Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

তথ্যবিবরণী ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর :  ১০৬২

দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে

                                                                                        -- পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিউইয়র্ক (যুক্তরাষ্ট্র), ২৭ সেপ্টেম্বর : 

দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। গতকাল নিউইয়র্কে ‘জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব  আমেরিকা ইনক’ আয়োজিত মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৪ বছরে দেশে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। আমাদের আগামী প্রজন্মের কল্যাণে একটি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ রেখে যাওয়ার জন্য অগ্রগতির এই ধারা অব্যাহত রাখার দায়িত্ব আমাদের সকলের। আমাদের দেশ যেন আর পিছিয়ে না যায় সেজন্য দেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের সকলের দূরদর্শী ভূমিকা রাখতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশের এগিয়ে চলার বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের সব বাড়িতে এখন বিদ্যুৎ আছে। ২০০৯ সালে যেখানে ৩২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো, মাত্র ৯ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পেতো। আর গত ১৪ বছরে এখন প্রায় ২৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সবসময় খাদ্য ঘাটতির দেশ ছিল। এখন আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। কৃষিজমি কমে গেছে কিন্তু তারপরও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। আর এসব অর্জন এমনিতেই হয়নি। শেখ হাসিনার লক্ষ্যভিত্তিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ফলে সম্ভব হয়েছে। কৃষি ক্ষেত্রে গবেষণা, কৃষিতে ভর্তুকি প্রদানসহ সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে এই অর্জন সম্ভব হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ২০৩০ সালে মধ্যে আমরা দেশকে দারিদ্রমুক্ত করবো সেই লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কর্মসংস্থান আমাদের জন্য একটা বড় ইস্যু। প্রতি বছর প্রায় ২০ লাখ মানুষ চাকরির বাজারে আসে। তার মধ্যে আমরা দেশে ১৫ লাখের চাকরির সংস্থান করতে পারি। বাকি ৫ লাখ বিদেশে চাকরি করতে যায়। দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।

ড. মোমেন বলেন, আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। তবে সকলের সহযোগিতায় আমরা সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম হবো। আমাদের সরকারের আন্তরিকতা আর দীর্ঘদিন দেশে স্থিতিশীলতা থাকায় আমরা দেশকে অনেক দূর অগ্রসর করতে পেরেছি। আমাদের মাথাপিছু আয় ৫ গুণ বেড়েছে। ২০০৯-১০ বছরে আমাদের রপ্তানি আয় ছিল ১০ বিলিয়ন ডলার এখন সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ বিলিয়ন ডলার। যতগুলো সামাজিক সূচক আছে সবগুলোতে আমরা প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় ভালো করছি বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ড. মোমেন জালালাবাদ এসোসিয়েশনের নেতৃত্বের ঐক্য বজায় রাখতে এসোসিয়েশনের সাথে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান। সিলেটের তথা দেশের কল্যাণে নিজেদের সাধ্যমতো অবদান রাখতেও অনুরোধ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। মতবিনিময় সভায় ‘জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনক’ এর নেতৃবৃন্দ, নিউইয়র্কে বসবাসকারী বৃহত্তর সিলেটের জনগণ এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

#

মোহসিন/পাশা/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৩/২১০০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর :  ১০৬১

 

বিএনপির হাঁকডাক খালি কলসি বেশি বাজার মতো

                               -- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

ঢাকা, ১২ আশ্বিন (২৭ সেপ্টেম্বর) : 

 

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, বিএনপির নানা হাঁকডাক আওয়াজ খালি কলসি বেশি বাজার মতো। তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে ধস নামানোর বিজয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠন করেছেন। বিএনপি ২০১৪ সালে নির্বাচনের পর বলেছিলো, সরকার বড়জোর তিন মাস টিকবে। আমরা পাঁচ বছর  সরকার পরিচালনা করেছি। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর বলেছিলো এই সরকারও তারা টেনে ফেলে দেবে। এখন বিএনপিই রশি ছিঁড়ে পড়ে গেছে। অর্থাৎ এখন মির্জা ফখরুল সাহেব ও তাদের নেতারা যে সমস্ত কথা বলছেন সেটি হচ্ছে খালি কলসি বেশি বাজার মতো।’

 

আজ রাজধানীর মিরপুর ১০ গোলচত্বর সংলগ্ন রোডে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

হাছান বলেন, ‘আজকে আমি একটু আগে অনলাইনে দেখলাম বিএনপি নেতারা বলেছেন, ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জ ঘেরাও করে সরকারের পতন ঘটানো হবে। আমরা প্রস্তুত আছি। আমরা বিএনপিকে ঘেরাও করবো। ওরা যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায় আমরা বিএনপিকে ঘেরাও করবো। তাদের ঘেরাও করে গণপিটুনি দেবো না, তাদের শিক্ষা দেবো আমরা। যদি দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালায় তাহলে তাদেরকে ঘেরাও করা হবে।’

 

‘যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতিতে বিদেশি সরকারগুলোর কিছু হয়নি’

 

ভিসানীতি নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ফখরুল সাহেব বলেছেন যে, ভিসা নীতিতে তাদের আন্দোলন বেগবান হয়েছে। তিনি জানেন যে, ভিসা নীতিতে বলা হয়েছে যে, যারা নির্বাচনে বাধা দেবে, তাদের ওপর এই নীতি প্রয়োগ হবে। আর যাদের ওপর ইতিমধ্যেই ভিসানীতি কার্যকর করা হয়েছে তাদের মধ্যে বিরোধী দলের নেতারাও আছে সেটি ফখরুল সাহেব জানেন না। জানলে এ কথা বলতেন না।’ 

 

‘আমাদের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো এবং আমাদের সাথে এই সম্পর্ক উত্তরোত্তর ঘনিষ্ঠ হচ্ছে' উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, 'আপনারা দেখেছেন, জো বাইডেন দিল্লীতে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সেলফি তুলেছেন এবং নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীকে নৈশভোগের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। জো বাইডেন সস্ত্রীক প্রধানমন্ত্রীর সাথে নিউ ইয়র্কে ছবি তুলেছেন, ছবিই কথা বলে, আমরা ভিসা নীতি নিয়ে মাথা ঘামাই না।’

 

সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কাকে ভিসা দিলো, কাকে দিলো না, এটি তাদের ব্যাপার। এই ভিসানীতি বহু আগে থেকেই তাদের আছে। তাদের ভিসানীতিতে যেটি বলা আছে সেই অনুযায়ী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যক্তি বিশেষের বিরুদ্ধে তারা পদক্ষেপ নিয়েছে। এটি নতুন কোনো কিছু নয়। সুতরাং এই ভিসা নীতি একটি বিচ্ছিন্ন বিষয়। আমাদের সাথে মার্কিনা যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। 

 

তথ্যমন্ত্রী হাছান বলেন, ‘আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  বহু দেশের ওপর ভিসানীতি কার্যকর করেছে। তারা নাইজেরিয়ার ওপর ভিসানীতি কার্যকর করেছে সরকারের কিছু হয় নাই,  কম্বোডিয়ার ওপর কার্যকর করেছে সরকারের কিছু হয় নাই। উগান্ডার ওপরও তারা ভিসানীতি কার্যকর করেছে সরকারের কিছু হয় নাই। কিউবার ওপর ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে ভিসানীতি কার্যকর ছিলো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১শ’ মাইল দূরে কিউবার কিছু হয় নাই। সুতরাং এই ভিসা নীতি নিয়ে এতো কিছু মাতামাতি করার কোনো কারণ নাই।’

 

‘তাই বিএনপির এই আন্দোলনের ধপধপানি হচ্ছে চেরাগ নিভে যাওয়ার আগে ধপধপানির মতো’, বলেন মন্ত্রী।

 

নেতা-কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করে হাছান বলেন,  ‘এই দেশ বঙ্গবন্ধুর দেশ। এই দেশের নেতা বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনা কোনো রক্তচক্ষুকে পরোয়া করে না। আমি নেতাকর্মীদের বলবো, আওয়ামী লীগ রাজপথের দল, আওয়ামী লীগ লড়াই সংগ্রামের দল। আমরা ২১ বছর বুকে পাথর বেঁধে রেখেছিলাম। আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা এ দেশের মানুষের সংগ্রামের কাফেলাকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। সুতরাং আওয়ামী লীগ কোনো কিছুকে পরোয়া করে না।  সমস্ত ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ছিন্ন করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনে আবার ধস নামানোর বিজয়ের মাধ্যমে আমরা সরকার গঠন করবে।’

 

‘আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো নির্বাচনে আসুন, নির্বাচনে যদি না আসেন তাহলে আপনাদের অনেক নেতা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে’ বলেন তিনি।

 

আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে দলীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী ফারুক খান এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান এমপি, অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন মায়া, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার প্রমুখ সমাবেশে বক্তব্য দেন।

 

#

 

আকরাম/পাশা/রফিকুল/সেলিম/২০২৩/২০২৫ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর :  ১০৬০

 

অবাধ তথ্য প্রবাহের অপব্যবহার করে কেউ যেন সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে না পারে

                                                                          -- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

 

ঢাকা, ১২ আশ্বিন (২৭ সেপ্টেম্বর) : 

 

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেশে যে অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করেছে তা অপব্যবহার করে কেউ যেন সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে না পারে, সেদিকে সজাগ থাকতে হবে।

 

আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে তথ্য কমিশন ভবনে ‘তথ্যের অবাধ প্রবাহে ইন্টারনেটের গুরুত্ব’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নিজে এবং তাঁর সরকার অবাধ তথ্য প্রবাহে বিশ্বাস করে। অবাধ তথ্য প্রবাহ মানুষের তথ্য পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করে, গণতন্ত্র, বহুমাত্রিক সমাজ ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা সংহত হয়। সে জন্য আমরা তথ্য অধিকার আইন পাস করেছি এবং আজকে সত্যিকার অর্থে দেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত হয়েছে।’

 

সিন্ডিকেট করে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি রোধে তথ্য অধিকার প্রয়োগের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সময়ে সময়ে বাড়ানো হয়। আমি সাংবাদিকদের অনুরোধ জানাবো যারা এই সিন্ডিকেট করে তাদের সম্পর্কে আপনারা জানেন। পাইকারি বিক্রেতা কত টাকা দিয়ে পণ্য কিনেছেন, তার উৎপাদন খরচ কত এবং খুচরা বিক্রেতাদের কাছে কত টাকায় বিক্রি করছেন এবং সেখান থেকে তারা  এবং খুচরা বিক্রেতারা কত শতাংশ মুনাফা অর্জন করছেন। অস্বাভাবিক মুনাফা অর্জনের অস্বাভাবিক প্রতিযোগিতায় সময়ে সময়ে দ্রব্যমূল্য অকারণে বৃদ্ধি পায়। এখানে যদি স্বচ্ছতা আসে, এ বিষয়গুলো আরো ব্যাপকভাবে গণমাধ্যমে আসে তাহলে কেউ এটি করতে পারবে না।’

 

এনজিও বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেক এনজিও সময়ে সময়ে জাতিকে জ্ঞান দেয়। এই এনজিওগুলো কোথায় টাকা পায় তারা কত টাকা কিভাবে কোন জায়গা থেকে সংগ্রহ করে, ট্যাক্স দেয় কি না সেটিও জানা প্রয়োজন। শুধুমাত্র সরকারি দপ্তরে গিয়ে তথ্য পাওয়ার জন্য দেন-দরবার বা ভিন্ন উপায় অবলম্বন করা এবং শুধুমাত্র সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য সেগুলোকে গণমাধ্যমে আনা সমীচীন নয়।’

 

নাগরিক সমাজের প্রসঙ্গ টেনে হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘বিস্তৃত গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় নাগরিক সমাজ একটু বড় ভূমিকা রাখে। কিন্তু নাগরিক সমাজের নাম করে যারা বিভিন্ন সূত্র থেকে অর্থ সংগ্রহ করে তারা কার স্বার্থ রক্ষা করছে, জাতির স্বার্থ রক্ষা না কি যাদের কাছ থেকে অর্থ পাচ্ছে, অনুদান পাচ্ছে তাদের স্বার্থ রক্ষা করছে, সেই তথ্যও জানা প্রয়োজন। সুধিমণ্ডলী ও সাংবাদিকদের অনুরোধ করবো সে দিকে দৃষ্টিপাত করার জন্য।’

 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত এক দশকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেভাবে বিস্তৃত হয়েছে এবং হচ্ছে তাতে পৃথিবীর পুরো ক্যানভাসটাই বদলে গেছে, মানুষের অভ্যাসও বদলে গেছে। দেশে ৮ কোটির বেশি মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে এবং এই মাধ্যম আমাদের যোগাযোগের অবাধ সুযোগ যেমন করে দিয়েছে, একই সাথে রাষ্ট্রে অস্থিতিশীলতা, সমাজে অস্থিতিশীলতা, গুজব রটানো, ভুল সংবাদ, মিথ্যা সংবাদ, উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ ছড়ানোর বড় প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে।’

 

হাছান বলেন, ‘গত এশিয়া মিডিয়া সামিটে মূল আলোচ্য বিষয় ছিলো সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সমাজে অস্থিরতা মোকাবিলা। বছরখানেক আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সার্ভেতে দেখা গেছে ৭৫ শতাংশের বেশি মানুষ মনে করে যে সমাজে যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হয়, সমাজে অস্থিরতা তৈরি করা হয়, এবং তৎপ্রেক্ষিতে গণতন্ত্র দুর্বল হয়। এই প্রেক্ষাপটে আমি মনে করি এই ক্ষেত্রে আমাদের দৃষ্টিপাত করা দরকার। কারণ এ দেশেও পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে নরবলি দেওয়াসহ নানা ধরণের গুজব, এরপর ছেলে ধরা গুজব ছড়ানোর পর গণপিটুনিতে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। তথ্য কমিশন এই ক্ষেত্রে কি করতে পারে, সেটি নিয়েও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।’

 

প্রধান তথ্য কমিশনার ড. আবদুল মালেকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ও আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জমির এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বক্তব্য রাখেন। আলোচনায় অংশ নেন তথ্য কমিশনার শহিদুল আলম ঝিনুক এবং মাসুদা ভাট্টি। সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদ, সাবেক তথ্য কমিশনার নেপাল চন্দ্র সরকার এবং মন্ত্রণালয়, সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহ এবং তথ্য অধিকার নিয়ে কর্মরত সংগঠনের প্রতিনিধিরা সভায় যোগ দেন।

 

প্রতি বছর ২৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিকভাবে তথ্য অধিকার দিবস পালনের ধারাবাহিকতায় এ দিনের সভায় বক্তারা বলেন, জাতীয় সংসদে ২০০৯ সালের প্রথম অধিবেশনে ২৯ মার্চ তথ্য অধিকার আইন পাশ হওয়ার পর থেকে গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে এ আইনের আওতায় ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯শ’ ১৮টি আবেদন জমা পড়েছে এবং এর ৯৬.৭৩ শতাংশ নিষ্পত্তি হয়েছে। আর তথ্য কমিশনে এ পর্যন্ত দায়ের করা ৫ হাজার ৩শ ৬০টি অভিযোগের মধ্যে ৫ হাজার ২শ’ ৭১টি নিষ্পত্তি হয়েছে।  ২০০৯ সালে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিলো ৬০ লাখ যা এখন প্রায় ১২ কোটির কাছাকাছি এবং দেশে ব্যবহৃত মোবাইল সিমের সংখ্যা প্রায় ১৮ কোটি।

 

#

 

আকরাম/পাশা/রফিকুল/সেলিম/২০২৩/২০১৫ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ১০৫৯  

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে ইসলামিক

ফাউন্ডেশন আয়োজিত পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন

 

ঢাকা, ১২ আশ্বিন (২৭ সেপ্টেম্বর) :

          ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ১৪৪৫ হিজরি উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে শুরু হয়েছে পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠানমালা।

          আজ বাদ মাগরিব বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব সাহানে পক্ষকালব্যাপী এ অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দার। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোঃ রুহুল আমীন। সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মহাঃ বশিরুল আলম।

          এছাড়া অনুষ্ঠানে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ১৪৪৫ হিজরি উপলক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ওলামায়ে কেরাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব মোঃ মনিরুজ্জামান, পরিচালকবৃন্দ ও কর্মকর্তা কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বাদ আসর বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ চত্বরে আয়োজিত পক্ষকালব্যাপী ইসলামি বইমেলার উদ্বোধন করেন ধর্ম সচিব।

#

শারমীন/পাশা/রফিকুল/শামীম/২০২৩/১৯৪০ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ১০৫৮ 

 

নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে

                                     -- শিক্ষামন্ত্রী

 

সিলেট, ১২ আশ্বিন (২৭ সেপ্টেম্বর) : 

 

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, নতুন শিক্ষাক্রম হচ্ছে। এই নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে কোথাও কোথাও বিভ্রান্তি ছড়াবার চেষ্টা হচ্ছে। এই বিভ্রান্তিতে কান দেবেন না। আমরা দীর্ঘ গবেষণা ও সবার মতামত নিয়ে শিক্ষাক্রম প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছি। শিক্ষাক্রমটি পুরো ১০ বছর ধরে বাস্তবায়িত হতে চলেছে। কাজেই কোনো বিভ্রান্তি ছড়ালে তাতে কান দেবেন না।

 

মন্ত্রী আজ সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে সিলেট শিক্ষা বোর্ড আয়োজিত ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

 

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ কামাল হোসেন।

 

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে সোনার মানুষ প্রয়োজন। আমাদের প্রতিটি শিক্ষার্থীকে সোনার মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে স্মার্ট নাগরিক প্রয়োজন। সততা ও যোগ্যতায় স্মার্ট হতে হবে। সোনার বাংলার জন্য, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমরা এগিয়ে যাব।

 

শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, তোমরা স্বপ্ন দেখবে এবং সেই স্বপ্নের চেয়েও বড় হবে বলে আমার প্রত্যাশা। বঙ্গবন্ধু নিজে একজন খেলোয়াড় ছিলেন। ছাত্রজীবনে তিনি ফুটবল, বাস্কেটবল খেলেছেন। পরবর্তীতে তিনি খেলাধুলার ব্যাপক পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন। এ বিষয়গুলোও সবার জানা উচিত।

 

আগামী ১ অক্টোবর ৫ দিনের এ প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠিত হবে সিলেটের আবুল মাল আব্দুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সে। প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ইভেন্টে মোট ৪৯৬ জন খেলোয়াড় জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন।

 

#

 

খায়ের/পাশা/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৩/১৯২০ ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর : ১০৫৭

 

জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার বাংলাদেশ

                                         -- সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১২ আশ্বিন (২৭ সেপ্টেম্বর) :      

 

সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন অনিবার্য বাস্তবতা। জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার বাংলাদেশ।

 

প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর একটি হোটেলে জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের যৌথ অর্থায়নে পরিচালিত Urban Management of Internal Migration due to Climate Change/ Urban Management of Migration and Livelihoods (UMIMCC/ UMML) প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, একবিংশ শতাব্দীতে সারা বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বিশ্বে তুষারপাত, জলোচ্ছ্বাস, সাইক্লোন ও দাবানলের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তনের এই ঝুঁকি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তুলে ধরেছেন। এসব মোকাবেলায় সকল দেশকে সমন্বিতভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে।

 

প্রতিমন্ত্র্রী আরো বলেন, আামাদের দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। বিভিন্ন সময়ে জলবায়ুজনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমাদের দেশে আঘাত হানছে। উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা বেড়েছে। ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, নদীভাঙন বেড়েছে। এসব কারণে আমাদের অনেক মানুষ পৈতৃক নিবাস ছেড়ে এসে শহরে আশ্রয় নিচ্ছে।

 

প্রতিমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবিলায় সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের কথা আলোকপাত করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ সমস্যা মোকাবিলায় অনেক কর্মসূচি নিয়েছেন এবং সেগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় দাতা সংস্থার নীতি ও লক্ষ্যের সাথে মিল রেখে অনেক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যেগুলো বাস্তবায়নের কৌশল নির্ধারণে গবেষণা হলে একসাথে কাজ করা যাবে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বস্তিবাসী হওয়া জনগণের জন্য সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণ করলে তাদের দুর্ভোগ লাঘব হবে।

 

#

 

জাকির/পাশা/মোশারফ/রেজাউল/২০২৩/১৮৫৮ ঘণ্টা

 

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর : ১০৫৬

 

জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে কাজ করা সকলের সাংবিধানিক দায়িত্ব

    -- পরিবেশমন্ত্রী

ঢাকা, ১২ আশ্বিন (২৭ সেপ্টেম্বর) :      

 

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, দেশের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করা এখন বাংলাদেশের সকল নাগরিকের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে গুরুত্ব প্রদানের জন্য সংবিধানে ১৮(ক) অনুচ্ছেদ সংযোজন করেছে। তিনি বলেন, এখন সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষ বণ্যপ্রাণী হত্যা থেকে বিরত থাকছে। মানুষের সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য সকল প্রাণীকে বাঁচতে দিতে হবে।

আজ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত জীববৈচিত্র্য বিষয়ক জাতীয় কমিটির ৩য় সভায় সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সভায় বিগত সভাসমূহের সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। এছাড়া পরবর্তী জাতিসংঘ জীববৈচিত্র্য সম্মেলনের পূর্বেই ন্যাশনাল বায়োডাইভারসিটি স্ট্রাটেজি এন্ড একশন প্ল্যান হালনাগাদ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়াও, Vibrio cholerae এর বায়োলজিকাল স্যাম্পল ব্রিটেনের দ্য ওয়েলকাম স্যাঙ্গার ইনস্টিটিউটে প্রেরণ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

এসময় মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডক্টর আবদুল হামিদ এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরী-সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

#

দীপংকর/পাশা/সঞ্জীব/মোশারফ/রেজাউল/২০২৩/১৮৩০ ঘণ্টা

 

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ১০৫৫

মৎস্য খাতে ই-সার্টিফিকেশন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নতুন অধ্যায়ের সূচনা

                                                              -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

ঢাকা, ১২ আশ্বিন (২৭ সেপ্টেম্বর):  

মৎস্য আমদানি-রপ্তানিতে ই-সার্টিফিকেশন চালু স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নতুন অধ্যায়ের সূচনা বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

আজ রাজধানীর একটি হোটেলে মৎস্য অধিদপ্তরের আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত ই-সার্টিফিকেশন এবং ল্যাবরেটরি তথ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। মৎস্য অধিদপ্তর এবং যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ)-এর অর্থায়নে পরিচালিত বাংলাদেশ ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন প্রকল্প যৌথভাবে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, মৎস্য অধিদপ্তরের ই-সার্টিফিকেশন এবং ল্যাবরেটরি তথ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি বাংলাদেশের মৎস্য খাতে একটি নতুন অধ্যায়ের সংযোজন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের ঘোষণা দিয়েছেন। স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের জন্য আমাদের সব খাতকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, দেশের মৎস্য খাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ খাত থেকে খাবারের একটি বড় অংশের চাহিদা মেটে। মানুষের পুষ্টি চাহিদা মেটানোর জন্য ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য যে উপাদান দরকার তার একটি অংশ মাছে রয়েছে। মাছ বিদেশে রপ্তানি করে ব্যাপক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হয় যা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর পাশাপাশি বিশ্বের ৫২ টি দেশে মাছ রপ্তানির মাধ্যমে রপ্তানিকৃত দেশের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের চমৎকার উন্নয়ন হচ্ছে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ খাতকে গতানুগতিক রেখে সনাতনী পদ্ধতিতে পরিচালনা করলে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যয় বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

মন্ত্রী আরো বলেন, যেসব দেশের সাথে আমাদের মাছ আমদানি ও রপ্তানির সম্পৃক্ততা রয়েছে তাদের চাহিদা পূরণ যথাযথভাবে করতে গেলে ই-সার্টিফিকেশনের স্মার্ট পদ্ধতি আমাদের জন্য খুবই সহায়ক হবে। এর মাধ্যমে মূহুর্তের ভেতর ঝামেলাহীনভাবে সেবা প্রদান করে গুণগতমান যেমন নিশ্চিত করা যাবে, অনুরূপভাবে সময়ের অপচয় রোধ করা সম্ভব হবে। এ পদ্ধতির মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানির সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্তরা ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে। একইসাথে এ খাতে দেশে ও দেশের বাইরে সংশ্লিষ্ট সবাইকে একই প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসা সম্ভব হবে।

এ লক্ষ্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের একটি অংশ হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং মৎস অধিদপ্তর কাজ করছে। তিনি যোগ করেন, দেশের মানুষের প্রয়োজনীয় চাহিদা মিটিয়ে মাছ বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে, যা দেশের জিডিপিতে অবদান রাখছে। এজন্য রপ্তানি সংশ্লিষ্ট অটোমেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আমাদের মনে রাখতে হবে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক মৎস্য সেক্টর তৈরির জন্য নতুন অধ্যায়ের শুভ সূচনা হলো। এক্ষেত্রে মৎস্য উৎপাদন, বিপণন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের সঙ্গে সম্পৃক্তদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এগ্রিকালচারাল অ্যাটাচে সারাহ গিলেস্কি। অনুষ্ঠানের কো-চেয়ার ছিলেন ইউএসডিএ-এর অর্থায়নে পরিচালিত বাংলাদেশ ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মাইকেল জে. পার। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

#

ইফতেখার/পাশা/সঞ্জীব/মোশারফ/শামীম/২০২৩১৬৪০ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর : ১০৫৪

 

আলুর সিন্ডিকেটকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চলছে

             --কৃষিমন্ত্রী

মধুপুর (টাঙ্গাইল), ১২ আশ্বিন (২৭ সেপ্টেম্বর) :      

 

কৃষিমন্ত্রী ড.  মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, গতবছর দাম কম পাওয়ায় এবছর আলুর উৎপাদন কিছুটা কম হয়েছে। এছাড়া আমরা কিছু আলু রপ্তানি করেছি। তারপরও আলুর দাম এতটা হওয়া উচিত নয়। এটি হয়েছে সিন্ডিকেটের কারণে। কোল্ড স্টোরেজের মালিকরা রাতারাতি দাম বাড়িয়ে দেয়। আমরা সিন্ডিকেটকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি।

 

আজ টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে কৃষি মেলার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

বিএনপির ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ৪৮ ঘণ্টা কেন, ৪৮ দিনের আল্টিমেটামেও বিএনপি সফল হবে না। বিএনপি ১৫ বছর

2023-09-27-15-23-b03ece643a21d32061aee279b3b54cb4.docx