Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৪ মে ২০২২

তথ্যবিবরণী ২৪ মে ২০২২

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ২০৮১

 

বঙ্গবন্ধু কবি নজরুলকে বাংলাদেশে এনে জাতিকে গৌরবান্বিত করেছেন

                                          -- ডাক ও টেলিযোগাযোগাযোগ মন্ত্রী

 

ত্রিশাল (ময়মনসিংহ), ১০ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে) :

 

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাঙালির অহংকার। অসুস্থ কবিকে বাংলাদেশে এনে এবং তাঁকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ও জাতীয় কবির মর্যাদা দিয়ে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে গৌরবান্বিত করেছেন। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাত্র কয়েক মাস পর ২৪ মে তারিখে ভারতের একজন নাগরিককে বাংলাদেশে এনে নাগরিকত্ব প্রদান করা বঙ্গবন্ধুর মতো একজন দূরদৃষ্টি সম্পন্ন পরাক্রমশালী রাজনীতিক ও  রাষ্ট্র নায়কের পক্ষেই সম্ভব ছিলো বলে ডাক ও টেলিযোগাযোগাযোগ মন্ত্রী  মোস্তাফা জব্বার উল্লেখ করেন।

                                                                                                                                     

মন্ত্রী আজ ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক বাংলাদেশে আনার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

 

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচাh© অধ্যাপক সৌমিত্র শেখরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি নূরুল হুদা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর হুমায়ুন কবীর বক্তৃতা করেন।

 

বাঙালি কোনো দুর্বল জাতি নয় এবং বাংলা কোনো দুর্বল ভাষা নয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের বঙ্গবন্ধু, নজরুল ও রবীন্দ্রনাথ আছেন। বাংলাদেশ পৃথিবীর একমাত্র ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্র। পৃথিবীর ৩৫ কোটি মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে । ত্রিশালে জাতীয় কবি নজরুলের নামে প্রতিষ্ঠিত একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়টির জন্ম ইতিহাস তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ১৯৯৮ সালের ১৪ মে প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত প্রদানের মধ্য দিয়ে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের মানুষের জন্য উচ্চ শিক্ষার সুযোগ তৈরি করে দেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবির সাথে আমরা যারা যুক্ত ছিলাম তারা চেয়েছিলাম এটিকে একটি পরিপূর্ণ সংস্কৃতি ও  প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলবো। এখানে নজরুল চর্চা প্রাধান্য পাবে কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়টি হবে বাঙালি সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র। একই সাথে এটি হবে দেশের অন্যতম সেরা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

 

          মন্ত্রী  সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত নজরুল থেকে বঙ্গবন্ধু শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন এবং এ উপলক্ষ্যে প্রকাশিত বই ও স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন। পরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ ঘুরে দেখেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টি ডিজিটাইজেশনে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা প্রধানের আশ্বাস ব্যক্ত করেন। এর আগে মন্ত্রী  রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক প্রীতিকুমার মিত্র এবং  বিশিষ্ট শিল্পী সুজিত মোস্তাফাকে নজরুল পদক  হস্তান্তর করেন।

 

#

 

শেফায়েত/পাশা/নাইচ/এনায়েত/মোশারফ/সেলিম/২০২২/২২২৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ২০৮০

সর্বজনীন পদ্মাসেতুতে ওঠার আগে অপপ্রচারকারীদের ক্ষমা চাওয়া উচিত

                                                                          -- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

ঢাকা, ১০ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে): 

 

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু করেছেন দেশের আপামর সব মানুষের জন্য। তবে যারা এই সেতু নিয়ে অপপ্রচারগুলো করেছিলো তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত। আমি তাদেরকে বলবো যে, ক্ষমা চেয়ে পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে যেতে পারেন জনগণ সেটিই প্রত্যাশা করে।

 

আজ রাজধানীতে মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী একথা বলেন। ফ্রান্সে কান চলচ্চিত্র উৎসবে বঙ্গবন্ধু বায়োপিকের ট্রেলার উদ্বোধন শেষে এ দিন দুপুরে দেশে ফেরেন মন্ত্রী।

 

ড. হাছান বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল, সিপিডি, টিআইবিসহ আরো ব্যক্তিবর্গ পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন না করার জন্য হিলারি ক্লিনটনের মাধ্যমে এমন কি বিশ্বব্যাংকে সরাসরি চিঠি লিখিছিলেন, ই-মেইল করেছিলেন। তাদের সমস্ত বিরূপ মন্তব্য, ষড়যন্ত্র, অপতৎপরতা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে। এই সেতু বাংলাদেশের সব মানুষের জন্য।’

 

‘যারা পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল, জনগণ তাদের প্রশ্ন করছে- ক্ষমা চাওয়ার আগে তাদের পদ্মা সেতুতে ওঠার অধিকার আছে কি না’ বলেন হাছান মাহ্‌মুদ। তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, তাদের যদি লজ্জা থাকে তবে সেতু যাতে না হয় সেজন্য তারা যে অপপ্রচার, মিথ্যাভাষণ এবং দেশবিরোধী তৎপরতা চালিয়েছে, সেগুলোর জন্য পদ্মা সেতু ব্যবহারের আগে ক্ষমা চাওয়া উচিত।’

 

‘কান উৎসব অংশ নেয়া প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, সেখানে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ এই বহু কাঙ্ক্ষিত চলচ্চিত্রের ট্রেলার উদ্বোধন হয়েছে এবং উৎসবে মানুষের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা ছড়িয়েছে। কান চলচ্চিত্র উৎসব নগরীর প্রধান প্রবেশদ্বারে বঙ্গবন্ধু বায়োপিক অর্থাৎ ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রের পোস্টার শোভা পাচ্ছে। এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জীবন, কর্ম, আত্মত্যাগ এবং একটি জাতির রূপকার হিসেবে তাঁর যে ত্যাগ, সংগ্রাম, অর্জন, সেগুলো তুলে আনা হয়েছে, বলেন হাছান।

 

বঙ্গবন্ধু বায়োপিক নিয়ে নানা আলোচনার বিষয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু এবং আরো বিশ্বনেতাদের জীবন ও কর্মকে আড়াই-তিন ঘণ্টায় তুলে আনা কঠিন। কিন্তু এই চলচ্চিত্রে সেটি তুলে আনার চেষ্টা করা হয়েছে। আর পরিচালক শ্যাম বেনেগাল ঠিকই বলেছেন, দেড় মিনিটের ট্রেলার দেখে একটা চলচ্চিত্রের ওপর মন্তব্য করা যায় না, সেজন্য পুরো ছবিটা দেখতে হবে।  আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এই চলচ্চিত্রটি একটি ডকুমেন্টরি হিসেবেও কাজ করবে। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম, আত্মত্যাগ এবং ফাঁসির মুখোমুখি দাঁড়িয়েও বঙ্গবন্ধু যে জাতির প্রশ্নে, বাঙালির প্রশ্নে অবিচল ছিলেন সেই বিষয়গুলো নতুন প্রজন্ম জানতে পারবে। আমিও অধীর আগ্রহে চলচ্চিত্রটি দেখার জন্য অপেক্ষা করছি।

 

আগামী বছর থেকে কান চলচ্চিত্র উৎসবে আমরা একটি স্টল দেয়ার পরিকল্পনা করছি যাতে করে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরা যায়, জানান তথ্যমন্ত্রী।

#

আকরাম/পাশা/নাইচ/এনায়েত/রফিকুল/সেলিম/২০২২/২০১৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ২০৭৯

সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনায় সবুজ

জ্বালানির প্রসারে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে

                                 -- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১০ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে): 

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনায় সবুজ জ্বালানির প্রসারে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। খসড়া এই মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত হলে  ভবিষ্যতে কার্বন নিঃসরণের নেট-শূন্য দৃশ্যকল্প পরিষ্কার হবে। মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনায়ও বাংলাদেশ পরিষ্কার জ্বালানির রূপান্তরকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।

 

প্রতিমন্ত্রী আজ অনলাইনে ‘পঞ্চম এনার্জি ট্রানজিশন কাউন্সিলের মন্ত্রী পর্যায়ের সভায় বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে ৭৮৮.১৬ মেগাওয়াট বিদ্যুতের মধ্যে  ৫৫৪.১৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ  সোলার হতে আসে। ২০২৫ সালের মধ্যে ২৮টি নির্মাণাধীন সোলার বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতে আরো প্রায় ১৪০০ মেগাওয়ট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। বাংলাদেশে ১২% জনগণকে ৬.০২ মিলিয়ন সোলার হোম সিস্টেমের মাধ্যমে পরিষ্কার বিদ্যুৎ দেয়া হচ্ছে। ছাদে সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে ৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ  নেট মিটারে সংযুক্ত রয়েছে। সৌর সেচ পাম্প ও ০.৩ মিলিয়ন সোলার স্ট্রিট লাইট রয়েছে। অনশরে উইন্ড পাওয়ার প্রজেক্ট নির্দেশিকা চূড়ান্ত করা হচ্ছে। ইলেক্ট্রিক ভেহিক্যাল চার্জিং নির্দেশিকা পরিবহণ খাতকে ডি-কার্বনাইজ করতে কার্যকর অবদান রাখবে।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বংলাদেশ সবুজ জ্বালানির ব্যাপক প্রসারের জন্য কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা ও সহযোগিতা প্রয়োজন। বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০% বিদ্যুৎ উৎপাদনের যে ভিশনারি ও সাহসী লক্ষ্যমাত্রা পরিকল্পনা করা হয়েছে, তা বাস্তবায়নে প্রয়োজন ব্যাপক বিনিয়োগ। এনার্জি ট্রানজিশন কাউন্সিল ও ক্লাইমেট ফান্ড সহযোগিতা করলে এ লক্ষ্যমাত্রাকে দৃশ্যমান করা সম্ভব হবে।

 

যুক্তরাজ্যের ব্যবসা, জ্বালানি ও শিল্প কৌশল বিভাগের প্রতিমন্ত্রী Greg Hands-এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে কপ-২৬-এর প্রেসিডেন্ট ও সংসদ সদস্য Alok Sharma, নাইজেরিয়ার বিদ্যুৎ মন্ত্রী Goddy Jedy Agba, মরক্কোর টেকসই উন্নয়ন মন্ত্রী Benali, লাউসের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপমন্ত্রী Souphanouvong এবং কেনিয়ার কেবিনেট সেক্রেটারি Juma সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন।   

#

আসলাম/পাশা/রফিকুল/সেলিম/২০২২/১৯৩০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                         নম্বর : ২০৭৮

ঋণের দিক দিয়ে এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান সবচেয়ে ভালো

                                                              -- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

ঢাকা, ১০ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে) :

          এশীয় দেশগুলোর মধ্যে ঋণের দিক দিয়ে বাংলাদেশ সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।

          আজ মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠক শেষ মন্ত্রী সাংবাদিকদের একথা বলেন।

          মন্ত্রী জানান, এশীয় দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম ঋণ বাংলাদেশের। বাংলাদেশ কখনো ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়নি। সেজন্য বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে আরো বেশি ঋণ দিতে চায়। অর্থায়ন সেই খাতে নেওয়া হবে যেখানে বিনিয়োগের ফলে অর্থনীতির গ্রোউথ হবে। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক তো আসলে অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের সামগ্রিক অবস্থা অত্যন্ত স্থিতিশীল এ ঊর্ধ্বমুখী। বাংলাদেশ এখন উদীয়মান শক্তিশালী দেশ হিসাবে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বর্তমানে অনেক ভালো।

          বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধিদলের সাথে সাক্ষাতের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ঢাকাসহ সকল শহরের পাশাপাশি গ্রামীণ উন্নয়নের ব্যাপারে পরিকল্পনা ও তা বাস্তবায়ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এছাড়া সেনিটেশন, ওয়াটার সাপ্লাই, গ্রামীণ কমিউনিকেশন ডেভলপমেন্ট, ব্রিজ, রাস্তাঘাট নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তারা সম্ভব্যভাবে সবক্ষেত্র অর্থায়নের কথা বলেছে। আজকের মিটিংয়ের প্রেক্ষাপটে তারা তাদের হেডকোয়ার্টারে কিছু প্রোপজাল পাঠাবে।

          বর্তমানে তাদের ২ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলারের মতো অর্থায়নের প্রকল্প কাজ চলমান আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে একটি ৩০০ মিলিয়ন ডলারের এবং আরেকটি ৫০০ মিলিয়ন ডলারের প্রজেক্ট অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তারা প্রায় একশো বিলিয়ন ডলার বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তাদের অর্থায়নে চলমান প্রকল্পের বিষয়ে তারা অনেক ইতিবাচক বক্তব্য রেখেছে।

          মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। বিশ্বব্যাংক নিজেই এখন স্বীকার করে পদ্মাসেতু নির্মাণের ফলে বাংলাদেশের সক্ষমতা সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে।

          এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

#

হায়দার/পাশা/রফিকুল/জয়নুল/২০২২/১৯৫০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                        নম্বর : ২০৭৭

জাতিসংঘ বাংলাদেশের স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেম অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট প্রকাশ করেছে

ঢাকা, ১০ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে) :

          বাংলাদেশের জন্য স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেম অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট (এসইএআর) প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। আজ থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে সংস্থাটির এশিয়া প্রশান্ত মহাসগরীয় অঞ্চলের ইকনোমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন (ইউএনইএসসিএপি) এবং হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ যৌথ অংশীদারিত্বে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটি প্রকাশ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও নির্বাহী সেক্রেটারি আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাহবানা।

          প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি, বর্তমান পরিস্থিতি এবং দেশে স্টার্ট-আপ সংস্কৃতিবান্ধব নীতি ও বাংলাদেশের ডিজিটাল ভবিষ্যতের সুগভীর বিশ্লেষণ ও পূর্ণাঙ্গ ধারণা প্রকাশ পেয়েছে।

          প্রতিবেদনে গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের স্টার্ট-আপগুলো ৪৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি বিনিয়োগ প্রাপ্তিকে স্বাভাবিক ফলাফল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে জেন্ডার লেন্স ইনভেস্টমেন্ট (জিএলআই) সম্পর্কে একটি বিশেষ অনুসন্ধানও রয়েছে। নারী স্টার্ট-আপ প্রতিষ্ঠাতা এবং উদ্যোক্তাদের চ্যালেঞ্জের ওপর  আলোকপাত করার অপরিহার্যতা তুলে ধরে তাদের অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি এবং ব্যবসায়িক অনুশীলনের প্রয়োজনীয়তা ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামীতে সরকারের প্রাসঙ্গিক স্টার্ট-আপ নীতি প্রণয়নের সময় এই প্রতিবেদনটি প্রামাণ্য দলিল হিসাবে কাজ করবে।

          ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নকে অবিস্মরণীয় উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির অসাধারণ সাফল্যের পর এবার চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে নিজেদের মানিয়ে নিতে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এই রূপকল্প বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশে একটি প্রাণবন্ত স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা হচ্ছে। আশা করছি, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ আয়ের সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়িত হবে। 

          প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল ও নির্বাহী সেক্রেটারি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে উদ্ভাবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হচ্ছে স্টার্ট-আপ। যেহেতু বাংলাদেশের স্টার্ট-আপ সম্প্রদায় বিভিন্ন সেক্টরে অভূতপূর্ব প্রবৃদ্ধির অভিজ্ঞতা অর্জন করছে, তাই এই বৃদ্ধিকে টেকসই এবং ন্যায়সঙ্গতভাবে সমর্থন করার জন্য সামগ্রিক ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করার এখনই সঠিক সময়।

          প্রতিবেদনটি বাংলাদেশের স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেমে সরকারি ও বেসরকারি স্টেকহোল্ডারদের সাথে একাধিক সংলাপ, বিস্তৃত তথ্য পর্যালোচনা, সাক্ষাৎকার এবং বাংলাদেশের স্টার্ট-আপ অর্থনীতিতে প্রধান অংশগ্রহণকারীদের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশ স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেমের এই ব্যাপক মূল্যায়ন পরিচালনা করেছে ইএসসিএপি (স্ক্যাপ)।

           থাইল্যান্ডের ইউএনইএসসিএপি অফিসে প্রতিবেদনটি প্রকাশ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও ইউএনইএসসিএপি এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

#

শহিদুল/পাশা/রাহাত/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২২/২০৩০ ঘণ্টা

 

Handout                                                                                                         Number : 2076

Newly Appointed UN Resident Coordinator

Presents Credentials to Foreign Minister

Dhaka, 24 May 2022:

            The newly appointed Resident Coordinator of the United Nations Gwyn Lewis presented her credentials to the Foreign Minister Dr. A  K Abdul Momen today at State Guest House Padma in Dhaka. She handed over a letter from Secretary General Antonio Guterres, thereby officially entering into her new role by succeeding Mia Seppo. Foreign Minister welcomed Ms. Lewis to Bangladesh and expressed deep appreciation for long-standing cooperation between Government of Bangladesh and the UN in diverse fields ranging from development, peace and women empowerment.

            Minister Momen discussed the ongoing Rohingya crisis with the newly appointed Resident Coordinator. He briefly touched upon the historical root and background of the crisis. He thanked the UN bodies for standing beside Bangladesh with humanitarian assistance. He also underscored the importance of starting the work of UN bodies in Bhasan Char following up the signing of an MoU between the Government of Bangladesh and UNHCR in October, 2021. Foreign Minister highlighted the need for increased efforts from UN and other stakeholders to increase and maintain worldwide awareness about the plight of the Rohingya people. He urged the UN to take practical actions to ensure early repatriation of the Rohingya to their homeland- Myanmar.

            Lewis thanked the government for the warm reception given to her. She lauded the Government for its stellar performance in all developmental aspects. The two dignitaries also discussed other issues of importance, such as- the need for global climate financing and Bangladesh’s crucial role in UN Peacekeeping operations etc. Foreign Minister expressed Bangladesh’s readiness to send more peacekeepers to UN peacekeeping missions.

            Gwyn Lewis, an Irish national, has been working with the UN for around 20 years. Her prior assignments include working as the Director of UNRWA Affairs (UN Relief and Works Agency) in Palestine.

#

Mohsin/Pasha/Rahat/Sanjib/Joynul/2022/1810 hours

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                      নম্বর : ২০৭৫

দেশ থেকে দারিদ্র্য দূর করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অন্যতম লক্ষ্য

                                                            --মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

পিরোজপুর, ১০ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে) :

           মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান দেশে দরিদ্র মানুষ থাকবে না, অসহায় মানুষ থাকবে না, ভিক্ষুক থাকবে না, পরনির্ভরশীল মানুষ থাকবে না। প্রত্যেককেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাবলম্বী করতে চান। দেশ থেকে দারিদ্র্য দূর করা প্রধানমন্ত্রীর অন্যতম লক্ষ্য বলে তিনি মন্তব্য করেন।

          আজ পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদের শহীদ ওমর ফারুক মিলনায়তনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের সুফলভোগীদের মাঝে উপকরণ বিতরণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

          মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসহায় মানুষের জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করতে চান। তিনি বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়নপ্রকল্প দরিদ্র নারীদের স্বাবলম্বী করবে। দেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার থাকলে এ ধরনের প্রকল্প অব্যাহত থাকবে।

          পিরোজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বশির আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বরিশাল বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরিচালক ডা. মোঃ আব্দুস সবুর, পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক চৌধুরী রওশন ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তরুন কুমার সিকদার, নাজিরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোঃ তরিকুল ইসলাম ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক ডা. এস এম জিয়াউল হক রাহাত প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

#

ইফতেখার/পাশা/রফিকুল/জয়নুল/২০২২/১৭৪০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                নম্বর : ২০৭৪

বাংলাদেশকে সাহায্য নির্ভর দেশ থেকে স্বনির্ভর দেশে পরিণত করার রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

            -- মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১০ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে) :

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ আর সাহায্য নির্ভর দেশ নয়, এখন স্বনির্ভর দেশ। বাংলাদেশ ঋণ নির্ভর দেশ নয়, ঋণ দাতা দেশ। বাংলাদেশকে আত্মনির্ভরশীল  ও স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে পরিণত করার রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি নিজে স্বপ্ন দেখেন, অন্যকে স্বপ্ন দেখান এবং সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেন। সাহসী ও দূরদর্শী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল ও কর্ণফুলী মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে প্রমাণ করেছেন বঙ্গবন্ধুর বিখ্যাত উক্তি, ‘আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবা না’।

প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় বেইলি রোডে জাতীয় মহিলা সংস্থার বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিব অডিটোরিয়ামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ছয় বছরের নির্বাসিত থাকার পর বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশ ও দলের কঠিন দুঃসময়ে সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দেশে ফেরেন। দেশে ফিরে তিনি গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং জনগণের ভাত ও ভোটের অধিকার আদায়ে সংগ্রাম শুরু করেন। বলিষ্ঠ চিত্তে নির্ভীক স্বাধীনসত্তায় আত্মপ্রত্যয়ীনেত্রী তথাকথিত শাসক ও শোষকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু, অপপ্রচার এবং তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সকল অশুভ ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তকে উপেক্ষা করে সঠিক সময়ে সঠিক পরিকল্পনা নীতিমালা প্রণয়ন ও অগ্রগতিশীল কৌশল গ্রহণ করেছেন। যার মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে অপ্রতিরোধ্য গতিতে অগ্রসরমান।

ফজিলাতুন নেসা বলেন, ‘বিশ্বে দরিদ্র, ক্ষুধার্ত, ভুবুক্ষ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ হিসেবে পরিচিত ছিল বাংলাদেশের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বে দারিদ্র্য হ্রাস, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে।

জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান চেমন আরা তৈয়বের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মেহের আফরোজ চুমকি ও মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। সভায় বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুন, ঢাকা দক্ষিণ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেরা বেগমসহ জাতীয় মহিলা সংস্থার পরিচালনা পরিষদের সদস্যবৃন্দ। আরো উপস্থিত ছিলেন জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খান, অতিরিক্ত সচিব মো. মহিউদ্দীন আহমেদ ও মোহাম্মদ মুহিবুজ্জামান।

#

আলমগীর/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২২/১৭২০ ঘণ্টা


তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ২০৭৩

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

ঢাকা, ১০ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে) :

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গতকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৪ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৭৯ শতাংশ। এ সময়
৪ হাজার ৩২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।   

গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ১৩০ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ১ হাজার ৩৮৫ জন।

#

কবীর/পাশা/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২২/১৭১৫ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ২০৭২

২৫ জুন পদ্মা বহুমুখী সেতুর শুভ উদ্বোধন

              - সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী

ঢাকা, ১০ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে) :

          আগামী ২৫ জুন শনিবার সকাল ১০ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্নের পদ্মা বহুমুখী সেতুর শুভ উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। পদ্মা সেতুর নাম পদ্মা নদীর নামেই হবে বলেও তিনি জানান। 

          মন্ত্রী আজ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনের সামনে উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা জানান।

          এ সময় সেতু বিভাগের সচিব মোঃ মনজুর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।  

#

ওয়ালিদ/অনসূয়া/পরীক্ষিৎ/ডালিয়া/আসমা/২০২২/১৬০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর : ২০৭১

কাজী নজরুলকে বাংলাদেশে আনার সুবর্ণজয়ন্তীর স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত

ত্রিশাল (ময়মনসিংহ), ১০ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে) :

          জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সপরিবারে বাংলাদেশে আনার সুবর্ণজয়ন্তী ২৪ মে ২০২২। ১৯৭২ সালের এই দিনে কবির ৭৩তম জন্মদিনের এক দিন আগে সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সপরিবারে বাংলাদেশে আনেন। এ উপলক্ষ্যে ডাক অধিদপ্তর ১০ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাকটিকিট, ১০ টাকা মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম, ৫ টাকা মূল্যমানের একটি ডাটা কার্ড ও একটি বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করেছে। 

          ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার আজ মঙ্গলবার কবির স্মৃতি বিজড়িত ময়মনসিংহের ত্রিশালে, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এই উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্মারক ডাকটিকিট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন এবং ডাটা কার্ড ও বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করেন। এ উপলক্ষ্যে মন্ত্রী জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সপরিবারে বাংলাদেশে আনার সুবর্ণজয়ন্তী’র তাৎপর্য তুলে ধরেন। 

          মন্ত্রী বলেন, বাংলা ও বাঙালির সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক অধিকার আদায়ের প্রশ্নে যে দুটি মহাপ্রাণের নাম অপরিহার্যভাবে চলে আসে, তাঁরা হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও কাজী নজরুল ইসলাম। কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন বিদ্রোহী কবি। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন ‘রাজনীতির কবি’। দুজনই স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা। একজন গণমানুষের কথা কবিতা আকারে বলে কারাবরণ করেছেন, আরেকজন কারাবরণ করেছেন গণমানুষের জন্য লড়াই করে। জাতি-ধর্ম ভেদাভেদের বিরুদ্ধে অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠনের দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ ছিলেন এই দুই মহাপুরুষ। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় কবি ১৯৭২ সালের ২৪ মে কবির ৭৩তম জন্মদিনের একদিন আগে ঢাকায় পৌঁছান, যেটি রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় আনন্দ উল্লাসের মধ্য দিয়ে উদযাপনের জন্য নির্ধারিত ছিল। বঙ্গবন্ধু স্বয়ং কবির জন্য একটি বাংলো বাড়ি পছন্দ করে দেন এবং বাড়িটির নামকরণ করেন ‘কবিভবন’। কবি ধানমন্ডির বাসভবনে পৌঁছানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ বঙ্গবন্ধু কবিকে সম্মান জানানোর জন্য ধানমন্ডির কবিভবনে আসেন। পরে, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে জাতীয় কবিকে বাংলাদেশের জাতীয়তা প্রদান করা হয় এবং তাঁকে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানোর জন্য ‘কবি ভবনে’ জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

          মন্ত্রী কাজী নজরুল ইসলামকে বাঙালি মনীষার এক অতুলনীয় সম্পদ উল্লেখ করে বলেন, একাধারে কবি, সাহিত্যিক, সংগীতজ্ঞ, সাংবাদিক, সম্পাদক, রাজনীতিবিদ এবং সৈনিক হিসেবে অন্যায় ও অ

2022-05-24-16-29-40e200574c553cdfcf1fd6c28e2f7b08.doc