Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৪

তথ্যবিবরণী ১৭ জানুয়ারি ২০২৪

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর : ২৪০১

 

বিদেশগামী কর্মীদের ভাষাগত দক্ষতা বৃদ্ধির দিকে জোর দিতে হবে

                                             -- প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ৩ মাঘ, (১৭ জানুয়ারি) :

 

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, বৈদেশিক কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে গন্তব্য দেশের ভাষা জানা খুবই জরুরি। বিদেশগামী কর্মীদের ভাষা প্রশিক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। যেসব দেশে আমাদের কর্মী প্রেরণের সুযোগ আছে, সেসব দেশের ভাষা প্রশিক্ষণের বিষয়টি অগ্রাধিকার দিতে হবে।

 

প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় কাকরাইলে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) এর সভাকক্ষে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। বিএমইটি’র মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ রুহুল আমিন।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতি বছর আমাদের কর্মী যাওয়ার সংখ্যা বাড়ছে, সেই অনুপাতে রেমিট্যান্স বৃদ্ধির লক্ষ্যে কী কী করা যায় তা নিয়ে কর্মপরিকল্পনা তৈরি ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি বলেন, রেমিট্যান্স বাড়াতে হলে সর্বাগ্রে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে।

 

প্রশিক্ষণের মানের বিষয়ে কোনো ছাড় নেই উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ কর্মী গড়ে তুলতে হবে। বিদেশগামী কর্মীদেরকে দক্ষ ও স্মার্ট মানবসম্পদে রূপান্তরিত হবে। দক্ষ ও স্মার্ট মানবসম্পদই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে।

 

সচিব বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে বৈদেশিক কর্মসংস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবছর ১০-১২ লাখ লোক বৈদেশিক শ্রমবাজারে কর্মসংস্থান লাভ করছে। সরকার অভিবাসন ব্যয় যৌক্তিক পর্যায়ে কমানোর লক্ষ্যে কাজ করছে। তিনি আরো বলেন, আমরা চাই প্রত্যেক প্রবাসী কর্মীর নিরাপদ কর্মসংস্থান নিশ্চিত হোক।

 

এরপর প্রতিমন্ত্রীর সাথে NRB CIP Association এর সভাপতি মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান ও মোহাম্মদ ইয়াছিন চৌধুরীর নেতৃত্বে NRB CIP Association এর নেতৃবৃন্দ এবং বায়রা’র সভাপতি মোঃ আবুল বাশার ও মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হায়দার চৌধুরী’র নেতৃত্বে বায়রা’র নেতৃবৃন্দ ফুলেল শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় করেন।

 

#

 

রাশেদুজ্জামান/পাশা/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/২২.৩০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                    নম্বর : ২৪০০

এলডিসি থেকে উত্তরণের পরও চীনের কাছে শুল্কমুক্ত সুবিধা চান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ৩ মাঘ, (১৭ জানুয়ারি) :

২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণের পরেও পণ্য রপ্তানিতে ডিউটি-ফ্রি-কোটা-ফ্রি সুবিধা অব্যাহত রাখার জন্য চীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। পাটজাত পণ্য আমদানির পাশাপাশি পাটশিল্প এবং চামড়া শিল্প খাতে বিনিয়োগের জন্য চীন আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলেও এসময় জানান প্রতিমন্ত্রী।

আজ ঢাকায় মন্ত্রণালয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর অফিস কক্ষে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সাক্ষাৎ করতে আসলে এসব কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে ২০২৬ সালে উত্তরণের পর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে এবং কৌশল নির্ধারণে কাজ করছে। বিভিন্ন দেশ ও আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থাগুলোর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) এবং অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি বা প্রেফারেন্সিয়াল ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট (পিটিএ) করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে এলডিসি গ্রাজুয়েশন পরবর্তী সময়েও বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা অব্যাহত রাখার জন্য চীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।

এসময় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, চীন বাংলাদেশের সাথে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে আগ্রহী। এই চুক্তি সম্পাদিত হলে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের পাশাপাশি বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ আরো বৃদ্ধি পাবে।

আহসানুল ইসলাম বলেন, দেশের পাট ও চামড়া উদীয়মান ও সম্ভাবনাময় একটি খাত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই দুই খাতের উন্নয়নে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পাট ও চামড়া শিল্পের উন্নয়নে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে ঈদুল আজহার দিন এক কোটির বেশি পশুর চামড়া ছাড়াও সারা বছর প্রচুর পশুর চামড়া সংগৃহিত হয়। যথেষ্ট লজিস্টিক সাপোর্ট না থাকায় এগুলো দ্রুত প্রসেসিং করা সম্ভব হয় না। যার ফলে চামড়া নষ্ট হয়ে যায়। চামড়া খাতকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ সরকার চামড়াজাত শিল্পের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করেছে উল্লেখ করে তিনি চামড়া শিল্পের উন্নয়নে চীন সরকারকে বাংলাদেশকে লজিস্টিক সাপোর্ট প্রদানসহ এ খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাট ও পাটজাত পণ্য উৎপাদনে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে। অভ্যন্তরীণ বাজার ব্যবস্থাপনার উন্নতি করে ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে পাটজাত পণ্য রপ্তানি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। পাটজাত পণ্যকে ২০২৩ সালের ‘বর্ষ পণ্য’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পাট ঐতিহ্যগতভাবেই দেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে আছে। পাট থেকে তৈরি সব পণ্য পরিবেশবান্ধব ও ব্যবহার উপযোগী। তিনি চীনে বাংলাদেশি আম, কাঁঠাল ও পেয়ারা ছাড়াও মানসম্মত তাজা খাবার, চিংড়ি, কাঁকড়া এবং ঈল মাছের চাহিদা থাকায় এসব পণ্য আরো বেশি রপ্তানি করার জন্য আহ্বান জানান। এছাড়া অন্যান্য কৃষি পণ্য এবং ফার্মাসিউটিক্যালস রপ্তানিরও আহ্বান জানান।

আহসানুল ইসলাম জানান, করোনা মহাসংকট এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর ইজরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী পণ্য সরবরাহ ব্যাঘাত ঘটছে। যার ফলে পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। পৃথিবীর সকল দেশ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেকটা সফল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সাক্ষাৎকালে চীনের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ থেকে আম আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করে পাট শিল্পে অফুরন্ত সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে বাংলাদেশ থেকে পাট পণ্য আমদানি এবং এখাতে বিনিয়োগের করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

#

হায়দার/পাশা/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/২২.২০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর: 2399

লাফিয়ে লাফিয়ে চালের দাম বাড়িয়েছেন, এখন সেভাবেই কমাতে হবে

                                                                       --খাদ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ৩ মাঘ ( ১৭ জানুয়ারি) :

 ভরা মৌসুমে আমন চালের দাম বাড়বে এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়িয়েছেন, এখন সেভাবেই কমাতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

মন্ত্রী আজ খাদ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ধান চালের বাজার ঊর্ধ্বগতিরোধ কল্পে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ হুঁশিয়ারি দেন।

মন্ত্রী বলেন, মিলগেটে ২ টাকা দাম বাড়লে পাইকারি বাজারে ৬ টাকা কেন বাড়বে প্রশ্ন রেখে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, অবৈধ মজুতকারী কিংবা অহেতুক দাম বাড়িয়ে দেওয়া ব্যাবসায়ী কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। সবাইকে জবাবদিহি করতে হবে। বিনা লাইসেন্সে যারা ধানের স্টক করছেন তারা কোনভাবেই ছাড় পাবে না বলে উল্লেখ করেন তিনি। সংকট তৈরি করা যাবেনা। প্রচুর ধান আছে। সরবরাহের ঘাটতি নেই। এসময় আরসি ফুড ও ডিসি ফুডদের ফুড গ্রেইন লাইসেন্সবিহীন মজুতদারী বন্ধ করতে ও লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য নির্দেশনা দেন সাধন চন্দ্র মজুমদার।

খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ সাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ ইসমাইল হোসেন, এফপিএমইউ এর মহাপরিচালক মোঃ শহিদুল আলম, খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ অটো মেজর রাইস মিল মালিক সমিতি, বাবু বাজার বাদামতলী বনিক সমিতি, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ব্যাবসায়ী সমিতি, চাল আমদানিকারকদের প্রতিনিধি ও খুচরা ব্যাবসায়ী প্রতিনিধিবৃন্দ মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।

পরে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার প্রেস ব্রিফ করেন।

#

কামাল/পাশা/সায়েম/সঞ্জীব/রফিকুল/শামীম/২০২৪/২০০৫ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                               নম্বর : ২৩৯৮

কৃষিপণ্যের মধ্যস¦ত্বভোগীদের ধ্বংস করে দেওয়া হবে

                                                              --- কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা, ৩ মাঘ (১৭ জানুয়ারি) :

             দেশে কৃষিপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে মধ্যস¦ত্বভোগীদের ধ্বংস করে দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুস শহীদ। তিনি বলেন, যে পদ্ধতি অনুসরণ করলে মধ্যস¦ত্বভোগীদের ধ্বংস করে দেওয়া যাবে আমরা সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চাই। আমরা ভোক্তাদের জন্য মার্কেট স্টাডি করতে চাই। মার্কেট মনোপলি না ওলিগপলি সেটি দেখে ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে এখনই তার কোন ডেডলাইন দেওয়া যাচ্ছে না।

            আজ সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রোস্টার। পরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকালে কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।

            মন্ত্রী বলেন, কত দিনের মধ্যে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে সে বিষয় ডেডলাইন দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য যতগুলো সেক্টর আছে সবাই একত্রিত হয়ে একটি সমন্বিত ব্যবস্থা নেব। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা নিয়েই আমরা বিষয়টি বাস্তবায়ন করতে চাই। তিনি বলেন, বেশি মুনাফার জন্য মানুষের বুকে চাকু মারলাম, সেটা তো হয় না। বাজার নিয়ন্ত্রণে  বাজার বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা নেওয়া হবে।

            কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে এগিয়ে যাওয়া। এগিয়ে যাওয়ার জন্য উন্নত প্রযুক্তির চাষাবাদ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য কৃষকদের উৎসাহিত করতে হবে। এখানে অনেক বিজ্ঞানী রয়েছেন, আমরা তাদের কাজে লাগাতে চাই। তিনি আরো বলেন, উৎপাদন যাতে বেশি হয়, ফসল যাতে বেশি হয়, সেজন্য আমরা কোন ভূমি খালি রাখতে চাই না। যেসমস্ত জায়গায় ফসল ফলানো যায়, সেখানে যাতে কৃষকরা উৎপাদনে উৎসাহিত হয়, আমরা সে পদক্ষেপ নেবো। প্রয়োজনে আমরা উঠান বৈঠক করবো। গ্রাম পর্যায়ে কৃষি সম্প্রসারণের কর্মকর্তারা রয়েছেন। প্রতিটি ইউনিয়নে তিনজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা  রয়েছেন। তারা প্রতিটি এলাকায় ঘুরে ফসলের সমস্যা কী, কীটনাশক সঠিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে কি না ও সঠিকমাত্রায় সার দিচ্ছে কি না- তা তদারকি করে থাকেন। সেই তদারকি আরো জোরদার করা হবে।

            জামার্নির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ বলেন, স্বাধীনতার সময় থেকে জার্মানির সঙ্গে আমাদের একটা সুসম্পর্ক রয়েছে। তারা আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। জার্মানি উন্নত দেশ, কৃষিতে উন্নত। তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা করবে। পূর্বাচলে আমরা একটি আন্তর্জাতিকমানের প্যাকিং হাউজ ও ল্যাব করতে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে জার্মানির কারিগরি সহযোগিতা দরকার। এ বিষয়েও তারা সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে।

            মন্ত্রী আরো বলেন, আমরা জার্মানিতে আম, আনারস, শাকসবজি রপ্তানি করতে চাই। তাদের বলেছি, কোয়ালিটির ব্যাপারে আমরা কোন আপস করবো না। উৎপাদনের ক্ষেত্রে মানের প্রশ্নে আপস করা হবে না। এক্ষেত্রে আমাদের জিরো টলারেন্স।

#

কামরুল/পাশা/সায়েম/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৪/২০৪৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                              নম্বর : ২৩৯৭

বিজিবি’র অভিযানে ২০২৩ সালে ২ হাজার ২৮৮ কোটি ৬৬ লক্ষাধিক টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ

ঢাকা, ৩ মাঘ (১৭ জানুয়ারি) :

            বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ২০২৩ সালে (জানুয়ারি হতে ডিসেম্বর পর্যন্ত) দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ২ হাজার ২৮৮ কোটি ৬৬ লাখ ৭ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে।

            জব্দকৃত চোরাচালান পণ্যের মধ্যে রয়েছে ২৬০ কেজি ৫৬৭ গ্রাম স্বর্ণ, ২৪৬ কেজি ১৪৭ গ্রাম রূপা, ২,১১,৪৩৮টি শাড়ি, ৭৯,৩৯০টি থ্রিপিস/শার্টপিস, ২৬,৫৬৮টি তৈরি পোশাক, ২৭,২৮,২০৫টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ২৯,৪৯৮ ঘনফুট কাঠ, ৯০,৬১৩ কেজি চা পাতা, ১১,১৩,৮৩৬ কেজি কয়লা, ১,৬৬,০৯৩ ঘনফুট পাথর, ১,৫২,১৮৮টি ইমিটেশন গহনা, ৪৩টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ১০,৪০৪ কেজি কারেন্ট জাল, ১,৪৯০ কেজি গ্যামাক্সিন পাউডার, ৩,২৭৩ প্যাকেট কীটনাশক, ১০৭ কেজি কচ্ছপের হাড়, ৭৮টি ট্রাক/কাভার্ড ভ্যান, ৬৬টি প্রাইভেটকার/মাইক্রোবাস, ৯৯টি পিকআপ, ২৮০টি সিএনজি/ইজিবাইক এবং ৮৮২টি মোটরসাইকেল।

            একই সময়কালে উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৪৫টি পিস্তল, ২টি রাইফেল, ২টি রিভলভার, ৫৯টি সকল প্রকার গান, ১,২৪৬ রাউন্ড গুলি, ৫৩টি ম্যাগাজিন, ৬টি মর্টার শেল, ১৪টি ককটেল, ২৭ কেজি গান পাউডার, ১৯৫ কেজি সালফার এবং ২৪.২০০ কেজি বিস্ফোরক সদৃশ বস্তু।

            এছাড়া গত বছর বিজিবি কর্তৃক বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে ১,৪৭,৩৪,৭৭৪ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ১৪২ কেজি ৯৪৭ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ১,৮৫,৮৩৩ বোতল ফেনসিডিল, ৩,০৪,৭৪৯ বোতল বিদেশি মদ, ৯,২৬৩ লিটার বাংলা মদ, ৫৭,৮৯৯ ক্যান বিয়ার, ২২,২২৯ কেজি গাঁজা, ৩৩০ কেজি ৭৯৩ গ্রাম হেরোইন, ১২ কেজি ৯৯৩ গ্রাম কোকেন, ৫,৯৮,৫৮৯টি নেশা জাতীয় ও উত্তেজক ইনজেকশন, ১,৫৩,২১০টি এ্যানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ৬৫,৬৬৪টি ইস্কাফ সিরাপ, ১,৩৩,৫৮,৩৭৭টি বিভিন্ন প্রকার ঔষধ, ২১,৫০৩ বোতল এমকেডিল/কফিডিল এবং ৩৩,৫০,৩৫৪টি অন্যান্য ট্যাবলেট।

            এছাড়া ২০২৩ সালে সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে ইয়াবা ও ক্রিস্টাল মেথ আইসসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ২,৩৬৭ জনকে এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৫৯৯ জন বাংলাদেশি নাগরিক, ৭৭ জন ভারতীয় নাগরিক এবং ৮৫৭ জন মিয়ানমার নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

            উল্লেখ্য, ২০২২ সালে বিজিবি কর্তৃক ১,৫৬৫ কোটি টাকা মূল্যের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করা হয়েছিল।

#

শরীফুল/পাশা/সায়েম/শফি/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৪/২০২০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                              নম্বর : ২৩৯৬

দ্বীনি শিক্ষার প্রসারে জামিয়া (আলীয়া) মাদ্রাসার

শিক্ষকদের সাথে আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে সরকার

                                                                --- শিক্ষামন্ত্রী

ঢাকা, ৩ মাঘ (১৭ জানুয়ারি) :

            শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় বলেন, নৈতিকতা ও সত্যিকারের দ্বীনি শিক্ষা যেন আমরা মানুষের মধ্যে দেই। বাংলাদেশে অনেক সমস্যা, অনেক বৈষম্য, অনেক চ্যালেঞ্জ এবং এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সত্যিকারের দ্বীনি শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। এই সত্যিকারের দ্বীনি শিক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি আমাদের যারা আলেম-ওলামা আছেন তাদের প্রতি সবসময় অনুরোধ করেন গবেষণা করতে। গবেষণার করে আমাদের দ্বীনি ব্যবস্থায় এজমা, কিয়াস, বাহাস করে আমরা যাতে প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি  সেই লক্ষ্যে কাজ করবে সরকার। এই লক্ষ্যে সরকার জামিয়া (আলিয়া) মাদ্রাসার শিক্ষকবৃন্দের সাথে আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে।

            শিক্ষামন্ত্রী আজ রাজধানীর সেগুন বাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের কনফারেন্স রুমে দেশের ফাযিল/কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষগণের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। 

            শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এখনো আমরা অনেক বেশি অর্থডক্স এবং অপ্রচলিত বা কনভেনশনাল  জায়গায় আছি। পৃথিবীর অনেক দেশ আমাদের ধর্মতত্ত্ব, ইসলামি দ্বীনি জ্ঞান অনেক বেশি এগিয়ে নিয়েছেন। সেটা মানুষের অধিকার হোক, জাকাত বা ট্যাক্স কীভাবে দেবে সে ব্যাপারে হোক, এই বিষয়গুলো আরো গবেষণা হওয়া দরকার। মন্ত্রী আরো বলেন, জ্ঞানী লোকরা নানান ধরনের গবেষণালব্ধ ফতোয়া দিয়েছেন। যেনোতেনো ভাবে নয়। এই গবেষণার জন্য ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সৃষ্টি। সে জায়গাতে যারা অধ্যক্ষ রয়েছেন তাদের আরো মনোযোগী হতে হবে। যারা সমাজে খতিব হবেন, যারা ইমামতি করবেন তারা সমাজের নেতা। তারা শুধু ধর্মীয় নেতা নন, সমাজেরও নেতা। তারা সেই সমাজে প্রভাব বিস্তার করেন। তাদের মাধ্যমে আমরা নানান বিষয় সাধারণ জনগণকে শেখাতে পারি। সেটা  সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বলি, দক্ষতানির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থার কথা বলি। নিষ্ঠাবান হওয়ার কথা  বলি। এক সময় ছিল মসজিদভিত্তিক শিক্ষা দেয়া হতো। কিন্তু আমরা সে পথে হাঁটতে পারিনি। বিজ্ঞানী, চিকিৎসক,  ইমাম সবাই সম্মিলিত উদ্যোগে একসঙ্গে যাতে কাজ করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

#

খায়ের/পাশা/সায়েম/সঞ্জিব/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২০৩৫ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর : ২৩৯৫

 

মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান : ইইউ রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

 

ঢাকা, ৩ মাঘ, (১৭ জানুয়ারি) :

 

রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক, তাদের নিজ দেশে পূর্ণ নাগরিক অধিকার ও মর্যাদার সাথে ফিরিয়ে নেওয়াই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান। ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও ডেলিগেশন প্রধানকে এটি পুনর্ব্যক্ত করে এ বিষয়ে তাদের সহযোগিতা বৃদ্ধির কথা বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ।

 

আজ ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রী রাষ্ট্রদূতের হাতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকাসহ ঐতিহ্যবাহী উপহার সামগ্রী তুলে দেন এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

 

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, করোনা মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধ ও ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচারে মানুষ হত্যার কারণে রোহিঙ্গা সমস্যা থেকে বিশ্বের নজর অনেকটা অন্য দিকে সরে গেছে। সে কারণে আমি ইইউ রাষ্ট্রদূতকে বলেছি, বাংলাদেশ একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ যেখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি। এখানে আরো ১৫ লাখ অতিরিক্ত মানুষ একটি বিশাল চাপ। আর রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক। দু’দশক আগেও মিয়ানমারের মন্ত্রিসভায় রোহিঙ্গা মন্ত্রী ছিলো। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে পূর্ণ নাগরিক অধিকার ও মর্যাদার সাথে ফিরিয়ে নেওয়াই এ সমস্যার একমাত্র সমাধান।

 

ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি নতুন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন এবং পাশাপাশি দেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে ইউরোপীয় উদ্যোক্তা এবং বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং তাদের সাথে পার্টনারশিপ এন্ড কো-অপারেশন এগ্রিমেন্ট বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, জানান ড. হাছান মাহ্‌মুদ।

 

#

 

আকরাম/পাশা/সায়েম/শফি/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/১৯.৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর : ২৩৯৪

দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রীর রেড ক্রিসেন্ট পরিদর্শন; পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান

ঢাকা, ৩ মাঘ (১৭ জানুয়ারি) :

          দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সরকারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে রেড ক্রিসেন্টের অবদান অনস্বীকার্য উল্লেখ করে আগামীতেও এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ মহিববুর রহমান। আজ বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির জাতীয় সদর দপ্তরে সংস্থাটির কর্মকর্তাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় যোগ দিয়ে এ আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভৌগলিক কারণে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম প্রধান দুর্যোগপ্রবণ দেশ। তাই সার্বক্ষণিক ঝুঁকির বিষয়টি মাথায় রেখেই আমাদেরকে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। আর সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ঘন ঘন ভূমিকম্প হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভূমিকম্পের মাত্রা বিবেচনায় নিয়ে নতুন ভবন ভূমিকম্প সহনীয় করে গড়ে তুলতে হবে। ভূমিকম্প পরবর্তী সময়ে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে। দেশের যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় দ্রুত সাড়াদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে রেড ক্রিসেন্টের জন্য সরকারের সব ধরণের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

          বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল এটিএম আবদুল ওয়াহ্হাব (অব.) এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ কামরুল হাসান, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অভ্ রেড ক্রস এন্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ (আইএফআরসি) এর হেড অভ্ ডেলিগেশন আলবার্টো বোকানেগ্রা-সহ সোসাইটির বিভিন্ন বিভাগের পরিচালকবৃন্দ।

          সভায় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)এর কাজের অগ্রগতি ও প্রতিবন্ধকতাসমূহ এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও বাংলাদেশে এর বিরূপ প্রভাবের ফলাফল নিয়ে আলোচনা করা হয়। পারস্পরিক সহযোগিতায় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি একটি সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের সহায়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বক্তারা। 

          এর আগে প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির জাতীয় দপ্তরস্থ সিপিপি (ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি)’র কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদারের মধ্য দিয়ে সরকার ও রেড ক্রিসেন্টের যৌথ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে গঠিত ও পরিচালিত ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) সম্প্রসারণেরও বিভিন্ন পরামর্শ দেন তিনি।

#

 সেলিম/পাশা/সায়েম/শফি/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/১৯৫০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর : ২৩৯৩

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ: ঘনিষ্ঠতর সম্পর্কের লক্ষ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা

ঢাকা, ৩ মাঘ, (১৭ জানুয়ারি) :

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে আরো ঘনিষ্ঠ করার লক্ষ্যে বাণিজ্য বিস্তৃতি, জঙ্গিদমন, ‘ফ্যানাটিজম’ মোকাবিলাসহ সকল ক্ষেত্রে একসাথে কাজ করার বিষয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনার কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ।

আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহ্‌মুদের সাথে সাক্ষাৎ করতে আসেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। বৈঠক শেষে মন্ত্রী রাষ্ট্রদূতের হাতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকাসহ ঐতিহ্যবাহী উপহার সামগ্রী তুলে দেন এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা উভয় দেশ আমাদের সম্পর্ককে আরো ঘনিষ্ঠ করার লক্ষ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা করেছি। আমাদের স্বাধীন দেশের ৫২ বছরের পথচলায় যুক্তরাষ্ট্রের বড় উন্নয়ন সহযোগীর ভূমিকার জন্য রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। বাণিজ্য খাতেও তারা আমাদের বড় অংশীদার। আমাদের ‘বিজনেস বাস্কেট’ আরো সমৃদ্ধ করা ও যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলোচনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রও আমাদের নতুন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে।

নানা বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘জঙ্গিদমনে এবং বিশ্বব্যাপী ‘ফ্যানাটিজম’ মোকাবিলায় আমরা দীর্ঘদিন একসাথে কাজ করছি, ভবিষ্যতেও কাজ করবো সেই আশাবাদ ব্যক্ত করেছি। রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়েও আলোচনা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর জন্য আমরা সবসময় তাদের সহযোগিতা চেয়ে এসেছি, আজ আবারও তা পুনর্ব্যক্ত করেছি। তারা আগে থেকেই এ বিষয়ে আমাদের সহযোগিতা করে আসছে, আমরা একযোগে কাজ করার বিষয়ে ঐক্যমত্য হয়েছি।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো জানান, ‘গত নির্বাচনে মার্কিন পর্যবেক্ষকদের পাঠানোর জন্য ধন্যবাদ দিয়ে আমি তাকে সুষ্ঠু, সুন্দর, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা জানিয়েছি যেখানে শীত ও কুয়াশা সত্ত্বেও প্রায় ৪২ শতাংশ ভোট পড়েছে, যেটি একটি ভালো ভোটার টার্ন-আউট।

‘নতুন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র’

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ শেষে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সাংবাদিকদের জানান, ওয়াশিংটন আগামী দিনে বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। তিনি বলেন, ‘আগামী দিনগুলোতে আমাদের পারস্পরিক স্বার্থকে এগিয়ে নিতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য আমি উন্মুখ।  যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ কীভাবে ভবিষ্যতে একসঙ্গে কাজ করবে সে বিষয়ে নতুন মন্ত্রীর সঙ্গে তার একটি সূচনা বৈঠক হয়েছে।’

বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কের ভবিষ্যৎ, বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং রোহিঙ্গাদের মতো পারস্পরিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে কীভাবে একসাথে কাজ করব সে বিষয়ে আমরা কথা বলেছি, জানান পিটার হাস।

#

আকরাম/পাশা/সায়েম/শফি/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/১৯.২০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর : ২৩৯২

পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সাথে এডিবির কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভের সাক্ষাৎ

 

ঢাকা, ৩ মাঘ, (১৭ জানুয়ারি) :

 

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী দেশের সার্বিক পরিবেশ ও বনের উন্নয়নে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এর সহযোগিতা কামনা করেছেন। তিনি বলেন, দেশের পরিবেশ ও বনের উন্নয়নে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। তাই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার পাশাপাশি দেশের পরিবেশ ও বনের উন্নয়নে এডিবির মতো আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিদের সহযোগিতা খুবই প্রয়োজন।

 

আজ মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ এডিমন গিন্টিং সাক্ষাৎ করতে আসলে তিনি এসব কথা বলেন।

 

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে জলবায়ু অভিযোজন পরিকল্পনা ও মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা থেকে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করে একটি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন পূর্বক কাজ করবে। এছাড়া বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ কার্যকর কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। দেশের সার্বিক পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়নে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।

 

এডিবির কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ এডিমন গিন্টিং বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি বিশ্বের অন্যা

2024-01-17-16-30-dfcb7175b3d7c71a0f36d73b81bc4e5c.docx