তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২৯৩
মিশরে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ২০২৪ উদ্যাপন
কায়রো, ১০ জানুয়ারি :
মিসরস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে ১০ জানুয়ারি ২০২৪ যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু কর্নার কনফারেন্স রুমে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ২০২৪’ পালিত হয়। অনুষ্ঠানে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। জাতির পিতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করে শোনানো হয় ।
দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত বিশেষ আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ প্রথমেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি সশ্রদ্ধ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বের কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। তিনি কৃতজ্ঞচিত্তে আরো স্মরণ করেন মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের যাঁদের সর্ব্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। তিনি দিবসের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, দিবসটি পালনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন মাধ্যমে জাতি স্বাধীনতার পূর্ণতা প্রাপ্তি লাভ করে বলে তিনি জানান ।
আমাদের জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সুখী, সমৃদ্ধ ও স্বাধীন ‘সোনার বাংলাদেশ' গড়ার। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ ধরে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আমরা তাঁর স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথ অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে অগ্রগতি ও উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন এবং গত ১৫ বছরে টেকসই উচ্চ প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। সদ্য টানা চতুর্থবারের মতো পুনর্নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর জন্য শুভেচ্ছা ও সাফল্য প্রার্থনা করে রাষ্ট্রদূত বক্তব্য শেষ করেন। সবশেষে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ২০২৪’ স্মরণে একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন এবং কেক কেটে দিবসটি উদ্যাপন করা হয়।
#
পাশা/শফি/সঞ্জীব/রফিকুল/শামীম/২০২৪/২১৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২৯২
ইস্তাম্বুলে বাংলাদেশ কনসুলেট জেনারেল-এ বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত
ইস্তাম্বুল (তুরস্ক), ১০ জানুয়ারি :
বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, ইস্তাম্বুল ১০ জানুয়ারি ২০২৪ যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ পালন করে। কনসাল জেনারেল মোহাম্মাদ নূরে আলমের নেতৃত্বে মিশনের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করার মাধ্যমে অনুষ্ঠান সূচনা করেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করা হয়।
কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নূরে আলম আলোচনা সভায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের সকল সদস্যসহ জাতীয় চার নেতার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। তাছাড়া তিনি মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদ এবং সকল মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতিও গভীর শ্রদ্ধা জানান। কনসাল জেনারেল তাঁর বক্তব্যে স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন, সদ্যস্বাধীন হওয়া বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর কূটনৈতিক সাফল্য এবং অতি অল্প সময়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির পুনর্গঠনের বিষয়টি তুলে ধরেন। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সামাজিক উন্নয়ন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, মানব উন্নয়ন এর বিষয়ে আলোকপাত করেন। প্রধানমন্ত্রীর সফল নেতৃত্বে বাংলাদেশের চলমান উন্নয়নে তাঁর পাশে থাকার জন্য কনসাল জেনারেল সকলকে আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা, শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।
#
পাশা/শফি/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/২২১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২৯১
আবুধাবিতে জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন
আবুধাবি (দুবাই), ১০ জানুয়ারি :
বাংলাদেশ দূতাবাস, আবুধাবি কর্তৃক যথাযথ মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস” পালন করা হয়েছে। দূতাবাস ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী, জনতা ব্যাংক লি., বাংলাদেশ বিমান, বাংলাদেশ স্কুলের প্রতিনিধি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার স্থানীয় প্রতিনিধিবৃন্দ এবং বাংলাদেশি কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের সূচনাতে রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে দূতাবাসের পক্ষ হতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এরপর, পবিত্র কোরআন হতে তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা সভা শুরু হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ এবং স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
রাষ্ট্রদূত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর এই দিনে জাতি ফিরে পায় তাদের প্রাণপ্রিয় নেতাকে। জাতির পিতা মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে বাংলাদেশকে সকল প্রতিকূলতা প্রতিহত করে একটি স্থিতিশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেন এবং গুরুত্বপূর্ণ সকল দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ থেকে দেশের জন্য স্বীকৃতি আদায় করেন।
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন অভিযাত্রায় বিপুল অগ্রগতি অর্জন করেছে যার ধারাবাহিকতায় এদেশের জনগণ বারংবার তাকে নির্বাচিত করেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে তিনি বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ হিসেবে উল্লেখ করেন। ঐক্যবদ্ধভাবে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা তথা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে প্রবাসীদের কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
পরিশেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদ এবং ১৫ই আগস্ট ১৯৭৫ এর শহিদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
#
পাশা/শফি/সঞ্জীব/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২৯০
মুক্তিযুদ্ধের আর্দশকে বুকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা
গড়ার আহ্বান জানালেন রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারী
রিয়াদ, ১০ জানুয়ারি :
মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে বুকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। আজ সৌদি আরবের রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে একথা বলেন রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী । রাষ্ট্রদূত বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ।
এ উপলক্ষ্যে দূতাবাসে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ। দূতাবাসের অডিটোরিয়ামে আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। দূতাবাসের কার্যালয় প্রধান ও কাউন্সেলর মোঃ বেলাল হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভার শুরুতে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদাররা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তাঁর ধানমন্ডির বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। তাঁকে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি করা হয়। বাঙালি যখন স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করছে, বঙ্গবন্ধু তখন পাকিস্তানের কারাগারে প্রহসনের বিচারে ফাঁসির আসামি হিসেবে প্রহর গুনছিলেন। একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। পৃথিবীর বুকে জন্ম নেয় স্বাধীন বাংলাদেশ। এসময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর অক্লান্ত প্রচেষ্টার ফলে বিশ্বনেতারা বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। আন্তর্জাতিক চাপে পরাজিত পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী শেষ পর্যন্ত বন্দিদশা থেকে বঙ্গবন্ধুকে সসম্মানে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে বিশাল জনসমুদ্রের সামনে দাঁড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন বঙ্গবন্ধু, নাতিদীর্ঘ ভাষণে জাতিকে দেন দিকনির্দেশনা। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে সেদিন স্বাধীনতার পূর্ণতা পেয়েছিল। দেশে ফিরেই বঙ্গবন্ধু দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করেছিলেন। তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরকে নতুনরুপে গড়ে তুলেছিলেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে ও ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে একটি উচ্চ আয়ের দেশে উন্নীত করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের মতো এগিয়ে নিতে ১০০ বছরের ডেল্টা প্ল্যান গ্রহণ করা হয়েছে। সরকার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করেছে যেখানে এক কোটি লোকের কর্মসংস্থান হবে। বর্তমানে দেশে মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৮ শত ২৪ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
#
পাশা/শফি/সঞ্জীব/রফিকুল/শামীম/২০২৪/২০১০ঘণ্টা
তথ্যববিরণী নম্বর : ২২৮৯
মিয়ানমারে জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত
মিয়ানমার, ২৬ পৌষ (১০ জানুয়ারি) :
মিয়ানমারস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস আজ যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ উদ্যাপন করেছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বাণী পাঠ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত ড. মোঃ মনোয়ার হোসেন তাঁর বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্য, মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ বীর শহিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সম্ভ্রম হারানো মা-বোনদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশের ২৩ বছরের দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা ও স্বাধীন বাংলার রূপকার হিসেবে উল্লেখ করেন। রাষ্ট্রদূত ড. হোসেন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বঙ্গবন্ধুর কূটনৈতিক প্রজ্ঞা ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতা তুলে ধরেন। ১৯৭২ সালের এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশে জাতির পিতার প্রত্যাবর্তনে বাঙালি জাতির স্বাধীনতার অর্জন ও বিজয়ের আনন্দ পূর্ণতা পেয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধুর দৃঢ়চেতা নেতৃত্ব আমাদের দেশকে উন্নয়নের সঠিক পথে পরিচালিত করেছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ায় প্রবাসী সকলকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান।
#
মনোয়ার/পাশা/শফি/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/১৯৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২৮৮
ম্যানিলায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদ্যাপিত
ম্যানিলা, ১০ জানুয়ারি :
যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৫৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করেছে ম্যানিলাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস । দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন দূতাবাস কর্মকর্তাগণ। এরপর বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ওপর নির্মিত একটি বিশেষ প্রমাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এফ. এম. বোরহান উদ্দিন তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন । বাঙালি জাতির দীর্ঘ প্রতীক্ষিত স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ ২৪ বছরের সংগ্রাম ও মহান আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগারে ২৯০ দিন বন্দি থাকার পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি লন্ডন ও নয়াদিল্লি হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন। জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন সদ্য স্বাধীন বাঙালি জাতির কাছে ছিল একটি বড় প্রেরণা। আজকের এই দিনে তাঁর দেশে প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়েই আমাদের মহান বিজয় পরিপূর্ণতা পায় ৷
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র এক বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন করেন। সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি সদ্য স্বাধীন দেশকে পুনর্গঠন করে তিনি দেখিয়ে দিয়েছিলেন যে, রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রেও তিনি একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক। তাঁর অসামান্য নেতৃত্বে অতি অল্প সময়ের মধ্যেই একটি গর্বিত জাতি হিসেবে স্বতন্ত্র পরিচয়ে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর যে সম্মান বাঙালি পেয়েছে, তার জন্য বাঙালি জাতি তাঁর প্রতি চিরকৃতজ্ঞ ও চিরঋণী। জাতির পিতার দেশপ্রেমের আদর্শকে ধারণ করে তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে স্ব-স্ব জায়গা থেকে সকলকে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে দেশ ও জাতির সার্বিক উন্নতি কামনা করে এবং জাতির পিতা ও ১৫ আগস্ট নিহত তাঁর পরিবারের সকল শহিদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয় ।
#
সায়মা/পাশা/শফি/রফিকুল/শামীম/২০২৪/১৮২০ঘণ্টা
তথ্যববিরণী নম্বর : ২২৮৭
ইসলামাবাদে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদ্যাপিত
ইসলামাবাদ, ২৬ পৌষ (১০ জানুয়ারি) :
ইসলামাবাদস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন আজ যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদ্যাপন করেছে। এ উপলক্ষ্যে চ্যান্সারি ভবনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, বাণীপাঠ, আলোচনা, বিশেষ মোনাজাত ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
দিবসের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। আলোচনা পর্বে হাইকমিশনের কর্মকর্তাগণ বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ইতিহাস ও তাৎপর্য তুলে ধরেন।
হাইকমিশনার মোঃ রুহুল আলম সিদ্দিকী বক্তব্যের শুরুতেই হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘ ৯ মাস ১৪ দিন পাকিস্তানের কারাগারে বন্দিজীবন শেষে ১৯৭২ সালে ১০ জানুয়ারি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হলেও জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের বিজয় পূর্ণতা লাভ করে। তিনি আরো বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রেই বঙ্গবন্ধু নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করার পরপরই পাকিস্তানি বাহিনী জাতির পিতাকে গ্রেফতার করে অজ্ঞাত স্থানে কারান্তরীণ করে রাখে। পাকিস্তানের সামরিক আদালতে প্রহসনের বিচারে ফাঁসির আসামি হিসেবে মৃত্যুর প্রহর গুণতে গুণতেও তিনি বাঙালির জয়গান গেয়েছেন।
হাইকমিশনার বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে আত্মনিয়োগ করেন। তাঁর বলিষ্ঠ পদক্ষেপে ভারতীয় মিত্রবাহিনী ১৫ মার্চ এর মধ্যে বাংলাদেশ ত্যাগ করে। একই বছর ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানে স্বাক্ষর করেন বঙ্গবন্ধু। জাতির পিতার সফল দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক কূটনৈতিক তৎপরতায় বাংলাদেশ বিশ্বের ১২৩টি দেশ এবং ১৬টি আন্তর্জাতিক সংস্থার স্বীকৃতি লাভ করে। তাঁর নেতৃত্বে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ মাত্র সাড়ে তিন বছরেই বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়। ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারিকে বাঙালির স্বপ্নের প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন।
এরপর জাতির পিতার আত্মার মাগফেরাত এবং বাংলাদেশের সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। সবশেষে ‘বিশ্বশান্তির দূত-জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
#
তৈয়ব/পাশা/শফি/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/১৭৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২৮৬
হ্যানয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদ্যাপিত
হ্যানয়, ১০ জানুয়ারি:
বাংলাদেশ দূতাবাস হ্যানয়, ভিয়েতনামে আজ যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে ৷
এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রদূত মোঃ লুৎফর রহমান চ্যান্সারি ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসটির সূচনা করেন। দিনটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যগণ, শহিদ মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয় ৷ ভিয়েতনামিজ অতিথি এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পরিবারবর্গ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের ইতিহাসে এ দিবসের তাৎপর্য এবং বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বের কথা তিনি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য দীর্ঘ ২৪ বছর সংগ্রাম করেছেন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম সকল ক্ষেত্রেই তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের এই দিনে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। মহান নেতার আগমনে মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের আনন্দ পরিপূর্ণতা লাভ করে ।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরি তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে 'টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট' অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তিনি সকলকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে ও প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ' বিনির্মাণে স্ব স্ব অবস্থান থেকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান ৷
#
পাশা/শফি/রফিকুল/শামীম/২০২৪/১৭১০ঘণ্টা
তথ্যববিরণী নম্বর : ২২৮৫
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত র্সবশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ২৬ পৌষ (১০ জানুয়ারি) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৮টা র্পযন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৯ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ দশমকি ৩৮ শতাংশ। এ সময় ৩৫৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ র্পযন্ত ২৯ হাজার ৪৭৭ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন র্পযন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৩ হাজার ৯৯৮ জন।
#
দাউদ/পাশা/শফি/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/১৭০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২৮৪
টোকিওতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদ্যাপিত
টোকিও, ১০ জানুয়ারি:
টোকিও বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদ্যাপন করেছে । এ উপলক্ষ্যে দূতাবাসে আজ এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় বঙ্গবন্ধু ও ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টে শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে মোনাজাত করা হয়।
এরপর বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
আলোচনা পর্বে রাষ্ট্রদূত বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, জাতির পিতার নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন ও রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হলেও প্রকৃতপক্ষে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়েই বাঙালির এ বিজয় পূর্ণতা লাভ করে।
আলোচনা সভার পরে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
#
ইমরানুল/জামান/ফাতেমা/রাসেল/আলী/মানসুরা/২০২৩/১২১৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২৮৩
নতুন সরকারের চ্যালেঞ্জ অগ্নিসন্ত্রাসের মূলোৎপাটন ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া
-তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী
ঢাকা, ২৬ পৌষ (১০ জানুয়ারি):
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, আমাদের দল নতুন সরকার গঠনের পর প্রথম চ্যালেঞ্জ হবে অগ্নিসন্ত্রাস সমূলে উৎপাটন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে দলীয় নেতৃবৃন্দের সাথে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করলেও স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে, মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশে পদার্পণ না করা পর্যন্ত আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়নি। আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছিলো ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি যখন জাতির পিতা স্বাধীন দেশের মাটিতে পদার্পণ করেছিলেন। ঐতিহাসিক এই দিনে আমি জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই, গভীর শ্রদ্ধা জানাই ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্টের কালোরাত্রিতে শহিদ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবসহ সকল শহিদ, জাতীয় চার নেতা এবং যারা জীবন দিয়ে আমাদের এই দেশমাতৃকা রচনা করে গেছেন সেই মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি।’
সদ্য অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে অত্যন্ত অবাধ, সুন্দর ও নিরপেক্ষ এবং সন্ত্রাসমুক্ত একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে যেখানে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিলো। কোনো কোনো নির্বাচনি এলাকায় ৭০ শতাংশের ওপরে মানুষ ভোট দিয়েছে। তিনদিন ছুটি পাওয়ায় অনেকেই শহর থেকে গ্রামে চলে গিয়েছিলো সে কারণে কিছু বড় শহরে ভোটের হার কিছুটা কম হয়েছে। কিন্তু এরপরও আমাদের ভোট প্রদানের হার ৪২ শতাংশ।’ মার্কিন পর্যবেক্ষক থেকে শুরু করে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো, অন্যান্য দেশ এবং বিভিন্ন জোটভুক্ত দেশের পর্যবেক্ষক যারা এসেছিলেন তারা সবাই এ নির্বাচনকে অত্যন্ত অবাধ, সুন্দর ও নিরপেক্ষ এবং নির্বাচনের সময় নানাবিধ দ্বন্দ্ব-সংঘাতের মাত্রা অন্যবারের চেয়ে অনেক কম হয়েছে মর্মে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য তারা তাদের বিবৃতিতে প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের সাথে অর্থাৎ বাংলাদেশ সরকারের সাথে কাজ করার কথা বলেছে। জাপান থেকে শুরু করে প্রায় ৩১টির বেশি দেশের রাষ্ট্রদূতগণ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। ভারত, চীন, রাশিয়া অভিনন্দন জানিয়েছে এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টেলিফোন করে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
দেশের ইতিহাসে একটি ভালো সুন্দর নির্বাচন হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, নতুন সরকার গঠিত হতে যাচ্ছে। আমাদের সরকার নতুন যাত্রা শুরু করবে এবং সরকার গঠনের পর আমাদের প্রথম চ্যালেঞ্জ হবে দেশ থেকে অগ্নিসন্ত্রাসকে সমূলে উৎপাটন করা এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। যারা ভোট বর্জনের কথা বলেছিলো এবং অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়ে ভোট বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছিলো, সেই বিএনপি-জামাতের প্রতি মানুষ বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছে এবং উৎসাহের সাথে ভোট দিয়ে তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
#
আকরাম/জামান/ফাতেমা/আলী/মাসুম/২০২৪/১২০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী &n