Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৬ মে ২০২৪

তথ্যবিবরণী ১৫ মে ২০২৪

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর :  ৪৬৮৬

 

চলতি মাসেই মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে কাজ করছে সরকার

                                        -- প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ১ জ্যৈষ্ঠ (১৫ মে):

 

আগামী ৩১ মের মধ্যে মালয়েশিয়ায় কোটা অনুযায়ী সকল কর্মী পাঠাতে হবে। তাই ৩১ মের মধ্যে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার বলে জানিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।

 

আজ রাজধানীর ইস্কাটনে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মালয়েশিয়ার ইস্যুতে বায়রার প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রীএসব কথা বলেন।

 

এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর সময় বাড়ানোর আবেদন করে আমরা একটি চিঠি পাঠিয়েছি। তবে আমাদের আবেদনের ভিত্তিতে তারা যদি সময় না বাড়ায় তাও কোনো সমস্যা হবে না। কারণ আমরা আগামী ৩১ তারিখকেই লক্ষ্য করে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, বৈঠকে মালয়েশিয়ায় আমাদের যে কোটার তারিখ রয়েছে সেই তারিখের মধ্যেই কর্মী প্রেরণের বিষয় আলোচনা হয়েছে। এ বিষয় আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। ঐক্যবদ্ধভাবেই আমরা চেষ্টা করছি যে ৩১ তারিখের মধ্যে কোটার সকল কর্মী যেনো পাঠাতে পারি। কোটার মধ্যে যতজন কর্মী বাকি রয়েছেন তাদের সবার মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

 

বৈঠকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব রুহুল আমিন, অতিরিক্ত সচিব মোঃ খায়রুল আলম, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক সালেহ আহমেদ মোজাফফর এবং বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অভ্‌ ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজের মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরীসহ বায়রা সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

সৈকত/সায়েম/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২১৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ৪৬৮৫

 

সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের জন্য বাজেটে ৫শ’ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর

 

ঢাকা, ১ জ্যৈষ্ঠ (১৫ মে):

সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের গুরুত্ব অনুধাবন করে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বাজেটে ৫শ’ বা ১শ’ মিলিয়ন ডলার সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের জন্য বরাদ্দ রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করা হবে। তিনি বলেন, স্মার্টআপদের জন্য যেভাবে বাজেটে ১০০ কোটি টাকা রাখা হয়েছিল, ঠিক একইভাবে সেমিকন্ডাক্টর শিল্প দেশে কিংবা বিদেশি কেউ যদি আসে, বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে চায়, সাথে আমরাও যেন ৫শ’ মিলিয়ন ডলার দিতে পারি। সেজন্য একটা ম্যাচিং ফান্ড দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব দেয়া হবে বলে তিনি জানান।

প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর চেম্বার অভ্‌ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)-অডিটরিয়ামে ‘Unleashing the Potential of Semiconductor Industry in Bangladesh’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ‘উল্কাসেমি, নিউরাল সেমিকন্ডাক্টর লিমিটেড, প্রাইম সিলিকন ও ডিএসআই চিপ উৎপাদন ও নকশা করে বছরে ৫ মিলিয়ন ডলার আয় করছে। কিন্তু এখনো দেশে চিপ ফ্রেব্রিকেশনের কোনো প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেনি। চিপ অ্যাসেম্বিলিং, টেস্টিং এবং প্যাকেজিংয়েরও কোনো সুযোগ এখানে নেই। বিশ্বে সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে ৬০০ বিলিয়ন ডলারের বাজার রয়েছে, যা ২০৩০ সালের মধ্যে এক ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছতে পারে। তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে দেশে টেকনোলজি বেইজড ইকোসিস্টেম তৈরি হয়েছে। এই ফাউন্ডেশনের ওপর ভিত্তি করে আগামী ১৭ বছরে ৫০ বিলিয়ন ডলার এক্সপোর্ট করার যে টার্গেট, সেখানে দেশের মেধাবী প্রকৌশলীরা তাদের কাজের মাধ্যমে দেশে উৎপাদিত ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ চিপ রফতানি করে ১০ বিলিয়ন ডলার সেমিকন্ডাক্টর শিল্প থেকে রপ্তানি করা সম্ভব।

পলক বলেন, দেশে চিপ ডিজাইনিং ক্যাপাসিটি বিল্ডআপ করার লক্ষ্যে এনহান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি প্রকল্পের অধীনে ফ্রন্টিয়ার (অগ্রসর) টেকনোলজিতে ১ লাখ তরুণ-তরুণীকে দক্ষ করে গড়ে তোলা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটসহ দেশের ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের শিক্ষিত তরুণদের মাইক্রো চিপস ডিজাইনিং, আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স, মেশিন লার্নিং, ডেটা অ্যানালেটিক্স, ক্লাউড কম্পিটিং প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তোলার জন্য হায়ার অ্যান্ড ট্রেনিং প্রোগ্রামের আওতায় প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, উদ্ভাবন ও গবেষণার বিকাশে সরকার দেশের ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০টি রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা করছে। ইতোমধ্যে ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর শেষে গবেষণা ও উদ্ভাবনী কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এমআইটি'র সাথে আইসিটি ডিভিশনের অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ১০ মিলিয়ন ডলার খরচ করে বুয়েটের ক্যাম্পাসে আমরা একটা অত্যাধুনিক ন্যানো ল্যাব স্থাপন করেছি।

অনুষ্ঠানে চেম্বার অভ্‌ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি সভাপতি আশরাফ আহমেদের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বুয়েটের ন্যানোমেটেরিয়ালস অ্যান্ড সিরামিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর এ এস এম এ হাসিব ও বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিএসএম জাফরউল্লাহ।

#

বিপ্লব/সায়েম/রফিকুল/শামীম/২০২৪/২০৫৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর :  ৪৬৮৪

 

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরো এগিয়ে নিতে ডোনাল্ড লু’র সঙ্গে আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ

      -- পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা, ১ জ্যৈষ্ঠ (১৫ মে):

 

বাংলাদেশের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরো এগিয়ে নিতে, সহযোগিতার ক্ষেত্র আরো বিস্তৃত করতে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র সঙ্গে অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ।

 

আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন দু’দিনের বাংলাদেশ সফরে আসা যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের সাউথ এন্ড সেন্ট্রাল এশিয়ান এফেয়ার্স ব্যুরোর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু (Donald Lu)।

 

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি. হাস (Peter D. Haas), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা উইংয়ের মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ ও সফররত দলের সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো সরকার গঠনের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। তাঁর চিঠিতে দু’দেশের সম্পর্ককে উচ্চতর ভিন্নমাত্রায় নিয়ে যাওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছিলেন। সেই অভিপ্রায়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে এসেছেন।

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক খুবই চমৎকার। আমাদের বহুমাত্রিক সহযোগিতার ক্ষেত্র রয়েছে। একইসাথে গত ৫৩ বছরের আমাদের অভিযাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। যে কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে সফরে আসা মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু'কে ধন্যবাদ জানিয়েছি।’

 

বাণিজ্য-বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী হাছান বলেন, একক দেশ হিসেবে আমাদের রপ্তানির সবচেয়ে বড় গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী দেশও যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে নির্মিয়মাণ ৪০টি আইটি ভিলেজে বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য ডোনাল্ড লু-কে অনুরোধ জানিয়েছি, কিছু বিনিয়োগ তাঁরা এরইমধ্যে করেছে।

 

তিনি বলেন, ডোনাল্ড লু’ বলেছেন আমাদের ব্যবসাকে আরো সম্প্রসারিত করার জন্য আগে যে ‘জিএসপি’ সুবিধা আমরা আগে পেতাম এখন পাই না, সেটি তারা ফিরিয়ে দিতে চায়। সেজন্য আমাদের লেবার পলিসিটা একটু রিভিউ করতে হবে, যেটি আমরা রিভিউ করছি। সেটি নিয়ে গতকাল আইনমন্ত্রীর সাথে তাঁর বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ডোনাল্ড লু জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বৈদেশিক রিজার্ভ শক্তিশালী করার জন্য তাদের ডেভলপমেন্ট ফিন্যান্স করপোরেশন (ডিএফসি) থেকে বাংলাদেশকে অর্থায়ন করতে চায়। একই সাথে আমাদের ট্যাক্স সিস্টেমকে আধুনিক করার জন্য আমাদের সহায়তা করতে চায়। ট্যাক্স ফাঁকি রোধে ট্যাক্স কালেকশনের ক্ষেত্রে তারা আমাদের সহায়তা করতে চায়।

 

এলডিসি বা নিম্ন থেকে মধ্য আয়ের দেশে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাতেও তাদের সহায়তা চেয়েছি। তিনি বলেছেন বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক বিস্তৃত করার জন্য তারা বাংলাদেশের পাশে থাকবে।

 

‘রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পাঠানো প্রসঙ্গ’

 

ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আমি আলোচনা করেছি। তারা জানিয়েছেন, বিষয়টি মার্কিন বিচার বিভাগের আওতাভুক্ত। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের অন্য বিভাগগুলোর হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। কিন্তু তাদের বিচার বিভাগের সাথে বাংলাদেশ দূতাবাসের যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে বিচার বিভাগের সম্মতি আনয়নের কাজ এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত আছে।

 

‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও ত্রাণ’

 

মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক উদ্বাস্তু হয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশের পরই সবচেয়ে বেশি ত্রাণ সহায়তা দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়েছি উল্লেখ করেন মন্ত্রী। লু জানিয়েছেন, তিনি এ সহায়তা বৃদ্ধির জন্য চেষ্টা করবেন। পাশাপাশি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যুক্তরাষ্ট্রকে আরো বলিষ্ঠ ভূমিকা নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে, বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহ্‌মুদ।

 

‘ফিলিস্তিন প্রসঙ্গ

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গাজায় শান্তি স্থাপন করার বিষয়টি আমরা আলোচনা করেছি। ডেনাল্ড লু বলেছেন- ‘যুক্তরাষ্ট্র সরকার, সেক্রেটারি অভ্‌ স্টেট মিস্টার ব্লিঙ্কেন অক্লান্তভাবে কাজ করছে যাতে গাজায় যুদ্ধ বিরতি কার্যকর হয়’ এবং তিনি আমাকে যেটুকু বলেছেন- ‘আমরা আশাবাদী’। আমরা বলেছি গাজায় যে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘঠিত হচ্ছে, নিরীহ শিশুদের, নারীদের হত্যা করা হচ্ছে। ৩৫ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, তার মধ্যে ৭০ শতাংশ নারী ও শিশু। এটি আসলে মেনে নেয়া যায় না। আমি বলেছি টেলিভিশনে যখন এগুলো দেখি তখন টেলিভিশন দেখা কন্টিনিউ করতে পারি না। সেখানে শান্তি স্থাপন করা দরকার। তিনিও একমত যে সেখানে শান্তি স্থাপন করা দরকার।

 

‘শিক্ষা ও অন্যান্য’

 

ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা যাতে আরো ব্যাপকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে যায়, ভালোভাবে পড়াশোনা করতে পারে সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সহায়তা করতে চায়। আমি প্রস্তাব দিয়েছি যে, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে যেন তাদের এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম চালু করা হয়।

 

মন্ত্রী আরো জানান, তারা নারী ক্ষমতায়ন ও জলবায়ু ইস্যুতেও সহায়তাদানের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে। ভিসানীতি নিয়ে প্রশ্নে মন্ত্রী জানান, ‘ইউএস ভিসা পলিসি ইজ ডরম্যান্ট নাউ’। সুতরাং এটি নিয়ে আলোচনা হয়নি।

 

‘সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ডোনাল্ড লু’

 

হাছান মাহ্‌মুদের সাথে বৈঠক শেষে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু সাংবাদিকদের কাছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা দু’দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নিতে আগ্রহী। কীভাবে দু’দেশের সম্পর্ক আরো জোরদার হয়, আমরা সে বিষয়গুলোতে আগ্রহী। এরই অংশ হিসেবে দুই দিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক ও আস্থা নতুন করে তৈরি করতে এসেছি।’

 

‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমরা পরস্পর নতুন বিনিয়োগ, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি ছাড়াও কীভাবে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাজ করা এবং এদেশে শ্রম আইনকে আরো উন্নত করার বিষয়েও আলোচনা করেছি’ উল্লেখ করেন তিনি।

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে জাপানের পার্লামেন্টারি ভাইস মিনিস্টারের বৈঠক

 

এর আগে মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশ সফররত জাপানের পার্লামেন্টারি ভাইস মিনিস্টার ফর ফরেন এফেয়ার্স হোসাকা ইয়াসুশি (Hosaka Yasushi)।

 

অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে বৈঠকের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশের বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগী জাপানের সঙ্গে বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

 

চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরীতে, আইটি পার্কগুলোতে এবং বিশেষ করে দেশের শিপ-ব্রেকিং শিল্পে বিনিয়োগের জন্য জাপানের ভাইস মিনিস্টারকে আহ্বান জানিয়েছি।

 

#

আকরাম/সায়েম/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২০৩০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর :  ৪৬৮৩

 

পার্বত্যবাসীর কল্যাণে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে

                                    -- পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১ জ্যৈষ্ঠ (১৫ মে):

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও পার্বত্যবাসীর কল্যাণে নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, উন্নয়ন কাজে চেইন অভ্‌ কমান্ড অনুযায়ী প্রত্যেকের কাজে সমন্বয় থাকা দরকার। পার্বত্য জেলা পরিষদ, আঞ্চলিক পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে উন্নয়ন কাজ পরিচালনা করতে হবে। সংশ্লিষ্ট সকলের প্রচেষ্টায় সরকারের উন্নয়ন কাজকে গতিশীল রেখে যথাসময়ের মধ্যেই তা বাস্তবায়ন করতে হবে।

আজ ঢাকার বেইলি রোডে শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের সভাকক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের খসড়া এপিএ’র ওপর দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর সরকারের সার্বিক উন্নয়ন কাজে ভালো পারফরমেন্সের জন্য টার্গেট অনুযায়ী কাজের মান নির্ধারণ বা মেধাভিত্তিক নির্বাচন করে থাকে। তিনি বলেন, মেধাভিত্তিক স্কোর বা মান নির্ধারণ একটি সংস্থা, বিভাগ বা মন্ত্রণালয়ের জন্য বড় পুরস্কার। প্রত্যেক সংস্থাকে যথাসময়ের মধ্যে এপিএ’র কৌশলগত উদ্দেশ্য, কর্মসম্পাদন সূচক, কাজের লক্ষ্যমাত্রা ও প্রক্ষেপণ যথাযথভাবে সম্পন্ন করা উচিত বলে মন্তব্য করেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মশিউর রহমান এনডিসি’র সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম এনডিসি, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুই প্রু চৌধুরী অপু, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম এনডিসি, যুগ্মসচিব সজল কান্তি বনিক, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ, পার্বত্য তিন জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীগণ উপস্থিত ছিলেন। সভায় প্রজেক্টরের মাধ্যমে কার্যপত্র উপস্থাপন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম ও উপসচিব খোন্দকার মোহাম্মদ রিজাউল করিম।

এপিএ সংক্রান্ত কর্মশালায় কৃষি, পরিবেশ উন্নয়ন এবং ভৌত অবকাঠামো ও পর্যটন বিকাশ; বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারকরণ ও আত্মকর্মসংস্থানমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে দারিদ্র্য হ্রাসকরণ ও জীবানযাত্রার মানোন্নয়ন; পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতির সংরক্ষণ; শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির কৌশলগত উদ্দেশ্যের ওপর আলোচনা হয়।

এর আগে সকালে একই জায়গায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এপ্রিল ২০২৪ সালের মাসিক উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এডিপিভুক্ত ১৬টি প্রকল্প, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন সহায়তা, পার্বত্য চট্টগ্রাম স্থানীয় সরকার উন্নয়ন সহায়তা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের জন্য উন্নয়ন সহায়তা বাবদ ৭৩৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে বলে জানানো হয়।

#

রেজুয়ান/সায়েম/রানা/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/১৯৫০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ৪৬৮২

শিল্প মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ইনোভেশন শোকেসিং অনুষ্ঠিত

ঢাকা, ১ জ্যৈষ্ঠ (১৫ মে):

          শিল্প মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এর আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার অংশগ্রহণে ইনোভেশন শোকেসিং আজ রাজধানীর মতিঝিলে মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

          অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা।

          সিনিয়র সচিব ইনোভেশন শোকেসিং পরিদর্শন করে বিভিন্ন স্টল ঘুরে উদ্ভাবনী কার্যক্রম দেখেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদান করেন। তিনি ইনোভেশন শোকেসিংয়ে দপ্তরসমূহের ইনোভেশন টিমের এক্সপার্টগণ উদ্ভাবনী উদ্যোগসমূহের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

          তিনি বলেন, এ উদ্ভাবনী কার্যক্রমের মাধ্যমে সরকারি সেবায় নতুন দিক উন্মোচিত হবে ও জনগণকে প্রদত্ত সেবায় গতি সঞ্চারিত হবে।

          উল্লেখ্য, এটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবনী কর্মপরিকল্পনার একটি নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ।

#

ফয়সল/পাশা/সায়েম/রানা/সঞ্জীব/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২০০০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ৪৬৮১

 

এভিয়েশন শিল্পের টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতকরণে কাজ করছে সরকার

                                                                  - বিমান মন্ত্রী

ঢাকা, ১ জ্যৈষ্ঠ (১৫ মে):

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পের টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতকরণে কাজ করছে সরকার।

আজ সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এয়ারবাস ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ও এয়ারবাস গ্রুপের নির্বাহী কমিটির সদস্য ওয়াটার ভ্যান ওয়ার্শের সাথে বৈঠককালে মন্ত্রী একথা বলেন। বৈঠককালে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসডুপে এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা বাংলাদেশকে একটি অন্যতম প্রধান এভিয়েশন হাবে রূপান্তরের জন্য কাজ করছি। সেই লক্ষ্যে সারা দেশের সকল বিমানবন্দরের উন্নয়ন নিশ্চিতের পাশাপাশি রাষ্ট্রায়াত্ত এয়ারলাইন্সের ফ্লিট সম্প্রসারণ, মানব সম্পদের উন্নয়ন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে কাজ চলমান রয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত এয়ারলাইন্স বিমান বাংলাদেশের ফ্লিট সম্প্রসারণের জন্য আমরা নতুন উড়োজাহাজ কেনার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। এর অংশ হিসেবে এরই মধ্যে এয়ারবাস তাদের প্রস্তাব জমা দিয়েছে। সেই প্রস্তাবটি মূল্যায়নের জন্য বিমানে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মূল্যায়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। উক্ত কমিটির মূল্যায়ন প্রতিবেদন পাওয়ার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এরই মধ্যে বোয়িং কোম্পানিও তাদের প্রস্তাব জমা দিয়েছে। এটিও যথাযথ প্রক্রিয়ায় নিষ্পত্তি করা হবে। বাংলাদেশ ও বিমানের জন্য যেটি ভালো হবে সেটিই করা হবে।

ফারুক খান বলেন, এভিয়েশন শিল্প মানে শুধুই উড়োজাহাজ বা বিমানবন্দর নয়। এর অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল দক্ষ মানবসম্পদ। আমরা দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি এবং তাদের নিয়মিত ও যথাযথ প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশে ইতোমধ্যে একটি এভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়াও এভিয়েশন শিল্পের ওপর প্রশিক্ষণ দানকারী আমাদের কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আমরা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চাই যাতে এভিয়েশন শিল্পের সাথে জড়িত সকল প্রশিক্ষণ ভবিষ্যতে বাংলাদেশেই প্রদান করা সম্ভব হয়। এয়ারবাসের এখানে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

এরপর মন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত থ্যালাস ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর বিনোইত নালিয়ন সাক্ষাৎ করেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ স্মার্ট এয়ারপোর্ট ম্যানেজমেন্ট নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে কাজ চলমান রেখেছে। আমাদের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল, ইন্সট্রুমেন্ট অব ল্যান্ডিং সিস্টেমসহ নানা বিষয় গত কয়েক বছরে উন্নত করা হয়েছে এবং বর্তমানে তা আরো উন্নতকরণের কাজ চলমান রয়েছে।

এ সময় এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট, আইএলএস সিস্টেম উন্নতকরণ ও স্মার্ট এয়ারপোর্ট ম্যানেজমেন্টে বাংলাদেশকে কারিগরি সহায়তা প্রদানসহ এই কাজের সাথে জড়িত কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করার জন্য থ্যালাসের কান্ট্রি ডিরেক্টর আগ্রহ প্রকাশ করেন।

#

 

তানভীর/পাশা/সায়েম/রানা/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/১৮২০ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ৪৬৮০

 

যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর সাথে পরিবেশমন্ত্রীর বৈঠক

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরো জোরদার হবে

                                           - পরিবেশমন্ত্রী

ঢাকা, ১ জ্যৈষ্ঠ (১৫ মে):

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, পরিবেশ ও জলবায়ু সংক্রান্ত পদক্ষেপের ভিত্তিতে আগামী দিনে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হবে। যুক্তরাষ্ট্র জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আমাদের সহযোগিতা করতে চায়। আমরাও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমাদের সম্পর্ক আরো গভীর করতে চাই। এই বৈঠকে আমাদের দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

আজ যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর নেতৃত্বে ৭ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর কার্যালয়ে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন পরিবেশমন্ত্রী।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ার জন্য বিনামূল্যে রিয়াল টাইম স্যাটেলাইট ডেটা অফার করার পরিকল্পনা করেছে। এর মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বন্যা, দূষণ, এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির মতো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলো পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হবে। বাংলাদেশ প্রযুক্তি হস্তান্তর, সক্ষমতা বৃদ্ধি, স্মার্ট এগ্রিকালচার এবং সবুজ ও জলবায়ু প্রযুক্তির অগ্রগতি, অর্থায়নে সহায়তা কামনা করা হয়েছে। এসকল লক্ষ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক ওয়ার্কিং গ্রুপ প্রতিষ্ঠিত হবে। প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের কল্যাণ নিশ্চিতে প্রকল্প বাস্তবায়নে আরো আলোচনা করা হবে।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে তারা কীভাবে আমাদের সহযোগিতা করবে সে বিষয়ে আমরা কথা বলেছি। আমি আশাবাদী যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনায় তারা আমাদের চাহিদার কথা মাথায় রাখবে। তিনি বলেন, আলোচনায় পরিবেশগত ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।

প্রতিনিধিদলের অন্যান্য সদস্যগণ হলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস; দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর চিফ অফ স্টাফ নাথানিয়েল হাফ্ট; নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরো অফিসের রাজনৈতিক ইউনিট প্রধান সারাহ অলড্রিচ; ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক কাউন্সেলর আর্তুরো হাইন্স, ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের পলিটিক্যাল ইউনিট চিফ শেরিন ফিটজেরাল্ড এবং ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের পলিটিক্যাল অফিসার ম্যাথু বেহ।

#

দীপংকর/পাশা/সায়েম/রানা/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/১৮০৫ঘণ্টা

 

Handout                                                                                                                     Number : 4679

Environment Minister's meeting with US Assistant Secretary of State Donald Lu:
The relationship between Bangladesh and the United States will be strengthened
                                                                                               --- Environment Minister

Dhaka, May, 15:

            In a pivotal meeting between Environment Minister Saber Hossain Chowdhury and US Assistant Secretary of State Donald Lu, significant strides were made towards enhancing bilateral relations between Bangladesh and the United States, particularly in environmental and climate realms.

            Minister Saber Chowdhury expressed optimism regarding the future of Bangladesh-US relations, underlining the shared commitment to combatting climate change. The dialogue, held on Wednesday, underscored both nations' mutual desire to deepen their partnership.

            The meeting, convened at the Ministry of Environment, Forest and Climate Change office at the Bangladesh Secretariat, saw Minister Chowdhury and Assistant Secretary Lu at the forefront of discussions. A 7-member US delegation, led by Assistant Secretary Lu, highlighted the United States' intention to offer free real-time satellite data for South Asia. This data will serve as a vital tool in monitoring the impact of climate change, including natural disasters, floods, pollution, and rising sea levels.

            Bangladesh, in turn, articulated its aspirations for collaboration in various domains, including technology transfer, capacity building, smart agriculture, and the advancement of green and climate technologies. To facilitate these endeavors, both parties agreed to establish a bilateral working group. Further deliberations will focus on project implementation, with particular attention to ensuring the welfare of marginalized communities.

            Minister Chowdhury expressed appreciation for the US's commitment to addressing climate change, noting the importance of aligning initiatives with Bangladesh's needs. Emphasizing the significance of cooperative efforts, the discussion centered on fostering sustainable development and effectively addressing environmental challenges.

            The United States delegation, comprising prominent figures such as Peter Haas, the US Ambassador to Bangladesh, Nathaniel Haft, Chief of Staff, South and Central Asian Affairs Bureau, and other distinguished officials, reiterated their nation's unwavering dedication to collaborating with Bangladesh in combatting climate change.

            This meeting marks a significant step forward in the ongoing partnership between Bangladesh and the United States, reaffirming their shared commitment to environmental stewardship and sustainable development. As both nations continue to work closely together, the prospects for impactful collaboration in tackling climate change remain promising.

#

Dipankar/Pasha/Sayeam/Rana/Sanjib/Joynul/2024/1910 hour

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ৪৬৭৮

 

সরকার ও নাগরিকের মধ্যে অংশীদারিত্ব তৈরি হলে নাগরিক সমস্যার সমাধান সহজ হবে

                                                                            -তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ১ জ্যৈষ্ঠ (১৫ মে):

সরকার ও নাগরিকের মধ্যে অংশীদারিত্ব তৈরি হলে নাগরিক সমস্যার সমাধান সহজ হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

আজ রাজধানীর গুলশানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নগর ভবনের সামনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন এলাকায় বসবাসরত মানুষের যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলার অভ্যাস পরিহারে জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে সপ্তাহব্যাপী বর্জ্য প্রদর্শনী পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, সরকার ত

2024-05-16-03-37-983b83903769d1240e1ab6dfd5ed2252.docx