তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১৭২
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন গণতন্ত্রের অগ্নিবীণার দেশে ফেরা
-- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) :
'৭ মে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন গণতন্ত্রের অগ্নিবীণার দেশে ফিরে আসা' বলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ।
আজ রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সীমিত পরিসরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী একথা বলেন।
২০০৭ সালের এই দিনে জননেত্রী শেখ হাসিনা তৎকালীন সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুক্তরাজ্য হয়ে দেশে ফিরে আসেন উল্লেখ করে ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, 'আপনারা জানেন, ২০০৭ সালে দেশে যে সেনাসমর্থিত সরকার এসেছিলো, তারা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদেশে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলো। শুধু তাই নয়, সকল এয়ারলাইন্সকে তারা সেই নিষেধাজ্ঞার চিঠি দিয়েছিলো এবং জননেত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছিলো।'
বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তখন বলেছিলেন, তিনি সেইসব মামলা আদালতে আইনগতভাবে মোকাবিলা করতে চান এবং নিজের দেশে ফেরার ওপর নিষেধাজ্ঞা কখনও গ্রহণযোগ্য নয়, জানান তথ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, এই প্রত্যাবর্তনের ফলে যে জননেত্রীর ওপর আক্রমণ হতে পারে, নিষেধাজ্ঞাকারীরা যে কোনো কিছু করার চেষ্টা করতে পারে, সেই সমস্ত ঝুঁকি মাথায় নিয়েই বঙ্গবন্ধুকন্যা ফিরে এসেছিলেন। আর তার ফিরে আসার মধ্য দিয়েই লড়াই-সংগ্রামে দেশে গণতন্ত্র পুণঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো।
এরপরই ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট ধস নামানো বিজয় অর্জন করেছিলো এবং সেই পথ ধরেই বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রা এবং এর পাশাপাশি উন্নয়নের অগ্রযাত্রাও অব্যাহত রয়েছে, উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, সেকারণেই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন হচ্ছে গণতন্ত্রের অগ্নিবীণার দেশে ফিরে আসা।
#
আকরাম/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৯৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১৭১
চট্টগ্রাম বিভাগে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে সরকারি সহায়তা ও ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) :
চট্টগ্রাম বিভাগে করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও কর্মহীন হয়ে পড়া বিভিন্ন প্রান্তিক ও হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে বিভিন্ন সরকারি সহায়তা ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে কোভিড-১৯ দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ৫ কোটি ৮৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ৮৫,৪৩৮ দুস্থ পরিবারের মাঝে ৪ কোটি ৪১ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার সুফল ভোগ করেছে ৪,২৭,১৯০ জন প্রান্তিক, কর্মহীন মানুষ। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এ জেলায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৮ কোটি ২৩ লক্ষ ৬৩ হাজার ৯৫০ টাকা যার মধ্যে এ পর্যন্ত ২০০ দুস্থ পরিবারের মাঝে ৯০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৬৫ লক্ষ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ১৫ লক্ষ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় এ পর্যন্ত ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ১৬৭৭টি পরিবার।
কক্সবাজার জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ২ কোটি ১০ লক্ষ ৭৭ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ১ কোটি ৫৯ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা ৩৫,০৮৪ টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৭ কোটি ৮৬ লক্ষ ২৭ হাজার ১৫০ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ৫ কোটি ০৪ লক্ষ ২৮ হাজার ২৫০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে উপকৃত হয়েছে ২,১৩,১১৫ টি প্রান্তিক পরিবার ও ৭,২৪,৯৯৫ জন মানুষ। তাছাড়া এ জেলায় ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ১,১১৬টি পরিবার। জেলাটিতে শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৮ লক্ষ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ৩৪০টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ৪৮ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৮ লক্ষ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ২৯২টি দুস্থ পরিবারের মাঝে ৫৯ হাজার ৪০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
রাঙ্গামাটি জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৫৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ১ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে উপকৃত হয়েছে ২৫,২০০ পরিবার ও ৮৬,৯৮০ জন প্রান্তিক কর্মহীন মানুষ। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় জেলায় বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৪১ লক্ষ ৭৫ হাজার ৯০০ টাকার মধ্যে এ যাবৎ ২৪,৫০০ হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ১ কোটি ১০ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ১০ লক্ষ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ১০ লক্ষ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যার বিতরণ প্রক্রিয়া অচিরেই শুরু হবে।
খাগড়াছড়ি জেলায় নগদ অর্থ সহায়তা (জিআর ক্যাশ) খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ২৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ১৮,৩০৮টি কর্মহীন পরিবারের মাঝে ৯৬ লক্ষ ২ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৪৯ লক্ষ ২৫ হাজার ১৫০ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ১ কোটি ৩ লক্ষ ৮০০ টাকা ২২,৭৫৭ টি দুস্থ অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলাটিতে শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৯ লক্ষ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ৯ লক্ষ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ৩৬টি পরিবার।
বান্দরবান জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৯৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ৭২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা ১৪,৫২০টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে জেলাটিতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২ কোটি ৬৫ লক্ষ ৮৬ হাজার ৯০০ টাকা যার মধ্যে এ যাবৎ ৩৩,৮০৯টি দুস্থ পরিবারের মাঝে ১ কোটি ৫২ লক্ষ ১৪ হাজার ৫০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এ জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৭ লক্ষ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ৭ লক্ষ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ইতোমধ্যে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে ১৩২টি পরিবার। তাছাড়া জেলাটিতে ১৪২৮টি অসহায় দরিদ্র পরিবারের মাঝে ১৪২৮ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
পাতা-২
লক্ষ্মীপুর জেলায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার কর্তৃক মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে ১ কোটি ৫৪ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যার মধ্যে অদ্যাবধি ৩০,৫০০টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ১ কোটি ৫২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। জেলায় ভিজিএফ সহায়তা (নগদ) অর্থ খাতে বরাদ্দকৃত ৩ কোটি ৩৭ লক্ষ ৭৬ হাজার ৫৫০ টাকার পুরোটাই ইতোমধ্যে দুস্থ, অসহায় পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া এ জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ০৯ লক্ষ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ ১৩ লক্ষ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যা শীঘ্রই বিতরণ করা হবে।
নোয়াখালী জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ২ কোটি ৮১ লক্ষ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ২৭,০০০ প্রান্তিক অসহায় পরিবারের মাঝে ১ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে এ জেলায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৭ কোটি ৫৪ লক্ষ ৮৮ হাজার ৮৫০ টাকা যার মধ্যে অদ্যাবধি ২৩,৩৩০টি দুস্থ পরিবারের মাঝে ১ কোটি ০৪ লক্ষ ৯৮ হাজার ৫০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ১৬০টি পরিবার। তাছাড়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৯ লক্ষ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ৯ লক্ষ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
ফেনী জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৪১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার মধ্যে ৩৪ লক্ষ ৬৫ হাজার ৫০ টাকা ১০,১১৫ টি দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলায় ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৬৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ৫৪ লক্ষ ৭৯ হাজার ২০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে উপকৃত হয়েছে ৩৬,৮০০টি প্রান্তিক হতদরিদ্র পরিবার। ফেনী জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৬ লক্ষ টাকা ইতোমধ্যে ৬০০ দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ জেলায় বরাদ্দকৃত ৬ লক্ষ টাকার বিতরণ প্রক্রিয়া অচিরেই শুরু হবে। তাছাড়া ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ১০০টি পরিবার।
কুমিল্লা জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ৫ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকার মধ্যে ১ কোটি ৫৪ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা এবং ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৮ কোটি ৬০ লক্ষ ১৩ হাজার টাকার মধ্যে ১ কোটি ৩৫ লক্ষ ৪০ হাজার ৯৫০ টাকা মোট ৫৯,৯৯১টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে অদ্যাবধি বিতরণ করা হয়েছে। জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৪২ লক্ষ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ১৭ লক্ষ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যার বিতরণ প্রক্রিয়া শীঘ্রই শুরু হবে।তাছাড়া ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ২৭০০ পরিবার।
চাঁদপুর জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা খাতে ২ কোটি ৭২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে যার মধ্যে এ পর্যন্ত ২ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা ৪৭,৬০০টি প্রান্তিক দরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে জেলায় ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৪ কোটি ৫৫ লক্ষ ৫১ হাজার ২৫০ টাকা ১,০১,২২৫ টি দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া এ জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় খাতে ৮ লক্ষ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় খাতে আরো ৮ লক্ষ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ৩ কোটি ১৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ৬৯ লক্ষ ২১ হাজার ২০০ টাকা এবং ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৬ কোটি ১১ লক্ষ ১৯ হাজার ৯০০ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ৪ কোটি ৫৫ লক্ষ ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে উপকৃত হয়েছে মোট ১,১৬,৮৫৯টি প্রান্তিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ৮০টি পরিবার। তাছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৯ লক্ষ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ৯ লক্ষ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যার বিতরণ প্রক্রিয়া অচিরেই শুরু হবে।
উল্লেখ্য, সংশ্লিষ্ট জেলা তথ্য অফিসারদের মাধ্যমে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস হতে প্রাপ্ত তথ্যসূত্রে এসব জানা গেছে।
#
ফয়সল/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৯৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১৭০
রংপুর বিভাগে কর্মহীন দরিদ্র অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য ও নগদ অর্থ বিতরণ
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ ম):
কোভিড-১৯ মোকাবিলার অংশ হিসেবে রংপুর বিভাগের জেলাগুলোতে করোনার প্রাদুর্ভাবে কর্মহীন দরিদ্র অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য ও নগদ অর্থ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
আজ ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় ৭৫০০ পরিবার, নাগেশ্বরী উপজেলায় ১৬৭০০ পরিবার, ফুলবাড়ি উপজেলায় ৯৫০০ পরিবার, সদর উপজেলায় ৭৫০০ পরিবার ও চিলমারী উপজেলায় ৩৩৮৭ পরিবারকে ৪৫০টাকা হারে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া জি আর কর্মসূচির আওতায় সদর উপজেলায় ৬২৫ পরিবার, উলিপুর উপজেলায় ৬২৫ পরিবার ও চিলমারী উপজেলায় ৬২৫ পরিবারকে ৪০০ টাকা হারে নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
পঞ্চগড়ের সদর উপজেলায় ৭৭৮ পরিবারকে ৮৭৫০০ টাকা, বোদা উপজেলায় ২৭৭৫ পরিবারকে ৫ লাখ টাকা, তেঁতুলিয়া উপজেলায় ৫৫৫ পরিবারকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং আটোয়ারী উপজেলায় ২১৫৫ পরিবারকে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় সদর উপজেলায় ৫৬১০ পরিবারকে ৫৫ লাখ ৩০ হাজার ০৫০ টাকা, বোদা উপজেলায় ১৬৬৫ পরিবারকে ৭৫ লাখ টাকা এবং আটোয়ারী উপজেলায় ১০৭৬ পরিবারকে ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৬৫০ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩৪৫ জনকে জনপ্রতি ৮১০ টাকা মূল্যমানের ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছে। ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে জনপ্রতি ১০ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি লবণ, ১ কেজি ডাল এবং ১ লিটার সয়াবিন তেল।
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর, পার্বতীপুর ও বোচাগঞ্জ উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল হতে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৭০০০ গরিব দুস্থ অসহায় মানুষকে নগদ ৫০০ টাকা হারে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন।
#
রেজাউল/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৯১১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১৬৯
হাওরে প্রায় শতভাগ বোরো ধান কাটা শেষ
-- কৃষিমন্ত্রী
মধুপুর (টাঙ্গাইল), ২৪ বৈশাখ (৭ মে) :
হাওরে প্রায় শতভাগ বোরো ধান কাটা শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, এবছর সারা দেশে আনন্দমুখর পরিবেশে বোরো ধান কাটা চলছে। ইতোমধ্যে হাওরের প্রায় শতভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে। আশা করা যায়, সারাদেশে সফলভাবে ধান কাটা শেষ করা যাবে।
কৃষিমন্ত্রী আজ টাঙ্গাইলের মধুপুরে ব্রাহ্মণবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠে মধুপুর কৃষক লীগ আয়োজিত ধান কাটা উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, এখন দেশে বোরো মৌসুমে সবচেয়ে বেশি ধান হয়। একসময় এ মৌসুমে তেমন কোন ধান হত না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের আমলে কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সেচ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ , সেচের মূল্য হ্রাস, সারের দাম হ্রাস, বীজ, কীটনাশকসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণ সহজলভ্যকরণ এবং নতুন উন্নত জাতের ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ফলেই এটি সম্ভব হয়েছে।
ধানসহ অন্যান্য ফসলের উৎপাদন প্রতিবছর বেড়েই চলেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সরকারের নানামুখী উদ্যোগ ও ভর্তুকি দেয়ার ফলেই এটি সম্ভব হচ্ছে। বিশেষ করে ৪ দফায় সারের দাম কমানো বর্তমান সরকারের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত।
অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান খন্দকার শফিউদ্দিন মনি, মধুপুর উপজেলা চেয়ারম্যান সরোয়ার খান আবু, পৌর মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান, বাংলাদেশ কৃষক লীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম হিরণ, উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক এসএম মইনুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
#
কামরুল/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৮২৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১৬৮
বরিশাল বিভাগে করোনাকালীন সরকারি মানবিক সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) :
বরিশাল বিভাগের কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত ও কর্মহীন হয়ে পড়া বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মাঝে সরকারের ত্রাণসামগ্রী বিতরণ মানবিক সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এ বিভাগের বিভিন্ন জেলায় নগদ অর্থ সহায়তা ও ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় গরিব, অসহায়, দুস্থ দিনমজুরসহ হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে এসব ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
ভোলা জেলায় এ পর্যন্ত ১ হাজার ৩৯২টি পরিবারের ৪ হাজার ৮৭৪ জনের মাঝে ১০ লাখ ২৫ হাজার টাকা ত্রাণকার্য (নগদ অর্থ) বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ৩৩৩ এ কলের মাধ্যমে ২৩৩ টি পরিবারের ৮১৫ জনের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। সম্প্রতি (৪ মে, ২০২১) ভোলা সদর উপজেলার খেলাঘাটে ও বিআইডব্লিউটি এর অফিসের সামনে করোনা ভাইরাসজনিত মহামারির কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া ৬০ জন লঞ্চ শ্রমিক ও ঘাটশ্রমিকে মাঝে নগদ এক হাজার টাকা, একটি শাড়ি ও একটি লুঙ্গি করে বিতরণ করা হয়েছে।
পিরোজপুর জেলায় এ পর্যন্ত ৮ হাজার ২০০টি পরিবারের ২৪ হাজার ৮০০ জনের মাঝে ২৭ লাখ ৩১ হাজার টাকা ত্রাণকার্য (নগদ অর্থ) বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তার অংশ হিসেবে ৪ হজার ৭১৩টি পরিবারের ২৮ হাজার ৮৫২ জনের মাঝে ২১ লাখ ২০ হাজার ৮৫০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ৩৩৩ এ কলের মাধ্যমে ২০ টি পরিবার বা ৮০ জনের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
বরিশাল বিভাগের অন্যান্য জেলাগুলোতে অনুরূপ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
জেলাসমূহের জেলা তথ্য এবং জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
#
জাহাঙ্গীর/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১৬৭
খুলনা বিভাগে করোনাকালীন সরকারি ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত
খুলনা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) :
খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা, নড়াইল, মাগুরা, সাতক্ষীরা, মেহেরপুর ও যশোর জেলায় করোনায় কর্মহীন মানুষের মাঝে আজ (শুক্রবার) নগদ অর্থ ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চা বিক্রেতা, ভ্যান চালক, দিনমজুর, অসহায় দুস্থ পুরুষ ও নারীসহ মোট দুইশত ৬০ জনের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী হিসেবে মাথাপিছু ১০ কেজি চাল, এক কেজি মশুর ডাল, দুই কেজি আলু, এক কেজি পেঁয়াজ, সয়াবিন তেল এক লিটার, এক কেজি চিনি এবং এক সেমাই প্যাকেট বিতরণ করা হয়। চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোঃ নজরুল ইসলাম সরকার এসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।
নড়াইল জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একশত ৫০ জন কর্মহীন শ্রমিকের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে ছিলো চাল, আলু, ডাল ও তেল, সাবান ও মাস্ক। নড়াইলের জেলা প্রশাসক এসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। এছাড়া ৩৩৩ কল এর মাধ্যমে ২৭ টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।
মাগুরা জেলা প্রশাসনের নিজস্ব বরাদ্দ হতে ৪৪ টি পরিবারের মাঝে সাত কেজি চাল ও এক কেজি করে ডাল বিতরণ করা হয়। এছাড়া ভিজিএফ এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ছয় হাজার দুইশত ৩০ জন উপকারভোগীর মাঝে চাল, ডাল, তেলসহ অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ পর্যন্ত ত্রাণ হিসেবে ১৪ হাজার পাঁচশত পরিবারের মাঝে ৭২ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়। এছাড়া ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় এক লাখ ২০ হাজার পাঁচশত ২৩ উপকারভোগী পরিবারের মাঝে পাঁচ কোটি ৪২ লাখ ৩৫ হাজার তিনশত ৫০ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। এছাড়া ৩৩৩ কল এর মাধ্যমে ৩৮টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।
যশোর জেলায় এ পর্যন্ত অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ হিসেবে ৩৯ হাজার সাতশত ৫০টি পরিবারের মাঝে এক কোটি ৯৮ লাখ ৭৫ হাজার পাঁচশত টাকা এবং ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় দুই লাখ ২০ হাজার ২০টি পরিবারের মাঝে নয় কোটি নয় লাখ নয় হাজার টাকা বিতরণ করা হয়। এছাড়া ৩৩৩ কল এর মাধ্যমে এক হাজার চারশত ২০টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ পর্যন্ত ত্রাণ হিসেবে ৩ হাজার পরিবারের মাঝে ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় একহাজার ৫শত টি পরিবারের মাঝে ৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকার নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।
খুলনা বিভাগের অন্যান্য জেলাগুলোতে অনুরূপ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
#
দীপংকর/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৭৫৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১৬৬
প্রখ্যাত সুরকার অনুপ ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর শোক
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) :
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী, বাংলাদেশ রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও প্রখ্যাত সুরকার অনুপ ভট্টাচার্য- এর মৃত্যুতে আজ গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
প্রতিমন্ত্রী শোকবার্তায় বলেন, অনুপ ভট্টাচার্য তাঁর সৃষ্টিকর্মের মধ্য দিয়ে এদেশের সংগীতপ্রেমী মানুষের হৃদয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবেন।
তিনি অনুপ ভট্টাচার্যের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
#
ফয়সল/শাহ আলম/কামাল/রেজ্জাকুল/শামীম/২০২১/১৪৪৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১৬৫
বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“প্রতিবারের ন্যায় এবারও বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘বিশ্বব্যাপী থ্যালাসেমিয়া রোগীদের মধ্যে স্বাস্থ্য বৈষম্য মোকাবিলা’ -যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
থ্যালাসেমিয়া একটি মারাত্মক রক্তশূন্যতাজনিত রোগ। এই রোগের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। বিশ্বে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুর প্রায় ৯০ শতাংশ জন্ম নেয় নিম্ন এবং মধ্যমআয়ের দেশসমূহে। দারিদ্র্য ও অর্থনৈতিক বৈষম্যের কারণে বেশিরভাগ শিশুই পর্যাপ্ত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়। এছাড়া রোগী ও পরিবার উভয়ই সামাজিক বৈষম্যের শিকার হয়।
আওয়ামী লীগ সরকার থ্যালাসেমিয়া রোগীদের চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের চতুর্থ এইচপিএনএসপি’র আওতায় ৮টি সরকারি মেডিকেল কলেজে থ্যালাসেমিয়া ম্যানেজমেন্ট সেন্টার গঠন করেছে। এই সেন্টারসমূহে ‘ন্যাশনাল গাইডলাইনস অন থ্যালাসেমিয়া মানেজমেন্ট ফর ফিজিশিয়ানস’ অনুযায়ী রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ সরবরাহ করা হবে। থ্যালাসেমিয়া রোগীদের রেজিস্ট্রেশন করে তথ্য সংরক্ষণ করা হবে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ‘ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ এবং থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীদের আর্থিক সহায়তা কর্মসূচি’ থেকে আমরা থ্যালাসেমিয়া রোগীদের চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করছি।
থ্যালাসেমিয়া রোগনিয়ন্ত্রণে প্রতিরোধের কোনো বিকল্প নেই। বিয়ের আগে থ্যালাসেমিয়া বাহক নির্ণয়ের জন্য রক্তপরীক্ষা করে রোগটি সহজেই প্রতিরোধ করা যায়। এ বিষয়ে ব্যাপক জনসচেতনতা ও তরুণপ্রজন্মের অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।
থ্যালাসেমিয়া রোগীদের প্রতিমাসে এক থেকে দুইব্যাগ রক্ত পরিসঞ্চালন করতে হয়। বাংলাদেশে স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে রক্তের ৩০ শতাংশ চাহিদা মেটে, যার ফলে রোগীদের জন্য রক্তের অভাব বিরাজমান। আমি দেশের যুবসমাজকে থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্তদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।
আমি ‘বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস ২০২১’ - এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/শাহ আলম/কামাল/রেজ্জাকুল/শামীম/২০২১/১৪৫০ ঘণ্টা
Handout Number : 2164
Foreign Minister urged the US Ambassador to address the difficulties being faced by Bangladeshi student visa applicants
Dhaka, 7 May :
Foreign Minister Dr. A K Abdul Momen urged the US Ambassador to address the difficulties being faced by a large number of Bangladeshi student visa applicant to obtain visa interview date in the US Embassy in Dhaka, as many may lose admission and scholarship due to the delay.
The Ambassador of the United States in Bangladesh Earl R. Miller called on Dr. Momen yesterday in the Ministry of Foreign Affairs.
The US Ambassador informed that, due to the lockdown situation, many interview slots had to be cancelled, and assured to do the best to ensure that all student visa applicants get interview slots on a priority basis once the lockdown is over, so that they can join their academic sessions in US universities on time.
Appreciating US President Joe Biden’s recent announcement to enhance the admission of refugees in the US to 62,500 in 2021 and 125,000 in 2022, Bangladesh Foreign Minister stated that the US may consider accepting a good number of forcibly displaced Rohingyas in Bangladesh for filling up a large portion of these new numbers. He also expressed optimism that, the US as the largest humanitarian donor for the humanitarian operations for the forcibly displaced Rohingyas camped in Bangladesh, would continue to provide necessary assistance for Rohingyas including those now settled in Bhashan Char. The US Ambassador informed that, during the upcoming launch of the annual Joint Response Plan (JRP) on 18 May 2021 in Geneva, the US is expected to pledge again for large contribution to the humanitarian operation for Rohingyas. Foreign Minister Momen also assured the US side on Bangladesh’s cooperation on the ongoing investigation on the genocide against Rohingyas in Myanmar, as reinitiated by the Biden Administration.
The main point of discussion was on the process of acquiring AstraZeneca COVID-19 vaccine from the US to meet up the growing needs in Bangladesh to address the present shorfall. Foreign Minister Momen underscored that, while the immediate need of Bangladesh is around 4 million doses of vaccine, the US government may consider providing 20 million AstraZeneca vaccine to Bangladesh from its stock. The US Ambassador assured that his government is sincerely working on the proposal, though this is difficult to predict any time frame at this moment. He also informed that the United States is yet to provide any AstraZeneca vaccine to India, and hopefully Bangladesh will get the vaccine at the same time India gets. Bangladesh Foreign Minister emphasized on an early decision. He also welcomed US President Joe Biden’s declaration to support Intellectual Property Waiver for vaccines in the WTO, and expressed optimism that this would enable developing countries, including Bangladesh, to produce US vaccines in near future.
Bangladesh Foreign Minister and the US Ambassador also discussed on the ways and means of bolstering bilateral cooperation, specially in the area of climate change adaptation and mitigation including possible mutual engagement before and during the COP26 of the UNFCCC scheduled in November 2021 in Glasgow, as well as through mutual support in different elections in the UN system including in the UN Human Rights Council.
#
Tohidul/Shah Alam/Kamal/Rezzakul/Shamim/2021/1422 hours
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১৬৩
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর ১৬০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বসাহিত্যের এক উজ্জ্বলতম নক্ষত্র। বাংলা ও বাঙালির অহংকার। প্রতিভা ও শ্রমের যুগলবন্দির সম্মিলনে তিনি অসাধারণ সব সাহিত্যকর্ম দিয়ে বাংলাসাহিত্যকে করেছেন ঐশ্বর্যমণ্ডিত। কালজয়ী এ কবি জীবন ও জগৎকে দেখেছেন অত্যন্ত গভীরভাবে, যা তাঁর কবিতা, ছোটগল্প, উপন্যাস, নাটক গীতিনাট্য, প্রবন্ধ, ভ্রমণকাহিনী, সংগীত ও চিত্রকলার সহস্রধারায় উৎসারিত হয়েছে। আবহমান বাংলার রূপ যেমন তাঁর সাহিত্যসৃষ্টিতে ভাস্বর হয়েছে, তেমনই মানবতাবাদী বাণী তাঁর সাহিত্যকে দিয়েছে অতুলনীয় মহিমা।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। সাহিত্য,