Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১০ August ২০২৩

তথ্যবিবরণী ১০ আগস্ট ২০২৩

তথ্যববিরণী                                                                                                নম্বর :  ৪৫০

 

ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা অত্যাবশ্যক

                                            -- টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

 

ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট):

 

ডাক ও টেলিযোগোযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা অত্যাবশ্যক। এ বিষয়ে সরকার অত্যন্ত মনোযোগী। ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইন্টারনেট প্রটোকল ভার্সন (আইপিভি)-৬ প্রযুক্তি অপরিহার্য। তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইপিভি-৪ ভার্সনের রাউটার আমদানি রহিত করা হয়েছে। আইপিভি-৬ বাস্তবায়নে পরিকল্পনা মাফিক কাজ চলছে। ইন্টারনেট সেবাদাতাদের প্রতিষ্ঠানসমূহের সংগঠন আইএসপিএবিকে এ ব্যাপারে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশ দেন মন্ত্রী

 

মন্ত্রী আজ ঢাকায় এক হোটেলে আইএসপিএবি’র আয়োজিত নেটওয়ার্ক এন্ড এডভান্সড বিজিএফ রাউটিং বিষয়ক তিন দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

 

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ডিজিটাল সংযোগ ছাড়া ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন সম্ভব হতো না উল্লেখ করে বলেন,  ইন্টারনেট এখন শহরের গণ্ডি অতিক্রম করে দুর্গম অঞ্চলের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অন্যতম প্রধান চাহিদা। মানুষের এই চাহিদা পূরণে ইতোমধ্যে দেশের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে অপটিক্যাল ফাইভারের মাধ্যমে উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দিয়েছি। দেশের প্রতিটি গ্রামের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায়  উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার জন্য কর্মসূচি প্রনয়ণ ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ  নেওয়া হয়েছে। এর বাইরেও আমরা দেশের শতকরা ৯৮ ভাগ এলাকায়  মোবাইল ফোনের ফোর-জি ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছি।

 

ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের এই অগ্রদূত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন  ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় গত সাড়ে চৌদ্দ বছরে বাংলাদেশের অভাবনীয় সফলতা বিশ্বের অনুকরনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ডিজিটাল যন্ত্রে বাংলাভাষার এই উদ্ভাবক বলেন, দেশের তথ্য পাচার হয়ে যাবে এই অজুহাতে ১৯৯২ সালে বিনা টাকায় সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ গ্রহণ থেকে বাংলাদেশকে বঞ্চিত করে তৎকালিন সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালের পর ভি-স্যাটের মাধ্যমে ইন্টারনেটের অভিযাত্রা শুরু হয়। তিনি বলেন ২০০৬ সালে দেশে প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেটের দাম ছিল ৭৫ হাজার টাকা। একদেশ একরেটের মাধ্যমে আমরা দেশে এখন এক এমবিপিএস ইন্টারনেট মাত্র ৬০ টাকা দাম নির্ধারণ করেছি। ২০০৮ সালে দেশে সাড়ে সাত জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হতো বর্তমানে ব্যবহারের এ পরিমান ৫ হাজার জিবিপিএস অতিক্রম করেছে। উচ্চগতির ইন্টারনেটের  সহজলভ্যতা এবং ব্যয়সাশ্রয়ী হওয়ায় সুনামগঞ্জের ধর্মপাশার হাওর বেষ্টিত গ্রাম আহমেদপুর কিংবা মধুপুরের দুর্গম পাহাড়ের বাসিন্দারাও ঘরে বসে বৈদেশিক মূদ্রা আয় করছে,  সেখানে গড়ে তুলেছে আইটি ইন্ডাস্ট্রি।

 

মন্ত্রী বলেন, আগামী ২ বছর এই ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ বিশ্বের যে কোন উন্নত দেশের তুলনায় ডিজিটাল সংযুক্তিতে এগিয়ে থাকবে। ইন্টারনেট সহজলভ্যতার কারণে দেশে ভয়েস কল ক্রমেই কমে আসছে এবং ডেটা কল বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এমন এক সময় আসবে ভয়েস কল বিলীন হয়ে যাবে। ডিজিটাল প্রযুক্তি জগতে তার  দীর্ঘ ৩৭ বছরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা দিয়ে সব অর্জন করা যায় না। কর্মজীবনের শিক্ষা কর্মজীবন থেকেই শিখতে হয়। তিনি বলেন, প্রযুক্তি প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। আপনি আজ যা শিখছেন আগামীকাল তা কাজে নাও লাগতে পারে। এজন্য প্রতিনিয়ত প্রযুক্তির পরিবর্তনের সাথে সাথে আপনাকেও এ পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে চলতে হবে। এজন্য প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। মন্ত্রী এ ব্যাপারে সম্ভাব্য সব ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস ব্যক্ত করেন।

 

আইএসপিএবির সভাপতি ইমদাদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবদুর রহিম খান বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এহসানুল কবির, অস্ট্রেলিয়া থেকে আগত এপনিক প্রশিক্ষক ডেভিড মিচেল পালান এবং আইএসপিএবির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল করিম ভূঁইয়া বক্তৃতা করেন।

 

#

 

শেফায়েত/আরমান/এনায়েত/সেলিম/২১২০ ঘন্টা 

তথ্যববিরণী                                                                                                নম্বর : ৪৪৯

 

বিজেপি মনে করে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে

                                     -- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

 

ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট):

 

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, ‘ভারতীয় জনতা পার্টি বিজেপি মনে করে বাংলাদেশে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হলে তা সুষ্ঠু ও সুন্দর হবে। এবং তাদের একবাক্যে অভিমত- জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার মধ্য দিয়ে দেশের অগ্রগতি অভাবনীয়।’

 

ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি’র আমন্ত্রণে আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের পাঁচ সদস্য ৬-৯ আগস্ট দিল্লি সফর শেষে বুধবার ফিরেছেন। আজ বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সফর বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

নির্বাচনের চার মাস আগে বিজেপি’র আমন্ত্রণে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিদলের এই সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অভিহিত করে হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘বিজেপি’র শীর্ষ নেতৃত্বের সাথে আন্তরিকতাপূর্ণ বৈঠকগুলোতে তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সন্ত্রাসমুক্ত ভূখন্ডনীতির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। বিএনপির আমলে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উদ্দেশ্যে পাচার হতে যাওয়া দশ ট্রাক অস্ত্র, কক্সবাজারে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে  সেই সময়গুলোর মতো অবস্থা এখন আর নেই, বলেন তারা। নিজ দেশের এক ইঞ্চি ভূমিও প্রতিবেশী দেশে অস্থিতিশীলতার কাজে যেন ব্যবহৃত না হয়, সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেওয়া পদক্ষেপ ও তার কার্যকারিতায় আন্তরিক সন্তোষ জানান নেতারা।’

 

সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, পাশাপাশি আমরা তাদেরকে জানিয়েছি, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদাহরণ। এর ফলেই প্রতিবছর পূজামন্ডপের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, সব ধর্মের উৎসব সবার উৎসব হয়, পয়লা বৈশাখে সর্বজনীন উৎসব হয়, চাকুরিজীবীরা পুরো এক মাসের বেতনের সমান উৎসব ভাতা পান। এ সব তথ্যে তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ভিতের গভীরতা অনুভব করেছেন, উল্লেখ করেন হাছান।

 

প্রতিনিধি দলনেতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাকের বক্তব্য দিয়ে শুরু হওয়া এ ব্রিফিংয়ে প্রতিনিধিদের মধ্যে সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, আরমা দত্ত এমপি ও মেরিনা জাহান কবিতা এমপি’র সাথে দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান এবং উপ-প্রচার সম্পাদক আবদুল আউয়াল শামীম উপস্থিত ছিলেন।

 

আওয়ামী লীগের দলটি এ সফরে ৭ আগস্ট ভারতীয় জনতা পার্টি-বিজেপি’র প্রেসিডেন্ট জেপি নাড্ডা, জেনারেল সেক্রেটারি  বিনোদ তড়ে এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. জয় শঙ্করের সাথে এবং ৮ আগস্ট ভারতের পার্লামেন্টের লিডার অভ দি আপার হাউজ ও বাণিজ্যমন্ত্রী পীযুষ গয়াল এবং ভারতে জি-২০ সম্মেলনের কো-অর্ডিনেটর রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সাথে বৈঠক করেছেন।

চলমান পাতা/২

 

--০২--

 

যুব মহিলা লীগের কাছ থেকে মানুষের পাশে দাঁড়ানো শিখুন : বিএনপিকে তথ্যমন্ত্রী

 

ধানমন্ডিতে সংবাদ সম্মেলন শেষে এ দিন তথ্যমন্ত্রী রাজধানীর শাহবাগে যুব মহিলা লীগের ডেঙ্গু প্রতিরোধ কর্মসূচিতে যোগ দেন। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেন, ‘তারা বড় একটা রাজনৈতিক দল হয়েও মানুষের প্রয়োজনে মানুষের পাশে দাঁড়ায় না। কিন্তু আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন যুব মহিলা লীগও মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। এদের কাছ থেকে বিএনপির শেখা উচিত।’

 

মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘আমি বিএনপিকে বলবো- সাজগোজ করে বিদেশি দূতাবাসে ধর্ণা না দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ান। অগ্নিসন্ত্রাস করে মানুষ ও গাড়ি-ঘোড়া না পুড়িয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ান, পুলিশের ওপর হামলা পরিচালনা না করে মানুষের পাশে দাঁড়ান।’

 

যুব মহিলা লীগ সভাপতি আলেয়া সারওয়ার ডেইজি, সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি এবং সদস্যরা কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন।

 

#

 

আকরাম/আরমান/এনায়েত/সেলিম/২০২০ ঘন্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                               নম্বর : ৪৪৮

বিএফটিআই এবং বিসিআই এর মাঝে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত

ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট):

          বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউট (বিএফটিআই) এবং বাংলাদেশ চেম্বার অভ্ ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

          আজ রাজধানীর টিসিবি ভবনে বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনিস্টিটিউটের সম্মেলন কক্ষে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

          বিএফটিআই এর পক্ষে বিএফটিআই-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মোঃ জাফর উদ্দীন এবং বিসিআই-এর পক্ষে বিসিআই-এর সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

          বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি প্রধান অতিথির বক্তব্য বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানির ৮৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ এসেছে তৈরী পোশাক খাত থেকে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে পণ্য ও বাজার বহুমুখীকরণের বিকল্প নেই। সম্ভাবনাময় পণ্য ও বাজার সম্পর্কিত গবেষণালব্ধ তথ্য এবং উদ্ভাবনী পরামর্শ সেবা রপ্তানি বৃদ্ধিতে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

          মন্ত্রী বলেন, এই সমঝোতার ফলে দেশী বিদেশী বিনোয়োগের পথ যেমন সুগম হবে তেমনি  প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাজারে পণ্য, সেবা এবং বাজার বহুমুখীকরণের মাধ্যমে সুদৃঢ় ও টেকসই রপ্তানি নির্ভর অর্থনীতি গড়ে তোলার মাধ্যমে ভিশন ২০৪১ এর সফল বাস্তবায়ন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।

          সভাপতি বিএফটিআই-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব, ড. মোঃ জাফর উদ্দীন বলেন, বিএফটিআই-এর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে বাণিজ্য সংক্রান্ত জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে। বিএফটিআই ও বিসিআই এর উক্ত সমঝোতার ফলে পরিকল্পিত উদ্যোগসমূহ দেশী বিদেশী বিনিয়োগের পথ সুগম করবে এবং প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাজারে পণ্য, সেবা এবং বাজার বহুমুখীকরণের মাধ্যমে টেকসই অর্থনীতি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।

          বিএফটিআই-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিসিআই এবং বিএফটিআই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

          এরআগে, বিএফটিআইয়ের সম্মেলন কক্ষে পাঁচ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত ÔRules and Procedures for Import and ExportÕ শীর্ষক প্রশিক্ষনার্থীদের হাতে সার্টিফিকেট প্রদান করেন।

#

হায়দার/এনায়েত/জয়নুল/২০২৩/১৯৫০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ৪৪৭

সাইবার নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিক হয়রানি বন্ধ হবে

                                                           --- আইনমন্ত্রী

ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট):

          আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইন সাইবার অপরাধ বন্ধে অত্যন্ত সহায়ক হবে। পাশাপাশি সাংবাদিক মহল যেসব সমস্যা নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ছিলেন, সেটাও দূর হবে এবং সাংবাদিকদের হয়রানিও বন্ধ হবে। তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কারণে জনগণের মধ্যে যে মানসিক চাপ তৈরি হয়েছে কিংবা গণমাধ্যমের স্বাধীনভাবে সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে যে মানসিক চাপ বা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে তা সাইবার নিরাপত্তা আইনে দূর হবে।

          আজ রাজধানীর বিসিসি অডিটোরিয়ামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ রহিতকরণ এবং প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলন প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

          আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যেসব ধারায় সাজার পরিমাণ অনেক বেশি ছিল এবং এনিয়ে বেশ বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, সেগুলোর সাজা সাইবার নিরাপত্তা আইনে কমিয়ে আনা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বেশকিছু ধারা জামিন অযোগ্য ছিল, সেগুলোকে নতুন আইনে জামিনযোগ্য করা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অনেক ধারায় দ্বিতীয়বার অপরাধ সংঘটনের জন্য সাজা দ্বিগুণ কিংবা সাজার মেয়াদ বাড়ানোর বিধান করা হয়েছিল। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যেসব ধারায়  দ্বিতীয়বার অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে বাড়তি সাজার কথা বলা আছে, সেগুলো নতুন আইনে বাতিল করা হয়েছে।

          তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৯ ধারায় মানহানির বিষয়টি ছিল। এতে বলা ছিল, (১) যদি কোনো ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে পেনাল কোডের (দণ্ডবিধি) ৪৯৯ ধারায় বর্ণিত মানহানিকর তথ্য প্রকাশ বা প্রচার করেন, সে জন্য তিনি অনধিক তিন বছর কারাদণ্ড বা অনধিক পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আর যদি কোনো ব্যক্তি উপধারা (১)-এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয়বার বা পুনঃপুনঃ সংঘটন করেন, তাহলে ওই ব্যক্তি অনধিক পাঁচ বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনে মানহানির অপরাধের জন্য কারাদণ্ড বাদ দিয়ে শুধু জরিমানার বিধান করা হয়েছে। এখন এই অপরাধের জন্য অনধিক ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। জরিমানা এক টাকাও হতে পারে। অপরাধের মাত্রা বিবেচনা করে আদালত এটি নির্ধারণ করবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, মানহানির মামলার ক্ষেত্রে নতুন আইনে কাউকে সরাসরি গ্রেপ্তার করা যাবে না এবং গ্রেপ্তারের কোনো আতঙ্ক বা আশঙ্কা থাকবে না। তবে জরিমানা না দিলে তিন মাস থেকে সর্বোচ্চ ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া যাবে। কিন্তু অপরাধের মূল শাস্তি  বে জরিমানা।

          তিনি আবারও বলেন,‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা হয়নি, পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন যদি বলি, বাতিল করা হয়েছে, তাহলে আপনারা প্রশ্ন করবেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রায় সব ধারাই তো এ আইনে আছে। তাহলে আপনি কেন বলছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা হয়েছে। যে কারণে আমি পরিবর্তন শব্দটি ব্যবহার করেছি।’

চলমান পাতা - ২

--- ২ ---

          সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের যুক্তিকতা তুলে ধরে আইনমন্ত্রী বলেন, আসলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সংশোধন, পরিমার্জন ও পরিবর্তনগুলো এতটাই বেশি ছিল যে, যখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ পড়তে হত, তখন সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা (সংশোধন) আইনটিও সঙ্গে রাখতে হত, এটা কনফিউজিং হত। সেজন্যই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পরিবর্তে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩’ নামে নতুন করা হচ্ছে। এখানে ডিজিটালের পরিবর্তে সাইবার নামটা রাখা হয়েছে, এটার ব্যাপ্তি বাড়ানোর জন্য। আমাদের স্মরণ রাখতে হবে যে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ সালে অনুমোদনের পর পাঁচ বছর অতিবাহিত হয়েছে। আমাদের পাঁচ বছরের অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। অভিজ্ঞতার পাশাপাশি সারাবিশ্বে আইসিটি সংক্রান্ত  অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আইসিটি সংক্রান্ত বিশ্বের যে ব্যাপ্তি কিংবা ধরণ, তার বেশ পরিবর্তন এসেছে। সেসব কিছুকে বিবেচনায় রেখে সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।

          ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের প্রেক্ষাপট তুলে ধরতে গিয়ে আনিসুল হক বলেন, আজ থেকে প্রায় ১৫ বছর আগে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে "ডিজিটাল বাংলাদেশ" গড়ার নতুন এক স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। উদ্দেশ্য ছিল একবিংশ শতাব্দীর প্রযুক্তিনির্ভর বেগবান বৈশি^ক উন্নয়নের সাথে তাল মিলিয়ে তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন এক বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা এবং বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্ন ‘সোনার বাংলা’ গড়া। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে দেশের আপামর জনসাধারণ জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ম্যান্ডেট দিলে তিনি ২০০৯ সালে সরকার গঠন করেন এবং কাল বিলম্ব না করে তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সুদূর প্রসারী ও বাস্তবধর্মী বহুমুখী পদক্ষেপ নেন। বর্তমানে যার সুফল ভোগ করছে দেশের প্রায় ১৮ কোটি মানুষ। কিন্তু আমরা সকলেই ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল ভোগ করলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর সীমাবদ্ধতাও পরিলক্ষিত হয়। সেটি হলো ডিজিটাল মাধ্যমকে ব্যবহার করে নতুন নতুন অপরাধ সংঘটন। যা রাষ্ট্র ও জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে নিয়ন্ত্রণ করা অপরিহার্য হয়ে পড়ে। প্রচলিত আইনে এসব সাইবার অপরাধ দমনের সুযোগ না থাকায় নতুন আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এরই প্রেক্ষাপটে প্রণয়ন করা হয় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮।

          কিন্তু আইনটি প্রয়োগের শুরুতেই আমরা এর কিছু  অপব্যবহার বা মিসইউজ দেখতে পাই যা আমি অকপটে স্বীকার করতে কখনই বিন্দু পরিমাণ কুণ্ঠাবোধ করিনি এবং করবোও না। সে সময় এ আইনের অপব্যবহার প্রতিরোধে আমরা বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করি। ফলে এই আইনের অপব্যবহার অনেকটাই কমে যায়। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার চায় আইনটির যাতে কোন অপব্যবহার না হয়। সেকারণেই আমরা বার বার বলেছি, এই আইন সংশোধন করা হবে। এর আলোকে আইনটি সংশোধনের জন্য আমরা একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছিলাম। এই কমিটি দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সাথে ধারাবাহিক ও দীর্ঘ আলোচনার পর আমাদেরকে যে মতামত বা রিপোর্ট প্রদান করে তাতে দেখা যায়, আইনটি ব্যাপক আকারে  সংশোধন, পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও পরিমার্জন করা প্রয়োজন। সেকারণেই আমরা ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ কে রহিত করে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩’ নামে নতুন আইন প্রণয়ণের কার্যক্রম শুরু করি এবং গত ৭ অক্টোবর ২০২৩ তারিখের মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনটি অনুমোদন লাভ করে।  

          তথ্য ও যোগাযেগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক-এর সভাপতিত্ব সংবাদ সম্মেলনে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মোঃ মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মোঃ গোলাম সারওয়ার, তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মোঃ সামসুল আরেফিনসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

#

রেজাউল/এনায়েত/জয়নুল/২০২৩/১৯৩০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর : ৪৪৬

আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর সাথে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

 

ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট):

          তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আজ আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে তাঁর দপ্তরে সাক্ষাৎ করেন।

          এসময় তাঁরা দুদেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিশেষ করে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত নিয়ে আলোচনা করেন। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিগত ১৪ বছরে গৃহিত বিভিন্ন কার্যক্রমসহ সার্বিক অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

          প্রতিমন্ত্রী য্ক্তুরাষ্ট্র ভিত্তিক আমেরিকার উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংকের কার্যক্রম বাংলাদেশে চালু, বাংলাদেশের জনগণের নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিতে সাইবার সিকিউরিটি আইন ও ডাটা প্রটেকশন এ্যাক্ট প্রণয়নের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা পেলে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে আরো এগিয়ে যাবে। আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের লক্ষ্যে প্রযুক্তিজ্ঞানসমৃদ্ধ জনগোষ্ঠী তৈরি ও বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তিখাতের উন্নয়ন ও বিকাশে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি ও বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথ কলাবরেশনে কাজ করার বিষয়ে ঐকমত পোষণ করা হয়।

          রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে। ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশের তরুণরা উদ্ভাবন ক্ষেত্রে দেশে বিদেশে অবদান রাখছে। তিনি বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন ও বিকাশে মার্কিন সরকারের সহযোগিতা অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানান।

#

শহিদুল/এনায়েত/জয়নুল/২০২৩/১৯২০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ৪৪৫

সারা দেশে মশক নিধন কার্যক্রম আরো বেগবান করতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের ব্যবস্থা হচ্ছে

                                                                                                           --- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট):

          স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, এবছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ ঢাকা ও প্রধান প্রধান শহরের বাইরে ডেঙ্গুর বিস্তার যার ফলে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ এ পর্যন্ত মারা গেছে। এছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তন ও উষ্ণতা বৃদ্ধি এবং থেমে থেমে বৃষ্টি এডিস মশার প্রজনন বাড়াতে সাহায্য করেছে ফলে ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে বেশি মানুষ। এমতাবস্থায় সারাদেশে ডেঙ্গু সহ অন্যান্য মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

          তিনি আজ মন্ত্রণালয়ে সারাদেশে ডেঙ্গু প্রতিরোধে গৃহীত কার্যক্রম পর্যালোচনার লক্ষ্যে বিশেষ ভার্চুয়াল সভায় অংশগ্রহণের পূর্বে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

          স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বে মশা প্রতিরোধে স্বীকৃত বিভিন্ন পদ্ধতি এবং নিয়ম গুলো বাংলাদেশে অনুসরণ করা হচ্ছে। বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে উঠে আসা এ পদ্ধতিগুলোই মশক নিধনে কার্যকর। সেদিক থেকে আমরা পিছিয়ে নেই তবে নিজ নিজ বাড়ির আঙিনা, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর এবং নিজ নিজ এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় সচেতনতা এবং জনগণকে আরো সম্পৃক্ত করার সুযোগ রয়েছে আমাদের এখানে।

           ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে মোঃ তাজুল ইসলাম জানান, সারা দেশে দ্রুত ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সব বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পৌরসভার মেয়র ও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কারো অবহেলা থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও  মশক নিধনে কীটনাশক আমদানি এখন থেকে উন্মুক্ত করা হয়েছে।

          এ সময় তিনি চলমান মশক নিধন কার্যক্রমে কোনো ঘাটতি অথবা দুর্বলতা থাকলে তা সাংবাদিকদের কাছে জানতে চেয়ে বলেন, ডেঙ্গুর বিস্তার রোধ আমাদের সবারই লক্ষ্য। সেক্ষেত্রে কোন ত্রুটি থাকলে তা আপনাদের কাছ থেকে জেনে সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হবে। গণমাধ্যম কর্মীরা মন্ত্রীকে এসময় এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করেন।

          মশক নিধন কার্যক্রম অব্যাহত আছে জানিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, সবাইকে সচেতন হতে হবে। আমাদের সচেতনতার মাধ্যমে নিজ নিজ বাড়ির আঙিনা ও স্থাপনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে মানুষকে সচেতন করার জন্য ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের সচেতনতাই পারে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা থেকে আমাদেরকে রক্ষা করতে।

#

টিপু/এনায়েত/জয়নুল/২০২৩/১৮৩০ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                               নম্বর : ৪৪৪

মুম্বাইস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন-এ বঙ্গমাতা

বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এর জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন

 

মুম্বাই (ভারত), ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট):

          ’সংগ্রাম-স্বাধীনতা, প্রেরণায় বঙ্গমাতা’-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন মুম্বাই-এ আজ বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এর ৯৩তম জন্মবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হয়। এ উদ্দেশ্যে উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গনে তাঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন, বাণী পাঠ, বিশেষ আলোচনাসভা, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শণ এবং দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।   

          মুম্বাইস্থ বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার চিরঞ্জীব সরকার জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। এরপর তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সুদীর্ঘ আন্দোলন ও মুক্তিসংগ্রামের নেপথ্যের কারিগর, জাতির পিতার সক্রিয় সহযোগী, বাংলাদেশের প্রেরণা এবং মহীয়সী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।

আলোচনা সভায় উপ হাইকমিশনার বঙ্গমাতার বর্ণাঢ্য ও গৌরবময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন অসাধারণ দূরদৃষ্টিম্পন্ন বঙ্গমাতা ছোটবেলা থেকেই ছিলেন দৃঢ়চেতা ও বলিষ্ঠ চরিত্রের অধিকারী । তিনি ছিলেন নির্লোভ, নিরহংকার ও পরোপকারী এক মহান ব্যক্তিত্ব। বিত্ত-বৈভব ও ক্ষমতা তাঁকে আকৃষ্ট করতে পারেনি। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সহধর্মিণী হয়েও তিনি সাদামাটা জীবনযাপন করতেন। তিনি একদিকে বঙ্গবন্ধুর পরিবার সামাল দিয়েছেন এবং অপরদিকে জাতির পিতাকে দিয়েছেন সাহস ও অনুপ্রেরণা। এভাবেই তিনি বাংলাদেশের স্বাধীকার আন্দেলনে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা উত্তোর দেশ পুনর্গঠনের কাজে বঙ্গমাতা দৃঢ়তা, সাহসিকতা ও দূরদর্শিতার এক উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাঁর অপরিসীম ত্যাগ-তিতিক্ষা, সহমর্মিতা ও বিচক্ষণতাই তাঁকে বঙ্গমাতার আসনে আসীন করেছে। এসময়ে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যবর্গ, বঙ্গমাতার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল ও সমৃদ্ধি কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এরপর বঙ্গমাতার জীবনভিত্তিক একটি প্রামাণ্যচিত্র ও প্রদর্শণ করা হয়।                                                                 

          উপ-হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা/কর্মচারী, প্রবাসী বাংলাদেশী এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

#

 

চিরঞ্জীব/এনায়েত/জয়নুল/২০২৩/১৭৫০ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ৪৪৩

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট) :  

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৫ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ২ দশমিক ১৩ শতাংশ। এ সময় ১ হাজার ৬৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।                    

 

গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৭৫ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১১ হাজার ৯৭৬

2023-08-10-15-19-f44560d7d14e1e0031318893412c1df6.docx