Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৪ August ২০২০

তথ্যবিবরণী ৪ আগস্ট ২০২০

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ২৮৮৫

 

ভবিষ্যতে ভাড়া বাড়িতে স্থাপিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিও প্রদান করা হবে না

                                                                               -- শিক্ষামন্ত্রী

 

ঢাকা, ২০ শ্রাবণ (৪ আগস্ট) : 

 

          শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, যে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব জমি নেই, সে রকমের প্রতিষ্ঠানকে ভবিষ্যতে আর এমপিও প্রদান করা হবে না। ইতোমধ্যে ভাড়া বাড়িতে স্থাপিত যে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিও প্রদান করা হয়েছে তাদেরকে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে নিজস্ব জায়গায় প্রতিষ্ঠান  স্থানান্তর করতে হবে।  তিনি আজ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিও নীতিমালা (সংশোধিত) ২০২০  এর উপর আয়োজিত এক  ভার্চুয়াল মিটিংয়ে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

 

          শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে এই ভার্চুয়াল মিটিংয়ে আরো যুক্ত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ মাহবুব হোসেনসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

 

          মন্ত্রী বলেন, কোন ট্রাস্ট বা সংস্থা দ্বারা পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ট্রাস্ট বা সংস্থার সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে এমপিওভুক্ত করা হবে। এই রকমের যে সকল প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে এমপিওভুক্ত হয়েছে ট্রাস্ট যদি না চায় তাহলে সেসকল প্রতিষ্ঠানের  এমপিও বাতিল করা হবে। এবং ঐ সকল প্রতিষ্ঠানে এমপিওভুক্ত শিক্ষকগণ চাইলে অন্য এমপিওভুক্ত  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে পারবেন।  অথবা আগের প্রতিষ্ঠানে থেকে যেতে পারবেন। তাছাড়া ভবিষ্যতে ট্রাস্টের কোনো প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করতে হলে ট্রাস্টের পূর্বানুমোদন  নিতে হবে।

 

#

 

খায়ের/নাইচ/মোশারফ/সেলিম/২০২০/১৯৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ২৮৮৪

 

জাতীয় শোক দিবস - ২০২০ পালনের লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত

 

ঢাকা, ২০ শ্রাবণ (৪ আগস্ট) : 

 

          জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস - ২০২০ যথাযথ মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে এক প্রস্তুতিমূলক সভা আজ অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এতে সভাপতিত্ব করেন।

 

          সভায় আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলমসহ  বিভাগের অধীন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানগণ এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ  অনলাইনে যুক্ত হন।

 

          সভায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত পূর্বক স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে আইসিটি বিভাগের অধীন দপ্তর ও সংস্থাসমূহের আওতাধীন সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী কালোব্যাজ ধারণ করে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ব্যানার, ফেস্টুনসহ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ১৫ আগস্ট  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

 

           এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত পূর্বক স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে বিভাগের উদ্যোগে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল এবং বাংলা ও  ইংরেজিতে  দুইটি অনলাইন সেমিনারের আয়োজনসহ আইসিটি বিভাগ কর্তৃক বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের  সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

 

#

 

শহীদুল/নাইচ/মোশারফ/সেলিম/২০২০/১৮২০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ২৮৮৩

 

জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণে কাজ করে যেতে হবে

                                     -- পরিবেশ মন্ত্রী

 

ঢাকা, ২০ শ্রাবণ (৪ আগস্ট) : 

 

          পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু একটি স্বাধীন দেশই উপহার দেননি, তিনি জাতিকে সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশ উপহার দিতে স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে সারাদেশে বৃক্ষরোপণ অভিযান চালু করেন। তাঁর সেই দূরদর্শী ভাবনা অনুসরণে বর্তমানে যুগোপযোগী সামাজিক বনায়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। উপকূলীয় চরাঞ্চলে বনায়নের মাধ্যমে সৃষ্ট সবুজ বেষ্টনী দেশের আয়তন বৃদ্ধিসহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় রোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে।  পরিবেশ সুরক্ষা এবং বন বৃদ্ধি ও সংরক্ষণসহ জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণে সকলকে আন্তরিকভাবে কাজ করে যেতে হবে।

 

          ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকীতে জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে আজ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতিমূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

          সভায় জাতীয় শোক দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য ১৫ আগস্ট পরিবেশ, বন, ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সকল দপ্তর সংস্থাসমূহের ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও সকলে কালো ব্যাচ ধারণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সরকারের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সীমিত সংখ্যক প্রতিনিধির উপস্থিতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ সাপেক্ষে সীমিত আকারে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হবে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীন সকল দপ্তর সংস্থার মাঠ পর্যায়ের অফিসমূহ জাতীয় কর্মসূচির সাথে সামঞ্জস্য রেখে কর্মসূচি গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করবে।

 

          পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান এনডিসির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এমপি। অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং পরিবেশ অধিদপ্তর, বন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ বন শিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল হারবেরিয়াম ও বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের প্রধানগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

দীপংকর/নাইচ/মোশারফ/সেলিম/২০২০/১৮৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ২৮৮২

 

কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাসসংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ২০ শ্রাবণ (৪ আগস্ট) : 

 

          ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (এনডিআরসিসি) থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ৬৪ জেলায় ইতোমধ্যে ২ লাখ ১১ হাজার ১৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া শিশুখাদ্য-সহ অন্যান্য সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ১২২ কোটি ৯৭ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা নগদ বিতরণ করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বরাদ্দকৃত এ সাহায্য দেশের সকল জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে।

 ‌         স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী আজ দেশে নতুন করে আরো ১ হাজার ৯১৮ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৪৪ হাজার ২০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০ জন-সহ এ পর্যন্ত ৩ হাজার ২৩৪ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ হাজার ৭১২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৩৯ হাজার ৮৬০ জন।

 

          সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান এবং এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের সেবা প্রদান করা যাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে।

 

#

 

তাসমীন/নাইচ/মোশারফ/সেলিম/২০২০/১৮০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ২৮৮১

 

করোনা ক্রান্তিকালীন দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি মন্ত্রীর

 

ঢাকা, ২০ শ্রাবণ (৪ আগস্ট) : 

 

          করোনা ক্রান্তিকালীন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে যাতে কোনো ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়ম না হয়, সে ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

 

          আজ সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে ঈদুল আজহা পরবর্তী মতবিনিময়কালে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন মন্ত্রী।

 

          মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সুবোল বোস মনি ও শ্যামল চন্দ্র কর্মকারসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।

 

          এ সময় মন্ত্রী বলেন, “প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনো ধরনের অনিয়ম কাঙ্ক্ষিত নয়। কোনোভাবেই তা বরদাশত করা হবে না। আইন অনুযায়ী প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। কর্তব্য পালনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মাঠ পরিদর্শনে কোনো অনিয়ম পেলে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন তৈরি করে সামগ্রিক চিত্র তুলে আনতে হবে।”

 

          প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাকালীন গোটা জাতিকে উজ্জীবিত করেছেন উল্লেখ করে কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, “করোনাকালীন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাজের গতি দৃশ্যমান ছিলো। করোনার মধ্যে আপনারা ঝুঁকি নিয়ে মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন। কন্ট্রোল রুমে দায়িত্ব পালন করেছেন। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্তরিকতার সাথে কাজ করেছেন। এটা আমাকে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করেছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।”

 

          তিনি আরো বলেন, “করোনা এবং সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় এবং বন্যায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের খামারি, উৎপাদক ও বিপণনকারীরা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ ক্ষতি যে কোনো মূল্যে পুষিয়ে নিতে কাজের গতি বাড়াতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়ায় কোনো ঘাটতি নেই।”

 

          কোরবানির সময় ঢাকাসহ সারাদেশের জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী। শোকের মাস আগস্টে শক্তি সঞ্চয় করে পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সকলকে কাজ করার আহ্বানও জানান তিনি।

 

#

 

ইফতেখার/নাইচ/মোশারফ/সেলিম/২০২০/১৭১০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ২৮৮০

 

চসিকের প্রশাসক হলেন মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন

জনগণের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত বলে প্রশাসক হিসেবে রাজনৈতিক ব্যক্তিকেই দায়িত্ব দেয়া হয়েছে

                                                                                        -- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

 

ঢাকা, ২০ শ্রাবণ (৪ আগস্ট) : 

 

          চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক হিসেবে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনকে নিয়োগ দিয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।

 

          আজ দুপুরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম মন্ত্রণালয়ে তাঁর নিজ কক্ষে প্রশাসক হিসেবে মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

 

          এ সময় মন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক নেতারা যেহেতু জনগণের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত তাই প্রশাসক হিসেবে রাজনৈতিক ব্যক্তিকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

 

          এক প্রশ্নের জবাবে মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, সিটি কর্পোরেশনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো; কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন স্থগিত করেছে। আইন অনুযায়ী চট্টগ্রাম সিটিতে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এই প্রশাসক তার দায়িত্ব পালন করবেন।

 

          উল্লেখ্য, মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন ১৯৭০ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরে সভাপতি ও অন্যান্য পদে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

 

#

 

হায়দার/নাইচ/মোশারফ/সেলিম/২০২০/১৭০০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ২৮৭৯

 

আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা বিবেচনায় পাটখাতের যুগোপযোগী সংস্কার করা হচ্ছে

 

ঢাকা, ২০ শ্রাবণ (৪ আগস্ট) : 

 

          বর্তমান সরকার আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা বিবেচনায় পাটখাতের যুগোপযোগী সংস্কারের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যবহার বহুমুখীকরণ ও উচ্চমূল্য সংযোজিত পাটপণ্যের উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছে। ইতোমধ্যে পাটকাঠি থেকে চারকোল, কম্পোজিট জুট টেক্সটাইল, পাট পাতার পানীয়, জুট  জিও-টেক্সটাইল এবং পলিথিনের বিকল্প ‘সোনালি ব্যাগ’ উৎপাদনের মাধ্যমে পাটখাতে নতুন দিগন্ত উম্মোচন করা সম্ভব হয়েছে ।

 

          আজ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে উজবেকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের সম্ভাব্য স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে বস্ত্র ও পাট সচিব লোকমান হোসেন মিয়া এবং উজবেকিস্তানে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সাক্ষাৎ করেন।

 

          বস্ত্র ও পাট সচিব সচিব বলেন, পলিথিন ও প্লাস্টিকের অতি ব্যবহারের ফলে সৃষ্ট পরিবেশ বিপর্যয়ের প্রেক্ষাপটে বিকল্প হিসেবে প্রাকৃতিক তন্তু ব্যবহারে বিশ্বব্যাপী নতুন আগ্রহ ও মতৈক্য জোরদার হচ্ছে। পাটের তৈরি বহুমুখী পরিবেশবান্ধব নতুন পণ্যের উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে বিশ্বে পাটের গৌরব পুনরুদ্ধারে কাজ করার জন্য তিনি নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে আহ্বান জানান ।

 

          উল্লেখ্য, বহুমুখী পাটজাত পণ্যের প্রায় ৭০০ উদ্যোক্তা ২৮২ প্রকার দৃষ্টিনন্দন পাটপণ্য উৎপাদন করছেন যার অধিকাংশই বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। বহুমুখী পাটজাত পণ্যকে জনপ্রিয় করতে প্রচার প্রচারণাসহ বিদেশে বিভিন্ন মেলার আয়োজন করা হবে। বহুমুখী পাটজাত পণ্যের মেলা পাটজাত পণ্য উৎপাদনকারী, বিপণনকারী, ব্যবহারকারী এবং বিদেশি ক্রেতাদের মধ্যে অধিক যোগাযোগ স্থাপনে সহায়ক হবে। এ ধরনের উদ্যোগ যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে পাটকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব হবে। ফলে ঐতিহ্যবাহী এই সোনালী আঁশ দেশের জাতীয় সমৃদ্ধিকে আরো ত্বরান্বিত করবে, মুজিব জন্মশতবর্ষে এ হোক আমাদের অঙ্গীকার।

 

#

 

সৈকত/নাইচ/মোশারফ/সেলিম/২০২০/১৬৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ২৮৭৫

বন্যায় এ পর্যন্ত ৯ হাজার ৪৪১ টন চাল বিতরণ করা হয়েছে

ঢাকা, ২০ শ্রাবণ (৪ আগস্ট) : 

        সাম্প্রতিক অতিবর্ষণ জনিত কারণে সৃষ্ট বন্যায় ৩৩ টি জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে মানবিক সহায়তা হিসেবে বিতরনের জন্য এ পর্যন্ত ১৬ হাজার ২১০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এবং এ পর্যন্ত নয় হাজার ৪৪১ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে।

      বন্যাকবলিত জেলা প্রশাসনসমূহ থেকে ০৩ আগস্ট পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী নগদ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে চার কোটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে দুই কোটি ৩৩ লাখ ৪৮ হাজার ৭০০ টাকা। শিশু খাদ্য সহায়ক হিসেবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এক কোটি ৩৬ লাখ টাকা এবং এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ৬৬ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। গো খাদ্য ক্রয়ের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে দুই কোটি ৮৪ লাখ টাকা এবং বিতরণের পরিমাণ এক কোটি ২৯ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এক লাখ ৫২ হাজার এবং এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে এক লাখ ১৬ হাজার ১০৬ প্যাকেট।

     এছাড়াও ঢেউটিন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৩০০ বান্ডিল এবং এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ১০০ বান্ডিল, গৃহ মন্জুরি বাবদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে নয় লাখ টাকা এবং বিতরণ করা হয়েছে তিন লাখ টাকা।

       বন্যাকবলিত জেলাসমূহ হচ্ছে ঢাকা, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, পাবনা, রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জ।

      বন্যাকবলিত উপজেলার সংখ্যা ১৬১ টি এবং ইউনিয়নের সংখ্যা ১০৬২ টি। পানিবন্দি পরিবার সংখ্যা ০৯ লাখ ৫৩ হাজার ৯৪০ টি এবং ক্ষতিগ্রস্ত লোক সংখ্যা ৫৫ লাখ ১৫ হাজার ২৭ জন। বন্যায় এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪১ জন।

       বন্যাকবলিত জেলা সমূহে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এক হাজার ৪৮৮ টি। আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিত লোক সংখ্যা ৬৮ হাজার ৭৮৯ জন। আশ্রয় কেন্দ্রে আনা গবাদি পশুর সংখ্যা ৭৪ হাজার ২৬০ টি। বন্যাকবলিত জেলাসমূহে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে ৯৮১ টি এবং বর্তমানে চালু আছে ৪০৯ টি।

#

সেলিম/গিয়াস/খোরশেদ/২০২০/১০৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ২৮৭৬

বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ অনেক আগেই উন্নত দেশে পরিণত হতো

                                                                                  --- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী

ঢাকা, ২০ শ্রাবণ (৪ আগস্ট) : 

          স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস যথাযথ মর্যাদায় এবং ভাবগম্ভীর পরিবেশে পালন উপলক্ষে কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য এক ভার্চুয়াল সভা আজ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। 

          মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ অনেক আগেই উন্নত দেশে পরিণত হতো। তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকীর সকল কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।

          মন্ত্রী আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস, বঙ্গবন্ধুর অবদান যাতে সকলের নিকট তুলে ধরা যায় সে লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়কে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। সেই সাথে মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থার সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আন্তরিক সহযোগিতাসহ সংস্থাগুলো যে সকল কর্মসূচি গ্রহণে করবে সেগুলো যাতে সারাদেশে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।

          শাহাদত বার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মসূচির মধ্যে মন্ত্রণালয় এবং আওতাধীন সকল সংস্থার জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা, কালো ব্যাজ ধারণ, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা (সীমিত সংখ্যক কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণে), বঙ্গবন্ধুর মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু কর্ণার তৈরী, সকল ধরনের অনুষ্ঠান প্রচারের জন্য কেন্দ্রীয় ডিসপ্লের ব্যবস্থা, লাইট এন্ড সাউন্ডশো এর মাধ্যমে পুরো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরা, বঙ্গবন্ধু জীবনী নিয়ে মন্ত্রণালয়ের প্রবেশ পথে ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড প্রদর্শন করা হবে। এছাড়াও ভার্চুয়াল মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর পারিবারিক ও মুক্তিযুদ্ধের ছবি, ডাকটিকিট ও মুদ্রা প্র্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। 

          উক্ত অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ আনোয়ার হোসেন এবং মন্ত্রণালয়াধীন সংস্থাপ্রধানগণ এবং প্রকল্প পরিচালকগণ উপস্থিত ছিলেন।

#

বিবেকানন্দ/মামুন/খোরশেদ/২০২০/১৪১৫ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ২৮৭৭

বন্যায় কৃষকের ক্ষতি পোষাতে কর্মকর্তাদের দ্রুত সরেজমিনে মাঠ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের নির্দেশ কৃষিমন্ত্রীর

ঢাকা, ২০ শ্রাবণ (৪ আগস্ট) : 

বন্যায় কৃষকের ক্ষতি পোষাতে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের অতি দ্রুত বন্যাপ্লাবিত এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শনের মাধ্যমে মাঠ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ,কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকি ও মনিটরিং করার নির্দেশ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক । তিনি বলেন, চলমান বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা চরম অনিশ্চয়তায় আছে। বন্যার পানি নেমে গেলে জরুরি ভিত্তিতে কৃষি পুনর্বাসন ও ক্ষয়ক্ষতি কমাতে কাজ করতে হবে। সেজন্য, বীজ, সারসহ বিভিন্ন প্রণোদনা কার্যক্রম বেগবান, তদারকি ও সমন্বয়ের জন্য ইতোমধ্যে ১৪টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এসব কমিটির পাশাপাশি মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তাদেরও নিয়মিত কাজের সাথে মন্ত্রণালয়ের প্রত্যেকটি সংস্থার সাথে সমন্বয় করে মাঠ পর্যায়ের কাজের তদারকি করতে হবে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সরেজমিনে মাঠ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও  প্রণোদনা কার্যক্রম মনিটরিং করলে এসব কাজে আরও গতি আসবে। বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা যাবে। কৃষিমন্ত্রী মঙ্গলবার সকালে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে ঈদুল আযহা পরবর্তী পুনর্মিলনী সভায় অনলাইনে এসব কথা বলেন। সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: নাসিরুজ্জামান।

এ সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মোঃ হাসানুজ্জামান কল্লোল, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মোঃ আরিফুর রহমান অপু, অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা) কমলারঞ্জন দাশ, অতিরিক্ত সচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরণ) মোঃ মাহবুবুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) ড. মোঃ আবদুর রৌফ, অতিরিক্ত সচিব বলাই কৃষ্ণ হাজরাসহ সকল কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।  

উল্লেখ্য, খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখতে ও চলমান বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৮টি জেলার সবজি ও আমন ধান চাষিদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বীজ, সারসহ বিভিন্ন প্রণোদনা কার্যক্রম বেগবান, তদারকি ও সমন্বয়ের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের ১৪টি কমিটি  কাজ শুরু করেছে। কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এর নির্দেশে এসব তদারকি ও সমন্বয় কমিটি গঠিত হয়েছে। কৃষিসচিব মো. নাসিরুজ্জামান কমিটির সার্বিক কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করছেন। সমন্বয়ের দায়িত্বে আছেন অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিববৃন্দ ও এর অধীনস্থ দপ্তর/সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে এসব কমিটি গঠন করে বিভিন্ন জেলার দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। কমিটি বন্যা প্লাবিত এলাকার কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে নিয়মিতভাবে অনলাইন মিটিং ও সরেজমিন পরিদর্শনের মাধ্যমে মাঠের সকল কার্যক্রমের তদারকি ও মনিটরিং এর কাজ শুরু করেছে। এছাড়া, তদারকির মাধ্যমে কৃষকের উঁচু স্থানে কমিউনিটি বীজতলা তৈরী, কৃষকের উঁচু স্থান না থাকলে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (এটিআই) কমিউনিটি বীজতলা তৈরী, উৎপাদিত বীজ/চারা সঠিক সময়ে কৃষকদেরকে সরবরাহ প্রভৃতি কার্যক্রম নিশ্চিতকরণে কাজ করছে।

#

কামরুল/মামুন/মাসুম/২০২০/১৪৫০ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ২৮৭৮

“চীনের সাইনোভ্যাক কোম্পানী দেশে ৩য় পর্যায়ের ট্রায়াল দিতে চায়”

                                    -- সচিব, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়

ঢাকা, ২০ শ্রাবণ (৪ আগস্ট) : 

          স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান বলেছেন, “চীনের সাইনোভ্যাক কোম্পানী বাংলাদেশে তাঁদের আবিস্কৃত ভ্যাকসিনের ৩য় পর্যায়ের ট্রায়ালের জন্য আবেদন করেছে। প্রাথমিকভাবে কোম্পানীটি দেশের কোভিড ডেডিকেটেড সাতটি হাসপাতালের ৪২০০ স্বাস্থ্য কর্মীদের মাঝে এই ট্রায়াল সম্পন্ন করার কথা জানিয়েছে। তবে সরকার এটির পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য দেশের অন্যান্য ভ্যাকসিনের ব্যাপারেও সজাগ রয়েছে।”

          আজ দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে করোনা ভ্যাকসিন সংক্রান্ত এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান।

          ভ্যাকসিন পেতে বাংলাদেশ সুবিধা পাবে উল্লেখ করে সচিব আরো বলেন, “বিল গেইটসের গ্যাভী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশকে তালিকাভুক্ত করে রেখেছে। সেপ্টেম্বরে তাঁদের পরবর্তী বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধির উপস্থিতি চেয়েছে। সুতরাং ভ্যাকসিন আবিস্কারের পর গ্যাভীর মাধ্যমেও কিছু ভ্যাকসিন দেশে আগে-ভাগেই আসবে।”

          উল্লেখ্য, বর্তমান বিশ্বের ৬টি কোম্পানী ট্রায়ালের ৩য় ধাপে রয়েছে। দেশে সময়মতো ট্রায়াল দেয়া হলে চীনের সাইনোভ্যাক কোম্পানী ভ্যাকসিন দেশের সাধারণ মানুষের দেহে প্রয়োগ করতে অন্তত ৬ মাস এর মতো লাগতে পারে বলে সভায় বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা জানান। এই ভ্যাকসিন ১৮-৫৯ বছর বয়সের স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঝেই প্রথমে দেয়া হবে। ৩য় ধাপের পর সবার জন্য উন্মুক্ত করা যেতে পারে বলেও বক্তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।

          স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান-এর সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ব স্বাস্থ্য অনুবিভাগ) কাজী জেবুন্নেছা বেগম, অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য অনুবিভাগ) মো. মোস্তফা কামাল, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা, আইসিডিডিআরবি’র প্রতিনিধি ৪ জন সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডাইরেক্টর ডা. মো. শামসুল হকসহ অন্যান্য ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

#

মাইদুল/মামুন/খোরশেদ/মাসুম/২০২০/১৫৪৪ঘণ্টা  

 

2020-08-04-20-34-622ca3f7453e090cd9e7c5a779dd8da8.docx