Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৯ নভেম্বর ২০২৪

তথ্যবিবরণী ১৯ নভেম্বর ২০২৪

Handout                                                                                                                Number:  1725

 

Bangladesh and Japan to sign MoU

on waste management, carbon crediting, and climate resilience initiatives

 

Azerbaijan (Baku), November 19:

Syeda Rizwana Hasan, Advisor to the Ministry of Environment, Forest and Climate Change and Water Resources of Bangladesh, held a bilateral meeting with Japan's Minister of Environment, Keiichiro Asao, at the Delegation Office of Japan today during the ongoing World Climate Conference (COP-29). The discussions emphasized enhanced cooperation by signing a memorandum of understanding on waste management, carbon crediting, climate resilience initiatives, and other Avenues for mutual cooperation.

Addressing the meeting, the Advisor highlighted waste management as a pressing issue for Bangladesh, contributing approximately 10% (21.04 million tons of CO2-equivalent) of its total greenhouse gas (GHG) emissions. Dhaka alone generates 6,000 tons of waste daily, 73% of which ends up untreated in landfills, exacerbating methane emissions. Bangladesh seeks Japan's support in establishing integrated resource recovery facilities, waste-to-energy plants, and sanitary landfills to achieve its 8% emission reduction target under the Nationally Determined Contribution (NDC).

The meeting underscored the Joint Crediting Mechanism (JCM) as a crucial tool in advancing low-carbon technologies. Since signing the bilateral agreement in 2013, Bangladesh has implemented four JCM projects, including the Southwest transmission grid expansion project, with financial and technical support from Japan and the Asian Development Bank (ADB). Bangladeshi companies benefit from up to 50% subsidies under JCM projects, transferring an equivalent share of carbon credits to Japan. The Advisor called for increased private sector participation in future carbon crediting initiatives.

Syeda Rizwana Hasan emphasized Japan's expertise in environmental reforms and pollution control as a model for Bangladesh’s ongoing industrialization and urbanization. Strengthening institutional capacity through innovative solutions and training programs for the Department of Environment will be pivotal for tackling emerging challenges.

Bangladesh also seeks Japan’s assistance in meeting its updated NDC targets of reducing 15.12% of CO2 emissions by 2030, conditional on international support. Potential collaboration areas include renewable energy, hydrogen energy, e-mobility, and industrial pollution control. Additionally, Bangladesh’s National Adaptation Plan (NAP) 2023-2050, requiring $230 billion for implementation, offers vast investment opportunities for Japanese stakeholders.

Japan's Minister of Environment, Keiichiro Asao, remarked, Japan is committed to supporting Bangladesh in addressing environmental challenges through innovation and collaboration. We look forward to scaling up these efforts to meet Bangladesh’s NDC targets and beyond. We are eager to explore new avenues for cooperation. He said all the field of cooperation will be included in MoU.

Later, Environment Advisor held meeting with LDC Chair on New Collective Quantified Goals.

#

 

Dipankar/Rana/Rafiqul/Rezaul/2024/2142 Hours

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর: ১৭২৪

 

বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, কার্বন ট্রেডিং,

জলবায়ু সহনশীলতা উদ্যোগে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত

 

বাকু (আজারবাইজান), ৪ অগ্রহায়ণ (১৯ নভেম্বর):

 

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং জাপানের পরিবেশ মন্ত্রী কেইইচিরো আসাওর মধ্যে কপ২৯-এ জাপানের প্রতিনিধি কার্যালয়ে আজ এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, কার্বন ক্রেডিটিং এবং জলবায়ু সহনশীলতা উদ্যোগ-সহ পারস্পরিক সহযোগিতার অন্যান্য ক্ষেত্রে সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

 

বৈঠকে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান উল্লেখ করেন বাংলাদেশে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা, যা দেশের মোট গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের প্রায় ১০% (২১.০৪ মিলিয়ন টন CO2-সমমান) এর জন্য দায়ী। শুধু ঢাকাতেই প্রতিদিন ৬ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়, যার ৭৩% অপরিশোধিত অবস্থায় ল্যান্ডফিলে জমা হয়, ফলে মিথেন গ্যাস নিঃসরণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য পুনঃউৎস আহরণ কেন্দ্র, ওয়েস্ট-টু-এনার্জি প্ল্যান্ট এবং স্যানিটারি ল্যান্ডফিল স্থাপনে জাপানের সহায়তা কামনা করেন।

 

বৈঠকে যৌথ ক্রেডিটিং মেকানিজম (JCM)-এর গুরুত্ব তুলে ধরা হয়, যা কম-কার্বন প্রযুক্তি প্রসারের ক্ষেত্রে একটি কার্যকরী উপকরণ। ২০১৩ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তির অধীনে বাংলাদেশে ইতোমধ্যে চারটি JCM প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে, যার মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম ট্রান্সমিশন গ্রিড সম্প্রসারণ প্রকল্প রয়েছে। জাপান এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় এই প্রকল্পগুলো পরিচালিত হয়।

 

জাপানের পরিবেশ মন্ত্রী কেইইচিরো আসাও বলেন, বাংলাদেশের পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উদ্ভাবন ও সহযোগিতার মাধ্যমে জাপান প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা বাংলাদেশের NDC লক্ষ্য পূরণের জন্য সহযোগিতা সম্প্রসারণের আশাবাদী এবং নতুন ক্ষেত্রেও কাজ করতে আগ্রহী।’ তিনি আরো জানান, সমঝোতা স্মারকে সব সহযোগিতার ক্ষেত্র অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

 

পরে, উপদেষ্টা নতুন ‘নিউ কালেক্টিভ কোয়ান্টিফাইড গোলস’ বিষয়ে এলডিসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন।

 

#

 

দীপংকর/পবন/রানা/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২১৩০ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর: ১৭২৩

 

কপ২৯-এর উচ্চপর্যায়ের সংলাপে বাংলাদেশের অভিযোজন

তহবিল বৃদ্ধির জোরালো দাবি জানালেন পরিবেশ উপদেষ্টা

 

বাকু (আজারবাইজান), ৪ অগ্রহায়ণ (১৯ নভেম্বর):

 

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান কপ২৯-এ ‘উচ্চপর্যায়ের অভিযোজন অর্থায়ন সংলাপ’-এ বাংলাদেশের পক্ষে অভিযোজন তহবিল বৃদ্ধির দাবি জানান।

 

আজ আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠানরত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন (কপ২৯)-এ মিটিং রুম-১১-তে অনুষ্ঠিত অভিযোজন তহবিল জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন চুক্তির (ইউএনএফসিসিসি) গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড (জিসিএফ)-এর মতো পদ্ধতিতে চ্যানেল করার এবং অভিযোজন ও প্রশমন তহবিলের মধ্যে ভারসাম্য নিশ্চিত করার বিষয়ে এ দাবি জানান উপদেষ্টা।

 

রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য বিশেষ অভিযোজন তহবিল বরাদ্দের মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষের সুরক্ষা ও টেকসই সক্ষমতা গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি।’ তিনি জাতীয় সংস্থাগুলোর জন্য তহবিল প্রাপ্তি সহজ করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এবং বাজারভিত্তিক ঋণের ওপর নির্ভরতা বৃদ্ধির কারণে উন্নয়নশীল দেশগুলোর ঋণভার বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

 

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (এনএপি)-তে প্রতিবছর অভিযোজনের জন্য প্রয়োজন ৮.৫ বিলিয়ন ডলার। অথচ, গত দুই দশকে অভিযোজন তহবিল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর তহবিল (এলডিসিএফ) মিলে মাত্র ৩ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করেছে, যা ১৬০টি দেশের জন্য অপ্রতুল। তিনি আরো বলেন, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৫ সালের মধ্যে অভিযোজন তহবিল দ্বিগুণ করার প্রস্তাব বাস্তবায়িত হচ্ছে না।

 

উপদেষ্টা জানান, বিশ্বের অন্যতম জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বার বার জলবায়ুজনিত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। গত ১৮ মাসে দেশটি ১৫টি জলবায়ু-প্রভাবিত দুর্যোগের সম্মুখীন হয়েছে। ২০২৪ সালে দুইটি ভয়াবহ বন্যায় ১.৭ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয় এবং জাতীয় বাজেটের ১.৮% খরচ হয়। বর্তমানে ১২ লাখ মানুষ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও নদী পরিবর্তনের কারণে পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।

 

বিশ্বব্যাপী কার্বন নিঃসরণে বাংলাদেশের অবদান ০.৪%-এরও কম, তবু দেশের উপকূলীয় ও প্লাবনপ্রবণ অঞ্চলের মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে কষ্ট ভোগ করছে। রিজওয়ানা হাসান জলবায়ু ন্যায়বিচার, সমতা এবং অভিযোজন তহবিল বাড়ানোর জোরালো আহ্বান জানান।

 

এর আগে তিনি কপ২৯-এর আরেকটি অনুষ্ঠানে ‘জলবায়ু পরিবর্তন এবং মানসিক স্বাস্থ্য’ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন।

 

#

দীপংকর/পবন/রানা/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২১৪০ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর: ১৭২২

 

গণআন্দোলন দমনে দায়েরকৃত প্রায় সব মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে

                --ড. আসিফ নজরুল

ঢাকা, ৪ অগ্রহায়ণ (১৯ নভেম্বর):

গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন দমনে দায়েরকৃত প্রায় সব ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

আজ সচিবালয়ে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন: আইন মন্ত্রণালয়ের কৈফিয়ত’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা এ কথা বলেন। এ সময় আইন মন্ত্রণালয়ের বিগত ১০০ দিনের কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন আইন উপদেষ্টা।

ড. আসিফ নজরুল জানান, সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩ বাতিলক্রমে কম্পিউটার সম্পর্কিত অপরাধগুলো প্রতিরোধের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সাথে সমন্বয় করে নতুন সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। সাইবার নিরাপত্তা আইন রহিত হলে  উক্ত আইনের অধীনে দায়েরকৃত সব স্পিচ-অফেন্সের মামলা প্রত্যাহার করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অংশীজনের সঙ্গে পরামর্শ করে এই আইন প্রত্যাহারে আমরা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে সহায়তা করেছি। তবে হ্যাকিং বা কম্পিউটার অপরাধ সংক্রান্ত মামলাগুলো চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।

আইন উপদেষ্টা আরো জানান, এই কদিনে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতিসহ আপীল বিভাগে ৫ জন বিচারপতি, হাইকোর্ট বিভাগে ২৩ জন বিচারপতি এবং অধস্তন আদালতে ১০৯ জন বিচারক নিয়োগে সাচিবিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ইতোমধ্যে বাংলাদেশের ৬১টি জেলায় ৪ হাজার ৩০০ জন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে দ্রুততম সময়ে সব রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা সম্ভব হবে বলে জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, এতো বেশি সংখ্যক নিয়োগ বাংলাদেশে এর আগে ঘটেনি। এর মাধ্যমে সব উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা ও গায়েবি মামলা প্রত্যাহার করা সম্ভব হবে। এখন যে ঢালাও মামলা হচ্ছে, মামলা বাণিজ্য করা হচ্ছে; তাও প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। 

এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, যারা ‘মামলা বাণিজ্য’ করছে, তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) বিস্ফোরক মামলা পরিচালনার জন্য ২০ জন স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে এবং গত জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক মানদণ্ড নিশ্চিতের লক্ষ্যে রোম স্ট্যাটিউট এবং আন্তর্জাতিক ও জাতীয় বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের সুপারিশের আলোকে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এর সংশোধনের খসড়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান আইন উপদেষ্টা। এই আইন সংশোধনী অধ্যাদেশ বুধবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে তোলা হবে বলেও জানান তিনি।

উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের বিচারপতি নিয়োগ আইনের খসড়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তিনি বলেন, অধস্তন আদালতের বিচারক, রেজিস্ট্রেশন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এবং আইন মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব সংগ্রহ করা হয়েছে । এই হিসাব বিবরণী এখন যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। 

 

 

-২-

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধন অধ্যাদেশ হচ্ছে, সেখানে কোনও রাজনৈতিক দলের বিচারের ধারা যুক্ত হচ্ছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, একটা-দুটো দিন অপেক্ষা করতে হবে। আমাদের প্রস্তাবনায় যেটা আছে সেখানে আদালতকে সরাসরি ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। তবে আদালত যদি মনে করেন, তাহলে তারা এ বিষয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে কাছে সুপারিশ করতে পারেন।

আইন উপদেষ্টা আরো উল্লেখ করেন, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের মাধ্যমে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ এবং জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৪ সহ মোট ১০টি অধ্যাদেশ প্রণয়ণে ভেটিং সহায়তা দেয়া হয়েছে। এছাড়া ৯৫টি প্রজ্ঞাপন, ৩৩টি বৈদেশিক চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক ভেটিং করা হয়েছে।

আসিফ নজরুল বলেন, গুম বিরোধী আন্তর্জাতিক সনদ অনুসমর্থনে আইন মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করেছে। বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ে গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান ও গুমে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়নের নিমিত্ত তদন্ত কমিশন গঠনে আইন ও বিচার বিভাগ প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করেছে। উক্ত কমিশনকেও আইন মন্ত্রণালয় সাচিবিক সহায়তাও প্রদান করে যাচ্ছে। এছাড়া স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও কার্যকর বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। উক্ত সংস্কার কমিশনের সাথে গত ১২ নভেম্বর বৈঠক হয়েছে। কমিশন বিচার বিভাগের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ সংস্কার প্রস্তাব দ্রুতই প্রস্তুত করবে।

সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট পাওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করা হবে বলেও জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘সরকার ভালো একটা নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন দিতে চায়।’

এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘শেখ হাসিনা নেতা কর্মীদের ফেলে রেখে নিজে পালিয়েছেন। নিজে পালানোর তিনদিন আগে তাঁর স্বজনদের বিদেশে পাঠিয়েছেন। নেতাকর্মীদের তাকে প্রশ্ন করা উচিত, তাদের ফেলে রেখে কেন পালিয়েছেন তিনি?’ আরেক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, সরকার আওয়ামী লীগের মতো দমন-পীড়ন চায় না। অযৌক্তিক আন্দোলনের মাধ্যমে নানা দুর্ভোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে। সরকার বিষয়গুলো দেখছে। কঠোর হলে সরকার ভালোভাবেই কঠোর হবে।

 

#

 

রেজাউল/পবন/রানা/ফেরদৌস/রফিকুল/রেজাউল/২০২৪/২০৩০ ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর: ১৭২১

 

আন্তর্জাতিক নৌ রুটে জলদস্যুদের দৌরাত্ম্যের শান্তিপূর্ণ সমাধান প্রয়োজন

                                                                     -- নৌ উপদেষ্টা

 

লন্ডন (যুক্তরাজ্য), ১৯ নভেম্বর:

 

নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, সোমালিয়া উপকূল-সহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন নৌ রুটে জলদস্যুদের জাহাজ ছিনতাই, নাবিকদের  অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনা গভীর উদ্বেগের। তিনি আন্তর্জাতিক সস্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ  করে শীঘ্রই এ সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন।

 

আজ লন্ডনে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) কাউন্সিল-এর ১৩৩তম অধিবেশনে বক্তব্য প্রদানকালে উপদেষ্টা এ মন্তব্য করেন।

 

এ সময়ে উপদেষ্টা উন্নত বিশ্বের ধনী রাষ্ট্রসমূহকে বাংলাদেশের পরিবেশবান্ধব জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। তিনি  বলেন, জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পকে নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব করতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক ও জাতীয় উভয় ক্ষেত্রেই শিপিং কার্যক্রম  পরিচালনায় আইএমও’র অনুসৃত নীতি অনুসারে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমাতে বদ্ধপরিকর।  তিনি আরো বলেন, জাহাজ নির্মাণ শিল্পকে পরিবেশবান্ধব ও নিরাপদ করতে কাজ করছে সরকার। চট্টগ্রাম বন্দর সংলগ্ন বে-টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প ও মোংলা সমুদ্র বন্দরকে গ্রিন পোর্টে রূপান্তর করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর মাতারবাড়ি সমুদ্র বন্দরকেও গ্রিন পোর্ট হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পরিবেশবান্ধব এ সকল বৃহৎ কর্মযজ্ঞে বিনিয়োগ করতে উন্নত রাষ্ট্রসমূহকে উদাত্ত আহ্বান জানান উপদেষ্টা।

 

বাংলাদেশের বিশ্বমানের মেরিন একাডেমিগুলোতে আফ্রিকা, ক্যারিবিয়ান ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এলডিসি এবং স্মল আইল্যান্ড ডেভেলপিং স্টেটস  (এসআইডিএস) ভুক্ত দেশসমূহের ১০ জন মেধাবী মেরিন ক্যাডেটকে বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে বলে জানান নৌপরিবহন উপদেষ্টা।

 

নৌপরিবহন উপদেষ্টার নেতৃত্বে লন্ডনে অনুষ্ঠিত আইএমও কাউন্সিল-এর ১৩৩তম অধিবেশনে পাঁচ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেন।

 

#

 

আরিফ/পবন/রানা/ফেরদৌস/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২১৩০ ঘণ্টা 

 

 

Handout                                                                                                          Number: 1720

 

Bangladesh Urges Enhanced Adaptation Financing at COP29 High-Level Dialogue                                                               
 

Baku, (Azerbaijan), November 19:

 

Syeda Rizwana Hasan, Adviser to the Ministry of Environment, Forest, Climate Change, and Water Resources, called for prioritizing public funding for climate adaptation during the High-Level Ministerial Dialogue on Adaptation Finance at COP29. The event, held in Meeting Room-11, emphasized the urgency of channeling adaptation funds through UNFCCC mechanisms like the Green Climate Fund (GCF) and ensuring a balance between mitigation and adaptation financing.

 

Highlighting Bangladesh’s vulnerability to climate impacts, she stated, “Bangladesh strongly urges dedicated adaptation financing windows and allocations for climate-vulnerable countries to protect millions and build resilience.” She stressed the importance of enabling national entities to access funds and warned against reliance on market-based loans, which exacerbate debt burdens in developing countries.

 

Bangladesh’s National Adaptation Plan (NAP) estimates an annual requirement of 8.5 billion USD for adaptation. However, in two decades, the Adaptation Fund and Least Developed Countries Fund (LDCF) have collectively generated only 3 billion USD for 160 countries—a significant shortfall. “The proposal to double adaptation financing from 2019 levels by 2025 lacks transparency and fails to meet the real needs of vulnerable nations,” she added.

 

As one of the most climate-vulnerable countries, Bangladesh faces relentless challenges. In the past 18 months, the nation endured 15 climate-induced disasters, including two unprecedented floods in 2024 that caused 1.7 billion USD in losses and impacted 1.8% of the national budget. Currently, 1.2 million people are waterlogged due to rising sea levels and river morphology changes.

 

Despite contributing less than 0.4% of global greenhouse gas emissions, Bangladesh disproportionately suffers the consequences of climate change. The Adviser reiterated Bangladesh’s demand for climate justice, equity, and an immediate increase in adaptation financing to address the escalating challenges.

 

Earlier, Advisor to the Ministry of Environment, Forests and Climate Change and Water Resources Syeda Rizwana Hasan spoke at an event titled 'Climate Change and Mental Health' at the World Climate Conference (COP29) in Baku, Azerbaijan (Tuesday, 19 November 2024).

 

#

 

Dipankar/Paban/Rana/Ferdows/Rafiqul/Salim/2024/2030 Hrs.

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর: ১৭১৯

 

জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের

সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে

                                  -- তথ্য ও সম্প্রচার সচিব

 

ঢাকা, ৪ অগ্রহায়ণ (১৯ নভেম্বর):

 

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেছেন, জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর জনগণের অনেক প্রত্যাশা রয়েছে। এই প্রত্যাশা পূরণে প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সৎ, দক্ষ ও ন্যায়পরায়ণ হতে হবে।

 

আজ ঢাকার তথ্য ভবনে গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা এসব কথা বলেন।

 

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি প্রসঙ্গে সচিব বলেন, যথাসময়ে পদোন্নতি পাওয়া সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর ন্যায্য অধিকার। যথাসময়ে পদোন্নতি না হলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের স্পৃহা থাকে না। তাই, পদোন্নতির যোগ্যতা অর্জন-সাপেক্ষে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্রুত পদোন্নতি প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তিনি গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের সার্বিক উন্নয়নে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন।

 

মতবিনিময় সভায় গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আকতার হোসেন, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান মোঃ আবদুল জলিল, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ-সহ গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভার আগে তথ্য ও সম্প্রচার সচিব বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

 

#

 

মামুন/পবন/রানা/ফেরদৌস/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২০৩০ ঘণ্টা 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর: ১৭১৮

 

দুর্নীতি বন্ধ করলে দেশ এগিয়ে যাবে

              -- স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা

 

চট্টগ্রাম, ৪ অগ্রহায়ণ (১৯ নভেম্বর):

 

স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, আমাদের দেশের উন্নয়নের সবচেয়ে বড় অন্তরায় দুর্নীতি। আর দুর্নীতির কারণে সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী গরিব কৃষকেরা। তাই দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। দুর্নীতিকে ঘৃণা করতে হবে। দুর্নীতি করলে দেশের প্রতি অবদান ম্লান হয়ে যাবে। দুর্নীতি বন্ধ করলে দেশ এগিয়ে যাবে।

 

উপদেষ্টা আজ চট্টগ্রাম মহানগরীর আগ্রাবাদস্থ খামার বাড়িতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তরসমূহের চট্টগ্রাম অঞ্চলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

 

উপদেষ্টা বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ে সবচেয়ে বেশি শিক্ষিত ও ডক্টরেট ডিগ্রিধারী কর্মকর্তা রয়েছে। তাদের অবদান কৃষি তথা দেশের সার্বিক উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমাদের জনসংখ্যা ছিলো সাড়ে ৭ কোটি। এখন তা বেড়ে ১৭-১৮ কোটি হয়েছে। তা সত্ত্বেও কৃষি বিজ্ঞানী ও কৃষি কর্মকর্তাদের কার্যকর ভূমিকার কারণে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পেরেছি। সেজন্য কৃষি কর্মকর্তারা ধন্যবাদ প্রাপ্তির যোগ্য।

 

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় অনেক ভালো কাজ করছে। তবে তাদের কিছু বদনামও আছে। গৃহীত কিছু প্রকল্প নিয়ে প্রশ্নও আছে। তাই কৃষকের জন্য সত্যিকারের উপকারী প্রকল্প  গ্রহণ করতে হবে। উপদেষ্টা বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের জনবল সবচেয়ে বেশি। তাদের অনেকেই মাঠ পর্যায়ে ভালো কাজ করছে। আবার কিছু আছে যারা সঠিক সময়ে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করে না। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনেক বেশি সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

 

মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা কর্মকর্তাদের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে অবহিত হন এবং সমাধানে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

 

সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা) মোঃ আবু জুবাইর হোসেন বাবলু, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাং নাছির উদ্দীন, জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম-সহ কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তরসমূহের চট্টগ্রাম অঞ্চলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

ফয়সল/পবন/রানা/ফেরদৌস/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২০২০ ঘণ্টা 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর: ১৭১৭

 

জনবান্ধব পুলিশ গড়ে তুলতে থানার কার্যক্রম আরো সক্রিয় ও যুগোপযোগী করতে হবে

                                                                                   -- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

চট্টগ্রাম, ৪ অগ্রহায়ণ (১৯ নভেম্বর):

 

          স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, থানাকে জনগণের আস্থার জায়গায় পরিণত করতে হবে। জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে ও নির্ভয়ে যে কোনো সমস্যায় থানায় যেতে পারে ও উপযুক্ত সেবা পায় থানার পরিবেশ ও কার্যক্রম সেভাবে রূপান্তর করতে হবে। থানায় সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে।

 

আজ চট্টগ্রাম মহানগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইনে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব), কোস্টগার্ড, আনসার ও ভিডিপি, বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, কারা অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

 

উপদেষ্টা বলেন, যানজট নিরসন-সহ বিভিন্ন অপরাধ দমনে কমিউনিটি পুলিশিংকে জোরদার করতে হবে। ইতোমধ্যে ডিএমপি এলাকায় ৭০০ জন শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবির অবসরপ্রাপ্ত সদস্য যারা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে জড়িত ছিলো তাদের আগ্রহী সদস্যদের বয়সসীমা বেঁধে দিয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজে লাগানোর চিন্তাভাবনা চলছে। তিনি বলেন, প্রতিটি মহানগরীর যানজট নিরসনে সভা-সমাবেশের জন্য মুক্তাঙ্গন নির্দিষ্ট করে দিতে হবে। ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগরীতে সভা-সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। একইভাবে চট্টগ্রাম-সহ অন্যান্য মহানগরীর জন্য মুক্তাঙ্গন ঠিক করে দিতে হবে যাতে যানজট হ্রাস পায়। তিনি এসময় মেট্রোপলিটন এলাকায় অনুমতি ছাড়া সভা-সমাবেশ করা যাবে না মর্মে নির্দেশনা প্রদান করেন।

 

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আদালত থেকে রায় পেয়ে অনেক শীর্ষ সন্ত্রাসী জামিন পেয়েছে। এসব অপরাধী পুনরায় অপরাধে লিপ্ত হলে সাথে সাথে তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে এবং কঠোর নজরদারিতে রাখতে হবে। তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ার অপপ্রচার-সহ বিভিন্ন সাইবার অপরাধও বেড়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারেও সজাগ থাকতে হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

 

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে। তবে হয়তো সেটা জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী খুব সন্তোষজনক পর্যায়ে পৌঁছেনি। তিনি এসময় পুলিশকে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন ও প্রোটকল ডিউটি কমিয়ে আনার নির্দেশ দেন।

 

মতবিনিময় সভা শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে উপদেষ্টা বলেন, মিডিয়াকে সত্য ঘটনা প্রচার করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের দেশের মিডিয়ার যে একটা সুনাম আছে, পার্শ্ববর্তী দেশের মিডিয়ার তা নেই। তারা মিথ্যাই কিন্তু প্রচার করে সবচেয়ে বেশি। আর এই মিথ্যাটাকে কিন্তু কাউন্টার করতে পারেন শুধু আপনারা।

চলমান পাতা/২

 

 

--০২--

 

পাকিস্তান থেকে আসা জাহাজের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এই জাহাজ মধ্যপ্রাচ্য থেকে এসে একটা দেশে গেছে। আবার ঐ দেশ থেকে আমাদের দেশে এসেছে। তিনি প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন, আমাদের দেশে কি কোনো দেশের জাহাজ আসা নিষেধ আছে। তিনি বলেন, অনুমতি সাপেক্ষে যেকোনো দেশের জাহাজ আমাদের দেশে আসতে পারে। জাহাজটি রমজানের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যথা: খেজুর, পেঁয়াজ এগুলো নিয়ে এসেছে। এতে কেন আমরা বাধা দিবো? তিনি বলেন, দেশের স্বার্থ বিঘ্নকারী এসব ঘটনা যারা রটাচ্ছে তারা দেশের শত্রু।

 

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক মোঃ ময়নুল ইসলাম এনডিসি, র‌্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ আহসান হাবীব পলাশ, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী, জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম প্রমুখ।

 

#

 

ফয়সল/পবন/রানা/ফেরদৌস/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২০৩০ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর: ১৭১৬

 

পূর্বাচল এলাকায় রাজউক আধুনিক পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ করবে

 

ঢাকা, ৪ অগ্রহায়ণ (১৯ নভেম্বর):

ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর, রাজউক কর্তৃক পূর্বাচল এলাকায় বরাদ্দকৃত প্লটের বিপরীতে আধুনিক পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ কাজ শুরু করবে। ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক চলতি মাসের ৭ তারিখে পূর্বাচল প্রকল্পভুক্ত নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার ১৫টি এবং গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার ২টি মৌজায় ডিজিটাল পদ্ধতিতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জরিপ কাজ শুরুর প্রশাসনিক অনুমোদন দেয়া হয়েছে। 

 

আজ ভূমি ভবনের সম্মেলন কক্ষে ভূমি, মন্ত্রণালয়ের এলাম্‌স কর্মসূচির আওতাভুক্ত ‘ডিজিটালাইজড ভূমি জরিপ কার্যক্রম বিষয়ক অবহিতকরণ ও করণীয়’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়। 

 

কর্মশালায় জানানো হয়, পূর্বাচল প্রকল্পের ১৭টি মৌজার ডিজিটাল পদ্ধতিতে জরিপ কার্যক্রম দু’বছরের মধ্যে সম্পন্ন করা সম্ভব। তবে রাজউক প্রস্তুতকৃত লে-আউট প্ল্যান, জমির হালনাগাদ মালিকানা তথ্য ও চূড়ান্ত জরিপ পত্র খানাপুরী-বুঝারত নকশা প্রস্তুতের পূর্বে সরবরাহ করলে এক বছরের মধেই সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। 

 

ভূ

2024-11-19-16-03-05779ac6a5f59696c1d9fe817a68c325.docx