তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৮২৯
গুণিজনদের স্বীকৃতি প্রদান আমাদের নৈতিক দায়িত্ব
-- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৫ অগ্রহায়ণ (১০ ডিসেম্বর) :
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, গুণিজনদের স্বীকৃতি প্রদান আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। মহাকাল নাট্য সম্প্রদায় সেই দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকে দেশের সংস্কৃতি ক্ষেত্রে যেসব গুণিজন ও প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে তাদের সম্মাননা জানিয়ে আসছে। স্বনামধন্য এ নাট্যদল প্রতিবছর নিয়মিত নাট্যোৎসব আয়োজন করে আসছে। সংস্কৃতির ক্ষেত্রে এমন উৎসব আমাদের অনুপ্রাণিত করে।
প্রতিমন্ত্রী আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী'তে মহাকাল নাট্য সম্প্রদায় আয়োজিত বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা নাট্যোৎসব-২০২১ উপলক্ষে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে ৫০ বছরে সংস্কৃতিচর্চা, মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যে সকল প্রতিষ্ঠান নিয়মিত গবেষণা ও প্রসারে ভূমিকা রেখে চলেছে, এমন ৯টি প্রতিষ্ঠানকে বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা নাট্যোৎসবের অংশ হিসেবে সম্মাননা প্রদান করছে মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, সিরাজগঞ্জ উত্তরণ মহিলা সংস্থা, থিয়েটার পত্রিকা, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, ছায়ানট, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার, কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলা, পিপলস থিয়েটার এসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ থিয়েটার আর্কাইভস।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে সামদানি আর্ট ফাউন্ডেশন ও সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) আয়োজিত "Witnessing History in the Making Photographs by Anne de Henning Bangladesh 1971-1972" শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন এবং জাতীয় চিত্রশালা ভবনের ৪ নং গ্যালারিতে প্রদর্শনীটি ঘুরে দেখেন।
#
ফয়সল/এনায়েত/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২১৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৮২৮
সোনার বাংলা গড়তে তরুণ প্রজন্মকে শিক্ষার
পাশাপাশি সংস্কৃতিমনা করে তুলতে হবে
-- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৫ অগ্রহায়ণ (১০ ডিসেম্বর) :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, দ্রুত সোনার বাংলা গড়তে তরুণ প্রজন্মকে শিক্ষার পাশাপাশি সংস্কৃতিমনা করে তুলতে হবে। পরিচ্ছন্ন আগামীর জন্য সংস্কৃতি চর্চা অপরিহার্য।
প্রতিমন্ত্রী আজ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষ্যে সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এবং সামদানী আর্ট ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ‘উইটনেসিং হিস্ট্রি ইন দ্য মেকিং : ফটোগ্রাফস্ বাই এ্যান ডি হেনিং’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিখ্যাত ফরাসি ফটোগ্রাফার এ্যান ডি হেনিং ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মাত্র ২৫ বছর বয়সে বাংলাদেশে এসে মুক্তিযুদ্ধের দুর্লভ ছবি তোলেন। জনগণের উচ্ছ্বাস এবং 'জয় বাংলা' স্লোগানে তিনি মুগ্ধ হন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি আবার বাংলাদেশে আসেন শুধু বঙ্গবন্ধুর ছবি তোলার জন্য। মুক্তিযুদ্ধের এসব দুর্লভ ছবি আগামী প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আরো আগ্রহী করে তুলবে।
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, মাত্র ২৫ বছর বয়সে এ্যান ডি হেনিং বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষের কাছে ছুটে এসে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের ছবি তোলেন। ১৯৭২ সালে আবার বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের ছবি তোলেন। তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সামদানী আর্ট ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট নাদিয়া সামদানি। প্রদর্শনীটি ১০-৩১ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত চলবে।
#
আসলাম/রাহাত/এনায়েত/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২০৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৮২৭
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন
করতে হলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে
-- গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী
ময়মনসিংহ, ২৫ অগ্রহায়ণ (১০ ডিসেম্বর) :
গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে হলে তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ ময়মনসিংহ মুক্ত দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে জেলার মুক্তমঞ্চে জেলা প্রশাসন আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন জাতির কল্যাণে কাজ করেছেন। মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাঁরা নিঃস্বার্থভাবে নিজের জীবন বাজি রেখে দেশ ও দেশের মানুষের মুক্তির জন্য যুদ্ধ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির পিতার আদর্শের মূলমন্ত্র ছিল দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণ ও মুক্তি। সে আদর্শ বাস্তবায়ন করতে হলে বর্তমান প্রজন্মকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে।
জেলা প্রশাসক মোঃ এনামুল হকের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল, জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ জেলা আওয়ামী লীগ এবং এর বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
রেজাউল/রাহাত/এনায়েত/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৮২৬
বিশ্বের প্রথম ডিজিটাল ডাকটিকিট প্রদর্শনীর উদ্বোধন
করলেন ডাক ও টেলি যোগাযোগ মন্ত্রী
ঢাকা, ২৫ অগ্রহায়ণ (১০ ডিসেম্বর) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, আমরা গর্বিত জাতি যে বিশ্বের প্রথম ডিজিটাল ডাকটিকিট প্রদর্শনীর আয়োজন করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে ওঠায় এই ঐতিহাসিক কাজটি আমরা করতে পেরেছি। এটি বাঙালি জাতির গর্ব, বাংলাদেশের গর্ব। আমাদের ডাকটিকিট বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে যে কেউ ডিজিটাল পদ্ধতিতে এখন দেখতে পাবে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় ফেডারেশন অব ইন্টার এশিয়া ফিলাটেলির সহযোগিতায় বাংলাদেশ ফিলাটেলিক ফেডারেশনের উদ্যোগে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু ২০২১ শীর্ষক প্রথমবারের মতো ভার্চুয়াল স্মারক ডাকটিকিট প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ফিলাটেলিক ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. কাজী শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মোঃ খলিলুর রহমান, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ সিরাজ উদ্দিন, এফআইপি প্রেসিডেন্ট বার্নার্ড বেস্টন এবং এফআইএপি প্রেসিডেন্ট ড. প্রকোপ চিরাকীতি ভার্চুয়ালি সংযুক্ত থেকে বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী বলেন, স্মারক ডাকটিকিট ইতিহাসের বাহক। স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশের মাধ্যমে রেখে যাওয়া জ্ঞান প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে স্মরণীয় করে রাখা যায়। ডাকটিকিট ইতিহাসকে চোখের সামনে দৃশ্যমান করতে পারে। টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বঙ্গবন্ধু ২০২১ শীর্ষক আন্তর্জাতিক ডাক প্রদর্শনীকে একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজ বপন করে গেছেন। তিনি তার সাড়ে তিন বছরের শাসনে যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়েও সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার বীজ বপন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় তাঁরই সুযোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে তৃতীয় শিল্পবিপ্লবের অংশীদার করেন ও ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বিপ্লবের মাধ্যমে ২০২১ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অভিযাত্রার ডাক দিয়েছিলেন। ফলশ্রুতিতে আজ বাংলাদেশ জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, বিশ্ব অর্থনীতি ফোরাম ২০১৬ সালে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ঘোষণা করেছে। এর ৮ বছর আগেই বাংলাদেশ পৃথিবীকে অবাক করে দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশে বিপ্লবের যাত্রা শুরু করে। এর এক বছর পর ব্রিটেন, ২০১৪ সালে ভারত এবং ২০১৯ সালে পাকিস্তান ডিজিটাল কর্মসূচির অভিযাত্রা শুরু করে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলি যোগাযোগ মন্ত্রী ৩টি উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন। প্রদর্শনীটি দেখার জন্য www.bangabandhu2021.com ওয়েবসাইটে লগইন করতে হবে।
পরে মন্ত্রী এই উপলক্ষ্যে একটি উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন।
#
শেফায়েত/রাহাত/এনায়েত/মোশারফ/সেলিম/২০২১/১৯৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৮২৫
অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতার সম্পর্ক ছাড়া চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দেয়া সম্ভব হবে না
---আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৫ অগ্রহায়ণ (১০ ডিসেম্বর) :
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেছেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে নেতৃত্ব দেয়াটাই আজ আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এজন্য সরকার, শিল্প ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দূরত্ব কমাতে হবে। অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতার সম্পর্ক ছাড়া চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে নেতৃত্ব দেওয়া সম্ভব হবে না।
প্রতিমন্ত্রী আজ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশন বিওন্ড’ উপলক্ষ্যে মুজিব হান্ড্রেড ২০২১ এক্সিবিশন ও সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জের উপযোগী জনশক্তি তৈরি করতে একইসঙ্গে গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীদের জন্য টপআপ ট্রেনিং, ফাস্ট ট্রাক ফিউচার লিডারস ইনকিউবেশন এন্ড ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ইউনিভার্সিটি ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে কুয়েট ও চুয়েটে একটি ইউনিভার্সিটি ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে আরো ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি বলেন, এসব ছাড়াও শ্রম থেকে প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতিতে রূপান্তরের অংশ হিসেবে দেশের ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট কাজে লাগাতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের পর আগামী বছর থেকেই প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদেরকে কম্পিউটারের ভাষা শেখানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য জাতীয় পাঠ্যক্রমে সংযুক্ত করা হচ্ছে কোডিং, প্রোগ্রামিং এবং প্রবলেম সলভিং দক্ষতা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসে চট্টগ্রাম হাইটেক পার্ক, খুলনা ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি (কুয়েট) ইনকিউবেশন সেন্টার এবং চিটাগাং ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি (চুয়েট) ইনকিউবেশন সেন্টার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা করোনা এবং ফোরআইআর যুগে কতটা র্যাপিড ও ম্যাসিভ পরিবর্তন হতে চলেছে তার অভিজ্ঞতা পেতে শুরু করেছি। আমাদের কাজের ও ব্যবসার ধরন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণের পদ্ধতি- সবই বদলে যাচ্ছে। এমনকি আমাদের বিনোদনের ধারাও পরিবর্তিত হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকছে না। সোশ্যাল মিডিয়া ও এন্টারটেইনমেন্ট প্লাটফর্মগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। তিনি বলেন, এনালিটিক্যাল ও এআই প্লাটফর্ম আমাদের বন্ধু। আর এ কারণেই এই প্রযুক্তিগুলো প্রশিক্ষণ ও রপ্তকরণের মাধ্যমে এই র্যাপিড ও ম্যাসিভ পরিবর্তনকে নিজেদের বাগে আনতে হবে।
এসময় ওয়ালটন হাইটেকের সঙ্গে ড্যাফোডিল ফ্যামিলি, এইচআর ফেডারেশনের সঙ্গে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ), ই-ক্যাবের সঙ্গে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) এবং আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডসহ মোট ৩০টি সমঝোতা চুক্তি হয়েছে।
দুই দিনের এই সম্মেলনে ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়, আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়, ইনডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও কুয়েটসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদের উদ্ভাবিত চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের উপযোগী রোবট, ড্রোন, ট্রাক্টরসহ নানা হাইটেক সমাধান উপস্থাপন করে।
#
শহিদুল/রাহাত/এনায়েত/মোশারফ/শামীম/২০২১/২০১৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৮২৪
শেখ হাসিনার কাছে চরম অমানবিক বিএনপির শিক্ষণীয় অনেক
----তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ২৫ অগ্রহায়ণ (১০ ডিসেম্বর) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা এবং আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর জিয়া ও খালেদা জিয়া চরম অমানবিক আচরণ করার পরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের প্রতি যে মহানুভবতা দেখিয়ে চলেছেন তা থেকে বিএনপির অনেক কিছু শিক্ষণীয়।
৭৩তম বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে আজ রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেসক্লাবে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী একথা বলেন।
মানবাধিকার নিয়ে বিএনপির নানা বিরূপ মন্তব্যের প্রসঙ্গ ধরে তথ্যমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, '১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগ নেত্রী দেশে ফিরে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে তাদের বাড়িতে একটা মিলাদ পড়াতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান তাকে সে বাড়িতে ঢুকতে দেননি, রাস্তায় বসে মিলাদ পড়াতে হয়েছিল। ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের ২২ জন নেতাকর্মীসহ ২৪ জন নিহতের পর সংসদে আনা শোক প্রস্তাবের প্রতি হাস্যরস করে বিএনপি নেতারা যখন বলেছেন শেখ হাসিনা নিজেই গ্রেনেড নিয়ে গিয়েছিলেন, তখনও বেগম জিয়া হেসেছেন। এবং নিজের জন্মের তারিখ বদলে দিয়ে খালেদা জিয়া ১৫ আগস্ট যখন সহাস্যে কেক কাটেন, এসব সময় তাদের মানবাধিকারের কথা মনে ছিল না, মনে থাকে না?'
মন্ত্রী এসময় গৃহকর্মীদের অধিকার রক্ষার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, নিজেদের ঘর থেকে শুরু করে আশেপাশে ও সমাজের মানুষের অধিকার রক্ষায় যদি আমরা পদক্ষেপ নিতে পারি, তবেই রাষ্ট্রে মানবাধিকার রক্ষা হবে।
সেই সাথে মানবাধিকার রক্ষায় যেসব দেশের কন্ঠ উচ্চকিত, সেইসব দেশে যখন মানুষের অধিকার রক্ষিত হবে, তখনই বিশ্ব পরিমন্ডলে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে, অন্যথায় মানবাধিকার শুধু একটি স্লোগান হয়েই থেকে যাবে, বলেন ড. হাছান মাহ্মুদ।
সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী সভাটি উদ্বোধন করেন। ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান মিয়ার সভাপতিত্বে ঢাকায় নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েন্টসিল (Rinchen Kuentsyl), জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সভাপতি কাজী রিয়াজুল হক এবং নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশীদ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
#
আকরাম/রাহাত/মোশারফ/আব্বাস/২০২১/১৭৫৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৮২৩
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ২৫ অগ্রহায়ণ (১০ ডিসেম্বর) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২০ হাজার ৫২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৬৯ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮১৯ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এ পর্যন্ত ২৮ হাজার ১৭ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।
করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৪৩ হাজার ৭৪০ জন।
#
ইউনুস/রাহাত/আব্বাস/২০২১/১৭১৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৮২২
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সঙ্গে আপোস করেন না
-শ ম রেজাউল করিম
ঢাকা, ২৫ অগ্রহায়ণ (১০ ডিসেম্বর) :
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কখনো সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সঙ্গে আপোস করেন না। তাঁর নেতৃত্বে সকলকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করতে হবে। বাঙালি সত্তার জন্য বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা লড়াই করেছিলাম। আবার যেন সাম্প্রদায়িক, স্বাধীনতাবিরোধী, উগ্র কোন পক্ষ রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে না পারে, সম্প্রীতির এ দেশকে আবার যেন কেউ সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করতে না পারে, সে বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকতে হবে।
আজ রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুভব বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের ২১তম বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ভ্রাতৃপ্রতিম মানসিকতায় হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানের ঊর্ধ্বে একটি পরিচিতি আছে, সেটা হলো আমরা বাঙালি, আমরা মানুষ। তবে কিছু মানুষরূপী অমানুষ এদেশে রয়েছে যাদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের লড়াই। মনে রাখতে হবে কদর্য লোকদের মৌলিক চরিত্রের প্রকাশ ধর্মের উপর নির্ভর করে না। বঙ্গবন্ধু কন্যা বারবার বলেন এ দেশ হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সকল ধর্মের মানুষের দেশ।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, নিজেদের বাংলাদেশের নাগরিক ভাবুন। কে কোথায় কী তির্যক মন্তব্য করলো, এটা ধরে রাখলে সামনে এগুনো যাবে না। দেশের নাগরিক হিসেবে আপনাদের দৃঢ়চেতা মানসিকতা রাখতে হবে। সংকটের মধ্যেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার জন্য কাজ করতে হবে। ভয় শূন্যচিত্ত নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে”।
এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ ত্রিশ লক্ষ শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত দেশ। আমাদের হাজার বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, কৃষ্টি হচ্ছে যার যার ধর্ম তারা পালন করবে। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর আবার সাম্প্রদায়িক রাজাকাররা স্বনামে-বেনামে নানাভাবে এ দেশ শাসন করেছে। কিন্ত এ সুযোগ তারা আর পাবে না। সম্মিলিতভাবে আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে হবে যার জন্য রাম-রহিমের রক্তে একাত্ম হয়ে আমরা স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে এনেছি। এ বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবো। শেখ হাসিনা সকল ধর্মের মানুষের সাথে আছেন।
অনুভব বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি ও সরকারের প্রাক্তন সচিব হীরালাল বালার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সরকারের প্রাক্তন সচিব ও সমিতির উপদেষ্টা ড. মিহির কান্তি মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক অতুল চন্দ্র মন্ডল, সদস্য মিন্টু কুমার মন্ডল এবং বার্ষিক সাধারণ সভার আহ্বায়ক জগদীশ চন্দ্র বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
#
ইফতেখার/মেহেদী/জুলফিকার/রেজ্জাকুল/মাসুম/২০২১/১৫২২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৮২১
নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানাতে মোবাইল অ্যাপ ও গেম তৈরি হচ্ছে
-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
মাদারীপুর, ২৫ অগ্রহায়ণ (১০ ডিসেম্বর):
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, মোবাইল অ্যাপ ও গেমসের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানাতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
আজ মাদারীপুর সদর উপজেলায় যুদ্ধক্ষেত্রে নির্মিত স্মৃতিসৌধে পুষ্প অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে শহিদ ও মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবর একই ডিজাইনে তৈরি করছে সরকার। মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া দেশের প্রতিটি জেলা ও ৪০১টি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স তৈরি হয়েছে। প্রত্যেক উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে উপজেলার সব মুক্তিযোদ্ধার নাম ও জেলা মুক্তিযোদ্ধাদের নাম জেলা কমপ্লেক্সে খোদাই করে লেখা হবে, সেই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
মোজাম্মেল হক আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রতিটি ইতিহাস পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। সেটা যুদ্ধ জয়ের গৌরব হোক কিংবা পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর নৃশংসতার হোক। সঠিক ইতিহাস জেনেই নতুন প্রজন্ম তাদের পথ বেঁছে নেবে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান, এমপি, জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ওবায়দুর রহমান খান এবং মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন খলিল বাহিনীর প্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।।
উল্লেখ্য, ১০ ডিসেম্বর মাদারীপুর মুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মাদারীপুরে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেন।
#
মারুফ/মেহেদী/জুলফিকার/রেজ্জাকুল/মাসুম/২০২১/১৪২২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৮২০
আনন্দের মধ্য দিয়ে শিক্ষার অন্যতম মাধ্যম পাপেট শো
-সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৫ অগ্রহায়ণ (১০ ডিসেম্বর) :
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, পাপেট শো তথা পুতুল নাচ কেবল নিছক বিনোদনের মাধ্যম নয়। এর মধ্য দিয়ে যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ ও শিক্ষণীয় বার্তা সমাজের সর্বস্তরে অতি সহজে পৌঁছে দেয়া যায়। শিশুদের দেশপ্রেমিক ও নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে শিল্পমাধ্যম পাপেট শো’র গুরুত্ব অপরিসীম।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বাংলাদেশ মহিলা সমিতি মিলনায়তনে মুজিবশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ঢাকা পাপেট থিয়েটার আয়োজিত 'বিজয়ের ৫০-এ পাপেট' শীর্ষক পাপেট শো অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ছোটবেলায় আমরা পুতুল নাচ দেখে বড় হয়েছি। যা সময়ের পরিক্রমায় গ্রাম-গঞ্জ ছাড়িয়ে শহরে স্থানান্তরিত হয়েছে। যদিও ধীরে ধীরে অন্যতম শিক্ষণীয় এ শিল্পমাধ্যম হারিয়ে যেতে বসেছে। তিনি আরো বলেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় পুতুল নাচ শিল্পের বিকাশ ও পৃষ্ঠপোষকতায় কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রতিবছর পুতুল নাচ সংক্রান্ত কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ আয়োজন করে থাকে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, পুতুল নাচকে ছড়িয়ে দিতে সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছে। শিশুদের মাঝে জনপ্রিয় এ শিল্পমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকার প্রয়োজনে এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত শিল্পী ও কলাকুশলীদের বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে।
ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউট (আইটিআই) বাংলাদেশ কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক দেবপ্রসাদ দেবনাথ ও বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব গোলাম সারওয়ার এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির লাইট ডিজাইনার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
#
ফয়সল/মেহেদী/জুলফিকার/রেজ্জাকুল/মাসুম/২০২১/১৪২২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৮১৯
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশ উত্থাপিত শান্তির সংস্কৃতি রেজুলেশন গৃহীত
-রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাত