Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৫ মার্চ ২০২৩

তথ্যবিবরণী ১৫ মার্চ ২০২৩

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর :   ১০৬৩

 

নেপাল বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু

--- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ১ চৈত্র (১৫ মার্চ) :

 

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে নেপাল সরকার ও জনগণ আমাদের সর্বোতভাবে সহযোগিতা করেছে। নেপাল বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানকারী বিশ্বের সপ্তম দেশ। নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধনও অত্যন্ত দৃঢ়। সাংস্কৃতিক বিনিময় চুক্তির আওতায় দু'দেশের মধ্যে নিয়মিত সাংস্কৃতিক বিনিময় পরিচালিত হচ্ছে। বাংলাদেশের পর্যটকদের প্রথম পছন্দ হিমালয়কন্যা নেপাল। সবমিলিয়ে নেপাল বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু।

 

প্রতিমন্ত্রী আজ রাতে রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছরপূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে ঢাকাস্থ নেপাল দূতাবাস ও নেপাল-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির যৌথ আয়োজনে পাঁচ দিনব্যাপী (১৪-১৮ মার্চ) 'বাংলাদেশ-নেপাল আর্ট এন্ড কালচার ফেস্টিভ্যাল ২০২৩' এর দ্বিতীয় দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

 

প্রধান অতিথি বলেন, হিমালয় হতে আগত জলরাশি কেবল আমাদের নদনদীর দু'কূল ছাপিয়ে বিস্তীর্ণ জনপদকে ভাসিয়ে দেয় না, একইসঙ্গে তা আমাদের ফসলি জমিতে পলি সঞ্চয় করে উর্বর করেও তোলে। তাই নেপালের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আত্মিক, বৈষয়িক একইসঙ্গে প্রাকৃতিকও। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও নেপাল একে অপরের দুর্যোগে সবসময় পাশে দাঁড়িয়েছে। বন্ধুর সঙ্গে বন্ধুত্বের এটি একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ। আর পারস্পরিক বন্ধুত্ব ও সম্পর্কোন্নয়নের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হচ্ছে সাংস্কৃতিক বিনিময়।

 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, নেপালের পোখারা একাডেমির চ্যান্সেলর পদ্মরাজ ঢাকাল এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ-নেপাল ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির সভাপতি লায়ন মশিউর আহমেদ।

 

#

 

ফয়সল/এনায়েত/মোশারফ/সেলিম/২০২৩/২১৪০ ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর :  ১০৬২

 

প্রকোপ কমায় করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ নেওয়ার মানুষ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না

--- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

 

ঢাকা, ১ চৈত্র (১৫ মার্চ) :

 

          তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ  বলেছেন, ‘বিশ্বের ১৩০টি দেশ যখন টিকা দেয়া শুরু করতে পারেনি তখন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এদেশে করোনার টিকা দেয়া শুরু করেছেন। এক এক করে ইতিমধ্যে তিনটি পর্যন্ত ডোজ দেয়া শেষ হয়েছে। এখন চার নাম্বার ডোজ দেয়া হচ্ছে। করোনার প্রকোপ কমায় টিকার চতুর্থ ডোজ নেওয়ার মানুষ এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’

 

          আজ মন্ত্রী তাঁর নিজ নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ‘স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া’ ইউনিয়নের আয়োজনে সরকারের বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচির উপকারভোগীদের সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন।

 

মন্ত্রী বলেন, ‘যখন টিকা দেওয়া শুরু করা হয়েছিলো তখন মির্জা ফখরুল, জাফর উল্লাহসহ বিএনপি নেতারা মুখ ভেটকিয়ে টিকার বিরোধিতা করেছিলেন। পরবর্তীতে তারা আবার নিজেরাই টিকা নিয়েছেন। তারা লজ্জা ভেঙে কেউ দিনে কেউ আবার রাতে টিকা নিয়েছেন।’

 

          ইউনিয়নের বিরাজ কমিউনিটি সেন্টার মাঠে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নূরুল্লাহ।

 

          চট্টগ্রাম ৭ আসনের সংসদ সদস্য ড. হাছান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষকে ভাতা দিচ্ছে, ভিজিডি, ভিজিএফ, ফ্যামিলি কার্ড, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ৩০ প্রকার ঔষধ ফ্রি, বছরের শুরুতে বিনা পয়সায় বইসহ নানা সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। উন্নয়নে বদলে দিয়েছে পুরো দেশকে। বিএনপি এলে এ সব বন্ধ করে দেবে। উন্নয়ন অগ্রযাত্রা থেমে যাবে।’

 

          ‘যে সরকার দেশের সাধারণ মানুষের জন্য এতো সব করছে, সেই সরকারকে একটি করে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব’ বলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী।

 

          উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নাছির উদ্দীন রিয়াজ ও আবু তৈয়ব সিদ্দিকীর যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য আবুল কাশেম চিশতী, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র মোঃ শাহজাহান সিকদার, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা জামাল উদ্দিন, ইদ্রিছ আজগর, আক্তার হোসেন খাঁন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার।

 

#

 

আকরাম/এনায়েত/মোশারফ/সেলিম/২০২৩/২০৩০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                নম্বর : ১০৬১

 

স্মার্ট মানবসম্পদ তৈরির জন্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদান করতে হবে

                                                         -- মোস্তাফা জব্বার

 

বাঁশবাড়ী (সাভার), ১ চৈত্র (১৫ মার্চ) :

            ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদান প্রচলিত পাঠদান পদ্ধতির চেয়ে অনেক বেশি আকর্ষণীয় এবং স্মার্ট মানবসম্পদ তৈরির জন্য কার্যকর একটি পদ্ধতি। শিক্ষার্থীরা এক বছরের পাঠ্যক্রম তিন থেকে চার মাসেই সহজে আয়ত্তে আনতে সক্ষম এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠ প্রদানের ফলে শিক্ষার্থী ভর্তি এবং নিয়মিত উপস্থিতির হার অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি করছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং ব্যবস্থাপনা কমিটির কর্মকর্তারা। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার আজ আশুলিয়া থানার বাঁশবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ডিজিটাল শিক্ষা কার্যক্রম পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।

            সুবিধাবঞ্চিত প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে বিটিআরসি‘র সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের অর্থায়নে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পের অধীন ৬৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের ২৮টি পাড়া কেন্দ্রে ডিজিটাল যন্ত্রে ডিজিটাল কনটেন্টে পাঠদান কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে।

            প্রকল্প কার্যক্রম পরিদর্শনকালে ডাক ও টেলিযোগোযোগ মন্ত্রী দেশের দুর্গম ও সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পাড়া কেন্দ্রে প্রকল্পের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করে বলেন,  আশপাশের স্কুলের শিক্ষার্থীরা অনেকে টিসি নিয়ে এই সকল স্কুলে চলে আসছে। যেসব স্কুলে কম্পিউটার আছে সেসব প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল কনটেন্ট দেওয়ার দাবি উঠেছে। মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, স্মার্ট মানবসম্পদ তৈরির জন্য ডিজিটাল পাঠদান পদ্ধতি খুবই ফলপ্রসূ একটি পদ্ধতি। ডিজিটাল শিক্ষার মানে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন কিংবা শিক্ষার্থীদের জন্য টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ক্লাস নয়।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার ডিজিটাল কনটেন্ট  হচ্ছে  ডিজিটাল যন্ত্রে পাঠদানের জন্য প্রচলিত পাঠ্যসূচির মানসম্মত ইন্টার একটিভিটি, ছবি, অডিও, ভিডিও, এনিমেশন, টেক্সট ও অন্যান্য মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট দিয়ে প্রোগ্রামিং করা সফটওয়্যার দিয়ে ডিজিটাল ডিভাইসে শিক্ষার প্রবর্তন করা। উন্নত বিশ্ব বহু আগে থেকেই এই পদ্ধতি অবলম্বনে শিক্ষা প্রদান করে আসছে। বাংলাদেশেও আনন্দ মাল্টিমিডিয়ার উদ্যোগে ১৯৯৯ সাল থেকে সীমিত পরিসরে এই পদ্ধতিতে শিক্ষা প্রদান করে শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের অভিযাত্রা শুরু হয়। তিনি ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে শিক্ষাবিদ, প্রযুক্তিবিদ, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করার আহ্বান জানান। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তিগত কারণে ডিজিটাল শিক্ষা শিশুদের জন্য যতটা বোধগম্য হয় প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় তা হয় না। প্রচলিত শিক্ষা ডিজিটাল শিক্ষায় রূপান্তর না হলে কঠিন চ্যালেঞ্জ আমাদেরকে মোকাবিলা করতে হবে। যে শিশুরা পড়তে চায় না তাদের আগ্রহ সৃষ্টিতে ডিজিটাল কনটেন্টে পাঠ প্রদানের ফলপ্রসূ অবদান তুলে ধরে তিনি বলেন, শিশুরা আনন্দের সাথে শিক্ষা গ্রহণ করে।

মোস্তাফা জব্বার আরো বলেন, ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে কম্পিউটার ব্যবহার করে পাঠদান করার পদ্ধতিটি আমি দেখি। সেই ধারণাকে বাস্তবায়ন করার বড় চ্যালেঞ্জ ছিল আমাদের পাঠ্যবইকে ডিজিটাল উপাত্তে রূপান্তর করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সাল থেকে গত ১৪ বছরে হাঁটি হাঁটি পা পা করে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যক্রম ডিজিটালে রূপান্তরে সক্ষম হয়েছি। প্রচলিত শিক্ষা ডিজিটাল শিক্ষায় রূপান্তর না হলে কঠিন চ্যালেঞ্জ আমাদেরকে মোকাবিলা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি আমাদের এগিয়ে যাওয়ার চালিকা শক্তি। করোনাকালে উন্নত দুনিয়ার তুলনায় আমাদের ভালো করার মূলমন্ত্রটি ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি। এরই ধারাবাহিকতায় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্মার্ট মানব সম্পদ গড়ে উঠবে- প্রতিষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা - এ আমার দৃঢ় প্রত্যাশা।

            অনুষ্ঠানে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম. বিজয় ডিজিটালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার জুঁই, প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আবদুল ওয়াহাব, সাভারের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাজহারুল ইসলাম, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাজমুশ শিহাব, বাঁশবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলী এবং প্রধান শিক্ষক মোকসেদ আলীসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ  উপস্থিত ছিলেন।

#

শেফায়েত/এনায়েত/মোশারফ/সেলিম/২০২৩/২১৩৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর: ১০৬০

 

শেখ হাসিনার ভাগ্যের সাথে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য জড়িত

                                                                           -- এনামুল হক শামীম


শরীয়তপুর, ১ চৈত্র (১৫ মার্চ):    

 

পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্ম নিয়েছিলেন বলেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। আর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্যের সাথে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য জড়িত। তাই এদেশের জনগণ একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই ঐক্যবদ্ধ।      

 

আজ শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নির্মাণকাজ দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী বিগ্রেডিয়ার জেনারেল বশির আহমদ

 

উপমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করে শুধু বাংলাদেশের মানুষের সেবাই করে চলছেন। কোনো ষড়যন্ত্রই তাঁকে পিছু হটাতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ। তাঁর জন্যই মানুষ ভাত ও ভোটের অধিকার ফিরে পেয়েছে। এই মহামারি করোনা নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার ও আওয়ামী লীগ কাজ করে যাচ্ছে। তিনি দেশের মানুষের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন।       

 

উপমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়। দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি হয়। দেশের মানুষ নিরাপদে ও শান্তিতে বসবাস করতে পারে। এ সাফল্যের কারণে বিশ্ববাসীর কাছে বারবার প্রশংসিত হয়েছেন তিনি।  এজন্য দেশ আজ বিশ্বের দরবারে এক অনন্য মর্যাদায় আসীন হয়েছে। তাই বাংলাদেশের প্রয়োজনেই শেখ হাসিনাকে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী করতে হবে।
 

নড়িয়া পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য ওহাব বেপারী, নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ রাশেদউজ্জামান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন। এসময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।



 

#
 

গিয়াস/সিরাজ/এনায়েত/রাহাত/সঞ্জীব/মাহমুদ/লিখন/২০২৩/১৯১৭ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ১০৫৯

 

উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পদের রেজিস্ট্রিকৃত বণ্টননামা নিশ্চিত করতে হবে

                                                                          -- ভূমিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ১ চৈত্র (১৫ মার্চ) :   

 

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, ওয়ারিশানদেরকে তাদের উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পদের রেজিস্ট্রিকৃত বণ্টননামা নিশ্চিত করতে হবে।

 

আজ রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ভূমি ভবনের কেন্দ্রীয় সেমিনার হলে ভূমি আপিল বোর্ড আয়োজিত ‘ভূমি রাজস্ব মামলা ব্যবস্থাপনা: সমস্যা ও প্রতিকার’ শীর্ষক এক কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)-দের নিয়ে এই কর্মশালা আয়োজন করা হয়।

 

মন্ত্রী বলেন, কোনো ব্যক্তির মৃত্যু হলে অনেক ক্ষেত্রে তাঁর উত্তরাধিকারীগণ উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত সম্পদের রেজিস্ট্রিকৃত বণ্টননামা দলিল করেন না। ফলে কিছুদিন পর উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বিরোধ শুরু হতে দেখা যায়, যার ফলে মামলার জন্ম হয়। আবার, তাদের সময় না হলেও, তাদের পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যেও পূর্বপুরুষদের থেকে প্রাপ্ত সম্পদকে কেন্দ্র করে বিবাদ শুরু হতে দেখা যায়। মন্ত্রী বলেন, কেবল মুখের কথার ওপর ভিত্তি করে আইনে কিছু হয় না। এর জন্য লিখিত ডকুমেন্ট থাকা জরুরি।

 

মন্ত্রী এই প্রসঙ্গে আরো বলেন, বণ্টননামা করার পরও যাদের ইচ্ছে তারা যৌথভাবে বসবাস করতে পারেন। এমনকি ইচ্ছে হলে প্রযোজ্য প্রক্রিয়ায় সম্পদ হস্তান্তর করতেও পারেন। কিন্তু বণ্টননামা না করা থাকলে, পরবর্তীতে উত্তরাধিকারীগণ কিংবা তাদের পরবর্তী প্রজন্ম কোনো কারণে আলাদাভাবে কিছু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে কিংবা তাদের নিজেদের মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হলেই উদ্ভব হয় মামলার। এজন্য বিবাদ এবং মামলা হ্রাসে বণ্টননামা গুরুত্বপূর্ণ।

 

ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভূমি সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ আবু বকর ছিদ্দিক এবং ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আব্দুল বারিক। ভূমি মন্ত্রণালয় ও ভূমি আপিল বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ।

 

#

 

নাহিয়ান/সিরাজ/রাহাত/এনায়েত/সঞ্জীব/মাহমুদ/সেলিম/২০২৩/১৯২০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                               নম্বর : ১০৫৮

এসএমই ফাউন্ডেশনের কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহায়তা করবে আইটিসি

ঢাকা, ১ চৈত্র (১৫ মার্চ) :

          বাংলাদেশের নারী-উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং নারী-উদ্যোক্তা সংগঠনকে শক্তিশালী করতে এসএমই ফাউন্ডেশনের কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহায়তা করবে ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টার(আইটিসি)। আজ এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশকে ‘হাব’ হিসেবে ঘোষণা করে এসএমই ফাউন্ডেশনের সহায়তায় নারী-উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে বিশেষ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছে সংস্থাটি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। বিশেষ অতিথি ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মোঃ মাসুদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোঃ মফিজুর রহমান, যুক্তরাজ্যের Foreign, Commonwealth and Development Office -এর উপ-উন্নয়ন পরিচালক Duncan Overfield এবং চট্টগ্রাম উইমেন চেম্বার অভ্ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি ও এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালক মনোয়ারা হাকিম আলী।

          এসএমই ফাউন্ডেশনের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোঃ মফিজুর রহমান এবং আইটিসি’র পক্ষে Director, Division of Sustainable and Inclusive Trade Fiona Shera সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন।

          মন্ত্রী বলেন, বাজার সংযোগ, আইসিটি ব্যবহার, অর্থায়ন, দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, অ্যাডভাইজরি সার্ভিসের মাধ্যমে নারী-উদ্যোক্তা উন্নয়নে এসএমই ফাউন্ডেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তিনি বলেন, ২০২৬ সালের পর স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাণিজ্যনির্ভর উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন বাংলাদেশের নারী-উদ্যোক্তারা। তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে এসএমই ফাউন্ডেশন ও আইটিসির আজকের উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি।

          অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আইটিসি বর্তমানে এশিয়া, আফ্রিকা, ক্যারিবিয়ান ও ল্যাটিন আমেরিকার নারীদের উন্নয়নে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বাংলাদেশকে এই কার্যক্রমের ‘হাব’ হিসেবে যুক্ত করার অংশ হিসেবে সম্প্রতি মরিশাসে ÔCreating Digital Assets for your BusinessÕ ToT কর্মসূচিতে  অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল। বাংলাদেশ, ঘানা, কেনিয়া, নাইজেরিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও মরিশাসে পরিচালিত এই কর্মসূচির মাধ্যমে ১২শ’ নারী-উদ্যোক্তা পরিচালিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৮৪টি সরাসরি ও ভার্চুয়াল মেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেয়া হবে। ৪৬শ’ নারী-উদ্যোক্তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ৬ হাজার ৬৪৯ জন নতুন কর্মীর কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়া হবে, যাদের ৭৩ শতাংশ নারী এবং ৯১টি নারী-উদ্যোক্তা সংগঠনের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করা হবে। এছাড়া জাতীয় পর্যায়ে নারীবান্ধব ব্যবসায়িক নীতি প্রণয়ন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্রেতা ও বিনিয়োগকারীদের সাথে নারী-উদ্যোক্তাদের যোগাযোগ বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে এসএমই ফাউন্ডেশন ও আইটিসি।

#

মাহমুদুল/সিরাজ/রাহাত/এনায়েত/সঞ্জীব/মাহমুদ/জয়নুল/২০২৩/১৯৪৫ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর: ১০৫৭

এক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে মিলবে কৃষির ৪৫টি সেবা

ঢাকা, ১ চৈত্র (১৫ মার্চ):

 

এখন থেকে কৃষি মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ ১৭টি দপ্তর/সংস্থার ৪৫টি নাগরিক সেবা মিলবে একটি সমন্বিত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। কৃষিকাজের সাথে সংশ্লিষ্ট দুই কোটিরও অধিক জনগণ সরাসরি এ প্ল্যাটফর্ম থেকে এসব সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট (moa.gov.bd) থেকে ইন্টিগ্রেটেড ডিজিটাল সার্ভিস (http://service.moa.gov.bd/portal/home) ট্যাবে ক্লিক করলেই এসব সেবা মিলবে।

 

আজ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ ডিজিটাল সার্ভিসের উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। এসময় কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংস্থা প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

 

এসময় মন্ত্রী বলেন, এ প্ল্যাটফর্ম চালুর ফলে কৃষি মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ দপ্তর/সংস্থা প্রদত্ত নাগরিক সেবাসমূহ এক জায়গায় খুব সহজেই পাওয়া যাবে, সেবা প্রাপ্তিতে সময় কম লাগবে ও যাতায়াত খরচ হ্রাস পাবে।

 

এই পোর্টালের মাধ্যমে বর্তমান নাগরিক সেবাসমূহকে (যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাবে) খাত, ধরন, দপ্তর/অধিদপ্তর অনুসারে সন্নিবেশ করা হয়েছে। এখানে কৃষক, উৎপাদক, ব্যবসায়ী, আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের জন্য কৃষি পরামর্শ, শস্য, লাইসেন্স ও নিবন্ধন, সার, অনুদান ও ভর্তুকি, সেচ এবং কীটনাশক বিষয়ে মন্ত্রণালয় ও সকল সংস্থা প্রদত্ত সেবা ডিজিটালি পাওয়া যাবে। এখানে প্রতিটি সেবার বিপরীতে প্রয়োজনীয় তথ্য সন্নিবেশ করা হয়েছে। কী প্রক্রিয়ায়, কত খরচে, কার মাধ্যমে, কত সময়ে এবং কী কী প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মাধ্যমে সেবাসমূহ পাওয়া যাবে তা বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি সেবা  প্রদানের পদ্ধতির ধাপসমূহ বর্ণনা করা হয়েছে।

 

পরে কৃষিমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন অগ্রগতি সভায় ফলমূল, শাকসবজি বা হর্টিকালচারে গবেষণা বাড়াতে বিজ্ঞানীদের নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি বলেন, অর্থকরী ফলমূল, শাকসবজি বা হর্টিকালচার গবেষণায় দেশের বিজ্ঞানীরা এখনো পিছিয়ে আছে। এ খাতে বিজ্ঞানীদের অবদান খুব দৃশ্যমান নয়। 

 

বেসরকারি কৃষি উদ্যোক্তাদের সাথে হর্টিকালচার নিয়ে মতবিনিময় করার জন্যও এসময় বিজ্ঞানীদের নির্দেশনা দেন মন্ত্রী। 

#

কামরুল/সিরাজ/এনায়েত/রাহাত/সঞ্জীব/মাহমুদ/লিখন/২০২৩/১৯১৭ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর : ১০৫৬     

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে সংলাপের প্রশ্নই আসে না 

        --তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

ঢাকা, ১ চৈত্র (১৫ মার্চ) :  

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিএনপির সাথে সংলাপ করার কোনো প্রশ্নই আসে না।’ 

 

আজ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তথ্যমন্ত্রী বিএনপি মহাসচিবের ‘বিএনপি সংলাপে যাবে না’ এ বক্তব্যের সূত্র ধরে প্রশ্ন রাখেন- আমরা কী তাদেরকে সংলাপে ডেকেছি? তিনি বলেন, ‘তাদের সাথে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইস্যুতে কোনো সংলাপের তো প্রয়োজন নাই। আমরা তাদের সংলাপে ডাকিও নাই। আমরা যদি ডাকতাম তাহলে তাদের সেই কথা বলার সুযোগ থাকতো যে, তারা সংলাপে আসবে কি না।’

 

‘আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না’ বিএনপি’র এ অবস্থান প্রশ্নে সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার কিংবা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হয় না। উনারা যদি আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে যেতে চায়, সেটার কোনো সুযোগ নাই কারণ নির্বাচন আওয়ামী লীগের অধীনে হবে না।’

 

হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনে এবং বর্তমান সরকার নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে। যেভাবে সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশ ভারত, ইংল্যান্ড, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, কন্টিনেন্টাল ইউরোপের অন্যান্য দেশ যেমন জার্মানি, ফ্রান্স এবং আরো অনেক দেশে চলতি সরকার নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় আমাদের দেশেও সেটি হবে। এ প্রশ্নে সংলাপ করার প্রশ্নই আসে না।’

 

গত নির্বাচনে ‘বিএনপির মনোনয়ন বাণিজ্য’ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘বিএনপি গত নির্বাচনে ৩০০ আসনে ৯০০ প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছিল। বাংলাদেশের ইতিহাসে কখনো এ ঘটনা ঘটেনি। আমার নির্বাচনি এলাকায় প্রথমে দেখলাম একজন নমিনেশন পেয়েছে, পরে দেখি ওটা উল্টে গেছে, আরেকজন পেয়েছে। তারপর দেখলাম যে ধানের শীষ বিক্রি করে এলডিপিকে দিয়েছে। এবং এর প্রতিবাদে বিএনপির মহিলাকর্মীরা ঝাড়ু-মিছিল করল।’ 

 

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি গত নির্বাচনে এ ধরনের বেচা-বিক্রি করেছে, সে কারণে ৩০০ আসনে ৯০০ নমিনেশন দিয়েছিল। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক সাহেব একটা দেন, ফখরুল সাহেব আরেকটা দেন, রিজভী সাহেব আরেকটা দেন, উনাদের তিনজনের টানাটানিতে যেটা জেতে সেটা ফাইনাল। তাদের নির্বাচনে খুব খারাপ ফল করার পেছনে এগুলো বড় প্রভাব ফেলেছে।’ 

 

-২-

হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘আমাদের দলে পরীক্ষিত নেতাকর্মী, যাদের জনপ্রিয়তা আছে তাদেরকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে। আওয়ামী লীগ একটা আদর্শিক দল, দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত নেতা কিংবা কর্মীকে বাদ দিয়ে সদ্য অবসরপ্রাপ্ত আমলা কিংবা বড় ব্যবসায়ীদেরকে আমরা নমিনেশন দিই না। অনেকে আওয়ামী লীগের নমিনেশন না পেয়ে বিএনপিতে গিয়েছিল এবং মোটা অংকের টাকা দিয়ে নমিনেশন পেয়েছিল। পরে তারা মন্ত্রীও হয়েছিল। এ ধরনের প্র্যাকটিস বিএনপিই করে কারণ বিএনপি তো সৃষ্টিই হয়েছে ক্ষমতার হালুয়া রুটি বণ্টন করে রাজনীতির কাকদের নিয়ে।’ 

 

মির্জা ফখরুল সাহেব, রিজভী সাহেব, খন্দকার মোশাররফ সাহেব সবাই অন্য দল করতেন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দলছুট নেতাদের, রাজনীতির কাকদের নিয়ে বিএনপির সৃষ্টি। সেই কারণে তাদের মধ্যে আদর্শ নাই, তাই তারা এভাবে পদ বাণিজ্য করে, নমিনেশন বাণিজ্য করে।’ 

 

এর আগে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অমর প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত একুশে পদকপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া রচিত ‘বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন’ এবং মোঃ রফিকুল ইসলামের কাব্য সংকলন ‘তুমি বঙ্গবন্ধু, তুমি জাতির পিতা’ গ্রন্থ দু’টির মোড়ক উন্মোচন করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া, অমর প্রকাশনীর সত্ত্বাধিকারী অমর হাওলাদার এবং সাংবাদিক ও গবেষকদের মধ্যে অভি চৌধুরী, কিশোর কুমার বড়ুয়া, গোলাম কাদের প্রমুখ অনুষ্ঠানে অংশ নেন। মন্ত্রী হাছান মাহ্‌মুদ গ্রন্থকারদ্বয়  এবং প্রকাশককে ধন্যবাদ জানান এবং তাদের হাত ধরে আরো গবেষণাধর্মী বই প্রকাশিত হবে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। এ সময় খুলনার সানরাইজ সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ প্রকাশিত মুজিববর্ষ স্মারক পত্রিকাটি মন্ত্রীর হাতে তুলে দেন কবি আনন্দ কুমার স্বর। 

 

#

আকরাম/সিরাজ/রাহাত/সঞ্জীব/মাহমুদ/রেজাউল/২০২৩/১৭৫৫ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ১০৫৫

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে

                                                          --- পরিবেশ মন্ত্রী

খুলনা, ১ চৈত্র (১৫ মার্চ) :

          পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমাজের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। শব্দদূষণের ক্ষতিকর দিক বিবেচনায় এটি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এজন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধি, বিধিমালা যুগোপযোগীকরণ ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

          আজ খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের অধীনে আয়োজিত সচেতনতামূলক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

          মন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অহেতুক বেশি ও উচ্চশব্দের শব্দযন্ত্র ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। অযথা হর্ন বাজানো, হাইড্রোলিক হর্ন পরিহার করতে গাড়িচালকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, পরিবহন মালিক ও ব্যবহারকারীগণ এটি নিশ্চিত করতে পারেন।

          মন্ত্রী এসময় ইমাম ও পুরোহিতসহ সকল ধর্মীয় নেতাকে জনস

2023-03-15-16-17-5ecfde903047bc771c54cdbb11ff74df.docx