তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৯২৪
রাজশাহীর ১২টি গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ উদ্বোধন করলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
রাজশাহী, ৯ পৌষ (২৩ ডিসেম্বর) :
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহ্রিয়ার আলম বলেছেন, বিশে^র উন্নত দেশগুলো আজ বাংলাদেশকে উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি বলে স্বীকার করেছে। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ ও দূরদর্শী নেতৃত্বের ফলে দেশের ধারাবাহিক উন্নয়ন, অগ্রগতি ও ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার সাফল্যের কথা তুলে ধরেন।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়নের ১২টি গ্রামের বিদ্যুতের নতুন সংযোগ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন।
এ কর্মসূচির আওতায় জয়পুর, শ্রীখন্ডি, দুর্লভপুর, ফুদকিপাড়া, গোবিন্দপুর, পাসুন্ডিয়া, ইউসুফপুর, নওদাপাড়া, কাকাইলকাটি ও সাহাপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে আবাসিক, বাণিজ্যিক ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানসহ ৩৫২টি বিদ্যুতের নতুন সংযোগ প্রদান করেন। এতে এক কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যায়ে ৫ দশমিক ৪৮৯ কিলোমিটার বিতরণ লাইন নির্মাণ এবং ২৯টি ট্রান্সফরমার নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী ২০১৭ সালের মধ্যে বাঘা ও চারঘার উপজেলার প্রতিটি বাড়িতে শতভাগ বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী বাঘা উপজেলার অমরপুর ধন্দহ গ্রামের বিদ্যুৎ ও কালভার্ট উদ্বোধন করেন। এ কর্মসূচির আওতায় ৪১ লাখ টাকা ব্যয়ে পাঁচটি গ্রামের ২ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইনের সংযোগ প্রদান করেন। এতে ৬টি ট্রান্সফরমার স্থাপন করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সভাপতি আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে নাটোর পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জিএম নিতাই কুমার সরকার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুস সামাদ, চারঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ফকরুল ইসলাম, ডিজিএম আব্দুল কাদের, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ইমদাদুল ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মুক্তার হোসেনসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
#
হালিম/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৬/২০২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৯২৩
যুক্তরাজ্যে বসবাসরত মুক্তিযোদ্ধাদের কফিনের খরচ
বহন করবে লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন
লন্ডন (যুক্তরাজ্য), ২৩ ডিসেম্বর :
যুক্তরাজ্যে নবনিযুক্ত হাইকমিশনার মো. নাজমুল কাওনাইন গত ২২ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলা মিডিয়ায় কর্মরত (প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক) সাংবাদিকদের সম্মানে এক পরিচিতি সভা ও নৈশভোজের আয়োজন করেন। সভায় তিনি যুক্তরাজ্যে বসবাসরত মুক্তিযোদ্ধাদের কফিনের যাবতীয় খরচ লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে বহনের ঘোষণা দেন।
হাইকমিশনার বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের গৌরব। তাঁদেরকে বিন¤্র শ্রদ্ধা জানাই। যুক্তরাজ্যে বসবাসরত কোন মুক্তিযোদ্ধা মারা গেলে তাঁর মরদেহ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, বাংলায় জিসিএসই এবং ‘ও‘ লেভেল পরীক্ষায় যারা ভালো ফলাফল করবে তাদেরকেও মূল্যায়ন করা হবে। এছাড়া একজন কর্মকর্তাকে শিক্ষার জন্য হাইকমিশনে দায়িত্ব দেয়া হবে।
পরিচিতি সভায় উপস্থিত ছিলেন লন্ডন-বাংলা প্রেস ক্লাবের প্রেসিডেন্ট নবান উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মো. এমদাদুল হক চৌধুরী। উপস্থিত সাংবাদিকবৃন্দের সাথে হাইকমিশনার বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন লন্ডনস্থ হাইকমিশনের মিনিস্টার (প্রেস) নাদীম কাদির।
#
নাদীম/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৬/১৯৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৯২২
এসডিজি অর্জনে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে
-- শিল্পমন্ত্রী
কলকাতা (ভারত), ২৩ ডিসেম্বর :
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে বাংলাদেশ প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সাথে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর অগ্রাধিকার দিচ্ছে মন্তব্য করেছেন ভারত সফররত শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে সরকার শিল্পবান্ধব অবকাঠামো গড়ে তোলার পাশাপাশি সৃজনশীল উদ্ভাবনে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া শিল্পখাতে বিনিয়োগ আকর্ষণে দেশি ও বিদেশি উদ্যোক্তাদের একই রকম সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে। ফলে ইতোমধ্যে বাংলাদেশের শিল্পখাতে শতকরা ১০ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে বলে তিনি জানান।
শিল্পমন্ত্রী আজ ভারতের কলকাতার মিলন মেলা প্রাঙ্গণে “২৯তম ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইন্ডিয়া ট্রেড ফেয়ার (২৯ঃয ওহফঁংঃৎরধষ ওহফরধ ঞৎধফব ঋধরৎ (ওওঞঋ)” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন। কলকাতার দ্য বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার অভ্ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএনসিসিআই) এ শিল্প-বাণিজ্য মেলার আয়োজন করে। দশ দিনব্যাপী আয়োজিত এ মেলা ১ জানুয়ারি, ২০১৭ তারিখে শেষ হবে।
মেলা আয়োজক কমিটির সভাপতি সুরজিৎ পাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক (গধষধু এযধঃধশ), বিদ্যুৎ ও অপ্রচলিত শক্তি বিষয়কমন্ত্রী সোবহানদেব চট্টোপাধ্যায় (ঝড়নযধহফবন ঈযধঃঃড়ঢ়ধফযধুধু), তথ্য প্রযুক্তি ও ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু (ইৎধঃুধ ইধংঁ) এবং পৌর বিষয়ক ও নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (ঋরৎযধফ ঐধশরস) বক্তব্য রাখেন।
শিল্পমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের কৃষিভিত্তিক পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, আইসিটি ও সফ্টওয়্যার, টেলিকমিউনিকেশন, ওষুধ, জাহাজ নির্মাণ ও রিসাইক্লিং, প্ল¬াস্টিক, সিরামিক, অটোমোবাইল, হালকা প্রকৌশল, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ইলেক্ট্রনিক, পাট ও পাটজাত পণ্যের মতো উদীয়মান শিল্পখাতগুলোতে ভারতসহ অন্যান্য দেশের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
ভারতের পূর্বাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর সবচেয়ে বড় এ শিল্প ও বাণিজ্য মেলায় বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নেপাল, ভুটান, চীন, থাইল্যান্ড, মিশর, তুরস্ক, ভিয়েতনাম, ঘানা, সিঙ্গাপুর, হংকং ও দুবাইয়ের ৭ শতাধিক উদ্যোক্তা অংশ নিচ্ছেন। তারা হস্ত, কুটির, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পখাতে উৎপাদিত পণ্য, প্রযুক্তি ও সেবা প্রদর্শন করছেন। এছাড়া মেলায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে আলোচনায় অংশ নেবেন।
মেলায় অংশগ্রহণের ফলে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও হস্তশিল্প উদ্যোক্তাদের পণ্য বিপণন ও বাজার সম্প্রসারণের সুযোগ তৈরি হবে। একই সাথে ভারতসহ অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের শিল্প প্রযুক্তি, অভিজ্ঞতা ও মেধাসম্পদ বিনিময় এবং নিবিড় সংযোজনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নে বহুপাক্ষিক সহযোগিতার ক্ষেত্র জোরদার করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
#
জলিল/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৬/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৯২১
বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার জাতীয় সম্মেলন
কিশোর শেখ মুজিবকে অনুসরণ করার আহ্বান ভূমিমন্ত্রীর
ঢাকা, ৯ পৌষ (২৩ ডিসেম্বর) :
ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা সার্থক করতে এ প্রজন্মের শিশু কিশোরদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কিশোর ও তরুণ সময়ের জীবনীকে অনুসরণ করতে হবে।
আজ রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে আয়োজিত কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার জাতীয় সম্মেলন-২০১৬ এর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাঙালি জাতির মুক্তির স্বাধীনতার দলিল ছিল ৬৬’র ছয় দফা, যা ছিল মূলত এক দফা। বাঙালি জাতিকে একটি পতাকার নিচে এনে সারা জাতিকে একীভূত করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, কোনো সামরিক নেতৃত্বে নয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি। তিনি ৭৫ এর ১৫ আগস্ট শহীদ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের অন্যান্য শহিদের স্মৃতি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. দুর্গাদাস ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য লে. কর্নেল মুহাম্মদ ফারুক খান, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ড .আব্দুস সোবহান গোলাপ, বাবু সতীস চন্দ্র রায়, সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু, কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার সভাপতি অধ্যাপিকা শিরিন আক্তার মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক শেখ মনিরুজ্জামান লিটন, ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ফারুক তালুকদার এবং কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল হক শিমুল বক্তব্য রাখেন।
#
রেজুয়ান/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৬/১৭৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৯১৯
মানসম্মতভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণের আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
ঢাকা, ৯ পৌষ (২৩ ডিসেম্বর)
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর (ইইডি)-এর প্রকৌশলীদের সততার সাথে ও সঠিকভাবে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে হবে। কাজের মাধ্যমেই সুনাম অর্জন করতে হবে। জনগণের টাকার অপচয় করা যাবে না। ঘুষ, দুর্নীতি, অপচয় সহ্য করা হবে না। যে কোন ধরনের ঘুষ-দুর্নীতির ব্যাপারে তিনি জিরো টলারেন্স নীতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ইইডি’র সহকারী প্রকৌশলী ও মাঠ পর্যায়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলীদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণের সাথে আমাদের ভবিষ্যৎ জড়িত। ইইডি যেসকল প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করছে, সেসব প্রতিষ্ঠানে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পড়ালেখা করবে। তারাই হবে উন্নত বাংলাদেশ নির্মাণের অগ্রগামী দল। তাই এসব প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ যাতে সুন্দর হয় এবং নির্মাণশৈলী উন্নত হয়, সেদিকে এ অধিদপ্তরের প্রকৌশলীদের খেয়াল রাখতে হবে। কাজের মধ্যে সৃজনশীলতা ও সৃষ্টিশীলতার প্রকাশ হতে হবে। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্মাণ কাজ শুরুর আগে এর সার্বিক পরিবেশ বিশ্লেষণ করে একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরিরও পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি বলেন, এ অধিদপ্তরকে নতুনভাবে ঢেলে সাজানো হয়েছে। অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকেই এখন প্রধান প্রকৌশলী নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এর কর্মপরিধি ব্যাপক বৃদ্ধি করা হয়েছে। এজন্য ৫৬৫৪টি নতুন পদ সৃষ্টির প্রস্তাব করা হয়েছে। অধিদপ্তরের উন্নয়নে ৩৮৪ কোটি টাকার প্রকল্প একনেকে পাস হয়েছে। এর মাধ্যমে ঢাকায় একটি ১৫তলা ভবন এবং ৩২টি জেলায় ইইডি‘র নিজস্ব ভবন নির্মাণ করা হবে। তিনি এ প্রকল্পের কাজ মানসম্মতভাবে সম্পন্ন করার আহবান জানান।
মন্ত্রী বলেন, এ অধিদপ্তরের আওতায় ৩০০০ স্কুলভবন, ১৫০০ কলেজ ভবন, ৭০টি বৃহৎ কলেজে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়াও প্রতিটি উপজেলায় মডেল স্কুল, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মাদরাসা ভবন নির্মাণের কাজও চলছে। এসব কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য তিনি প্রকৌশলীদের তাগিদ দেন। আগের তুলনায় বাজেট বরাদ্দ অনেক বেশি হওয়ায় কাজের পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যথাসময়ে এসব কাজ শেষ করতে হবে।
ইইডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির সভাপতি মো. আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. অরুণা বিশ্বাস, ইইডি‘র প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালা, ইনস্টিটিউশন অভ্ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. জিনাত ইমতিয়াজ আলী এবং ইইডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বক্তৃতা করেন।
এর আগে মন্ত্রী উপ-সহকারী প্রকৌশলী থেকে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত ৪৬ জন প্রকৌশলীকে স্মারক উপহার প্রদানের মাধ্যমে অভিনন্দন জানান। অনুষ্ঠানে অধিদপ্তরে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ৮৫ জন উপ-সহকারী প্রকৌশলীকেও স্বাগত জানানো হয়।
#
আফরাজুর/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৬/১৭৩৬ ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৯২০
দেশের অগ্রগতিতে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে
---স্পিকার
ঢাকা, ৯ পৌষ (২৩ ডিসেম্বর)
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সমাজ ও দেশ এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
তিনি আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইন্স এনেক্স চত্বরে বাংলাদেশ আইন সমিতির ৩১তম বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ আইন সমিতি বাংলাদেশের পেশাজীবীদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন এবং নবীন ও প্রবীণের সমন্বয়ে এক মিলন মেলা। বিভিন্ন দিক থেকে এ সমিতির গুরুত্ব ও তাৎপর্য রয়েছে। আইন বিভাগের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা দেশের বিভিন্ন সেক্টর বিশেষ করে বিচারালয়, আইন প্রণয়ন, সরকার পরিচালনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের উজ্জ্বল অবস্থান নিশ্চিত করে দেশের জন্য কাজ করে চলেছে।
স্পিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি মেধাগত উৎকর্ষ সাধনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়াও তিনি প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে আইন বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের তাত্ত্বিক শিক্ষা প্রদানের পাশাপাশি বাস্তবমুখী শিক্ষা গ্রহণের আহ্বান জানান। এছাড়া তিনি আইন সমিতির মাধ্যমে নারী আইনজীবীদের পেশাগত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের দক্ষ করে গড়ে তোলার আহবান জানান।
বাংলাদেশ আইন সমিতির সভাপতি ড. খান মোহাম্মদ আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে শ্রম ও জনশক্তি প্রতিমন্ত্রী এড. মোঃ মুজিবুল হক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী এড. তারানা হালিম, সংসদ সদস্য হোসনে আরা বেগম, মোল্লা মোঃ আবু কাওছার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এলামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদ বক্তব্য রাখেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক আইন সমিতির ৩১তম বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদেরকে ফুলের তোড়া ও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
#
কামাল/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৬/১৭৪৮ ঘন্টা