তথ্যবিবরণী নম্বর: ৭৭০
সেন্টমার্টিনে যেতে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এমন
কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়
ঢাকা, ২১ ভাদ্র (৫ সেপ্টেম্বর):
‘সেন্টমার্টিনে যেতে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে’ এ শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে একটি খবর প্রচারিত হচ্ছে, যা পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, সেন্টমার্টিনে যেতে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এমন কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বা পরিবেশ অধিদপ্তর।
আজ কক্সবাজারে সেন্টমার্টিন দ্বীপে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সেমিনারে সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষায় অংশীজনদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আলোচনায় সেন্টমার্টিন দ্বীপে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক বন্ধে গুরুত্বারোপ করা হয়। সেখানে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাবার জন্য রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম চালুর প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি আলোচনা হলেও এবিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়নি। অর্থাৎ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বা পরিবেশ অধিদপ্তর এধরনের কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি।
জনগণের নিকট সঠিক বার্তা প্রচারের স্বার্থে প্রকাশিত গণমাধ্যমসমূহে সংশোধনী প্রকাশের জন্য অনুরোধ করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
#
দীপংকর/আকরাম/রানা/রফিকুল/শামীম/২০২৪/১৯৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৭৬৯
বিএসএফের হাতে বাংলাদেশি কিশোরী হত্যার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা
ঢাকা, ২১ ভাদ্র (৫ সেস্টেম্বর):
ভারতীয় সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী (বিএসএফ) বাংলাদেশি কিশোরী স্বর্ণা দাসকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ভারত সরকারের কাছে আজ আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার ১৩ বছর বয়সী কিশোরী স্বর্ণা দাসকে গত ১ সেপ্টেম্বর বিএসএফ গুলি করে হত্যা করে।
আজ ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে পাঠানো প্রতিবাদ নোটে বাংলাদেশ এ ধরণের নির্মম হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে এবং এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ সরকার মনে করিয়ে দিয়েছে যে, সীমান্ত হত্যার এই ধরণের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অযৌক্তিক এবং এই ধরণের কর্মকাণ্ড ‘সীমান্ত কর্তৃপক্ষের জন্য যৌথ ভারত-বাংলাদেশ নীতিমালা, ১৯৭৫’ এর বিধান লঙ্ঘন করে।
বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারকে এ ধরণের জঘন্য কাজের পুনরাবৃত্তি বন্ধ করতে এবং সকল সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের তদন্ত পরিচালনা, দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা এবং তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে।
#
কামরুল/আকরাম/রানা/রফিকুল/আব্বাস/২০২৪/২২২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৭৬৮
উপদেষ্টা মোঃ নাহিদ ইসলামের সাথে ইউএনডিপি আবাসিক প্রতিনিধির সাক্ষাৎ
ঢাকা, ২১ ভাদ্র (৫ সেস্টেম্বর):
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মোঃ নাহিদ ইসলামের সাথে আজ ঢাকায় সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে ইউএনডিপি আবাসিক প্রতিনিধি Stefen Liller (স্টিফেন লিলার) সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। সাক্ষাতের শুরুতে স্টিফেন লিলার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে অভিনন্দন জানিয়ে সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
উপদেষ্টা বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রাপ্ত নতুন বাংলাদেশের এই সরকারের কাছে জনগণের অনেক প্রত্যাশা। তাই স্বাভাবিকভাবে চাপও বেশি। ধ্বংসস্তুপের ওপর দাঁড়িয়ে কাজ করতে হচ্ছে।
উপদেষ্টা আরো বলেন, গত ১৫ বছর ডিজিটাইজেশনের নামে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়েছে, আমরা সেগুলো তদন্ত করছি। এটুআই নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। আমরা এটুআই-এর পলিসি পরিবর্তন করতে চাই। অনিয়ম দুর্নীতির জন্য আমরা এখনো কাউকে শাস্তি দেইনি। এটুআই-এর ১৪ কর্মকর্তাকে তদন্তের স্বার্থে কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেছি। ইউএনডিপি যেহেতু এটুআই এর সাথে জড়িত তাই আমরা তাদেরও তদন্ত করতে বলেছি। এক্ষেত্রে ইউএনডিপি চাইলে তদন্তের স্বার্থে তাদেরকে সহযোগিতা করা হবে।
স্টিফেন লিলার বলেন, আমরা তদন্তের বিষয়টা খুবই গুরুত্বসহকারে দেখছি। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা কিছু অভিযোগ পেয়েছি, সেগুলো তদন্ত করছি। এটুআইয়ের সাথে ২০২৫ সালে চুক্তি শেষ হবে উল্লেখ করে স্টিফেন লিলার বলেন, ভবিষ্যতে সরকারের সাথে ইউএনডিপি কাজ করতে আগ্রহী ।
স্টিফেন লিলার রোডম্যাপে ইউএনডিপির ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চান। উপদেষ্টা ইউএনডিপির আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে বলেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশি তরুণদের বিভিন্ন উদ্যোগকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে ইউএনডিপি ভূমিকা পালন করতে পারে।
উপদেষ্টা বলেন, আমরা ডিজিটাল বৈষম্য দেখতে পাচ্ছি। আইসিটি'র দিক দিয়ে প্রান্তিকভাবে আমরা পিছিয়ে আছি। আইসিটি'র সমস্ত সুবিধা আমরা প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে দিতে চাই। এছাড়া তরুণদের সাইবার নিরাপত্তা, আইসিটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে চাই, যেন তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এসব বিষয়ে ভালোভাবে কাজ করতে পারে। বাংলাদেশি ছাত্ররা যারা বিভিন্ন দেশে তথ্যপ্রযুক্তিতে অভিজ্ঞ হিসেবে কাজ করছে, তাদের সমন্বয়ে একটি টিম গঠন করা হবে, যারা দেশের তরুণদের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অভিজ্ঞ করে গড়ে তুলতে পারবে বলে প্রতিনিধিকে জানান উপদেষ্টা।
#
জসীম/আকরাম/রানা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৪/২১২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৭৬৭
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষিতে প্রণোদনার সর্বশেষ তথ্য
ঢাকা, ২১ ভাদ্র (৫ সেপ্টেম্বর):
উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও টানা ভারী বর্ষণে গত ১৬ থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে দেশের ২৩ টি জেলা (নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, নাটোর, খুলনা, নড়াইল, বাগেরহাট ও যশোর)। সারা দেশে বন্যার পানি কৃষি জমিগুলোকে তলিয়ে দিয়েছে, যা কৃষকদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষিতে প্রনোদনার তথ্য সম্বলিত বার্তায় কৃষি মন্ত্রণালয় এ উপাত্ত তুলে ধরে।
মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্যানুসারে, বন্যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা ১৪ লাখ ১৪ হাজার ৮৯; মোট ক্ষতিগ্রস্ত ফসলি জমির পরিমাণ ২ লাখ ৮ হাজার ৫৭৩ হেক্টর এবং আক্রান্ত ফসলি জমির পরিমাণ ৩৭ লাখ ২ হাজার ৭৩৩ হেক্টর। যার মধ্যে আউশ ৩৮ হাজার ৬৮৯ হেক্টর, রোপা আমন ১ লাখ ৪১ হাজার ৬০৯ হেক্টর, বোনা আমন ৭৬৪ হেক্টর, রোপা আমন বীজতলা ১৪ হাজার ৯০৮ হেক্টর, শাকসবজি ১১ হাজার ২৯০ হেক্টর এবং অন্যান্য-সহ মোট ২ লাখ ৮ হাজার ৫৭৩ হেক্টর।
কৃষি মন্ত্রণালয় বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচি গ্রহণ করে সরকারিপত্র জারি করেছে। পুনর্বাসনের আওতায় ৯টি জেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ৮০ হাজার কৃষককে বিনামূল্যে রোপা আমনের উফশী জাতের বীজ, সার সহায়তা এবং খরচ বাবদ মোট ১৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা দেয়া হবে। যা জনপ্রতি কৃষক পাবে ১ হাজার ৭০৭ দশমিক ৫ টাকা (চারা/বীজ এবং ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি এবং বীজ বপন ও অন্যান্য বাবদ ১ হাজার টাকা সহায়তা বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে)।
এছাড়া বসতবাড়িতে আগাম শীতকালীন সবজি চাষের জন্য ২২টি জেলায় ১ লাখ ৫০ হাজার কৃষককে ৫ শতাংশ জমিতে চাষের জন্য জনপ্রতি ১ হাজার ৫২৩ টাকা (বিভিন্ন জাতের ৫২০ টাকার সবজি বীজ ও অন্যান্য বাবদ ১ হাজার টাকার সহায়তা বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে) প্রদান করা হবে, যার মোট অর্থ হবে ২২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।
#
জাকির/আকরাম/রানা/রফিকুল/শামীম/২০২৪/১৯৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৭৬৬
টেলিভিশন চ্যানেলে স্ক্রল আকারে প্রচারের জন্য
সকল ইলেকট্রনিক মিডিয়া
ঢাকা, ২১ ভাদ্র (৫ সেপ্টেম্বর):
সরকারি-বেসরকারি টিভি চ্যানেল-সহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নিম্নোক্ত বার্তাটি স্ক্রল আকারে প্রচারের জন্য অনুরোধ করা হলো :
মূলবার্তা:
‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ (সংশোধিত ২০২১)-এর অধীন সম্পাদিত চুক্তিসমূহ পর্যালোচনার লক্ষ্যে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে- বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।’
#
শফিউল্লাহ/আকরাম/রানা/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/১৯৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৭৬৫
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি সম্পর্কিত চুক্তিসমূহ পর্যালোচনার জাতীয় কমিটি গঠন
ঢাকা, ২১ ভাদ্র (৫ সেপ্টেম্বর):
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ (সংশোধিত ২০২১)-এর অধীন সম্পাদিত চুক্তিসমূহ পর্যালোচনার লক্ষ্যে ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।
হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরীকে কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক আবদুল হাসিব চৌধুরী; কেপিএমজি বাংলাদেশের সাবেক সিওও আলী আশফাক, এফসিএ; বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন ও ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের ফ্যাকাল্টি অভ্ ল’ অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের অর্থনীতির অধ্যাপক মোশতাক হোসেন খান।
কমিটির কার্যপরিধি সম্পর্কে বলা হয়েছে, কমিটি যে কোনো সূত্র থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও প্রয়োজনীয় যে কোনো নথি নিরীক্ষা করতে পারবে; সংশ্লিষ্ট যে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে শুনানিতে আহ্বান করতে পারবে; বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ (সংশোধিত ২০২১)-এর আওতায় ইতোমধ্যে সম্পাদিত চুক্তিসমূহে সরকারের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়েছে কি না তা নিরীক্ষা করবে; নিরীক্ষার ভিত্তিতে পরবর্তী কার্যক্রম বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়ন করবে এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় কমিটিকে সাচিবিক ও আনুষঙ্গিক সহায়তা প্রদান করবে।
আজ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
#
শফিউল্লাহ/আকরাম/রানা/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/১৯৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭৬৪
২৪ স্থলবন্দর কার্যকর ও দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত করার নির্দেশ নৌপরিবহন উপদেষ্টার
ঢাকা, ২১ ভাদ্র (৫ সেপ্টেম্বর):
নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ২৪টি স্থলবন্দরকে কার্যকর ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরিচালনা করতে হবে। অনিয়ম ও দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত করে তার সমাধান করতে হবে। এ সময় স্থলবন্দরের কর্মকর্তাদের সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে অনুরোধ জানান তিনি।
আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ও নৌপরিবহন অধিদপ্তর পরিদর্শনের পর এক মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
নৌপরিবহন অধিদপ্তর পরিদর্শন করে উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, নৌপথে জাহাজ পরিচালনার ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। তিনি বলেন, একটি নিরাপদ নৌ চলাচল ব্যবস্থা নিশ্চিতে নৌপরিবহন অধিদপ্তরকে কার্যকর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে।
এ সময় নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মোঃ মাকসুদ আলম এ অধিদপ্তরের সার্বিক কার্যক্রম অবহিত করেন।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব সঞ্জয় কুমার বনিক, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য মোহাম্মদ মুসা, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল কবীর, ক্যাপ্টেন ফরহাদ জলিল বিপ্লব ও পরিচলকবৃন্দ-সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ পরিদর্শনকালে উপদেষ্টার সাথে উপস্থিত ছিলেন।
#
আসিফ/আকরাম/রানা/রফিকুল/শামীম/২০২৪/১৯৪৫ঘণ্টা
Handout Number: 763
Dhaka lodged strong protest over
killing of Bangladeshi minor girl by BSF
Dhaka, 5 September:
The Ministry of Foreign Affairs of Bangladesh today has lodged a formal protest to the Government of India on the killing of a 13-year-old Bangladeshi girl, Shwarna Das of Juri upazila of Moulvibazar district, who was shot and killed by Border Security Force (BSF) of India on Sunday, 1 September. A release from the ministry said this.
The press release said, Bangladesh strongly protested and condemned such ruthless acts and expressed deep concern over the incidents, in the protest note sent to the Indian High Commission in Dhaka today.
The Government of Bangladesh reminded that such incidents of border killing are undesirable and unwarranted and such actions are in violation of the provisions of the Joint Indo-Bangladesh Guidelines for Border Authorities, 1975.
The Government of Bangladesh called upon the Government of India to stop the repetition of such heinous acts and conduct enquiries into all border killings, identify the responsible persons and bring them to justice, the release added.
#
Kamrul/Akram/Rana/Sanjib/Rafiqul/Abbas/2024/1950 Hours
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৭৬২
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের এক মাস পূর্তিতে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ঢাকা, ২১ ভাদ্র (৫ সেস্টেম্বর):
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের এক মাস পূর্তিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বার্তা নিম্নরূপ:
‘‘আসসালামু আলাইকুম,
আজ আমরা বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জনের প্রথম মাস উদ্যাপন করছি। ইতিহাসের অন্যতম গৌরবময় বিপ্লবের জন্য শত শত ছাত্র এবং সর্বস্তরের মানুষ সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছে।
তারা ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার ১৫ বছরের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়েছে যার নেতৃত্বে নৃশংস একটি গণহত্যা সংগঠিত হয়েছে। শেখ হাসিনা একটি দুর্নীতিগ্রস্ত রাষ্ট্র এবং একটি ভঙ্গুর অর্থনীতি রেখে দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন। আমাদের বাংলাদেশকে এর পূর্ণ গৌরবে প্রতিষ্ঠিত করার দায়িত্ব আমাদের।
আজ আমি সেই সাহসী তরুণ, শ্রমিক, দিনমজুর, পেশাজীবীদের স্মরণ করছি যারা জঘন্য হত্যাকারী ফ্যাসিবাদী শক্তিকে মোকাবিলা করতে গিয়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছিল। স্মরণ করছি আন্দোলন চলাকালে নিহত সাংবাদিকদের। আজ আমি এই বিপ্লবে শাহাদাতবরণকারী সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই ।
আমি অভিবাদন জানাই হাজার হাজার মানুষকেও যারা আহত হয়েছেন, প্রাণঘাতী আঘাতের শিকার হয়ে চিরজীবনের জন্য পঙ্গু হয়েছেন, কিংবা চক্ষু হারিয়েছেন।
গত মাসে আমাকে যখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তখন আবু সাঈদ, মুগ্ধ এবং সমস্ত জানা এবং অজানা শহিদদের নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমার সকল সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এই দায়িত্ব গ্রহণ করেছি।
আমাদের তরুণ বিপ্লবীরা দেশের মানুষের মনে নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন জাগিয়ে দিয়েছে তা পূরণে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। শহিদদের আত্মত্যাগে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন করতে চাই। এক নতুন যুগের সূচনা করতে চাই।
আমার প্রিয় তরুণেরা,
তোমরা তোমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের শপথ নিয়েছিলে। শহর ও গ্রামীণ জনপদের দেয়ালে আঁকা তোমাদের স্বপ্নগুলো এখনো নানা রঙের সাজ নিয়ে আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
চলমান পাতা/২
--পাতা ০২--
বিপ্লবের সময়, তোমরা পড়াশুনা ছেড়ে দিয়ে বন্ধুদের নিয়ে উদ্বিগ্ন ঘুমহীন রাত কাটিয়েছো এবং দিনে নিষ্ঠুর শাসনকে প্রতিহত করার জন্য পরস্পরের থেকে চির বিদায় নিয়ে রাস্তায় নেমেছ। বিপ্লব শেষ হওয়ার পর তোমরা দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও তাঁদের উপাসনালয় পাহারা দিয়েছো এবং সারা দেশে ট্রাফিক পরিচালনা করার দায়িত্ব নিয়েছ। আমি জানি তোমাদের পড়াশোনার অনেক ক্ষতি হয়েছে। তাই এখন সময় পড়াশোনায় ফেরার। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হয়েছে। আমি তোমাদেরকে ক্লাস ও ক্যাম্পাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। কেন না বিপ্লবের সুফল ঘরে তুলতে আমাদের একটি সুশিক্ষিত ও দক্ষ প্রজন্মের দরকার।
মাত্র একমাস হলো অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। তা সত্ত্বেও আমরা বিপ্লবের প্রকৃত লক্ষ্য অর্জনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার এর কাজ শুরু করেছি। আমাদের প্রথম কাজ জুলাই ও আগস্টের হত্যাকাণ্ডের বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। গণহত্যার বিষয়ে জাতিসংঘের নেতৃত্বে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত পরিচালনা করার জন্য আমরা জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তাঁরা এদেশে এসেছেন এবং তাঁদের কাজ শুরু করে দিয়েছেন।
এছাড়া আমি জুলাই এবং আগস্ট মাসে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচারের জন্য একটি আন্তর্জাতিক মানের ট্রাইব্যুনাল তৈরি করার প্রয়াসে শীর্ষ আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞদের সাথেও কথা বলেছি। আমরা খুনিদের প্রত্যর্পণ এবং স্বৈরাচারের সময় দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি, রাজনীতিবিদ ও আমলারা যে পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছে তা দেশে ফিরিয়ে আনতে চাই। এজন্য বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলাপ শুরু করেছি।
আমাদের প্রধান দায়িত্বগুলোর মধ্যে একটি হল বিপ্লবের সময় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হাজার হাজার মানুষের বিনামূল্যে চিকিৎসা নিশ্চিত করা। হাসিনার দুর্বৃত্তরা তাদের চোখ লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছোড়ায় অসংখ্য তরুণ শিক্ষার্থী দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করবো তাঁদের চোখের আলো ফিরিয়ে দিতে। আমরা শহিদ ও আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির জন্য ক্রমাগত কাজ করে যাচ্ছি। মূল তালিকা হয়ে গেছে। এখন শুধু দূরদূরান্তে যাদের লাশ নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁদের তথ্য সংগ্রহ করে তথ্যগুলোতে পূর্ণাঙ্গতা দেয়া হচ্ছে। আহত শত শত মানুষ যাদের দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা প্রয়োজন, তাদের ব্যয়বহুল চিকিৎসা এবং শহিদদের পরিবারের দেখাশোনার জন্য একটি ফাউন্ডেশন এখন তৈরির শেষ পর্যায়ে আছে। যাদের শাহাদতের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে আমরা তাঁদের কখনোই ভুলব না।
সম্প্রতি আমরা বলপূর্বক গুম থেকে সকল ব্যক্তির সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক কনভেনশন সনদে স্বাক্ষর করেছি। ফলে স্বৈরাচার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ‘গুম সংস্কৃতি’ এর সমাপ্তি ঘটানোর জন্য আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছি। আলাদাভাবে, আমরা ফ্যাসিবাদী শাসনের ১৫ বছরে বলপূর্বক গুমের প্রতিটি ঘটনা তদন্ত করার জন্য একটি কমিশন গঠন করছি। যেসব পরিবার তাদের নিখোঁজ পিতা, স্বামী, পুত্র এবং ভাইদের পাওয়ার জন্য বছরের পর বছর ধরে যন্ত্রণার সাথে অপেক্ষা করছেন, আমরা আপনাদের বেদনায় সমব্যথী।
--পাতা ০৩--
আয়নাঘরগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই আমরা বলপূর্বক গুমের শিকার ভাইবোনদের কষ্ট ও যন্ত্রণা সম্পর্কে জানতে পারব।
গত মাসের শেষের দিকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া আমার ভাষণে আমাদের সরকার এ পর্যন্ত যেসব গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার গ্রহণ করেছে আমরা তার একটা প্রতিবেদন তুলে ধরেছি। আমরা রাজনৈতিক দল, সম্পাদক, ব্যবসায়ী নেতা, সুশীল সমাজের নেতা এবং কূটনীতিকদের সাথে ক্রমাগতভাবে বৈঠক করে যাচ্ছি। তারা আমাদের সংস্কার উদ্যোগকে সমর্থন করেছেন। আমরা আমাদের বিদেশি বন্ধুদের কাছ থেকে প্রচুর সমর্থন পেয়ে অভিভূত হয়েছি। আমাদের সাহসী এবং দেশপ্রেমিক প্রবাসীরাও জাতি পুনর্গঠনের প্রচেষ্টায় নিয়োজিত রয়েছেন। আমি তাঁদের সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আজ এই স্মৃতিময় বিষাদ দিনে আমি শহিদদের প্রতিটি পরিবার এবং আহত ব্যক্তিদের প্রতি জানাই অসীম কৃতজ্ঞতা। আমি সকল শহিদ পরিবারের সদস্যদের রাজধানীতে আমন্ত্রণ জানাব, কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁদের সঙ্গে দেখা করব। আমি তাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে আমরা কখনই শহিদদের স্বপ্নের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করব না।
আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এখন আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দুঃশাসন ও স্বৈরাচার দ্বারা সৃষ্ট ক্ষত পূরণ করা। এজন্য আমাদের প্রয়োজন একতা ও সমন্বয় ৷
আমরা সবাই প্রতিজ্ঞা নিলাম শহিদদের রক্ত এবং আহত ভাইবোনদের আত্মত্যাগকে জাতি হিসাবে আমরা কিছুতেই ব্যর্থ হতে দেব না। যে সুযোগ তাঁরা আমাদের জন্য তৈরি করে দিয়েছেন সে সুযোগকে আমরা কখনো হাতছাড়া হতে দেব না। আজ তাঁদের স্মৃতিময় দিনে আবারো প্রতিজ্ঞা করলাম তাঁদের স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ আমরা গড়বই।
মহান আল্লাহ আমাদের সকলের সহায় হোন ।’’
#
জাহাঙ্গীর/আকরাম/রানা/সঞ্জীব/রফিকুল/আব্বাস/২০২৪/১৯১৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৭৬১
অন্তবর্তী সরকার বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে অঙ্গীকারবদ্ধ
-সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা
ঢাকা, ২১ ভাদ্র (৫ সেপ্টেম্বর):
অন্তবর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে অঙ্গীকারবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
আজ ঢাকার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)’র প্রধান প্রতিনিধি Ichiguchi Tomohide এর নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধিদলের সাথে সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা এ মন্তব্য করেন।
সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা বাংলাদেশ-জাপানের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পে উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে জাইকার সমর্থনের প্রশংসা করেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। কথিত উন্নয়নের নামে দুর্নীতি, অন্যায়-অবিচার ও বৈষম্যের অবসান চায় তাঁরা। বর্তমান সরকার জনগণের এই প্রত্যাশা পূরণে কাজ করে যাচ্ছে বলে এ সময় মন্তব্য করেন তিনি।
উপদেষ্টা জানান, বর্তমানে দেশের গ্যাস সংকট উত্তরণে, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধিতে, মেট্রোরেলের ক্ষতিগ্রস্ত দুইটি স্টেশন (কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০) অতিদ্রুত চালুসহ সড়ক, সেতু, রেল, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বিভিন্ন প্রকল্পগুলোতে তিনি জাইকার আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা কামনা করেছেন।
বাংলাদেশে জাইকা’র প্রধান বৈঠকে অন্তবর্তীকালীন সরকারকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, জাইকা বাংলাদেশের জনগণের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করতে সবসময় আগ্রহী। ইতোমধ্যে এই সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলোর ভূয়সী প্রশংসা করার পাশাপাশি প্রধান প্রতিনিধি সর্বাত্মক সহযোগিতা করার কথা উল্লেখ করেন। এছাড়া বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগের কথা উল্লেখ করে Ichiguchi Tomohide বলেন, জাইকা বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার এবং জাইকা সব সময় তাদের প্রকল্পে কাজের গুণগতমান, স্বচ্ছতা ও পরিবেশগত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চায়। এসময় তিনি বর্তমানে চলমান প্রকল্পগুলোর কাজ দ্রুততম সময়ে শেষ করতে এই সরকারের সহযোগিতা চান এবং নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগের ব্যাপারে উপদেষ্টাকে আশ্বস্ত করেন।
বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ এহছানুল হক, বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান, সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মনজুর হোসেন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল বাকী, ডিএমটিসিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মোঃ নূরুল আলম-সহ মন্ত্রণালয়ের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
নোবেল/আকরাম/রানা/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/১৯৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৭৬০
উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে ‘জাতীয় জীন ব্যাংক ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০২৪’-এর খসড়া উপস্থাপন
ঢাকা, ২১ ভাদ্র (৫ সেস্টেম্বর):
খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তনে উদ্ভূত ঝুঁকি মোকাবিলা, টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চাহিদা পূরণে কৌলিসম্পদের (Genetic Resources) গুরুত্ব অনুধাবন, যথাযথ সংরক্ষণ এবং টেকসই ব্যবহারের লক্ষ্যে ‘জাতীয় জীন ব্যাংক ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০২৪' খসড়া প্রণয়ন করে আজ ঢাকায় উপদেষ্টা পরিষদ-বৈঠকে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
‘জাতীয় জীন ব্যাংক ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০২৪'-এর খসড়া পরীক্ষা করে হালনাগাদ ও পরিমার্জনের জন্য উপদেষ্টা, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টাকে আহ্বায়ক করে কৃষি উপদেষ্টা এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় উক্ত কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবে। কমিটি সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সাথে আলোচনা করে নীতিমালার একটি হালনাগাদ ও পরিমার্জনকৃত খসড়া চূড়ান্ত করবে।
কমিটির পরিমার্জনকৃত ‘জাতীয় জীন ব্যাংক ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০২৪' উদ্যোক্তা মন্ত্রণালয় হিসেবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা পরিষদ-বৈঠকে উপস্থাপনের লক্ষ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রেরণ করবে।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ জয়ে অভিনন্দন প্রস্তাব গৃহীত
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল স্বাগতিক পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে
জয়লাভ করায় উপদেষ্টা পরিষদ আনুষ্ঠানিক অভিনন্দন প্রস্তাব গ্রহণ করেছে, যা গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জারি করা হবে।
#
সুমন/আকরাম/রানা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৪/১৯১০ ঘণ্টা
Handout Number: 759
The Cabinet Division issued instructions
to use alternatives to single-use plastics in all government offices
Dhaka, 5 September:
The Cabinet Division has instructed all government offices to use alternative products to control environmental pollution caused by single-use plastic items. This directive was issued today following a request from the Advisor of the Ministry of Environment, Forest and Climate Change Syeda Rizwana Hasan.
The Cabinet Division has requested that paper or other eco-friendly materials be used instead of plastic files and folders. Cotton or jute fabric bags should replace plastic bags. Glass bottles and glasses are recommended instead of plastic water bottles. Banners made from cotton fabric, jute, or biodegradable materials should be used instead of plastic banners. Plastic lamination on invitation cards, visiting cards, and promotional leaflets should be avoided.
It has been emphasized that food packets provided at meetings or seminars should be made of paper or eco-friendly materials. The use of all single-use plastic products such as plates, glasses, cups, spoons, and cutlery is discouraged. Pencils or paper pens should be used instead of plastic pens. In all publications, including annual reports, plastic and laminated covers should be avoided, and plastic-free flower bouquets are encouraged.
The Cabinet Division has requested all senior secretaries, secretaries, divisional commissioners, and district commissioners to ins