তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪৯
শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি মানবিক গুণাবলি অর্জন করতে হবে
-জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
খুলনা, ১৫ মাঘ (২৯ জানুয়ারি):
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার পাশাপাশি মানবিক গুণাবলি অর্জন করতে হবে। মানবিক গুণসম্পন্ন দক্ষ নাগরিকের মাধ্যমেই ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত ও স্মার্ট দেশে পরিণত হবে। শিক্ষার্থীদের নিজের দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি দেশ ও জাতির প্রতি দায়বদ্ধ থাকতে হবে।
আজ খুলনার ফুলতলা উপজেলায় মিলিটারি কলেজিয়েট স্কুল খুলনা (এমসিএসকে) পরিদর্শনকালে ক্যাডেটদের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে দেশের মানুষের গড় আয়ু ও মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আজকের শিক্ষার্থীরাই আাগামীর বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে। তাই তাদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পাঠ্যবই পড়ার পাশাপাশি আত্মউন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহণ করতে হবে। প্রতিমন্ত্রী এসময় শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
এ সময় মিলিটারি কলেজিয়েট স্কুল খুলনার অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সলমন ইবনে এ রউফ, খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোঃ আব্দুর রশিদ, জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান উপস্থিত ছিলেন।
#
শিবলী/পাশা/সিরাজ/সঞ্জীব/মাহমুদ/শামীম/২০২৩/২০৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪৮
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট ছাত্র-শিক্ষক প্রয়োজন
--শিল্পমন্ত্রী
নরসিংদী, ১৫ মাঘ (২৯ জানুয়ারি):
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা করেছেন। আর সেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট ছাত্র ও শিক্ষক প্রয়োজন।
আজ নরসিংদী জেলার মনোহরদী সরকারি কলেজে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সরকার শিক্ষাকে আধুনিক ও ডিজিটালাইজড করেছে। স্কুল ও কলেজে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম ও আধুনিক ল্যাব করে দিয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়ন ও সহজলভ্যতার কারণে শিক্ষার্থীরা গ্রামে থেকে ও শহরের শিক্ষকদের পরামর্শ নিয়ে পড়াশোনা করতে পারছে। তারা এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করছে। তিনি বলেন, শিক্ষকদের শিক্ষা পদ্ধতিতে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগাতে হবে। শিক্ষার্থীদের মেধাকে বিকশিত করতে হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা দেশ ও জাতির উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে।
মনোহরদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর গোলাম ফারুক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
পরে শিল্পমন্ত্রী একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করেন এবং বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
#
মাহমুদুল/পাশা/সিরাজ/সঞ্জীব/মাহমুদ/শামীম/২০২৩/২০৩৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪৭
শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে রবির ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা লভ্যাংশ জমা
ঢাকা, ১৫ মাঘ (২৯ জানুয়ারি):
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানি রবি গত অর্থবছরের লভ্যাংশের একটি অংশ ২ কোটি ৪০ লাখ ২২ হাজার টাকা জমা দিয়েছে।
আজ সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সাথে রবি এজিয়াটা লিমিটেডের প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা ফয়সাল ইমতিয়াজ খানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ শেষে ২ কোটি ৪০ লাখ ২২ হাজার ২শ’ টাকার একটি চেক প্রতিমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির নিট লাভের শতকরা পাঁচ ভাগের এক দশমাংশ বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে জমা প্রদানের বিধান রয়েছে। এ পর্যন্ত দেশি-বিদেশি এবং বহুজাতিক মিলে তিন শতাধিক কোম্পানি এ তহবিলে নিয়মিত লভ্যাংশ প্রদান করছে। এ তহবিলে আজ পর্যন্ত জমার পরিমাণ প্রায় ৮শ’ ১০ কোটি টাকার বেশি। এ তহবিল থেকে প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুতে, আহত, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শ্রমিকের চিকিৎসা এবং শ্রমিকের মেধাবী সন্তানের উচ্চশিক্ষায় সহায়তা দেয়া হয়। এ তহবিল থেকে এ পর্যন্ত ১৯ হাজার ৮৩৯ শ্রমিক এবং তাদের সন্তানকে ৯২ কোটি ২৫ লাখ টাকা সহায়তা দেয়া হয়েছে।
চেক প্রদান অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ এহছানে এলাহী, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মোল্লা জালাল উদ্দিন, মোবাইল কোম্পানি রবির চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মোহাম্মদ শাহেদুল আলম এবং পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট শরীফ শাহ জামাল রাজ উপস্থিত ছিলেন।
#
আকতারুল/পাশা/সিরাজ/সঞ্জীব/মাহমুদ/শামীম/২০২৩/১৮৩৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪৬
বিজিবি মহাপরিচালক হিসেবে মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসানের যোগদান
ঢাকা, ১৫ মাঘ (২৯ জানুয়ারি):
মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান, এনডিসি, পিএসসি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর নতুন মহাপরিচালক হিসেবে যোগদান করেছেন। তিনি আজ বিদায়ী মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ, এসপিপি, বিজিবিএম, এনএসডব্লিউসি, এএফডব্লিউসি এবং পিএসসির নিকট হতে মহাপরিচালকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এ যোগদানের পূর্বে তিনি বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান ০২ জানুয়ারি ১৯৬৯ সালে ফরিদপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৫ জুলাই ১৯৮৬ সালে ১৮তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদী কোর্সের সাথে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে যোগদান করেন এবং ২৪ জুন ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদাতিক কোরে কমিশন লাভ করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর অভ্ সায়েন্স (বিএসসি) ডিগ্রি এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স অভ্ ডিফেন্স স্টাডিজ (এমডিএস) ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি মিরপুরের ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ থেকে ‘আর্মি স্টাফ কোর্স এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ থেকে ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স (এনডিসি)’ সম্পন্ন করেন।
মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান স্কুল অভ্ ইনফ্যান্ট্রি অ্যান্ড ট্যাকটিকস এ জেনারেল স্টাফ অফিসার গ্রেড-৩ (প্রশিক্ষণ), একটি কম্পোজিট ব্রিগেডের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডজুট্যান্ট অ্যান্ড কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল এবং আর্মি হেডকোয়ার্টার্সে ডেপুটি প্রভোস্ট মার্শালের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি ডাইরেক্টরেট জেনারেল অভ্ ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই) এ কর্নেল জেনারেল স্টাফ, কুমিল্লা, ডিটাচমেন্ট কমান্ডার, ঢাকা এবং ডিজিএফআই সদর দপ্তরে কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৯২ এবং ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটি রিজিয়নে কাউন্টার ইন্সারজেন্সি অপারেশনের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দুটি পদাতিক ব্যাটালিয়ন, একটি মিলিটারি পুলিশ ইউনিট এবং একটি পদাতিক ব্রিগেডের নেতৃত্ব দেন। এছাড়াও তিনি ১১ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) এবং বগুড়া এরিয়ার এরিয়া কমান্ডার হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
মেজর জেনারেল নাজমুল হাসান দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পেশাগত প্রশিক্ষণ, সেমিনার ও কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ইন্টারন্যাশনাল ডিফেন্স ম্যানেজমেন্ট কোর্স, মালেশিয়ায় অনুষ্ঠিত পিসকিপিং অপারেশন সেমিনার, চীনে অনুষ্ঠিত ৪র্থ ইন্টারঅ্যাকশন অ্যান্ড কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজারস ইন এশিয়া কনফারেন্সে ইন্টেলিজেন্স ব্রিফিং-এ অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও তিনি থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ‘প্রিভেনশন অভ্ ভায়োলেন্ট এক্সট্রিমিজম’ এবং মালয়েশিয়াতে অনুষ্ঠিত ‘লার্নিং এক্সচেঞ্জ অন প্রিভেন্টিং অ্যান্ড কাউন্টারিং ভায়োলেন্ট এক্সট্রিমিজম’ শীর্ষক আঞ্চলিক কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯৪ সালে বসনিয়া হার্জিগোভিনার বিহাচ পকেট প্লাটুন কমান্ডার এবং ২০১০ সালে সুদানের (দারফুরের) নিয়ালাতে সেক্টর রিজার্ভ কমান্ডিং অফিসার হিসেবে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন সফলভাবে সম্পন্ন করেন।
মেজর জেনারেল নাজমুল হাসান বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, শিক্ষা সফর, ভ্রমন এবং পবিত্র হজ্জব্রত পালন উপলক্ষ্যে বিশ্বের ১৯টি দেশ ভ্রমণ করেছেন। তিনি একজন ভালো বাস্কেটবল, ভলিবল, টেনিস এবং ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিত। এছাড়াও গলফ খেলার প্রতি তাঁর প্রবল আগ্রহ রয়েছে।
মনোয়ারা বেগম তাঁর সহধর্মিণী। তিনি এক কন্যা সন্তানের জনক।
#
শরীফুল/পাশা/সিরাজ/সঞ্জীব/মাহমুদ/শামীম/২০২৩/১৭৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪৫
বিএনপি আবার সুযোগ পেলে দশটা ‘বাংলা ভাই’ বানাবে
---তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ১৫ মাঘ (২৯ জানুয়ারি) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘বিএনপি যদি আবার সুযোগ পায়, তারা একটা নয়, দশটা ‘বাংলা ভাই’ সৃষ্টি করবে, এই রাজশাহী অঞ্চলকে তারা জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্যে পরিণত করবে। কিন্তু মানুষ তা হতে দেবে না।’
আজ রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তৃতার আগে দলের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ তার বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন রাজশাহীতে ‘বাংলা ভাই’ সৃষ্টি হয়েছিল, বিএনপির নেতারা তাকে বরণ করে নিয়েছিল। আজ শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনায় গত ১৪ বছরের উন্নয়নে রাজশাহী জেলা বদলে গেছে, রাজশাহী বিভাগ বদলে গেছে, পুরো দেশ বদলে গেছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা যেমন দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন, রাজশাহীতেও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জননেত্রীর নেতৃত্বে, রাজশাহী মেয়রের নেতৃত্বে রাজশাহী আজ দেশের সবচেয়ে সুন্দর এবং পরিচ্ছন্ন শহরে পরিণত হয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নেতারা আমাদের বলে ‘পালাবার পথ পাবেন না’। অথচ তাদের বড় নেতা তারেক রহমানই পালিয়ে ইংল্যান্ডে অবস্থান করছে। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন ‘হাওয়া ভবন’ তৈরি করে সারা দেশের মানুষের ওপর টোল বসিয়েছিল, চাঁদা বসিয়েছিল, আমোদ ফুর্তি করার জন্য ‘খোয়াব ভবন’ বানিয়েছিল।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘যদি মানুষকে জিজ্ঞেস করা হয় হাওয়া ভবনের সবচেয়ে বড় চোরের নাম কী, তারা বলবে- তারেক রহমান। আর মির্জা ফখরুল বলেন, তারা যদি ক্ষমতায় যান, তাহলে না কি সেই তারেক রহমান আসবে, দেশের প্রধানমন্ত্রী হবে। সে কারণেই মানুষ তাদেরকে আর সেই সুযোগ দেবে না।’
হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য শোনার জন্য রাজশাহী মাদ্রাসা ময়দান থেকে জনতার ঢেউয়ে পুরো রাজশাহী শহর জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। এখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী থেকে শুরু করে জাতীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রেখেছেন। তাই এই মাঠেই আমরা সমাবেশ করছি।’
‘এবং মানুষও আমাদের আর বিএনপির সমাবেশের পার্থক্য বুঝতে পারবে’, উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশে দেখেছি তারা কাঁথা, কম্বল, বালিশ, মশার কয়েল এনেছিল, খিচুড়ি রান্না করে খেয়েছিল। সেটা কোনো জনসভা ছিল না, ছিল পিকনিক। বিএনপি সারা দেশে জনসভার নামে পিকনিক করেছে। আর আজকে এখানে জননেত্রী শেখ হাসিনার আগমনে মাদ্রাসা মাঠ জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের রাজশাহী মহানগর শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকার ও জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারার সঞ্চালনায় দলের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্যদের মধ্যে রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান এবং কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ জনসভায় বক্তব্য দেন।
#
আকরাম/পাশা/সিরাজ/সঞ্জীব/মাহমুদ/আব্বাস/২০২৩/১৯৩৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪৪
টেলিযোগাযোগ খাতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘ডাক ও টেলিযোগাযোগ পদক’ প্রদান
ঢাকা, ১৫ মাঘ (২৯ জানুয়ারি) :
টেলিযোগাযোগ খাতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রথমবারের মতো ‘ডাক ও টেলিযোগাযোগ পদক ২০২৩’ প্রদান করা হয়েছে।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গতকাল শনিবার ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে ১২টি ক্ষেত্রে ১৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এ বছর ডাক ও টেলিযোগাযোগ পদকে ভূষিত হয়। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জুরি বোর্ড মনোনীত ১৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এ পদক বিতরণ করেন। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান এ সময় উপস্থিত ছিলেন। টেলিযোগাযোগ খাতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য দেশে প্রথমবারের মতো এ পদক প্রদান করা হয়।
১২টি ক্ষেত্রে পদক প্রাপ্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক নেট লিমিটেড, বিভাগীয় পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান মিলিনিয়াম কম্পিউটার্স এন্ড নেটওয়ার্কিং, জেলা পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান কিশোরগঞ্জ অনলাইন নেটওয়ার্ক, উপজেলা পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এমএসএস এন্টারপ্রাইজ, শিক্ষা ক্ষেত্রে ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘বিজয় ডিজিটাল’, ডিজিটাল প্রযুক্তিনির্ভর চিকিৎসা সেবা প্রদানে অবদান রাখার জন্য আইসিটি অধিদপ্তরের ‘সুরক্ষা টিম’, টেলিযোগাযোগ ও ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে অবদান রাখার জন্য ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেসের ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য নগদ লিমিটেড ডিজিটাল, বাংলাদেশ বিনির্মাণে কন্টাক্ট সেন্টারের (BPO) বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ফিফোটেক, টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট শিল্পে অবদান (ব্যক্তি পর্যায়ে) বিটিআরসি’র মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ নাসিম পারভেজ, টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট শিল্পে অবদান (প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অভ্ বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) ডিজিটাল প্রযুক্তিভিত্তিক উদ্যোক্তা তৈরিতে বিশেষ অবদান (ব্যক্তি পর্যায়ে), ইকবাল বাহার জাহিদ, ডিজিটাল প্রযুক্তিভিত্তিক উদ্যোক্তা তৈরিতে বিশেষ অবদান (প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে), বিটিআরসি, ডিজিটাল নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে বিশেষ অবদানের জন্য টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর।
এছাড়া ডিজিটাল/টেলিযোগাযোগ সংযুক্তিতে অবদানের জন্য বিটিসিএল, টেলিকম শিল্পের বিকাশে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের সংগঠন হিসেবে টেলিকম এন্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্কস, বাংলাদেশ, টেলিকম শিল্পের বিকাশে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের (একক) কম্পিউটার জগৎ, ইমার্জিং টেকনোলজি (আইওটি ও ওটিটি) বিকাশে বিশেষ অবদানের প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে স্বীকৃতিস্বরূপ ডেটা সফট ম্যানুফ্যাকচারিং এন্ড এস্যাম্বলি ইনক লিমিটেডকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ পদক ২০২৩ এ ভূষিত করা হয়।
পদক বিতরণকালে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট প্রযুক্তির বিকাশে ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে উৎসাহ সৃষ্টির লক্ষ্যে ভবিষ্যতেও পদক প্রদান অব্যাহত থাকবে।
#
শেফায়েত/পাশা/সিরাজ/সঞ্জীব/মাহমুদ/আব্বাস/২০২৩/১৭৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪৩
বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানের ফি নির্ধারণ করা হচ্ছে
-স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৫ মাঘ (২৯ জানুয়ারি):
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশের একেক বেসরকারি হাসপাতাল ও অন্যান্য সেবা খাতের একেক রকমের চার্জ, টেস্ট ফি সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এজন্য প্রাইভেট স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সরকারিভাবে একটি গাইডলাইন তৈরি করে হাসপাতালগুলোর মান অনুযায়ী ক্যাটেগরি তৈরি করে দিয়ে সেই মান অনুযায়ী ফি নির্ধারণ করে দেয়া হবে। এ সংক্রান্ত একটি কমিটি করে এক মাসের মধ্যেই একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হবো আমরা। এতে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি পাবে, যত্রতত্র ফি দিয়ে দেশের জনগণের অযাচিত অর্থ ব্যয় হবে না।
আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সারা দেশের বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ক্যাটেগরি নির্ধারণ বিষয়ে পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বেসরকারি হাসপাতালগুলোর ক্যাটেগরি নির্ধারণের ধরন প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, বেসরকারি হাসপাতালের বেড সংখ্যা, যন্ত্রপাতি, অবস্থান, লোকবল, সুযোগ-সুবিধা ভেদে বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে ‘অ ই ঈ উ’ ক্যাটেগরিতে ভাগ করে দেয়া হবে। ‘এ’ ক্যাটেগরির এক রকম সুবিধা, ‘বি’ ক্যাটেগরির এক রকম সুবিধা এবং ‘সি’ ক্যাটেগরি হাসপাতালগুলো মান ভেদে এবং সুযোগ-সুবিধা উল্লেখসহ সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট ফি নির্ধারণ করা থাকবে। এতে মানুষ আগে থেকেই জানতে পারবে কোন হাসপাতালে গেলে কী কী সুবিধা পাওয়া যাবে এবং কত চিকিৎসা বাবদ ব্যয় হবে।
বেসরকারি হাসপাতালগুলোর সেবার মান প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরো বলেন, সারা দেশে বর্তমানে অলিতে-গলিতে ক্লিনিক হয়ে গেছে। কিছু ক্লিনিক মানসম্মত সেবা দিলেও অধিকাংশেরই সেবার মান ভালো না। ‘ফি’-ও নেয়া হয় ইচ্ছেমতো। স্টান্ডার্ড ও নিয়ম অনুযায়ী যন্ত্রপাতি নাই, কিন্তু মেশিন আছে যেগুলো সেগুলোও ঠিক মতো কাজ করে না। সিট অনুযায়ী অন্য বিষয়গুলো অনুপস্থিত রয়েছে। মানসম্পন্ন চিকিৎসক থাকে না, অথচ ফি নেয়া হয় বেশি। এসব অনিয়ম আর চলতে পারবে না।
অন্যদিকে, দেশে নিপা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ বছর দেশে ৮ জন ব্যক্তি নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এই ৮ জনের মধ্যে ৫ জনই মারা গেছেন। এজন্য দেশবাসীকে শীতকালীন খেজুরের রস খাওয়ার ব্যাপারে আরো বেশি সচেতন হতে হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল এসোসিয়েশন মহাসচিব ও সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খান, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ)-এর সভাপতি ডা. মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান মিলন, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল এসোসিয়েশনের সভাপতি মুবিন খান, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মোঃ সাইদুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য অনুবিভাগ) সৈয়দ মজিবুল হক ও বেসরকারি হাসপাতালের প্রতিনিধিবর্গ।
#
মাইদুল/পাশা/সিরাজ/সঞ্জীব/মাহমুদ/শামীম/২০২৩/১৭০৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪২
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১৫ মাঘ (২৯ জানুয়ারি) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৬ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ। এ সময় ৩ হাজার ৫৩১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৪২ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৯২ হাজার ৪৪৭ জন।
#
কবীর/পাশা/সিরাজ/মাহমুদ/রেজাউল/২০২৩/১৬১৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪১
সমাজের মঙ্গলে শিক্ষকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য
- জাহিদ ফারুক
বরিশাল, ১৫ মাঘ (২৯ জানুয়ারি):
পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, জাতি গঠনে শিক্ষকদের ভূমিকা অপরিসীম। শিক্ষকরা সমাজ পরিবর্তনের অন্যতম কারিগর। সমাজের মঙ্গলে শিক্ষকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। শিক্ষকের সততা, নিষ্ঠা, আন্তরিকতা, সহমর্মিতা ভীষণ জরুরি। শিক্ষার্থীদের মূল্যবোধ সৃষ্টির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষক শিক্ষিকাদের ভূমিকা অপরিসীম। তাদের শিক্ষার্থীদের সাথে মাতৃতুল্য ও পিতৃতুল্য আচরণ এবং সঠিকভাবে পাঠদানের মাধ্যমেই আগামীর নতুন প্রজন্মের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পাশাপাশি উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ভিশন পূর্ণ হবে।
আজ বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে নবনিয়োগপ্রাপ্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিসের আয়োজনে ‘শিক্ষা নিয়ে গড়বো দেশ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’ এই শ্লোগান কে সামনে রেখে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ১১০ জন সহকারী শিক্ষকদের এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বরণ করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী জাহিদ বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমেই শিশুদের মেধা ও মননশীলতার বিকাশ ঘটে। তাদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ভূমিকা সবার আগে। বর্তমান সরকার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার মানোন্নয়ন ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের সবোর্চ্চ গুরুত্বারোপ করেছে। সবার জন্য মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে যা করার তা সুপরিকল্পিভাবে করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ করেছে। ১ জানুয়ারি সারাদেশে বই বিতরণে ঐতিহাসিক সাফল্য সারাবিশ্বকে হতবাক করে দিয়েছে।সারাদেশে শতভাগ উপবৃওি চালু করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের যথোপোযুক্ত পদক্ষেপের কারণে বর্তমানে ঝরে পড়া শিক্ষার্থী কমেছে। শিশুরা এখন বিদ্যালয়মুখী হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই বিতরণ এবং শিক্ষার মান উন্নতকরণের জন্য শিশুরা এখন আনন্দের সাথে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দিকে ঝুঁকছে। শিক্ষকরাও মানসম্মত শিক্ষাদানে বদ্ধপরিকর। নব নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকগণ নিজেদের যোগ্যতার পরিচয় দিয়েই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। মেধাবীরা এখন শিক্ষকতায় এগিয়ে আসছেন। ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষকদের বড় ভূমিকা রয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশের কারিগর হবে আজকের এই শিশুরা। তাই অভিভাবকদেরও দায়িত্ব রয়েছে শিশুদের স্মার্ট বাংলাদেশের কারিগর হিসেবে গড়ে তোলার।
এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মনদীপ ঘরাই প্রমুখ।
#
গিয়াস/অনসূয়া/শাম্মী/কলি/আসমা/২০২৩/১৫৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪০
পর্দা নামলো তিন দিনব্যাপী ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা- ২০২৩‘র
যতদিন বেঁচে থাকবো প্রযুক্তির উৎকর্ষের লড়াই নিয়েই বাঁচবো
-ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ঢাকা, ১৫ মাঘ (২৯ জানুয়ারি) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, তরুণদের ডিজিটাল উদ্ভাবন প্রদর্শন এবং তাদের উদ্ভাবনী প্রতিভাকে কাজে লাগানোর জন্য ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলাকে একটি উপযুক্ত প্লাটফর্ম হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, যতদিন বেঁচে থাকবো ডিজিটাল প্রযুক্তির উৎকর্ষের লড়াই নিয়েই বাঁচবো। তিনি বলেন, এই মেলার মাধ্যমে অনাবিস্কৃত মেধা বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা- ২০২৩’ এর সমাপ্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, এই মেলার মধ্য দিয়ে আমরা ডিজিটাল যুগের অর্জনগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। ডিজিটাল প্রযুক্তি উদ্ভাবন, উপযোগী মানবসম্পদ সৃষ্টি, ডিজিটাল প্রযুক্তির আধুনিক সংস্করণের সাথে জনগণের সেতুবন্ধন তৈরি এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের অগ্রগতি তুলে ধরাই ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা ২০২৩’ এর অন্যতম মূল লক্ষ্য।
তিনি বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের এই অগ্রদূত মেলায় তরুণদের উদ্ভাবন দেখে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, আমাদের সন্তানদের রোবটসহ মেলায় যে সব উদ্ভাবন তারা প্রদর্শন করেছে আমি নিশ্চিত যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তারা বিশ্ব জয় করার যোগ্যতা অর্জনে সক্ষম হবেই। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ছেলে মেয়েদের মেধা যে কোন দেশের তরুণ-তরুণীদের চেয়ে অনন্য। তাদের একটু অনুপ্রেরণা দিলেই হবে। ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার এই উদ্ভাবক বলেন, আমাদের পপুলেশন ডিভিডেন্ডের যে সুযোগটি আছে তা কাজে লাগিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে কাজে লাগাতে হবে।
গত ২৬ জানুয়ারি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক ভিডিও বার্তায় মেলার উদ্বোধন করেন। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের সংযুক্তির মহাসড়ক’ এই বছরের প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত এবারের মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান। অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার এবং জেডটিইর বাংলাদেশ অফিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিউ লিয়ান জেং বক্তৃতা করেন।
এই মেলায় ৫২টি প্যাভিলিয়ন এবং ৭৭টি স্টল বিভিন্ন ডিজিটাল প