Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১০ মার্চ ২০১৭

তথ্যবিবরণী ১০ মার্চ ২০১৭

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ৭০৭

বাংলাদেশ থেকে ৭ সহ¯্রাধিক জনবল নিয়োগ দেবে অগমেডিক্স
ঢাকা, ২৬ ফাল্গুন (১০ মার্চ) :

    বাংলাদেশ সফরে এসেছেন ইউএস ভিত্তিক গুগল গ্লাস স্টার্টআপ ও স্বাস্থ্যসেবা কোম্পানি অগমেডিক্স-এর কো-ফাউন্ডার পেলু ট্র্যান ও ভেঞ্চার পার্টনার স্টিভেন ইয়েসিয়েছ। বাংলাদেশ থেকে প্রচুর জনবল (রিমোট স্ক্রাইব) নিয়োগের পরিকল্পনা নিয়ে তারা সরকারি কর্মকর্তা ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সাথে সাক্ষাৎ করছেন।

    যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গুগল গ্লাস স্টার্টআপ ও স্বাস্থ্যসেবা কোম্পানি ‘অগমেডিক্স’ আগামী ৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে ৭ সহ¯্রাধিক জনবল নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। আজ ঢাকার পান্থপথে অগমেডিক্স ভবনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ পরিকল্পনার কথা জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কোম্পানির নিয়োগ পরিকল্পনা নিয়ে অগমেডিক্সের কো-ফাউন্ডার পেলু ট্র্যান এবং কোম্পানির শীর্ষ বিনিয়োগকারী অরবিমেড-এর ভেঞ্চার পার্টনার স্টিভেন ইয়েসিয়েছ চলতি সপ্তাহে বাংলাদেশ সফর করছেন এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সাথে কোম্পানির নিয়োগ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করছেন। পরবর্তী ৫ বছরে অগমেডিক্স ও এর পার্টনাররা ঢাকাসহ সমগ্র বাংলাদেশ থেকে জনবল নিয়োগ দেবে যারা আমেরিকার ডাক্তারদের রিমোট পার্সোনাল এসিস্ট্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।  
    অগমেডিক্সের কো-ফাউন্ডার পেলু ট্র্যান এবং অরবিমেড-এর ভেঞ্চার পার্টনার স্টিভেন ইয়েসিয়েছ-এর উপস্থিতিতে ও অগমেডিক্স বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আহমাদুল হকের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
    অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন ইমার্জিং টেকনোলজির জন্য গন্তব্য এবং দেশের মেধাবী যুবকদের কল্যাণে উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে আমাদের শীর্ষ উদাহরণ হচ্ছে অগমেডিক্স।
    তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে ৭ সহ¯্রাধিক তরুণ কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্তটি সত্যিই প্রশংসনীয়। আইসিটি মন্ত্রণালয় এলআইসিটি প্রোগ্রামের মাধ্যমে অগমেডিক্সের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষিত জনবল সরবরাহ করতে কাজ করছে।

#
নাছের/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৭/১৯৪৯ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ৭০৬

ঢাকা নারী ম্যারাথনে তথ্যমন্ত্রী
২০৩০ সালের মধ্যে আর্থ-সামাজিক খাতে নারী-পুরুষ সমতা
ঢাকা, ২৬ ফাল্গুন (১০ মার্চ) :
    ‘২০৩০ সালের মধ্যে আর্থ-সামাজিক খাতে নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে সমতায়নের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। দেশকে এগিয়ে নিতে দারিদ্র্য, জঙ্গি ও লিঙ্গবৈষম্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জিততেই হবে।’  
    আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আজ রাজধানীর হাতিরঝিলে ‘ঢাকা উইমেনস ম্যারাথন ২০১৭’ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এ কথা বলেন। এর আগে সকাল সাড়ে সাতটায় দৌড় উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
    তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রদায়িকতা ও কুসংস্কারের পাথর চাপা থেকে দেশের নারী সমাজকে মুক্ত করে উন্নয়নের আলোর পথে নিয়ে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অতীতে রাজনৈতিক সমর্থনপুষ্ট সাম্প্রদায়িক, কুসংস্কারাচ্ছন্ন ফতোয়াবাজরা নারীদের ওপর যে অবিচারের পাথর চাপা দিয়ে রেখেছিল, তা থেকে মুক্তি না পেলে নারী ক্ষমতায়ন সম্ভব নয়। এ কারণেই শেখ হাসিনার সরকার নারী উন্নয়নের বিষয়টিকে রাজনৈতিকভাবে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
    দশ মাইল ম্যারাথনে অংশ নেয়া সকল নারীকে অভিনন্দন জানিয়ে এ সময় তিনি বলেন, নারীরা ¯েœহ-মায়ার সাথে সাথে শক্তি, সামর্থ্য ও দক্ষতারও প্রতীক। আজকের দীর্ঘ দৌড় তা আবার প্রমাণ করলো।
    বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার এস এম ফেরদৌস, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অভ্ প্রফেশনালস এর উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কলিমুল্লাহ ও ইস্ট-কোস্ট গ্রুপের পরিচালক দিলরুবা চৌধুরী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
    ‘নারীর জন্য নিরাপদ ঢাকা’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত ‘ওমেরা এলপিজি ঢাকা উইমেন্স ম্যারাথন ২০১৭’-এ দেশের নানা প্রান্তের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় ছয় শতাধিক প্রতিযোগী অংশ নেন। এফডিসি সংলগ্ন হাতিরঝিলের প্রবেশমুখ বেগুনবাড়ি ঘাট থেকে দৌড় শুরু করে প্রতিযোগীরা দশ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ পাড়ি দেন।

#
আকরাম/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৭/১৯১২ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ৭০৫

জাটকা সংরড়্গণ সপ্তাহ ২০১৭ উপলড়্গে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ২৬ ফাল্গুন (১০ মার্চ) :
    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাটকা সংরড়্গণ সপ্তাহ ২০১৭ (১১-১৭ মার্চ) উপলড়্গে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন ঃ
    “প্রতি বছরের মতো এবারও ১১-১৭ই মার্চ  দেশব্যাপী ‘জাটকা সংরড়্গণ সপ্তাহ ২০১৭’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। আমি এই কার্যক্রমের সাথে সংশিস্নষ্ট সকলকে আনত্মরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
    এবারের প্রতিপাদ্য ‘জাটকা ইলিশ ধরবো না, দেশের ড়্গতি করবো না’ সময়যোপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
    ইলিশ আমাদের জাতীয় মাছ। আমাদের কৃষ্টি ও ঐতিহ্যের সাথে মিশে আছে ইলিশ মাছের স্বাদ, গন্ধ আর রূপ। এ মাছের জন্য বিশ্বজুড়ে রয়েছে আমাদের আলাদা খ্যাতি ও পরিচিতি। বাংলাদেশ বর্তমানে  মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে বিশ্বে ৪র্থ স'ানে রয়েছে। আমিষের  যোগান দিয়ে ইলিশ মাছ পুষ্টি চাহিদা পূরণে গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যা  মেধাসম্পন্ন জাতি গঠনে সহায়ক।
    বর্তমান সরকার ইলিশের স'ায়িত্বশীল উৎপাদন নিশ্চিত করতে বিজ্ঞানসম্মত  কৌশল গ্রহণ করেছে। আমরা সুফলভোগীদের অংশগ্রহণে অভয়াশ্রম ব্যবস'াপনা, প্রজনন  মৌসুমে মা ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ, জাটকা সংরড়্গণ, সম্মিলিত বিশেষ অভিযান, জেলেদের বিকল্প কর্মসংস'ানসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাসত্মবায়ন করে যাচ্ছি। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকাসহ ইলিশ সমৃদ্ধ নদী অববাহিকার পাঁচ লড়্গাধিক জেলের জীবন ও জীবিকা বহুলাংশে ইলিশের ওপর নির্ভরশীল। এজন্য প্রতিবছর জাটকা ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ সময়ে সরকার প্রায় ২ লড়্গ ৩৬ হাজার জেলে পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করছে।  জেলেদের জন্য প্রদেয় প্রণোদনা প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লড়্গ্যে এ পর্যনত্ম প্রায় ১৪ লাখ  জেলেকে পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়েছে। ইলিশ রড়্গায় আমাদের গৃহীত কার্যক্রম আজ বিশ্ব স্বীকৃত।
    জাটকা সংরড়্গণ ও ব্যবস'াপনার ওপর নির্ভর করে আগামী দিনের বড় ইলিশ। জাটকা সংরড়্গণ ও উন্নয়নে সরকারের সময়োপযোগী ও সমন্বিত পদড়্গেপ গ্রহণের ফলে সাম্প্রতিক সময়ে দেশব্যাপী ইলিশের সহজলভ্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ইলিশ আজ সকলের ক্রয়সীমার মধ্যে চলে এসেছে।
    আমি জাটকা নিধন বন্ধ ও ইলিশ সংরড়্গণে জনসচেতনতা বৃদ্ধির প্রচারণা শুধু জাটকা সংরড়্গণ সপ্তাহের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে জাটকা আহরণ নিষিদ্ধ সময়ে অব্যাহত রেখে ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকারের পাশাপাশি সংশিস্নষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সর্বসত্মরের জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।
    আমি জাটকা সংরড়্গণ সপ্তাহ ২০১৭ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী  হোক।”
#
ইমরম্নল/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিম/২০১৭/১৭০০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ৭০৪

জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০১৭ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি বাণী
ঢাকা, ২৬ ফাল্গুন (১০ মার্চ) :
    রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০১৭ (১১-১৭ মার্চ) উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

    ‘‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০১৭’ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।

    ইলিশ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ। বাঙালি সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও ঐতিহ্যের সাথে ইলিশ অবিচ্ছেদ্যভাবে মিশে আছে। যুগ যুগ ধরে বাঙালির রসনা মেটানোর পাশাপাশি কর্মসংস্থান, দারিদ্র্যবিমোচন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন তথা সার্বিক অর্থনীতিতে একক প্রজাতি হিসেবে ইলিশ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। আমাদের বিশাল উপকূলসহ মোহনায় ইলিশের বিচরণ। ইলিশ প্রাকৃতিকভাবে বংশবিস্তার করলেও তাদের পরিপূর্ণ বৃদ্ধিতে আমাদের সহযোগিতা অপরিহার্য। কারণ আজ যা ‘জাটকা’ আগামীতে তা দৃষ্টিনন্দন রুপালি ইলিশ। এ কারণে জাটকা ইলিশ ধরতে জনগণকে নিরুৎসাহিত করতে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদ্যাপন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি। ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশবাসী ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ’ পালনের সুফল পেতে শুরু করছে। সার্বিক বিবেচনায় এবারের প্রতিপাদ্য ‘জাটকা ইলিশ ধরবো না, দেশের ক্ষতি করবো না’ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও সময়োপযোগী হয়েছে।

    সরকার ইলিশের সংরক্ষণ ও বংশবিস্তারে নানামুখী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে বিজ্ঞানসম্মত ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে জাতীয়ভাবে জাটকা সংরক্ষণ একটি জনমুখী কার্যক্রম। এ গণমুখী উদ্যোগে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি  প্রতিষ্ঠান, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যম, সাধারণ জনগণ বিশেষ করে মৎস্যজীবী ও জেলে সম্প্রদায়ের সক্রিয় অংশগ্রহণকে আমি সাধুবাদ জানাই। অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ সফল ও সার্থক হয়ে উঠবে-এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা।

    আমি ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০১৭’ এর সাফল্য কামনা করি।

    খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’

#
আজাদ/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৭/১৮৫২ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর :  ৭০৩

কমনওয়েলথ বাণিজ্য মন্ত্রীদের সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশের উন্নয়নে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রশংসা

লন্ডন (যুক্তরাজ্য), ১০ মার্চ :

     লন্ডনে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ বাণিজ্য মন্ত্রীদের সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রম্নত এগিয়ে যাচ্ছে। এক সময়ের কৃষিনির্ভর বাংলাদেশে জিডিপিতে কৃষির অবদান ছিল ৭৮ ভাগ, এখন তা ১৫.৫ ভাগ,  শিল্পে ২৮.১ ভাগ এবং সার্ভিস সেক্টরে  ৫৬.৩ ভাগ। দেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের খাদ্যের অভাব ছিল, আজ দেশে প্রায় ১৬ কোটি মানুষের খাদ্যের কোন অভাব নেই। দেশের চাহিদা পূরণ করে বাংলাদেশ এখন বিদেশে চাল রপ্তানি করছে। দেশের রপ্তানি ৩৪৮ ডলার থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৪.২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২১ সালে হবে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার গত বছর ছিল ৭.১১ শতাংশ। মাথাপিছু আয় বর্তমানে ১,৪৬৬ মার্কিন ডলার।

    তিনি গতকাল (৯ মার্চ) কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ এন্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলের উদ্যোগে লন্ডনের লনকাস্টার হাউজে অনুষ্ঠিত কমনওয়েল্‌থ বাণিজ্য মন্ত্রীদের সম্মেলনে ‘টেকনোলজি এন্ড ইনোভেশন ক্রিয়েটিং অ্যান এক্সপোর্ট ইকোনমি’ বিষয়ের ওপর অনুষ্ঠিত রাউন্ড টেবিল বৈঠকে বক্তব্য প্রদানের সময় এসব কথা বলেন। সম্মেলনে যোগদানকারী বাণিজ্যমন্ত্রীরা বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

    তোফায়েল আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে ডিজিটাল রাষ্ট্র এবং মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রম্নতি দিয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন। দেশ ইতোমধ্যে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে প্রবেশ করেছে, ২০২১ সালের মধ্যে দেশ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। দেশ এখন ডিজিটাল হয়েছে। দেশের মানুষ এখন ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা ভোগ করছে। দেশের বিপুল সংখ্যক শিড়্গিত যুব শক্তি এখন আইটি সেক্টরে সফলভাবে কাজ করছে। এ খাতের রপ্তানি ও কর্মসংস'ান বৃদ্ধি পাচ্ছে। জাতিসংঘ ঘোষিত এমডিজি বাংলাদেশ সফলভাবে বাসত্মবায়ন করেছে। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ এসডিজি সফলভাবে অর্জন করবে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোলমডেল।

    তিনি আরো বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য যুক্তরাজ্যে রপ্তানি হয়। এলডিসিভুক্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেওয়া এভ্রিথিংস বাট আর্মস (ইবিএ)-এর আওতায় সম্পূর্ণ বাজার সুবিধা পেয়ে আসছে। যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে গেলে যাতে এ সুবিধা অব্যাহত থাকে সে বিষয়ে যুক্তরাজ্যের নীতি নির্ধারকদের সহযোগিতা একানত্ম প্রয়োজন।
    
    সম্মেলনে ৬টি বিষয়ে গুরম্নত্বপূর্ণ আলোচনা হবে। বিষয়গুলো হচ্ছে-ফাইনান্সিয়াল সার্ভিসেস, ইজি অভ্‌ ডুয়িং বিজনেস, টেকনোলজি এন্ড ইনোভেশন, বিজনেস এন্ড সাসটেইনেবিলিটি, ক্রিয়েটিং এন এক্সপোর্ট ইকোনমি এবং অ্যাট্রাক্টিং ইনভেস্টমেন্ট। সম্মেলনে কমনওয়েলথভুক্ত ৩৭টি দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী যোগদান করেন।
#

বকসী/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিম/২০১৭/১৮০০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ৭০২

বন্যাপ্রবণ ১৯ জেলায় ৬০ হাজার ঘরবাড়ি উঁচু করা হবে
                       ---দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী
ঢাকা, ২৬ ফাল্গুন (১০ মার্চ) :  
    দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীরবিক্রম বলেছেন, বন্যাপ্রবণ ১৯ জেলায় ৬০ হাজার ঘরবাড়ি উঁচু করা হবে। দুস্থ ও অসহায় পরিবারে যেখানে কর্মক্ষম ব্যক্তি নেই, যেখানে পরিবারপ্রধান প্রতিবন্ধী, অথবা মহিলা অথবা ষাটোর্ধ¦ বয়সী যাদের ঘরবাড়ি উঁচু করার সামর্থ্য নেই প্রাথমিকভাবে তাদের ঘরবাড়ি উঁচু করে দেওয়া হবে। টেকসই উন্নয়নের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে বন্যা সহনশীল জাতি গঠনে সরকার এ পদক্ষেপ নিয়েছে।

    তিনি আজ ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস ২০১৭ এর উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন ।

    দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শাহ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রিয়াজ আহমেদ বক্তৃতা করেন।
    এ বছরে দিবসটির প্রতিপাদ্য “দুর্যোগের প্রস্তুতি সারাক্ষণ, আনবে টেকসই উন্নয়ন”। এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে যেকোন দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলায় দেশবাসীকে সারাক্ষণ প্রস্তুত থাকার জন্য মন্ত্রী আহবান জানান।
    এ বছর দিবসের অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে দেশব্যাপী আলোচনা সভা, পোস্টার স্থাপন, লিফলেট বিতরণ, ক্রোড়পত্র প্রকাশ, বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে টকশো, সড়কদ্বীপ  সাজ-সজ্জা, র‌্যালি, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও বিভিন্ন এলাকায় ভূমিকম্প ও অগ্নিকা- মহড়া প্রভৃতি।
    মন্ত্রী বলেন, এ বছর সময়ের পূর্বেই দেশে ঝড়-তুফান ও সমুদ্রে নি¤œচাপ শুরু হয়ে গেছে। সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোকে সার্বক্ষণিক সতর্কতায় থাকার জন্য তিনি নির্দেশ দেন। উপকূলীয় জলোচ্ছ্বাস সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, জলোচ্ছ্বাসের আগাম বার্তা প্রতিদিনের আবহাওয়া বার্তা থেকে জেনে সে মোতাবেক প্রস্তুতি নিতে হবে। ১০৯০ নম্বরে মোবাইল করে  প্রতিদিনের আবহাওয়া বার্তা জেনে নেওয়ার জন্য তিনি দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান। তিনি আরো বলেন, উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করার জন্য সরকার ৫৫ হাজার সিপিপি কর্মী প্রস্তুত রেখেছে। মানুষের জানমাল রক্ষার জন্য পুরাতন ২শ’ মুজিব কিল্লা সংস্কার করা হবে এবং আরো ২শ’ মুজিব কিল্লা নির্মাণ করা হবে। ভূমিকম্প থেকে রক্ষা পেতে প্রত্যেক মহল্লায় সমাজভিত্তিক প্রস্তুতি গ্রহণের ওপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন।
#
ওমর/মাহমুদ/আব্বাস/২০১৭/১৭২৪ ঘণ্টা

 

Todays handout (5).docx