Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৩ মে ২০২৩

তথ্যবিবরণী ১৩ মে ২০২৩

তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর : ১৭৬৬

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সংক্রান্ত বিশেষ বিজ্ঞপ্তি

ঢাকা, ৩০ বৈশাখ (১৩ মে):

পুর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় “মোখা” (ঊঈচ: ৯৫৫ ঐচঅ) উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও আরো ঘূণীভূত হয়ে একই এলাকায় (১৬.৯˙ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০.৬˙ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি আজ (১৩ মে ২০২৩) দুপুর ১২ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬২৫ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৬৫ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ১৪ মে ২০২৩ সকাল ০৯ টা থেকে সন্ধ্যা ০৬ টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মায়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। আজ (১৩ মে ২০২৩) মধ্যরাত থেকে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সবোর্চ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮০ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২০০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে  (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেত (পুনঃ) ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ০৮ (আট) নম্বর মহাবিপদ সংকেত (পুনঃ) ০৮ (আট) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ০৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারী সংকেত (পুনঃ) ০৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ০৮ (আট) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জ্বলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০৫-০৭ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জ্বলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ভারী (৪৪-৮৮ মিমি) থেকে অতি ভারী (≤৮৯ মিমি) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ী অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমি ধ্বস হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

#

 অমিত/আরমান/সেলিম/২০২৩/২২৩০ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ১৭৬৫

 

রাষ্ট্রপতির মোঃ সাহাবুদ্দিনের সাথে মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল নাসিমের সাক্ষাৎ

 

ঢাকা, ৩০ বৈশাখ (১৩ মে):

 

          মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল নাসিম বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

 

          সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ক্রমান্বয়ে বাণিজ্য বিনিয়োগ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্প্রসারিত হচ্ছে। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফর এবং ২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মালদ্বীপ সফর দু’দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে।

 

          বাণিজ্য বিনিয়োগ সহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে স্থল, নৌ ও আকাশ পথে যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।

 

          মালদ্বীপে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা দুই দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ থেকে আরো জনশক্তি নেয়ার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে মালদ্বীপের প্রতি আহ্বান জানান।

 

          সাক্ষাৎকালে মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। তিনি দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে
চট্টগ্রাম-মালদ্বীপ সরাসরি নৌযোগাযোগ স্থাপনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

 

#

 

ইমরানুল/পাশা/আরমান/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৩/২১২০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ১৭৬৪

 

রাষ্ট্রপতির মোঃ সাহাবুদ্দিনের সাথে মরিশাসের প্রেসিডেন্ট পৃথ্বীরাজসিংয়ের সাক্ষাৎ

 

ঢাকা, ৩০ বৈশাখ (১৩ মে):

 

          পর্যটন, শিক্ষা, আইসিটি, কৃষি ও যোগাযোগ খাতে বাণিজ্য বিনিয়োগসহ বাংলাদেশের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে আগ্রহী মরিশাস। সফররত মরিশাসের প্রেসিডেন্ট পৃথ্বীরাজসিং রুপুন আজ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহের কথা জানান।

 

          সস্ত্রীক বঙ্গভবনে পৌঁছলে রাষ্ট্রপতি তাঁকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। এ সময় মরিশাসের ফার্স্ট লেডিকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতির সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানা।

 

          রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন জানান সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং মরিশাসের প্রেসিডেন্ট দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বিনিয়োগ সহ পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় তাঁরা বাণিজ্য বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে পারস্পরিক সফর বিনিময়ের ওপর জোর দেন। বাংলাদেশ বিভিন্ন ধরনের জাহাজ তৈরি করে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ থেকে জাহাজ আমদানির আহ্বান জানান। বাংলাদেশ থেকে আরো দক্ষ ও আধাদক্ষ জনশক্তি নেয়ারও কথা বলেন তিনি।

 

          মরিশাসের প্লেন ভারতিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে রাস্তার নামকরণ করায় সেদেশের সরকারকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।

 

          স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সরকারের নানা পদক্ষেপ তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে মরিশাসের বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানান। সাক্ষাৎকালে মরিশাসের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন। এ সময় রাষ্ট্রপতির সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।

 

          পরে মরিশাসের প্রেসিডেন্ট পৃথ্বীরাজসিং রুপুন পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

 

#

 

ইমরানুল/পাশা/আরমান/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৩/২১২০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ১৭৬৩

দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই

                                                    - পানি সম্পদ উপমন্ত্রী

শরীয়তপুর, ৩০ বৈশাখ (১৩ মে):

পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার জন্য দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে উন্নয়ন হচ্ছে। তাঁর নেতৃত্বে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। চলমান এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার সরকারের কোনো বিকল্প নেই। দেশে ইতিমধ্যে পদ্মাসেতু, মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। এই বছরে আরো মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন হবে। উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় আবার আমরা আরেক ধাপ এগিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আবারও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে।

আজ শরীয়তপুরের জাজিরা পৌরসভার নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

উপমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সকল স্বপ্ন পূরণ করছেন তাঁরই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের জীবনমান উন্নয়ন হচ্ছে। বাংলাদেশের উন্নয়নের একমাত্র ভরসাস্থল দেশরত্ন শেখ হাসিনা।

এনামুল হক শামীম বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলে- বিএনপি নির্বাচনে এলে আওয়ামী লীগ ৩০টি আসনও পাবে না, আর নেত্রী খালেদা জিয়াও এমন উদ্ভট কথাবার্তা বলেছিল। বিএনপি নামক গণবিচ্ছিন্ন দলটি জনরোষে এখন বিলুপ্তির পথে। বিএনপি ভালো করেই জানে, তারা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসবে না। তাই তারা মাঝেমধ্যেই নতুন ফর্মুলা নিয়ে হাজির হয়। ক্ষমতায় আসতে হলে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। সেই নির্বাচনে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যাকারী, লুটেরা বিএনপি আর কোনো দিন এদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসবে না। আগামী নির্বাচনে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।

উপমন্ত্রী আরো বলেন, ৪ বছর আগেও নড়িয়ায় নদীভাঙন ছিলো৷ হাজার হাজার মানুষ ভিটেমাটি হারিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদৌলতে এখন আর নড়িয়ায় নদী ভাঙন নেই। ভাঙনকবলিত নড়িয়া এখন পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে৷ জয়বাংলা এভিনিউ হয়েছে। এছাড়া পদ্মার দুর্গম চর চরআত্রা, নওপাড়া ও কাঁচিকাটা বিদ্যুৎ সেবা পৌঁছে দেয়া হয়েছে। সেখানেও ভাঙনরোধে প্রকল্প চলমান রয়েছে। ভেদরগঞ্জ, গোসাইরহাটের প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। পদ্মা সেতুর জিরো পয়েন্ট থেকে জাজিরার বিলামপুর পর্যন্ত ১ হাজার ১৭৩ কোটি টাকার প্রকল্পও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নড়িয়া থেকে শুরু করে জেলা সদর হয়ে মাদারীপুর জেলার কালকিনি পর্যন্ত কীর্তিনাশা নদীর দুই তীর রক্ষা প্রকল্প এগিয়ে চলছে। আমরা শরীয়তপুরকে বাংলাদেশের মধ্যে একটি অন্যতম উন্নত সমৃদ্ধ জেলায় রূপান্তরিত করতে কাজ করে যাচ্ছি। পদ্মা সেতুর পর এখন মেঘনা সেতু হবে। সেই লক্ষ্যে ইতিপূর্বে মেঘনা সেতুর সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান, জাজিরা উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোবারক আলী সিকদার। এতে সভাপতিত্ব করেন জাজিরা পৌরসভার মেয়র ইদ্রিস মাদবর।

পরে উপমন্ত্রী পদ্মাসেতুর জাজিরা পয়েন্ট থেকে শরীয়তপুর সদরের প্রেমতলা পর্যন্ত ফোর লেন সড়কের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। এসময় সড়ক ও জনপদ শরীয়তপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী ভূইয়া রেদোয়ানুর রহমান সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

#

গিয়াস/পাশা/আরমান/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/১৯১০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ১৭৬২

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে র‍্যাংকিংয়ে ভালো জয়গায় দেখতে চাই

                                                         -- শিক্ষামন্ত্রী

গাজীপুর, ৩০ বৈশাখ (১৩ মে) :

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে র‍্যাংকিংয়ে ভালো জয়গায় দেখতে চান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি অভিজ্ঞতা ও উন্নত গবেষণার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিশ্বমান অর্জন করে বিশ্ব দরবারে অবস্থান করে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন । আজ গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শৌভিক ভট্টাচার্য্য, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম প্রমুখ।

র‍্যাংকিংয়ে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনেক পিছিয়ে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এটি সত্য যে আমরা র‍্যাংকিংয়ে অনেক পিছিয়ে আছি। এটিও সত্য র‍্যাংকিংয়ে উপরে থাকার জন্য যে বিষয়গুলোয় মনোযোগ দিতে হয় আমরা সে বিষয়গুলোর দিকে আমরা মনোযোগী ছিলাম না।’

দীপু মনি বলেন, ‘আমাদের দক্ষ গবেষক নেই, শিক্ষায় অনেক ঘাটতি আছে তেমন কিন্তু নয়। আমাদের দক্ষ গবেষক রয়েছেন, গুণগতমানের শিক্ষক রয়েছেন। আসলে আমরা যে যে বিষয়গুলোর ওপর র‍্যাংকিং নির্ভর করে, সে সব ক্ষেত্রে মনোযোগী ছিলাম না। এখন বিশ্ববিদ্যালগুলো কিছুটা মনোযোগী হচ্ছে। এখন না হোক অদূর ভবিষ্যতে আমাদের সবগুলো না হোক কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাংকিংয়ে ভালো জায়গায় উঠে আসবে।’

শিক্ষক ও বিজ্ঞানীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কৃষিজমির পরিমাণ আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাচ্ছে। রাসায়নিক সারের যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে কৃষি জমির উৎপাদনশীলতা ও উর্বরতা উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাচ্ছে। জীববৈচিত্র্য হ্রাস ও পরিবেশ দূষণের ফলে ফসল উৎপাদন অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। খরা, বন্যা, লবণাক্ততা, আর্সেনিক বিষাক্ততা ও দুর্যোগজনিত নানামুখী কারণে জমির উৎপাদন ক্ষমতায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে কৃষি গবেষণাকে অগ্রগতি দিয়ে খাদ্য উৎপাদনে আধুনিক ও উন্নত লাগসই প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও সেগুলোর যথাযথ সম্প্রসারণের মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে সরাসরি প্রয়োগের ব্যবস্থা করে দিতে হবে।

শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, বৈরী পরিবেশ উপযোগী ফসলের জাত ও আধুনিক যুগোপযোগী চাষাবাদ পদ্ধতি উদ্ভাবন করে কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে নিরাপদ ফল ও সবজি উৎপাদনে বায়োটেকনোলজি প্রযুক্তি প্রয়োগ এবং কীটনাশকের বিকল্প উপায় উদ্ভাবনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। বায়োফর্টিফিকেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদানসমৃদ্ধ ফসল উৎপাদন এবং উদ্ভিদ রোগ প্রতিরোধী জাত উন্নয়নের প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। সর্বোপরি খাদ্যে দীর্ঘমেয়াদি স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা, কৃষি বিজ্ঞানী ও গবেষকরা দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক অনুদান ও সহযোগিতার মাধ্যমে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবেন বলেই আমার বিশ্বাস।

#

খায়ের/পাশা/আরমান/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/২০৩০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ১৭৬১

শ্রমিকের পুষ্টি নিশ্চিতে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত

খুলনা, ৩০ বৈশাখ (১৩ মে) :

২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এবং এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শ্রমিকের পুষ্টিমান নিশ্চিত করতে এবং কারখানা পর্যায়ে পুষ্টি বিষয়ে প্রশিক্ষক তৈরির লক্ষ্যে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

আজ খুলনা মহানগরীর একটি হোটেলে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইম্প্রুভড নিউট্রিশন (গেইন)-এর সহযোগিতায় শ্রম অধিদপ্তর আয়োজিত খুলনা অঞ্চলের বিভিন্ন সেক্টরের অর্ধশতাধিক প্রতিনিধি নিয়ে মৌলিক পুষ্টি ও নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক প্রশিক্ষকদের জন্য এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। 

দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে জানানো হয় আর্ন্তজাতিক শ্রম সংস্থা(আইএলও)-এর গবেষণা মতে, অপুষ্টি শ্রমিকদের  কর্মক্ষমতা ২০ শতাংশ পর্যন্ত  হ্রাস করতে পারে । অপর্যাপ্ত পুষ্টি শুধুমাত্র স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে না, এটা কর্মক্ষেত্রের বাইরেও বিভিন্নভাবে উৎপাদনশীলতা কমিয়ে দিতে পারে। শুধু আয়রনের অভাবজনিত  এনিমিয়া  দূর করতে পারলে বাংলাদেশে প্রায় ৮ শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধি সম্ভব। এ জন্য শ্রমিকদের পুষ্টির দিকে নজর দেয়ার সময় এসেছে। শ্রমিকের পুষ্টিমান নিশ্চিত করা গেলে তার ব্যক্তিজীবনে কর্মঘণ্টা বৃদ্ধি পাবে ও আর্থিকভাবে লাভবান হবে। সার্বিকভাবে জাতীয় উন্নয়ন তরান্বিত হবে। 

প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে শ্রমিকদের সুস্থতা এবং অধিক উৎপাদনশীলতার জন্য মৌলিক পুষ্টি এবং নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ সম্পর্কে অংশগ্রহণকারী মালিক এবং ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিকে আরো জ্ঞান অর্জন করে তা তাদের শ্রমিকদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানানো হয়।

 শ্রমিকদের পুষ্টি উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই খুলনাতে একটি কর্মশালায় সকল আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক কারখানা এবং প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে একটা ওয়ার্কফোর্স নিউট্রিশন অ্যালায়েন্স গঠনের পরামর্শ দিয়েছিলেন। এরই প্রেক্ষিতে গেইনের কারিগরি সহায়তায়  শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন শ্রম অধিদপ্তর ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ওয়ার্কফোর্স নিউট্রিশন অ্যালাইয়েন্স গঠন করেছে। এই অ্যালাইয়েন্সের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ, কারিগরি সহযোগিতা প্রদান, কলকারখানা কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের জন্য পুষ্টি বিষয়ক প্রশিক্ষণ উপকরণ তৈরি এবং নীতিমালা ও কর্মপরিকল্পনায় শ্রমিকদের পুষ্টির বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়।

          গেইন বাংলাদেশের প্রোজেক্ট ম্যানেজার জি এম সুমনের সঞ্চালনায় প্রধান প্রশিক্ষক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ রুহুল আমিন। প্রশিক্ষণ শেষে শ্রম অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন এবং বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের পরিচালক মো মিজানুর রহমানসহ শ্রম অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন।

#

  আকতারুল/পাশা/আরমান/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/২০৩০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর : ১৭৬০

 

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ৩০ বৈশাখ (১৩ মে):

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৮ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার এক দশমিক ৬৪ শতাংশ। এ সময় ৪৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।               

 

গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৪৬ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ৫ হাজার ৯০৫ জন।

 

#

 

সুলতানা/পাশা/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২৩/১৮০০ ঘণ্টা 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর : ১৭৫৯

সেবা প্রদানে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করতে হবে

--আইনমন্ত্রী

ঢাকা, ৩০ বৈশাখ (১৩ মে):

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে সবসময় নিজেকে খাপ খাইয়ে চলতে হয়। তাছাড়া কোনো ব্যক্তি এমনকি কোনো প্রতিষ্ঠান প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারে না। সেজন্য সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে বিচারকদেরকে নতুন নতুন আইন, জুডিসিয়াল ডিসিশন, পরিবর্তিত কর্মপরিধি ও কর্মপরিবেশ সম্পর্কে হালনাগাদ থাকতে হবে। চিন্তা-চেতনায় আধুনিকতার ছোঁয়া লাগাতে হবে। কার্যক্ষেত্রে পুরানো ধ্যান-ধারণা পরিহার করে আধুনিক প্রযুক্তি, কারিগরি জ্ঞান এবং তত্ত্বীয় বিষয় সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে, সেবা প্রদানে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করতে হবে।

 

মন্ত্রী আজ ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সিনিয়র সহকারী জজ এবং সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজিত ১৪৯তম রিফ্রেসার কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

 

মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী সেবা সহজীকরণ প্রক্রিয়া চলছে। কে কত দ্রুত ও কত সহজে মানসম্পন্ন সেবা দিতে পারে, তা নিয়ে রীতিমতো অন্ত ও আন্তঃপ্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় শামিল হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সেবাকে স্বল্প সময়ে, স্বল্প ব্যয়ে ও সহজে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে নানামুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছে এবং অনেক ক্ষেত্রেই এর সুফল জনগণ ইতিমধ্যে পেতে শুরু করেছে। এমন প্রেক্ষাপটে বিচারপ্রার্থী জনগণকে দ্রুত বিচারিক সেবা প্রদানে বিচার বিভাগকেও সমানতালে এগিয়ে যেতে হবে।

 

মন্ত্রী প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, জ্ঞান, দক্ষতা ও সামর্থ্য উন্নয়নের মাধ্যমে সক্ষমতা বাড়িয়ে যেকোনো প্রতিযোগিতা মোকাবিলার উপযোগী হতে হবে, প্রতিযোগিতা মোকাবিলার মনোভাব সৃষ্টি করতে হবে। কেননা প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব সৃষ্টি করে যেকোনো জটিল পরিস্থিতি সহজে মোকাবিলা করা সম্ভব হয়।

 

জনাব হক বলেন, আমরা জনগণের সেবক। তাই আমাদের জবাবদিহিতার মূলে রয়েছেন জনগণ। তাদেরকে সেবা প্রদানের জন্যই আমরা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব নিয়েছি। এই দায়িত্ব আমরা কে কত সুন্দরভাবে পালন করতে পারি, তার ওপরই নির্ভর করে আমাদের সুনাম ও সফলতা, সর্বোপরি প্রতিষ্ঠানের সফলতা। জনগণকে সেবা প্রদানের দায়িত্ব নিয়ে, আমরা যদি যথাসময়ে তা দিতে না পারি বা সেবা প্রদানের নামে জনগণকে হয়রানি করি, তাহলে নিজের ভাবমূর্তি যেমন ক্ষুণ্ন  হবে, তেমনি প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন হবে।

 

আইনমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের অভিযাত্রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ধাপে ধাপে সফলতার সাথে অগ্রসর হচ্ছে। প্রথম ধাপ রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের পথ ধরে এখন তাঁর সরকার এসডিজি ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের পথে দুর্বার গতিতে অগ্রসর হচ্ছে। ২০৪১ সালে আমরা অবশ্যই নতুন এক বাংলাদেশ দেখতে পাবো, যে বাংলাদেশ হবে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ-উন্নত বাংলাদেশ; আধুনিক ও উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার উপযোগী স্মার্ট বাংলাদেশ, যেখানে গড়ে উঠবে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ। এই জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী হতে হলে আমাদের দক্ষ মানব সম্পদ গড়ার বিকল্প নেই।

 

বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মোঃ গোলাম সাওয়ার ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) শেখ আশফাকুর রহমান বক্তৃতা করেন।

 

#

রেজাউল/পাশা/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২৩/১৭২৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ১৭৫৮

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍কক্সবাজারে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত

                             --ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ৩০ বৈশাখ (১৩ মে):

কক্সবাজারকে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত এবং চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৮ নম্বর
মহাবিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান।

আজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় মোখা সংক্রান্ত ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির বাস্তবায়ন বোর্ডের জরুরি সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত রাত থেকেই কক্সবাজার এবং চট্টগ্রাম জেলায় বিপদাপন্ন জনগণকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা শুরু হয়েছে। সবচেয়ে বিপদের সম্মুখীন সেন্টমার্টিন দ্বীপে অবস্থানরত মানুষের নিরাপত্তায় গতকালই সর্বাত্মক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। সেখানে অবস্থানরত আনুমানিক ৮৫০০ মানুষকে সর্বোচ্চ জলোচ্ছ্বাস মাত্রার উপরে সুপার সাইক্লোন মোকাবিলায় সক্ষম ৩৭ টি অবকাঠামোয় নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়া হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, আগেভাগেই সেখানকার সকল মজবুত-নিরাপদ অবকাঠামোর হোটেল-রিসোর্ট, সকল সরকারি-বেসরকারি উপযুক্ত অবকাঠামো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য উপজেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয়। এরপরও প্রয়োজনীয়তা সাপেক্ষে সেখানকার মানুষকে উদ্ধার করে টেকনাফে নিয়ে আসার জন্য বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী ও কোস্টগার্ড প্রস্তুত রয়েছে। অতিবৃষ্টিতে পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে থাকা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বান্দরবানের সংশ্লিষ্ট স্থানসমূহেও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে ।

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে ৬ জেলায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গতকাল ১২ মে সকালে মোখা অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এখনো উত্তর ও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এটা যেভাবে অগ্রসর হচ্ছে, আশঙ্কা করছি, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় আঘাত হানবে। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম, নোয়াখালি, লক্ষ্মীপুর, বরিশাল, ভোলা ও বরগুনাসহ বিভিন্ন এলাকায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।

জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা নিয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, টেকনাফ ও কক্সবাজারের জন্য সুনির্দিষ্ট করে দুই থেকে তিন মিটার উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, বরিশাল, বরগুনা ও ভোলার জন্য দুই মিটারের কম উচ্চতার জন্য জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। তিন মিটারের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হলে আশ্রয়কেন্দ্রের লোকজনের জন্য একটি আশঙ্কা থেকে যায়।

ঘূর্ণিঝড়টি আগামীকাল রোববার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে আঘাত হানতে পারে। এখন পর্যন্ত যে দূরত্ব আছে, আগামীকাল সকাল থেকেই উপকূল স্পর্শ করতে থাকবে।

এনামুর রহমান বলেন, এটির অবস্থান, গতিপথ ও গতি বিবেচনা করে আমরা স্থির করেছি, কক্সবাজার বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেয়ার জন্য। আর চট্টগ্রাম ও পায়রা বন্দরকে আট নম্বর মহাবিপৎসংকেত জারি রাখা হবে। মোংলায় চার নম্বর সতর্কতা সংকেত থাকবে।

১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত কখন থেকে কার্যকর হবে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শনিবার (১৩ মে) দুপুর আড়াইটা থেকে এটি কার্যকর হবে। এখন সেন্টমার্টিনের সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হলেও চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের শতভাগ আনার কাজ চলমান রয়েছে।

 

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হবে। এতে ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। এখন পর্যন্ত সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়নি। তবে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড কাজ করছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন বাতাসের যে গতিবেগ ১৫০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার, এটা বেড়ে হয়তো ১৮০ কিলোমিটার হতে পারে। এর বেশি হওয়ার শঙ্কা নেই। যে কারণে মোখাকে সুপার সাইক্লোন বা অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় বলা যাবে না।

উপস্থিত একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (RRRC)-এর নেতৃত্বে সাড়ে চার হাজার স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছে। সেখানে যেহেতু পাহাড়ের ওপর জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা নেই কিন্তু বৃষ্টিপাতের কারণে ভূমিধস হতে পারে। এই আশঙ্কা মাথায় রেখে স্বেচ্ছাসেবীদের প্রস্তুত থাকতে বলেছি।

প্রতিমন্ত্রী জানান, যেহেতু রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ১২ লাখ, সেহেতু তাদের সরিয়ে নিয়ে কোনো আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা আমাদের নেই।

এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ কামরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন ।

#

সেলিম/পাশা/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/১৮১০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                               &n

2023-05-13-16-34-d9062f7e23fafd9cc1e159b8940134c7.docx