Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১০ জানুয়ারি ২০১৯

তথ্যবিবরণী - 09.01.2019

তথ্যবিবরণী                 নম্বর : ৯৬
 
দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করতে হবে  
                     -- আইনমন্ত্রী
 
ঢাকা, ২৬ পৌষ (৯ জানুয়ারি) :
 
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষা করতে জনগণের ন্যায্য বিচার নিশ্চিত করাসহ মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এতে করে সাধারণ জনগণের মধ্যে বিচার বিভাগের প্রতি আস্থার সৃষ্টি হবে। তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার যে ভিশন তার সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত সুশাসন। সুশাসন ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই বিচার বিভাগে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। ৩৪ লাখ মামলার জট থেকে মুক্তির পথ খুঁজে বের করতে হবে। এই মামলার জট নিরসনে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতি (এডিআর) কে কার্যকর করতে হবে এবং এই পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। 
মন্ত্রী আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে আইন ও বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। 
আনিসুল হক বলেন, বিগত পাঁচ বছরে আইন ও বিচার বিভাগে অনেক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর দেওয়া সংবিধানে বিচার বিভাগকে স্বাধীন অঙ্গ হিসেবে উল্লেখ করে গেছেন এবং বিচার বিভাগের এই স্বাধীনতা যাতে জনগণ ভোগ করতে পারেন তার রূপরেখা সংবিধানে দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর পিতার স্বপ্ন পূরণের জন্য যে কাজ করে যাচ্ছেন তার সাথে তাল মিলিয়ে সকলকে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। 
 
মন্ত্রী বলেন, আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রদানের ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু জনগণের কাছে যে অঙ্গীকার করে গেছেন তা বাস্তবায়ন করতে হবে। সেজন্য জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থাকে  আগামী পাঁচ বছরে বর্তমানের তুলনায় পাঁচগুণ বেশি শক্তিশালী করতে হবে।
 
#
 
রেজাউল/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৯/২০০০ ঘণ্টা
 
তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর : ৯৫
 
এক মাসের মধ্যে সমস্যার সমাধান
 গার্মেন্টসকর্মীদের কারখানায় ফিরতে বাণিজ্যমন্ত্রীর আহ্বান
 
ঢাকা, ২৬ পৌষ (৯ জানুয়ারি) :
তৈরিপোশাক কারখানার শ্রমিকদের উদ্ভূত মজুরি সমস্যা সমাধানের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গতকাল (৮ জানুয়ারি) তৈরিপোশাক কারখানার মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দকে নিয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান সভায় উপস্থিত ছিলেন। ত্রিপক্ষীয় আলোচনায় একটি সমোঝোতা হয়েছে। সর্বসম্মতিক্রমে তৈরিপোশাক কারখানার মালিক পক্ষে ৫ জন, শ্রমিক পক্ষের ৫ জন এবং বাণিজ্য ও শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিবকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। 
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যে কমিটি উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করে বেতন বৈষম্য সমস্যার সমাধান করবে। কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। তিনি শ্রমিকদের নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে ফিরে গিয়ে স্বাভাবিকভাবে কাজ করা এবং সরকারের এ উদ্যোগকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় এসব কথা বলেন।
টিপু মুনশি আরো বলেন, নতুন বেতন কাঠামো মোতাবেক শ্রমিকরা বেতন পাবেন। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী কারো বেতন বৃদ্ধি পেলে তা পরের মাসের বেতনের সঙ্গে বকেয়া হিসেবে পাবেন। কোনো অবস্থায় কোনো শ্রমিকের বেতন কমানো হবে না। জরুরিভিত্তিতে এ সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
#
 
বকসী/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৮/২০৪০ঘণ্টা 

Handout                                                                                                      Number :  94

 

Media reports on Arakan Army and ARSA bases

Bangladesh expresses disappointment

 

Dhaka, 9 January :  

Ministry of Foreign Affairs has issued a press release today with regard to some media reports based on remarks by the Spokesperson of Myanmar President’s Office on 7th January 2019 alleging existence of two Arakan Army bases and three ARSA bases in Bangladesh. The full text is as follows:

Bangladesh is utterly disappointed and aggrieved to note some media reports based on remarks by the Spokesperson of Myanmar President's Office on 7th  January 2019 alleging existence of two Arakan Army bases and three ARSA bases in Bangladesh.

The allegations are totally fake and baseless. It is not possible to operate terrorist bases anywhere in Bangladesh because of high alertness and effective preventive measure by the security forces in the line with ‘zero tolerance policy’ of the present Government of Bangladesh under the Prime Minister Sheikh Hasina. Bangladesh is also firmly committed not to allow its soil to be used by any dissident group of any neighboring country. The Government has taken all possible measures, including comprehensive international engagements in counter-terrorism to fully implement the commitment. We affirm that there is no existence of any foreign terrorist groups within Bangladesh nor Bangladesh is harboring any terrorist organization within its soil. Security forces of Bangladesh alongside border always remain vigilant to prevent any untoward incidents that may affect the existing peaceful relation between two neighbors.

Bangladesh's comprehensive cooperation in counter-terrorism with some of the neighboring countries proved to be highly effective. The Government of Bangladesh had offered similar type of comprehensive bilateral cooperation mechanism to Myanmar on a number of occasions. Bangladesh, on several instances, proposed Myanmar to conduct joint operation in addressing claimed terrorist activities along the border area. But unfortunately, not much enthusiasm received from Myanmar side. Even Myanmar failed to provide Bangladesh with specific details and concrete evidence on the alleged terrorist elements and acts.

Bangladesh strongly protests such baseless and provocative accusations. The current clashes are the outcome of Myanmar own political and social dilemma. As such it will be highly appreciated by the Government of Bangladesh if Myanmar Government does not make any endeavor to associate Bangladesh with her internal political puzzle.

Bangladesh is acclaimed by international community for its unflinching commitment and bold actions in the combat of terrorism at national, regional and global level. Bangladesh always stands ready to engage in comprehensive cooperation mechanism with any country including Myanmar in the combat of terrorism.

#

Marzuk/Mahmud/Parvez/Salimuzzaman/2019/1735 hours 

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ৯৩
 
ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন করা হবে
                                 --- অর্থমন্ত্রী
 
ঢাকা, ২৬ পৌষ (৯ জানুয়ারি) :
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ব্যাংক কোম্পানি আইন দ্রুত সংশোধন করা হবে যাতে ঋণ খেলাপিরা আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে বেরিয়ে যেতে না পারে। আপাতত ব্যাংকিং কমিশন করার দরকার নেই কারণ দেশের ব্যাংকিং খাতের দুর্বলতাগুলো ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে। 
অর্থ মন্ত্রণালয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে আজ এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। 
অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে ব্যাংক কোম্পানি আইনটি সংশোধন ও পরিমার্জন করা হবে। তিনি ব্যাংকিং খাতের উন্নয়নে প্রশিক্ষণের ওপর জোর দেন এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের জনবল সংকটের সমাধানের আশ্বাস দেন।
#
 
শাহেদ/মাহমুদ/পারভেজ/জয়নুল/২০১৮/২১২০ঘণ্টা 

Handout                                                                                                      Number :  92

 

Turkish Foreign Minister congratulates new Foreign Minister

 

Dhaka, 9 January :  

 

Turkish Foreign Minister Mevlut Cavusoglu congratulated Dr. A. K. Abdul Momen today on his appointment as the new Foreign Minister of Bangladesh.

 

The Turkish Foreign Minister said that high level visits and contacts in the last few years has intensified the brotherly relations of the two countries and has expressed hope that it will further develop in the tenure of Dr. Momen. He reiterated Turkey’s continued support to work with Bangladesh in Rohingya issue.

#

Marzuk/Mahmud/Sanjib/Salimuzzaman/2019/1735 hours 

তথ্যবিবরণী                        নম্বর : ৯১

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ 
১ম বর্ষ এমবিবিএস কোর্সের পরিচিতিমূলক ক্লাস ১০ জানুয়ারি
 
ঢাকা, ২৬ পৌষ (৯ জানুয়ারি) : 
২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ এমবিবিএস কোর্সে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের পরিচিতিমূলক ক্লাস আগামী ১০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ের ১ নম্বর গ্যালারিতে (সামিয়া ইসলাম গ্যালারি) অনুষ্ঠিত হবে। পরের দিন হতে রুটিন মোতাবেক নিয়মিত ক্লাস শুরু হবে।
উক্ত পরিচিতি সভায় প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে একজন অভিভাবকসহ যথাসময়ে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
আহসান/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/১৮১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                 নম্বর :  ৯০
 
৩০ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের ১ম অধিবেশন আহ্বান 
 
ঢাকা, ২৬ পৌষ (৯ জানুয়ারি) :
 
আগামী ৩০ জানুয়ারি বুধবার বিকাল ৩টায় একাদশ জাতীয় সংসদের ১ম অধিবেশন আহ্বান করা হয়েছে। 
 
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ অধিবেশন আহ্বান করেন।
 
#
 
তারিক/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৯/১৭৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                      নম্বর : ৮৮  
 
বাংলাদেশের প্রতিটা বিনিয়োগই বিনিয়োগকারীদের জন্য প্লাটিনাম বিনিয়োগ
                                                           - বিডা নির্বাহী চেয়ারম্যান
ঢাকা, ২৬ পৌষ (৯ জানুয়ারি) :
বাংলাদেশ বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল দেশগুলোর একটি। পোশাকশিল্প রপ্তানিতে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয়। দেশের যুব সমাজকে দক্ষ জনবলে পরিণত করতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। এর ফলে দক্ষ জনশক্তির পাশাপাশি দক্ষ উদ্যোক্তাও তৈরি হচ্ছে যা শক্তিশালী অর্থনীতি তৈরির সহায়ক। তাই বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে নির্দ্বিধায় বিনিয়োগ করতে পারেন। 
আজ বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মোঃ আমিনুল ইসলাম বিডা কার্যালয়ে চীনের প্রতিনিধিদলের সাথে সভা করার সময় একথা বলেন। সভায় বাংলাদেশ ক্যামিকাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি)-এর চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর মহাপরিচালক উপস্থিত ছিলেন। 
কাজী মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটা বিনিয়োগই বিনিয়োগকারীদের জন্য প্লাটিনাম বিনিয়োগ এবং বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগ বিকাশে ও আকর্ষণে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান যেমন ইউনিলিভার, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার সারাবিশ্বের তুলনায় বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি লাভজনক ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে। তাই বাংলাদেশে বিনিয়োগের ব্যাপারে কোনো সংশয় না রাখতে তিনি আহ্বান জানান।
কাজী মোঃ আমিনুল ইসলাম আরো বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রথম বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ চীনা বিনিয়োগ ছিল। বাংলাদেশে দিন দিন চীনা বিনিয়োগ বাড়ছে। পদ্মা সেতু থেকে শুরু করে বিদ্যুৎখাত সবক্ষেত্রেই চীনা বিনিয়োগের উপস্থিতি লক্ষণীয়।
#
শরীফা/অনসূয়া/সেলিনা/সুবর্ণা/আসমা/২০১৯/১৫৪৫ ঘণ্টা  
 
তথ্যবিবরণী                      নম্বর : ৮৭ 
 
আক্তারুজ্জামান মঞ্জুর মৃত্যুতে মোস্তাফা জব্বারের শোক 
 
ঢাকা, ২৬ পৌষ (৯ জানুয়ারি) :
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (আইএসপিএ,বি) এর সাবেক সভাপতি 
মো: আক্তারুজ্জামান মঞ্জু’র মৃত্যুতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গভীর শোক ও  দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
মন্ত্রী আজ এক শোকবার্তায় দেশের প্রযুক্তি বিকাশে মরহুম আক্তারুজ্জামানের অবদান গভীর কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে বলেন, তাঁর মৃত্যুতে দেশের প্রযুক্তিশিল্প একজন দক্ষ উদ্যোক্তা হারালো। তিনি বলেন, আইএসপিএ,বি বিকশিত করতে তাঁর অবদান চিরঅম্লান হয়ে থাকবে। তাঁর মৃত্যুতে তথ্যপ্রযুক্তিসহ ইন্ডাস্ট্রিতে যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে তা পূরণ হবার নয়। মন্ত্রী মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
#
শেফায়েত/অনসূয়া/রেজ্জাকুল/আসমা/২০১৯/১৫৩০ ঘণ্টা  
 
তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ৮৪ 
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী 
ঢাকা, ২৬ পৌষ (৯ জানুয়ারি) : 
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন : 
“আজ ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। দীর্ঘ ৯ মাস ১৪ দিন পাকিস্তানের মিয়ানওয়ালি কারাগারে বন্দিজীবন শেষে ১৯৭২ সালের এই দিনে জাতির পিতা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হলেও প্রকৃতপক্ষে জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়েই বিজয়ের পূর্ণতা লাভ করে। অবিস্মরণীয় এ দিনে আমি জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি এবং তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। এ বছর বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসটি আরো বেশি তাৎপর্যপূর্ণ। দেশের জনগণ জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে টানা তৃতীয়বারের জন্য সরকার পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করেছেন। নির্বাচনের এ রায় বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তাদের গভীর আস্থা ও অকৃত্রিম ভালোবাসারই প্রতিফলন।
আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে জাতির পিতার অবদান ছিল অতুলনীয়। ১৯৪৮ সালে মাতৃভাষার দাবিতে গঠিত সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বসহ ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৮ সালে জেনারেল আইয়ুব খানের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬২ সালে শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালে ৬-দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালে সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় সবই হয়েছিল তাঁর নেতৃত্বে। প্রকৃতপক্ষে তিনি ছিলেন বাঙালির স্বপ্নদ্রষ্টা, স্বাধীন বাংলার রূপকার। ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর ক্ষমতা হস্তান্তরে অনীহার কারণে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলার মুক্তিকামী মানুষ অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক ভাষণে প্রকারান্তরে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। বজ্রকণ্ঠে তাঁর উচ্চারণ, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”। ২৫ মার্চ কালরাত্রে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী বাঙালি নিধনযজ্ঞের নীলনকশা ‘অপারেশন সার্চলাইট’ এর মাধ্যমে গণহত্যা শুরু করে। এ প্রেক্ষাপটে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দেন এবং সর্বস্তরের জনগণকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার ডাক দেন। চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। এর পরই পাকিস্তানি জান্তারা বঙ্গবন্ধুকে তাঁর ধানম-ি ৩২ নম্বর রোডের বাসা থেকে গ্রেফতার করে এবং তদানীন্তন পশ্চিম পাকিস্তানের মিয়ানওয়ালি কারাগারে বন্দি করে রাখে। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে তাঁর নেতৃত্বেই মুক্তিযুদ্ধ চলতে থাকে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতি চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে। 
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি  সদ্য স্বাধীন দেশের মাটিতে পা রেখেই বঙ্গবন্ধু আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমবেত লাখো জনতার উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু বলেন, “আমার জীবনের সাধ আজ পূর্ণ হয়েছে। আমার সোনার বাংলা আজ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র”। বাংলা, বাঙালি ও বাংলাদেশের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ছিল নিখাদ ও গভীর ভালোবাসা। পাকিস্তানে বন্দিকালীন তাঁর ফাঁসির হুকুম হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার সময় আমি বলবো, আমি বাঙালি, বাংলা আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা। জয় বাংলা’’। দেশ ও জনগণের প্রতি এমন অকৃত্রিম ভালোবাসার উদাহরণ বিশ্বে বিরল।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি তাঁর আদর্শ মুছে দিতে এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব খর্ব করতে অপচেষ্টা চালিয়েছিল। কিন্তু বাঙালি বীরের জাতি। যতদিন বাংলাদেশ ও বাঙালি থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধু সবার অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশকে উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিতে নিরলস প্রয়াস চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তি, নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন খাতে বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের ‘রোল মডেল’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বাংলাদেশ আজ সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে, ইনশাআল্লাহ।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পাদনের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেওয়াই হোক এবারের বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে সকলের অঙ্গীকার। 
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
আজাদ/অনসূয়া/সেলিনা/সুবর্ণা/আসমা/২০১৯/১১০০ ঘণ্টা 
 
তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ৮৬   
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী 
ঢাকা, ২৬ পৌষ (৯ জানুয়ারি) :  
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন : 
“সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি 
পেয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে ১০ জানুয়ারি এক ঐতিহাসিক দিন।
জাতির পিতার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৭০ এর নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। কিন্তু পাকিস্তানি সামরিক জান্তা জনগণের এ রায়কে উপেক্ষা করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে শুরু করে প্রহসন। বাঙালির ওপর নেমে আসে ইতিহাসের নির্মম গণহত্যা। জাতির চূড়ান্ত মুক্তির লক্ষ্যে জাতির পিতা ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানের জনসমুদ্রে ঘোষণা করেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম; এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ ২৫-এ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। বঙ্গবন্ধু ২৬-এ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করার পরপরই পাকিস্তানি বাহিনী তাঁকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের নির্জন কারাগারে প্রেরণ করে। মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস নিভৃত কারাগারে তিনি অসহনীয় নির্যাতনের শিকার হন। প্রহসনের বিচারে ফাঁসির আসামি হিসেবে তিনি মৃত্যুর প্রহর গুণতে থাকেন। মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও তিনি বাঙালির জয়গান গেয়েছেন। জাতির পিতা ছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণশক্তি। তাঁর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে বাঙালি জাতি মরণপণ 
যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে আনে। পরাজিত পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাধ্য হয় বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে। জাতির পিতা ১৯৭২’র ১০ জানুয়ারি বাংলার মাটিতে ফিরে আসেন। ঐদিন তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বিশাল জনসমুদ্রে এক ভাষণে তিনি পাকিস্তানি সামরিক জান্তার নির্মম নির্যাতনের বর্ণনা দেন। বাঙালি জাতি ফিরে পায় জাতির পিতাকে। বাঙালির বিজয় পূর্ণতা লাভ করে।
স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর জাতির পিতা যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে সর্বশক্তি নিয়োগ করেন। ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যদের দ্রুত দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। তাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বন্ধু দেশসমূহ দ্রুত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে। বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে ওআইসি’র সদস্য হয়। বঙ্গবন্ধুর ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বে অতি অল্পদিনের মধ্যেই বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থান তৈরি হয়।
বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে ধ্বংসস্তূপ থেকে টেনে তুলে সোনার বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামে নিয়োজিত, তখনই স্বাধীনতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধী চক্র জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের এই জঘন্য হত্যাকা-ের মধ্য দিয়ে তারা হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করে। ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ বন্ধ করে দেয়। মার্শাল ল’ জারির মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করে। মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে বিকৃত করে। সংবিধানকে ক্ষতবিক্ষত করে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা রুদ্ধ করে। পরবর্তীকালে বিএনপি-জামাত সরকার এই ধারা অব্যাহত রাখে।
সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে ১৯৯৬ সালে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি। আমাদের ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন জাতীয় ইতিহাসের গৌরবোজ্জ্বল সময় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। বাঙালি জাতি দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ২০০৮ সালে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে। বহু প্রতীক্ষিত নির্বাচনে জনগণ স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোটকে বিপুলভাবে বিজয়ী করে। এই সরকার সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করে। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ করে।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণ পুনরায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করে সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে। আমাদের সরকার নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দেশ ও জনগণের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে।
বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের ‘রোল মডেল’। বিগত ১০ বছরে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন, কূটনৈতিক সাফল্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধিসহ প্রতিটি সেক্টরে আমরা নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। আমরা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে পৃথিবীর ৫৭তম দেশ হিসেবে স্যাটেলাইট-প্রযুক্তির অভিজাত দেশের কাতারে যুক্ত হয়েছি। আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭.৮৬ শতাংশ, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। দেশের দারিদ্র্যের হার হ্রাস পেয়ে বর্তমানে ২১.৮% এবং চরম দারিদ্র্যের হার ১১.৩%-এ দাঁড়িয়েছে। আমাদের মাথাপিছু আয় ১৭৫১ মার্কিন ডলার। শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে বই পাচ্ছে। শিক্ষার হার ৭৩ শতাংশ। দেশের ৯৩% মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে এবং আশা করছি, স্বল্প সময়ের মধ্যেই তা শতভাগে উন্নীত হবে। স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায়। মানুষের গড় আয়ু বেড়ে ৭২.৮ বছরে উন্নীত হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তবতা। সারাদেশে সড়ক, মহাসড়ক, সেতু ফ্লাইওভার, পাতাল সড়ক, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, রেল, নৌ ও যোগাযোগ অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করছি। মেট্রোরেল নির্মাণের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও মাদক নির্মূলে আমাদের সরকার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কাজ করে যাচ্ছে। আমরাই বিশ্বে প্রথম শত বছরের ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ বাস্তবায়ন শুরু করেছি। অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বিশ্বের ৫টি দেশের একটি বাংলাদেশ। উন্নয়নের ৯০ ভাগ কাজই নিজস্ব অর্থায়নে করছি। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচার সম্পন্ন করেছি। জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্য পরিচালনা করছি, বিচারের রায় কার্যকর করা হচ্ছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। আগামী প্রজন্ম পাবে সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ।
সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে বিপুলভাবে বিজয়ী করেছে। আমাদের ওপর দেশের মানুষ যে দৃঢ় আস্থা রেখেছে, আমরা তার পরিপূর্ণ মূল্যায়ন করব। আমরা ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের আগেই উন্নত দেশে পরিণত করব, ইনশাআল্লাহ।
আসুন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের এই উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা করি। দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগ করি। গড়ে তুলি জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।
আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/অনসূয়া/সেলিনা/সুবর্ণা/আসমা/২০১৯/১১০০ ঘণ্টা 
 
Todays handout (9).docx