Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

তথ্যবিবরণী ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ৩৬৫৯

 

‍বাংলাদেশ আজ দুর্যোগের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় বিশ্বে রোল মডেল

                                                       -- ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

 

গাজীপুর, ২৪ ভাদ্র (৮ সেপ্টেম্বর) :

 

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন,‍‍‍ দুর্যোগ মোকাবেলার পথিকৃত ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যার দূরদর্শী নেতৃত্ব আর আদর্শ আমাদের দেখিয়েছে দুর্যোগ মোকাবেলার পথ । আর তাঁরই সুযোগ্য কন্যা, মানবতার জননী, জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে  উজ্জীবিত বাংলাদেশ আজ দুর্যোগের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় বিশ্বে রোল মডেল।

 

প্রতিমন্ত্রী আজ গাজীপুরের সারাহ রিসোর্ট সেন্টারে আয়োজিত ট্রেনিং, এক্সারসাইজ এন্ড ড্রিলস এর বেসিক ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট প্রশিক্ষণের ৩য় ব্যাচের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা হতে মানুষের জানমাল রক্ষার্থে মাটির কিল্লা নির্মাণ করা হয়, যা সর্বসাধারণের কাছে মুজিব কিল্লা নামে পরিচিত। তারই আদলে আধুনিক রূপে উপকূলীয় ও বন্যা উপদ্রুত ১৪৮টি উপজেলায় ৫৫০টি মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান। উপকূলীয় দুর্গত জনগণ যেমন সেখানে আশ্রয় নিতে পারবে তেমনি তাদের প্রাণিসম্পদকে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারবে।

 

উপকূলীয় এলাকায় বয়স্ক, গর্ভবতী, শিশু ও প্রতিবন্ধিতাবান্ধব ৩২০টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় দুই লাখ ৫৬ হাজার বিপদাপন্ন মানুষ এবং প্রায় ৪৪ হাজার গবাদিপশুর আশ্রয় গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের পূর্বাভাস ঘোষণার সাথে সাথে মানুষ তাদের গবাদিপশুসহ এসকল আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় আশ্রয় নিতে পারবেন।

 

 

সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০২২/২২১৫ ঘণ্টাতথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর : ৩৬৫৮

বাণিজ্যিক সিনেমায় অনুদানে তথ্যমন্ত্রীকে চলচ্চিত্র সমিতিগুলোর ধন্যবাদ

ঢাকা, ২৪ ভাদ্র (৮সেপ্টেম্বর) :  

বাণিজ্যিক সিনেমায় অনুদান এবং সিনেমাশিল্পের উন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়ায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ড. হাছান মাহ্‌মুদকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়েছেন দেশের চলচ্চিত্র সমিতিগুলোর নেতৃবৃন্দ। আজ সচিবালয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতি, চিত্রগ্রাহক সংস্থা এবং চলচ্চিত্র সম্পাদকদের সংগঠন এডিটরস গিল্ডের নেতৃবৃন্দ মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতে তাদের এ অনুভূতি ব্যক্ত করেন। 

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ বৈঠকে শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘দেশের চলচ্চিত্র শিল্পকে ভগ্নদশা থেকে উত্তরণের  পথে নেওয়ার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যাকে এবং তারপর তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। দেশে সিনেমা হলের সংখ্যা এতো কমে গিয়েছিলো যে, আমি এবং আমরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। স্রষ্টার কৃপা, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও তথ্যমন্ত্রীর তৎপরতায় সিনেমা হলের সংখ্যাও আবার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং মানুষ আবার হলমুখী হচ্ছে। বাণিজ্যিক ছবিতে অনুদান দেওয়ার সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত এই উত্তরণে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। সেজন্য তথ্যমন্ত্রীর বিশেষ ধন্যবাদ প্রাপ্য।’

পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান বলেন, ‘যারা বাণিজ্যিক সিনেমায় অনুদান দেয়া বন্ধের কথা বলেন, তারা কি চান না দেশের সিনেমা শিল্প বেঁচে থাকুক, মানুষ সিনেমা হলে যাক! তারা কি ভাবেন আমি জানি না, কিন্তু তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাণিজ্যিক সিনেমায় অনুদান দেওয়ায় যে চলচ্চিত্রে আবার প্রাণ এসেছে, তার প্রমাণ আমরা দেখতে পাচ্ছি। করোনার মধ্যে সিনেমার খরায় অনুদানই ছিল বৃষ্টি।’  

প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘চলচ্চিত্রের কোন ক্যাটেগরিতে কখন কী পরিমাণ অনুদান দেওয়া প্রয়োজন সেটি দেশের ও সিনেমা শিল্পের উন্নতির কথা বিবেচনায় নিয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। বাণিজ্যিক সিনেমা দেশের চলচ্চিত্রের প্রাণ, কোটি কোটি মানুষের বিনোদন, আবেগ আর ভালোবাসার জায়গা। এতে অনুদান শুধু দেওয়া নয়, অনুদানের পরিমাণ আরো বৃদ্ধি করলে সিনেমাজগতের উন্নতি হবে।’ 

মন্ত্রী হাছান মাহ্‌মুদ এ সময় চলচ্চিত্র নেতৃবৃন্দকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, ‘দেশের চলচ্চিত্র প্রতিকূলতার মধ্যেও ভালোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৫৭ সালে আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প যাত্রা শুরুর পর বহু কালজয়ী ছবি যেমন জন্ম দিয়েছে, বহু কালজয়ী নায়ক-নায়িকারও জন্ম দিয়েছে এবং আমাদের অনেক ছবি স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশ গঠনে অবদান রেখেছে। বহু ছবি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পুরস্কৃত হয়েছে, প্রশংসিত হয়েছে। আমাদের ছবি এখন শুধু আমাদের সীমানায় সীমাবদ্ধ নয়, ইউরোপ-আমেরিকাসহ অনেক দেশে প্রদর্শিত হয়।’ 

চলমান পাতা-২

 

 

পাতা-২

‘একসময় অনুদানের অনেক সিনেমা হলে মুক্তি পেতো না, অনেকগুলো আর্ট ফিল্মের জন্য অনুদান দেওয়া হলেও বানায়নি বা বানালেও সেটা কেউ জানে না’, এ ধরনের সমস্যাগুলো থেকে উত্তরণের কথা জানাতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টির গভীরে গিয়ে অনুধাবনের পর আমি যেসব ছবি বানানো হয়নি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া শুরু করেছি, তিনবার নোটিশের মধ্যে সাড়া না দিলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ২০২০ সাল থেকে অনুদানের সিনেমা প্রথমে কমপক্ষে ১০টি ও পরবর্তীতে কমপক্ষে ২০টি হলে মুক্তি দেওয়া নীতিমালায় যুক্ত করেছি। সিনেমা শিল্প বাঁচাতে বাণিজ্যিক ছবির প্রতি আমরা জোর দেই। আর্ট ফিল্মেও প্রতিবার আমরা অনুদান দিয়েছি, ডকুমেন্টারিতেও দেওয়া হচ্ছে যা নীতিমালাতেও আছে। এদিকে আমরা অনুদানের পরিমাণ দ্বিগুণ করে আগের ১০ কোটিকে এখন ২০ কোটি টাকায় উন্নীত করেছি। একটি ছবির জন্য ৩০ লাখ, ৪০ লাখ টাকা দেওয়া হতো এখন আমরা ৭৫ লাখে উন্নীত করেছি।’

‘এসবের ফলে সিনেমা হল ৬৫টি থেকে এখন ২১০টি হয়েছে, এক বছরের মধ্যে আরো একশ’টা বাড়বে’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সিনেপ্লেক্স, সিনেমা হল নির্মাণ, পুনর্নির্মাণ ও সংস্কারে ১ হাজার কোটি টাকার বিশেষ ঋণ তহবিল গঠন করা হয়েছে, যেখান থেকে ঋণ নেয়ার জন্য ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ব্যাংকে দরখাস্ত পড়েছে। চলচ্চিত্র শিল্পের সুদিন ফিরে এসেছে। এজন্য চলচ্চিত্রের সাথে যারা যুক্ত তারা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। 

ড. হাছান বলেন, ‘বাণিজ্যিক ছবিতে অনুদান দেওয়া বিশ্ব পরিস্থিতি ও করোনা প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং গুরুত্বপূর্ণ আছে। সব ধরনের সিনেমার মধ্যে মূলধারার হচ্ছে বাণিজ্যিক ছবি। সেটা সবাইকে স্বীকার করতে হবে।’ 

চলচ্চিত্র নেতাদেরকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আপনাদের হাত ধরে আমাদের চলচ্চিত্র আরো বহুদূর এগিয়ে যাবে। এখন বিশ্ব অঙ্গনে আমাদের ছবি কিছুটা জায়গা করে নিয়েছে। সেই জায়গা আরো বিস্তৃত হবে, সেটিই আমার প্রত্যাশা। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে যে চলচ্চিত্র শিল্পের যাত্রা শুরু, যেই চলচ্চিত্র শিল্প আজকে আমাদের দেশ গঠনে, সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, সেই চলচ্চিত্র শিল্প আরো এগিয়ে যাক, এটিই কাম্য।’ 

সেন্সর বোর্ড নিয়ে এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে সিনেমা শিল্পের জন্মের পর থেকেই সেন্সর বোর্ড ছিলো, সেন্সর বোর্ড থাকতে হবে। বোর্ড যাতে অহেতুক কোনো কিছু না করে সেটি অবশ্যই আমরা নজরে রাখি। কোনো সিনেমা যদি আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের সাথে সাংঘর্ষিক হয় এবং কেউ যদি কোনো সত্য ঘটনা অবলম্বনে সিনেমা বানিয়েছে বলে দাবি করার পর দেখা যায় যে সেখানে পুরো সত্য ঘটনাটা আসে নাই তখন তো সেন্সর বোর্ড প্রশ্ন রাখবেই। এবং এমন যা পাওয়া গেছে, সেটি সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

চলচ্চিত্র জগতের নেতৃবৃন্দ এরপর তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মোঃ মকবুল হোসেনের সাথে সাক্ষাৎ করে বিস্তারিত তুলে ধরেন। বিভেদ ভুলে সবাই এক হয়ে সিনেমা শিল্পকে এগিয়ে নিতে সরকারের পাশে থাকতে তাদের প্রতি আহ্বান জানান তথ্যসচিব। 

চিত্রগ্রাহক সংস্থার সভাপতি আব্দুল লতিফ বাচ্চু, মহাসচিব আসাদুজ্জামান মজনু, নির্বাহী সদস্য সৈয়দ শহীদুল্লাহ দুলাল, এডিটরস গিল্ড সভাপতি আবু মুসা দেবু, পরিচালক সমিতির সহ-সভাপতি ছটকু আহমেদ, উপমহাসচিব কবিরুল ইসলাম রানা, সাংস্কৃতিক সচিব শাহীন কবির টুটুল, শিল্পী সমিতির সহ-সভাপতি রিয়াজ, চিত্রনায়িকা নিপুন আক্তার, সংগীতা, অপু বিশ্বাস, কেয়া, অভিনেত্রী জেসমিন মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন।

 

#

আকরাম/রাহাত/সঞ্জীব/শামীম/২০২২/১৮৩০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর : ৩৬৫৭

সাংবাদিকদের ওপর অত্যাচার সহ্য করা হবে না

                                                   --- আইনমন্ত্রী

ঢাকা (ধামরাই), ২৪ ভাদ্র (৮ সেপ্টেম্বর) :

          আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সাংবাদিকদের ওপর কোনো অত্যাচার হোক, সরকার সেটা সহ্য করবে না। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা অভিযোগ করলে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

          আজ ঢাকার ধামরাই উপজেলায় কালামপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের নতুন ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।

          ভিন্ন এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি ও অনিয়ম প্রতিরোধে দেশের প্রতিটি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে একটি করে অভিযোগ বাক্স স্থাপন করা হবে। তিনি বলেন, এক মাসের মধ্যে এ অভিযোগ বাক্স স্থাপন করা হবে এবং সেখানে প্রাপ্ত অভিযোগগুলো উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা যাচাই করে দেখবেন।

          এর আগে মন্ত্রী উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন, ছোটবেলা থেকেই দেখে এসেছি, আমাদের সাব- রেজিস্ট্রি অফিসগুলোর ঠিকানা ছিল ব্রিটিশ বা পাকিস্তান আমলের পুরাতন, জীর্ণ কিংবা পরিত্যক্ত কোনো সরকারি ভবন। আর দলিল লেখক ভাইদের ঠিকানা ছিল, মাথার উপরে টিনের শেড এবং নিচে মাটি, খুব ভালো হলে অর্ধপাকা মেঝে। এই অবস্থাতেই তারা মেঝেতে পাটি বিছিয়ে সেখানে বসেই অনেক কষ্টে আমাদের দলিল লিখে দিয়েছেন।

          আনিসুল হক বলেন, শুধু অবকাঠামো সমস্যা নয়, রেজিস্ট্রি অফিসগুলো নানা ধরনের সমস্যায় জর্জরিত ছিল। দলিল নকল করার জন্য বালাম বহি ছিল প্রয়োজনের তুলনায় অতি নগন্য। ফলে মূল দলিল ফেরত পাওয়ার জন্য আমাদের বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হতো। নকলনবিশদের পারিশ্রমিক পাওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধর্না দিতে হতো। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ছিল না। সময়মতো নিয়োগ না দেওয়ায় অনেক পদ শূন্য থাকতো।

          তবে অবহেলিত এ অবস্থাকে পিছনে ফেলে বিগত কয়েকবছরে অধিদপ্তর অনেক দূর এগিয়ে গেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিগত প্রায় সাড়ে সাত বছরে নিবন্ধন অধিদপ্তরের উন্নয়নের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনয়ন করা হয়েছে। কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হতাশাও দূর হয়েছে। ঢাকার কালামপুরে নবনির্মিত সাবরেজিস্ট্রি অফিস ভবন তার অন্যতম উদাহরণ।

          নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শহিদুল আলম ঝিনুকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজীর আহমদ, গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোসলেহ্ উদ্দীন আহাম্মদ, ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ভাস্কর দেবনাথ, ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মালেক প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

#

 রেজাউল/রাহাত/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২২/১৮৪০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর : ৩৬৫৬

 

নিরক্ষরতাকে নির্বাসনে পাঠাতে কাজ করছে সরকার

                        - প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ২৪ ভাদ্র (৮সেপ্টেম্বর) :  

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন বলেছেন, নিরক্ষরতাকে নির্বাসনে পাঠিয়ে প্রতিটি নাগরিককে সাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন করে গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার। ২০৩০ সালের মধ্যে নিরক্ষরমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে বর্তমান সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।

আজ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসে রাজধানীর উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো (বিএনএফই) মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনএফই'র মহাপরিচালক মুঃ নুরুজ্জামান শরীফ, ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল সোহেল ইমাম খান প্রমুখ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নে শিক্ষা ও সাক্ষরতার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাই উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো দেশের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের আহ্বানে প্রতিবছর দেশে ৮ সেপ্টেম্বর সারা বিশ্বের সাথে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উদযাপন করা হয়ে থাকে। এ বছর দিবসটির স্লোগান ‘Transforming Literacy Learning Spaces’ - সাক্ষরতা শিখন ক্ষেত্রের প্রসার।

#

মাহবুবুর/রাহাত/সঞ্জীব/শামীম/২০২২/১৭২৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ৩৬৫৫

 

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ২৪ ভাদ্র (৮ সেপ্টেম্বর) :

   স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৮৮ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৪০ শতাংশ। এ সময় ৫ হাজার ২৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।  

 

গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ১ জন মৃত্যুবরণ করেছে। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৩৩০ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৫৮ হাজার ৪৭ জন।   

 

                                                   # 

 

কবীর/রাহাত/আব্বাস/২০২২/১৬৫৬ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর : ৩৬৫৪

উপকূলীয় এলাকায় একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক বন্ধে কাজ করছে সরকার

- পরিবেশমন্ত্রী

ঢাকা, ২৪ ভাদ্র (৮ সেপ্টেম্বর) :

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী বলেছেন, সরকার গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উপকূলীয় এলাকায় একবার ব্যবহার্য  প্লাস্টিক বন্ধ করার জন্য একটি রোডম্যাপ অনুমোদন করেছে। সরকার ‘বাংলাদেশে টেকসই প্লাস্টিক ম্যানেজমেন্টের জন্য মাল্টিসেক্টরাল অ্যাকশন প্ল্যান’ চূড়ান্ত করেছে।  টেকসই প্লাস্টিক ম্যানেজমেন্টের জন্য ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যান প্লাস্টিকের সার্কুলার ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ  করেছে,যা 3R (Reduce, Reuse, Recycle) কৌশলের ওপর ভিত্তি করে প্রণীত। এটি সামাজিক ও পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নতুন মূল্য শৃঙ্খল, দক্ষতা, উদ্ভাবনী পণ্য এবং সবুজ কর্মসংস্থান তৈরি করতে সহায়তা করবে।  এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার বেশ কিছু আইন, বিধি, প্রবিধান এবং নীতি প্রণয়ন করেছে।  অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায়ও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নতির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

 

আজ প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠিত প্লাস্টিক মুক্ত নদী ও সমুদ্রের জন্য দক্ষিণ এশিয়া (প্লিজ) প্রকল্পের জাতীয় স্টেকহোল্ডার কনসালটেশন ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথি হিসেবে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে  বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার।  বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যান ড্যান চেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল হামিদ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, দক্ষিণ এশিয়া কো-অপারেটিভ এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামের (SACEP) এর মহাপরিচালক ডাঃ মোঃ মাসুমুর রহমান এসময় উপস্থিত ছিলেন ।

 

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, আমাদের একটি দূষণমুক্ত বাসযোগ্য  বিশ্ব দরকার যা মানবস্বাস্থ্য, পরিবেশ ও সকল মানুষের মঙ্গলের জন্য সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ।  তিনি বলেন, ববর্তমানে মাইক্রোপ্লাস্টিক আমাদের খাদ্য শৃঙ্খলে প্রবেশ করছে যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। প্লাস্টিক দূষণ মোকাবেলা বাংলাদেশের জন্য একটি সবুজ বৃদ্ধির পথ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উদ্ভাবন এবং সবুজ কর্মসংস্থান সৃষ্টির একটি সুযোগ। এক্ষেত্রে সফলতার জন্য আমাদের অবশ্যই দৃঢ় এবং সাহসী উদ্যোগ গ্রহণ চালিয়ে যেতে হবে।  'প্লাস্টিক-মুক্ত নদী ও সমুদ্রের জন্য দক্ষিণ এশিয়া প্রকল্প' পার্লি ফর দ্য ওশেন দ্বারা চালু করা হয়েছে এবং প্রায় ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় দক্ষিণ এশিয়া কো-অপারেটিভ এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম (SACEP) পরিবেশগত উদ্ভাবনকে সমর্থন করবে।

 

কর্মশালায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ এবং সরকারি সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি, সুশীল সমাজ এনজিও এবং মিডিয়ার প্রতিনিধিরা প্লাস্টিক দূষণ বন্ধ বিষয়ে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মতামত প্রদান করেন।

#

দীপংকর/অনসূয়া/মাসুম/২০২২/১৫২০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ৩৬৫৩

চালের দাম আরো কমবে

    -খাদ্যমন্ত্রী

নওগাঁ (পোরশা), ২৪ ভাদ্র (৮ সেপ্টেম্বর) :

          সরকারিভাবে খোলাবাজারে বিক্রি (ওএমএস) ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু হওয়ায় ইতোমধ্যে বাজারে চালের দাম কেজি প্রতি ৫-৬ টাকা কমেছে। চালের দাম আরো কমবে বলেও জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

          আজ নওগাঁর পোরশা উপজেলার সারাইগাছি বাজারে ওএমএস কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

          খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমন ধানেও কৃষকরা যেন ন্যায্যমূল্য পায় সেটা নিয়েও কাজ করা হচ্ছে। ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে আমরা প্রস্তুত আছি।

          মন্ত্রী বলেন, পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি শুরু হয়েছে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের ৫০ লাখ হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে ১৫ টাকা কেজি দরে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ওএমএস সপ্তাহে ৫ দিন চলছে। সারাদেশে ২ হাজার ৩৭০ জন ডিলারের মাধ্যমে ওএমএস বিতরণ করা হচ্ছে।

          মন্ত্রী বলেন, আগে একজন ওএমএসের ডিলার এক টন চালের বরাদ্দ পেতেন। এবার প্রত্যেক ডিলার দুই মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পাচ্ছেন। ওএমএস কেন্দ্রে টিসিবি কার্ডধারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এছাড়া সমাজের পিছিয়ে পড়া এবং তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরা অগ্রাধিকার পাবেন। টিসিবি কার্ডধারীরা কার্ড দেখিয়ে এবং সাধারণ মানুষ জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে মাসে দুই বার ৫ কেজি করে চাল কিনতে পারবেন। এক ব্যক্তি যাতে বার বার চাল কিনতে না পারেন সেটা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

          পরে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার পোরশা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনে যোগ দেন। সেখানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।

#

কামাল/অনসূয়া/ডালিয়া/মেহেদী/শাম্মী/মাসুম/২০২২/১২২৩ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর : ৩৬৫২

হজ এজেন্সি প্রতিক ট্রাভেলসের নিকট পাওনা থাকলে

 ধর্ম মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার অনুরোধ

ঢাকা, ২৪ ভাদ্র (৮ সেপ্টেম্বর) :

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধিত হজ এজেন্সি প্রতিক ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস ইন্টারন্যাশনাল (হজ লাইসেন্স নং-১১০৭) কর্তৃক হজ লাইসেন্স প্রত্যাহারপূর্বক জামানতের ২০ (বিশ) লক্ষ টাকার এফডিআর ফেরত প্রদানের জন্য আবেদন করা হয়েছে।

তাই বর্ণিত এজেন্সির নিকট কোন ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানের পাওনা/অভিযোগ থাকলে আগামী
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ এর মধ্যে প্রমাণকসহ ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

          ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে।

#

মনিরুজ্জামান/অনসূয়া/ডালিয়া/শাম্মী/রবি/মানসুরা/২০২২/১০০০ ঘণ্টা

2022-09-08-16-30-7ab77344b5829c01071d1720d1052e36.docx