তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮১৩
শেখ হাসিনা অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছেন
-- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২২ ভাদ্র (৬ সেপ্টেম্বর) :
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছেন এবং তিনি সফল হয়েছেন। এরই প্রেক্ষাপটে সারাদেশে বর্ণিল আয়োজনে জন্মাষ্টমী পালিত হচ্ছে।
আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে ‘পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু মানবতার কথা, মানবজাতির কথা বলেছেন। তার মূলমন্ত্র ছিল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। ৭৫ এর পর বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে রাষ্ট্র ও সংবিধান সে জায়গায় রাখেনি। কাটাছেঁড়া করা হয়েছে, বিভাজন করা হয়েছে। সেই বিভাজন ধীরে ধীরে এত বড় হয়েছে যে- আমরা কেউ নিরাপদ ছিলাম না। দেশ অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিল। অসাম্প্রদায়িকতার হাত থেকে, দুষ্টচক্রের হাত থেকে রক্ষা করতে কাজ শুরু করেছিলে প্রধানমন্ত্রী। শতভাগ নির্মূল করতে না পারলেও দমন করতে পেরেছেন। মানবতার বিজয় হয়েছে। শেখ হাসিনা আইনের কাঠামো, নিরাপত্তার জায়গা তৈরি করেছেন; এটা আমাদের বড় প্রাপ্তি। মানবজাতির কল্যাণের জন্য কাজ করতে হবে, একতাবদ্ধ হতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক জায়গাটা করেছি, সেটি কখনো নষ্ট হতে দিব না।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান। জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া, ইসকন’ বাংলাদেশের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গৌরাঙ্গ দাস ব্রহ্মচারী, জগন্নাথ হলের আবাসিক শিক্ষক ডক্টর কালিদাস ভক্ত, জগন্নাথ হল জন্মাষ্টমী উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল চন্দ্র রায়, জন্মাষ্টমী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক দেবদাস হালদার, জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের সভাপতি কাজল দাস, সাধারণ সম্পাদক অতনু বর্মণ প্রমুখ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রীকৃষ্ণের দর্শন- মানবতার। তার দর্শন শুধু সনাতন ধর্মের নয়, সকল ধর্মের জন্য। শ্রীকৃষ্ণের দর্শন অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে আরো ভূমিকা রাখবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান বলেন, মানবতাবিরোধী অসুরদের দমন করে মানবতা রক্ষা করার জন্য মুক্তির অগ্রদূত হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। শ্রীকৃষ্ণের অসাম্প্রদায়িক, মানবিক চেতনা সব যুগেই প্রাসঙ্গিক। কৃষ্ণের চেতনা ধারণ করে অসাম্প্রদায়িক, মানবিক অন্তর্ভুক্তিমূলক, উন্নত ও সমৃদ্ধ সমাজ বিনির্মাণের জন্য তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।
#
জাহাঙ্গীর/এনায়েত/সেলিম/২০২৩/২২৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮১২
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের মেজবোনের ইন্তেকালে
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর শোক
ঢাকা, ২২ ভাদ্র (৬ সেপ্টেম্বর) :
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের মেজবোন ফেরদৌস আরা পাখির ইন্তেকালে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
আজ এক শোকবার্তায় প্রতিমন্ত্রী মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
#
জাহাঙ্গীর/এনায়েত/সেলিম/২০২৩/২২৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮১১
সাবেক প্রতিমন্ত্রী এবাদুর রহমান চৌধুরীর মৃত্যুতে পরিবেশমন্ত্রীর শোক
ঢাকা, ২২ ভাদ্র (৬ সেপ্টেম্বর) :
সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও মৌলভীবাজার-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট এবাদুর রহমান চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন।
পরিবেশমন্ত্রী মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শোকবার্তায় পরিবেশমন্ত্রী জানান, মরহুম এবাদুর রহমান চৌধুরী ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতি শুরু করেন। তিনি সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী ছিলেন। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে তিনি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি তাঁর কর্মের জন্য বড়লেখাবাসীর কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
#
দীপংকর/এনায়েত/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/২০২০ঘণ্টা
Handout Number : 810
Foreign Minister Dr. Momen holds meeting with
Indonesian Minister of Maritime Affairs in Jakarta
Dhaka, September 6:
Foreign Minister Dr. A. K. Abdul Momen held a meeting with Indonesian Minister of Maritime Affairs and Fisheries Sakti Wahyu Trenggono in Jakarta today. Minister Trenggono briefed Dr. Momen and his delegation on blue economy policy, challenges and target of his country. Both Ministers engaged in a comprehensive discussion on various aspects of existing and prospective cooperation between Bangladesh and Indonesia including in the field of blue economy.
Dr. Momen informed Indonesian Minister of Bangladesh’s remarkable socioeconomic progress across the board including in food security. He mentioned that Bangladesh was ranked third globally in fresh-water fishing and that it was possible due to policy intervention to the right direction. He sought Indonesia’s help in capacity building in the extraction of marine resources – an area that has remained mostly untapped in Bangladesh despite its enormous potential.
Minister Trenggono assured Dr. Momen of extending all out support and cooperation in reaping maximum mutual benefit from blue economy including through joint cooperation in the field of marine science and marine biotechnology. Both Ministers emphasized on sharing technology and technical know-how on marine culture, deep-sea fishing, long-line fishing and seaweed culture etc. They agreed to initiate exchange programs to share expertise and best practices in cultivating Sea Bass and fishing Tuna.
Indonesia assured Bangladesh of assistance in combating traditional and non-traditional safety and security challenges in Bangladesh’s maritime jurisdiction such as unlawful exploitation of marine resources, piracy and polluting the marine environment. Both Ministers recognized that illegal, unreported and unregulated fishing (IUU) was one of the several factors that has serious consequences, not only on a country’s economy, but also on the marine ecosystems of a region. They underscored the need for joint collaboration to prevent maritime crimes and pollution and to enhance disaster response utilizing modern technology. Dr. Momen sought Indonesia’s help in acquiring advanced technological features such as realtime vessel tracking system through satellite.
Rear Admiral (Retd.) Md. Khurshed Alam, BN, Secretary, Maritime Affairs Unit, and Md. Emdadul Islam Chowdhury, Director General (United Nations) of MoFA joined the Foreign Minister while Indonesian Ambassador to Bangladesh Heru H. Subolo accompanied Minister Trenggono among other senior officials on both sides.
#
Mohsin/Enayet/Sanjib/Salim/2023/20.45 Hrs.
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮০৯
ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার কমিশনিং কার্যক্রম শুরু
ঘোড়াশাল (নরসিংদী), ২২ ভাদ্র (৬ সেপ্টেম্বর) :
ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার কমিশনিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন।
২০১৮ সালের অক্টোবরে নরসিংদী জেলায় ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার কার্যক্রম শুরু হলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন পর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি গত ২১ এপ্রিল, ২০২২ তারিখে এ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। এর বার্ষিক সার উৎপাদন ক্ষমতা ধরা হয়েছে ৯ দশমিক ২৪ লাখ মেট্রিক টন। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে দেশের অভ্যন্তরীণ ইউরিয়া সারের চাহিদা মেটাতে এবং সুলভ মূল্যে কৃষকদের নিকট সার সরবরাহ নিশ্চিত করতে এটি ভূমিকা রাখবে।
আগামী অক্টোবর মাসের শেষ নাগাদ পুরোদমে চালু হবে এবং প্রধানমন্ত্রী ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
আজ শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন প্রধান অতিথি হিসেবে নরসিংদীর পলাশে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার কমিশনিং কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এ সময় শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সংসদ সদস্য ড. আনোয়ারুল আশরাফ খান, শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা, বিসিআইসি’র চেয়ারম্যান মোঃ সাইদুর রহমান এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এস এম আলম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, প্রকল্প পরিচালক রাজিউর রহমান মল্লিক এবং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, নিরবচ্ছিন্ন সার সরবরাহ নিশ্চিত করে শিল্প মন্ত্রণালয় কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রাখতে সচেষ্ট রয়েছে। সার কারখানা পর্যায়ে উৎপাদন যাতে কোনো অবস্থায় ব্যাহত না হয়, সে লক্ষ্যে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। সার কারখানার উৎপাদন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেয়ার লক্ষ্যে ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের প্রশাসনিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে। একই সাথে কারখানাগুলোর উৎপাদনশীলতা বাড়াতে কারিগরি জনবলের প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজন অনুযায়ী নতুন জনবল নিয়োগ করা হবে বলে তিনি জানান।
শিল্পমন্ত্রী আরো বলেন, ‘ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্প’ নামক প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের মধ্যে সর্ববৃহৎ সার কারখানা প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যা বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় বিরাট ভূমিকা রাখবে। নতুন সার কারখানাটি স্থাপিত হলে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের পাশাপাশি সার আমদানির ওপর নির্ভরতা হ্রাস পাবে, কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা বৃদ্ধি পাবে এবং দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
উল্লেখ্য, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন কাজ সম্পন্ন হলে দৈনিক ২৮০০ মে. টন (বার্ষিক ৯,২৪,০০০ মে. টস) গ্রানুলার ইউরিয়া সার উৎপাদন হবে। সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন, শক্তিসাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব গ্রানুলার ইউরিয়া উৎপাদনে সক্ষম এই সার কারখানা দেশে ইউরিয়া সারের স্বল্পতা ও ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে গুর্ত্বুপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কারখানাটি দেশের কৃষি উৎপাদন, কৃষি অর্থনীতি, ব্যবসা বাণিজ্য সর্বোপরি দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। ‘ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্প’ এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। প্রকল্পের বিভিন্ন প্ল্যান্টের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের অ্যামোনিয়া প্ল্যান্ট, ইউরিয়া প্ল্যান্ট এবং ইউটিলিটি দৃশ্যমান। এছাড়া, পিডিবি হতে পাওয়ার রিসিভিং, ইমাজেন্সি ডিজেল জেনারেটরের লোড টেন্ট সম্পন্ন হয়েছে, কুলিং ওয়াটার সিস্টেমে ওয়াটার ফ্ল্যাশিং ও কেমিক্যাল ক্লিনিং, নাইট্রোজেন ইউনিটের Instrument Air Compressor এর প্রি-কমিশনিং এবং কমিশনিং শেষ হয়েছে।
#
মাহমুদুল/এনায়েত/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৩/২১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮০৮
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বোনের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
ঢাকা, ২২ ভাদ্র (৬ সেপ্টেম্বর) :
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বোন ফেরদৌস আরা পাখির মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
মন্ত্রী আজ এক শোকবার্তায় মরহুমা ফেরদৌস আরা পাখির রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
উল্লেখ্য, ফেরদৌস আরা পাখি আজ রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭০ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি দুই পুত্র ও তিন কন্যা রেখে গেছেন।
#
মোহসিন/এনায়েত/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/২০৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮০৭
সব সম্প্রদায়ের মধ্যে ধর্মীয় সম্প্রীতি আর মহা উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার
-- পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী
বান্দরবান, ২২ ভাদ্র (৬ সেপ্টেম্বর) :
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, সব সম্প্রদায়ের মধ্যে ধর্মীয় সম্প্রীতি আর উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে আওয়ামী লীগ সরকার। তিনি বলেন, পার্বত্য এলাকায় একটি মন্দির নির্মাণ করা হলে একই এলাকায় একটি মসজিদ হয়, আর একটি মসজিদ নির্মাণ করা হলে একটি বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ করাটা বাধ্যতামূলক কাজে পরিণত হয়েছে। সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখা এবং সবাইকে নিয়ে একসাথে এগিয়ে যেতে আওয়ামী লীগ সরকার বিগত সময়েও কাজ করেছে, এবারও করছে এবং আগামীতেও সকলের কল্যাণে কাজ করে যাবে।
আজ বান্দরবান সদরে রাজার মাঠে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে মহতী ধর্মসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করার লক্ষ্যে উন্নয়ন কাজ শুরু করেছিলেন এবং তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্ববাসীর কাছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, ধর্মীয় সম্প্রীতি আর দেশব্যাপী মহাউন্নয়ন বলয় সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৭ কোটি মানুষের শান্তির অন্বেষায় বিরামহীনভাবে এগিয়ে চলেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। এই আওয়ামী লীগ সরকার সকল ধর্মের সম্প্রীতি অটুট রাখাসহ দেশের মহা উন্নয়নের বলয় স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। মন্ত্রী বীর বাহাদুর সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে উন্নয়ন কাজে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যতবরাই ক্ষমতায় এসেছে দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করেছে আর সকল ধর্মের উৎসবগুলো যাতে সুন্দর ও নিরাপদভাবে সম্পন্ন হয় সেদিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। পার্বত্য এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মান আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে বলে মন্তব্য করেন পার্বত্যমন্ত্রী। তিনি গর্বের সাথে বলেন, পার্বত্য এলাকার নবপ্রজন্ম আধুনিক ও শিক্ষিত জাতির অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কারিগর হিসেবে এগিয়ে যাবে।
মহতী ধর্মসভায় বান্দরবান জন্মাষ্টমী উৎসব উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি অঞ্জন কান্তি দাশের সভাপতিত্বে বান্দরবানের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাশ, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাশ, পৌরসভার মেয়র সামশুল ইসলাম, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি অমল কান্তি দাশ, বান্দরবান জন্মাষ্টমী উৎসব উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আনন্দ দাশ, বাঙ্গালহালিয়া জ্যোতিশ্বর বেদান্ত মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী অভেদানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজসহ সরকারি বিভিন্ন দফতরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সনাতনী সমাজের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মহতী ধর্মসভা শেষে বান্দরবানে মাসব্যাপী অনুষ্ঠিত গীতাপাঠ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।
#
রেজুয়ান/পাশা/এনায়েত/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/১৯০৬ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮০৬
স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে
-- টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
কিশোরগঞ্জ, ২২ ভাদ্র (৬ সেপ্টেম্বর) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নতুন প্রজন্মই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। আমি আমার জীবনের সবটুকু শক্তি দিয়ে নতুন প্রজন্মের জন্য ডিজিটাল দক্ষতা প্রদানের লড়াই চালিয়ে যাব। আজকের তরুণদের ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহারে দক্ষ করে তুলতে পারলে ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দেশ।
আজ কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় আনন্দ মাল্টিমিডিয়া স্কুল কিশোরগঞ্জ শাখা আয়োজিত শিক্ষক, অভিভাবক ও ছাত্র সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী প্রচলিত শিক্ষার বাইরে উন্নত দুনিয়ার আদলে যুগোপযোগী শিক্ষা প্রচলন ও প্রসারে তার গৃহীত উদ্যোগ তুলে ধরে বলেন, সন্তানের সুশিক্ষার জন্য বিনিয়োগ করার চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে না। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট মানুষ চেয়েছেন উল্লেখ করে ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তুমি স্মার্ট হলে বাংলাদেশ স্মার্ট হবে। মোস্তাফা জব্বার বলেন, এখনকার যুগে বাস করে তোমরা যদি কোন ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহার করতে না পার তবে তোমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। ডিজিটাল প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে কাগুজের বইকে বিদায় করে ডিজিটাল মাধ্যমে তোমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। সেদিন খুব বেশি দূরে নয়, যেদিন প্রতিটি শিক্ষার্থী ব্যাগে বই নয়, একটি ল্যাপটপ নিয়ে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবে।
১৯৯৯ সাল থেকে নিজ উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে আনন্দ মাল্টিমিডিয়া নামের ডিজিটাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা মোস্তাফা জব্বার ডিজিটাল স্কুল প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, রাজধানীর গুলশানে একটি ব্রিটিশ স্কুলে কম্পিউটারে পাঠদান আমাকে আলোড়িত করেছিল। বলা যেতে পারে ডিজিটাল স্কুল প্রতিষ্ঠার ধারণাটি আমি সেখান থেকেই গ্রহণ করি। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, স্মার্ট ফোনের সঠিক ব্যবহার করে তুমি তোমার জ্ঞান অর্জন করে সেরাদের সেরা হতে পার। আবার এই ফোনের অপব্যবহার করে তুমি তোমার শিক্ষা জীবনকেই নষ্ট করে ফেলতে পার। তোমার ওপরই নির্ভর করবে তোমার পরিবার, সমাজ সর্বোপরি দেশের রূপান্তর।
মন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে ডিজিটাল ব্রিটেন, ২০১৪ সালে ভারত ডিজিটাল ইন্ডিয়া এবং ২০১৯ সালে পাকিস্তান ডিজিটাল পাকিস্তান করার ঘোষণা দিয়েছে। স্মার্টনেসের সংজ্ঞা বদলে এখন তথ্য-প্রযুক্তিতে যার জ্ঞান যত বেশি তাকে তত স্মার্ট বলা হয়। তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানে যারা পড়ছ, তারা সৌভাগ্যবান। কেননা সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে যেভাবে ডিজিটাইজ করছে আনন্দ মাল্টিমিডিয়া স্কুল অনেক আগেই তা করেছে।
আনন্দ মাল্টিমিডিয়া স্কুল কিশোরগঞ্জ শাখার চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম রিটুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিজয় ডিজিটালের সিইও জেসমিন জুই বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।
এর আগে মন্ত্রী স্কুলের শ্রেণিকক্ষ ঘুরে দেখেন। এ সময় তিনি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে মত বিনিময় করেন।
#
শেফায়েত/পাশা/এনায়েত/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৩/১৯৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮০৫
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ২২ ভাদ্র (৬ সেপ্টেম্বর) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৬ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ২ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এ সময় ৬৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৭৭ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১২ হাজার ৯৭০ জন।
#
সুলতানা/পাশা/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২৩/১৮৪৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮০৪
রাষ্ট্রপতির সাথে ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের
মহাসচিব ডক্টর সালমান আল ফারিসির সাক্ষাৎ
বঙ্গভবন, ২২ ভাদ্র (৬ সেপ্টেম্বর)
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে আজ ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা কনভেনশন সেন্টারে সাক্ষাৎ করেছেন ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশন (IORA)-এর মহাসচিব ডক্টর সালমান আল ফারিসি।
সাক্ষাৎকালে IORA -এর মহাসচিব ভারত মহাসাগরের উপকূলীয় দেশগুলোর এ সংগঠনের সার্বিক কার্যক্রম এবং কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। এসময় সফলভাবে IORA এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশের উন্নয়ন সারা বিশ্বের জন্য একটি চমক, যা অনেক দেশকে উৎসাহিত করছে। রাষ্ট্রপতি বলেন, IORA এর উন্নয়নে বাংলাদেশ সবসময় কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবগণসহ সংশ্লিষ্ট পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিন সকালে আরো এক অনুষ্ঠানে ইন্দোনেশিয়ার সরকারি মালিকানাধীন প্রতিরক্ষা সরঞ্জামাদি উৎপাদনকারী তিনটি প্রতিষ্ঠানের একটি প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতিকে তাদের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন।
ইন্দোনেশিয়ার প্রতিরক্ষা সরঞ্জামাদি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান PT Pindad, PT DIRGANTARA এবং PT PAL তাদের সার্বিক কার্যক্রম পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির সামনে তুলে ধরেন।
এসময় রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেড পার্টনার হলো ইন্দোনেশিয়া। তিনি বলেন, ইন্দোনেশিয়ার সাথে বাণিজ্য-বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী বাংলাদেশ। দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বিগত কয়েক বছরে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আগামীতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির আরো সুযোগ রয়েছে।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির সচিবগণসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
#
রাহাত/পাশা/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/১৮২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮০৩
আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি ড. ইউনূসের ওপর ভর করেছে
--তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ২২ ভাদ্র (৬ সেপ্টেম্বর) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি ড. ইউনূসের ওপর ভর করেছে, তার ইস্যুতে আশ্রয় নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘এভাবে আশ্রয় নিয়ে যারা খুনের রাজনীতি করে, মানুষ পোড়ানোর রাজনীতি করে, ধ্বংসাত্মক রাজনীতি করে, খুনের ওপরে যাদের জন্ম, রক্তের ওপরে যাদের রাজনীতি, তাদের দিয়ে দেশের অগ্রগতি হয় না।’
আজ রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জেবউননেছার গবেষণাগ্রন্থ ‘বেদনাতুর ১৯৭৫ আগস্টের শহিদদের আলেখ্য’র মোড়ক উম্মোচনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘ড. ইউনূসের প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই বলতে চাই, নোবেল বিজয়ী হোন, রাষ্ট্রপতি হোন, প্রধানমন্ত্রী হোন, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। যেভাবেই হোক হুসাইন মুহম্মদ এরশাদ ৯ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। তার বিচার হয়েছে, তিনি জেলও খেটেছেন। প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া, তিনিও শাস্তিভোগ করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার হচ্ছে। বহু নোবেলজয়ীর বিচার হয়েছে, জেলখানাতেও গেছে। আর ড. ইউনূস সাহেব নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন বলে তার কি শ্রমিকের পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া মওকুফ!’
মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘এ জাতির দুর্ভাগ্য যে, যারা রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিল, তারা রাজনৈতিক দল গঠন করে এবং দেশে কিছু ভোটও পায়। ১৯৭০ সালেও আওয়ামী লীগের বিপক্ষে কিছু ভোট পড়েছিল। তাদের প্রজন্ম তো রয়ে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান সমস্ত স্বাধীনতাবিরোধী এবং প্রতিক্রিয়াশীলদের একত্রিত করে দল গঠন করেছিলেন। আজকে সেইদল বড় বড় কথা বলে, রাত-বিরাতে বিদেশি দূতাবাসে ধরনা দেয়। কিন্তু ধরনায় লাভ হয়নি কারণ কেউ তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নিরপেক্ষ সরকার সমর্থন করেনি।’
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশ ও সরকারের ভাবমূর্তি নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১০ তারিখে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাখোঁ আসছেন। আবার রাশান পররাষ্ট্র মন্ত্রীও ছুটে আসছেন আগামীকাল। এতেই প্রমাণিত হয়, বিশ্বসম্প্রদায় আমাদের সাথে আছে।’
হাছান বলেন, ‘আবার আগামী ৯ তারিখে ভারতের নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে সদস্য না হওয়া সত্ত্বেও দক্ষিণ এশিয়া থেকে শুধু বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে শিল্পায়নে বিশ্বশীর্ষ ২০ দেশের বর্তমান চেয়ার ভারত। এ থেকেও প্রমাণিত হয়, ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্কটি কোন উচ্চতায়।’
১৯৭১ ও ১৯৭৫ সালের দিকে দৃকপাত করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান এ সময় বলেন, শত্রুর মুখোমুখি গর্জে ওঠা জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান মৃত্যুকে হাতের মুঠোয় নিয়ে রাজনীতি করেছেন, দেশকে স্বাধীন করেছেন। আর বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সবচেয়ে বড় কুশীলব ছিলেন খন্দকার মোশতাক ও জিয়াউর রহমান।
হত্যকারীদের বিচার হয়েছে, কিন্তু সাংবাদিক মহলসহ বহু সংগঠন ও মানুষের দাবিকৃত একটি স্বাধীন কমিশনের মাধ্যমে সকল কুশীলব ও দায়িত্বে ব্যর্থদের বিচার হলেই আগামী প্রজন্ম বঙ্গবন্ধু হত্যার পরিকল্পনাকারীদের চিনতে পারবে, ইতিহাসটি জানবে, বলেন মন্ত্রী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দীকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সুলতানা নাদিরা এমপি, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম, এমেরিটাস অধ্যাপক শিল্পী হাশেম খান, শহীদ কর্ণেল জামিল তনয়া আফরোজা জামিল, শহিদ শেখ রাসেলের সহপাঠী অধ্যপক গীতাঞ্জলি বড়ুয়া, নাট্যজন ম হামিদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির প্রেসিডেন্ট মাহফুজা খানম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সাংবাদিক ইহিতা জলিলের সঞ্চালনায় উপমা পালের গাওয়া দেশাত্মবোধক গানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূত্রপাত ও সমাপ্তি ঘটে।
#
আকরাম/পাশা/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২৩/১৮৪২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮০২
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের মেজবোনের ইন্তেকালে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর শোক
ঢাকা, ২২ ভাদ্র (৬ সেপ্টেম্বর) :
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের মেজবোন ফেরদৌস আরা পাখির ইন্তেকালে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ।
আজ রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭০ বছর বয়সে ফেরদৌস আরা পাখির শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের সংবাদে শোকাহত মন্ত্রী প্রয়াতের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
#
আকরাম/পাশা/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২৩/১৮২৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮০১
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ইন্দোনেশিয়াকে আরো জোরালো ভূমিকা পালনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
বঙ্গভবন, ২২ ভাদ্র (৬ সেপ্টেম্বর)
&n