অন্য কোনো কিছু নয়।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেব চট্টগ্রামে রোডমার্চ শেষে বক্তব্য রাখার সময়ে সেখানে যে সংখ্যক মানুষ হয়েছে, চট্টগ্রামের লালদিঘির পাড়ে অনেক সময় যখন পাগল নাচে তখনও এর কাছাকাছি মানুষই হয়। সুতরাং কর্মসূচিতে লোক সমাগম সেভাবে না হওয়ায় তারা প্রচণ্ড হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।’ ‘বিএনপি আশা করেছিল, বিদেশিরা তাদেরকে কোলে করে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে, সেই আশাও বুমেরাং হয়েছে’ উল্লেখ করে হাছান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সফর এবং জি-২০ সম্মেলনে জো বাইডেনসহ অন্যান্য বিশ্বনেতাদের সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে শুভেচ্ছা বিনিময় ও বৈঠক হয়েছে, এতেও বিএনপি হতাশ হয়ে পড়েছে।’

একুশে পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নজরুল কবির দীপু’র সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজির উপাচার্য অধ্যাপক ড. ওবায়দুল করিম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র শাহজাহান সিকদার, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য কলিম সরওয়ার, বিএফইউজে’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব কাজী মহসিন, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুবেল খান, সাধারণ সম্পাদক ম শামসুল ইসলাম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, সাবেক সভাপতি আলী আব্বাস, সহসভাপতি চৌধুরী ফরিদ, ক্রীড়া সম্পাদক সোহেল সরওয়ার প্রমুখ।

#

আকরাম/রফিকুল/শামীম/২০২৩/১৭২০ঘণ্টা 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ১১৮৮

 

নীতি নির্ধারণের জন্য সঠিক জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন তথ্য অতি গুরুত্বপূর্ণ

          -স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

ঢাকা, ২১ আশ্বিন (৬ অক্টোবর) :

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সেবার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, যেকোনো জাতির সঠিক জনসংখ্যা নির্ধারণ অতি গুরুত্বপূর্ণ। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সেবার মাধ্যমেই আমরা সেই তথ্যটা জানতে পারি। শুধু মোট জনসংখ্যা জানাই যথেষ্ট নয়, বিভিন্ন বয়সের শ্রেণিবিভাগ ও তথ্য উপাত্ত জানা জরুরি। যেকোনো নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে কোন ধরনের মানুষের জন্য সেই নীতি নেওয়া হচ্ছে, কোন বয়সের মানুষের জন্য এবং কত সংখ্যক মানুষের জন্য নেওয়া হচ্ছে সেই তথ্য অতি গুরুত্বপূর্ণ।

মন্ত্রী আজ ঢাকায় একটি হোটেলে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন জরুরি। কারণ বয়স্ক মানুষের চাহিদা আর যুবকদের চাহিদা এক নয়, আবার যুবকদের চাহিদা আর শিশু-কিশোরদের চাহিদা এক নয়। নানা বয়স, ধর্ম-বর্ণের মানুষের চাহিদা সনাক্তকরণ এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন তথ্যই সরকারের প্রয়োজন হয়।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এ সময় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা স্বীকার করে জানান, সমস্যাগুলো চিহ্নিত হয়েছে এখন দ্রুত এই সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদেরকে নিয়ে কাজ শুরু করা হবে। তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু একটি সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য যে লড়াই করে গেছেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সেই লক্ষ্য পূরণে অবিরাম এগিয়ে চলেছে।   অনেক পথেই আমাদের যাত্রার অভিজ্ঞতা নতুন তাই হয়তো জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে প্রত্যাশিত সেবায় ত্রুটি বিচ্যুতি রয়েছে কিন্তু সেই সমস্যাগুলো সমাধান করে আমাদেরকে নাগরিক সেবায় ভোগান্তি দূর করতে হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মোঃ শামসুল আরেফিন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোঃ মাহমুদুল হোসাইন খান, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোঃ রাশেদুল হাসান, ইউনিসেফ এর চিফ অব চাইল্ড প্রটেকশন নাটালি ম্যাককলি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম।

এছাড়া, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের শুভ জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, আজকের শিশুরাই ভবিষ্যতের বাংলাদেশকে এগিয়ে নিবে এবং বঙ্গবন্ধুর সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।

শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওযয়াছি উদ্দিন এবং এতে সভাপতিত্ব করেন শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের মহাসচিব কে, এম শহিদ উল্যা।

#

হেমায়েত/জুলফিকার/রবি/সাঈদা/কলি/মাসুম/২০২৩/১৫১০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ১১৮৭

উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করে যাচ্ছে 'উই'

-সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ২১ আশ্বিন (৬ অক্টোবর) :

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশে নারী উদ্যোক্তাদের সর্ববৃহৎ সংগঠন উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই)। সংগঠনটি পিছিয়ে পড়া নারীদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে উদ্যোগী ও উদ্যমী ভূমিকা পালন করছে।

প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের কন্ট্রোলার অব সার্টিফাইং অথরিটিজ এর সহযোগিতায় উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই) আয়োজিত     দু’দিনব্যাপী '৪র্থ উই সামিট ২০২৩'- এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই) এর প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার নিশার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এস এম জাফরুল্লাহ।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'উই' উৎসাহ ও উদ্দীপনা প্রদানের মধ্য দিয়ে আমাদের নারী সমাজকে জাগ্রত করছে। রক্ষণশীলতা ও মৌলবাদকে রুখে দিয়ে নারীদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার সুযোগ করে দিয়েছে। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই অর্থনীতি গড়তে দেশে উদ্যোক্তা তৈরির কোনো বিকল্প নেই। তাই উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে সরকার বদ্ধপরিকর।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারীদের আত্মকর্মসংস্থান ও আত্মমর্যাদা সৃষ্টিতে ই-কমার্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আর ই-কমার্সেরই একটি বৃহৎ প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে 'উই'। তিনি বলেন, করোনাকালীন ই-কমার্স ছিলো আমাদের অর্থনীতির লাইফলাইন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ওপর নির্মিত 'মুজিব আমার প্রেরণা' শীর্ষক তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। তাছাড়া এর কার্যক্রম এবং 'ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ' বিষয়ক তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। 

#

ফয়সল/জুলফিকার/রবি/সাঈদা/কলি/মাসুম/২০২৩/১৫২৬ ঘণ্টা

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ

তথ্যবিবরণী                                                                                                                              নম্বর : ১১৮৬

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৩য় টার্মিনালের সফট ওপেনিং উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ২১ আশ্বিন (৬ অক্টোবর) :  

 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৩য় টার্মিনালের সফট ওপেনিং উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :    

 

        ‘‘অত্যাধুনিক সুযোগসুবিধা সংবলিত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৩য় টার্মিনালের সফট ওপেনিং হতে যাচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি এই টার্মিনাল নির্মাণকাজের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট সকলকে তাঁদের অবদান ও অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য অভিবাদন জানাই। ৩য় টার্মিনাল উদ্বোধনের এ মাহেন্দ্রক্ষণে দেশবাসীকে আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। 

        সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল উন্নত দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার সাথে সঙ্গতি রেখে বাঙালি জাতিকে প্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার একবিংশ শতাব্দীর উপযোগী বিমান পরিবহন অবকাঠামো নির্মাণে ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। বিমানবন্দরে চলাচলকারী যাত্রীদেরকে উন্নত ও আধুনিক যাত্রী সুবিধা প্রদান করাই আমাদের সরকারের মূল লক্ষ্য। শুধু হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরই নয়, দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে রানওয়ের শক্তি ও দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি, আধুনিক টার্মিনাল ভবন নির্মাণ ও সম্প্রসারণের কাজ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে। সকল বিমানবন্দরে উন্নত প্রযুক্তির নিরাপত্তা- যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে। ফলে, বিমানবন্দরে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণের নিরাপত্তা আগের চেয়ে বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি, সমগ্র দেশের আকাশসীমার ওপর সক্রিয় নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা, বিমান পরিচালনায় অধিকতর সুরক্ষিত ও নিরাপদ সেবা প্রদানের লক্ষ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে State-of-the-art technology সংযোজনের কাজ চলছে। কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করার লক্ষ্যে কাজ চলমান রয়েছে। সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক বিমানবন্দরে রূপান্তরের জন্য সময়পোযোগী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশকে এ অঞ্চলের Aviation Hub হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সর্বোপরি আমরা আধুনিক, নিরাপদ ও আন্তর্জাতিক মানসম্মত বিমান পরিবহন অবকাঠামো গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি। 

        জাপান সরকারের জাইকা হতে ঋণ সহায়তায় দুই লাখ ত্রিশ হাজার বর্গমিটার জায়গার ওপর নির্মিত নতুন টার্মিনাল ভবনটি অত্যাধুনিক, বিশ্বের উন্নত যে কোনো বিমানবন্দরের মতো সৌন্দর্যমণ্ডিত এবং যাত্রীসেবার জন্য সকল আধুনিক সুযোগসুবিধার সংস্থান রয়েছে এতে। এখানে রয়েছে বহুতল বিশিষ্ট কারপার্কিং ব্যবস্থা, স্বয়ংক্রিয় আমদানি ও রপ্তানি কার্গো ভিলেজ, বিমানের পার্কিং এপ্রোন ও প্যারালাল টেক্সিওয়ের সাথে সংযোগকারী হাইস্পিড টেক্সিওয়ে, গ্রাউন্ড লাইটিং সিস্টেম, বোর্ডিং ব্রিজ, বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রসহ নতুন ইউটিলিটি কমপ্লেক্স, ফায়ার ফাইটিং স্টেশন, এয়ারসাইড ও টাউন সাইডে সারফেস রোড নেটওয়ার্ক, মেট্রোরেল স্টেশনের সাথে সংযোগ সাধনের জন্য টানেলসহ আনুষঙ্গিক অত্যাধুনিক অবকাঠামো ও স্থাপনাদি। 

         বর্তমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হতে বাৎসরিক যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা ৮০ লাখ। তৃতীয় টার্মিনাল পুরোপুরি চালু হলে প্রতি বছর নতুন করে যাত্রী সেবার আওতায় আসবেন আরো ১ কোটি ২০ লাখ যাত্রী, অর্থাৎ সর্বমোট ২ কোটি যাত্রী। ফলে আন্তর্জাতিক রুটের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং নতুন নতুন গন্তব্য বাংলাদেশের আকাশ পথের সাথে যুক্ত হবে। এতে করে, বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে এবং আকাশ পথে দেশের ভবিষ্যৎ এয়ার ট্রাফিক চাহিদা পূরণ ও দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে। 

        দেশপ্রেমিক জনগণের আস্থা ও সমর্থনের ফলেই আজকে উন্নয়নের এ নতুন অধ্যায় উন্মোচিত হয়েছ

2023-10-06-15-47-c7f2b77ccad1f9ec3025dff7f6931776.docx