তথ্যবিবরণী নম্বর ঃ ১৪০৩
গণপূর্ত মন্ত্রীর আশাবাদ
নতুন মেয়র চট্টগ্রাম নগরীকে ক্লিন ও গ্রিন সিটিতে পরিণত করবেন
চট্টগ্রাম, ২ জ্যৈষ্ঠ (১৬ মে) :
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, নব নির্বাচিত মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন চট্টগ্রাম নগরীকে ক্লিন ও গ্রিন সিটিতে পরিণত করবেন। তিনি বলেন, এতদিন নগরবাসী নগর পিতার উদাসীনতায় জলাবদ্ধতার যে অভিশাপে ভুগছিলো নতুন মেয়র তা চিরতরে দূর করতে পারবে।
মন্ত্রী আজ নগরীর মুসলিম হলে চট্টগ্রাম শহরস্থ মিরসরাই নাগরিক কমিটি কর্তৃক নতুন মেয়রকে প্রদত্ত সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে সংবর্ধিত মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন ও নাগরিক কমিটির সভাপতি প্রফেসর নুরুল আবচার বক্তৃতা করেন।
নতুন মেয়র বলেন, চট্টগ্রামবাসী যে আশা ও আকাক্সক্ষা নিয়ে আমাকে নির্বাচিত করেছে, আমি তার ঋণ পরিশোধ করবো। তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশনকে দুর্নীতির হাত থেকে রক্ষা করা হবে। দুর্নীতির ব্যাপারে জিরো টলারেন্স দেখানো হবে।
এর আগে মন্ত্রী চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা পরিষদ কর্তৃক দারিদ্র্যবিমোচন ও নারী উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত নারীদের মধ্যে সনদপত্র ও আত্মকর্মসংস্থানমূলক সামগ্রী বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষিত নারীদের মাঝে ১৬৯টি সেলাই মেশিন, ব্লক বাটিক ও এমব্রয়ডারি সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
জেলা পরিষদ প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুস সালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য বেগম ওয়াসিকা আয়শা খান বক্তৃতা করেন।
#
সাইফুল/সাইফুল্লাহ/নবী/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/২১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪০২
সুশৃঙ্খল জাতি গঠনে স্কাউটদের বিকল্প নেই
- ভূমি প্রতিমন্ত্রী
আনোয়ারা (চট্টগ্রাম), ২ জ্যৈষ্ঠ (১৬ মে) :
ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফ্জ্জুামান চৌধুরী বলেছেন, সুশৃঙ্খল জাতি গঠনে স্কাউটদের বিকল্প নেই। স্কাউটরাই আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবে।
মন্ত্রী আজ চট্টগ্রামের আনোয়ারায় আনোয়ারা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত ৩ দিনব্যাপী সপ্তম স্কাউটস সমাবেশের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা বলেন।
উপজেলা স্কাউটস সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুফিদুল আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমএ মান্নান চৌধুরী, ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ছৈয়দ এবং স্কাউটস সম্পাদক ওসমান গণি বক্তৃতা করেন।
সমাবেশে আনোয়ারা উপজেলার ২৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
#
সাইফুল/সাইফুল্লাহ/নবী/মোশারফ/রেজাউল/২০১৫/২১৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪০০
ভারত সফরে সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী
ঢাকা, ২ জ্যৈষ্ঠ (১৬ মে) :
সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ভারতে চারদিনের সফরে আজ ঢাকা ত্যাগ করেন।
ভারতের সড়ক পরিবহণ, মহাসড়ক ও নৌপরিবহণ মন্ত্রী নিতিন জয়রাম গাদকারি (Nitin Jairam Gadkari) এর আমন্ত্রণে তিনি এ সফরে যান ।
মন্ত্রী আগামী ২০ মে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
#
ওয়ালিদ/সাইফুল্লাহ/নবী/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/২১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৯৯
আগামী ২০২০ সালের মধ্যে কারিগরি শিক্ষার্থীর সংখ্যা শতকরা ২০ ভাগে উন্নীত করা হবে
-- শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ২ জ্যৈষ্ঠ (১৬ মে) :
কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির দিকনির্দেশক। সরকার এ খাতকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। ২০২০ সালের মধ্যে এখাতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা শতকরা ২০ ভাগে উন্নীত করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আজ খামারবাড়িস্থ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ইনস্টিটিউট অভ্ সায়েন্স, ট্রেড এন্ড টেকনোলজি (আইএসটিটি) আয়োজিত মেধাবী অথচ অসচ্ছল শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫০০ ল্যাপটপ বিতরণ এবং ছাত্রজীবন শেষ হবার সাথে সাথে সরাসরি কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ৫০টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের সাথে জব ট্রেনিং ও জব প্লেসমেন্ট চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
জাতীয় অধ্যাপক ডাঃ এম আর খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অভ্ প্রফেশনালের উপাচার্য মেজর জেনারেল শেখ মামুন খালেদ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য প্রফেসর ড. মুনাজ আহমেদ নূর, স্টেপ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব মোঃ ইমরান, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ শাহজাহান মিঞা, আইএসটিটি’র চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম কায়কোবাদ, মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ও গবেষক ড. গাজী মাহবুবুল আলম এবং আইএসটিটি’র অধ্যক্ষ প্রফেসর গাজী এম এ সালাম বক্তৃতা করেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিএ এমএ পাস করে বেকারত্বের ঘানি টানার চেয়ে বৃত্তিমূলক শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ নিয়ে কর্মমুখী সচ্ছল জীবন কাটানো উত্তম। কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, জাপান, চীনসহ ইউরোপীয় দেশসমূহে কারিগরি শিক্ষার্থীর সংখ্যা শতকরা ৭০ ভাগ এর ওপরে। পরিকল্পিত মানবসম্পদ দ্রুত দেশকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার সময় দেশে কারিগরি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল শতকরা ১ ভাগ। বর্তমানে তা শতকরা ৮ ভাগে উন্নীত হয়েছে। দেশের ৪৯টি সরকারি পলিটেকনিক ও বেসরকারি ৫০০ কারিগরি প্রতিষ্ঠানকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। এগুলোর কোর্স-কারিকুলাম যুগোপযোগী করা হয়েছে। দেশে টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় ও বিজিএমইএ বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হয়েছে। কারিগরিখাতে কোনো প্রকল্প ছিল না। এখন ৫টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, কারিগরি বৃত্তিমূলক শিক্ষার উন্নয়নে সরকার সম্ভব সবধরণের সহযোগিতা প্রদান করবে।
মন্ত্রী আইএসটিটি’র মেধাবী অথচ অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫০০ ল্যাপটপ বিতরণ করেন। মন্ত্রীর উপস্থিতিতে ছাত্রজীবন শেষ হবার সাথে সাথে সরাসরি কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ৫০টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের সাথে জব ট্রেনিং ও জব প্লেসমেন্ট চুক্তিস্বাক্ষর হয়।
#
সুবোধ/সাইফুল্লাহ/নবী/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৫/২০৪৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৯৭
আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২ জ্যৈষ্ঠ (১৬ মে) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ডড়ৎষফ ঞবষবপড়সসঁহরপধঃরড়হ ধহফ ওহভড়ৎসধঃরড়হ ঝড়পরবঃু উধু’ পালন উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ১৭ মে ২০১৫ ‘ডড়ৎষফ ঞবষবপড়সসঁহরপধঃরড়হ ধহফ ওহভড়ৎসধঃরড়হ ঝড়পরবঃু উধু’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য "ঞবষবপড়সসঁহরপধঃরড়হং ধহফ ওঈঞং: উৎরাবৎং ড়ভ ওহহড়াধঃরড়হ" যা অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।
দেশের সকল মানুষকে তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত করে তাদের মেধা ও উদ্ভাবনী ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আমাদের সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
গত সাড়ে ছয় বছরে আমরা টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তির সুফল দেশের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে দিতে যোগাযোগ প্রযুক্তির অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রায়োগিক উৎকর্ষসাধন, প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার নিশ্চিত করাসহ এখাতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছি। ইন্টারনেট ডেনসিটি বৃদ্ধি, সাবমেরিন ক্যাবলের ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি, নতুন সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনসহ টেলিযোগাযোগ খাতের সকল সেবা আধুনিক ও যুগোপযোগী করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তিবান্ধব নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশের ৯৯ ভাগ এলাকা এখন মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে। মোবাইল ফোন গ্রাহকগণ উন্নত টেলিসেবা পাচ্ছেন। দেশে ৩-জি প্রযুক্তির মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু করা হয়েছে। ৪-জি প্রযুক্তিও অচিরেই চালু করা হবে। টেলিডেনসিটি শতকরা ৭০ ভাগে উন্নীত হয়েছে। দেশের মানুষ ১২ কোটি ৩৬ লাখ ৯০ হাজার মোবাইল সিম ব্যবহার করছে।
আমরা দেশের সকল উপজেলায় অপটিক্যাল ফাইবার কানেকটিভিটি, সকল জেলায় “জেলা তথ্য বাতায়ন” এবং দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে “ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র” প্রতিষ্ঠা করেছি। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে পারস্পরিক যোগাযোগকে দ্রুত ও সহজতর করা হয়েছে। এ সকল উদ্যোগ বাস্তবায়নের ফলে সরকারি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয়েছে। দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা-বাণিজ্য, সামাজিক যোগাযোগসহ প্রতিটি খাতে অমিত সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। তরুণ প্রজন্মের জন্য নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়, একটি বাস্তবতা।
আমি আশা করি, 'ডড়ৎষফ ঞবষবপড়সসঁহরপধঃরড়হ ধহফ ওহভড়ৎসধঃরড়হ ঝড়পরবঃু উধু' পালনের মাধ্যমে দেশের সর্বস্তরের জনগণ টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আরো অবহিত হবেন এবং এর সুফল ভোগ করবেন।
আমি দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
নুরএলাহি/সাইফুল্লাহ/সঞ্জীব/মোশারফ/রেজাউল/২০১৫/১৭০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৯৬
আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২ জ্যৈষ্ঠ (১৬ মে) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ও তথ্যসংঘ দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী দিয়েছেন :
‘‘এ বছর International Telecommunication Union (ITU) এর ১৫০তম বর্ষপূর্তিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও 'World Telecommunication and Information Society Day (WTISD) 2015’ উদ্যাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।
আমি জানতে পেরেছি ১৮৬৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর ITU বিগত দেড়শ বছর ধরে বিশ্বের মানুষকে একসূত্রে গেঁথে রাখতে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ITU এর সদস্য হিসেবে যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিকাশে অনবদ্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। সরকার ঘোষিত রূপকল্প-২০২১ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রধান মাধ্যম হলো তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার। আমি আনন্দিত যে, টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে এ লক্ষ্য অর্জনে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তির সেবা দেশের সকল অঞ্চল ও সব শ্রেণিপেশার মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়ে আর্থসামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা সম্ভব। সে লক্ষ্যে সরকার ICT এর সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ইউনিয়ন থেকে উপজেলা, জেলা, বিভাগ ও কেন্দ্রীয় পর্যায় পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে। দেশের জনগণের বিশেষ করে তরুণ সমাজের মেধা ও উদ্ভাবনী ক্ষমতার সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তিকে যথাযথভাবে সম্পৃক্ত করতে পারলে সমাজ দ্রুত উন্নতির পথে এগিয়ে যাবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। এ প্রেক্ষিতে দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘Telecommunication and ICTs: Drivers of Innovation’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি। আমি টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে সংশ্লি¬ষ্ট সকলকে অধিকতর অবদান রাখার আহ্বান জানাই।
আমি World Telecommunication and Information Society Day-2015 উদ্যাপনের সাফল্য কামনা করছি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
আজাদ/সাইফুল্লাহ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৫/১৭৩২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৯৫
শেখ হাসিনার ৩৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২ জ্যৈষ্ঠ (১৬ মে) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ শেখ হাসিনার ৩৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
‘‘বঙ্গবন্ধু তনয়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আমি তাঁকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনা ১৯৭৫ থেকে দীর্ঘ ৬ বছর নির্বাসন শেষে ১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলার মাটিতে ফিরে আসেন। বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পুনর্যাত্রার জন্য এটা ছিল এক বিরল ঘটনা। এর ফলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হন। এসময় তাঁর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করায় তাঁরা প্রাণে বেঁচে যান। পরবর্তীতে ৬ বছর লন্ডন ও দিল্লিতে তাঁদের চরম প্রতিকূল পরিবেশে নির্বাসিত জীবন কাটাতে হয়। ১৯৮১ সালে ১৪-১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতে সর্বসম্মতিক্রমে তাঁকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এ ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তৎকালীন নেতৃবৃন্দের এক দূরদর্শী সিদ্ধান্ত। ১৯৮১ সালের ১৭ মে ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১৯৭২ সালে ১০ জানুয়ারি তাঁর পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মতো তাঁকেও স্বাগত জানাতে লাখো মানুষের ঢল নামে। সেদিন তাঁদের অকৃত্রিম ভালবাসায় সিক্ত হন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা দেশে ফিরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন শুরু করেন এবং এরই ধারাবাহিকতায় ৯০’র গণআন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের বিজয় হয়। ১৯৯৬ সালের ১২ জুন সাধারণ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়লাভ করে এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে। এসময় পাহাড়ি-বাঙালি দীর্ঘমেয়াদি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বন্ধে পার্বত্য শান্তিচুক্তি এবং প্রতিবেশী ভারতের সাথে গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তাঁর নেতৃত্বে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনে ১৪ দলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসে এবং জনগণের কল্যাণে নানামুখী কর্মসূচি গ্রহণ করে। গণতন্ত্র, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, নারীর ক্ষমতায়ন, বিদ্যুৎ, তথ্যপ্রযুক্তি, গ্রামীণ অবকাঠামো, বৈদেশিক কর্মসংস্থানসহ নানা কর্মসূচি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলতর করে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি সাধারণ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জোট সরকার পুনরায় ক্ষমতায় এসে সরকার পরিচালনা করছে। সমুদ্রে বাংলাদেশের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা, ভারতের সাথে দীর্ঘদিনের অমিমাংসিত স্থল সীমানা নির্ধারণ তথা ছিটমহল বিনিময়, পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে বিদ্যুৎ আমদানিসহ গণমানুষের কল্যাণে তাঁর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। দেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করতে তিনি ‘ভিশন ২০২১’ ও ‘ভিশন ২০৪১’ গ্রহণ করেছেন। গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে শেখ হাসিনার এসব যুগান্তকারী কর্মসূচি বাংলার মানুষের হৃদয়ে চির জাগরূক থাকবে।
আমি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে তাঁর সরকারের অব্যাহত সাফল্যসহ তাঁর নিজের ও পরিবারের সকল সদস্যের সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু, সুখ-সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করছি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
আজাদ/সাইফুল্লাহ/সঞ্জীব/সেলিম/ আব্বাস/২০১৫/১৭১৭ ঘণ্টা