তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৩৮২
মুজিববর্ষে বেকারদের জন্য আসছে ‘বঙ্গবন্ধু যুব ঋণ’ প্রকল্প
---যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ আষাঢ় (১ জুলাই) :
মুজিববর্ষে কেউ যাতে বেকার না থাকে, সে উপলক্ষে কর্মসংস্থান ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করে ‘বঙ্গবন্ধু যুব ঋণ’ নামে একটি প্রকল্প চালুর ব্যবস্থা করেছে সরকার। যেখানে ২০ হাজার থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনা জামানতে ঋণ সুবিধা দেওয়া হবে।
করোনাকাল ও পরবর্তী বাংলাদেশ নিয়ে আওয়ামী লীগের বিশেষ ওয়েবিনার ‘বিয়ন্ড দ্য প্যানডেমিক’-এর অষ্টম পর্ব অনুষ্ঠানে গতকাল মঙ্গলবার যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ হাসান রাসেল এ কথা বলেন।
আলোচনায় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ হাসান রাসেল বলেন, “করোনার প্রভাবে সারা বিশ্বের মতো আমাদের যুব সম্প্রদায়, যারা বিভিন্ন কর্মস্থানে আছেন, তারা অনেকেই আংশিক বা পুরোপুরি বেকার হয়ে যাবেন। এই হঠাৎ বেকার হয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, যারা গ্রামে চলে গেছেন বা যাবেন ভাবছেন, তাদের সেখানেই আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য এবং তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং তাদের জন্য লোনের ব্যবস্থা করে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছি। আগে লোনের ক্ষেত্রে যে ইন্টারেস্ট দিতে হতো, আমরা সেটা অর্ধেকে নামিয়ে নিয়ে এসেছি। এ মুজিববর্ষে কেউ যাতে বেকার না থাকে, সে উপলক্ষে কর্মসংস্থান ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করে ‘বঙ্গবন্ধু যুব ঋণ’ নামে একটি প্রকল্প চালুর ব্যবস্থা করেছি, যেখানে সর্বনিম্ন ২০ হাজার থেকে সর্বাধিক পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনা জামানতে ঋণ সুবিধা দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা সারা দেশে বেকার হয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আর সে হিসেবে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব। আমাদের টার্গেট রয়েছে, আগামী তিন বছরের মধ্যে ১২ লাখ দক্ষ যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।’
তিনি আরও বলেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনস্হ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে কর্মহীন হয়ে পড়া যুবকরা এ ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন।
উক্ত ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যুবকরা অগ্রাধিকার পাবেন বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিশেষ ওয়েবিনারের অষ্টম পর্বে বক্তারা তরুণদের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ নির্মাণের মূল যোদ্ধা হিসেবে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। দলের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে প্রচারিত এ লাইভ অনুষ্ঠানে তাঁরা বলেন, 'আমাদের ভবিষ্যৎ স্বপ্ন অর্জনে তরুণরাই হচ্ছে মূল যোদ্ধা।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদের সঞ্চালনায় ওই ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর এবং গুরুকুল অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম-এর প্রতিষ্ঠাতা সুফি ফারুক ইবনে আবুবকর।
#
আরিফ/নাইচ/মোশারফ/আব্বাস/২০২০/২০৫২ ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৩৮১
সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন করোনায় আক্রান্ত ভোলার জেলা জজ মাহমুদুল হক
ঢাকা, ১৭ আষাঢ় (১ জুলাই)
সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন করোনায় আক্রান্ত ভোলার জেলা ও দায়রা জজ এবিএম মাহমুদুল হক।
আজ ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হয় তাঁকে। গতকাল ৩০ জুন তাঁর করোনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে।
তিনি করোনা ভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ভোলায় বাসা থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন, কিন্তু গত ২১ জুন তীব্র শ্বাসকষ্ট অনুভব করায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্দেশে তাঁকে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে করে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড সেন্টারে স্থানান্তর করা হয়।
এরপর আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্দেশে আইন সচিব গোলাম সারওয়ার ও বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশনের মহাসচিব বিকাশ কুমার সাহা সার্বক্ষণিক তাঁর চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিচ্ছিলেন এবং মন্ত্রীকে তা নিয়মিত অবহিত করছিলেন ।
ভোলার জেলা জজ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আজ সন্তষ্টি প্রকাশ করে বলেন, তাঁর মতো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত অন্য সকল বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা- কর্মচারী এই ভাইরাসকে পরাজিত করে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবেন এবং তাঁরা আবারও নিজ নিজ কর্মে ফিরে গিয়ে জনগণের সেবায় আত্মনিয়োগ করবেন, ইনশাল্লাহ।
#
রেজাউল/নাইচ/মোশারফ/আব্বাস/২০২০/২০১৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৩৮০
সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল
কানেকটিভিটি নিশ্চিত করা হবে
--- টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ আষাঢ় (১ জুলাই)
দেশের শতকরা ৬৫ ভাগ তরুণ জনগোষ্ঠীকে মানব সম্পদে পরিণত করতে শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর অপরিহার্য। শিক্ষার জন্য দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিরবচ্ছিন্ন কানেকটিভিটি নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য সবকিছু করতে সরকার বদ্ধপরিকর। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি ক্লাস ডিজিটাল করার বিকল্প নেই। ইতোমধ্যে ৫শত ৮৭টি প্রতিষ্ঠানে ফ্রিওয়াইফাই জোন বাস্তবায়ন হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফ্রিওয়াইফাই জোন সৃষ্টির পাশাপাশি বিটিসিএল এবং টেলিটকের প্রযুক্তি সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। হাওর, দ্বীপ কিংবা চরাঞ্চলসহ দেশের যে কোনো দুর্গম এলাকা ডিজিটাল সংযুক্তি থেকে বাদ যাবে না।
মন্ত্রী নেত্রকোণা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত মুজিববর্ষ, ডিজিটাল বাংলাদেশ ও সেবার মানোন্নয়ন শীর্ষক “অনুষ্ঠানে জুম কনফারেন্সিংয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থা সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, আগামী দিনে ডিজিটাল প্রযুক্তি ছাড়া জীবনযাপন অকল্পনীয়। আগামী দিনের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রত্যেককেই ডিজিটাল পদ্ধতিতে কাজ জানতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তি গ্রহণের জন্য কেবল আগ্রহ থাকলেই যে কারো পক্ষে প্রযুক্তি আয়ত্ত করা সম্ভব।
বাংলাদেশ আজ বিশ্বে অনুকরণীয় এক দৃষ্টান্ত বলে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালে করোনাকালে মনে হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ না থাকলে জীবনযাত্রা সচল থাকতো না। এটি এখন শ্বাস প্রশ্বাসের মতোই অপরিহার্য। অফিস হচ্ছে এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিজের মন্ত্রণালয়ের দশটি প্রতিষ্ঠানে অন লাইনে তদারকি করতে পারছি। সবাই করছে। এদেশের ছেলেরা অ্যাপ তৈরি করছে। মোট কথা দেশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্বের জায়গায় উপনীত হয়েছে। বিদেশীরাও আমাদের কাছে প্রযুক্তি চাচ্ছে, আমাদের অনুসরণ করছে। বাংলাদেশের বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো সবার হাতে প্রযুক্তি পৌঁছানো। আমরা ইতোমধ্যে সে কাজটিও সম্পন্ন করেছি। ইতোমধ্যেই ২০২১ সালে ৫জি প্রযুক্তি দুনিয়ায় যাত্রা শুরু করার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে দ্রুত গতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের আওতায় আসছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু, সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান শেফালি, পুলিশ সুপার মোঃ আকবর আলী, নেত্রকোণা প্রেসক্লাব সভাপতি এবং জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষক প্রতিনিধিগণ বক্তৃতা করেন।
#
শেফায়েত/নাইচ/মোশারফ/আব্বাস/২০২০/২০১৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৩৭৯
কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১৭ আষাঢ় (১ জুলাই) :
ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (এনডিআরসিসি) থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ৬৪ জেলায় ইতোমধ্যে ২ লাখ ১১ হাজার ১৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া শিশু খাদ্য-সহ অন্যান্য সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ১২২ কোটি ৯৭ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বরাদ্দকৃত এ সাহায্য দেশের সকল জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী আজ দেশে নতুন করে আরো ৩ হাজার ৭৭৫ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৪৯ হাজার ২৫৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১ জন-সহ এ পর্যন্ত ১ হাজার ৮৮৮ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ হাজার ৮৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৬২ হাজার ১০২ জন।
এখন পর্যন্ত সর্বমোট ২৫ লাখ ২৮ হাজার ২৪৫টি পিপিই সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে মোট বিতরণ করা হয়েছে ২৩ লাখ ৮৭ হাজার ৩৬৪টি এবং মজুত আছে ১ লাখ ৪০ হাজার ৮৮১টি।
সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান এবং এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের সেবা প্রদান করা যাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে।
#
তাসমীন/নাইচ/মোশারফ/আব্বাস/২০২০/২০১১ ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৩৭৮
লতিফুর রহমানের মৃত্যুতে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর শোক
ঢাকা, ১৭ আষাঢ় (১ জুলাই)
বিশিষ্ট শিল্পপতি ও ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এবং পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম।
প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী পৃথক শোকবার্তায় প্রয়াতের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন ও শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
উল্লেখ্য, আজ বুধবার সকালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নিজস্ব বাসভবনে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।
#
আসিফ/নাইচ/মোশারফ/আব্বাস/২০২০/১৯৫৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৩৭৭
পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তির ক্ষেত্রে বয়সের কোনো সীমাবদ্ধতা থাকবে না
---শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি
ঢাকা, ১৭ আষাঢ় (১ জুলাই):
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বর্তমান সরকার চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প ৪১ বাস্তবায়নে কারিগরি শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। তাই কারিগরি শিক্ষায় ভর্তির হার বৃদ্ধির লক্ষ্যে এবং বিদেশ ফেরত দক্ষ কর্মীদের প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়ার জন্য পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে কোনো রকমের বয়সের সীমাবদ্ধতা রাখা হবে না।
মন্ত্রী আজ কারিগরি শিক্ষার উন্নয়ন সংক্রান্ত ভার্চুয়াল মিটিংয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মুনশী শাহাবুদ্দীনের সভাপতিত্বে এই মিটিংয়ে আরো যুক্ত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সফিউদ্দিন আহমেদ, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ সানোয়ার হোসেন, মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর কায়সার আহমেদ, কারিগরি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোঃ মুরাদ হোসেন মোল্লা-সহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন অনেক ব্যক্তির হয়তো প্রয়োজনীয় কারিগরি দক্ষতা আছে কিন্তু তার প্রাতিষ্ঠানিক কোনো সার্টিফিকেট নেই এবং সার্টিফিকেট না থাকার কারণে ভালো চাকরি পাচ্ছে না অথবা চাকরি পেলেও ভালো বেতন পাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে সে ব্যক্তি যদি চায় এবং যদি তার প্রয়োজনীয় একাডেমিক যোগ্যতা থাকে তাহলে সে ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হতে পারবে।
একই মিটিংয়ে তিনি ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে ছেলেদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম যোগ্যতা জিপিএ ৩.৫ থেকে কমিয়ে ২.৫, মেয়েদের ক্ষেত্রে জিপিএ ৩ থেকে কমিয়ে ২.২৫ করার সিদ্ধান্ত দেন। পাশাপাশি ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি ফি ১৮২৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১০৯০ টাকা করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেন।
তাছাড়া মন্ত্রী এ মাসের মধ্যে কারিগরি মাদ্রাসা বিভাগের শিক্ষকদের এমপিওর অর্থ ছাড় করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ প্রদান করেন।
বৈঠকে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপনের নীতিমালা, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর আইন ২০২০ ও এর নিয়োগবিধি প্রণয়ন-সহ কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
#
খায়ের/নাইচ/মোশারফ/আব্বাস/২০২০/১৯৫৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৩৭৬
সারাদেশে রেকর্ড পরিমাণ আউশের আবাদ বেড়েছে ২ লাখ হেক্টর জমি
ঢাকা, ১৭ আষাঢ় (১ জুলাই):
বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রভাবে সম্ভাব্য খাদ্য সংকট মোকাবিলা করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি ইঞ্চি জমিতে ফসল ফলাতে নিরলসভাবে কাজ করছে কৃষি মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে করোনা ভাইরাসের দুর্যোগের মাঝেও লক্ষ্যমাত্রার অধিক বোরো ফসল সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। এখন আউশ ও আমন উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রচেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে আউশ ধান বীজ, আমন ধান বীজ, পাট বীজ, সার, সেচসহ বিভিন্ন প্রণোদনা কৃষকের মাঝে সুষ্ঠুভাবে বিতরণ করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৫৬৬ হেক্টর জমিতে আউশ চাষ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৩ লাখ ২৯ হাজার ৬০০ হেক্টর। আর গত বছরের তুলনায় ২ লাখের বেশি হেক্টর জমি বেড়েছে এবার। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১১ লাখ ৩৪ হাজার হেক্টর জমিতে আউশ চাষ হয়েছিল, উৎপাদন হয়েছিল ৩০ লাখ ১২ হাজার মেট্রিক টন। এ বছর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৬ লাখ ৪৪ হাজার ৮শ মেট্রিক টন। ফলে আশা করা হচ্ছে, গত অর্থবছরের চেয়ে এবার আউশ উৎপাদন কয়েক লাখ টন বাড়বে।
আউশ আবাদ বৃদ্ধির জন্য ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৪৩৪ জন কৃষককে কৃষি প্রণোদনার আওতায় বীজ ও সার এবং ৮২ হাজার ৪০০ জনকে বীজসহ মোট ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৮৩৪ জন কৃষককে সরকারি সহায়তা হিসাবে কৃষি উপকরণ দেওয়া হয়েছে। মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাগণ করোনার দুর্যোগের মাঝেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কৃষকের পাশে থেকে আউশ আবাদে উদ্বুদ্ধ করেছেন, সহায়তা করেছেন। পাশাপাশি, যথাসময়ে বৃষ্টিপাত হওয়ায় আবহাওয়া আবাদের অনুকূলে ছিল এবং বোরো ধানের ভাল দাম পাওয়ায় কৃষকেরা ধান চাষে আগ্রহী হয়েছেন।
এছাড়াও ২০২০-২১ অর্থ বছরে আমন আবাদের প্রস্তাবিত লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৫৯ লাখ হেক্টর ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১ কোটি ৫৬ লাখ মেট্রিক টন চাল। আমন উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কম ফলনশীল জাতের আবাদ কমিয়ে আধুনিক/উফশি জাতের সম্প্রসারণ ও হাইব্রিড জাতের এলাকা বৃদ্ধির কার্যক্রম চলছে। এর সাথে, মানসম্পন্ন বীজের প্রাপ্যতা নিশ্চিতকরণ, সুষম সারের নিশ্চয়তা, পর্যাপ্ত সেচের ব্যবস্থা, সেচ খরচ হ্রাসকরণসহ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
আমনে উৎপাদন বাড়াতে এবারই সরকার প্রথম বীজে ভর্তুকি প্রদান করেছে। কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে বিএডিসি’র ১৯ হাজার ৫০০ মে. টন আমন ধান বীজ চাষী পর্যায়ে বিক্রয়ের জন্য ২০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়া হয়েছে। বিএডিসি তাদের ঘোষিত নির্ধারিত বিক্রয়মূল্যের চেয়ে কেজি প্রতি ১০ টাকা কম দামে উফশী আমন ধানবীজ ও হাইব্রিডের ক্ষেত্রে কেজি প্রতি ৫০ টাকা কম দামে চাষী পর্যায়ে বীজ বিক্রি করেছে।
#
কামরুল/নাইচ/মোশারফ/আব্বাস/২০২০/১৯৪৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৩৭৫
অপচেষ্টার মাধ্যমে চালের বাজার অস্থিতিশীল করা হলে কঠোর অবস্থানে যাবে সরকার
---খাদ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ আষাঢ় (১ জুলাই):
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, এবার বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে; এই ভরা মৌসুমে চালের বাজার অস্থিতিশীল হয়ার কোনো কারণ নেই। যদি কেউ অপচেষ্টার মাধ্যমে চালের মূল্য বৃদ্ধি করার চেষ্টা করে তাহলে কঠোর অবস্থানে যাবে সরকার; প্রয়োজনে সরকারিভাবে চাল আমদানি করার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন খাদ্যমন্ত্রী।
আজ 'বাজারে চালের মূল্য স্থিতিশীল রাখার বিষয়ে আলোচনা' শীর্ষক এক সভায় মন্ত্রীর মিন্টো রোডস্থ সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সমন্বয় ও সঞ্চালনা করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন দেশের ৮টি বিভাগের বিভাগীয় কমিশনারগণ, ৮ বিভাগের বিভাগীয় চালকল মালিক সমিতির দু'জন করে প্রতিনিধি, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকগণ, খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
সভায় উপস্থিত চালকল মালিকদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চালের বাজার স্থিতিশীল রাখেন, সরকারের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী সরকারি গুদামে চাল সরবরাহ করেন; যদি তা না করেন তবে সরকার চাল আমদানিতে যেতে বাধ্য হবে। কিন্তু সরকার আমদানিতে যেতে চায় না; গেলে মিলারদের লোতসান হবে এবং যে সমস্ত কৃষক ধান ধরে রেখেছে তারাও লোকসানে পড়বে। এই সময়ে যে সমস্ত মিল এগিয়ে আসবে তাদেরকে এ বি সি এভাবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে চিহ্নিত করার জন্য ইতিমধ্যেই খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেসব মিলকে পরবর্তীতে সেভাবে মূল্যায়ন করা হবে- জানান মন্ত্রী।
মিলারদের উদ্দেশে মন্ত্রী আরো বলেন, এই করোনাকালে সবাই বিপদগ্রস্ত। এবার মানুষকে সেবা করার সুযোগ রয়েছে। সেবার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসুন। কথা স্মারণ করে মন্ত্রী বলেন, ২০১৭ সালে হাওড়ে বন্যার সময় সরকারিভাবে চালের সংগ্রহ বাধাগ্রস্ত হলে সরকার চাল আমদানির উপর ট্যাক্স ফ্রি করে দিয়েছিল ফলে ৪০ লাখ মেট্রিক টন চাল বিভিন্নভাবে আমদানি করা হয়। সে কারণে সেই বছর মিল মালিকরা এবং কৃষক উভয়েই চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তিনি বলেন, কৃষক বাঁচলে ধান উৎপাদিত হবে এবং আপনারা চালকল মালিকগণ বেঁচে থাকবেন। কৃষক যাতে বিপাকে না পড়ে; বিশেষ করে প্রান্তিক কৃষক যেন ধানের ন্যায্য মূল্য পায় সেজন্য এবার ৮ লাখ মেট্রিক টন ধান কেনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ইতোমধ্যেই কৃষক তার ধানের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে।
মন্ত্রী মিলগেট থেকে কোন ধান কত দামে বিক্রি হচ্ছে তা যাচাই করা এবং মনিটরিং করার জন্য উপস্থিত বিভাগীয় কমিশনারদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।
সঠিক সময়ে চাল দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আপনারা সাপ্তাহিক, পাক্ষিক একটা সিলিং করে নেন; কখন, কি পরিমাণ চাল সরকারি খাদ্য গুদামে সরবরাহ করবেন। সরকার সকল ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা দিচ্ছে; অতএব সেই প্রণোদনার অংশীদারিত্বের সুযোগ আপনারাও নিতে পারবেন বলে উপস্থিত মিল মালিকদের অবহিত করেন খাদ্যমন্ত্রী। সরকারিভাবে চালের মূল্য বৃদ্ধি করা কোনোভাবেই হবে না জানান তিনি।
#
সুমন/নাইচ/মোশারফ/আব্বাস/২০২০/১৯৩৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৩৭৪
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে High Flow Nasal Cannula Machine দিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ আষাঢ় (১ জুলাই):
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ২টি High Flow Nasal Cannula Machine ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রদান করেছেন। করোনা রোগীসহ মুমূর্ষু রোগীকে অক্সিজেন সরবরাহের কাজে এ মেশিন ব্যবহার করা হয়।
অস্ট্রেলিয়া থেকে আমাদানিকৃত এ চিকিৎসা সামগ্রী আজ দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর ছোট ভাই মোঃ সাইফুল আলম এ চিকিৎসা সামগ্রী হস্তান্তর করেন।
শীঘ্রই পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ক্রয়কৃত আরো দু’টি High Flow Nasal Cannula Machine ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জন্য প্রদান করা হবে। ইতঃপূর্বে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী করোনা আক্রান্ত পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের চিকিৎসার জন্য তিনটি ভেন্টিলেটর পুলিশ হাসপাতালে প্রদান করেন।
চিকিৎসা সামগ্রী হস্তান্তরের সময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পি এস মোঃ গোলাম মাওলা উপস্থিত ছিলেন।
#
তৌহিদুল/নাইচ/মোশারফ/আব্বাস/২০২০/১৮৫১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৩৭৩
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের গভর্নিং বোর্ডের সদস্য মনোনীত
ঢাকা, ১৭ আষাঢ় (১ জুলাই):
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন, ২০১০ এর ধারা অনুযায়ী চেম্বার অভ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্টিজের প্রতিনিধি এবং মহিলা উদ্যোক্তাকে ২ বছরের জন্য বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের গভর্নিং বোর্ডের সদস্য মনোনীত করা হয়েছে।
চেম্বার অভ্ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর প্রতিনিধিরা হলো : চট্টগ্রাম চেম্বার অভ্ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহবুবুল আলম, মৌলভীবাজার চেম্বার অভ্ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি কামাল হোসেন, বাগেরহাট চেম্বার অভ্ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি শেখ লিয়াকত হোসেন; মহিলা উদ্যোক্তারা হলো : বাংলাদেশ ওমেন চেম্বার অভ্ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট সেলিমা আহমেদ, বাংলাদেশ ওমেন চেম্বার অভ্ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সঙ্গীতা আহমেদ এবং বিশেষায়িত ঢাকা চেম্বার অভ্ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট শামস মাহ্মুদ।
#
জিয়াউল/নাইচ/মোশারফ/আব্বাস/২০২০/১৮৪২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৩৭২
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শক্তির নাম কৃষক : টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
বিনা ভাড়ায় হাড়িভাঙা আম রাজধানীর পাইকারি বাজারে পরিববহন শুরু করেছে ডাক অধিদপ্তর
মিঠাপুকুর (রংপুর), ১৭ আষাঢ় (১ জুলাই):
মিঠাপুকুরের প্রান্তিক কৃষকদের উৎপাদিত ঐতিহ্যবাহী হাড়িভাঙা আম বিনা ভাড়ায় রাজধানীর পাইকারি বাজারে পরিববহন শুরু করেছে ডাক অধিদপ্তর। একই সাথে বিআরটিসি সামান্য ভাড়ার বিনিময়ে মিঠাপুকুরের আম পরিবহন কার্যক্রম চালু করেছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এর নির্দেশে বিনা মাশুলে এই সেবাটি চালু করা হয়। ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে এসব মৌসুমী ফল রাজধানীর বিভিন্ন মেগাসপ ও পাইকারি বাজারে বিপণন করা হবে। বিক্রয়লব্ধ টাকা কোনো মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়াই সংশ্লিষ্ট কৃষকের হাতে পৌঁছে যাবে। দেশব্যাপী ডাক পরিবহনে নিয়োজিত ঢাকা ফেরত গাড়িসমূহে বিনা মাশুলে প্রান্তিক কৃষকের পণ্য পরিবহনে সরকারের বাড়তি কোনো খরচেরও প্রয়োজন হবে না।
মন্ত্রী আজ বুধবার দুপুরে ঢাকায় তাঁর দপ্তর থেকে জুম ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রংপুরের মিঠাপুকুর থেকে বিনা মাশুলে রাজধানীতে মৌসুমি ফল পরিবহন সেবা উদ্বোধন করেন। রংপুর জেলা প্রশাসক মোঃ আসিব আহসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মোঃ নূর-উর-রহমান, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসএস ভদ্র, কৃষিবিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক
মোঃ ইউসুফ, বিশিষ্ট তরুণ নেতা আশেক রহমান, ডাক বিভাগের পরিচালক অসিত কুমার, মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন ভুইয়া এবং কৃষক প্রতিনিধি মতিনুর রহমান সরকার অনুষ্ঠানে সংযুক্ত থেকে বক্তৃতা করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শক্তির নাম কৃষক। করোনাকালে প্রান্তিক কৃষকের পাশে দাঁড়ানো ঐতিহাসিক দুঃসাহসিক কাজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুপ্রেরণায় মানিকগঞ্জ জেলার ঝিটকা থেকে আমরা প্রান্তিক কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য বিনা ভাড়ায় পরিবহনের কাজটি শুরু করেছি। কোভিড -১৯ এ সৃষ্ট বৈশ্বিক এই সংকটকালে জনগণের জন্য অত্যাবশ্যকীয় সেবাসমূহ সহজতর করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে সরকার গত ৯ মে থেকে কৃষকবন্ধু ডাক সেবা চালু করেছে। পাশাপাশি দেশের সাধারণ মানুষ বিশেষ করে পেনশনভোগীরা যাতে কষ্ট না পায় সে জন্য করোনাকালে দেশের সকল ডাকঘর আমরা চালু রেখেছি। হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। ডাকঘরকে জরুরি সেবার আওতাভুক্ত করা হয়। প্রান্তিক কৃষকদের বিনা ভাড়ায় পণ্য পরিববহনের বর্তমান এই ব্যবস্থাটি আপদকালীন তবে আমরা এটি স্থায়ী পদ্ধতিতে রূপান্তরের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আমরা কৃষকের পণ্য মাশুল ছাড়া পরিবহনের যে যাত্রাটি শুরু করেছি তা আমরা অব্যাহত রাখব। তিনি বলেন, সামনের যে কোনো কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ এখন প্রস্তুত। ডিজিটাল বাংলাদেশ অনেক প্রসারিত হয়েছে। জনগণকে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে শিক্ষিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী।
এইচ এন আশিকুর রহমান, ডাকঘরকে কৃষকবান্ধব করার মাধ্যমে জনগণের সাথে অধিকতর সম্পৃক্ত করার জন্য টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর উদ্যোগকে একটি যুগান্তকারী কর্মসূচি হিসেবে উল্লেখ করেন। তিন