Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৬ August ২০২১

তথ্যবিবরণী ১৬ আগস্ট ২০২১

তথ্যবিবরণী                                                                                                               নম্বর : ৩৯২৭

বঙ্গবন্ধু বহু শতাব্দীর মহানায়ক

                     -- সমাজকল্যাণ মন্ত্রী

ঢাকা, ১ ভাদ্র (১৬ আগস্ট) :

          সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অবিলুপ্ত একটি জাতিসত্তার পুনরুদ্ধারকারী। তিনি নব্য বাংলার জনক। বঙ্গবন্ধুকে বলা হয়ে থাকে শতাব্দীর মহানায়ক, আসলে তিনি বহু শতাব্দীর মহানায়ক।

          মন্ত্রী আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২১ উপলক্ষে নর্দান বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

          আলোচনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে যুক্ত ছিলেন, নর্দান বিশ^বিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবু ইউসুফ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, প্রফেসর নজরুল ইসলাম ও প্রফেসর আনোয়ারুল করিম প্রমুখ।

          মন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ নিয়ে আলোকপাত করতে গিয়ে বলেন, তিনি সাহসিকতার সাথে আজীবন আন্দোলন ও সংগ্রাম করে পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে সফলতা লাভ করেছেন। একজন মানুষ একটি ইতিহাস সৃষ্টি করতে পারেন, আবার ইতিহাসও তার প্রয়োজনে একজন মানুষের আবির্ভাব ঘটাতে পারে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমনি একজন মানুষ ইতিহাসের প্রয়োজনে তার আবির্ভাব। আবার তিনি ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায় যোগ করে গেছেন। নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করে গেছেন।

          নুরুজ্জামান আহমেদ আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশকে মাত্র সাড়ে তিন বছরে স্বল্পোন্নত দেশে উন্নীত করেছিলেন। আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। শীঘ্রই বাংলাদেশ উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে উঠবে; জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ হবে।

#

জাকির/সাহেলা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২১/২২২০ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                               নম্বর : ৩৯২৬

জাতি হিসেবে আমাদের কলঙ্ক মোচনের জন্যই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সাজা নিশ্চিত করা জরুরি

                                                                                                  -- আইনমন্ত্রী

আম্মান, (জর্ডান) (১৬ আগস্ট) :

          জর্ডানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবসের ধারাবাহিক অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে ১৬ আগস্ট একটি ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়েছে। আম্মানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে বছরব্যাপী ওয়েবিনার সিরিজ আয়োজন করছে। শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষ্যে আয়োজিত এই ওয়েবিনারটি দূতাবাসের ৮ম আয়োজন।  

          ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জর্ডানের প্রিন্সেস বাসমা বিন্তে আলী এবং বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাসিমা বেগম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রোভিসি প্রফেসর নাসরিন আহমেদ উক্ত ওয়েবিনারে গেস্ট অভ্ অনার হিসেবে বিশেষ বক্তব্য রাখেন। রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ওয়েবিনারে অন্যান্যদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি গবেষক মফিদুল হক এবং সাংবাদিক সৈয়দ বদরুল আহসান বক্তব্য রাখেন।   

          মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা বিশ্ব ইতিহাসে মানবাধিকার ও মানবতার এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। হত্যার বিচার বন্ধে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি পৃথিবীর ইতিহাসেও বিরল। একটি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টাকে তাঁর পরিবার এমনকি শিশুসন্তানসহ হত্যা বর্বরতার এক নিকৃষ্ট উদাহরণ। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় খুনিদের পুনর্বাসন করা হয়েছে। হত্যাকারীদের বিচার না করার প্রবণতা রাষ্ট্রের মানবাধিকার ও আইনের প্রতি চরম হুমকি। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসেই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের উদ্যোগ নেয়। প্রচলিত ব্যবস্থায়ই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার সম্পন্ন করে খুনিদের রায় কার্যকরের উদ্যোগ নেয়া হয়। আইনের শাসন ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ও রায় কার্যকর করা প্রয়োজন। জাতি হিসেবে আমাদের কলঙ্ক মোচনের জন্যই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সাজা নিশ্চিত করা জরুরি এবং এই বিষয়ে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আশার কথা হলো দেরিতে হলেও বাংলাদেশ আইনের শাসনকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে। আজকের বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা যার হাত ধরে এগিয়ে চলেছে তা বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বের ফসল। নিরলসভাবে তিনি বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকেই বাস্তবায়ন করে চলেছেন।

          জর্ডানের প্রিন্সেস বাসমা বিন্তে আলী বলেন, বাংলাদেশের অস্তিত্ব এবং শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের কারিগর ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। এমন একজন নেতা, একজন দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ককে হত্যা সত্যিই হতাশা ও বেদনাদায়ক। তিনি বঙ্গবন্ধুর আত্মার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। প্রিন্সেস বাসমা বিন্তে আলী বাংলাদেশের বর্তমান অগ্রযাত্রার সাফল্যও কামনা করেন। 

          অনুষ্ঠানের সঞ্চালক রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান তাঁর স্বাগত বক্তব্যের প্রারম্ভে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের নিহত সকল শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

#

সাহেলা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২১/২২১৫ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর :  ৩৯২৫

 

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ১ ভাদ্র (১৬ আগস্ট) :

 

            স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৩ হাজার ১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬ হাজার ৯৫৯ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৪ লাখ ২৫ হাজার ৮৬১ জন। 

 

          গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭৪ জন-সহ এ পর্যন্ত ২৪ হাজার ৩৪৯ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।

 

          করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৩ লাখ ১ হাজার ৯৬৬ জন।

 

#

ফেরদৌস/সাহেলা/সঞ্জীব/সেলিম/২০২১/২১৩০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ৩৯২৪

জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশন শুরু ১ সেপ্টেম্বর

ঢাকা, ১ ভাদ্র (১৬ আগস্ট) :

          রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১ সেপ্টেম্বর রোজ বুধবার বিকাল ৫ টায় একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্দশ (২০২১ খ্রিস্টাব্দের ৪র্থ) অধিবেশন আহ্বান করেছেন।

          রাষ্ট্রপতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ অধিবেশন আহ্বান করেন।

#

তারিক/সাহেলা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২১/২১৩০ঘণ্টা 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                               নম্বর : ৩৯২৩

বঙ্গবন্ধুকে হারানোর সেই দুঃসহ স্মৃতি এখনও বয়ে বেড়াচ্ছে গোটা জাতি 

                                                                                                    -- অর্থমন্ত্রী

ঢাকা, ১ ভাদ্র (১৬ আগস্ট) :

          আগস্ট মাস বাঙালির জীবনে শোকাহত ও অভিশপ্ত মাস, বেদনা আর শোকের দুর্বিষহ স্মৃতির মাস। ঘাতকদের উদ্যত অস্ত্রের সামনে ভীতসন্ত্রস্ত বাংলাদেশ বিহ্বল হয়ে পড়েছিল শোকে আর অভাবিত ঘটনার আকস্মিকতায়। কাল থেকে কালান্তরে জ্বলবে এ শোকের আগুন। বিশাল হৃদয়ের যে মানুষটিকে কারাগারে বন্দি রেখেও পাকিস্তানি হানাদাররা স্পর্শ করার সাহস দেখাতে পারেনি, অথচ স্বাধীন বাংলার মাটিতে নির্মমভাবে সপরিবারে তাঁকে জীবন দিতে হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হারানোর সেই দুঃসহ স্মৃতি এখনও বয়ে বেড়াচ্ছে গোটা জাতি।

          অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আজ ঢাকায় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আয়োজিত স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

          মন্ত্রী বলেন, স্বায়ত্তশাসন থেকে স্বাধিকার, স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা আন্দোলনের উত্তরণ এ সমস্ত কিছুর অগ্রভাগে ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তিনি ছিলেন আন্দোলনের স্থপতি। তিনি আরো বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের ক্ষতির পরিমাণ এবং ভয়াবহতা ছিল অবর্ণনীয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবমতে, সারাদেশের মানুষের হাতে তখন মাত্র চার কোটি টাকার মতো ছিল। বৈদেশিক মুদ্রার কোনো মজুত বাংলাদেশ ব্যাংকে ছিল না। এমন একটি বিধ্বস্ত অবস্থা থেকে বাংলাদেশকে দাঁড় করাতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। একটি ধ্বংসস্তুপের ছাই থেকে শুরু করেন বঙ্গবন্ধু, তার নেওয়া সেসব যুগান্তকারী পদক্ষেপের সুফল বাংলাদেশের মানুষ ভোগ করে চলেছে, যার ভিত্তিভূমির ওপর আজ দাঁড়িয়ে আছে দেশের উন্নয়ন ও অর্থনীতি। সোনার বাংলা গঠনের মজবুত ভিত বঙ্গবন্ধুর হাতেই তৈরি।

          বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. মোশাররফ হোসেন এফসিএ’র সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন।

          অনুষ্ঠানে ১৫ই আগস্টের সকল শহিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করা হয়।

#

তৌহিদুল/সাহেলা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২১/২১০০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ৩৯২২

দেশের জন্য ত্যাগ কোনোদিন বৃথা যায় না

                             -- শ্রম প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১ ভাদ্র (১৬ আগস্ট) :

          শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, দেশের জন্য ত্যাগ স্বীকার করলে তা কোনদিন বৃথা যায় না। দেশের জন্য বঙ্গবন্ধুর ত্যাগকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে তাঁর আদর্শকে বুকে ধারণ দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে অবদান রাখতে হবে।

          আজ রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনের সম্মেলনকক্ষে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনাসভা ও  দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর কাছে বাঙালি জাতি চিরঋণী। জাতি কোনোদিনই এ ঋণ শোধ করতে পারবে না। সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ। ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তাঁর আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি। জাতির পিতা ছিলেন মানবতার ফেরিওয়ালা। মহানুভব বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে আত্মনিয়োগ করতে হবে। আজকে সবাইকে শপথ নিতে হবে ১৫ আগস্টের শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।

          আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিলে মন্ত্রণালয়ের সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সাকিউন নাহার বেগম এর সভাপতিত্বে শ্রম আলীপ ট্রাইব্যুনাল এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ ফারুক, নিম্নতম মজুরি বোর্ড এর চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ অতিরিক্ত সচিব জেবুন্নেছা করিম,  কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো নাসির উদ্দীন আহমেদ, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গৌতম কুমারসহ মন্ত্রণালয় এর অধীনস্থ অধিদপ্তর, দপ্তর-সংস্থাসমূহের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

          অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ৭৫ সালের ১৫ আগস্টে শাহাদতবরণকারী সকল শহিদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

#

আকতারুল/সাহেলা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২১/২০৫৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর :  ৩৯২১

 

সপরিবারে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেও

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য ওরা বাংলাদেশকে খুন করতে পারেনি

                                               -- ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

 

ঢাকা, ১ ভাদ্র (১৬ আগস্ট) :

 

          ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে ও জাতীয় চার নেতাকে  হত্যার মূল উদ্দেশ্যই ছিলো বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে খুন করা। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতে তার নীতি ও আদর্শ প্রতিষ্ঠায় যাতে কেউ নেতৃত্ব দিতে না পারে সে জন্য স্ত্রী-সন্তানসহ নিকটাত্মীয় এমনকি জেল খানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার জন্য তাদের উদ্দেশ্য সফল হয়নি। তিনি ও তার বোন শেখ রেহানা ঘটনাচক্রে দেশের বাইরে থাকায় তারা বেঁচে যাওয়ায় পাকিস্তানি ষড়যন্ত্রকারীদের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। পঁচাত্তরের পর ৬ বছরের শরণার্থী জীবন ও  ৮১ সালে দেশে ফেরার পর ১৫ বছর মরণপণ যুদ্ধ করে ২১ বছরের জঞ্জাল অপসারণ করে শেখ হাসিনার হাত ধরেই বঙ্গবন্ধু ঘোষিত অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বিস্ময়।

 

          মন্ত্রী আজ ঢাকায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

 

          টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোঃ কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মোঃ আফজাল হোসেন, বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মুহাম্মদ আবদুল হান্নান, বিটিসিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোঃ রফিকুল মতিন, টেলিটক-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাহাব উদ্দিন বক্তৃতা করেন।

 

          মন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লবকে শোষণ-বঞ্চনা,ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমূক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু পুঁজিবাদ, সাম্রাজ্যবাদ ও শোষকদের বিরুদ্ধে আঘাত করেছিলেন। শোষিত ও বঞ্চিতদের পক্ষে বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ নিয়েছিলেন বলেই তাকে দেশি বিদেশি চক্রান্তে হত্যা করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রপরিচালনার চার মূলনীতির মধ্যে জাতীয়তাবাদ নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করা হয়েছে, সমাজতন্ত্র উচ্চারিত হয়নি এবং ধর্মনিরপেক্ষতাকে বারবার আঘাত করা হচ্ছে। তিনি  বলেন,  দেশের অগ্রগতিতে বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ৯৬ থেকে ২০০১ ও গত ১২ বছরে অভাবনীয় উচ্চতায় বাংলাদেশকে উন্নীত করেছেন। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বিশ্বের রোল মডেল। বঙ্গবন্ধু  শোষিত, বঞ্চিত, অসহায় দরিদ্র মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন। তারই সুযোগ্য উত্তরসূরি জননেত্রী শেখ হাসিনা গ্রাম ও শহরের মধ্যে বৈষম্য দূর করতে কাজ করছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুসারীদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে বেগবান করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

         #

শেফায়েত/সাহেলা/সঞ্জীব/সেলিম/২০২১/২০৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর :  ৩৯২০

 

ইতিহাস বিশ্লেষণ করে নতুন প্রজন্মকে আলোকিত করতে হবে

                                                   -- প্রধানমন্ত্রীর খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা 

 

ঢাকা, ১ ভাদ্র (১৬ আগস্ট) :

 

          প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বীর বিক্রম বলেছেন, ইতিহাস বিশ্লেষণ করে নতুন প্রজন্মকে আলোকিত করতে হবে। বাংলাদেশের সংস্কৃতি-ভাষা-চেতনা বঙ্গবন্ধুর সমার্থক। এ সময় তিনি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে বাংলাদেশের প্রতি পাকিস্তানিদের বৈষম্য আলোকপাত করেন।

 

          উপদেষ্টা আজ জাতীয় শোক দিবস-২০২১ উপলক্ষ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়ন: বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আরো গবেষণা করা প্রয়োজন।

 

          অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর শাসনামলেই উন্নত বাংলাদেশের শক্ত ভিত নির্মিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নির্ভর একটি সময়োপোযোগী আধুনিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। বাস্তবায়ন করেছিলেন হাজারো কর্মসূচি। এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্যাস ক্ষেত্র ক্রয় করে; জ্বালানি তেলের মজুত, সরবরাহ ও বিতরণে কোম্পানি গঠন করে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অপরিসীম অবদান রেখেছেন। বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণের জন্য গঠন করেছিলেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।

 

          প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপকল্প-২০২১, রূপকল্প-২০৪১, ব-দ্বীপ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। তাঁর নেতৃত্বেই প্রায় সমগ্র দেশ বিদ্যুৎ খাতের আওতায় এসেছে; মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে; ২০৪১ সালের পূর্বেই উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হবে।

 

          জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম ওয়াসিকা আয়েশা খান, বিদ্যুৎ সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)-এর চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোঃ বেলায়েত হোসেন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান এবিএম আব্দুল ফাত্তাহ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা লে. কর্নেল কাজী সাজ্জাদ আলী জহির (অব:) বীর প্রতীক সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন।  

#

আসলাম/সাহেলা/সঞ্জীব/সেলিম/২০২১/১৯৫০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর :  ৩৯১৯

 

ঢাকা বিভাগে ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত

 

ঢাকা, ১ ভাদ্র (১৬ আগস্ট) :

 

          করোনা ভাইরাস মহামারি পরিস্থিতিতে  মানবিক সহায়তা হিসেবে  সরকারের পক্ষ হতে দেশব্যাপী ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। গতকাল ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।

 

          নরসিংদী  জেলায় ত্রাণ হিসেবে  নগদ এক লাখ ৩৭ হাজার  ৫০০ টাকা,  ১২৬ দশমিক ৫০০ মে. টন চাল এবং  ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ১ হাজার ৩৭৬ দশমিক ৫৯০ মে. টন চাল বিতরণ করা হয়। এছাড়া ৩৩৩ কলের মাধ্যমে ১ হাজার ৬৬টি পরিবার ও ৫ হাজার ৩৩০ জনকে  আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

 

          গোপালগঞ্জ জেলায় ত্রাণ হিসেবে  ১০ লাখ টাকা নগদ,  ১৮৯ দশমিক ৮৪০ মে. টন চাল, এবং ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ৮৯৩ দশমিক ৬৩ মে. টন চাল, ৩৩৩ কলের মাধ্যমে ১ হাজার ৮৬০ পরিবার ও ৮ হাজার ৩৭০ জনকে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।  

 

          মুন্সিগঞ্জ  জেলায়  ত্রাণ হিসেবে নগদ ৮ লাখ টাকা এবং ১১৯ মে. টন চাল, ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ৬২৩ দশমিক ১৫০ মে. টন চাল এবং ৩৩৩ কলের মাধ্যমে ৫৮টি পরিবার এবং ২৩২ জন লোককে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

 

          কিশোরগঞ্জ জেলায় ত্রাণ হিসেবে ২৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা নগদ এবং ৩২১ মে. টন চাল বিতরণ করা হয়। এছাড়া ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ১ হাজার ১০০ দশমিক ৩১০ মে. টন চাল বিতরণ করা হয়। ৩৩৩ কলের মাধ্যমে ৪৮২টি পরিবার ও ২ হাজার ৪১০ জনকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

 

          সংশ্লিষ্ট  জেলার  জেলা তথ্য অফিসসমূহ ঢাকা বিভাগীয়  তথ্য অফিসের মাধ্যমে  এসব তথ্য জানিয়েছে।

#

আনোয়ার/সাহেলা/সঞ্জীব/সেলিম/২০২১/১৯৪০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর :  ৩৯১৮

বাগেরহাট জেলায় অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত

ঢাকা, ১ ভাদ্র (১৬ আগস্ট) :

 

          কোভিড-১৯ এর সংক্রমণজনিত মহামারিকালে অসহায়, কর্মহীন ও বিভিন্ন শ্রেণির প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে সরকারি ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।

 

          বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আজ ৩৩৩ হেল্পলাইনে কল করার ফলে ৫৩টি পরিবারের ২২৩ জন সদস্যের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।

 

          জেলা তথ্য অফিসার, বাগেরহাট প্রেরিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গিয়েছে।

#

দীপংকর/সাহেলা/সঞ্জীব/সেলিম/২০২১/১৯৩৫ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ৩৯১৭

 দেশে আর কোনো ভ্যাকসিন ঘাটতি থাকবে না

                                           -- স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ১ ভাদ্র (১৬ আগস্ট) :

          স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, চীন বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু রাষ্ট্র। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় চীন সবসময়ই বাংলাদেশের পাশে বন্ধুর মতো হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। আজকের চীন-বাংলাদেশ ভ্যাকসিন চুক্তির মাধ্যমে দেশে ভ্যাকসিনের ঘাটতি মেটাতে চীন আরেকবার তার বন্ধুত্বের গভীরতা প্রমাণ করেছে। এই চুক্তি দেশের জন্য এক বিরাট মাইলফলক হয়ে থাকবে। দেশের ৮০ ভাগ মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে আজকের এই চুক্তি বিরাট ভূমিকা পালন করবে এবং দেশে আর কোন ভ্যাকসিন ঘাটতি থাকবে না। তবে ভ্যাকসিন উৎপাদন কার্যক্রম পুরোপুরি শুরুর আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ চীন, রাশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী দেশের কাছ থেকে ভ্যাকসিন গ্রহণ কাজ চলমান রাখবে।

          আজ রাজধানীর মহাখালীর বিসিপিএস অডিটোরিয়াম হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত চীনের সিনোফার্ম ভ্যাকসিন যৌথভাবে উৎপাদনের লক্ষ্যে সিনোফার্ম, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লিমিটেডের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

          এই চুক্তির ফলে বাংলাদেশ খুব তাড়াতাড়ি দেশেই ভ্যাকসিন উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করতে পারবে বলে জানান মন্ত্রী। ভ্যাকসিনের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে এসময় মন্ত্রী আরো জানান, দেশে এ পর্যন্ত বিভিন্ন মাধ্যম থেকে প্রায় ৩ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন চলে এসেছে। যা থেকে ১ম ধাপে দেড় কোটি ডোজ এবং ২য় ধাপে ৫৪ লাখ ডোজ মানুষ গ্রহণ করেছে। অবশিষ্ট ১ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন এই মুহুর্তে দেশে মজুত আছে। এ মাসের ২২ তারিখের পর চীন থেকে সিনোফার্মের আরো ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেশে আসবে। চীনের পাশাপাশি রাশিয়ার কাছ থেকেও আরো ভ্যাকসিন নেয়া হবে। সুতরাং ভ্যাকসিন নিয়ে আগামীতে আরো কোন ঘাটতিতে থাকবে না বাংলাদেশ।

          দেশের ৮০ ভাগ মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়ার অর্থ হচ্ছে ১৩ কোটি মানুষের জন্য মোট ২৬ কোটি ভ্যাকসিন প্রস্তুত রাখতে হবে। এই বিশাল সংখ্যক ভ্যাকসিন চাহিদা পূরণ করতে চীনের সাথে বাংলাদেশের আজকের এই চুক্তিটি অনেক বড় ভূমিকা রাখবে বলেও মন্ত্রী তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন। এক্ষেত্রে মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চীনের সাথে চুক্তিসহ কোভিড মোকাবিলায় সকল কাজে নেতৃত্ব দেবার জন্য বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ও ধন্যবাদ জানান।

          স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় গেস্ট অভ্ অনার হিসেবে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীনের সাথে এই ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু করতে সরকার দিনরাত নিরলস কাজ করেছে। আজ সেই স্বপ্ন পূরণ হলো। এই চুক্তির ফলে এখন থেকে বাংলাদেশেই কোভিড ভ্যাকসিন উৎপাদন হবে এবং খুব দ্রুতই দেশে মানুষের আবারও স¦াভাবিক জীবনযাত্রা শুরু হবে।

          অনুষ্ঠানে চীনের সিনোফার্ম ভ্যাকসিন বাংলাদেশ যৌথভাবে উৎপাদনের লক্ষ্যে সিনোফার্ম, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং ইনসেপ্টা ভ্যাকসিনের পক্ষ থেকে যথাক্রমে সমঝোতা স্বাক্ষর করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং এবং ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লিমিটেড ও ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুল মুক্তাদির।

#

মাইদুল/সাহেলা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২১/২০২০ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর :  ৩৯১৬

 

জাতীয় চিড়িয়াখানাকে মাস্টারপ্ল্যানের মাধ্যমে আধুনিক ও বিশ্বমানে রূপান্তর করা হবে

                                                                   -- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

ঢাকা, ১ ভাদ্র (১৬ আগস্ট) :

 

          বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানাকে মাস্টারপ্ল্যানের মাধ্যমে আধুনিক ও বিশ্বমানে রূপান্তর করা হবে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

 

          আজ রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা প্রাঙ্গণে চিড়িয়াখানায় সম্প্রতি জন্ম নেওয়া দু’টি বাঘ শাবকের নামকরণ, নিবন্ধন ও দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্তকরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী একথা জানান।

 

          এ সময় গত ২৬ মে ২০২১ তারিখে চিড়িয়াখানায় নতুন জন্ম নেওয়া পুরুষ বাঘ শাবকের নাম ‘দুর্জয়’ এবং মেয়ে বাঘ শাবকের নাম ‘অবন্তিকা’ রাখেন মন্ত্রী।

 

          এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ডের চিড়িয়াখানার আদলে জাতীয় চিড়িয়াখানাকে গড়ে তোলা হবে। এ লক্ষ্যে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের কাজ চলমান রয়েছে। এ কাজে সিঙ্গাপুরের কনসালটেন্ট নিয়োগ করা হয়েছে। চিড়িখানায় প্রাণীদের সাফারি পার্কের মতো করে রাখা হবে। চিড়িখানার ভেতরে আলাদা আলাদা জোন তৈরি করে একই জাতীয় প্রাণী বা পাখিদের একই জোনে রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। চিড়িয়াখানা পূর্বের তুলনায় সুসজ্জিত করা হয়েছে, অবকাঠামো উন্নয়ন করা হয়েছে, দর্শনার্থীদের জন্

2021-08-16-16-28-ae695bd4e21971386d0d62a99bd44064.doc