Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২২nd জুন ২০২২

তথ্যবিবরণী ২২ জুন ২০২২

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ২৫৫২

 

ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরিতে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে

                                                -- প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী

 

গোয়াইনঘাট (সিলেট), ৮ আষাঢ় (২২ জুন) :

 

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে সমন্বয় করে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম জোরদার করা দরকার। দুর্গত মানুষকে উদ্ধার ও ত্রাণ কাজে ইতিমধ্যে সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থা একসঙ্গে কাজ করে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করতে নির্বাচিত চেয়ারম্যানগণের পাশাপাশি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

 

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে সহায়তা দেওয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

 

আজ সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসন ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, সরকারি সংস্থার পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এসময় মন্ত্রী বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রস্তুত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

 

গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন- গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফারুক আহমদ, গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ফজলুল হক প্রমুখ।

 

এরপর তিনি বিকেলে কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা মিলনায়তনে বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও বন্যা দুর্গতদের পুনর্বাসন বিষয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং এর সঞ্চালনায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

#

 

রাশেদুজ্জামান/নাইচ/মোশারফ/সেলিম/২০২২/২২২৫ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ২৫৫১

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আরো ১৮শ’মেট্রিক টন চাল,

১ দশমিক ৫ কোটি টাকা এবং ২৪ হাজার প্যাকেট খাবার বরাদ্দ

ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন) :

          বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে মানবিক সহায়তা হিসেবে বিতরণে লক্ষ্যে আজ আরো  ১৮শ’মেট্রিক টন চাল, ১ দশমিক ৫ কোটি টাকা এবং ২৪ হাজার প্যাকেট শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে আজ এ বরাদ্দ প্রদান করা হয়।

          বরাদ্দকৃত জেলাসমূহের মধ্যে সিলেট জেলার জন্য ৬শ’মেট্রিক টন চাল এবং ১০ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট। সুনামগঞ্জ জেলার জন্য ৪শ’মেট্রিক টন চাল এবং ১০ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট। হবিগঞ্জ জেলার জন্য ১শ’মেট্রিক টন চাল ২০ লাখ নগদ টাকা এবং ২ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট। মৌলভীবাজার জেলার জন্য ২শ’মেট্রিক টন চাল এবং ৫০ লাখ নগদ টাকা । নেত্রকোণা জেলার জন্য ২শ’মেট্রিক টন চাল এবং ৫০ লাখ নগদ টাকা। কুড়িগ্রাম জেলার জন্য ২শ’মেট্রিক টন চাল এবং ২০ লাখ নগদ টাকা। জামালপুর জেলার জন্য ১শ’মেট্রিক টন চাল, ১০ লাখ নগদ টাকা এবং ২ হাজার খাবারের প্যাকেট।

          এর আগে দেশের ১১টি জেলায় সাম্প্রতিক বন্যায় মানবিক সহায়তা হিসেবে জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে ১৭ মে থেকে ২০ জুন পর্যন্ত ২ হাজার ২২০ মেট্রিক টন চাল, তিন কোটি ৮৬ লাখ টাকা এবং ৭১ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

          এর মধ্যে রয়েছে সিলেট জেলায় এক হাজার দুইশ’মেট্রিক টন চাল, এক কোটি ৬৩ লাখ টাকা এবং ২৫ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট। সুনামগঞ্জ জেলায় ৭২০ মেট্রিক টন চাল, এক কোটি ৪৮ লাখ টাকা এবং ১৭ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট। নেত্রকোণা জেলায় দুইশত মেট্রিক টন চাল, ৩০ লাখ টাকা এবং ৮ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট। রংপুর জেলায় তিন হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট। নীলফামারী জেলায় ৫ লাখ টাকা এবং ৩ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট। কুড়িগ্রাম জেলায় ১০ লাখ টাকা এবং এক হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট। হবিগঞ্জ জেলায় ১০ লাখ টাকা এবং ২ হাজার শুকনো অন্যান্য খাবারের প্যাকেট। মৌলভীবাজার জেলায় একশত মেট্রিক টন চাল, ১০ লাখ টাকা এবং ২ হাজার শুকনো অন্যান্য খাবারের প্যাকেট। শেরপুর জেলায় ১০ লাখ টাকা এবং ৪ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট। জামালপুর জেলায় ৪ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট। কিশোরগঞ্জ জেলায় ২ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট।

          বরাদ্দকৃত ত্রাণকার্য (নগদ) অর্থ শুধু আপদকালীন বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে মানবিক সহায়তা হিসেবে বিতরণ করা হবে।

#

সেলিম/পাশা/সঞ্জীব/রফিকুল/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/১৯৫০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ২৫৫০

 

একজন শেখ হাসিনা আছেন বলেই পদ্মা সেতু হয়েছে

                                     -তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

 

ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন) :   

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, ‘একজন শেখ হাসিনা আছেন বলেই পদ্মা সেতু হয়েছে। সঠিক রাজনৈতিক নেতৃত্ব সঠিক সাহসী নেতৃত্ব অসম্ভবকে যে সম্ভব করতে পারে সেটি জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটি দেখিয়ে দিয়েছেন।’ 

আজ রাজধানীতে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ‘বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পদ্মা সেতুর অবদান’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু শুধুমাত্র একটি সেতু নয়, বিশ্ববেনিয়াদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের এবং সবার ওপরে শেখ হাসিনার সক্ষমতার প্রতীক হচ্ছে পদ্মা সেতু। বিশ্বব্যাংক এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিশ্ববেনিয়ারা, বাংলাদেশে তাদের সুবিধাভোগীরা এবং বিএনপি-জামাতসহ আমাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ পদ্মা সেতু নিয়ে যে সমালোচনা-ষড়যন্ত্র করেছিলো সেই জাল ছিন্ন করে, তাদের হুমকি-ধামকি উপেক্ষা করে এরকম একটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষেই সম্ভবপর হয়েছে।’

ড. হাছান বলেন, ‘যারা ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত ছিলো আজকে তাদের কেউ কেউ নিশ্চুপ হয়ে গেছে, ষড়যন্ত্রে যারা নেতৃত্ব দিয়েছিল তারা নিশ্চুপ, তাদেরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, তারা দেশে না বিদেশে আমিও জানি না, আর কেউ কেউ সুর বদলেছেন। প্রতিবন্ধকতা শুধু সরকারের বাইরে থেকে নয়, সরকারের ভেতর থেকেও কেউ কেউ দ্বিধান্বিত ছিলেন এবং সে কারণে প্রধানমন্ত্রীকে নানা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে বেগ পেতে হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে আজ সে বাস্তবতাটা তুলে ধরেছেন। এই সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে একটি জিনিস প্রমাণিত হয়েছে সেটি হচ্ছে যারা সময়ে সময়ে, কারণে অকারণে সরকারের সমালোচনা করে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে, এখন কথা বলার আগে তাদের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন রয়েছে।’ 

‘বিএনপির এখন লজ্জায় তো মাথা হেঁট হয়ে গেছে, কী বলে লজ্জা রক্ষা করা যায় সেটি খুঁজে পাচ্ছে না, কিন্তু বিএনপিকে সেতু উদ্বোধনে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমে মির্জা ফখরুল সাহেব বললেন, এই সেতু কি উনাদের বাপের, আমরাতো বলি নাই এই সেতু কারো বাপের। আরো বলেছেন, এই সেতু দিয়ে কি স্বর্গে যাবো! এই সেতু প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশের আপামর জনতার জন্য নির্মাণ করেছেন। এই সেতু বেগম খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল সাহেবের জন্যও। কিন্তু প্রশ্নটা হচ্ছে, পদ্মা সেতু আওয়ামী লীগ সরকার কখনো নির্মাণ করতে পারবে না এবং করলেও জোড়াতালি দিয়ে হবে, কেউ উঠবে না -এমন কথা যারা বলেছিলেন তাদের এখন সেতুতে উঠার অধিকার আছে কি না। আমরা বলছি আপনারা সানন্দে উঠুন, তবে আগের বক্তব্যের জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চান।’ 

এসময় খরচের খতিয়ান বর্ণনা করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘২০১১ সালে দ্বিতল সেতু নির্মাণ পরিকল্পনায় প্রায় ৩শ’ কোটি ডলারের প্রকল্প নেয়া হয়েছিল, যার মধ্যে ১শ’ ২০ কোটি ডলার বিশ্বব্যাংকের কাছে চাওয়া হয়েছিল। ডলারের বর্তমান মূল্য ৯৩ দশমিক ১৩ টাকা হিসেবে ৩শ’ কোটি ডলারের মূল্য ২৮ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ ২০১১ সালে প্রাক্কলিত ব্যয়ের ডলারকে টাকায় রূপান্তর করলে দেখা যায় খরচ একই জায়গায় রয়ে গেছে। অধিকন্তু ষড়যন্ত্রের কারণে ও নিজের টাকায় করতে গিয়ে কয়েক বছর দেরি না হলে এই খরচ আরো কম হতো।’

 

পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করেছেন উল্লেখ করে তুলনামূলক আর্থিক চিত্র তুলে ধরে ড. হাছান বলেন, ‘১৯১০ থেকে ১৯১৫ সালের মধ্যে নির্মিত হার্ডিঞ্জ ব্রিজ আজকে নির্মাণ করতে স্বর্ণমূল্য হিসেবে লাগতো ১৭ হাজার ৩৫ কোটি টাকা। হার্ডিঞ্জ ব্রিজের দৈর্ঘ্য হচ্ছে ১.৮ কিলোমিটার। পদ্মা সেতু তার চেয়ে সাড়ে ৩ গুণ বড়ো অর্থাৎ ৬.১৫ কিলোমিটার। সে হিসেবে পদ্মা সেতুর সমদৈর্ঘ্যের হার্ডিঞ্জ ব্রিজ তৈরি করতে লাগতো ৫৮ হাজার ৭শ’ ৭৩ কোটি টাকা। আর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ হচ্ছে শুধুমাত্র রেল সেতু। পদ্মা সেতুর ওপরে চার লেনের সড়ক, নিচে রেল। অর্থাৎ এই সেতু নির্মাণে ১ লাখ হাজার কোটি টাকা লাগার কথা ছিল। সুতরাং আজকে যারা ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তাদেরকে বলবো, অহেতুক প্রশ্ন তুলবেন না। পদ্মা সেতু নির্মাণে শেখ হাসিনা কমপক্ষে ২০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করেছেন।’

 

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির চেয়ারম্যান এডভোকেট সাহাব উদ্দিন চুপ্পুর সভাপতিত্বে ও উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ড. আবুল বারাকাত মুখ্য আলোচক হিসেবে এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. খান মাহমুদ আমানত, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ সেমিনারে আলোচনা করেন। 

 

#

আকরাম/নাইচ/সঞ্জীব/মাহমুদ/শামীম/২০২২/১৯৪৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ২৫৪৯

 

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমের উদ্বোধন

 

ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন) :

 

ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।

 

আজ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মল হক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

 

মন্ত্রী বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ও গৌরবোজ্জ্বল স্থান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এখানেই ১৯৭১ সালে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ প্রদান করেন এবং বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ডাক দেন। বন্দিদশা হতে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি স্বদেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু এখানেই দিয়েছিলেন কান্নায় ভেঙ্গে পড়া আবেগঘন ভাষণ। ১৯৭২ সালে বিরাট জনসভায় এখানেই বক্তব্য দিয়েছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী।

 

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে বিভিন্ন সময়ের আন্দোলন ও ঘটনাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিকট তুলে ধরার উদ্দেশ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইতোমধ্যে শিখা চিরন্তন, স্বাধীনতা স্তম্ভ ও ভূগর্ভস্থ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে ‘ঢাকাস্থ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ’ (৩য় পর্যায়)’ শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন আছে। এ উদ্যানকে দৃষ্টিনন্দন এবং সবুজের সমারোহে ভরে তুলতে ছোট -বড় প্রায় ৫ হাজার বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ রোপণ করা হবে।

 

এ সময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব রঞ্জিত কুমার দাস, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি মীর মনজুরুর রহমান; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. হারুনর রশিদ খান; ঢাকাস্থ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ (৩য় পর্যায় ) প্রকল্পের পরিচালক হাবিবুল ইসলামসহ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের  কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন ।

 

#

 

মারুফ/নাইচ/সঞ্জীব/রফিকুল/মাহমুদ/সেলিম/২০২২/২০৪০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ২৫৪৮

 

আইসিটি শীঘ্রই দেশের প্রধান অর্থনৈতিক খাত হিসেবে বিকাশ লাভ করবে

                                                                                   - গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী

ময়মনসিংহ, ৮ আষাঢ় (২২ জুন) :   

গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেছেন, শীঘ্রই আইসিটি খাত দেশের অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক খাত হিসেবে বিকাশ লাভ করবে।

আজ ময়মনসিংহের কিসমত রহমতপুরে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ময়মনসিংহ হাইটেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষ্যে তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত এক যুগে অর্থনৈতিক ও সামাজিক সকল সূচকে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। জনগণের দোরগোড়ায় সরকারি পরিষেবা পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে, সমাজের তৃণমূল পর্যন্ত আধুনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার বিস্তৃত হয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি সুদৃঢ় হয়েছে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের চালিকাশক্তি হিসেবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে দেশ উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বেগম মনিরা সুলতানা, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র একরামুল হক টিটু, আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, জেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং তরুণ উদ্যোক্তাগণ।

#

রেজাউল/পাশা/রফিক/সঞ্জীব/রফিকুল/শামীম/২০২২/১৯৩০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ২৫৪৭

রেলওয়ে টিকিট বিক্রয়ের মোবাইল অ্যাপস ‘রেল সেবা’এর উদ্বোধন

 ঈদের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু ১ জুলাই

ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন) :

          রেলপথ মন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন আজ রেলভবনে রেলওয়ের টিকিট বিক্রয়ের মোবাইল অ্যাপস ‘‘রেল সেবা’ উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে রেলওয়ের টিকিট বিক্রয় কার্যক্রম সম্পর্কে সাংবাদিকদের সামনে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

          রেলপথমন্ত্রী এ সময় বলেন, সরকার রেলওয়ের সেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে কাজ করছে। মানুষ যেন ঘরে বসেই  টিকিট কাটতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রযুক্তিগত দিক থেকে রেলওয়েকে আরো এগিয়ে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম  হাতে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাথে  আগামীতে রেলওয়েকে প্রযুক্তিগত দিক থেকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে যাত্রীদের সুবিধার্থে ৬ জোড়া বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করা হবে। সেগুলো হচ্ছে দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল, চাঁদপুর স্পেশাল ১, ২ বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম (পঞ্চগড়) ঈদ স্পেশাল, শোলাকিয়া স্পেশাল ১, ২।

           মন্ত্রী বলেন, আগামী ১ জুলাই থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত ঈদের আগাম টিকেট দেয়া হবে। সে ক্ষেত্রে ১ জুলাই দেওয়া হবে ৫ জুলাইয়ের টিকিট। একইভাবে ২ জুলাই ৬ জুলাইয়ের, ৩ জুলাই ৭ জুলাইয়ের ৪ জুলাই ৮ জুলাইয়ের এবং ৫ জুলাই ৯ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রয় করা হবে।

          ‘টিকেট যার ভ্রমণ তার’ এই স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে টিকেট বিক্রয়ের ক্ষেত্রে যাত্রীদের এনআইডি এবং জন্ম সনদ ফটোকপি কাউন্টারে দেখাতে হবে।  প্রতিটি বিক্রয় কেন্দ্রে মহিলা ও প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা কাউন্টার থাকবে। একজন যাত্রী একসাথে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট ক্রয় করতে পারবে। স্পেশাল ট্রেনের টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাবে না, শুধু স্টেশন কাউন্টার হতে বিক্রি করা হবে।

          মন্ত্রী জানান, অগ্রিম টিকিট বিক্রয়ের ব্যবস্থাপনায় ৬টি জায়গা থেকে বিক্রয় করা হবে। ঢাকা (কমলাপুর) রেলস্টেশন থেকে  সমগ্র উত্তরাঞ্চলগামী আন্তঃনগর ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম ঈদ স্পেশাল ট্রেনের টিকিট , ঢাকা (কমলাপুর) শহরতলী প্ল্যাটফর্ম থেকে রাজশাহী ও খুলনাগামী সকল আন্তঃনগর ট্রেনের, ঢাকা বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সকল আন্তঃনগর ট্রেনের, তেজগাঁওয়ে ময়মনসিংহ, জামালপুর, দেওয়ানগঞ্জগামী সকল আন্তঃনগর ট্রেন ও দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল ট্রেনের; ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে মোহনগঞ্জগামী মোহনগঞ্জ ও হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনের, ফুলবাড়িয়া থেকে সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী সকল আন্তঃনগর ট্রেনের এবং জয়দেবপুর থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম (পঞ্চগড়) এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট বিক্রয় করা হবে।

          মন্ত্রী আরো উল্লেখ করেন, ঈদ পরবর্তীতে ৭ জুলাই থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ৭ জুলাই ১১ জুলাইয়ের, ৮ জুলাই ১২ জুলাইয়ের, ৯ জুলাই ১৩ জুলাইয়ের এবং ১১ জুলাই ১৪ ও ১৫ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রি করা হবে। আগামী ৬ জুলাই থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত ঢাকামুখী একতা, দ্রুতযান,পঞ্চগড়, নীলসাগর, কুড়িগ্রাম, লালমনি ও রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনসমূহের বিমানবন্দর স্টেশনে যাত্রাবিরতি থাকবে না। আগামী ৬ থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত মিতালী এক্সপ্রেস এবং ৭ থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত মৈত্রী এক্সপ্রেস ও বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করবে না।

          এ সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদারসহ রেলপথ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

#

শরিফুল/পাশা/সঞ্জীব/রফিকুল/জয়নুল/২০২২/১৮৫৫ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ২৫৪৬

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন) :   

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১ হাজার ১৩৫ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। এ সময় ৮ হাজার ৫৩৬জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ১৩৪ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৬ হাজার ১০৫ জন।

#

কবীর/পাশা/রাহাত/রফিক/সঞ্জীব/শামীম/২০২২/১৮৩০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ২৫৪৫

 

ঈদ উপলক্ষ্যে ১ থেকে ১০ জুলাই দোকানপাট বিপণিবিতান রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা

 

ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন) :   

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা-২০২২ উপলক্ষ্যে জনসাধারণের সুবিধার্থে সরকার বিশেষ অবস্থা বিবেচনায় আগামী ১ জুলাই থেকে ১০ জুলাই দোকানপাট, মার্কেট, বিপনিবিতান বন্ধের সময় সাময়িক পরিবর্তন করে রাত ৮টার পরিবর্তে রাত ১০ টা করেছে।   

আজ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

          প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ১১৪ এর ৪ উপধারার ক্ষমতাবলে একই আইনের ৩ উপধারার পরিবর্তে সাময়িক এ পরিবর্তন আনা হয়েছে।

          এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার প্রেক্ষিতে গত ১৯ জুন প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে শ্রম মন্ত্রণালয়ে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন উত্তর/দক্ষিণ, এফবিসিসিআই, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতিসহ বিভিন্ন মালিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দোকানপাট, মার্কেট, বিপনিবিতান রাত ৮টায় বন্ধের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়। এ বৈঠকে গত ২০ জুন থেকে সারা দেশে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর রয়েছে।

          পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি আগামী ১জুলাই থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত সামনে রেখে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখার অনুমতি চান। তাদের অনুরোধ বিবেচনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট উপস্থাপন করা হবে বলে শ্রম প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য ১০ জুলাইয়ের পর থেকে রাত ৮টায় দোকানপাট, বিপণিবিতান বন্ধের বিষয়ে বাংলাদেশ শ্রম আইনের ১১৪ এর উপধারা ৩ কঠোরভাবে প্রতিপালন করা হবে।

#

আকতারুল/পাশা/রাহাত/রফিক/সঞ্জীব/শামীম/২০২২/১৭৪৫ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                        নম্বর : ২৫৪৪

বন‌্যাদুর্গত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত মোবাইল ও ল‌্যান্ডফোন

নেটওয়ার্ক সচল কার্যক্রমের সর্বশেষ পরিস্থিতি

ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন) :   

চলমান বন‌্যায় সুনামগঞ্জ, সিলেট, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ এবং মৌলভীবাজারে গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও টেলিটকের মোট ৩ হাজার ৬১৭টি সাইটের মধ‌্যে ২ হাজার ৮টি সাইট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ‌্যে ১ হাজার ২৫৫টি সাইট পুনরায় সচল করা সম্ভব হয়েছে। অবশিষ্ট ৭৫৩টি সাইট সচল করার জন‌্য কাজ চলছে।

এর আগে বাংলাদেশ স‌্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) বঙ্গবন্ধু স‌্যাটেলাইট-১ এ সংযোগ স্থাপনের মাধ‌্যমে ইন্টারনেটসহ টেলিযোগাযোগ সংযোগ স্থাপনের জন‌্য সেনাবাহিনীর মাধ‌্যমে ১২টি ও বাংলাদেশ স‌্যাটেলাইট কোম্পানি নিজস্ব ব‌্যবস্থাপনায় আরো ২৯টি ভিস‌্যাট স্থাপনে কাজ করছে।

          বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সিলেট হাইটেক পার্ক, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও সুনামগঞ্জ সার্কিট হাউজ, গোবিন্দগঞ্জ, দোয়ারা বাজার ও দিরাইসহ ৬টি ভিস‌্যাট হাব স্থাপন সম্পন্ন করেছে। আজ জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাটে আরো ২টি ভিস‌্যাট হাব স্থাপনের কার্যক্রম সম্পন্ন হবে বলে জানানো হয়।

          বিএসসিএল সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, সিলেট সদর উপজেলা কার্যালয়, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের বাংলো, বিশ্বরামপুর এবং দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা কার্যালয়ে ৭টি ভিস‌্যাট হাব স্থাপন সম্পন্ন করেছে। এছাড়া আজ বুধবার জৈন্তাপুর, ছাতক, জগন্নাথপুর, শাল্লা ও দিরাই উপজেলায় ভিস‌্যাট হাব স্থাপন কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।

          বিএসসিএল নেত্রকোণা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ভিস‌্যাট হাব স্থাপন সম্পন্ন করেছে। আজ খালিয়াজুরী উপজেলা কার্যালয়ে ভিস‌্যাট হাব সংযোগ প্রদান কাজ সম্পন্ন হবে। এছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আরও ভিস‌্যাট যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়েছে। সরবরাহকৃত ভিস‌্যাট হাবগুলোর মধ‌্যে ৪ সেট ময়মনসিংহ ক‌্যান্টনমেন্টে প্রেরণ করা হয়েছে।

#

শেফায়েত/অনসূয়া/ডালিয়া/শাম্মীর/রবি/আসমা/২০২২/১৬৪০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ২৫৪০

নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে

  -খাদ্যমন্ত্রী

নওগাঁ, ৮ আষাঢ় (২২ জুন) :

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, সকলের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। জনগণ সচেতন হলে অনিরাপদ খাবার উৎপাদন ও পরিবেশন বন্ধ হয়ে যাবে।

আজ নওগাঁর পোরশা উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে ‘নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এর আইন, বিধি ও প্রবিধিমালার প্রয়োগ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। কিন্তু আমাদের একটি অভাব রয়েই গেছে। সেটি হলো নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবারের অভাব। এটি নিশ্চিত করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আমাদের দেশে অনেক ভালো ভালো সবজি উৎপাদন হয়ে থাকে। এসব খাদ্য উৎপাদক থেকে ভোক্তা পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে খাদ্যের নিরাপত্তা ও পুষ্টিমান বজায় রাখা জরুরি। দেশের প্রতিটি মানুষ খাদ্য নিরাপত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তাই যারা ভেজাল খাবার তৈরি করে তাদের বিরুদ্ধে সবার সজাগ থাকতে হবে। ভেজাল খাবার তৈরি ও পরিবেশন যারা করে তাদের বিষয়ে প্রশাসনকে অবগত করার নাগরিক দায়িত্বপালনের আহ্বান জানান তিনি।

যদি কেউ ফরমালিনসহ অন্য যে কোনো অননুমোদিত রাসায়নিক দ্রব্য ফলমূল, শাকসবজিসহ অন্যান্য খাদ্য সংরক্ষণে ব্যবহার করে, সেক্ষেত্রে নিরাপদ খাদ্য আইনে ৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা ২০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। এছাড়া ফরমালিন নিয়ন্ত্রন আইন অনুযায়ী ফরমালিনের যে কোনো অননুমোদিত ব্যবহার শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এসময় নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, গ্রহণ ও পরিবেশন এবং বেশি লাভের আশায় হোটেল ব্যবসায়ীদের পচা, বাসি খাবার বিক্রি না করারও আহ্বান জানান খাদ্যমন্ত্রী।

পোরশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হামিদ রেজার সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ মঞ্জুর মোরশেদ চৌধুরী, জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা চিন্ময় প্রামাণিক প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

#

কামাল/অনসূয়া/ডালিয়া/শাম্মী/মাসুম/২০২২/১৪০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর : ২৫৩৯

পরিবেশের সাথে অভিযোজনের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে

                                                      -কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন) :

কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার পরিবেশ রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ খুবই দুর্যোগপ্রবণ দেশ। নানান প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রায়ই ফসলের ক্ষতি হয়। কৃষি উৎপাদন ধরে রাখতে হলে জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে চলার বা অভিযোজনের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে জলাবদ্ধতা, লবণাক্ততা, খরা প্রভৃতি বাড়বে। এসব বিরূপ পরিবেশে চাষযোগ্য ফসলের জাত উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

আজ প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে হোটেলে ‘সাউথ এশিয়া নাইট্রোজেন ফ্রেমওয়ার্ক পলিসি’ বিষয়ক সাব রিজিওনাল ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সাউথ এশিয়া কোঅপারেটিভ এনভায়রনমেন্ট প্রগ্রাম (সাসেপ) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে নাইট্রোজেনের ইফিসিয়েন্সি মাত্র ৩০-৩৫ ভাগ যা খুবই কম। নাইট্রোজেনের বাকি ৬০-৭০ ভাগ অপচয় হ

2022-06-22-16-25-1cc33efa01448b5291e5ec3468896986.doc