তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯২০
সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী বিএনপি বিশৃঙ্খলা করলে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে মানুষ
-- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ২৪ অগ্রহায়ণ (৯ ডিসেম্বর) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘বিএনপি হচ্ছে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী দল। তাই তারা যদি দেশে মানবাধিকারের কথা বলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তাহলে দেশের মানুষ তাদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে।’
আজ রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস, মানবাধিকার লঙ্ঘন, গণতন্ত্র হত্যার চক্রান্ত ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে প্রদীপ প্রজ্বলন সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
অগ্নিসন্ত্রাসে নিহতদের স্মরণে প্রদীপ প্রজ্বলনকালে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে বিএনপিই প্রথম মানুষের অধিকার হরণ করা দল। এবং তাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মানুষের রক্তের ওপর দাঁড়িয়েই ক্ষমতা দখল করেছিলেন। তিনিই ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন এবং ১৯৭৭ সালে নির্বিচারে সেনা ও বিমান বাহিনীর অফিসারদেরকে বিনা বিচারে হত্যা করেছেন। তারপর ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা, ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে মানুষ পোড়ানোর মহোৎসব করেছে বিএনপি-জামায়াত। এগুলো চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখনও বিএনপি-জামায়াত গর্ত থেকে উঁকি দিয়ে অবরোধ-হরতালের নামে মানুষ, যানবাহন ও সহায়-সম্পত্তিতে হামলা, গাড়ি পোড়ানোর কর্মসূচি পরিচালনা করছে। এগুলো সন্ত্রাসী কাজ, মানুষকে জিম্মি করার দেশবিরোধী অপতৎপরতা। সমস্ত শিল্পী সমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে এদের মোকাবিলা করতে হবে, মানুষকে জাগাতে হবে। এরা যদি মানবাধিকার নিয়ে বিশৃঙ্খলা করে মানুষ তাদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে।’
পশ্চিমা বিশ্ব ও মানবাধিকার প্রসঙ্গে সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘ফিলিস্তিনে পাখি শিকার করার মতো মানুষ শিকার করা হচ্ছে, সাধারণ মানুষসহ হাজার হাজার নারী ও শিশুকে হত্যা করা হলো, আর বিশ্বমোড়লরা চেয়ে চেয়ে দেখলো এমন কি ইসরাইলি বাহিনী যাতে ভালোমতো বোমা বর্ষণ করতে পারে সেজন্য বিশেষ বোমা দিয়ে তারা সহায়তাও করছে। তারাই আবার মানবাধিকারের ধুয়া তোলে। এরা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে।’
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরী সভাপতি স্বাধীনবাংলা বেতারকেন্দ্রের সংগীতশিল্পী মোহাম্মদ রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানার সঞ্চালনায় জাতীয় চলচ্চিত্রে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত চিত্রতারকা ও জোটের সহসভাপতি রোজিনা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের চিত্রতারকা অরুণা বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক লায়ন মুহাঃ মীযানুর রহমান, চিত্রতারকা সিমলা, সংবাদ পাঠিকা মুনা চৌধুরী প্রমুখ সমাবেশে তাদের বক্তৃতায় অগ্নিসন্ত্রাসী, তাদের হুকুমদাতা ও অর্থদাতাদের দ্রুত বিচারের দাবি জানান।
#
আকরাম/পাশা/মোশারফ/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৩/২০৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯১৯
তরুণ-তরুণীদের উদ্ভাবনী চিন্তা-চেতনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কার্যকর অবদান রাখবে
-- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৪ অগ্রহায়ণ (৯ ডিসেম্বর) :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, তরুণ-তরুণীদের সৃজনশীল, অনন্য উদ্ভাবনী চিন্তা-চেতনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কার্যকর অবদান রাখবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিনিয়ত আধুনিক ও পরিবর্তন হয়। এ পরিবর্তনের সাথে দ্রুত খাপ খাইতে পারে তরুণ সমাজ। তরুণদের যার যার অবস্থান থেকে সময়োচিত নেতৃত্ব দিতে পারলে উন্নত সমৃদ্ধ পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ গড়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইয়াং বাংলা আয়োজিত এবং পাওয়ার সেল ও গ্রীন ডেল্টা ইনস্যুওরেন্স কোম্পানির সহযোগিতায় বিচ্ছরণ ২.০ উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী প্রজন্মের কাজের পরিবেশ আমাদেরকেই তৈরি করে দিতে হবে। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত উত্তরোত্তর বড় হচ্ছে। সৃষ্ট সমস্যাগুলোর একটি স্মার্ট ও পরিবেশবান্ধব সমাধান প্রয়োজন। আমাদের সমস্যার সমাধান আমাদের মতো করেই করতে হবে। বাংলাদেশের থ্রীহুইলার বা ব্যাটারি চালিত যানবাহনের সমস্যা একান্তই আমাদের। এর সমাধানও আমাদের বের করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বিদ্যুৎচালিত যানবাহনের সংখ্যা বাড়ানো গেলে কার্বন নিঃসরণ উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাবে। তাছাড়া ইঞ্জিনের দক্ষতা জ্বালানি তেলচালিত যানবাহনের চেয়ে বিদ্যুৎ চালিত যানবাহনের বেশি। Mujib Climate Prosperity Plan, Delta Plan, Integrated Energy and Power Master Plan (IEPMP) 2023 ইত্যাদি পরিকল্পনায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে সরকার কাজ করছে। আমরা তরুণদের জন্য একটা প্লাটফর্ম তৈরি করছি যাতে আগামী প্রজন্ম মনে করে সরকার তাদের সাথে আছে। সরকারি কাজের সাথে আগেই পরিচিত করে দিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় ইন্টার্নশিপ কার্যক্রম চালু করেছে এবং অন্যান্য মন্ত্রণালয়ে ইন্টার্নশিপ শুরু করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন, গ্রীন ডেল্টা ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিঃ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ফারজানা চৌধুরী ও ইয়াং বাংলা টিম লিডার অধ্যাপক মোঃ রশিদুল হাসান বক্তব্য রাখেন।
#
আসলাম/পাশা/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৩/১৯৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯১৮
নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করে কেউ সফল হবে না
- পানি সম্পদ উপমন্ত্রী
শরীয়তপুর, ২৪ অগ্রহায়ণ (৯ ডিসেম্বর) :
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি উৎসবমুখর পরিবেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। ইতিমধ্যেই নির্বাচনি যাত্রা শুরু হয়ে গেছে। এই নির্বাচনে দেশ বিরোধী বিএনপি সহ তাদের দোসররা অংশগ্রহণ করে নাই। কারণ, তাদের জনসমর্থন নাই। তারা গণবিরোধী ও গণধিকৃত। তাই নির্বাচন নিয়ে যতই ষড়যন্ত্র হোক কোনো লাভ হবে না। তারা সফল হবে না।
আজ শরীয়তপুরের নড়িয়া পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা ও ভুমখাড়া ইউনিয়নে দলীয় কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
উপমন্ত্রী বলেন, নিশ্চিত পরাজয় জেনে বিএনপি নির্বাচনে আসে নাই। তারা যতবারই ক্ষমতায় এসেছে সূক্ষ্ম কারচুপি ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এসেছে। বিএনপি জামায়াত সন্ত্রাসী জোট তাদের জনগণ ভোট দেবে না। এটা তারা বুঝে গেছে। তাই নির্বাচন ছাড়া ভিন্ন পথে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখেছিল। সেই স্বপ্নও বিফলে গেছে। কারণ, মানুষ একমাত্র বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। এদেশের মানুষ জানে, জননেত্রী শেখ হাসিনাই উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির প্রতীক। জনগণ আবারও তাকেই ক্ষমতায় আনবে।
উপমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের যা কিছু অর্জন তা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং আওয়ামী লীগের হাত ধরেই হয়েছে। জাতির পিতাকে হত্যার পরবর্তী দীর্ঘ একুশ বছর পর ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকে পাঁচ বছর। মাঝে পাঁচ বছর বাদ দিয়ে ২০০৯ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসার পর একটানা নিরলসভাবে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। এখন জাতির পিতার কন্যার নেতৃত্বেই জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজগুলো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তাই সকল ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নড়িয়া পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মাল, সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবু রাড়ী, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম চুন্নু, উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান জাকির বেপারী, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম সরদার, সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর শেখ, ভূমখাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নুর এ আলম আশিক প্রমুখ।
#
গিয়াস/পাশা/সায়েম/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/১৯১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯১৭
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ২৪ অগ্রহায়ণ (৯ ডিসেম্বর) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৬ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার এক দশমিক শূন্য দুই শতাংশ। এ সময় ৫৮৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৭৭ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৩ হাজার ৮১৯ জন।
#
সুলতানা/পাশা/সায়েম/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৩/১৭০০ ঘণ্টা
Not to publish before 5 PM
Handout Number : 1916
Prime Minister’s message on the United Nations Human Rights Day
Dhaka, 9 December :
Prime Minister Sheikh Hasina has given the following Message on the occasion of the United Nations Human Rights Day :
“On the auspicious occasion of the United Nations Human Rights Day, I, on behalf of the Government and People of Bangladesh, join the international community in reiterating our unflinching commitment to upholding human rights enshrined in the Universal Declaration of Human Rights (UDHR). This year marks the 75th anniversary of this milestone document, which is equally relevant today as it was 75 years ago. The celebration of this anniversary reminds us of the progress made and the work that still lies ahead in creating a world where equality, freedom, and justice genuinely exist for all. Thus, the theme for this year's Human Rights Day, ‘Freedom, Equality, and Justice for All,’ is apt and timely.
Bangladesh was born in 1971 out of a long and heroic struggle to establish our rights and uproot inequality. Our enduring experience of being oppressed and deprived guided us to formulate a constitution embracing the UDHR principles under the leadership of the Father of the Nation, Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman. In his maiden speech to the United Nations General Assembly in 1974, the Father of the Nation stated, ‘the souls of our martyrs join us in pledging that the Bangalee nation fully commits itself to the building of a world order, in which the aspiration of all men for peace and justice will be realized.’
Bangladesh has duly prioritized the human rights issue in its development trajectory. We have taken a whole-of-society approach and ensured no one is left behind in our development interventions. The Government has been working relentlessly to secure the rule of law, fundamental human rights and freedom, equality, justice, and political, economic, and social rights for all citizens. Internationally, Bangladesh has engaged itself in resolving conflicts, establishing peace, and protecting human rights all around the world. Our peacekeepers have contributed to the process of keeping and sustaining peace and upholding the principles of human rights.
Despite significant achievements in many areas of human rights, it is regrettable that injustice and oppression are continuing in different parts of the world, notably the gross human rights violations and brutal persecution that the Rohingyas in Myanmar have faced for generations. For more than two months, the world has been distressingly observing Israel's brazen violations of international human rights law and international humanitarian law. The horrific and barbaric attacks by Israel have amplified the necessity and urgency for a just, lasting, and peaceful solution for the people of Palestine. The world also faces new and ongoing challenges, such as pandemics, conflicts, exploding inequalities, racism, hate speech, and climate change. Against this backdrop, the values and rights enshrined in the UDHR provide guidelines for our collective responsibility to uphold and protect human rights.
Bangladesh, as a member of the United Nations Human Rights Council, has significantly contributed to the protection and promotion of human rights worldwide. On this International Human Rights Day, we reaffirm our steadfast commitment to establishing a just world free of domination, discrimination and deprivation.
Joi Bangla, Joi Bangabandhu
May Bangladesh Live Forever."
#
Rejaul/Siddik/Zulfikar/Sazzad/Koli/Shamim/2023/1218 hours
Not to publish before 5 PM
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯১৫
ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২৪ অগ্রহায়ণ (৯ ডিসেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ‘ভ্যাট দিবস’ ও ‘ভ্যাট সপ্তাহ ২০২৩’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্যোগে দেশব্যাপী ‘ভ্যাট দিবস ২০২৩’ এবং ‘ভ্যাট সপ্তাহ ২০২৩’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে আমি দেশের আপামর জনসাধারণ, ব্যবসায়ী এবং ভ্যাট আহরণ ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাজস্বকর্মীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। অবকাঠামো ও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতের নিরাপদ খাদ্যসহ ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভ্যাটের ভূমিকা অপরিহার্য। এবছর ভ্যাট দিবস এবং ভ্যাট সপ্তাহের প্রতিপাদ্য- ‘আমার ভ্যাট আমি দিব, কেনার সময় চালান নিব’ সঠিক ও সময়োপযোগী হয়েছে।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শূন্য মুদ্রা, শূন্য বৈদেশিক মুদ্রা এবং শূন্য স্বর্ণ রিজার্ভ নিয়ে একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত সদ্যস্বাধীন দেশের অর্থনীতি বিনির্মাণে ব্রতী হয়েছিলেন। স্বাধীনতা অর্জনের পর তিনি শিল্প-প্রতিষ্ঠান, কল-কারখানা জাতীয়করণের মাধ্যমে সেখানে জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল দেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে ১৯৭২ সালে মহামান্য রাষ্ট্রপতির ৭৬নং অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ’৭০-এর নির্বাচনি ইশতেহার অনুযায়ী তিনি কৃষি উন্নয়নের পাশাপাশি শিল্পভিত্তিক অর্থনীতির বিকাশের লক্ষ্যে প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে মাত্র তিন বছর সাত মাস তিন দিনেই বাংলাদেশ রেকর্ড ৯ শতাংশের উপরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছিল এবং স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা লাভ করেছিল।
ভ্যাট দেশের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণের অন্যতম প্রধান উৎস। রাজস্ব আয় থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়েই সরকার উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও সেবা প্রদানের ব্যয় নির্বাহ করে থাকে। এই অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে একটি মজবুত ও টেকসই অর্থনৈতিক ভিত্তি বিনির্মাণের লক্ষ্যে আমাদের সরকার সময় ও অর্থসাশ্রয়ী আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর একটি মূল্য সংযোজন কর ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছে। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর আমরা ‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২’ ও ‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক বিধিমালা ২০১৬’ প্রণয়ন করেছি এবং এগুলোর প্রয়োগিক জটিলতা অপসারণ, ব্যবসা-বাণিজ্য সহজিকরণ এবং রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ফলে মূল্য সংযোজন কর আদায় কার্যক্রমে তদারকি নিশ্চিত হয়েছে এবং দিনদিন রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা ঘরে বসেই অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন ও ভ্যাট রিটার্ন দাখিলের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করেছি। তাছাড়া, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, আমদানি বিকল্প পণ্য উৎপাদন এবং দেশীয় শিল্প বিকাশের চলমান ধারা বজায় রাখার জন্য বেশকিছু ক্ষেত্রে মূসক অব্যাহতি সুবিধা প্রদান ও বহাল রাখাসহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আমরা বাংলাদেশ কাস্টমসকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ASYCUDA World-এর মানোন্নয়ন, স্বয়ংক্রিয় কাস্টমস ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং বন্ড ব্যবস্থাপনা স্বয়ংক্রিয়করণসহ বেশকিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমাদের সরকারের গৃহীত এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের সৃষ্টি হবে, রাজস্ব আহরণ আরো বৃদ্ধি পাবে এবং সেইসাথে নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের অন্যতম পূর্বশর্ত হচ্ছে একটি সমৃদ্ধ রাজস্বভান্ডার গড়ে তোলা। আওয়ামী লীগ সরকারের নিবিড় ও নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। আমাদের বর্তমান লক্ষ্য ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়ন করা। আমরা উৎপাদন ব্যবস্থা ও কর্মক্ষেত্রগুলোতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটাচ্ছি। একইসাথে প্রয়োজনীয় পেশাগত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল সৃষ্টিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি- আমাদের সরকারের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠার রূপকল্পকে সফল করতে সকলে নিজেদের উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগাবে এবং একাগ্রতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করবে।
আমি ‘ভ্যাট দিবস, ২০২৩’ এবং ‘ভ্যাট সপ্তাহ, ২০২৩’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবীহোক।”
#
নুরএলাহি/সিদ্দীক/জুলফিকার/সাজ্জাদ/কলি/কামাল/২০২৩/১৩৪০ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
বিবরণী নম্বর : ১৯১৪
ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২৪ অগ্রহায়ণ (৯ ডিসেম্বর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আগামীকাল ‘ভ্যাট দিবস’ ও ‘ভ্যাট সপ্তাহ’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্যোগে ১০ ডিসেম্বর ‘ভ্যাট দিবস’ এবং ১০-১৫ ডিসেম্বর ‘ভ্যাট সপ্তাহ’ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ উপলক্ষ্যে আমি সম্মানিত ব্যবসায়ী, ভোক্তা এবং সর্বস্তরের রাজস্বকর্মীদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। ভ্যাট দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘আমার ভ্যাট আমি দিব, কেনার সময় চালান নিব’ রাজস্ব সুরক্ষা অর্জনে যথার্থ হবে বলে আমি মনে করি।
রাষ্ট্র পরিচালনাসহ রাষ্ট্রের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে এবং রাষ্ট্রের সকল ব্যয় নির্বাহ ও উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় অর্থের অন্যতম উৎস রাজস্ব খাত। উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘রূপকল্প-২০৪১’ ঘোষণা করেছেন। সরকার ইতোমধ্যে নিজস্ব অর্থায়নে মেগা প্রকল্প পদ্মাসেতু বাস্তবায়ন, মেট্রোরেল, ঢাকা এলিভেডেট এক্সপ্রেসওয়ে ও দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেল তথা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল চালু করেছে। এছাড়া হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্মিত তৃতীয় টার্মিনাল সফলতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এ সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাংলাদেশকে বিশ্বে নতুনভাবে উপস্থাপন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
সমৃদ্ধ রাজস্বভান্ডার গড়ে তুলতে রাজস্বকর্মীদের পাশাপাশি ভোক্তা সাধারণ ও ব্যবসায়ীবৃন্দকেও অধিকতর দায়িত্বশীল হতে হবে। আমি রাজস্ব আহরণের চলমান গতিধারাকে আরো বেগবান করতে ব্যবসায়ী, ভোক্তা সাধারণ ও রাজস্বকর্মীসহ সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
আমি ‘ভ্যাট দিবস’ ও ‘ভ্যাট সপ্তাহ ২০২৩’ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
রাহাত/সিদ্দীক/জুলফিকার/সাজ্জাদ/কলি/কামাল/২০২৩/১২৪০ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯১৩
বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২৪ অগ্রহায়ণ (৯ ডিসেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উদ্যোগে ‘বিশ্ব মানবাধিকার দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে আমি বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে বিশ্বের শোষিত-নিপীড়িত মানুষের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি। বিশ্ব মানবাধিকার দিবসের এবছরের প্রতিপাদ্য- ‘সবার জন্য মর্যাদা, স্বাধীনতা এবং ন্যায়বিচার’ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আমি জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন কর্তৃক সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাপত্রের ৭৫বছর উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আহ্বান- ‘Together, let's rejuvenate the Universal Declaration of Human Rights, demonstrate how it can meet the needs of our time and advance its promise of freedom, equality and justice for all’-এর প্রতিও পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করছি।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের মানুষকে হাজার বছরের শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তি দেওয়ার লক্ষ্যে সারাজীবন আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। তিনি এমন বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন যেখানে প্রতিটি মানুষ মানবিক মর্যাদা, সাম্য ও ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা লাভ করবে। এ অঞ্চলের মানুষের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য তিনি বারবার কারাবরণ করেছেন। অথচ তাঁর সাথেই সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। জাতির পিতার নিঃস্বার্থ সংগ্রাম, অত্যন্ত বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। স্বাধীনতা লাভের মাত্র নয় মাসের মধ্যেই তিনি দেশের সকল নাগরিকের মানবাধিকার সুরক্ষার দলিল হিসেবে সংবিধান প্রণয়ন করেছেন। সংবিধানের তৃতীয় ভাগে বর্ণিত মৌলিক মানবাধিকারসমূহ লঙ্ঘিত হলে উচ্চ আদালতের মাধ্যমে প্রতিকার প্রদানের ব্যবস্থা রেখেছেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করার পর এদেশে মানবাধিকার বলে আর কিছু ছিলো না। সেই কালরাতে আমাদের পরিবারের ১৮জন সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। খুনিদের যাতে কেউ বিচার করতে না পারে সেজন্য দায়মুক্তি অধ্যাদেশ প্রণয়ন করে আমাদের স্বজনদের হত্যার বিচার চাওয়ার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পূর্বে আমরা এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে মামলা করতে পারিনি। সরকার গঠনের পর সেই কালো আইন বাতিল করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আমরাই প্রথম উদ্যোগ নিয়েছিলাম। এরপর থেকে আমরা সকল মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচারের ব্যবস্থা করেছি। জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছি।
২০০৯ সালে সরকারে আসার পর আমরা গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্টদেরও বিচারের আওতায় এনেছি। আমরা জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন প্রণয়নের মাধ্যমে কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছি। ইতোমধ্যে কমিশনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ফলে বর্তমানে কমিশন স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করে যাচ্ছে। শৈশব/কৈশোর থেকেই শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে মানবাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অনলাইনভিত্তিক ‘মানবাধিকার কোর্স’ চালু করেছি। তাছাড়া, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষণ প্রতিরোধে কমিশনের উদ্যোগে ন্যাশনাল ইনকোয়ারি কমিটি করা হয়েছে। মানবাধিকার সুরক্ষায় আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।
-২-
আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশ মানবাধিকারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। আমরা আমাদের সকল নাগরিকের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং অর্থনৈতিক সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছি। আমরা নারী, শিশু ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় পদক্ষেপ নিয়েছি। মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে আমরা বিশ্ব দরবারে মানবাধিকার রক্ষার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি। আমরা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে অবদান রেখে যাচ্ছি, যা বিশ্ব পরিমণ্ডলে আমাদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। ফিলিস্তিন, সিরিয়াসহ বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিপক্ষে জোরালো প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি। বাংলাদেশ সরকার মানবাধিকার সুরক্ষার লক্ষ্যে মানবাধিকার সংক্রান্ত আটটি আন্তর্জাতিক দলিলে স্বাক্ষর ও অনুসমর্থন করেছে। বাংলাদেশ ২০২৩-২০২৫ মেয়াদে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল (ইউএনএইচআরসি)-এর নির্বাচিত সদস্য হিসেবে কাজ করছে।
আমরা গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পূর্ণ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বৈষম্যমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমি মানবাধিকার সুরক্ষার কাজে নিয়োজিত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী, সিভিল সোসাইটি, গণমাধ্যম, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানাই।
আমি ‘বিশ্ব মানবাধিকার দিবস’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
সরওয়ার/সিদ্দীক/জুলফিকার/সাজ্জাদ/শামীম/২০২৩/১২০৭ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯১২
বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২৪ অগ্রহায়ণ (৯ ডিসেম্বর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আগামীকাল বিশ্ব মানবাধিকার দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, বাংলাদেশে কর্তৃক বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও মানবাধিকার দিবস ২০২৩ উদ্যাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। মানবাধিকার দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘Dignity Freedom, and Justice for All’ অর্থাৎ ‘সবার জন্য মর্যাদা, স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার’ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
মানুষের মৌলিক অধিকার ও চাহিদা নিশ্চিতের পাশাপাশি, সকলের নিরাপত্তা বিধান, স্বাধীনতা ও মর্যাদা সমুন্নত রাখাই মানবাধিকার। মানবাধিকার একটি বিশদ ও সামগ্রিক বিষয়। কিন্তু দুঃখের বিষয়, একবিংশ শতাব্দীতে ও বর্তমানে তথ্য-প্রযুক্তির যুগেও বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও রক্ষায় প্রতিনিয়ত আন্দোলন-সংগ্রাম করতে হচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। তিনি বাংলাদেশের সংবিধানে সুনিপুণভাবে মানবাধিকারের বিষয়গুলো সন্নিবেশিত করেছিলেন। এই সাংবিধানিক অধিকার তথা মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। মানবাধিকার বিষয়ে জনসাধারণের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং মানবাধিকার রক্ষায় কমিশনের কার্যক্রম তৃণমূল পর্যায়ে আরো জোরদার করতে হবে। পাশাপাশি ফিলিস্তিনসহ বিশ্বের সকল নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার হতে হবে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে একটি গণমুখী ও কার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে নিয়মিত গণশুনানি আয়োজন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে অংশগ্রহণ এবং বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উপস্থাপন, প্রতিবেদন দাখিল, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানবাধিকার বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ প্রেরণ; ম