তথ্যবিবরণী নম্বর: ২০৩২
শ্রম শিল্পের উন্নতি ও সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
- শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা
ঢাকা, ৩০ অগ্রহায়ণ (১৫ ডিসেম্বর):
শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, শ্রম খাতে স্বচ্ছতা, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য দৃঢ় অঙ্গীকারসহ শ্রম শিল্পের উন্নতি ও সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
আজ উপদেষ্টার সাথে তাঁর কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত Nicolas Weeks সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তাঁরা বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের দেশ এখন কর্ম পরিবেশ উন্নত করার লক্ষ্যে একটি রূপান্তর প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন সেক্টরে সংস্কার কমিশন গঠন করেছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো শ্রম সংস্কার কমিশন। তিনি আরো বলেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে আইএলও এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে কয়েকটি বৈঠক করেছে। বৈঠকে আইএলও প্রতিনিধিবৃন্দ আশ্বস্ত হয়েছেন যে, সরকার ত্রিপক্ষীয় পরামর্শমূলক কাউন্সিল এবং আরএমজি সাথে জাতীয় এবং সেক্টরাল পর্যায়ে ত্রিপক্ষীয় সামাজিক সংলাপ প্ল্যাটফর্মগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ।
সাখাওয়াত হোসেন আরো বলেন, পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট পাঁচ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে নয় শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। শ্রমিক এবং মালিকপক্ষের প্রতিনিধিরা যৌথভাবে একমত হয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা ১ ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে কার্যকর হয়েছে বলে তিনি সুইডেনের রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন।
এ সময় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এএইচএম শফিকুজ্জামান জানান চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে শ্রমিকদের উত্থাপিত ১৮ দফা দাবি মেটাতে ও আন্তর্জাতিক মানের সাথে সামঞ্জস্য করতে আগামী বছরের মার্চের মধ্যে শ্রম আইন সংশোধন হবে।
সাক্ষাৎকালে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত শ্রম আইন সংশোধনে ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যান, নারী শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রে হয়রানি বন্ধে ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এ সময় সুইডেন দূতাবাসের এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
মালেক/রানা/শামীম/২০২৪/২২২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২০৩১
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সভায় বাংলাদেশ টেলিভিশন ও
বেতারের সমন্বয়ে সম্প্রচার কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে অভিমত
ঢাকা, ৩০ অগ্রহায়ণ (১৫ ডিসেম্বর):
বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের সমন্বয়ে সম্প্রচার কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা এবং সেটিতে কর্তৃপক্ষের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন প্রয়োজন। আজ ঢাকায় তথ্য ভবনে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের কার্যালয়ে বাংলাদেশ বেতারের সাবেক মহাপরিচালকগণের সঙ্গে কমিশনের মতবিনিময় সভায় এ অভিমত দেওয়া হয়।
সভায় কমিশনপ্রধান কামাল আহমেদ বলেন, গণমাধ্যমকে স্বাধীন, শক্তিশালী ও বস্তুনিষ্ঠ করতে যা যা করা প্রয়োজন, তা করতে হবে। গণমাধ্যমের মধ্যে একটা বড়ো অংশ হচ্ছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হিসাবে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সংবাদ ও অনুষ্ঠানে বহুমত বা ভিন্নমতের প্রতিফলন থাকা প্রয়োজন।
মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ বেতারের সাবেক মহাপরিচালক মোঃ মাহবুবুল আলম জানান, বেতার কি এখনো আছে বা চলে, এটা সাধারণ শ্রোতার প্রশ্ন। নীতিনির্ধারক এবং সর্বোচ্চ পর্যায়ের মানুষও এ প্রশ্ন করে থাকেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বেতারের কৃষিবিষয়ক অনুষ্ঠান ও ওয়ার্ল্ড নিউজ খুব জনপ্রিয় ছিল।
বাংলাদেশ বেতারের আরেক সাবেক মহাপরিচালক মোঃ নাসির উদ্দিন আহমেদ জানান, বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন যতদিন সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকবে, ততদিন সরকারের নির্দেশনায় অনুষ্ঠান ও সংবাদ প্রচার করতে হবে। কোনো কোনো সময় স্থানীয় এমপিদের সংবাদ প্রচার না করলে তাঁরা উষ্মা প্রকাশ করতেন। যদি কোনো সম্প্রচার কমিশন থাকে, তাহলে এই মানসিকতার পরিবর্তন হবে।
সভায় বাংলাদেশ বেতারের সাবেক মহাপরিচালক শাহজাদী আঞ্জুমান আরা বলেন, অনুষ্ঠান ও সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে অলিখিত নির্দেশনা ছিল। কেউ কেউ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীকে খুশি করার জন্য অনুষ্ঠান ও সংবাদ প্রচার করতো। সাবেক মহাপরিচালক নারায়ন চন্দ্র শীল জানান, সংস্কার হতে হবে; সেই সংস্কারের ফল যদি গ্রামের কৃষক পর্যন্ত পৌঁছায়, সেটা হলো আসল সংস্কার। বেতারের এখনো হাজার হাজার শ্রোতা আছে, যেখানে বিদ্যুৎ নেই সেখানে মানুষ বেতার শোনে। সাবেক মহাপরিচালক খাদিজা বেগম জানান, বেতারে সংস্কার করা দরকার। বেতারে তথ্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা কাজ করেন। তাদের দক্ষ করে তৈরি করতে একটি নেতৃত্ব প্রয়োজন।
সভায় বাংলাদেশ বেতারের সাবেক মহাপরিচালক মোঃ মজিবুর রহমান জানান, সম্প্রচারের ক্ষেত্রে গত ২০ বছরে যে প্রসার হয়েছে, সে মোতাবেক আমাদের যুগোপযোগী সম্প্রচার আইন ও নীতিমালা প্রয়োজন। সাবেক মহাপরিচালক নাসরুল্লাহ মোঃ ইরফান বলেন, বাংলাদেশ বেতার এখন নিউ মিডিয়াতে চলে এসেছে। বেতারে হাজারো সৃজনশীল অনুষ্ঠান আছে। স্বায়ত্তশাসনের ক্ষেত্রে বেতারের সীমাবদ্ধতার বিষয়গুলো বিবেচনা করা প্রয়োজন।
মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ বেতারের সাবেক মহাপরিচালক রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া জানান, বাংলাদেশ বেতারের সৃষ্টিকাল থেকে এ যাবৎ কখনো কোনো গবেষণা করা হয়নি। এটি করা উচিত ছিল। সাবেক মহাপরিচালক মোঃ ছালাহ্ উদ্দিন বলেন, নব্বইয়ের দশকে বেতারের অনুষ্ঠানসমূহ যেভাবে মনিটরিং করা হতো, বর্তমানে সেভাবে মনিটরিং হয় না।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে কমিশনের সদস্য শামসুল হক জাহিদ, আখতার হোসেন খান, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, টিটু দত্ত গুপ্ত ও কামরুন্নেসা হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
#
মামুন/মেহেদী/পবন/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৪/২০৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২০৩০
ছিনতাই কমিয়ে আনতে পুলিশকে টহল বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে
- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ঢাকা, ৩০ অগ্রহায়ণ (১৫ ডিসেম্বর):
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, রাজধানীতে ছিনতাই-সহ বিভিন্ন অপরাধের মাত্রা কমিয়ে আনতে পুলিশকে টহল বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শেষ রাতের দিকে সাধারণত ছিনতাই বেশি হয়। সেজন্য পুলিশকে শেষ রাতে টহল বাড়ানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ছিনতাই যাতে শূন্যের কোটায় নেমে আসে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উপদেষ্টা আজ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ৫ম সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিষয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন যে অবস্থায় আছে তার থেকে আরো উন্নতি করতে হবে। যেকোনো পরিস্থিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরো উন্নত করতে হবে। তিনি বলেন, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস যাতে সবাই নির্বিঘ্নে ও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় উৎসবমুখর পরিবেশে উদ্যাপন করতে পারে, সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বিশ্ব ইজতেমা প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, বিশ্ব ইজতেমা বিষয়ে দুই পক্ষ (সাদ ও যোবায়ের গ্রুপ)-এর সঙ্গে আগামী ১৮ ডিসেম্বর আবার বৈঠক হবে। গতবার যেভাবে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবারও সেভাবেই অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে করণীয়, বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, সার্বিক নিরাপত্তা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস, ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন এবং ৩১ ডিসেম্বর থার্টি ফার্স্ট নাইট উদ্যাপন উপলক্ষ্যে সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনা, মাদকের অপব্যবহার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ-সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
স্বরাষ্ট উপদেষ্টার সভাপতিত্বে সভায় আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
ফয়সল/মেহেদী/পবন/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/১৯৩৫ঘণ্টা
Handout Number: 2029
Action to be taken against river, and forestland encroachers
- Environment Advisor
Dhaka, 15 December :
Syeda Rizwana Hasan, Advisor to the Ministry of Environment, Forest, Climate Change, and Water Resources, stated that strict action will be taken against those encroaching on rivers and forestlands. She emphasized that the government is working tirelessly to keep the environment free from pollution. Development activities are being conducted in line with public expectations, avoiding destructive practices, and moving towards sustainable development.
She made these remarks on the evening of December 15 while virtually attending as the Chief Guest at the inauguration of the "Eco Leaders Youth Empowering Initiative on Environment, Climate, and Renewable Energy for Bangladesh," held at the Bangladesh Military Museum, with her participation facilitated from Pan Pacific Sonargaon.
The Advisor emphasized that climate change is causing Bangladesh to face issues including droughts, floods, and salinity. She called on young people and members of all social groups to step up and address this problems together, guaranteeing solutions via teamwork.
Earlier in the afternoon, she addressed a program organized to observe International Human Rights Day at the NGO Affairs Bureau auditorium in Agargaon as the Chief Guest. She remarked that the current government has taken various initiatives to uphold human rights and that commissions are actively working on necessary reforms. She assured that women would be included in the National Adaptation Plan (NAP) to combat climate change effectively.
The program was presided over by Shaheen Anam, Executive Director of the Manusher Jonno Foundation. Other notable speakers included Corinne Henchoz Pignani; Chargée d'affaires, Embassy of Switzerland to Bangladesh; Nicolas Weeks, Ambassador of Sweden to Bangladesh; Md Anwar Hossain, DG of NGO Affairs Bureau; Barrister Sara Hossain, Executive Director, BLAST, & Member, Women Rights Reform Commission; Sharmin Neelormi, Professor, Jahangirnagar University, & Member, White Paper Commission spoke among others.
#
Dipankar/Mehedi/Paban/Sanjib/Shamim/2024/1900hour
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২০২৮
নদী ও বনভূমি দখলকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে
- পরিবেশ উপদেষ্টা
ঢাকা, ৩০ অগ্রহায়ণ (১৫ ডিসেম্বর):
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, নদী ও বনভূমি দখলকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ধ্বংসাত্মক উন্নয়ন এড়িয়ে টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে হবে।
উপদেষ্টা আজ বাংলাদেশ মিলিটারি জাদুঘরে আয়োজিত ‘ইকো লিডার্স ইয়ুথ এমপাওয়ারিং ইনিশিয়েটিভ অন এনভায়রনমেন্ট, ক্লাইমেট অ্যান্ড রিনিউঅ্যাবল এনার্জি ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মসূচিতে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ বন্যা, খরা ও লবণাক্ততার মতো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। এসব মোকাবিলায় যুবসমাজ-সহ সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সব সমস্যার সমাধান সম্ভব।
এর আগে উপদেষ্টা আগারগাঁও এনজিও বিষয়ক ব্যুরোতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার মানবাধিকার রক্ষায় বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য কমিশনগুলো কাজ করছে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার ন্যাপ পরিকল্পনায় নারীদের সম্পৃক্ত করা হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম। এছাড়া বক্তব্য দেন সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স করিন হেনচোজ পিগনানি, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস, এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক মোঃ আনোয়ার হোসেন, ব্যারিস্টার সারা হোসেন প্রমুখ।
#
দীপংকর/মেহেদী/পবন/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/১৯২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২০২৭
উৎপাদন বাড়াতে খাদ্যকে অনিরাপদ করা যাবে না
- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
কক্সবাজার, ৩০ অগ্রহায়ণ (১৫ ডিসেম্বর):
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, উৎপাদন বাড়াতে সরকার চেষ্টা করছে। কিন্তু উৎপাদন বাড়াতে খাদ্যকে অনিরাপদ করা যাবে না। কীটনাশকের ব্যবহার করে খাদ্যের পুষ্টিগুণ নষ্ট করা যাবে না। মানুষের পুষ্টি নিরাপত্তা ও সুস্থতা নিশ্চিত করা জরুরি।
আজ কক্সবাজারস্হ সায়মন বিচ রিসোর্টে জেলা পর্যায়ে বহুখাতভিত্তিক পুষ্টিসেবা বাস্তবায়নের সুযোগ, অভিজ্ঞতা ও প্রতিবন্ধকতা বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে বড় বাধা শিল্পকারখনার দূষণ। নদী-সমুদ্রেও দূষণ হচ্ছে। মাছের মধ্যেও মাইক্রো প্লাস্টিক পাওয়া যাচ্ছে। অনেকে এখন জিঙ্কসমৃদ্ধ চালের কথা বলছেন। জিঙ্ক ঘাটতি আছে কি না তা না দেখে এই চাল খাওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত। গোল্ডেন রাইসের বিরোধীতা করছি। আমাদের জিঙ্কের ঘাটতি পূরণে অনেক খাবার আছে। সেগুলোর উৎপাদন বাড়াতে হবে। পুষ্টি সচেতনতার লক্ষ্যে তৃণমূল পর্যায়ে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
উপদেষ্টা আরো বলেন, পুষ্টি মৌলিক অধিকার। এই অধিকার নিশ্চিত করতে সবাইকে এক সুরে কাজ করতে হবে। সব দপ্তর ও সংস্থাকে একীভূত করে পুষ্টি সুরক্ষায় সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। মৎস্য ও কৃষি মন্ত্রণালয় জোগানদাতা হিসেবে আছে। কিন্তু উৎপাদন বাড়াতে কীটনাশক দিয়ে ক্ষতি করছি। দেশীয় মাছকে গুরুত্ব না দিয়ে চাষের মাছকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ফিড নিরাপদ না মাছ নিরাপদ তা নিয়েও মাঝে মাঝে দ্বিধায় পড়তে হয়। গরুকে ঘাস খাওয়ানোর কথা, অথচ গরুকে অন্য কিছু খাওয়ানো হচ্ছে। আমরা দেশীয় মাছ বাড়ানোর দিকে বেশি জোর দিচ্ছি। একেক এলাকায় একেক রকম প্রাণিসম্পদ আছে, সবগুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে।
পুষ্টি সচেতনতা বাড়াতে মেয়েদের ক্ষমতায়নের ওপর জোর দিয়ে ফরিদা আখতার বলেন, দেশের গর্ভবতী নারীদের প্রায় অর্ধেক রক্তস্বল্পতায় ভোগেন। নারীর অধিকারহীনতা ও নারীর অপুষ্টি একসুতায় গাঁথা। আগামী প্রজন্মের স্বার্থে নারী-পুরুষ দু’জনকেই সচেতন করতে হবে। তবে নারীরাই মুখ্য। নারী ক্ষমতায়ন হলে নারী রুখে দাঁড়াতে পারবে।
সমকালের অনলাইন ইনচার্জ গৌতম মণ্ডলের সঞ্চালনায় এবং নিউট্রেশন ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর সায়কা সিরাজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনএনসি মহাপরিচালক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।
#
মামুন/মেহেদী/পবন/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/১৮৫৫ঘণ্টা
Handout Number: 2026
Bangladesh affirms its unwavering support for the Syrian people
Dhaka, 15 December:
The Government of Bangladesh is closely monitoring the recent evolving developments in Syria. Bangladesh affirms its unwavering support for the Syrian people and their choices during this critical period and urges all parties to maintain calm and peace in the country. Bangladesh also urges all stakeholders, including the Syrian Transitional Government to exercise restraint, respect the aspirations of the Syrians, and pursue a peaceful resolution through dialogue.
Bangladesh reiterates its principal position on the territorial integrity and sovereignty in Syria. In this context, Bangladesh unequivocally condemns the illegal act of aggression by Israel during this moment of critical transition.
Bangladesh believes that the developments present a critical opportunity for the Syrian people to rebuild their nation on the principles of inclusivity, democracy, and respect for human rights.
Bangladesh calls upon the international community, particularly the United Nations, to intensify efforts to protect civilian lives, uphold humanitarian principles, and foster an inclusive political solution consistent with UNSC Resolution 2254. It is imperative that all external actions respect Syria’s sovereignty and territorial integrity.
Bangladesh also urges all parties to engage in efforts toward the country’s nation-building reflecting the will of the Syrian people. Ensuring a path toward inclusive democracy and sustainable peace remains essential for long-term stability in the region.
#
Kamrul/Mehedi/Paban/Sanjib/Joynul/2024/1935
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২০২৫
প্রকৃতি ও পরিবেশ ঠিক রেখে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাস্তবমুখী পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে
--- উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা
ঢাকা, ৩০ অগ্রহায়ণ (১৫ ডিসেম্বর):
বাস্তুতন্ত্র, প্রকৃতি ও পরিবেশের অবস্থান ঠিক রেখে পার্বত্য চট্টগ্রামের টেকসই উন্নয়নে বাস্তবমুখী পরিবেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টার অফিস কক্ষে ইউএনডিপি’র ইন্টারন্যাশনাল প্রজেক্ট ম্যানেজার ইয়্যুগেস প্রধানাং-এর নেতৃত্বে দুই সদস্যের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা এ আহ্বান জানান।
পার্বত্য চট্টগ্রামে ইউএনডিপি প্রস্তাবিত ‘ইকোসিস্টেম রেস্টোরেশন এন্ড রেজিলিয়েন্ট ডেভেলপমেন্ট ইন সিএইচটি’ শীর্ষক প্রকল্পের টেকনিক্যাল এসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট প্রোপোজাল (টিএপিপি) প্রণয়নে পার্বত্য চট্টগ্রামের সংশ্লিষ্টদের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয় এবং প্রকল্পে অন্যান্য বিষয়াবলি অধিভুক্ত নিয়ে প্রাথমিক দিক নির্দেশনামূলক আলোচনা হয়।
প্রস্তাবিত প্রকল্পের বিষয়ে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের অপার সৌন্দর্যকে অক্ষুণ্ন রাখতে হবে। প্রকল্পের উন্নয়নের নামে প্রকৃতি ও পরিবেশের বিরূপ কিছু না ঘটিয়ে পাহাড়ের ঝোপ-ঝাড়, বন-জঙ্গল ও প্রাণিকূলের পরিবেশকে অক্ষুণ্ন রেখে বাঁশ, বেত-ঝোপ ঝাড়ের ন্যায় বৃক্ষরোপণ বাড়াতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে পানির সÍর বিনষ্ট না করে ডিপ টিউবওয়েলের পরিবর্তে গ্রাউন্ড সারফেইস-এর পানি ব্যবহার করতে সংশ্লিষ্টদের বলেন তিনি। পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে এ প্রকল্পে সম্পৃক্ত করার জন্যও সংশ্লিষ্টদের প্রতি পরামর্শ দেন উপদেষ্টা।
পার্বত্য উপদেষ্টা আরো বলেন, সমাজের গতিশীলতা আনতে আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষা পদ্ধতিগুলোয় উদ্ভাবনী জ্ঞানকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে কোয়ালিটি এডুকেশন গড়ে তোলা জরুরি। কোয়ালিটি এডুকেশন পার্বত্য অঞ্চলের মানুষকে পৃথিবীর আধুনিক মানুষের সাথে চিন্তা চেতনার সমন্বয় করানো সম্ভব হবে। তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের প্রকৃতি ও পরিবেশকে তার স্বকীয়তা বজায় রেখে ‘যেখানে যেমন, সেখানে তেমন’ উপায়ে সাজাতে হবে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় পাহাড়ের পরিবেশকে সুন্দরভাবে কাজে লাগাতে হবে।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরো বলেন, কাপ্তাই লেকের পানি সংরক্ষণ ও ব্যবহারে আমাদের আরো যত্নশীল হতে হবে। নদী-নালা-ঝিরির পানি সঠিক পদ্ধতিতে ধরে রাখা ও ব্যবহারে আরো উদ্ভাবনী প্রক্রিয়া আমাদের বের করতে হবে। তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের বৈরি ও প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও দেশের টেকসই উন্নয়নে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ সমান অংশীদার হতে চায়।
#
রেজুয়ান/মেহেদী/পবন/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৪/১৯৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২০২৪
মেরিটাইম সেক্টরে বিদেশিদের বিনিয়োগে আগ্রহ বাড়ছে
--- নৌপরিবহন উপদেষ্টা
ঢাকা, ৩০ অগ্রহায়ণ (১৫ ডিসেম্বর):
নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, দেশের বন্দর অবকাঠামোর উন্নয়ন ও জাহাজ শিল্প-সহ মেরিটাইম সেক্টরে বিদেশিদের বিনিয়োগে আগ্রহ বাড়ছে। তিনি আজ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শিপিং রিপোর্টার্স ফোরাম, বাংলাদেশ এর প্রতিনিধিদলের সাথে মতবিনিময়কালে একথা জানান।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার জট কমানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরে একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ডকইয়ার্ড নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। নৌপথে যাত্রী ও মালামাল বহনের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। বিগত ৫৩ বছরে দেশের বন্দরগুলো কীভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করবে, কোন্ কোন্ বন্দর কোন্ কোন্ কাজ করবে সে বিষয়ে জাতীয় কোনো কৌশলপত্র প্রণয়ন করা হয়নি। বন্দরগুলোর কার্যক্রমগুলোকে সমন্বিতভাবে গতিশীল করার লক্ষ্যে ন্যাশনাল পোর্টস স্ট্র্যাটেজি প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের পাশাপাশি মোংলা সমুদ্রবন্দরকে গ্রিন পোর্টে রূপান্তরিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সরকার সকল প্রকল্পের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকল্পে বিভিন্ন কমিটি গঠনপূর্বক নিয়মিত প্রকল্প পরিদর্শনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কোনো অনিয়ম বা গাফিলতি নজর আসলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে বিনিয়োগে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে মেরিটাইম সেক্টরে বিদেশিদের বিনিয়োগের আগ্রহ বাড়ছে।
উপদেষ্টা আরো বলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থা বাস্তবায়িত প্রকল্পসমূহের কার্যক্রম জনগণের জন্য উন্মুক্ত আছে। বর্তমান সরকার জনগণের উন্নয়নের জন্য কাজ করছে তাই জনগণের জানার অধিকার আছে সরকার তাদের জন্য কী উন্নয়ন করছে। সকল কার্যক্রম ও এ সংক্রান্ত তথ্য জনগণের জন্য অবারিত এবং উন্মুক্ত থাকবে। বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন সরকার থেকে ঋণ গ্রহণ করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সে ঋণের প্রথম কিস্তির অর্থ সরকারকে পরিশোধ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে জানান উপদেষ্টা।
ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মোংলা বন্দরের একটি প্রকল্পে নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে ২৭১ কোটি টাকা প্রকল্প ব্যয় কমানো সম্ভব হয়েছে, যা নতুন এক দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে। বিগত সময়ে অনেক অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, এখন থেকে জনগণের জনকল্যাণকর ও দেশের আমদানি-রপ্তানির সুবিধার জন্য যা করা প্রয়োজন তা বাস্তবায়ন করা হবে।
উপদেষ্টা সাংবাদিকদের দেশের উন্নয়নে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গঠনে সহযোগিতার আহ্বান জানান।
#
আরিফ/মেহেদী/পবন/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৪/১৯৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২০২৩
জনদুর্ভোগ লাঘবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে
--- মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান
ঢাকা, ৩০ অগ্রহায়ণ (১৫ ডিসেম্বর):
সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, জনদুর্ভোগ লাঘবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
আজ গাজীপুরে ঢাকা-জয়দেবপুর-ঢাকা রুটে ৪ জোড়া কমিউটার ট্রেন ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) এর পরিচালনায় শিববাড়ি-এয়ারপোর্ট-গুলিস্তান রুটে বিআরটি করিডোরে বিআরটিসির এসি বাস সার্ভিসের পৃথক দুটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
১৯৭১-এ মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী শহিদ, সম্ভ্রমহারা মা-বোন ও জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং আন্দোলনে আহতদের আরোগ্য কামনা করে রেলপথ উপদেষ্টা বলেন, গণপরিবহনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকা-জয়দেবপুর-ঢাকা রুটে নতুন কমিউটার ট্রেন চালু করা হয়েছে। এতে জনসাধারণ স্বল্পব্যয়ে দ্রুত ঢাকা-গাজীপুর যাতায়াত করতে পারবে। জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকা-নরসিংদী-ঢাকা ও ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা রুটেও কমিউটার ট্রেন চালু করার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে এসময় জানান তিনি।
এছাড়া শিববাড়ি-এয়ারপোর্ট-গুলিস্তান রুটে বিআরটি করিডোরে বিআরটিসির এসি বাস সার্ভিস উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সড়ক ও সেতু উপদেষ্টা বলেন, বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। সকল ক্ষেত্রে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে এবং সরকারি-বেসরকারি-সহ সকল প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, ভবিষ্যতে আমরা পূর্ণাঙ্গ বিআরটি ব্যবহার করতে পারব এবং এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে অতি দ্রুত বিআরটি’র অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করা হবে। সবশেষে প্রকল্প দুটি বাস্তবায়নে তিনি গাজীপুর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার-সহ স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং গাজীপুরের সর্বস্তরের জনসাধারণের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এসময় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ এহছানুল হক, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ ফাহিমুল ইসলাম, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মোঃ আফজাল হোসেন, বিআরটিসি’র চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)-এর নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) নীলিমা আখতার, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ, সেতু বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) রশিদুল হাসান, স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধি-সহ সরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
নোবেল/মেহেদী/পবন/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৪/১৯৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০২২
স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সাথে পাকিস্তান হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ
ঢাকা, ৩০ অগ্রহায়ণ (১৫ ডিসেম্বর) :
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ। তাঁরা দুই দেশের সম্পর্কসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন। আজ হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ তাঁর দুই সহকর্মীকে নিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার অফিসকক্ষে এ সাক্ষাৎ করেন।
হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম দুই দেশের স্বাস্থ্যসেবা, বাণিজ্যসহ সার্বিক বিষয়ে মতবিনিময় করেন। হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ জানান, বাংলাদেশ ওষুধ শিল্পে বেশ ভালো অবস্থানে আছে। পাকিস্তান বাংলাদেশ থেকে ওষুধ আমদানিতে আগ্রহী।
এসময় পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ মারুফ এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব
মোঃ মামুনুর রশীদ উপস্থিত ছিলেন।
#
শাহাদাত/ফাতেমা/সুবর্ণা/সাঈদা/মানসুরা/২০২৪/১৪৩৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী