Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১st জুন ২০২৪

তথ্যবিবরণী ১ জুন ২০২৪

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর: ৪৯৩৮

 

ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ এর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন এবং 

ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর

 

বরিশাল, ১৮ জ্যৈষ্ঠ (১ জুন):  

 

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বরিশাল সদরে ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ এর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত বরিশাল সদর উপজেলার নদী তীরবর্তী বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিদর্শন করেন। ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি এখানে তিনি দুর্গত জনগণের সঙ্গে কথা এবং তাদের প্রয়েজনীয় সবরকম সহায়তার আশ্বাস দেন। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন ।

 

আজ দিনব্যাপী বরিশাল সদর উপজেলায় প্রতিমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।

 

বরিশাল সদর উপজেলার ১নং রায়পাশা-কড়াপুর ও ৬নং জাগুয়া ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ এর আঘাতে দুর্গত জনগণের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ত্রাণ সহায়তা খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন প্রতিমন্ত্রী।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী দিতে এসেছি। আপনারা জানেন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা দেখা গেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য। তার উপরে অসাধু কিছু ব্যবসায়ী বেশি লাভ করার জন্য জিনিসপত্র বেশি দামে বিক্রি করে আসছে। সাধারণ মানুষের কষ্টের কথা ভেবে প্রধানমন্ত্রী ৫০ লাখ মানুষকে কম দামে রেশন দেবে। একই সাথে সরকার বয়স্কদের ভাতা দিয়ে আসছে। শুধু বয়স্ক ভাতাই না বিভিন্ন ভাতা প্রদান করে আসছে বর্তমান সরকার, যা আপনারা সবাই অবগত আছেন। আপনাদের জন্য সার্বক্ষণিক চিন্তা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষ প্রতিনিয়ত প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে জীবনযুদ্ধে লিপ্ত হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসবেই, সেটাকে মোকাবিলা করে মানুষের জীবনমান রক্ষা করাই সরকারের লক্ষ্য এবং সেটাই আওয়ামী সরকার করে যাচ্ছে।

 

ত্রাণ সহায়তা বিতরণ অনুষ্ঠানে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহাবুব উল্লাহ মজুমদার সভাপতিত্ব করেন।

 

#

গিয়াস/সায়েম/মোশারফ/শামীম/২০২৪/২১৩০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ৪৯৩৭

খামারিরাই প্রাণিসম্পদ খাতের প্রকৃত সেলিব্রেটি

                       - মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

ঢাকা, ১৮ জ্যৈষ্ঠ (১ জুন):

খামারিরাই প্রাণিসম্পদ খাতের প্রকৃত সেলিব্রেটি বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান।

আজ রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন (কেআইবি) অডিটোরিয়ামে ‘বিশ্ব দুগ্ধ দিবস ২০২৪’ ও ‘ডেইরি আইকন সেলিব্রেশন’ উপলক্ষ্যে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নবান্ধব সরকারের অন্যতম লক্ষ্য হলো সমৃদ্ধ, আত্মনির্ভরশীল এবং মেধাসম্পন্ন জাতি গঠন। এলক্ষ্যে সরকার দেশে দুধ, মাংস ও ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে জনসাধারণের প্রয়োজনীয় প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ এবং এ খাতকে রপ্তানিমুখী করে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ ও উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে লাইভস্টক এন্ড ডেইরি ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প (এলডিপিপি) উল্লেখযোগ্য, যা ডেইরি সেক্টরের উন্নয়নের জন্য কাজ করছে। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বড় গবেষক খামারি হিসেবে অভিহিত করে মন্ত্রী এসময় বলেন, প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্র পরিচালনা, মানুষের কথা ভাবা ও দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এসব কাজের বাইরে যখনই একটু সময় পান তখনই গণভবনে এধরনের কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। এটি খামারিদের প্রতি তাঁর মনোভাবেরই বহিঃপ্রকাশ। তিনি বলেন, দুধ শুধু একটি আদর্শ খাবারই কেবল নয় বরং মেধাবী জাতি গঠনে দুধ পান অপরিহার্য। তাই নিয়মিত দুধ পানের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। দুধ যেমন পুষ্টির জন্য অপরিহার্য তেমনি ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য শেখ হাসিনাও তেমনি অপরিহার্য বলে  তিনি এসময় মন্তব্য করেন। 

‘বৈশ্বিক পুষ্টিতে দুধ অপরিহার্য’ প্রতিপাদ্য নিয়ে দেশে তৃতীয়বারের মতো আয়োজিত বিশ্ব দুগ্ধ দিবসের অনুষ্ঠানে এবছর ডেইরি খামার ক্যাটেগরিতে ২৬টি, পশুখাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্যাটেগরিতে ৯টি, দুধ/মাংস প্রক্রিয়াকরণ ক্যাটেগরিতে ১১টি এবং খামার যান্ত্রিকীকরণ ক্যাটেগরিতে ৫টিসহ মোট ৫১ টি পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রতিটি পুরস্কারের মূল্যমান এক লাখ টাকা। 

পুরস্কারপ্রাপ্ত খামারিদের অভিনন্দন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করে যেমন দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি করেছেন তেমনি আপনারা নিজেদেরকেও সমৃদ্ধ করেছেন। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত রাখার জন্য তিনি এসময় খামারিদের প্রতি আহ্বান জানান।

মন্ত্রী বলেন, পরবর্তীতে এ ধরনের অনুষ্ঠান পর্যায়ক্রমে প্রতিটি জেলায় করা হবে এবং সে অনুষ্ঠানে খামারিরা প্রধান স্টেকহোল্ডার হবেন। তিনি গুঁড়াদুধ আমদানি নিরুৎসাহিত করার জন্য অধিকহারে শুল্ক আরোপের বিষয়ে খামারিদের দাবিকে সাধুবাদ জানান এবং এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে খামারিদের আশ্বস্ত করেন।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্রগ্রাম- ৬ আসনের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক উপস্থাপিত প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (উৎপাদন) ড. এ বি এম খালেদুজ্জামান।

#

নাজমুল/সায়েম/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/১৮১৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                  নম্বর : ৪৯৩৬

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সমন্বিত প্রচেষ্টা নিন

           ---জাতিসংঘে চার বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিউইয়র্ক, ১ জুন :  

            দেশে আশ্রিত প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গার নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন, সে দেশের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাত নিরসন ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো এবং অন্যান্য অংশীদারদেরকে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে জোর আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ।

 

            নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেলে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাধারণ পরিষদের সভাপতি, মিয়ানমার বিষয়ে মহাসচিবের বিশেষ দূত, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার এবং জাতিসংঘের ৬ উন্নয়ন সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে পৃথক চার বৈঠকে সরকারি দায়িত্বে যুক্তরাষ্ট্র সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

 

            জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি ডেনিস ফ্রান্সিসকে (Dennis Francis)  পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ২০১৭ সালে যখন প্রায় ১০ লাখ মিয়ানমারে সহিংসতা থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে, কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের মানুষ তাদেরকে মমতা দিয়ে গ্রহণ করেছিল। কিন্তু ক্রমেই রোহিঙ্গারা ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে বিভিন্ন স্থানে কর্মসংস্থান করছে আর ক্যাম্পগুলো মানুষ পাচার, মাদক চোরাচালান, জঙ্গিনিয়োগসহ নানা অপরাধের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। ফলে স্থানীয়দের জীবন অতিষ্ঠপ্রায়।

 

            জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডির (Filippo Grandi) সাথে বৈঠকে ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের পাশাপাশি গত ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ ও সেনাবাহিনীর প্রায় ৭৫০ সদস্য বিভিন্ন সময়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, তাদের বেশিরভাগকেই ফেরত পাঠানো হয়েছে, বাকিরাও ফেরত প্রক্রিয়ায় আছে। শুধু তাই নয়, মিয়ানমারে বিবাদমান গোষ্ঠীর শেল বাংলাদেশ অংশে পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এসবের পুনরাবৃত্তি রোধ একান্ত প্রয়োজন।  

 

            মিয়ানমার বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপের (Julie Bishop) সাথে বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, মিয়ানমারে চলমান সংঘাতময় পরিস্থিতি কোনো নতুন ঘটনা নয় এবং এটিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিপক্ষে ব্যবহারের অজুহাত তৈরির সুযোগ দেওয়া অনুচিত।

 

            এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ‘ক্রাইসিস, কনফ্লিক্টস এন্ড ইন্টার-এজেন্সি কোলাবরেশন : নেক্সাস এপ্রোচ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন। জাতিসংঘের ৬ সংস্থা- ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএ, ইউএনওপিএস, ইউএন উইমেন প্রধান এবং ইউনিসেফ ও ডব্লিউএফপি-এর উপপ্রধান এতে অংশ নেন।

 

            মন্ত্রী ড. হাছান বিশেষ করে বিশ্বে সংঘাত প্রভাবিত অঞ্চলগুলোতে জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর নেক্সাস বা সম্মিলিত উদ্যোগের সুবিধাগুলো তুলে ধরেন। তিনি রাখাইন ও কক্সবাজারের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করেন এবং উদ্বাস্তু সংকট নিরসন ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উন্নতির লক্ষ্যে জাতিসংঘের সকল সংস্থা, তহবিল এবং কর্মসূচিকে সুসংহতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

 

            জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ এ মুহিত, মন্ত্রণালয় ও মিশনের অন্য সদস্যরা বৈঠকগুলোতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।

                                              #

আকরাম/পাশা/সায়েম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৪/১৯১০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর: ৪৯৩৫  

 

সুস্থ শিশু একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ উপহার দেবে

                         --মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী

 

কাপাসিয়া, ১৮ জ্যৈষ্ঠ (১ জুন):

 

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি) বলেছেন, আজকের শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আমাদের শিশুরাই আগামীদিনে নেতৃত্ব দেবে। সুস্থ শিশু একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ উপহার দেবে। সুস্থ শিশু ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।

 

আজ গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায়, ‘নিরাপদ হোক প্রতিটি প্রসব, যত্নে থাকুক মা ও নবজাতক’ স্লোগান নিয়ে কাপাসিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ আয়োজিত গর্ভবতী মা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

 

গর্ভাবস্থায় মায়েদের করণীয় এবং বর্জনীয় সম্পর্কে পরামর্শ দিতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গর্ভাবস্থায় আমাদের মায়েদের সচেতন হতে হবে। ঢিলা ঢালা পোশাক পরিধান করতে হবে, নিয়মিত সুষম খাবার গ্রহণ করতে হবে, পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে, গর্ভাবস্থায় আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে। তিনি বলেন, শোয়ার সময় বাম দিকে পাশ ফিরে ঘুমাতে হবে। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে, এসিডিটি যাতে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে এবং ভাজাপোড়া খাবার পরিহার করতে হবে।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার গর্ভাবস্থায় মায়েদের ৮০০ টাকা করে ভাতা প্রদান করছে যা মায়েদের পুষ্টিকর খাবার খরচের জোগান দিতে সাহায্য করছে। এই ধরনের সহযোগিতা সরকার অব্যাহত রাখবে। তিনি বলেন, বাসা বাড়িতে সন্তান প্রসবে কিছু ঝুঁকি থেকে যায়, এই এই ঝুঁকি পরিহার করতে গর্ভবতী মায়েদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার অনুরোধ করেন।

 

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন UNFPA এর এডলসেন এন্ড ইয়ুথ ইউনিটের প্রধান ইলিজা আজয়েই, UNFPA এর জেন্ডার ইউনিটের প্রধান শামীমা পারভীন, কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ কে এম লুৎফর রহমান ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম ম্যানেজার আব্দুর রহিম।

 

#

আলম/পাশা/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/১৭৩০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                নম্বর : ৩৯৩৪

ঢাকায় পাট চাষীদের নিয়ে সমাবেশের আয়োজন করা হবে

                                                    ...বস্ত্র পাট মন্ত্রী

নরসিংদী, ১৮ জ্যৈষ্ঠ (১ জুন) :  

          বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আমরা পাট খাতকে পুনরুজ্জীবিত করতে কাজ করে যাচ্ছি। এ বছরের শেষ নাগাদ প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ঢাকায় পাট চাষিদের নিয়ে সমাবেশ আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।

          মন্ত্রী আজ নরসিংদীতে শিশু একাডেমি মিলনায়তনে পাট অধিদপ্তর আয়োজিত পাটখাত সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। পাট চাষি, মিল মালিক, ব্যবসায়ী এবং পাটখাত সংশ্লিষ্ট অংশীজনের নিয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়।

          মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী পাট ও পাটজাত পণ্যের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারেও গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পাটপণ্যে বৈচিত্র্য আনতে এবং পাটশিল্পকে লাভজনক করার উদ্যোগকে উৎসাহিত করা হয়েছে। বর্তমান মন্ত্রিসভার প্রথম সভায় পাট ও পাটজাত পণ্যেকে পোশাক শিল্পের ন্যায় গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।

          মন্ত্রী আরো বলেন, দেশের অর্থনীতিতে পাটের হারানো ঐতিহ্য পুনঃরুদ্ধার এবং পরিবেশ বান্ধব পাটজাত পণ্যের বহুমুখী ব্যবহারের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন অনুশাসন ও দিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন ও দিক নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

          আজকের মত বিনিময় সভার মতো অনুষ্ঠানগুলো অত্যান্ত ফলপ্রসূ অভিহিত করে মন্ত্রী বলেন, এখান থেকে প্রাপ্ত সুচিন্তিত মতামত আমাদের সমৃদ্ধ করছে। পাট চাষিদের সাথে একমত হয়ে মন্ত্রী বলেন, এখানে বক্তারা ঠিকই বলেছেন। পাট জাগ দেয়া সমস্যা। পুকুর নাই, খালে পানি নাই। আমরা এসমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজছি। তিনি আরো বলেন, পাট বীজ উৎপাদনে আমরা স্বনির্ভর হতে চাই। প্রতিবেশী দেশ থেকে পাটবীজ আমদানি নির্ভরতা কমাতে কাজ করে যাচ্ছি।

          পাট সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে স্মৃতিচারণ করে মন্ত্রী বলেন, আমি ছোটবেলায় আমার বাবাকে পাট চাষ করতে দেখেছি। পাটের গন্ধ এখনো আমার মনে পড়ে। আমাদের ছয় ভাই বোনের পড়াশোনা হয়েছে পাট চাষের টাকায়।

          নরসিংদীর জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের নরসিংদী-১ আসনের সংসদ সদস্য লে. কর্ণেল (অবঃ) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হীরু, নরসিংদী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ, সংরক্ষিত মহিলা আসন-৩৫ এর সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আব্দুর রউফ, পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জিনাত আরা, নরসিংদী জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম তালেব হোসেন প্রমুখ। এছাড়াও জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর প্রতিনিধি ও বিভিন্ন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, জুট মিল মালিক প্রতিনিধি, চালকল মালিক প্রতিনিধি এবং পাট চাষিবৃন্দ এতে অংশগ্রহণ করেন।

          এরপর মন্ত্রী নরসিংদী পৌর পার্কে ৩ দিনব্যাপী বহুমুখী পাট পণ্য মেলার উদ্বোধন করেন।

                                               #

মাহমুদুল/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৪/১৮২২ ঘণ্টাতথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর: ৪৯৩৩

 

ভূমিকম্প সহনীয় নগরায়নে সবাইকে একসাথে কাজ করার আহ্বান গণপূর্তমন্ত্রীর

 

ঢাকা, ১৮ জ্যৈষ্ঠ (১ জুন):

ভূমিকম্প সহনীয় নগরায়নে সবাইকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

আজ রাজধানীর একটি হোটেলে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত আরবান রেজিলিয়েন্স প্রজেক্ট (রাজউক অংশ) এর উদ্যোগে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত 'ইন্টারন্যাশনাল সেমিনার অন আর্থকোয়েক রেজিলিয়েন্স' এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

মন্ত্রী বলেন, ভূমিকম্প সহনীয় স্থাপনা নির্মাণ এবং ভূমিকম্প সহনশীল নগরায়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকার এবং জনগণ সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। সরকারের একার পক্ষে এ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। ভূমিকম্প সহনীয় নগরায়নে সমাজের প্রত্যেক স্তরের অংশীজনকে সম্পৃক্ত হতে হবে এবং এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

মন্ত্রী আরো বলেন, দ্রুত নগরায়ন, নির্মাণ নিয়ন্ত্রণের অভাব এবং নৈতিকতার অভাবজনিত কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের সকল জেলা শহর ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও আইনের সঠিক প্রয়োগের অভাবে শহরের উন্মুক্ত স্থানসমূহ বেদখল হয়ে যাচ্ছে। ঢাকার দ্রুত বৃদ্ধি এবং অভিবাসনের ফলে ভূমিকম্প এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপদের ঝুঁকি ক্রমাগত বাড়ছে। ঝুঁকি সংবেদনশীল ভূমি ব্যবহারের পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন নীতি ও কৌশলসমূহ প্রয়োগের মাধ্যমে বিদ্যমান দুর্বলতাকে কাটিয়ে একটি স্থায়ী ও ঝুঁকিমুক্ত শহর গড়ে তোলা যেতে
পারে। তিনি আরো বলেন, ভূমিকম্পের ঝুঁকি হ্রাসের জন্য বিল্ডিং কোডের প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন, তৃতীয় কোন পক্ষের মাধ্যমে অবকাঠামোগত নকশা পরীক্ষা ও পরিদর্শন এবং গুণগত ও নিরাপদ নির্মাণ নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য সরকার, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানসমূহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে একযোগে কাজ করতে হবে। সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাই মিলে একটি উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে গেস্ট অভ্‌ অনার হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি তার বক্তব্যে সেমিনার হতে প্রাপ্ত পরামর্শ ও দিকনির্দেশনাসমূহ ঢাকা ও ঢাকার বাইরের সকল জেলা ও উপজেলা শহরে প্রয়োগের জন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবিরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ শামীম আখতার, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি মীর মঞ্জুরুর রহমান, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বাংলাদেশ পুলিশ, বিশ্বব্যাংক, ইউএসএআইডি, জাইকা, এডিবি, আইইবি, বিআইপি, আইডিইবির প্রতিনিধিসহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞগণ উপস্থিত ছিলেন।

সেমিনারে বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে ভূমিকম্প দুর্যোগ ঝুঁকির বিভিন্ন দিক এবং সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

#

রেজাউল/পাশা/শফি/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/১৭১০ঘণ্টা

Handout                                                                                                                          Number : 4932

2nd Dhaka Renewable Energy Financing Talk

Converting irrigation pumps to renewable energy will save 5,000 megawatts of electricity

                                                                                                                ---Environment Minister

Dhaka, 1 June:

            Environment, Forest and Climate Change Minister Saber Hossain Chowdhury stated that to combat climate change and promote sustainable development, the government is committed to increasing the production and use of renewable energy. As part of implementing a green, clean, and climate-resilient economy, the government is working to reduce reliance on coal for electricity production and encourage the use of renewable energy. Due to limited land availability, initiatives are being taken to install floating solar panels on ponds or water bodies for fish farming underneath or to place solar panels on rooftops. If the country's agricultural irrigation pumps are converted to renewable energy, it could save 5,000 megawatts of electricity.

 

            The minister made these remarks today at the 2nd Dhaka Renewable Energy Financing Talk organized by Change Initiative at the Bangabandhu Military Museum in the capital.

 

            The Minister further stated that we are encouraging the private sector to invest in renewable energy projects. The government has set a goal to produce 40% of our electricity from renewable sources by 2041. This goal is crucial for ensuring energy security, economic growth, and environmental sustainability.

 

            Highlighting the need for cooperation across all sectors of society to achieve this vision, the minister said that investment in renewable energy infrastructure and technology, including solar, wind, biomass, and hydropower, is essential. To attract both domestic and international investors, we must create a supportive environment with financial incentives and transparency. The minister emphasized that renewable energy not only reduces carbon emissions but also creates employment, improves public health, and enhances the quality of life.

 

            Minister Chowdhury stressed the importance of innovative financial instruments in this transformation, such as green bonds, climate funds, and public-private partnerships. The minister said that we expect grants, not loans, from the developed world. The role of research and development in this sector is highly significant. By building strong partnerships and taking bold steps, we can make renewable energy the cornerstone of our nation's progress and prosperity.

 

            Abdulla Ali Abdulla Khaseif AlHmoudi Ambassador Extraordinary and Plenipotentiary UAE Ambassador to Bangladesh; Dr. Md. Mustafizur Rahman, Member (Secretary), Industry and Energy Division Planning Commission; Munira Sultana, Ndc Chairman, Sustainable Renewable Energy Development Authority (SREDA); Mamun Rashid Chairman, Financial Excellence; Professor A. K. Enamul Haque, Ph.D, Dean, Faculty of Business and Economics East West UniversityUniversity; Zakir Hossain Khan, Chief Executive, Change Initiative also spoke in the occasion. Kenote paper was presented by Zain Moulvi Research Director, Alternative Law Collective.

                                                #


Dipankar/Pasha/Sanjib/Abbas/2024/1658 Hours

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ৪৯৩১

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

ঢাকা, ১৮ জ্যৈষ্ঠ (১ জুন) :  

          স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৬ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ সময় ৩৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৪ দশমিক ২৪ শতাংশ।  

          গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৯৫ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৭ হাজার ৮৮৯ জন।

                                                #

দাউদ/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৪/১৬৪০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ৪৯৩০

নবায়নযোগ্য জ্বালানি অর্থায়ন বিষয়ক আলোচনা সভা

নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে সেচ পাম্প রূপান্তরে ৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে

                                                                                  - পরিবেশমন্ত্রী

ঢাকা, ১৮ জ্যৈষ্ঠ (১ জুন):

          পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা ও টেকসই উন্নয়নকে উৎসাহিত করতে সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে কাজ করছে। সরকার গ্রিন, ক্লিন ও জলবায়ু সহিষ্ণু অর্থনীতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার ওপর নির্ভরতা কমাতে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানীর ব্যবহারকে উৎসাহিত করছে। জমির স্বল্পতার কারণে পুকুর বা জলশয়ে ভাসমান সোলার প্যানেল করে নিচে মাছ চাষ করার অথবা বাড়ির ছাদে সোলার প্যানেল স্থাপন করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। দেশে কৃষি জমির সেচের পাম্প নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তর করতে পারলে ৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মন্ত্রী আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের আয়োজনের ২য় ঢাকা নবায়নযোগ্য জ্বালানি অর্থায়ন শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পে বিনিয়োগে আমরা বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করছি। সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের বিদ্যুতের ৪০শতাংশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদনের লক্ষ্য স্থির করেছে। এই লক্ষ্যটি জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা এবং পরিবেশগত স্থায়িত্ব অর্জনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এই ভিশন অর্জনে সমাজের সব খাতের মধ্যে সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন মন্ত্রী বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি অবকাঠামো ও প্রযুক্তিতে, সৌর, বায়ু, বায়োমাস এবং জলবিদ্যুৎ প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ অপরিহার্য। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় বিনিয়োগকারীকে আকৃষ্ট করতে, আমাদের আর্থিক প্রণোদনা এবং স্বচ্ছতার সাথে একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি কেবল কার্বন নির্গমন হ্রাসই করে না বরং কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জনস্বাস্থ্যের উন্নতি এবং জীবনমান উন্নত করে।

মন্ত্রী এই রূপান্তরে উদ্ভাবনী আর্থিক উপকরণ যেমন গ্রিন বন্ড, জলবায়ু তহবিল এবং পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। মন্ত্রী বলেন, আমরা উন্নত বিশ্বের কাছে, লোন নয় অনুদান প্রত্যাশা করি। এই খাতে গবেষণা ও উন্নয়নের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার এবং সাহসী পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে, আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে আমাদের জাতির অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধির মূলভিত্তি করতে পারি।
বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিশেষ রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলি আবদুল্লাহ খাসেইফ আলহুমুদ; পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের সদস্য (সচিব) ড. মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান; টেকসই নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (SREDA) চেয়ারম্যান মুনিরা সুলতানা, এনডিসি; ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি অফ বিজনেস এন্ড ইকোনমিক্সের অধ্যাপক এ. কে. এনামুল হক, পিএইচডি; চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন খান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অলটারনেটিভ ল ইক্লেক্টিভের গবেষণা পরিচালক জেইন মৌলভী।

অনুষ্ঠানে জ্বালানি বিষয়ক অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের পুরস্কার প্রদান করা হয়।

#

দীপংকর/কামরুজ্জামান/রবি/আলী/মানসুরা/২০২৪/১৫২০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ৪৯২৯

জলবায়ু অর্থায়ন ও সংগ্রহ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশের জলবায়ু কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ৮৭৬ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন

                           &nb

2024-06-01-16-26-3011cc0bd6df4237451855fc985f39bc.docx