তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭৪০
দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সেবা দেওয়াই আমাদের প্রধান কাজ
---সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা
ঢাকা, ৪ ফাল্গুন (১৭ ফেব্রুয়ারি):
সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, এ দুই মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সেবা দেওয়াটা আমাদের প্রধান কাজ।
উপদেষ্টা আজ ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদ এর সঞ্চালনায় জেলাপ্রশাসক সম্মেলন ২০২৫ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের
কার্য-অধিবেশনে এ কথা বলেন।
জেলাপ্রশাসক সম্মেলনের এ অধিবেশনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ এনডিসি, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোঃ মহিউদ্দিন, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কেয়া খান, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ সাইদুর রহমান এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন জেলার কার্যক্রমের ওপর বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসকগণ নানা সমস্যা ও করণীয় বিষয়ের উপর অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন। এর উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠার পর আগের সরকারের দর্শনের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়েছে। এই অনিয়ম, শৃঙ্খলার কাঠামোগত পরিবর্তন এনে তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।
উপদেষ্টা আরো বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন, আরো অন্যান্য বিষয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও সমন্বয় করে আন্তরিকতা ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দুই মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, জেন্ডার ভায়োলেন্সে ভাতা প্রদান ৪৬ শতাংশ ত্রুটিপূর্ণ জায়গায় যেত, যার ফলে অনেক বয়স্ক মানুষ কষ্ট পেত, তাদের কাছে ভাতা পৌঁছাতো না। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকারের সেবাসমূহ দরিদ্র মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে জেলাপ্রশাসকদের সহযোগিতা অপরিহার্য বলে তিনি উল্লেখ করেন।
#
রফিকুল/পবন/মোশারফ/আব্বাস/২০২৫/২৩১২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭৩৯
নাগরিকদের ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেবা প্রদানে জেলাপ্রশাসকদের কাজ করতে হবে
---তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা
ঢাকা, ৪ ফাল্গুন (১৭ ফেব্রুয়ারি):
নাগরিকদের ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেবা প্রদানে জেলাপ্রশাসকদের কাজ করতে হবে। নাগরিক সেবা প্রদানে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার দুর্নীতি প্রতিরোধেও কার্যকর ভূমিকা পালন করে। সোমবার ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলাপ্রশাসক সম্মেলনে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোঃ নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন।
গুজবের ব্যাপকতা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, অবাধ তথ্য প্রবাহের এই যুগে গুজব প্রতিরোধ করা একটি বড়ো চ্যালেঞ্জ। স্পর্শকাতর বিষয়ে বেশি পরিমাণ গুজব ছড়ানো হচ্ছে। তিনি বলেন, গুজব প্রতিরোধে জেলাপ্রশাসকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, জেলাপ্রশাসনের উদ্যোগে গণঅভ্যুত্থান-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতে হবে। পরবর্তী সময় এসব তথ্য জাদুঘরে স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
উপদেষ্টা আরো বলেন, সরকারি দপ্তরে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে। এ বিষয়ে তিনি জেলাপ্রশাসকদের কাজ করার আহ্বান জানান। ইন্টারনেটের দাম কমাতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ইন্টারনেট ব্যবসায় মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমাতে সরকার কাজ করছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মোঃ মুশফিকুর রহমান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা।
#
মামুন/পবন/মোশারফ/আব্বাস/২০২৫/২২৫২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৭৩৮
নতুন বাংলাদেশ গড়তে তরুণদের মেধা-মনন এবং সৃষ্টিশীলতার মাধ্যমে নেতৃত্ব দিতে হবে
--- যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা
ঢাকা, ৪ ফাল্গুন (১৭ ফেব্রুয়ারি):
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, নতুন বাংলাদেশ গড়তে তরুণদের মেধা-মনন এবং সৃষ্টিশীলতার মাধ্যমে নেতৃত্ব দিতে হবে।
উপদেষ্টা আজ ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উপলক্ষ্যে প্রায় ১৪ হাজারের অধিক ইভেন্ট আয়োজনের মাধ্যমে সারাদেশে প্রতিটি জেলা-উপজেলায় স্কুল, কলেজগুলোতে তারুণ্যের উৎসব উদ্যাপিত হয়েছে। সমগ্র দেশে আবারো খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম এবং সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তরুণ সমাজকে উজ্জীবিত করতে সক্ষম হয়েছে।
আসিফ মাহমুদ বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান তরুণদের কাঁধে আরো বড় দায়িত্ব এনে দিয়েছে। আমাদের নতুন চ্যালেঞ্জ দেশকে নতুনভাবে গড়ে তোলা। এই চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়ন করতে প্রত্যেককে যার যার অবস্থান থেকে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রস্তুতি নিতে হবে। তিনি বলেন, রেসিডেন্সিয়াল কলেজের ছাত্র ফারহান ফাইয়াজ শহিদ হওয়ার মাধ্যমে যেভাবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছেন, নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছেন তার আত্মত্যাগ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে আমাদের দেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত হতে হবে।
#
নূর আলম/পবন/রানা/ফেরদৌস/মোশারফ/আব্বাস/২০২৫/২০৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৭৩৭
পরিবেশ দূষণ রোধে শিল্পকারখানাগুলোকে দায়িত্ব নিতে হবে
--- পরিবেশ উপদেষ্টা
ঢাকা, ৪ ফাল্গুন (১৭ ফেব্রুয়ারি):
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট শিল্পকারখানাগুলোকে দায়িত্ব নিতে হবে এবং তাদের পুনর্বাসন পরিকল্পনার প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘শুধু সরকারের ওপর নির্ভর করলে হবে না, শিল্পকারখানাকে নিজ দায়িত্বে দূষণ নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হবে।’
উপদেষ্টা আজ ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘বাংলাদেশে সিসা দূষণ হ্রাসের সক্ষমতা উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিক সহযোগী, বিশেষ করে ফ্রান্সের সহায়তায় পরিবেশ অধিদপ্তর এখন একটি সময়সীমাবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে পারে। ‘সকল দূষণকারী শিল্পের বিরুদ্ধে একসঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব না হলেও যেগুলোর পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই, সেগুলোর বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।’ তিনি জানান, শিল্প বন্ধ করা উদ্দেশ্য নয়, বরং তাদের ছাড়পত্র গ্রহণে বাধ্য করা এবং পুনর্বাসন ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা জরুরি। পরিবেশগত ছাড়পত্রে নিয়মিত পুনর্বাসন কার্যক্রমের শর্ত সংযুক্ত করা উচিত, যাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
রিজওয়ানা হাসান একটি দূষণ পুনর্বাসন তহবিল গঠনের প্রস্তাব দেন, যেখানে শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা দেবে। সফল পুনর্বাসনের পর তা ফেরত দেওয়া হবে, আর ব্যর্থ হলে সরকার ওই অর্থ দিয়ে পরিচ্ছন্নতার কাজ করবে। তদারকি ও বাস্তবায়ন জোরদারে স্থানীয় জনগণের সম্পৃক্ততার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-কে মাল্টিস্টেকহোল্ডার স্টিয়ারিং কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান, যাতে সিসাযুক্ত ব্যাটারির পরিবর্তে লিথিয়াম ব্যাটারি ব্যবহারে কর নীতির পরিবর্তন সহজ হয়। সিসা দূষণের স্বাস্থ্যঝুঁকি তুলে ধরতে চিকিৎসকদেরও এই কমিটিতে রাখা উচিত, বলেন তিনি। পাশাপাশি, বাংলাদেশ মান নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠান (ইঝঞও)-কে দূষণ নিয়ন্ত্রণের মানদণ্ড দ্রুত নির্ধারণের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান সভাপতিত্ব করেন। ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক শেখ সাইদুল হক, আইসিডিডিআরবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ, ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মায়া ভ্যানডেনেন্ট, পিওর আর্থ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মিতালী দাস এবং ইয়ুথনেট গ্লোবাল এর এক্সিকিউটিভ কো-অর্ডিনেটর সোহানুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
#
দীপংকর/পবন/রানা/ফেরদৌস/মোশারফ/জয়নুল/২০২৫/২০৪৫ঘণ্টা
Handout Number: 2736
Syeda Rizwana Hasan Calls for a Plastic-Free Mindset to Tackle Pollution
Dhaka, 17 February:
Syeda Rizwana Hasan, Advisor to the Ministry of Environment, Forest and Climate Change and the Ministry of Water Resources, urged the university community to take meaningful steps toward eliminating plastic waste and setting an example for other institutions. ‘Once BRAC University finalizes its action plan for a plastic-free campus, I would invite other private universities to learn from the initiative, fostering a responsible future generation,’ she said.
Environment Advisor said this while delivering the chief guest speech at the inaugural ceremony of ‘Plastic-Free Zero-Waste Campus: Green Pledge’ at BRAC University today.
Highlighting the severe impact of plastic pollution, she pointed out that microplastics have infiltrated human organs, including kidneys, livers, and even brains. ‘Research suggests that microplastics in the brain may obstruct blood flow, posing severe health risks. While scientists are still studying the full impact, it is clear that this is not good news.’
The Advisor also shed light on Bangladesh’s alarming plastic consumption, stating, ‘We produce two crore plastic shopping bags daily. The Buriganga River, for example, has thick layers of polythene on its bed, making even dredging difficult and costly.’ She stressed that plastic pollution is affecting not only rivers but also agriculture, with farmers finding plastic waste in their fields due to poor waste management.
Calling for a shift in mindset, she questioned why people hesitate to give up plastic bags when their ancestors managed without them. ‘Every time you go shopping, carry your own bag. Jute bags are readily available—why not use them?’ Rizwana Hasan urged.
While acknowledging the role of recycling, she warned that it is not a simple solution. ‘Developed countries have better recycling facilities, yet they prioritize alternatives because recycling is energy-intensive and involves harmful chemicals. Our focus should be on reducing plastic use, not just recycling it.’
The Environment Advisor also emphasized the need for Extended Producer Responsibility (EPR), ensuring that manufacturers take responsibility for collecting and recycling their plastic waste. ‘Bangladesh is finalizing its EPR directive soon, making large companies accountable for their waste.’ Concluding her speech, she challenged individuals to take responsibility. ‘Many ask why polythene bags are still available if they are banned. Instead of questioning the authorities, ask yourself why you are still using them despite knowing their harmful effects.’
The event at BRAC University marks a significant step in Bangladesh’s fight against plastic pollution, inspiring students and faculty to take action towards a cleaner, greener future.
Tamara Abed, Chairman, Board of Trusttees, BRAC University; Dr. Syed Ferhat Anwar, Vice-Chancellor, BRAC University also spoke on the occasion. Teachers, Students, Faculties were also present at the occasion.
In the inauguration ceremony BRAC and BracU signed an MoU for this purpose. Later, Advisor visited stalls of exhibition showcasing alternatives to plastic materials. She also handed over certificates to the winning students.
#
Dipankar/Paban/Rana/Ferdows/Mosharaf/Joynul/2025/1740hour
Handout Number: 2735
Industries Must Take Responsibility for Pollution Control
--- Environment Advisor Syeda Rizwana Hasan
Dhaka, 17 February:
Syeda Rizwana Hasan, Advisor to the Ministry of Environment, Forest and Climate Change and the Ministry of Water Resources, stressed that industries must be held responsible for pollution control and should be trained in remediation plans. “The responsibility of pollution control cannot rest solely with the government; industries must actively participate in cleaning up pollution,” she said.
The Environment Advisor emphasized the urgent need for stricter regulations and industry accountability in tackling lead contamination in Bangladesh. She delivered the chief guest’s speech at the launching ceremony of the "Capacity Building for the Reduction of Lead Contamination in Bangladesh" held on Monday at Hotel Intercontinental, Dhaka.
Advisor highlighted that with support from international partners like France, the Department of Environment now has the capacity to develop a time-bound action plan to tackle lead pollution. “While taking immediate action against all polluting industries may not be feasible, we must at least address those operating without environmental clearance,” she stated.
Rizwana clarified that the goal is not to shut down industries but to ensure compliance by obtaining clearance, assessing their locations, and implementing remediation measures. Environmental clearance certificates should include mandatory periodic remediation actions, requiring industries to clean up their systems within a specific timeframe.
As a financial accountability measure, she suggested creating a pollution remediation fund. Industries would deposit an amount that would be reimbursed upon successful remediation, while failures would result in the government utilizing the funds for cleanup efforts.
To strengthen monitoring and enforcement, she stressed the need for community involvement. While enforcement must remain under government control, community members should be engaged in monitoring environmental compliance.
Rizwana also emphasized the importance of including the National Board of Revenue (NBR) in the multi-stakeholder steering committee to facilitate the transition from lead-acid batteries to lithium-ion alternatives through revised taxation policies.
Additionally, medical professionals should be involved to highlight the health risks of lead contamination. Calling for urgent standardization, she urged the Bangladesh Standards and Testing Institution (BSTI) to expedite setting pollution control standards, adopting global benchmarks where necessary.
‘This initiative is crucial for public health and environmental protection. Lead contamination poses a severe risk, especially to children. A structured action plan will significantly reduce this threat and ensure a sustainable future,’ she concluded.
Dr Md. Kamruzzaman, Director General of the Department of Environment presided over the launching Ceremony whereas Marie Masdupuy, Ambassador of French to Bangladesh spoke as the guest of honour. Sheikh Sayidul Haque, Addl. Director General (Planning and Development) of DGHS; Dr Tahmeed Ahmed, Executive Director, icddr,b; Maya Vandennent, Chief of Health, UNICEF Bangladesh, Mitali Das, Executive Director, Pure Earth Bangladesh and Sohanur Rahman,Executive Coordinator, YouthNet Global also spoke in the occasion.
#
Dipankar/Paban/Rana/Ferdows/Mosharaf/Joynul/2025/2035hour
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৭৩৪
পাঠাভ্যাস শিশুর একাডেমিক সাফল্য ও মানসিক বিকাশের অন্যতম উপাদান
--- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা
শ্রীপুর (গাজীপুর), ৪ ফাল্গুন (১৭ ফেব্রুয়ারি):
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, শিক্ষার মূলভিত্তি হলো পাঠাভ্যাস, যা শিশুর একাডেমিক সাফল্য ও মানসিক বিকাশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। শিশুদের মধ্যে পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে হলে পাঠকে আনন্দময় করে তুলতে হবে।
আজ গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনাস্থ ড্রীম স্কয়ার রিসোর্টে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও রুম টু রিড বাংলাদেশ স্বাধীন পাঠক তৈরি: পঠন দক্ষতা ও পাঠাভ্যাস উন্নয়নে সম্মিলিত ও সমন্বিত প্রয়াস আয়োজিত ‘রিডিং কনফারেন্স-২০২৫’ এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা একথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, এই সম্মেলনের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা নীতিনির্ধারক, শিক্ষক, গবেষক ও উন্নয়ন সহযোগীদের সাথে যুক্ত হয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতা বিনিময়, বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ চিহ্নিতকরণ এবং সমাধানমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের সুযোগ পাবেন। তাত্ত্বিক আলোচনা, গবেষণালব্ধ প্রমাণ এবং মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে এই উদ্যোগ একটি টেকসই, কার্যকর এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা ব্যবস্থার ভিত্তি গড়ে তুলতে সহায়ক হবে। সম্মেলন থেকে অর্জিত জ্ঞান ও সুপারিশসমূহ প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি কার্যকর কর্মপরিকল্পনা গঠনে সহায়তা করবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা আরো বলেন, মানসম্মত শিক্ষার জন্য প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের যথাযথ পঠন-দক্ষতা ও পাঠাভ্যাস উন্নয়ন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পড়ার দক্ষতা ছাড়া একদিকে যেমন পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা সম্ভব নয়, অন্যদিকে তেমনি পাঠাভ্যাসের মাধ্যমেই কেবল শিক্ষার্থীদের পঠন-দক্ষতার উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি সম্ভব।
শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মকর্তাসহ ১৪০জন দু'দিন ব্যাপী রিডিং কনফারেন্সে অংশ নিচ্ছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ আব্দুল হাকিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোঃ আতিকুর রহমান, ‘রুম টু রিড বাংলাদেশ’ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর রাখী সরকার, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) জিয়া আহমেদ সুমন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক হোসনে আরা বেগম এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি) ড. মোঃ আতাউল গনি।
#
জাহাঙ্গীর/পবন/রানা/ফেরদৌস/মোশারফ/জয়নুল/২০২৫/২০৩৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৭৩৩
শিক্ষার মানোন্নয়নে গুরুত্বারোপের আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
মুন্সীগঞ্জ, ৪ ফাল্গুন (১৭ ফেব্রুয়ারি):
শিক্ষার মানোন্নয়নে গুরুত্বারোপের আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। আজ মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুরা সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৩৩তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি সংশ্লিষ্টদের এ আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা বলেন, অতীতের তুলনায় শিক্ষার প্রসার ঘটেছে ঠিকই, কিন্তু মান বাড়েনি। এখন শিক্ষা বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে। শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শুধু নম্বর বাড়িয়ে দিয়ে শিক্ষার্থীদের পাস করালে হবে না, মূল্যায়নে যেন শিক্ষার্থীদের মেধার যথাযথ প্রতিফলন ঘটে। শিক্ষার মানের ক্ষেত্রে কোন আপস করা যাবে না।
জাহাঙ্গীর আলম আরো বলেন, বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সমস্যা দুর্নীতি। দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে দেশ এগিয়ে যাবে। তিনি এসময় শিক্ষার্থীদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমাদের দেশের আরো একটি বড় সমস্যা মাদকের বিস্তার। তরুণ ও যুবকরা এতে আসক্ত হচ্ছে। এর বিরুদ্ধেও সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা জরুরি। তিনি আরো বলেন, শিক্ষাঙ্গনে খেলাধুলার চর্চা বাড়াতে হবে। এতে করে তরুণ ও যুবকরা মাদক থেকে দূরে থাকবে এবং সৃজনশীল কাজে নিজেদের নিয়োজিত করবে।
মুন্সীগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বর্ণনা করে উপদেষ্টা বলেন, এ জেলার রাস্তাঘাট ও অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য প্রায় ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তিনি জানান, মুন্সীগঞ্জে মেডিকেল কলেজ স্থাপন করা হবে, এজন্য উপযুক্ত জায়গা খোঁজা হচ্ছে।
ইছাপুরা সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. জামাল হোসেন মিঞা'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন মুন্সীগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার শামসুল আলম সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আতাউল গণি ওসমানী, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির চেয়ারম্যান টিপু সুলতান প্রমুখ।
এর আগে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা একক ও দলীয় সংগীত পরিবেশন করে। তাছাড়া বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ঝুড়িতে বল নিক্ষেপ খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
#
ফয়সল/পবন/রানা/ফেরদৌস/মোশারফ/জয়নুল/২০২৫/২০০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৭৩২
প্লাস্টিক দূষণ রোধে মানসিকতার পরিবর্তনের আহ্বান জানালেন পরিবেশ উপদেষ্টা
ঢাকা, ৪ ফাল্গুন (১৭ ফেব্রুয়ারি):
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্লাস্টিক বর্জ্য কমাতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় যখন প্লাস্টিকমুক্ত ক্যাম্পাস গড়ার কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে, তখন অন্যান্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও এই উদ্যোগ নিতে পারে, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আরো দায়িত্বশীল হয়ে ওঠে।
আজ ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘প্লাস্টিকমুক্ত জিরো-ওয়েস্ট ক্যাম্পাস: গ্রিন প্লেজ’ শীর্ষক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, প্লাস্টিক দূষণ এখন মানবদেহেও প্রবেশ করছে। গবেষণায় দেখা গেছে, কিডনি, লিভার এমনকি মস্তিষ্কেও মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে। মস্তিষ্কে মাইক্রোপ্লাস্টিক রক্ত প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করতে পারে, যা গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে প্রতিদিন দুই কোটি প্লাস্টিকের ব্যাগ উৎপাদিত হয়। নদীগুলোর তলদেশ প্লাস্টিক বর্জ্যে ঢাকা পড়ছে। বুড়িগঙ্গা নদীর তলদেশে পলিথিনের পুরু স্তর জমে গেছে, যা ড্রেজিংকেও ব্যয়বহুল করে তুলছে। প্লাস্টিক বর্জ্যের প্রভাব শুধু নদীতে নয়, কৃষিক্ষেত্রেও পড়ছে। জমি প্রস্তুতের সময় কৃষকরা মাটির নিচে প্লাস্টিকের ব্যাগ খুঁজে পাচ্ছেন, যা অপরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ফল।
উপদেষ্টা নাগরিকদের প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর পরামর্শ দেন। ‘আমাদের পূর্বপুরুষরা প্লাস্টিক ব্যাগ ছাড়াই চলতে পারতেন, আমরা কেন পারব না? কেনাকাটায় নিজের ব্যাগ নিয়ে যান। বাজারে প্রচুর পাটের ব্যাগ পাওয়া যায়, এগুলোই ব্যবহার করুন,’ বলেন তিনি। পুনর্ব্যবহারযোগ্যতার গুরুত্ব স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘পুনর্ব্যবহারও চূড়ান্ত সমাধান নয়। উন্নত দেশগুলোর উন্নত রিসাইক্লিং ব্যবস্থা থাকলেও তারা বিকল্প ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছে, কারণ রিসাইক্লিং জটিল এবং ব্যয়বহুল। আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত নতুন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি বন্ধ করা।’
রিজওয়ানা হাসান এক্সটেন্ডেড প্রডিউসার রেসপন্সিবিলিটি (ঊচজ) বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন, যাতে উৎপাদকরা তাদের প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ ও পুনর্ব্যবহারের দায়িত্ব নেয়। ‘বাংলাদেশ শিগগিরই ঊচজ নির্দেশিকা চূড়ান্ত করবে। বড় কোম্পানিগুলোকে তাদের পণ্যের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায় নিতে হবে,’বলেন তিনি। তিনি আরো বলেন, ‘অনেকে প্রশ্ন করেন, পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ হলেও তা বাজারে কেন? বরং নিজেদের প্রশ্ন করুন, আপনি কেন এখনো এটি ব্যবহার করছেন?’
অনুষ্ঠানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ-এর চেয়ারম্যান তামারা আবেদ, উপাচার্য ড. সৈয়দ ফারহাত আনোয়ারসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ব্রাক ও ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। পরে উপদেষ্টা প্লাস্টিকের বিকল্প উপকরণ প্রদর্শনীর স্টল পরিদর্শন করেন এবং বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন।
#
দীপংকর/পবন/রানা/ফেরদৌস/মোশারফ/জয়নুল/২০২৫/১৯৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭৩১
রমজানে সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম, মাংস বিপণন করা হবে
-মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
ঢাকা, ৪ ফাল্গুন (১৭ ফেব্রুয়ারি):
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, আসন্ন রমজান মাসে জনসাধারণ যেন সহজেই প্রাণিজ আমিষের চাহিদা মেটাতে পারেন সে লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় মাসব্যাপী সুলভমূল্যে ভ্রাম্যমাণ দুধ, ডিম ও মাংস বিপণন ব্যবস্থা চালু করছে। এ কর্মসূচির আওতায় পাস্তুরিত তরল দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৫০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার প্রতি কেজি ২৫০ টাকা এবং ডিম প্রতি ডজন ১১৪ টাকা দরে বিক্রয় করা হবে।
উপদেষ্টা আজ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন রমজান মাসে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রম এবং বিগত ছয় মাসে মন্ত্রণালয়ের কাজের অগ্রগতি বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা আরো বলেন, প্রথম রমজান থেকে শুরু হয়ে ২৮ রমজান পর্যন্ত দুধ, ডিম ও মাংস বিপণন ব্যবস্থা ঢাকা শহরের ২৫টি স্থানে চালু থাকবে । সুলভ মূল্যে প্রাণিজাত পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে জুলাই বিপ্লবের সময় যে সকল স্হানে সাধারণ মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ বেশি ছিল সেসকল স্হানকে অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ এর দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ‘সাফওয়ান আখতার সদ্য’ গুলিবিদ্ধ হয়ে শাহাদত বরণ করেন। তার স্মরণে বিসিএস লাইভস্টক একাডেমি, সাভার, ঢাকার মূল গেট ‘শহিদ সাফওয়ান সদ্য’ নামকরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। অতিশীঘ্রই আনুষ্ঠানিকভাবে শহিদ সাফওয়ান সদ্য নামের গেটটি উদ্বোধন করা হবে।
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যারা বিভিন্ন দেশে কাজ করছেন এবং দেশে রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন, এমনকি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার পাশে সোচ্চার ছিলেন, তাদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে সীমিত আকারে ইলিশ মাছ রপ্তানির পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। সারা বছর পাঠানো না গেলেও অধিক ইলিশ প্রাপ্তির সময় প্রবাসীদের জন্য ইলিশ পাঠানোর ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় হতে প্রাথমিক অবস্থায় সৌদি আরবে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে মোট ১১ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হবে। এ বছর আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে তা কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে। এsরপর অন্যান্য দেশে পাঠানোর বিষয়ে বিবেচনা করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব মোঃ ইমাম উদ্দীন কবীর, অতিরিক্ত সচিব আমেনা বেগম, সৈয়দা নওয়ারা জাহান ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মোঃ আবু সুফিয়ান, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মোঃ আবদুর রউফ সহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
#
মামুন/তৌহিদ/ফাতেমা/রমজান/সুবর্ণা/সাঈদা/শফিক/২০২৫/১৫৩০ ঘন