Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২২nd মে ২০২০

তথ্যবিবরণী 22/5/2020

তথ্যবিবরণী                                                                                                                      নম্বর: ১৮৭৮

নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার প্রয়োজনেই জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করতে হবে

-আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবসের আলোচনা সভায় পরিবেশ ও বন মন্ত্রী

ঢাকা, ৮ জ্যৈষ্ঠ (২২ মে):

            পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বন ও জীববৈচিত্র্য প্রতিবেশ ব্যবস্থার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বন ও বন্যপ্রাণী ক্ষতিগ্রস্ত হলে পরিবেশ, প্রতিবেশ ব্যবস্থা ও জীববৈচিত্র্যের ওপর নেমে আসে বিপর্যয়। আর জীববৈচিত্রের স্বাভাবিক ভারসাম্য নষ্ট হলে মানুষের অস্তিত্বের ওপর আসে আঘাত। তাই, সমবেত প্রচেষ্টায় সুরক্ষিত রাখতে হবে দেশের বন ও জীববৈচিত্র্য।

            পরিবেশ মন্ত্রী আজ বন অধিদপ্তরের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস-২০২০ উদ্‌যাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনলাইন আলোচনা সভায় তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।

            জীববৈচিত্র্য হচ্ছে খাদ্য নিরাপত্তার একটি গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। বিশ্ব অর্থনীতির ৪০ শতাংশ এবং দরিদ্র্য জনগোষ্ঠীর চাহিদার ৮০ শতাংশ আসে জৈবসম্পদ থেকে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রয়োজনে ধ্বংস হচ্ছে বন-বনানী। সেই সাথে হারিয়ে যাচ্ছে প্রাচুর্যময় স্থলজ ও জলজ জীববৈচিত্র্যের ভাণ্ডার। তাই এখনই উপযুক্ত সময় এই প্রাচুর্য হারিয়ে ফেলার আগেই তা রক্ষায় একযোগে কাজ করার। এবারের আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস-২০২০ এর প্রতিপাদ্য- “Our solutions are in nature”, - “প্রকৃতিতেই রয়েছে আমাদের সমাধান” তাই যথার্থ ও সময়োপযোগী হয়েছে।

            পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বনাঞ্চলসমূহ, অভ্যন্তরীণ জলাভূমিসমূহ এবং বঙ্গোপসাগরে রয়েছে বিপুল জীববৈচিত্র্যের সমাহার। বাংলাদেশে প্রাণীবৈচিত্র্যের মধ্যে আছে ১৩০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ৭১১ প্রজাতির পাখি, ১৬৪ প্রজাতির সরীসৃপ, ৫৬ প্রজাতির উভচর, ৬৫৩ প্রজাতির মাছ যার মধ্যে ২৫১ প্রজাতির মিঠাপানির মাছ এবং ৪০২ প্রজাতির লোনা পানির মাছ। এছাড়াও রয়েছে বৈচিত্র্যময় হাঙর, রে সহ নানা প্রজাতির অমেরুদন্ডী প্রাণী। উদ্ভিদ প্রজাতির মধ্যে বাংলাদেশে ১৯৮৮ প্রজাতির শৈবাল, ২৭৫ প্রজাতির ছত্রাক, ২৪৮ প্রজাতির মস জাতীয় উদ্ভিদ, ১৯৫ প্রজাতির ফার্ন জাতীয় উদ্ভিদ, ৭ প্রজাতির নগ্নবীজি এবং ৩ হাজার ৬১১ প্রজাতির গুপ্তবীজি উদ্ভিদ। অত্যধিক জনসংখ্যার চাপ, প্রাকৃতিক সম্পদের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার, বন উজাড়, বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল ধ্বংস, দূষণ, বন্যপ্রাণী শিকার ও হত্যার ফলে পরিবেশ ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য হুমকির মুখে। একসময় বাংলাদেশের প্রায় ১৭টি জেলায় বাঘ ছিল। কিন্তু বর্তমানে শুধুমাত্র সুন্দরবনে বাঘ সীমাবদ্ধ রয়েছে। ইতোমধ্যে হারিয়ে গেছে এক শিংওয়ালা গন্ডার, ময়ূর, বুনো গরু, বুনো মহিষ মিঠা পানির কুমিরসহ ৩১ প্রজাতির প্রাণী।

            বন মন্ত্রী বলেন, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের উপর নেমে আসা বিপর্যয় মোকাবিলায় আমাদের সরকার বদ্ধ পরিকর। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন করেন। তারই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধান আইন, ২০১১-এর ১২ ধারাবলে ১৮ক অনুচ্ছেদে বাংলাদেশের সংবিধানে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিষয়ক ধারা সন্নিবেশিত করেন; যাতে বলা হয়েছে “রাষ্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করিবেন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র্য, জলাভূমি, বন ও বন্যপ্রাণির সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান করিবেন।” এছাড়াও দেশের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য সরকার বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ এবং বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য আইন-২০১৭ প্রণয়ন করে। আইনের আলোকে  বাংলাদেশের সর্বমোট ৪৮টি রক্ষিত এলাকা ঘোষিত হয়েছে। এর মধ্যে ২৩টি অভয়ারণ্য এবং ১৮টি জাতীয় উদ্যান, ২টি বিশেষ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এলাকা, ১টি মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া, ৩টি ইকোপার্ক ও ১টি উদ্ভিদ উদ্যান রয়েছে। এছাড়া ২টি ভালচার সেফ জোন  রয়েছে।

            বন মন্ত্রী আরো বলেন, বাঘ, হাতি ও কুমিরের আক্রমণে নিহত ও আহত পরিবারকে সহায়তা দানের জন্য ২০১০ সালে ‘‘বন্যপ্রাণীর আক্রমণে জানমালের ক্ষতিপূরণ নীতিমালা’’ প্রণয়ন করা হয়েছে।  বন্যপ্রাণী কর্তৃক নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ১ লাখ ও আহত ব্যক্তির পরিবারকে ৫০ হাজার করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় । ইতোমধ্যেই বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণবাদী ব্যক্তি, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য বিষয়ক শিক্ষা ও গবেষণায় নিয়োজিত ব্যক্তি এবং সংস্থাকে জাতীয়ভাবে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে “বঙ্গবন্ধু এওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন” প্রবর্তন করা হয়েছে। প্রতি বছর মোট ৩টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম এবং জনগণের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে বর্তমানে বাংলাদেশের বৃক্ষ আচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ দেশের মোট আয়তনের ২২.৩৭%, যা ২০২৫ সালের মধ্যে ২৪% এর বেশি উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। মন্ত্রী বলেন,  সহযোগিতামূলক বন ব্যবস্থাপনা এবং বন নির্ভর মানুষের বিকল্প আয়ের সুযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে বনের উন্নয়ন করার লক্ষ্যে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। 

            পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমানার বিরোধ নিষ্পত্তি করেছে। এখন এই সুনির্দিষ্ট সমুদ্রসীমানার মধ্যে আমাদের জীববৈচিত্র্য ও অন্যান্য সমুদ্র সম্পদের বিষয়ে জ্ঞান, অনুসন্ধান, সংরক্ষণ ও আহরণ সবই বাড়ানো হবে। আর এ জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

            বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমির হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনলাইন আলোচনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান এনডিসি, অতিরিক্ত সচিব ড. মোঃ বিল্লাল হোসেন; পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এ, কে, এম, রফিক আহাম্মদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর মোঃ জসীম উদ্দিন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর মনিরুল এইচ খান এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

#

দীপংকর/নাইচ/সুবর্ণা/আব্বাস/২০২০/২০৩৮ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর: ১৮৭৭

 

৫৮৩ মসজিদে প্রধানমন্ত্রীর উপহার তুলে দিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী

 

সরিষাবাড়ি, (জামালপুর), ৮ জ্যৈষ্ঠ (২২ মে):

 

          পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরিষাবাড়ির ৫৮৩ মসজিদের ঈমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমের হাতে ৫ হাজার টাকা করে ঈদ উপহার তুলে দিয়েছেন জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান।

 

          এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতির দরুন এবার তারাবিতে মুসল্লির সংখ্যা কম থাকায় আর্থিক সংকটে আছেন ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমরা । এ বিষয়টি গভীর মমতা দিয়ে উপলব্ধি করে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সব মসজিদে এ উপহার পাঠিয়েছেন।

 

          প্রধানমন্ত্রীর এ উদ্যোগ সোনার হরফে লেখা থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

 

          উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিহাব উদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকও সাংগঠনিক সম্পাদক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।  

 

          অনুষ্ঠানে করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য  দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

#

 

তুহিন/নাইচ/সুবর্ণা/আব্বাস/২০২০/২০১৪ ঘণ্টাতথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর: ১৮৭৬

 

কসবায় ৪০ হাজার পরিবারকে ত্রাণ দিলেন আইনমন্ত্রী

 

ঢাকা, ৮ জ্যৈষ্ঠ (২২ মে):


            করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির শুরু থেকেই নিজ নির্বাচনী এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা- আখাউড়া উপজেলার কর্মহীন ও অভাবগ্রস্থ মানুষের পাশে নিবিড়ভাবে রয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।


            করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিগত ২৪ মার্চ ২ হাজার ৫০ টি অসহায় পরিবারের জন্য  ব্যক্তিগত ১৮ লাখ টাকার ত্রাণ সামগ্রী  বরাদ্দ প্রদানের  মধ্য দিয়ে নির্বাচনী এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

            এরপর  দলীয় নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় বিগত প্রায় দুই মাসে  কেবল কসবা উপজেলায় পর্যায়ক্রমে ৩৯ হাজার ৬০৫টি কর্মহীন ও হতদরিদ্র পরিবারকে ২ কোটি ৮০ লাখ ৬১ হাজার ৯০০ টাকার ত্রাণ সামগ্রী  বিতরণ করেন তিনি।

            ত্রাণ  হিসেবে চাল, ডাল, তেল, আলু, পিঁয়াজ ও সাবান দেওয়া  হয় এবং তা হত দরিদ্র ও কর্মহীন মানুষের  দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হয়।


            এ সব ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম সার্বক্ষণিক মনিটরিং করেছেন তিনি।  করোনা কালে যারা ফোন করে বা অন্য কোনোভাবে খাদ্য সমস্যার কথা বলেছেন, তাদের বাসায়  জরুরি ভিত্তিতে খাবার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা  করেছেন তিনি।

 
            এছাড়া ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আইনমন্ত্রীর ব্যক্তিগত অর্থায়নে কসবা ও আখাউড়ার ১০ হাজার মানুষের মাঝে  প্রায় ৪১ লাখ টাকার নতুন কাপড় বিতরণ করা হয়েছে।


           


#

 

রেজাউল/নাইচ/সুবর্ণা/আব্বাস/২০২০/২০১০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর: ১৮৭৫

 

ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী

 

ঢাকা, ৮ জ্যৈষ্ঠ (২২ মে):

 

          ঘূর্ণিঝড় আম্পানে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সাতক্ষীরা, বাগেরহাট এবং নোয়াখালীর ভাসানচর আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম। পরিদর্শনকালে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে উপমন্ত্রী শামীম বলেন, "আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত সকল বাঁধ দ্রুত মেরামতের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঈদের ছুটির মধ্যেও এসব কাজ অব্যাহত থাকবে। তাছাড়া সারাদেশে আমাদের প্রায় ১৭ হাজার কি.মি. বাঁধ রয়েছে যার ৫হাজার ৫৫৭ কি.মি. উপকূলীয় এলাকায়  প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বিদ্যমান সকল বাঁধকে আরো যুগোপযোগী ও উঁচু করতে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় বদ্ধ পরিকর।"

 

          দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সিনিয়র সচিব শাহ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: মোহসীন, ভাসানচর আশ্রয়ন প্রকল্পের পরিচালকসহ ক্ষতিগ্রস্ত উল্লেখিত এলাকা হেলিকপ্টারযোগে একত্রে পরিদর্শন করেন।

 

          আগাম প্রস্তুতির কথা উল্লেখ করে উপমন্ত্রী বলেন, " দুর্যোগ পূর্বাভাসের সাথে সাথে সকল কর্মকর্তার ছুটি বাতিলসহ সর্বোচ্চ প্রস্তুতির জন্য জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে কাজের নির্দেশনা দিয়েছিলাম। মাঠে নির্বাহী প্রকৌশলীরা জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন প্রতিরোধে কাজ করেছে। তাছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামতের কাজ মন্ত্রণালয় পর্যবেক্ষন করছে। এছাড়া সাতক্ষীরার শ্যামনগরসহ উপকূলাঞ্চলের জন্য ৩হাজার ১০০কোটি টাকার প্রকল্প রয়েছে। 

 

         

#

 

আসিফ/নাইচ/সুবর্ণা/আব্বাস/২০২০/১৯৫৮ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ১৮৭৪

 

কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ৮ জ্যৈষ্ঠ (২২ মে):

 

          ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (এনডিআরসিসি) থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ৬৪ জেলায় ইতোমধ্যে ১ লাখ ৮২ হাজার ৬৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া শিশু খাদ্য-সহ অন্যান্য সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ১০৪ কোটি ৭ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বরাদ্দকৃত এ সাহায্য দেশের সকল জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে । ‌

 

          স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী আজ দেশে নতুন করে আরো ১ হাজার ৬৯৪ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩০ হাজার ২০৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ জন-সহ এ পর্যন্ত ৪৩২ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ হাজার ৭২৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

 

          এখন পর্যন্ত সর্বমোট ২৩ লাখ ৮৯ হাজার ২৬৭টি পিপিই সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল পর্যন্ত  মোট বিতরণ করা হয়েছে ২০ লাখ ৩২ হাজার ২২২টি এবং মজুত আছে ৩ লাখ ৫৭ হাজার ০৪৫টি।

 

          সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৬২৬টি প্রতিষ্ঠান এবং এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের সেবা প্রদান করা যাবে ৩১ হাজার ৮৪০ জনকে।

 

#

 

তাসমীন/নাইচ/সুবর্ণা/আব্বাস/২০২০/১৯১৯ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                      নম্বর: ১৮৭৩

শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই আম্পানে ক্ষয়ক্ষতি সীমিত রাখা সম্ভব হয়েছে

---তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ৮ জ্যৈষ্ঠ (২২ মে):

            তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই সুপার সাইক্লোন আম্পানে দেশে ক্ষয়ক্ষতি সীমিত রাখা সম্ভব হয়েছে।' 

            আজ রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির কক্ষে সাংবাদিকদের মাঝে করোনা প্রতিরোধসামগ্রী বিতরণসভায় তিনি একথা বলেন।

            তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'যখনই দেশে কোনো দুর্যোগ আসে জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্ঘুম রাত কাটান। আম্পানের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয় নি। সারারাত তিনি মনিটরিং করেছেন এবং তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই ক্ষয়ক্ষতি সীমিত রাখা সম্ভব হয়েছে। এর আগেও তিনি যেভাবে সবাইকে নিয়ে দুর্যোগ মোকাবিলা করেছেন, তা পৃথিবীর সামনে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে এক অনন্য উদাহরণে পরিণত করেছে।'

            'অপরদিকে ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে বিএনপি'র শুধু সিদ্ধান্তের অভাবে এক ডজন যুদ্ধবিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, যেগুলো ঝড়ের আগে উড়িয়ে ঢাকা বা যশোরে আনলেই রক্ষা পেতো' উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, 'সেইসাথে অনেকগুলো জাহাজ শুধু আরো উজানে নোঙর না করার কারণে নোঙর ছিঁড়ে ডাঙায় উঠে এসেছিল। আর লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর পর সংসদে দাঁড়িয়ে বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন- যত মানুষ মারা যাওয়ার কথা, তত প্রাণহানি হয়নি।'

            দলের অন্যতম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল, বিএফইউজে'র সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ সভায় বক্তব্য রাখেন। 

            মন্ত্রী এসময় নানা গুজবের বিরুদ্ধে মূলধারার সাংবাদিকরা বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, অনলাইন নিউজপোর্টালের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় যে কাজ শুরু করেছিল, তা দ্রুততার সাথে করা হবে। একইসাথে ঈদের পরপরই গুজব রটনাকারী ভুয়া অনলাইন পোর্টালগুলোর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।

            করোনায় সাংবাদিকরা সম্মুখযোদ্ধা এবং সারাদেশে ছুটি হলেও সাংবাদিকদের কোনো ছুটি নেই উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ  সাংবাদিকদের সাথে রয়েছে, সবসময় ছিলো এবং থাকবে। 

            প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে করোনায় সংকটে পড়া সাংবাদিকদের এককালীন জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের কথা তুলে ধরেন ড. হাছান। এটি ঈদের পর শুরু হবে এবং এসহায়তা কারা পাবেন, সাংবাদিক ইউনিয়নই তা ঠিক করবে, বলেন মন্ত্রী।

            আওয়ামী লীগের অন্যতম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম তার বক্তব্যে বলেন, 'অনেক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান সাংবাদিকদের বেতন দিতে কার্পণ্য করে, এটা ঠিক নয়।' সুজিত রায় নন্দী আওয়ামী লীগকে গণমাধ্যমবান্ধব দল হিসেবে বর্ণনা করেন। মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, করোনায় সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ যেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।    

            ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সহ-সভাপতি নজরুল কবীর, সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী, দৈনিক বর্তমানের প্রধান প্রতিবেদক মোতাহার হোসেন প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

#

আকরাম/নাইচ/সুবর্ণা/আব্বাস/২০২০/১৯০০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর: ১৮৭২

তৌফিক আলমের মৃত্যুতে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর শোক

ঢাকা, ৮ জ্যৈষ্ঠ (২২ মে):

          তথ্য কমিশনের সাবেক সচিব তৌফিক আলমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখপ্রকাশ করেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ।  

          এক শোক বাণীতে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও তাঁর শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।  

          প্রসঙ্গত, তথ্য কমিশনের সচিব হিসেবে দায়িত্বপালন শেষে অবসরছুটি ভোগরত তৌফিক আলম রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে মৃত্যুবরণ করেন। 

#

 

তুহিন/নাইচ/সুবর্ণা/আব্বাস/২০২০/১৮৩১ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর: ১৮৭১

 

রংপুরের পীরগাছা-কাউনিয়ার ২৩ হাজার পরিবার পেলো বাণিজ্যমন্ত্রীর সহায়তা

 

 

ঢাকা, ৮ জ্যৈষ্ঠ (২২ মে):

 

          করোনায় কর্মহীন ও অসহায় পীরগাছা-কাউনিয়ার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী, পীরগাছা-কাউনিয়া, ২২ রংপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি। পীরগাছা-কাউনিয়া উপজেলায় পর্যায়ক্রমে ২২ হাজার পরিবারকে খাদ্যসহ প্রয়োজনীয় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সহায়তা দিয়েছেন টিপু মুনশি। সরকারি বরাদ্দ চাল ছাড়াও টিপু মুনশি নিজস্ব অর্থায়নে চাল, আটা, আলু, ডাল, তেল, লবন সাবান রয়েছে। এতে করে দু’টি উপজেলার কর্মহীন, অভাবগ্রস্ত, দুস্থ, অসহায়, ও হতদরিদ্র মানুষ খাদ্য সহায়তা পাচ্ছেন। কাউনিয়া এবং পীরগাছা উপজেলার মানুষের মাঝে এ সকল খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। ঈদ উপহার সামগ্রী ১০ হাজার পরিবারকে বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও, রংপুরের বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থায় এবং হত দরিদ্রদের কাছে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। পীরগাছা এবং কাউনিয়া  উপজেলার দরিদ্র মানুষ প্রধানমন্ত্রীর নগদ আর্থিক সুবিধার আওতায় এসেছেন। এর ফলে মানুষের মাঝে দুর্ভোগ বহুলাংশে লাঘব হবে। সুবিধাভোগিদের মধ্যে রয়েছে- কৃষি শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, নির্মাণ শ্রমিক, দোকানের কর্মচারী, ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত বিভিন্ন ব্যবসায় কর্মরত শ্রমিক, পোল্ট্রি খামারের শ্রমিক, হস্তশিল্পের, বাস-ট্রাকসহ পরিবহন শ্রমিকসহ নানা পেশার মানুষ।

 

          ইতোমধ্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি’র ব্যক্তিগত অর্থায়নে ২৩ হাজার পরিবারের মধ্যে ৩৯,৬০,০০০ টাকা মূল্যের ১ লাখ ১০ হাজার কেজি চাল, ১১,০০,০০০ টাকা মূল্যের ৪৪ হাজার কেজি আটা, ১৩,২০,০০০ টাকা মূল্যের ৬৬ হাজার কেজি আলু, ১৮,৭০, ০০০ টাকা মূল্যের ২২ হাজার লিটার তেল, ৩৫,২০,০০০ টাকা মুল্যের ৪৪ হাজার কেজি ডাল, ২,৮৬,০০০ টাকা মূল্যের ১১,০০০ কেজি লবণ, ২,২০,০০০ টাকা মূল্যের ২২ হাজার পিস সাবান বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে।

 

          এছাড়া, প্রধানমন্ত্রীর নগদ আর্থিক সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে বিশেষ নজরদারি অব্যাহত রেখে নিখুঁতভাবে যাচাই বাছাই করে নামের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রকৃত প্রাপকরা যেন তালিকা থেকে বাদ না পড়েন সেদিকে বিশেষ নজর রাখা হয়েছে। 

#

 

বকসী/নাইচ/সুবর্ণা/আব্বাস/২০২০/১৮১৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর: ১৮৭০

 

তথ্য কমিশনের সাবেক সচিব তৌফিক আলমের মৃত্যুতে তথ্যমন্ত্রী ও প্রধান তথ্য কমিশনারের শোক

 

ঢাকা, ৮ জ্যৈষ্ঠ (২২ মে):

 

          তথ্য কমিশনের সাবেক সচিব তৌফিক আলমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখপ্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ ও প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদ। 

          তথ্য কমিশনের সচিব হিসেবে দায়িত্বপালন শেষে অবসরছুটি ভোগরত তৌফিক আলম রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি বিসিএস ৮৬ ব্যাচের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে অবসরে যান। 

 

          তথ্যমন্ত্রী ও প্রধান তথ্য কমিশনার পৃথক শোকবার্তায় তৌফিক আলমের দীর্ঘ চাকুরিজীবনের কথা স্মরণ করেন। তারা প্রয়াতের আত্মার শান্তি কামনা করেন ও শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। 

#

আকরাম/নাইচ/সুবর্ণা/আব্বাস/২০২০/১৭৫৭ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর: ১৮৬৯

 

আগামীকাল জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা

 

 

ঢাকা, ৮ জ্যৈষ্ঠ (২২ মে):

 

          ১৪৪১ হিজরি সনের পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে আগামীকাল ২৩ মে শনিবার সন্ধ্যায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হবে।

          সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব এডভোকেট শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ।

          বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা নিম্নোক্ত টেলিফোন ও ফ্যাক্স নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।

          টেলিফোন নম্বর :       ৯৫৫৯৪৯৩, ৯৫৫৫৯৪৭, ৯৫৫৬৪০৭ ও ৯৫৫৮৩৩৭।

          ফ্যাক্স নম্বর     :       ৯৫৬৩৩৯৭ ও ৯৫৫৫৯৫১।

#

 

শায়লা/নাইচ/সুবর্ণা/আব্বাস/২০২০/১৭৪৮ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর: ১৮৬৮

 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ

 

ঢাকা, ৮ জ্যৈষ্ঠ (২২ মে):

 

                                                 সুপার সাইক্লোন ‘আম্পান’ এর প্রভাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের ক্ষয়-ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে সংশ্লিষ্ট চাষি, খামারি ও উদ্যোক্তাদের জরুরী ভিত্তিতে নগদ আর্থিক সহায়তা-সহ সহজ শর্তে সুদবিহীন ঋণ প্রদানের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

 

          বৃহস্পতিবার (২১ মে) মৎস্য ‍ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর পাঠানো হয়েছে।

 

          এতে বলা হয়েছে, উপকূলীয় অঞ্চলে ‘আম্পান’-এর প্রভাবে মাছ, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগীর ক্ষয়-ক্ষতির প্রাথমিক বিবরণ পাওয়া গেছে। তবে ক্ষয়-ক্ষতির চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুতকরণে যাচাই-বাছাই চলছে।

          করোনা মহামারির বিরূপ প্রভাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বিনিয়োগকারীরা চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তদুপরি ‘আম্পান’ এর প্রভাবে এ খাত সংশ্লিষ্টরা আরো হতাশ হয়ে পড়ছেন। এ অবস্থা চলতে থাকলে প্রাণিজ পুষ্টির যোগানদাতা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত হুমকির মুখে পড়বে, যার প্রভাব গোটা জাতির উপর পড়বে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

          এ পরিস্থিতিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্র্রণালয় ‘আম্পান’ এর ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এ খাতের চাষি, খামারি ও উদ্যোক্তাদের নগদ আর্থিক প্রণোদনাসহ সহজ শর্তে সুদবিহীন ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছে।

 

#

 

 

ইফতেখার/শরিফুল/মাহফুজ/নজরুল/২০২০/১৫৪০ ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর: ১৮৬৬

 

পরিবেশ মন্ত্রীর ঈদ উপহার বিতরণ

 

ঢাকা, ৮ জ্যৈষ্ঠ (২২ মে):


          পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন এর উদ্যোগে মৌলভীবাজারে তাঁর নির্বাচনী এলাকার ২৮০০ পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়েছে।


          আজ (২২ মে) শুক্রবার মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলার প্রতিটি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে এ উপহার সামগ্রী বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেয়া হয়। এসময় প্রত্যেক পরিবারকে পাঁচ কেজি চাল, এক কেজি ময়দা, এক কেজি চিনি, এক লিটার সয়াবিন তৈল এবং এক প্যাকেট সেমাই দেয়া হয়।

 

          উপহার সামগ্রী বিতরণ উপলক্ষে মন্ত্রী তাঁর নির্বাচনী এলাকার জনগণকে পবিত্র ঈদুল ফিতর এর শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এবং আওয়ামী লীগ জনগণের জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। আমরা সকলে মিলে করোনাভাইরাসের এই দুর্যোগ মোকাবিলা করবো।


          বড়লেখা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনোয়ার উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান সোয়েব আহমেদ, বড়লেখা পৌরসভার মেয়র আবুল ইমাম মোঃ কামরান চৌধুরী, বড়লেখা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক উপাধ্যক্ষ এ কে এম হেলাল উদ্দিন, বড়লেখা উপজেলা কৃষক লীগের আহবায়ক আব্দুল লতিফ এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও  মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব কবিরুজ্জামান চৌধুরী-সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এ ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের সমন্বয় করেন।


          #

 

দীপংকর/শরিফুল/মাহফুজ/নজরুল/২০২০/১৫১৫ ঘণ্টা


 

 

 

তথ্যবিবরণী   &nb

2020-05-22-20-48-89fc1f5172cdd35fca402b1c08ae0fb4.docx