Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১০ মার্চ ২০২৩

তথ্যবিবরণী ৮ মার্চ ২০২৩

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর :  ৯৩৮

 

কাতার ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্টের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

 

ঢাকা, ২৩ ফাল্গুন (৮ মার্চ) : 

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন গতকাল কাতারের দোহায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ৫ম জাতিসংঘ সম্মেলনের একটি পার্শ্ব বৈঠকে কাতার ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (কিউএফএফডি) -এর সাথে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছেন।

 

কাতার ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্টের অধীনে ‘এডুকেশন অ্যাবাভ অল ফাউন্ডেশন’ প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশের প্রাথমিক স্তরের ড্রপ-আউট শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা সহায়তার লক্ষ্যে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। কাতার ন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারের একটি হলে কাতার ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট-এর পক্ষে সংস্থাটির মহাপরিচালক খলিফা বিন জসিম আল কুওয়ারী সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। বাংলাদেশের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

 

কাতারের উন্নয়ন তহবিলের অর্থ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়। চুক্তি অনুসারে, কাতার সরকার কিউএফএফডি-এর মাধ্যমে প্রাথমিক স্তরের স্কুলের শিক্ষাবঞ্চিত  সাড়ে ছয় লাখ শিশুদের জন্য শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিক্ষা খাতে সহায়তার লক্ষ্যে মোট ১২ লাখ ৬৮ হাজার মার্কিন ডলারের তহবিলের যোগান দিবে। প্রকল্পটি পরিচালনা করবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

 

উল্লেখ্য, এডুকেশন অ্যাবাভ অল (ইএএ) মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং এশিয়ার কিছু দেশে কাতার ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (কিউএফএফডি)-এর অধীনে পরিচালিত একটি আউটরিচ প্রোগ্রাম যার, বার্ষিক বাজেট ৬০০ মিলিয়ন ডলার।

 

কাতার সরকার কাতারের জাতীয় রূপকল্প ২০৩০ -এর অধীনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতির অংশ হিসাবে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর এসডিজি’র লক্ষ্য পূরণে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্য রাখে। উল্লেখ্য, কাতারের আরেকটি মানবিক সংস্থা ‘কাতার চ্যারিটি’ বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের এবং কিছু স্থানে প্রান্তিক মানুষকে মানবিক ও ত্রাণ সহায়তাও দিয়ে থাকে।

 

#

 

মোহসিন/এনায়েত/রফিকুল/সেলিম/২০২৩/২২১০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                             নম্বর : ৯৩৭

 

পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছে

                                                                                         --শিল্প মন্ত্রী

 

মনোহরদী (নরসিংদী), ২৩ ফাল্গুন (৮ মার্চ) :

 

 শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, নারীরা এখন আর কোনো দিক দিয়ে পিছিয়ে নেই। পুরুষের পাশাপাশি নারীরা ও সমানতালে কাজ করে যাচ্ছে। আর এই সুযোগটি সৃষ্টি করে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

আজ নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার হল রুমে ‘বিশ্ব নারী দিবস’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

মন্ত্রী বলেন সচিব, ডিসি ও ইউএনওসহ প্রশাসনের সব স্তরে নারীর অবস্থান শক্ত হচ্ছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ১০জন নারী। সারা দেশে দায়িত্বরত ইউএনওদের ৩৪ শতাংশ নারী। শুধু মাঠ প্রশাসনের এই তিন পদেই নয়, এখন প্রশাসনের নানা স্তরে নারীর অবস্থান বাড়ছে, সুসংহত হচ্ছে। 

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিমের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মনোহরদী পৌরসভা মেয়র আমিনুর রসিদ সুজন, ভাইস চেয়ারম্যান সুলতানা রুবি, মনোহরদী উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল আলম প্রমুখ।

#

 

মাহমুদুল/এনায়েত/রফিকুল/লিখন/২০২৩/২১২২ ঘণ্টা 

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                             নম্বর : ৯৩৫

 

যে কোনো মূল্যে পার্বত্য অঞ্চলের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা হবে

                                        --আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্

 

 টুঙ্গিপাড়া, ২৩ ফাল্গুন (৮ মার্চ) :

 

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ এর নেতৃত্বে কমিটির সদস্যবৃন্দ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ এর চেয়ারম্যান শ্রী জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) কে সাথে নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। আজ তারা জাতির পিতার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

 

পরে পবিত্র ফাতেহা পাঠ করে বঙ্গবন্ধুসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহিদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন।

 

এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগমসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির অন্যান্য সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

 

পরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল। এর সুফল পাহাড়ি জনগোষ্ঠী। কিন্তু বিপথগামী কিছু মানুষ পার্বত্য অঞ্চলের চলমান সুখ, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সরকার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। যে কোনো মূল্যে পার্বত্য অঞ্চলের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা হবে।

 

#

                      

আহসান/পাশা/এনায়েত/সঞ্জীব/মোশারফ/রফিকুল/লিখন/২০২৩/২০০৭ ঘণ্টা

 

 

           

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর :  ৯৩৬

সারা দেশে নাশকতার ছক এঁকেছে বিএনপি

-- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

ঢাকা, ২৩ ফাল্গুন (৮ মার্চ) : 

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘বিএনপি-জামাত সারা দেশে নাশকতার ছক এঁকেছে। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’

আজ রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবন চত্বরে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ আয়োজিত ‘আঁধার ভাঙার শপথে আলোক প্রজ্জ্বলন’ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।

দেশ ও নারী দিবসকে সামনে রেখে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মা-বোনসহ সবাইকে সর্তক দৃষ্টি রাখার অনুরোধ জানাই, বিএনপি-জামাত সারা দেশে নাশকতা সৃষ্টি করার ছক এঁকেছে। তার আলামত শুরু হয়ে গেছে। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। নারীদের বলবো, আপনারা এগিয়ে যান, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যান। আপনাদের হাত ধরে দেশ এগিয়ে যাবে। আমাদের দেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাবে।

পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মাহফিলের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামাতের নেতাকর্মীরা সেখানে হামলা পরিচালনা করেছে। আবার কাল না কি বিএনপির নেতৃত্বে একটি টিম সেখানে যাচ্ছে। নিজেরাই মেরে আবার দরদ দেখানোর জন্য সেখানে যাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে পঞ্চগড়ের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।’

হাছান বলেন, ‘দেশ এগিয়ে গেলেও একটি মহল বাংলাদেশ এগিয়ে যাক সেটি চায় না। তারা আজ দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইছে। গত কয়েক দিন ধরে দেশে বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে। এগুলোর পেছনে নাশকতা আছে কি না সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেখানে যারাই দায়ী থাক তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে সরকার বদ্ধপরিকর।’

‘আমাদের নারীরা এভারেস্ট জয় করেছে, পৃথিবীকে পথ দেখাচ্ছে’ দেশে নারী উন্নয়ন নিয়ে সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পৃথিবীকে চমকে দিয়ে বাংলাদেশের নারী সমাজ উন্নতি লাভ করেছে। নারী সমাজ সর্বক্ষেত্রে তাদের মেধা, যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখছে। বৈশ্বিক সূচকে বাংলাদেশের নারীরা রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের দিক দিয়ে বিশ্বে পঞ্চম, এশিয়া ওশেনিয়া অঞ্চলে দ্বিতীয় আর উপমহাদেশে প্রথম। শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণে এটি হয়েছে।

ড. হাছান বলেন, আমাদের নারী পৃথিবীকে পথ দেখাচ্ছে। আমাদের নারীরা এভারেস্ট জয় করেছে, আমাদের নারীরা হিমালয় শৃঙ্গে উঠেছে, মহাসাগর পাড়ি দিচ্ছে।

তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী নারী, বিরোধীদলীয় নেত্রী নারী, সংসদ নেতা নারী, সংসদ উপনেতা নারী, শিক্ষামন্ত্রী নারী। নারীর যে ক্ষমতায়ন বাংলাদেশে হয়েছে পৃথিবীর আর কোনো দেশে গত এক দশকে এভাবে হয়নি।

‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকে নারীরা সেনাবাহিনীতে শুধু অফিসার পদে নয়, সেনা সদস্য হিসেবেও কাজ করছে, তারা সুপীম কোর্টের আপীল বিভাগের বিচারপতি, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, ডিসি, এসপি যা ১৪ বছর আগে কেউ ভাবেনি’ বর্ণনা করেন তিনি। 

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, নারী ফুটবল দল পাকিস্তানকে ১২ গোল দিয়েছে, সার্ক শিরোপা জয় করেছে। আমাদের নারী ক্রিকেট দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কিন্তু পুরুষ ক্রিকেট দল পারেনি। সাম্প্রতিক সময়ে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় নারীদের ফল ভালো। প্রধানমন্ত্রীর নারীবান্ধব নীতি প্রণয়ন ও নানামুখী কর্মসূচির কারণে এটি সম্ভব হয়েছে।

যুব মহিলা লীগ সভাপতি ডেইজি সারওয়ারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলির সঞ্চালনায় সংগঠনের সদস্যরা মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের আগে দেশে নারী উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।

#

আকরাম/এনায়েত/রফিকুল/সেলিম/২০২৩/২১১০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর : ৯৩৪

স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে মিথ্যাচারের বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে

                                                                              --- কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা, ২৩ ফাল্গুন (৮ মার্চ) :

          স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে মিথ্যাচারের বিষয়ে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য  ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে দেশে অনেক মিথ্যাচার হয়েছে। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এখনও মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে তরুণ প্রজন্মকে সজাগ থাকতে হবে।

          আজ রাজধানীর মিরপুরে শহিদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ফেন্সিং ফেডারেশন আয়োজিত শেখ কামাল ৫ম জাতীয় ফেন্সিং বা তরবারি যুদ্ধ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

          মন্ত্রী বলেন, শেখ কামাল ছিলেন অনন্য ক্রীড়া সংগঠক, যিনি খেলাধুলায় নতুন যুগের সূচনা করেছিলেন। বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী শেখ কামাল ছিলেন সংস্কৃতি অঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্র, রাজনৈতিকভাবে সচেতন ও দেশপ্রেমিক। তাঁর আদর্শ ও চেতনা ধারণের জন্য দেশের তরুণ যুবসমাজকে অনুপ্রাণিত করতে হবে। তাঁর আদর্শে তরুণদেরকে খেলাধুলায়, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত এবং দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করতে হবে। দেশে যুবসমাজের অবক্ষয় ও অপসংস্কৃতিরোধে শহিদ শেখ কামালের আদর্শ ও চেতনাকে তরুণদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে।

          খেলাধুলায় তরুণদের আগ্রহ কমে যাচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, গ্রামের খেলার মাঠগুলো একসময় নানারকম খেলাধুলায় খুব ব্যস্ত থাকতো। এখন গ্রামে যাই, দেখি মাঠ ফাঁকা পড়ে থাকে। ছেলেমেয়েরা  খেলাধুলা করে না। অনেক ছেলেমেয়ে বিপথগামী হচ্ছে, মাদকাসক্ত হচ্ছে। সেজন্য, সুস্থ সবল জাতি গঠনের জন্য খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড আরো বাড়াতে হবে।

          অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফেন্সিং ফেডারেশনের সভাপতি শোয়েব চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ সদস্য উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সাবেক প্রধান তথ্য অফিসার একেএম শামীম চৌধুরী, অতিরিক্ত আইজিপি হুমায়ুন কবীর,  বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী, টেনিস ফেডারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাসুদ করিম, ফেন্সিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সেলিম ওমরাও খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

          চার দিনব্যাপী এই তরবারি খেলা প্রতিযোগিতায় সারা দেশের ২৩৫ জন খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করছেন।

#

কামরুল/পাশা/এনায়েত/সঞ্জীব/মোশারফ/জয়নুল/২০২৩/১৯৫০ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                   নম্বর : ৯৩৩

সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় অর্থমন্ত্রীর শোক

ঢাকা, ২৩ ফাল্গুন (৮ মার্চ) :

          গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারস্থ ভবন বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে এই দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিবর্গের রুহের মাগফেরাত এবং আহত ব্যক্তিবর্গের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।

          উল্লেখ্য যে, গতকাল গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারস্থ ভবন বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ১৭ জন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

#

 তৌহিদুল/পাশা/সঞ্জীব/মোশারফ/জয়নুল/২০২৩/১৯০০ঘণ্টা 

Handout                                                                                                          Number : 932

23rd BIMSTEC Senior Officials' Meeting held

Dhaka, 8 March : 

            The 23rd BIMSTEC Senior Officials' Meeting (SOM) was held in Bangkok today in virtual mode. The Foreign/External Affairs Secretaries of the Member States attended the meeting. Ambassador Masud Bin Momen, Foreign Secretary (Senior Secretary) led the Bangladesh delegation to the meeting. 

            The Foreign Secretary apprised the meeting about the progress made in the Trade, Investment and Development sector for which Bangladesh is the lead country. He expressed Bangladesh's strong commitment to the BIMSTEC process and urged the Member States to work closely for finalizing all the relevant agreements at the earliest so that BIMSTEC Free Trade Area could be implemented without further delay.

            The Meeting took stock of the progress made so far since the 22nd SOM held March 2022 including the implementation of various decisions taken during the 5th Summit.

            The meeting endorsed the 'Rules of Procedure' for all the BIMSTEC mechanisms including several administrative and financial matters of the BIMSTEC Secretariat to be approved by the BIMSTEC Ministerial Meeting tomorrow. 

            The SOM also finalized the draft text of the Agreement on Maritime Transport Cooperation, which is expected to be approved by the Ministerial Meeting.

            Moreover, the meeting finalized the BIMSTEC Bangkok Vision 2030 and recommended it for approval of the Ministerial Meeting. The SOM also endorsed Blue Economy as a sub-sector under the Trade, Investment and Development sector.

            The 19th BIMSTEC Ministerial Meeting will be held in Bangkok tomorrow in virtual mode.

#

Mohsin/Pasha/Sanjib/Mosharaf/Joynul/2023/1910 hour

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                               নম্বর : ৯৩১

বন সংরক্ষকদের নিষ্ঠার সাথে কাজ করার নির্দেশ পরিবেশমন্ত্রীর

চট্টগ্রাম, ২৩ ফাল্গুন (৮ মার্চ) :

          পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, দেশের বন ও বনভূমি সংরক্ষণে বন বিভাগের কর্মচারীদের নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে। শুধু চাকরি করার জন্য নয়, দেশপ্রেমের সাথে দেশের কল্যাণে কাজ করে যেতে হবে। অবৈধ বনভূমি পুনরুদ্ধার ও বনের উন্নয়নে সরকারের উদ্যোগের সাথে সকল শ্রেণির জনগণকে সম্পৃক্ত করে কাজ করতে হবে।

          আজ চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি কক্ষে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

          বনমন্ত্রী বলেন, বন সংরক্ষণে বাংলাদেশ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী দেশ। তাই দায়িত্বশীলতার সাথে দেশের বন রক্ষায় কাজ করতে হবে। কোনো ভয়ভীতির কাছে নতিস্বীকার করা যাবে না। আইন বিরোধী যেকোনো কর্মকাণ্ড কঠোরভাবে দমন করতে হবে।

          বৈঠকে প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরী, চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক বিপুল কৃষ্ণ দাস, বন একাডেমির পরিচালক মোল্লা রেজাউল করিম, চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক শাহ চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহীদ ইশরাক সহ চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

#

দীপংকর/পাশা/সঞ্জীব/মোশারফ/জয়নুল/২০২৩/১৮৩৫ঘণ্টা 

 

আজ বিকাল পাঁচটার পূর্বে প্রচার করা নিষেধ

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ৯৩০

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ২৩ ফাল্গুন (৮ মার্চ) :  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ৯ই মার্চ ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’ উপলক্ষ্যে নিম্নলিখিত বাণী প্রদান করেছেন :   

“জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১’ প্রদান উপলক্ষ্যে আমি চলচ্চিত্র নির্মাতা, পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার, অভিনেতা-অভিনেত্রী, কলাকুশলী এবং পরিবেশকসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সকলকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমি এ বছর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী ও কলাকুশলীদের জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। 

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাদেশিক সরকারের শিল্প, বাণিজ্য ও শ্রম মন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে ১৯৫৭ সালের ২৭ মার্চ প্রাদেশিক পরিষদে ইপিএফডিসি পূর্ব পাকিস্তান ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন বিল উপস্থাপন করেন, যা একই বছরের ৩ এপ্রিল পাস হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলা চলচ্চিত্রের অগ্রযাত্রার একটি বড় মাইলফলক আজকের বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) প্রতিষ্ঠিত হয়। দিনটিকে স্মরণ করে প্রতি বছর ৩ এপ্রিল জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস উদযাপন করা হয়। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থার উন্নয়ন, ফিল্ম আর্কাইভ প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেন। 

আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে গত ১৪ বছরে চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। এর মধ্যে ঢাকার অদূরে কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফিল্ম সিটি নির্মাণ, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন এবং বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ আধুনিকায়ন প্রকল্প বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। চলচ্চিত্র শিল্পের মানোন্নয়নে আমরা ‘জাতীয় চলচ্চিত্র নীতিমালা-২০১৭’, ‘যৌথ প্রযোজনায় চলচ্চিত্র নীতিমালা-২০১৭’ ও ‘চলচ্চিত্র সংসদ নিবন্ধন আইন-২০১১’ প্রণয়ন করি এবং চলচ্চিত্র সেন্সর আইন ও চলচ্চিত্র সংসদ নিবন্ধন আইন যুগোপযোগী করি। অসচ্ছল ও দুস্থ চলচ্চিত্র শিল্পী ও কলাকুশলীদের জন্য বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন ২০২১ প্রণয়ন করা হয়েছে। বিদেশি টিভি চ্যানেলে দেশি পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার রোধ করা হয়েছে। এসব আইন ও নীতিগত পদক্ষেপ চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখছে বলে আমি মনে করি। 

চলচ্চিত্র সাড়ে সাত কোটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে অনুপ্রাণিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। আকাশ সংস্কৃতির এই যুগে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে আন্তর্জাতিক পরিসরে তুলে ধরতে এই শিল্প বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। আমাদের সরকার সব সময় সুস্থ ধারার চলচ্চিত্র নির্মাণকে উৎসাহ জোগাতে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছে। অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের সংখ্যা ও অনুদানের পরিমাণ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি করা হচ্ছে। জেলায় জেলায় আধুনিক সিনেমা হলসহ তথ্য কমপ্লেক্স স্থাপন করা হচ্ছে। সিনেমা হলসমূহের সংস্কার ও আধুনিক যুগোপযোগী সিনেমা হল ও সিনেপ্লেক্স নির্মাণের জন্য আমাদের সরকার অল্প সুদে ১০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করছে। 

আমাদের চলচ্চিত্র দেশজ উপাদানে সমৃদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার মাধ্যমে একটি জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে পারে বলে আমি মনে করি। আমি আশা করি আগামী প্রজন্মের মধ্যে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে জীবনঘনিষ্ঠ ও বাস্তবধর্মী চলচ্চিত্র নির্মাণেও আমাদের নির্মাতারা আরো এগিয়ে আসবেন। দেশের সীমানা পেরিয়ে আমাদের চলচ্চিত্র আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও ব্যাপক পরিচিত হবে এবং দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনবে। 

আমি ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১’ প্রদান অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য কামনা করছি। 

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

#

গুলশাহানা/পাশা/সঞ্জীব/মোশারফ/শামীম/২০২৩/১৭১০ঘণ্টা

 

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ

 

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর : ৯২৯

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ২৩ ফাল্গুন (৮ মার্চ) :  

          রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ৯ই মার্চ ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১ প্রদান’ উপলক্ষ্যে নিম্নলিখিত বাণী প্রদান করেছেন :

“জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১’ প্রদান উপলক্ষ্যে আমি পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র শিল্পী, কলাকুশলী, নির্মাতা, প্রযোজকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

শিল্পের এক অনন্য রূপ চলচ্চিত্র যা বিনোদনের পাশাপাশি সমাজ ও সময়ের বাস্তব চিত্র এবং দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরে মানুষকে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করে। চলচ্চিত্র মাটি ও মানুষের কথা বলে; মানুষের স্বপ্ন ও সাধনাকে সেলুলয়েডে বন্দি করে পর্দায় ফুটিয়ে তোলে। স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তদানীন্তন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প, বাণিজ্য ও শ্রমমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে ১৯৫৭ সালের ২৭ মার্চ প্রাদেশিক পরিষদে ইপিএফডিসি বিল উপস্থাপন করেন যা সে বছরের ৩ এপ্রিল পাস হয়। জাতির পিতার এ উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় বাংলা চলচ্চিত্রের অগ্রযাত্রার একটি মাইলফলক হিসেবে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের বিএফডিসি। বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাস অত্যন্ত সমৃদ্ধ। দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধ ও বিনোদনমূলক কালজয়ী বাংলা চলচ্চিত্রগুলোর আবেদন ও প্রভাব আজও সমাজে বিদ্যমান।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রদর্শিত পথ ধরে সরকার চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। তন্মধ্যে ৩ এপ্রিল ‘জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস’ ও চলচ্চিত্রকে ‘শিল্প’ হিসেবে ঘোষণা, কবিরপুরে বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটি স্থাপন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা, বিএফডিসির আধুনিকায়ন এবং জেলায় জেলায় আধুনিক সিনেমা হল সংবলিত তথ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ করা উল্লেখযোগ্য। এছাড়া পুরানো সিনেমা হলসমূহের সংস্কার ও বন্ধ সিনেমা হলসমূহ চালু করার লক্ষ্যে স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা প্রদানের জন্য এক হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন, চলচ্চিত্র নির্মাণে অনুদানের পরিমাণ বৃদ্ধি ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন-২০২১ প্রণয়ন করা হয়েছে। আমি আশা করি, সরকারের এসব উদ্যোগ বাংলা চলচ্চিত্রের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেশে সুস্থ ধারার চলচ্চিত্র নির্মাণে সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ জোগাবে বলে আমার বিশ্বাস।

আমি ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার- ২০২১’ প্রদান অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।   

জয় বাংলা।

খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

#

হাসান/পাশা/সঞ্জীব/মেশারফ/শামীম/২০২৩/১৬৫৭ ঘণ্টা 

 

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ

 

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ

তথ্যবিবরণী                                                                                                                  নম্বর : ৯২৮

বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ২৩ ফাল্গুন (৮ মার্চ) :  

          প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ৯ মার্চ ‘বিশ্ব কিডনি দিবস’ উপলক্ষ্যে নিম্নলিখিত বাণী প্রদান করেছেন :

“বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব কিডনি দিবস-২০২৩’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। 

এবারের প্রতিপাদ্য ‘Kidney Health for All Preparing for the unexpected, supporting the vulnerable’ অর্থাৎ ‘সুস্থ কিডনি সবার জন্য প্রত্যাশিত দুর্যোগের প্রস্তুতি, প্রয়োজন ঝুঁকিপূর্ণদের সহায়তা’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি। 

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা উত্তর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেন। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা একটি গণমুখী স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করেছি এবং এই নীতি বাস্তবায়ন করছি। আমাদের সরকার নতুন মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, নার্সিং কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট, মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল, হেলথ টেকনোলজি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছে। সাধারণ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ও চিকিৎসা সেবা বহুগুণে বৃদ্ধি করা হয়েছে। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে সাড়ে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। ফলে শিশু ও মাতৃ-মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। পিএসসির মাধ্যমে নতুন কয়েক হাজার চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আমাদের সরকারের গৃহীত নানামুখী পদক্ষেপের ফলে আমরা স্বাস্থ্যখাতে যুগান্তকারী সাফল্য অর্জন করেছি, যা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হচ্ছে। 

নানাবিধ কারণে বিশ্বজুড়ে কিডনি রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে চলেছে। কোভিড-১৯ মহামারিতেও অনেকে নতুন করে কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়েছেন অথবা পূর্ব থেকেই আক্রান্ত ব্যক্তিদের রোগের অবনতি হয়েছে। তাই এ ধরনের দুর্যোগ পরিস্থিতির জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। 

বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় দুই কোটি লোক কোন না কোন কিডনি রোগে আক্রান্ত এবং প্রায় ৪০-৫০ হাজার লোক ডায়ালাইসিসের মাধ্যমে জীবন ধারণ করছেন। জনসচেতনতা বাড়াতে পারলে ও প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ সনাক্ত করতে পারলে অনেক কিডনি রোগ প্রতিরোধযোগ্য। আমাদের সরকারের প্রতিষ্ঠিত কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ে কিডনি রোগ সনাক্ত করা সম্ভব। এর ফলে দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ ও কিডনি বিকল হওয়ার ঝুঁকিহ্রাস পাবে। আমরা প্রতিটি বিভাগে এবং জেলা পর্যায়ে কিডনি রোগীদের জন্য হাসপাতাল ও ডায়ালাইসিস সেন্টার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি এবং তার বাস্তবায়নের কাজ চলছে। আমরা স্বল্পমূল্যে ডায়ালেসিসের ব্যবস্থা করেছি। 

আমি বিশ্বাস করি, সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোও তাদের গৃহীত কর্মসূচির মাধ্যমে কিডনি রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা পালন করবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্বাস্থ্যখাতে রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাং

2023-03-10-16-28-05af6f2b97d91fb8a60c53c3d599b49e.docx