বেসরকারি নম্বর : ২০
নির্বাচনের দোহাই দিয়ে মানুষ পোড়ানোর কারিগরদের সাথে সমঝোতা নয়
-- তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১২ শ্রাবণ (২৭ জুলাই):
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, নির্বাচনের দোহাই দিয়ে মানুষ পোড়ানোর কারিগরদের সাথে সমঝোতার কোনো সুযোগ নেই। সবাই নির্বাচন করতে পারবে, কিন্তু খুনি, যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গি, আগুনসন্ত্রাসী ও অর্থ আত্মসাৎকারীরা পারবে না, কারণ তারা অপরাধী। আর নির্বাচন অপরাধীদের হালাল করার কোনো প্রক্রিয়া নয়।’
মন্ত্রী আজ রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট- বিএনএফ আয়োজিত ‘সমসাময়িক রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
একাত্তরের সরকার ও বর্তমান শেখ হাসিনার সরকারকে ‘দু’টি মোড় বদলের সরকার’ বলে বর্ণনা করে তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি ইনু বলেন, একাত্তরের সরকারকে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করতে হয়েছে আর এখনকার সরকার পরিচালনা করছে তিন যুদ্ধ। সাম্প্রদায়িক-সামরিকতন্ত্রের জঞ্জাল ও জঙ্গি নির্মূল করা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া এবং অর্থনীতিকে বৈষম্যমুক্ত সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেয়ার তিন যুদ্ধে আছে সরকার।
সমসাময়িক রাজনীতির এ অবস্থায় সামনের নির্বাচনকে জঙ্গিদমন যুদ্ধের চশমা দিয়ে দেখার জন্য সবাইকে আহ্বান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন দু’টি চ্যালেঞ্জের কথা। একটি যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান ও অপরটি জঙ্গি-রাজাকার সমর্থকদের নির্বাচনের বাইরে রাখা। ‘আগামী নির্বাচনে রাজাকারদের কোনো স্থান নেই এবং ভবিষ্যতের রাজনীতিতেও শুধু মুক্তিযোদ্ধারাই লড়বে’, বলেন তিনি।
আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে বিএনএফ’র প্রেসিডেন্ট এস এম আবুল কালাম আজাদ এমপি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্দীপ্ত হয়ে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর সকল চক্রান্ত ঐক্যবদ্ধভাবে নস্যাৎ করাই সমসাময়িক রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব।’
অন্যান্যের মধ্যে জাতীয়তাবাদী মহিলা ফ্রন্টের আহ্বায়ক নাসিরা রফিক, জাতীয়তাবাদী যুব ফ্রন্টের আহ্বায়ক কে ওয়াই এম কামরুল ইসলাম, সদস্য সচিব খালিদ হোসাইন, ছাত্র ফ্রন্ট সভাপতি সৈয়দ মাহাবুব হাসান আজাদ শাওন, সাধারণ সম্পাদক সজীব কায়সার মিথুন প্রমুখ সভায় অংশ নেন।
#
আকরাম/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৯৫০ ঘণ্টা