Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১st মে ২০১৭

তথ্যবিবরণী ১ মে ২০১৭

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর :১১৯৯

সরকার উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগে আইন প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে
                                               --আইনমন্ত্রী
চট্টগ্রাম, ১৮ বৈশাখ (১ মে ):

    আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বর্তমান সরকার মনে করে উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগে একটা আইন হওয়া উচিত এবং সরকার এ আইন প্রণয়নের জন্য কাজ শুরু করেছে। তিনি বলেন, আমরা বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। তাই বিচার বিভাগ স্বাধীন হওয়ার জন্য যেসব কমকা- করা উচিত তা হাতে নেওয়া হয়েছে এবং এ সরকারই এ কাজগুলো সম্পন্ন করবে।
    গতকাল রাতে চট্টগ্রামে জেলা আইনজীবী সমিতির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
    আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আইনসভা, বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগ তখনই থাকে যখন দেশ থাকে। আর দেশ থাকতে হলে এই তিনটার সমন্বয় থাকতেই হবে। তার মানে এই নয় যে বিচার বিভাগ স্বাধীন থাকবে না। তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি, উন্নয়নের ক্ষেত্রে, দেশ গড়ার কাজে, দেশের জনগণের স্বার্থে এ তিন বিভাগের সমন্বয় প্রয়োজন। এ সমন্বয়ে সরকার কারো স্বাধীনতা খর্ব করে নেবে এ কথা আমরা কখনও বলিনি।’ তিনি আরো বলেন, দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে এই তিন বিভাগ যেন একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী না হয় কিংবা তিন বিভাগ যেন তিন দিকে না যায় সেজন্য সমন্বয় প্রয়োজন।
    মন্ত্রী বলেন, দেশে বিচার বিভাগ স্বাধীন হয়ে থাকলে সেটা প্রথম হয়েছিল ১৯৭২ সালে এবং এর মৃত্যু হয়েছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে।  তিনি বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা শুধু মুখে বললে হয় না। আমরা বিচার বিভাগের স্বাধীনতার কথা অনেক মুখে শুনেছি। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে স্বাধীন বিচার বিভাগ হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ আমলে এবং তার আমলেই গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিচার বিভাগ স্বাধীন হয়েছে।
    অনুষ্ঠানে আইনজীবীদেরকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণের পরামর্শ দিয়ে দেশে যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা রক্ষায় অবদান রাখার আহ্বান জানান আইনমন্ত্রী।
    চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি রতন কুমার রায়ের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু সালেহ শেখ মোঃ জহিরুল হক, বার কাউন্সিলের সদস্য শ ম রেজাউল করিম, চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফ প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
    চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ হেলাল উদ্দিন, মহানগর দায়রা জজ মোঃ শাহেনুর,  মুখ্য বিচারিক হাকিম মুন্সী মশিয়ার রহমান, মুখ্য মহানগর হাকিম একিউএম নাছির উদ্দিন ও বার কাউন্সিলের সদস্য ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুলও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
#
রেজাউল/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৭/১৭০২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর :১১৯৮

নাটোরের চলনবিল এলাকায় সাইক্লোন শেল্টার ও মুজিব কিল্লা নির্মাণ করা হবে
                                               ---দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী
সিংড়া (নাটোর), ১৮ বৈশাখ (১ মে ):

    দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীরবিক্রম বলেছেন, নাটোরের চলন বিলে চাহিদামত সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করা হবে। এই এলাকায় মানুষ প্রচুর গবাদি পশু পালন করে থাকেন। দুর্যোগকালে গবাদি পশু রক্ষার জন্য মুজিব কিল্লা নির্মাণ করা হবে।
    তিনি আজ নাটোরের চলন বিলে সাম্প্রতিক অতি বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং ত্রাণ বিতরণ করেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জোনায়েদ আহমেদ পলক, সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল, দুর্যোগ ব্যবস্থপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শাহ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ খালিদ মাহমুদ, জেলা প্রশাসক শাহিনা আক্তারসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন।
    মন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সমব্যথিত। ক্ষতিগ্রস্ত কোন মানুষ যাতে খাদ্যে কষ্ট না পায় এ জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ সহযোগিতা দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। ইতিমধ্যে নাটোর জেলার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ৩০০ মেঃ টন চাল, নগদ অর্থ, ঢেউটিন এবং ঘর করার জন্য নগদ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর পূর্বে তিনি নলডাঙ্গা উপজেলার হালতির বিলের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা দেখতে যান। তিনি সেখানে মানুষের দুঃখ দুর্দশার কথা শোনেন এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এসময় তিনি হালতির বিলে সদ্য নির্মিত গ্রাম প্রতিরক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করেন।
    মন্ত্রী পরে গুরুদাসপুর উপজেলা পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি সাধারণ মানুষের সাথে মতবিনিময় করেন। তাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে চান। তাদের দুঃখ দুর্দশায় সরকার তাদের পাশে থেকে সব ধরনের সহায়তা প্রদান করবে বলে মন্ত্রী তাদের আশ্বস্ত করেন। বিশেষত ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন এবং বাঁধ নির্মাণে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি সকলকে আশ্বস্ত করেন।
    নাটোর জেলায় সিংড়া উপজেলার ৩০০ হেক্টর জমি অতি বৃষ্টিতে নিমজ্জিত হয় এবং ১২০০ হেক্টর জমি আংশিক নিমজ্জিত হয়। এখানে ১০টি ঘর সম্পূর্ণ ও ২৮ টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
#
ফারুক/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৭/১৭৫২ ঘণ্টা


তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর :১১৯৭

মে দিবসে তথ্যমন্ত্রী
শ্রমিকবান্ধব রাজনীতি-অর্থনীতি গড়বে বৈষম্যমুক্ত সমাজ

ঢাকা, ১৮ বৈশাখ (১ মে ):

    ঐতিহাসিক মে দিবসের শ্রমিক-জনতা সমাবেশে ‘বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়তে শ্রমিকবান্ধব রাজনীতি-অর্থনীতি চর্চা’র ডাক দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

    আজ সকালে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ কার্যালয়ের সামনে জাতীয় শ্রমিক জোটের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি শ্রমিকস্বার্থ রক্ষায় ঐক্য রাখা আর জঙ্গি দমনের যুদ্ধে সামনে থাকার জন্য সমবেত সহ¯্রাধিক শ্রমিক, কর্মচারী, মজুর ও সর্বস্তরের পেশাজীবী মানুষের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

    ‘জঙ্গি ও তেঁতুলহুজুর গোষ্ঠী দেশ, নারী ও শ্রমিকের সবচেয়ে বড় শত্রু’ উল্লেখ করে ইনু বলেন, ‘এদের বর্জন করতে হবে, সতর্ক থাকতে হবে।’

    সমাজতান্ত্রিক নেতা হাসানুল হক ইনু এ সময় শ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের শ্রম আইনের আওতায় আনা, বাজারের সংগে মজুরি হালনাগাদ করা, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, গাফিলতি পরিহার করে শ্রম আইন হুবহু বাস্তবায়ন, সমকাজে নারী-পুরুষের সমমজুরি এবং ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার নিশ্চিত করার দাবি তুলে ধরলে সমবেত শ্রমিক-জনতা বিপুল হর্ষধ্বনিতে একাত্মতা জানায়।

    সমাবেশে সভাপতির ভাষণে শ্রমিক জোটের সভাপতি শিরীন আখতার এমপি বলেন, ‘ক্ষতিপূরণ কখনোই শ্রমিকের জীবনের বিনিময় হতে পারে না। শ্রম আইন বাস্তবায়ন ও কল-কারখানা পরিদর্শনে সরকারের জোরদার ভূমিকার মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে শ্রমিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’  

    মে দিবসের এ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক নাইমুল আহসান জুয়েল, সহ-সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, জাসদ মহানগর-উত্তরের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দিন মোল্লা, জাতীয় নারী জোটের আহ্বায়ক আফরোজা হক রীনা, জাতীয় যুব জোটের সভাপতি রোকনুজ্জামান রোকন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব শামীম প্রমুখ।

#
আকরাম/মাহমুদ/আব্বাস/২০১৭/১৭১২ ঘণ্টা

 

 

Todays handout (1).docx