তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৮০
বিদেশে প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতা কর্মক্ষেত্রে কাজে লাগাতে হবে
--- শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ৫ শ্রাবণ (২০ জুলাই) :
বিদেশে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের অভিজ্ঞতা দেশে নিজের কর্মক্ষেত্রে কাজে লাগানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, যারা বিদেশে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, তাদের একটি দায়বদ্ধতা রয়েছে দেশের প্রতি। এই অভিজ্ঞতাগুলো নিজের মধ্যে ধারণ করতে হবে এবং কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে হবে। অন্যদের সাথে তা বিনিময়ে উদ্যোগী হতে হবে। প্রশিক্ষণলব্দ জ্ঞান আমাদের দেশের বাস্তবতার আলোকে কাজে লাগানোর জন্য সৃজনশীল উদ্যোগ নিতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে টিচিং কোয়ালিটি ইমপ্রুভমেন্ট-২ (টিকিউআই-২) প্রকল্পের উদ্যোগে ফিলিপাইন, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং শিক্ষকগণের বৈদেশিক প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মহিউদ্দিন খান ও ড. অরুনা বিশ্বাস, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সিনিয়র সোশ্যাল সেক্টর অফিসার এস এম এবাদুর রহমান এবং টিকিউআই-২ প্রকল্প পরিচালক মোঃ জহির উদ্দিন বাবর বক্তৃতা করেন।
মতবিনিময় সভায় বিদেশে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী ১০টি টিমের ১৫০ জন কর্মকর্তা-শিক্ষকসহ মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন। ৪টি দলের পক্ষ থেকে তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তা পাওয়ার পয়েন্টে উপস্থাপন করা হয়।
পরে ওয়ার্ল্ড এডুকেশন কংগ্রেস এওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হওয়ায় শিক্ষামন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও শিক্ষকগণ।
#
আফরাজুর/ফারহানা/আলী/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/২০২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৭৯
সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক
ঢাকা, ৫ শ্রাবণ (২০ জুলাই) :
দশম জাতীয় সংসদের সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৬৮তম বৈঠক আজ সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সভাপতি ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
কমিটির সদস্য মোঃ আব্দুস শহীদ, মোহাম্মদ আমানউল্লাহ, মোঃ রুস্তম আলী ফরাজী, মইন উদ্দীন খান বাদল এবং রেবেকা মমিন বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ২০০৭ -২০০৮ অর্থ বছরের হিসাব সম্পর্কিত বার্ষিক অডিট রিপোর্ট ২০১০-১১ এর উপর পিএ কমিটি কর্তৃক ২৮তম বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ, ডেসকো লিমিটেডের ২০০৮-০৯ অর্থবছরের ওপর পিএ কমিটি কর্তৃক ৩৮তম বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ এবং বিদ্যুৎ বিভাগের ২০০৮-০৯ ও ২০০৬-০৭ অর্থবছরের হিসাব সম্পর্কিত বার্ষিক অডিট রিপোর্ট ২০০৯-১০ এর উপর পিএ কমিটি কর্তৃক ৪৪তম বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয় এবং গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ কতটুকু বাস্তবায়ন করা হয়েছে তা পরীক্ষা করা হয়।
এসময় ২৮তম বৈঠকে মোট ১২টি অডিট আপত্তির উপর, ৩৮তম বৈঠকে ১০টি অডিট আপত্তি এবং ৪৪তম বৈঠকে মোট ১৮টি অডিট আপত্তি সর্বমোট ৪০টি অডিট আপত্তির ওপর পিএ কমিটি কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্তসমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, প্রদত্ত অনুশাসনের অধিকাংশই প্রতিষ্ঠানসমূহ প্রতিপালন করেছে মর্মে কমিটির নিকট প্রতীয়মান হয়েছে। তবে যে সকল আপত্তি প্রতিপালন করা সম্ভব হয়নি সেগুলো দ্রুত প্রতিপালনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
বৈঠকে পিএ কমিটির অনুশাসন প্রতিপালন না করাকে সংবিধান লঙ্ঘন মর্মে অভিহিত করা হয়। কমিটি অনুশাসনগুলোকে দ্রুত প্রতিপালন করে অডিট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কমিটিকে অবহিত করার নির্দেশনা প্রদান করে।
¬¬¬¬¬¬¬¬¬¬¬ ¬¬¬¬¬¬¬¬¬¬¬ বৈঠকে সিএন্ডএজি মাসুদ আহমেদ, জ্বালানি বিভাগের সচিব ড. আহমদ কায়কাউসসহ মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ, অডিট অফিসের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
নূরুল/ফারহানা/আলী/মোশারফ/সেলিম/২০১৭/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৭৮
রংপুরের পীরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহত শ্রমিকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান
লালমনিরহাট, ৫ শ্রাবণ (২০ জুলাই) :
গত ২৪ জুন রংপুরের পীরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-আহত শ্রমিকদের স্বজনদের মাঝে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
আজ লালমনিরহাটে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক নিহত-আহত শ্রমিকদের স্বজনদের মাঝে আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান করেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের কল্যাণের জন্য সরকার শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন গঠন করেছে। এ তহবিলে বর্তমানে জমার পরিমাণ ২২৭ কোটি টাকা এবং শুধু গার্মেন্টস শ্রমিকদের কল্যাণের জন্য কেন্দ্রীয় তহবিল গঠন করা হয়েছে। গত বছর জুলাই থেকে এ তহবিলে প্রায় ৫০ কোটি টাকা জমা হয়েছে। শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন থেকে প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা এবং গার্মেন্টস শ্রমিকদের কল্যাণে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। শ্রমিকদের কল্যাণে সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের ফলে আর কোন শ্রমিক অসহায় থাকবে না ।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী প্রাথমিক অবস্থায় নিহত-আহত শ্রমিকের স্বজনদের মাঝে প্রত্যেকের জন্য ৫০ হাজার করে অনুদান প্রদান করেন। পরবর্তীতে যাচাই বাছাই করে আরো আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে এবং একই সাথে দূর্ঘটনায় নিহত শিশুটির স্বজনদের বিশেষ ব্যবস্থায় এ সহায়তার আওতায় আনা হবে।
পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পাটগ্রাম উপজেলা বুড়িমারি বন্দর এলাকায় পাথরভাঙা শ্রমিকদের জন্য সিলিকোসিস রোগের বিষয়ে সচেতনতামূলক এক উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শ্রম প্রতিমন্ত্রী পাথরভাঙা শ্রমিকদের ব্যক্তিগত সুরক্ষায় ১০ হাজার বিশেষ ধরনের মাস্ক প্রদানের ঘোষণা দেন। তিনি বুড়িমারি বন্দর এলাকায় শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রে সিলিকোসিস রোগের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নিয়োগের আশ্বাস দেন। প্রতিমন্ত্রী কালিগঞ্জ উপজেলার মোদাতি ইউনিয়নকে দেশের প্রথম শিশুশ্রম মুক্ত ইউনিয়ন করতে চেয়ারম্যানকে সবধরনের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।
জেলা প্রশাসক আবুল ফয়েজ মোঃ আলাউদ্দিন খান এর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য সফুরা বেগম রুমি, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মিকাইল শিপার, বিজিএমইএ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল মান্নান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মতিয়া রহমান বক্তৃতা করেন। উদ্বুদ্ধকরণ সভায় সকল উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, পাথরভাঙা ও বিড়ি শ্রমিকরা অংশগ্রহণ করেন।
#
আকতারুল/ফারহানা/আলী/মোশারফ/সেলিম/২০১৭/১৯৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৭৭
‘ক্রীড়াজগত’ পত্রিকার ৪০ বছরপূর্তি উদযাপন
ঢাকা, ৫ শ্রাবণ (২০ জুলাই) :
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ প্রকাশিত জাতীয় ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়াজগত’ পত্রিকার ৪০ বছরপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে আজ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি রূপ নিয়েছে ক্রীড়া লেখক, ক্রীড়া সংগঠক, ক্রীড়া সাংবাদিক ও ক্রীড়াবিদদের পদচারণায় মুখরিত এক মিলন মেলা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যান ড. বীরেন শিকদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক হারুনুর রশীদ, বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সভাপতি এ এস এম আলী কবীর ও বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ও দি ব্লেজার বিডির সিইও কাজী রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্রীড়াজগত পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদ হোসেন খান দুলাল।
ক্রীড়া জগতের ৪০ বছরপূর্তি অনুষ্ঠানে বক্তারা নতুন উদ্যম, নতুন উদ্যোগ ও নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ক্রীড়া জগতকে এগিয়ে নেয়ার ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, ক্রীড়াঙ্গনকে দিক নির্দেশনা দেওয়ার পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মের মুখপাত্র হয়ে ওঠা ক্রীড়া জগত পত্রিকা এ দেশের ক্রীড়াঙ্গনের ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরার ক্ষেত্রেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
অনুষ্ঠানে ‘ক্রীড়াজগত’ পত্রিকার জন্মলগ্ন থেকে লিখে আসা প্রবীণ ক্রীড়া সাংবাদিক ও ক্রীড়ালেখক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, কবি সানাউল হক খান, ইকরামউজ্জামান এবং ইলেক্ট্রা ইন্টারন্যাশনালকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
#
শফিকুল/ফারহানা/মোশারফ/সেলিম/২০১৭/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৭৬
বান্দরবানের লামায় ঘূর্ণিঝড় মোরা’য় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদান বিতরণ
লামা, বান্দরবান, ৫ শ্রাবণ (২০ জুলাই) :
বান্দরবান পার্বত্য জেলার লামা উপজেলা পরিষদ চত্বরে ঘূর্ণিঝড় মোরায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ৪৫০ জন সদস্যের মাঝে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। ইউএনডিপি-বাংলাদেশ এর সহায়তায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং তাদের মাঝে গতকাল আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোরা’য় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী তথা পুনর্বাসনের লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সহযোগী সংস্থা এগিয়ে এসেছে। এটা আর্ত-মানবতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটি উজ্জ¦ল দৃষ্টান্ত। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ঘোষিত ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম ও ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে পার্বত্য এলাকার মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য সর্বক্ষেত্রে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খিনওয়ান নু’এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইউএনডিপি-বাংলাদেশ এর ন্যাশনাল প্রজেক্ট ম্যানেজার প্রসেনজিৎ চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাশ, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাশ, লামা পৌরসভা মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।
পরে প্রতিমন্ত্রী ‘মাছ চাষে গড়বো দেশ, বদলে দেব বাংলাদেশ’-এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে লামা উপজেলা পরিষদ পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন।
#
জুলফিকার/ফারহানা/শেফায়েত/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/ ১৮৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৭৫
বাণিজ্যমন্ত্রী-রুয়ান্ডা রাষ্ট্রদূত বৈঠক
রুয়ান্ডা ঔষধ, তৈরিপোশাক ও পাটজাত পণ্য আমদানি করতে আগ্রহী
ঢাকা, ৫ শ্রাবণ (২০ জুলাই) :
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। দেশের রপ্তানি পণ্য এবং বাজার সম্প্রসারণের জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বিশ^বাজারে বাংলাদেশের তৈরিপোশাক, ঔষধ, তথ্য প্রযুক্তি, ফার্নিচার ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশ এ সকল বিশ^মানের পণ্য তুলনামূলক কম দামে রপ্তানি করে যাচ্ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ তাঁর মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে বাংলাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত রুয়ান্ডার অনিবাসী (নয়া দিল্লিতে নিযুক্ত) রাষ্ট্রদূত আর্নেস্ট রোয়ামকো (ঊৎহবংঃ জধিসঁপুড়)এর সাথে সাক্ষাতের সময় এসব কথা বলেন।
রুয়ান্ডার রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের তৈরি পণ্য বিশ^বাজারে বেশ জনপ্রিয়। বাংলাদেশের তৈরিপোশাক, ঔষধ ও পাটজাত পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে রুয়ান্ডায়। এছাড়া দাম তুলনামূলক কম। তাই বাংলাদেশ থেকে এ সকল পণ্য আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রুয়ান্ডা সরকার। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার সহযোগিতা করলে দ্রুত এ সকল পণ্য আমদানি করা হবে। রাষ্ট্রদূত তৈরিপোশাক, ঔষধ ও পাটজাত পণ্য বাংলাদেশ থেকে আমদানি করার আগ্রহ প্রকাশ করলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ ক্ষেত্রে দু‘দেশের ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে। উভয় দেশের আমদানি ও রপ্তানিকারকগণ পারস্পরিক দেশ সফরের মাধ্যমে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। বাংলাদেশ সরকার প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতা করবে।
বাণিজ্যসচিব শুভাশীষ বসু এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
লতিফ/ফারহানা/শেফায়েত/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৮৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৭৪
ভিয়েতনাম ন্যাশনাল এসেম্বলির প্রেসিডেন্টের সাথে স্পিকারের সাক্ষাৎ
হ্যানয় (ভিয়েতনাম), ৫ শ্রাবণ (২০ জুলাই) :
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি আজ ভিয়েতনাম পার্লামেন্টের হোয়া মাই হলে (ঐড়ধ গধর ঐধষষ) ভিয়েতনাম ন্যাশনাল এসেম্বলির প্রেসিডেন্ট গুয়েন থি কিম গ্যান (ঘমুঁবহ ঞযর করস ঘমধহ) এর সাথে দ্বি-পক্ষীয় সভায় মিলিত হন।
এসময় তাঁরা দ্বি-পাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া নারীর ক্ষমতায়ন, বাণিজ্যিক সম্পর্ক, জেন্ডার সমতা প্রভৃতি বিষয়ে নিজ নিজ দেশে গৃহীত কার্যক্রম এবং সংসদীয় রীতি-নীতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
স্পিকার বলেন, ভিয়েতনাম বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। স্বাধীনতার পর স্বল্প সময়ে ভিয়েতনাম দ্রুত উন্নতি সাধন করেছে। তিনি বলেন, দু’দেশের জনপ্রতিনিধিগণ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকারের গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ প্রায় ৭ শতাংশের বেশি হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। তিনি বলেন, সমাজের দুঃস্থ মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করছে। সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ন্যায় বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্যেও এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
গুয়েন থি কিম গ্যান বলেন, ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের প্রেক্ষাপট একই এবং দু’দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রেক্ষিতগুলোও প্রায় একই। তিনি বলেন, পারস্পরিক সহযোগিতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দু’দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
ভিয়েতনাম ন্যাশনাল এসেম্বলির প্রেসিডেন্ট বলেন, দু’দেশের সংসদের প্রতিনিধি দলের সফর বিনিময়ের মাধ্যমে বর্তমান সম্পর্ক আরও জোরদার করা সম্ভব। এছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারেও দু’দেশের কাজ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ১৩৬তম ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) এসেম্বলির সফল আয়োজন বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের সক্ষমতা প্রমাণ করেছে। আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশনের (সিপিএ) ৬৩তম সম্মেলনও সফল হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময় সংসদ সদস্য ইমরান আহমেদ, পংকজ নাথ, এ এম নাঈমুর রহমান ও বাংলাদেশ সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোঃ আবদুর রব হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন।
#
কামাল/ফারহানা/শেফায়েত/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৭৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৭৩
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক
ঢাকা, ৫ শ্রাবণ (২০ জুলাই) :
দশম জাতীয় সংসদের নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৪৪তম বৈঠক আজ কমিটি সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম এর সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
কমিটির সদস্য নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, তালুকদার আব্দুল খালেক, মোঃ আব্দুল হাই, মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন, এম আব্দুল লতিফ, মোঃ আনোয়ারুল আজীম (আনার) এবং মমতাজ বেগম এড্ভোকেট বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এবং জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
কমিটি নদী দখল, দূষণরোধ ও দূষণের মাত্রা কমানোর জন্য আইনি প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পৃথক আদালত প্রতিষ্ঠা এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণকারী কোম্পানিগুলো বন্ধ করে দেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের সুপারিশ করে।
বৈঠকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে যন্ত্রপাতি ক্রয়ে সক্ষমতা যাচাই করে ক্রয় করার জন্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায়সহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
#
নীলুফার/ফারহানা/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৭৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৭২
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও খামারিদের ঘুরে দাঁড়াতে সহযোগিতা করবে সরকার
--ত্রাণ মন্ত্রী
ঢাকা, ৫ শ্রাবণ (২০ জুলাই) :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীর বিক্রম বলেছেন, বন্যার পানি নামার পর কৃষক ও খামারিদের ঘুরে দাঁড়াতে গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পের আওতায় ক্ষতিগ্রস্তদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাসহ সব ধরণের সহযোগিতা করবে সরকার।
মন্ত্রী আজ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট ও বেড়িবাঁধ মেরামত ও নির্মাণে পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশেষ করে কৃষকদের কৃষিবীজ ও সার বিতরণ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খামারিদের পাশে দাঁড়ানো সরকারের এখন প্রধান কর্তব্য। তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান। যেসব বেড়িবাঁধ এখনো ঝুঁকির মধ্যে আছে সেগুলো দ্রুত মেরামতের জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানান।
মায়া চৌধুরী বলেন, এবছর হাওরে অকাল বন্যা, ঘূর্ণিঝড় মোরা, পাহাড় ধস ও উত্তরাঞ্চলে আগাম বন্যার মতো চারটি বড় দুর্যোগ সরকার সাফল্যের সাথে মোকাবিলা করছে। সরকারের পূর্ব প্রস্তুতি, দুর্যোগকালে তাৎক্ষণিক ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ, উদ্ধার ও পুনর্বাসন কার্যক্রমের কারনে প্রত্যেকটি দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি সহনীয় পর্যায়ে রাখা সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, উত্তরাঞ্চলের বন্যার পানি নেমে আসায় মধ্যাঞ্চল ও নি¤œাঞ্চলে পানি বাড়তে পারে। সরকার এসব জেলার প্রশাসনকে সার্বিক প্রস্তুতি রাখার নির্দেশ দিয়েছে। ইতোমধ্যে এসব এলাকায় আগাম খাদ্যশস্য ও অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট জেলাসমূহের জেলা প্রশাসকদের অতি দ্রুত জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করে বন্যার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দেন।
চারটি বড় দুর্যোগে ত্রাণ সহায়তা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, হাওর অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে বিতরণের জন্য, ৩৬ হাজার ৮৪০ মেট্রিক টন চাল, ৫৯ কোটি ২৫ লাখ নগদ টাকা, গৃহ নির্মাণের জন্য ৩০০ বান্ডিল ঢেউটিন ও ৯ লাখ টাকা, কর্মসংস্থানের জন্য ইজিপিপি প্রকল্প থেকে ৮২ কোটি ৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আগাম বন্যায় ফসল হানির কারণে হাওর অঞ্চলের জেলাসমূহে প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার পরিবারকে ভিজিএফ দেয়া হয়েছে যা আগামী ২০১৮ সালের এপ্রিল পর্যন্ত চলমান থাকবে।
মন্ত্রী জানান, তিনি বিভিন্ন জেলার বন্যা প্লাবিত প্রত্যন্ত এলাকা সফর করেছেন। মানুষের দুঃখ-দুর্দশার কথা শুনেছেন, দেখেছেন। ত্রাণ কার্যক্রম সরেজমিন তদারকি করেছেন। বন্যা প্লাবিত এসব জেলার জন্য ১২ হাজার মেট্রিক টন চাল, ৩ কোটি ৭৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৫০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ৩ হাজার বান্ডিল ঢেউটিন ও ৯০ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। প্রত্যেক জেলায় পানি বিশুদ্ধকরণ মোবাইল গাড়ি পাঠানো হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. শাহ্ কামাল এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. রিয়াজ আহমেদ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
#
ওমর ফারুক/অনসূয়া/গিয়াস/শহিদ/জসীম/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১৫১৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর :১৮৭০
মেশিন রিডেবল এস আই ডি চালুর ফলে বিদেশি জাহাজে কর্মসংস্থান হচ্ছে
-- নৌপরিবহণ মন্ত্রী
ঢাকা, ৫ শ্রাবণ (২০ জুলাই) :
নৌপরিবহণ মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, মেশিন রিডেবল সিফেয়ারার্স আইডেন্টি ডকুমেন্ট (এসআইডি) চালু করার ফলে বাংলাদেশি নাবিকদের বিদেশি জাহাজে কর্মসংস্থান এবং প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় হচ্ছে। ২০০৯ সালে চালু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ১০ হাজার এস আই ডি কার্ড ইস্যু করা হয়েছে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় নৌপরিবহণ অধিদপ্তরের সভাকক্ষে এস আই ডি পদ্ধতির আধুনিকায়ন ও অনলাইন ভেরিফিকেশন পদ্ধতির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
নৌপরিবহণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে নৌসচিব অশোক মাধব রায় এবং নৌপরিবহণ অধিদপ্তরের চিফ নটিক্যাল সার্ভেয়ার ক্যাপ্টেন কে এম জসীমউদ্দিন সরকার অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আই এল ও) এসআইডি (নং ১৮৫) অনুযায়ী বাংলাদেশি নাবিকদের কনভেনশনে বর্ণিত বায়োমেট্রিক তথ্যসহ অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য অন্তর্ভুক্ত করে এ পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়। আন্তর্জাতিক নৌসংস্থার (আইএমও) হোয়াইট লিস্ট দেশ হিসেবে বাংলাদেশি নাবিকদের এস আই ডি থাকা বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এস আই ডি সরকারিভাবে প্রদান করায় বহির্বিশ্বে বাংলাদেশি নাবিকদের যাওয়া আসায় বিশেষ সুবিধা লাভ করছে। আইএলও এস আই ডি পদ্ধতির কিছু পরিবর্তন করায় সে অনুসারে এস আই ডি কার্যক্রমের মাধ্যমে এস আই ডি জারি পদ্ধতি উন্নয়ন করা হয়েছে।
#
জাহাঙ্গীর/অনসূয়া/শহিদ/রেজ্জাকুল/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১৫০২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৬৯
সংসদ ভবন লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত
ঢাকা, ৫ শ্রাবণ (২০ জুলাই) :
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১৭ উপলক্ষে মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে আজ জাতীয় সংসদ ভবন লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
চিফ হুইপ বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ মৎস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং এ বিরল অর্জনের পিছনে প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টা রয়েছে। তিনি প্রকৃত মৎস্যচাষিদের সনাক্ত করে কার্ড প্রদান এবং নদীতে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময়ে জেলেরা যাতে ভালভাবে জীবনযাপন করতে পারে সেজন্য সহজ শর্তে তাদেরকে ব্যাংকঋণ প্রদানের আহ্বান জানান। লেকে মোট ৫’শ কেজি পরিমাণের ৪ হাজার রুই, ৩ হাজার কাতলা এবং ৩ হাজার মৃগেল মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়।
হুইপ শহীদুজ্জামান সরকার এবং হুইপ ইকবালুর রহীমসহ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
মিজানুর/অনসূয়া/গিয়াস/শহিদ/জসীম/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১৫১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৬৮
জাতিসংঘের হাই লেভেল পলিটিক্যাল ফোরাম সমাপ্ত
নিউইয়র্ক, ২০ জুলাই) :
এসডিজি বাস্তবায়নের অগ্রগতি বিষয়ক জাতিসংঘের ‘হাই লেভেল পলিটিক্যাল ফোরাম (এইচএলপিএফ)’ এর কার্যক্রম ১০-১৯ জুলাই শেষ হয়। পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের নেতৃত্বে ২২ সদস্যের প্রতিনিধিদল এ সম্মেলনে যোগ দেয়।
এইচএলপিএফ এর মূল অংশ ছিল ‘ভলান্টারি ন্যাশনাল রিভিউ’ (ভিএনআর) সেগমেন্ট। এই সেগমেন্টে বাংলাদেশসহ জাতিসংঘের ৪৪টি সদস্য রাষ্ট্র স্ব স্ব দেশের এসডিজি বাস্তবায়নের অগ্রগতি বিষয়ক প্রতিবেদন উপস্থাপন করে।
এমডিজি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্য আন্তর্জাতিক অঙ্গণে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমডিজি বাস্তবায়নে তাঁর সরকারের সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘জাতিসংঘ এমডিজি অ্যাওয়ার্ড’সহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হন।
পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ভিএনআর সেগমেন্টে নেতৃত্ব দেন। ইরাডিকেটিং প্রোভার্টি এন্ড প্রমোটিং প্রোসপারিটি ইন এ চেঞ্জিং ওয়ার্ল্ড শিরোনামে এসডিজি বাস্তবায়নের অগ্রগতি বিষয়ক বাংলাদেশের এই রির্পোট উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সরকারের এসডিজি বাস্তবায়নের মুখ্য সমন্বয়কারী মো. আবুল কালাম আজাদ।
ভিএনআর প্রেজেন্টেশনে দেশের উন্নয়নের পরিমাপক হিসেবে বিভিন্ন আর্থসামাজিক প্রবৃদ্ধির তথ্য প্রদর্শন করা হয়। এখানে দেখানো হয় উচ্চ ও নি¤œ দারিদ্র্য রেখা যথাক্রমে শতকরা ২৪ দশমিক ৩ ও শতকরা ১২ দশমিক ৯ ভাগে নেমে এসেছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রাধিকার প্রকল্প একটি বাড়ি একটি খামারের পাশাপাশি উঠে আসে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের অধিকার রক্ষা ও কল্যাণ, ডিজিটাল ফিনানসিয়াল সার্ভিস এবং জনগণের দোরগোড়ায় সেবা প্রদানের লক্ষে গৃহীত বিশেষ বিশেষ কর্মসূচিগুলো। পদ্মা সেতুসহ মেগা অবকাঠামো প্রকল্পসমূহও এ রিপোর্টে স্থান পায়।
বাংলাদেশকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৫টি ভিশন, যথা: ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা, ২০৩০ সালে এসডিজি বাস্তবায়নের মাধ্যমে উন্নয়নের মহাসড়কে উপনীত হওয়া, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়া, ২০৭১ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষ পূর্তিতে বাংলাদেশকে উন্নয়নের বিস্ময়ে পরিণত করা এবং ২১০০ সালে ডেল্্টা প্ল্যান বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে নিরাপদ ব-দ্বীপ হিসেবে গড়ে তোলা- এ রিপোর্টে সন্নিবেশিত করা হয়েছে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন ১০ দিনব্যাপী এইচএলপিএফ এর এই অধিবেশনের সার্বিক সমন্বয় করেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে অন্যান্যের সাথে আরো অংশ নেন পরিকল্পনা কমিশনের জেনারেল ইকনমিকস ডিভিশনের সদস্য ড. শামসুল আলম ও পিকেএসএফ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল করিম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জিআইইউ’র মহাপরিচালক আবদুল হালিম।
#
অনসূয়া/গিয়াস/জসীম/আসমা/২০১৭/১৩৩০ ঘণ্টা
Handout Number : 1871
Speaker arrives in Vietnam
Hanoi, 20 July:
Speaker Dr. Shirin Sharmin Choudhury arrived in Hanoi this morning for a 5 days official visit to Vietnam at the invitation of President of the Vietnam National Assembly Nguyen Thi Kim Ngan. Chairman of the Foreign Affairs Committee of the Vietnam National Assembly Nguyen Van Giau, and Charge D’ Affaires of Bangladesh Embassy in Hanoi Md. Azizur Rahman received the Speaker at the NoiBai International Airport in Hanoi.
Upon arrival the Speaker Dr. Shirin Sharmin Choudhury paid homage to Vietnamese great leader President Ho chi Minh in Hanoi. She placed floral wreaths at the Mausoleum of the great leader and stood silence for some time.
#
Anasuya /Gias/Shahid/Shamim/2017/1511 hours