তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২০
বার্লিনে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এঁর ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন
বার্লিন, ২৪ শ্রাবণ (৮ আগস্ট) :
‘সংগ্রাম-স্বাধীনতা, প্রেরণায় বঙ্গমাতা’-এই প্রতিপাদ্যে বার্লিনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং ভাবগাম্ভীর্যের সাথে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এঁর ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়। দূতাবাসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দূতাবাসে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ ও পরিবারের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রদূত মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী সহ যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়, যেখানে দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রেরিত জাতীয় নেতৃবৃন্দের বাণীসমূহ পাঠ এবং একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানের মূল বিষয় ছিলো, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ধারাবাহিক ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে, একজন সহধর্মিণী ও রাজনৈতিক জীবনসঙ্গী হিসেবে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এর অনুকরণীয় অনন্য ভূমিকা।
অনুষ্ঠানের সভাপতি রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব ছিলেন শাশ্বত বাঙালি স্ত্রী ও বাঙালি মায়ের প্রতিচ্ছবি। বঙ্গবন্ধু তাঁর অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও কারাগারের রোজনামচা বইয়ের অগণিত স্থানে সহধর্মিণীর প্রতি গভীর ভালোবাসা, আস্থা, বিশ্বাস ও পরম নির্ভরতার কথা উল্লেখ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর কিশোর বয়স থেকে শুরু করে আমৃত্যু তার পাশে থেকে বঙ্গমাতা তাকে সাহস ও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন, বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী ও কর্মময় জীবনে তার পাশে ছায়া হয়ে থেকেছেন। জাতির পিতার ‘বঙ্গবন্ধু’ হয়ে ওঠার পেছনে তার স্ত্রীর অবদান সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু যেমন ওতপ্রোতভাবে জড়িত থেকে ইতিহাসের অংশ হয়েছেন, তেমনি বঙ্গমাতা তার আন্দোলন-সংগ্রামের প্রত্যক্ষ অংশীদার ও প্রেরণাদায়ী হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ধারাবাহিক ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবনের সুখ-দুঃখের সাথী হয়েই শুধু নয়, মৃত্যুতেও সাথী হয়েছিলেন তার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিজ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেই শাহাদত বরণ করেন তিনি। তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রতি বছর ৮ আগস্ট বাংলাদেশ সহ সকল দূতাবাসে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এঁর জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন ও পদক প্রদানের সময়োপযোগী সিদ্ধান্তকে রাষ্ট্রদূত সাধুবাদ জানান। রাষ্ট্রদূত অভিমত ব্যক্ত করেন যে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার সুযোগ্য কন্যা তাঁর পিতা ও মাতার মতই দৃঢ়তা ও সততা অবলম্বন করে প্রাজ্ঞতা ও সাহসের সাথে দেশ পরিচালনা করছেন।
পরবর্তীতে জাতির পিতা, তাঁর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদ ও জীবিত সদস্যদের জন্য, মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদ ও জাতীয় নেতৃবৃন্দের জন্য এবং বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষের জন্য দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
#
এনায়েত/সেলিম/২০২৩/২২৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪১৯
যথাযথ মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর সহধর্মিণী
বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী পালন
লিসবন, ২৪ শ্রাবণ (৮ আগস্ট) :
বাংলাদেশ দূতাবাস, লিসবন যথাযথ মর্যাদায় আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী পালন করে। শোকের মাসের প্রতি পরিপূর্ণ শ্রদ্ধা বজায় রেখে যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি উদযাপন করার লক্ষ্যে দূতাবাস প্রাঙ্গণে বিশেষ আলোচনা সভা, প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন এবং বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। দূতাবাসের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীবৃন্দ ছাড়াও প্রবাসী বাংলাদেশীগণ এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরতে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে চার্জ দ্যা এ্যাফেয়ার্স মোঃ আলমগীর হোসেন বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রেরিত বাণীসমূহ দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ পাঠ করে শোনান। পরবর্তীতে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এর জীবন ও কর্মের উপর এক আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। সভায় বক্তারা বঙ্গমাতার গৌরবোজ্জ্বল জীবন এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে তাঁর চিরস্মরণীয় ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।
আলোচনা পর্বে চার্জ দ্যা এ্যাফেয়ার্স তার বক্তব্যের শুরুতেই বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন বঙ্গমাতা ছিলেন জাতির পিতার সব লড়াই-সংগ্রাম-আন্দোলনের নেপথ্যের প্রেরণা দানকারী এবং অফুরন্ত প্রেরণার উৎস। বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সমগ্র রাজনৈতিক জীবনে সকল গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহযোগিতা করেছেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্বে জাতির পিতাকে প্রায় ১৩ বছর পাকিস্তানে কারাভ্যন্তরে থাকতে হয়, সে সময় বঙ্গমাতা সুচারূভাবে পরিবারের দেখাশুনার পাশাপাশি জাতির পিতার রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনায় সহযোগিতা করেছেন। তাঁর বলিষ্ঠ ও সময়োপযোগী পরামর্শসমূহ জাতির জীবনে সুফল বয়ে এনেছে, যা জাতির ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর পত্নী হয়েও তিনি সবসময় সাদামাটা জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের সামাজিক পুনর্গঠন এবং অসংখ্য বীরঙ্গনাদের স্বাভাবিক জীবনে পুনর্বাসনে বঙ্গমাতা অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন। চার্জ দ্যা এ্যাফেয়ার্স আরও বলেন, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব শুধু সকল নারীদের নিরন্তর অনুপ্রেরণার উৎসই নন বরং তিনি সমগ্র বাঙ্গালী জাতির গর্ব।
আলোচনা সভাশেষে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর উপর নির্মিত প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। সবশেষে, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব সহ জাতির পিতা, তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্য ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
#
এনায়েত/সেলিম/২০২৩/২২৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪১৮
বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এঁর ৯৩তম
জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
ঢাকা, ২৪ শ্রাবণ (৮ আগস্ট) :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এঁর ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আজ কাকরাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশের অব্যাহত উন্নয়ন কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম সহ বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থার প্রধানগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
হেমায়েত/এনায়েত/সেলিম/২০২৩/২২০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪১৭
বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্মারক ডাকটিকিট
অবমুক্ত করলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ঢাকা, ২৪ শ্রাবণ (৮ আগস্ট) :
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব এঁর ৯৩ জন্মবার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষ্যে ডাক অধিদপ্তর স্মারক ডাকটিকিট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেছে এবং ডেটাকার্ড প্রকাশ করেছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ১০ টাকা মূল্যমানের স্মারক ডাকটিকিট, দশ টাকা মূল্যমানের উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন এবং ৫ টাকা মূল্যমানের ডেটা কার্ড ও একটি বিশেষ সীলমোহর প্রকাশ করেন।
মন্ত্রী আজ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব এবং শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভার প্রাক্কালে স্মারক ডাকটিকিট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, বিএসসিএল এর চেয়ারম্যান ড.শাহজাহান মাহমুদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আমিরুল ইসলাম, যুগ্মসচিব মো: তৈয়বুর রহমান, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হারুনুর রশিদ এবং টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: রফিকুল ইসলাম বক্তৃতা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বঙ্গমাতাকে বাংলাদেশের আদর্শ মায়েদের শ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মনেপ্রাণে একজন আদর্শ বাঙালি নারী। অসংখ্য কঠিন প্রতিকূলতার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে তিনি একদিকে মা অন্যদিকে বাবা এই দুইয়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে তাঁর সন্তানদের সুশিক্ষায় গড়ে তুলেছেন, দলের জন্য কাজ করেছেন, নেতা-কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
ষাটের দশকে ছাত্রলীগের রাজপথের লড়াকু সৈনিক মোস্তাফা জব্বার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পেছনে নীরবে নিভৃতে প্রেরণার সর্বোচ্চ উৎস হিসেবে কাজ করেছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব। শেখ ফজিলাতুন নেছার মতো ধীরস্থির, বুদ্ধিদীপ্ত, মেধাবী, দূরদর্শী, সাহসী, বলিষ্ঠ, নির্লোভ ও নিষ্ঠাবান ইতিবাচক ভূমিকা জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি কিংবা জাতির হাজার বছরের ইতিহাসের মহাকাব্যের মহানায়ক হতে ব্যাপকভাবে সহায়তা করেছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। ৭০ এর দশকের শুরুতে স্বাধীনতার প্রাক্কালে মন্ত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের ছাত্র হিসেবে তাঁর দেখা বিশ্ববিদ্যালয়ে সহপাঠিনী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চালচলনকে চিরায়ত বাংলার অতি সাধারণ একজন মানুষের সাথে তুলনা করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা হওয়া সত্ত্বেও নিজ বিভাগের শিক্ষকদের অনেকেই জানতেন না তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা। তিনিও নিজের পরিচয় কখনো প্রকাশ করতেন না যে তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা। এটাই ছিলো সন্তানদের প্রতি বঙ্গমাতার শিক্ষা। এই কঠিন অবস্থা সামাল দেওয়া একজন নারীর পক্ষে কি পরিমাণ চ্যালেঞ্জিং তা বর্ণনার অপেক্ষা রাখে না। তা সত্ত্বেও তিনি দৃঢ় থেকেছেন।
চলমান পাতা/২
--০২--
মন্ত্রী বলেন, শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব শুধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মা নন, তিনি বাঙালি জাতির স্বাধীনতার প্রেরণাদাত্রী বলে মন্ত্রী তাঁকে আখ্যায়িত করেন। ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের প্রাক্কালে বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতা ঘোষণা প্রদানে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের পক্ষ বিপক্ষ মতামত অগ্রাহ্য করে শেখ ফজিলাতুন নেছা বঙ্গবন্ধুকে নিজের মতো করে জাতিকে দিক নির্দেশনা দেওয়ার মানসিক শক্তি যোগিয়েছেন এই মহিয়সী নারী। তিনি বলেন, জাতির পিতার মত একজন মহা নায়কের সহধর্মীনি হওয়ার সকল যোগ্যতায় তিনি নিজেকে প্রমাণিত করে জাতির পিতার আন্দোলন সংগ্রামে তার অবদান চির ভাস্বর হয়ে থাকবে। মন্ত্রী নতুন প্রজন্মের কাছে এই মহিয়সীর অবদান তুলে ধরতে আরও বেশি করে লেখক ও প্রকাশকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী ঢাকা কলেজে অধ্যয়নকালে শেখ কামালকে ঢাকা কলেজের ছাত্রলীগের ঘাটি হিসেবে গড়ে তোলার মহান সংগঠক আখ্যায়িত করে বলেন, তিনি কেবল একজন রাজনৈতিক ও উঁচু মাপের সংগঠকই ছিলেন না তিনি নাটক - ক্রীড়াক্ষেত্রেও আইকন হিসেবে কাজ করেছেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
#
শেফায়েত/এনায়েত/সেলিম/২০২৩/২২৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪১৬
জীবনে মরণে বঙ্গবন্ধুর সাথী ছিলেন বঙ্গমাতা
-- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৪ শ্রাবণ (৮ আগস্ট):
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব কেবল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশ্বস্ত ও সুযোগ্য সহধর্মিণীই ছিলেন না। জীবনে মরণে বঙ্গবন্ধুর সাথী ছিলেন তিনি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় নেপথ্যে থেকে নেতৃত্বদান এবং স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতিটি পদক্ষেপে তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ছায়াসঙ্গী এবং বিচক্ষণ পরামর্শক।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এঁর ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে একাডেমি আয়োজিত ‘শিল্পের আলোয় শ্রদ্ধাঞ্জলি’ শীর্ষক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, আমি তোমাকে জীবনের চেয়ে তোমাকে ভালোবাসি’-এ কথাটি আমাদের দম্পতিরা প্রায়শই বলে থাকেন। এটি কিন্তু আমাদের সকলের বেলায় সত্য নয়। এটি কেবল সত্য বঙ্গমাতার বেলায়। সেটি তিনি তাঁর জীবন ও কর্ম দিয়ে প্রমাণ করে গেছেন।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচক হিসাবে বক্তৃতা করেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাহফুজা হিলালী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ।
এরপর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এঁর জীবনী নিয়ে নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘বঙ্গমাতা’ প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে তিন পর্বে বিভক্ত অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।
#
ফয়সল/এনায়েত/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৩/২১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪১৫
ভারতের রাজ্যসভা নেতা পীযূষ গয়ালের সঙ্গে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিদলের বৈঠক
নয়াদিল্লি, ২৪ শ্রাবণ (৮ আগস্ট):
সফররত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিদল আজ ভারতীয় পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার নেতা (লিডার অভ দ্য আপার হাউস) পীযূষ গয়ালের সঙ্গে পার্লামেন্ট কার্যালয়ে বৈঠক করেন।
বৈঠকে তারা দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও উন্নয়নমূলক বিষয়ে আলোচনা করেন বলে বৈঠক সূত্র জানায়।
বৈঠকে গয়াল এ অঞ্চলের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির স্বার্থে বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন ও আশা প্রকাশ করেন যে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার মাধ্যমে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে।
ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন বিজেপি’র রাজ্যসভার প্রভাবশালী এ নেতা বাংলাদেশে বর্তমান সরকারের আমলে আর্থ-সামাজিক খাতে বাংলাদেশের ব্যাপক অগ্রগতির প্রশংসা করেন।
খাদ্যশস্য রপ্তানির ওপর ভারতের নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে গয়াল প্রতিনিধিদলকে বলেন, খাদ্যশস্য রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার কারণে বাংলাদেশ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় ভারত সক্রিয়ভাবে তা বিবেচনা করবে।
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে ভারত যাতে বাংলাদেশ থেকে আরো পণ্য আমদানি করতে পারে- সেজন্য তিনি প্রতিনিধিদলের সদস্যদের আরও পণ্যের নাম প্রস্তাব করার অনুরোধ জানান। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পচনশীল পণ্য রপ্তানির নিষেধাজ্ঞার বিষয়েও আলোচনা হয়।
ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিনিধিদলকে বলেন, বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী ও বন্ধু হিসেবে ভারত সবসময় বাংলাদেশের সব বিষয়ে বিশেষভাবে বিবেচনা করে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে বৈঠকে প্রতিনিধি দলের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। প্রতিনিধিদলের অপর সদস্য আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, অরোমা দত্ত, এমপি ও অধ্যাপক মেরিনা জাহান, এমপি উপস্থিত ছিলেন।
ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) “বিজেপিকে জানুন” কর্মসূচির অংশ হিসেবে দলটির আমন্ত্রণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল নয়াদিল্লি সফর করছে।
বৈঠক শেষে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বাসসকে বলেন, ‘সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে’ অনুষ্ঠিত আলোচনায় ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয় ছাড়াও বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইস্যু উঠে এসেছে।
বিকেলে দিল্লিতে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার সর্বোচ্চ ফোরাম জি-২০ এর ভারত সম্মেলনের আহ্বায়ক রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সাথে বৈঠক করেন তারা।
এর আগে, বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ইন্ডিয়া গেট সার্কেলে জাতীয় যুদ্ধ স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন করে। স্মৃতিসৌধটি স্বাধীন ভারতের সশস্ত্র সংঘাতে লড়াই করা ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সৈন্যদের সম্মান ও স্মরণ করিয়ে দেয়।
#
আকরাম/পাশা/এনায়েত/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/২০৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪১৪
এটুআই ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
ঢাকা, ২৪ শ্রাবণ (৮ আগস্ট):
গ্রিন, ক্লিন ও স্মার্ট নগরী গড়ার লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এটুআই প্রোগ্রাম এবং রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মধ্যে আজ আইসিটি বিভাগের সম্মেলন কক্ষে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। চুক্তিতে এটুআই প্রোগ্রামের যুগ্ম-পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলাম এবং রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এ বি এম শরীফ উদ্দিন সই করেন।
এসময় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান (লিটন) এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তির আওতায় এটুআই রাজশাহী সিটি করপোরেশকে স্মার্ট সিটিতে রূপান্তরে সবধরনের কারিগরি সহায়তা প্রদান একই সাথে স্মার্ট সিটি ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা গ্রহণ, অবকাঠামো নকশা প্রণয়ন, স্মার্ট সল্যুউশন তৈরিসহ বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা প্রদান করবে। এছাড়া ৩টি গাইড লাইন তৈরি ও কর্মপরিকল্পনা এবং বাজেট প্রণয়ন করবে।
‘স্মার্ট রাজশাহী সিটি’ বিষয়ক আলোচনা সভা ও চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র স্মার্ট সিটি গড়ে তুলতে ‘ফেস ডিটেক্টর ক্যামেরা, হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ে ড্রোন দিয়ে জরিপসহ বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্স বৈঠকে গ্রামকেও স্মার্ট ভিলেজে পরিণত করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এরই অংশ হিসেবে প্রথম ধাপে রাজশাহী ও কক্সবাজার নগরীকে পাইলট প্রকল্পের অধীনে স্মার্ট সিটি করা হবে। এক্ষেত্রে তিন ধাপে ২০২৪, ২০২৫ সালে সেবার স্মার্ট রূাপান্তরের মধ্যেমে ২০২৮ সালের মধ্যে রাজশাহী হবে পেপারলেস ও কন্ট্যাক্টলেস স্মার্ট সিটি। এর মাধ্যমে রাজশাহী হবে সবুজ, পরিচ্ছন্ন, স্বচ্ছ ও নির্মল শহর। এছাড়া আগামী সেপ্টেম্বর মাসে রাজশাহীতে একটি ‘স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলা” করা হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা সংস্কৃতি গড়ে তেলায় স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সারা দেশে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া অনুষ্ঠানে স্মার্ট সিটির দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন এটুআই নীতি উপদেষ্টা আনীর চৌধুরী। বুদ্ধিদীপ্ত প্রবলেম সলভার জাতি হিসেবে স্থানীয়ভাবেই সমস্যার সমাধানে রাজশাহীতে একটি ইনোভেশন ল্যাব স্থাপন এবং জাতিসংঘের শূন্য ডিজিটাল বৈষম্যের শহর হিসেবে রাজশাহীকে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
#
শহিদুল/পাশা/এনায়েত/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/২০৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪১৩
বঙ্গমাতা সাহস, মানসিক শক্তি আর অনুপ্রেরণায় ছিলেন অনন্য
-- শ্রম প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৪ শ্রাবণ (৮ আগস্ট):
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব সাহস, মানসিক শক্তি আর অনুপ্রেরণায় ছিলেন অনন্য।
‘সংগ্রাম-স্বাধীনতা প্রেরণায় বঙ্গমাতা’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এঁর ৯৩ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গমাতার দৃঢ় মানসিকতায় বঙ্গবন্ধু অনেক রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতেন। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গমাতার অনুপ্রেরণার কথা স্মরণ করে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সেদিন বঙ্গমাতার কাছে থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে স্বতস্ফূর্তভাবে বিস্ময়কর সেই ভাষণ দিয়েছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অতি সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুকে বঙ্গবন্ধু হতে প্রেরণা দিয়েছেন, শক্তি-সাহস জুগিয়েছেন। তিনি আজীবন রাজনীতির জন্য, দেশের জন্য, দেশের মানুষের কল্যাণে, নির্যাতিতদের কল্যাণে ভূমিকা রেখেছেন। বঙ্গমাতা বাঙালি নারীদের আদর্শ। জাতির পিতার পাশাপাশি বঙ্গমাতা বাঙালি জাতির হৃদয়ে চিরভাস্মর হয়ে থাকবেন।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ এহছানে এলাহীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফাহমিদা আখতার ও মোঃ সাইফ উদ্দিন আহমেদ, কেন্দ্রীয় তহবিলের মহাপরিচালক ড. মোল্লা জালাল উদ্দিন, নিম্নতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান সিনিয়র জেলা জজ নিয়ামত আলী মোল্লা, যুগ্ম সচিব মোঃ মহিদুর রহমান, মোঃ হুমায়ুন কবীর, মোছা. হাজেরা খাতুন ও মোর্শেদা আক্তার এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মিনা মাসুদ উজ্জামানসহ মন্ত্রণালয়ের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ বঙ্গমাতার জীবনাদর্শের ওপর বক্তৃতা করেন।
পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ ১৫ আগস্টের সকল শহিদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
#
আকতারুল/এনায়েত/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৩/১৯৫০ ঘণ্টা
Handout Number : 412
Commerce Minister of India for continuing
political stability and progress of Bangladesh
New Delhi, 8 August :
Commerce Minister of Government of India and Leader of the House in Rajya Sabha Shri Piyush Goyal MP expresses firm optimism for political stability and progress in Bangladesh. He said that India was always sincere and forthcoming in maintaining excellent relations with Bangladesh. He also gave strong commitment that Indian Government is actively considering to lift all restrictions on essential commodities for the greater benefit of business and commerce of two countries so that Bangladesh government may get a predictable flow of essential commodities in during their needs. Besides, Indian Government is also giving priority on importing essential items from Bangladesh.
The commerce minister of India was expressing these while meeting with Bangladesh Awami League Delegation in his parliament office today.
A delegation of Bangladesh Awami League led by Dr Abdur Razzak, Agricultural Minister, is currently visiting India at the invitation of Bharatiya Janata Party. Other members of the delegation are Dr Hasan Mahmud, Information & Broadcasting Minister, Aroma Dutta MP, Merina Jahan MP and central organising Secretary Sujit Roy Nandi.
They also discussed different political issues of mutual interest. Piyush Goyal assured the delgates that India wants a politically stable Bangladesh. We are always sympathetic to Bangladesh issues. Whatever issues came in during the current regime in Bangladesh, India always takes care with special consideration. Both the leaders expressed optimism to continue and strengthen these partnerships in the days ahead.
The delegation also met G-20 Coordinator and former foreign Secretary of India Harsha Vardhan Shringla today. The meeting was also led by Agriculture Minister Dr Razzak. During the meeting G-20 Coordinator of India Shringla said that Prime Minister Narendra Modi’s foreign policy is Neighbourhood first and Bangladesh is first among all these neighbours. Bangladesh was invited as a guest country for these special relations.
He added that India never wanted any inimical forces to come to power which patronise radicalisation and militancy. India also believes that Bangladesh has progressed tremendously on the last decade under the current leadership.
Earlier, the delegation has visited the national war memorial of India in the morning.
#
Shaban/Pasha/Enayet/Sanjib/Joynul/2023/2030 hour
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪১১
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব-এঁর ৯৩তম জন্মবার্ষিকী
উদ্যাপন উপলক্ষ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আলোচনা সভা
ঢাকা, ২৪ শ্রাবণ (৮ আগস্ট):
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব-এঁর ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় বঙ্গমাতাকে শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেন, বাঙালি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের প্রতিটি ধাপে বঙ্গমাতার অবদান রয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত জন্মভূমিকে শস্য-শ্যামলারূপে গড়ে তুলতে জাতির পিতার পাশে দাঁড়ান বঙ্গমাতা।’ তিনি বলেন, ‘ইতিহাসে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কেবল একজন প্রাক্তন রাষ্ট্রনায়কের সহধর্মিণীই নন, বাঙালির মুক্তি সংগ্রামে অন্যতম এক নেপথ্য অনুপ্রেরণাদাত্রী, রাজনৈতিক সহকর্মী হিসেবে আজীবন প্রিয়তম বঙ্গবন্ধুর ছায়াসঙ্গী ছিলেন।
দেশের জন্য বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে বঙ্গমাতার সারা জীবনের ত্যাগের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ ফজিলাতুন্নেছা আড়ালে থেকে তার গার্হস্থ্য জীবনের কর্তব্য পালন আর মন-মস্তিষ্কে স্বামী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সহযোগিতা করে গেছেন আজীবন। খোকা থেকে শেখ মুজিব। শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু এবং সবশেষে বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা। এগুলোর পেছনে আজীবন স্বামীকে সাহস জুগিয়েছেন শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, দিয়েছেন অনুপ্রেরণা ও গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ।’
বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গমাতা অবিচ্ছেদ্য সত্তা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ -এক অমর কবিতার নাম। আর সেই মহাকাব্য রচনায় যে নারীর অবদান অনস্বীকায, যিনি সোনার বাংলা বিনির্মাণে আড়ালে অন্তরালে থেকে রেখে গেছেন অসামান্য অবদান, তিনি হলেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। বঙ্গবন্ধু, বাঙালি ও বাংলাদেশ যেমন একই সূত্রে গ্রথিত, তেমনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবও পরস্পর অবিচ্ছেদ্য নাম।
রাজনীতিতে বঙ্গমাতার দূরদ