তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৬০৭
ঈদুল ফিতর উদ্যাপন উপলক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা
ঢাকা, ১৫ জ্যৈষ্ঠ (২৯ ম)ে :
আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর, ২০১৮ খ্রি. (১৪৩৯ হিজরি) উদ্যাপনের জন্য সরকারি কর্মসূচি নির্ধারণকল্পে আজ ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আনিছুর রহমান।
সভায় যথাযোগ্য মর্যাদা, ভাবগাম্ভীর্য এবং উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আনন্দমুখর পরিবেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি প্রণয়ন এবং সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের বিষয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে জাতীয় ঈদগাহ, হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ, ঢাকাতে ঈদের দিন সকাল ৮.৩০ ঘটিকায় ঈদ-উল-ফিতর এর প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া প্রতিকূল বা অন্য কোন অনিবার্য কারণে এ জামাত অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে ঈদের প্রধান জামাত সকাল ৯.০০ ঘটিকায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী প্রদান করবেন। সরকারি, আধা-সরকারি ভবন, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবন ও সশস্ত্র বাহিনীর সকল স্থাপনাসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় পতাকা ও ‘ঈদ মোবারক’ লিখিত ব্যানার ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক আইল্যান্ড ও লাইট পোষ্টে প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া পবিত্র পবিত্র ঈদুল ফিতর দিবাগত রাত্রিতে নির্দিষ্ট সরকারি ভবনসমূহ ও সামরিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহে আলোকসজ্জা করা হবে।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, সারাদেশে বিভাগ, জেলা, উপজেলা, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বেসরকারি সংস্থাসমূহের প্রধানগণ জাতীয় কর্মসূচীর আলোকে নিজ নিজ কর্মসূচী প্রনয়ণপূর্বক পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করবে। এছাড়াও বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি গণমাধ্যমসমূহ কর্তৃক যথাযোগ্য গুরুত্ব সহকারে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার ও সংবাদপত্রসমূহে বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করা হবে। এছাড়াও পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপন উপলক্ষে দেশের সকল হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশু সদন, বৃদ্ধ নিবাস, ছোটমনি নিবাস, সামাজিক প্রতিবন্ধীকেন্দ্র, আশ্রয়কেন্দ্র, সেইফ হোমস, ভবঘুরে কল্যাণকেন্দ্র, দুস্থকল্যাণ ও মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন এর ব্যবস্থা করা হবে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিশনসমূহে যথাযথভাবে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন করবে। এ উপলক্ষে সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রক্ষার্থে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে রাষ্ট্রীয় নীতির সাথে সংগতিশীল ডকুমেন্টারি ফিল্ম, চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে। ডকুমেন্টারি ফিল্ম তৈরির ক্ষেত্রে অন্যান্য মুসলিম দেশের ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি, রীতি ও রেওয়াজকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন আঙ্গিকে নতুন ধারার অনুষ্ঠানমালা তৈরির অগ্রাধিকার দেয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়। ঈদের দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনা টিকিটে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন সকল শিশুপার্কে প্রবেশ এবং বিনোদনের ব্যবস্থা করা হবে। শিশুদের মধ্যে চকলেট, চিপস বিতরণের বিষয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কিছু আর্থিক অনুদান প্রদান করবে। ঈদের দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনাটিকিটে ঢাকা যাদুঘর, আহসান মঞ্জিল, লালবাগের কেল্লা ইত্যাদি দর্শনীয় স্থান প্রবেশ এবং তা প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে। বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে শিশুদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।
সভায় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, তথ্য মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সহ সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
আনোয়ার/ফারহানা/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২১৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর ঃ ১৬০৬
দশ দিনব্যাপী জামদানি প্রদর্শনীর উদ্বোধন
প্রকৃত জামদানি তাঁতিদের প্লট বরাদ্দ নিশ্চিত করতে শিল্পমন্ত্রীর নির্দেশ
ঢাকা, ১৫ জ্যৈষ্ঠ (২৯ মে) :
জামদানি শিল্পনগরীর সকল প্লটে গুণগতমানের জামদানি শিল্প স্থাপনের লক্ষ্যে বিসিকের নজরদারি ও পৃষ্ঠপোষকতা বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, এ শিল্পনগরীতে জামদানি তাঁতশিল্পী ছাড়া অন্য কারো নামে কোনো প্লট বরাদ্দ থাকলে, তা দ্রুত বাতিল করে প্রকৃত তাঁতিদের মাঝে বরাদ্দ দিতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের শৈথিল্য প্রদর্শন করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি সতর্ক করেন।
শিল্পমন্ত্রী আজ রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে দশ দিনব্যাপী জামদানি প্রদর্শনী-২০১৮ এর উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ নির্দেশনা দেন। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) এবং বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর যৌথভাবে এর আয়োজন করে।
বিসিক চেয়ারম্যান মুশতাক হাসান মুহাঃ ইফতিখারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক) এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ এনামুল হক বক্তব্য রাখেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গৃহীত নীতির ফলে ঝিমিয়ে পড়া জামদানি শিল্পে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসে। এর ধারাবাহিকতায় জামদানি শিল্পখাত ধীরে ধীরে বিকশিত হতে থাকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পৃষ্ঠপোষকতায় বর্তমানে জামদানি শিল্প আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। বাংলাদেশের জামদানি শিল্প এখন ইউনেস্কো ঘোষিত ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের অন্তর্ভুক্ত। দেশের জামদানি শিল্পকে ঐতিহ্যবাহী মসলিনের জায়গায় ফিরিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় শিল্প মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
শিল্পমন্ত্রী আরো বলেন, ইতিমধ্যে জামদানিকে বাংলাদেশের প্রথম ভৌগলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে নিবন্ধন দেয়া হয়েছে। এর ফলে বিশেষ বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন দেশীয় ঐতিহ্যবাহী পণ্য হিসেবে জামদানির সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে। এ উদ্যোগ জামদানির বাণিজ্যিক গুরুত্ব আরো বাড়াবে। এ শিল্পে পণ্য বৈচিত্রকরণের লক্ষ্যে বিসিক জামদানি তাঁতিদের মাঝে নকশা বিতরণ, প্রশিক্ষণ, ঋণ সহায়তা, বিপণন অবকাঠামো তৈরিসহ বিভিন্ন ধরনের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। জামদানি শিল্পের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বিসিক পরিচালিত গবেষণার সুপারিশ বাস্তবায়নে শিল্প মন্ত্রণালয় সর্বাত্মক সহায়তা দেবে বলে তিনি জানান।
অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ঐতিহ্যবাহী মসলিন, জামদানি, বেনারশি, সিল্ক, কাতান, টাঙ্গাইল শাড়িসহ বিভিন্ন বস্ত্র এবং পাট শিল্পের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার নির্দেশনা দিয়েছেন। এ প্রেক্ষিতে পদ্মা নদীর ওপাড়ে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন তাঁতপল্লী গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে উদ্যোক্তাদের জন্য প্লট, ঋণ সুবিধা, আবাসন, শ্রমিকদের ছেলে-মেয়েদের জন্য শিক্ষা, চিকিৎসাসহ সংশ্লিষ্ট সকল সুবিধাদি নিশ্চিত করা হবে। জামদানি শিল্পের উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে বিসিকের পাশাপাশি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ও সাম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দিতে আগ্রহী বলে তিনি জানান।
দশ দিনব্যাপী আয়োজিত এ প্রদর্শনীতে ৩৫টি জামদানি শাড়ী ও বস্ত্র প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। এ প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ক্রেতা দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
#
জলিল/মাহমুদ/পারভেজ/জয়নুল/২০১৮/১৮৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৬০৫
মধুখালী-মাগুরায় নির্মিত হচ্ছে ব্রডগেজ রেলপথ
ঢাকা, ১৫ জ্যৈষ্ঠ (২৯ ম)ে :
ফরিদপুরের মধুখালী থেকে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত নির্মিত হচ্ছে ২৩ দশমিক ৯০ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ। মাগুরা থেকে পদ্মা সেতুর মাধ্যমে ঢাকা ও দেশের অন্যান্য স্থানের সঙ্গে রেল সংযোগ স্থাপন করতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এতে এই অঞ্চলে বাণিজ্য প্রসার ও অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ উন্নয়ন হবে। ২০১৮ সালের মে থেকে ২০২২ সালের এপ্রিলের মধ্যে এ রেলপথ বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এ লক্ষ্যে ‘মধুখালী থেকে কামারখালী হয়ে মাগুরা পর্যন্ত ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২০২ কোটি টাকা। আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা জানান।
পরিকল্পনা মন্ত্রী আরো জানান, ত্রিপুরা থেকে আরো ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কুমিল্লা হয়ে এ বিদ্যুৎ দেশে আসবে। এ লক্ষ্যে ‘সূর্যমণিনগর (ত্রিপুরা, ভারত) হতে কুমিল্লা উত্তরে (বাংলাদেশ) বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য কুমিল্লা উত্তরে ৫০০ মেগাওয়াট এইচভিডিসি ব্যাক টু ব্যাক স্টেশন নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে দুই এবং তিন ফসলের জমি বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরিতে কাজে লাগানো যাবে না। এক ফসলী জমি হলে সেখানে বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা যেতে পারে বলে নির্দেশনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের পূর্বাঞ্চলের ক্রমর্বধমান বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ; ত্রিপুরা এবং আসাম হতে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নিশ্চিতকরণ।
একনেকের সভায় অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হলো : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাট বীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ প্রকল্প; নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ধানুয়া কামালপুর স্থলবন্দর উন্নয়ন প্রকল্প; বিদ্যুৎ বিভাগের সৌর বিদ্যুৎ চালিত পাম্পের মাধ্যমে কৃষি সেচ; সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের জেলা মহাসড়কসমূহ যথাযথমান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (রাজশাহী জোন), জেলা মহাসড়কসমূহ যথাযথমান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (খুলনা জোন), জেলা মহাসড়কসমূহ যথাযথমান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (রংপুর জোন), জেলা মহাসড়কসমূহ যথাযথমান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (চট্টগ্রাম জোন) এবং জেলা মহাসড়কসমূহ যথাযথমান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (সিলেট জোন) প্রকল্প; নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নগরবাড়ীতে আনুষঙ্গিক সুবিধাসহ নদী বন্দর নির্মাণ; ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মেইল প্রসেসিং ও লজিস্টিক সার্ভিস নির্মাণ এবং নির্বাচন কমিশনের ওফবহঃরভরপধঃরড়হ ঝুংঃবস ভড়ৎ ঊহযধহপরহম অপপবংং ঃড় ঝবৎারপবং (ওউঊঅ) (২হফ জবারংবফ) প্রকল্প।
আজকের উপস্থাপিত ১৩টি (নতুন ও সংশোধিত) প্রকল্পের মোট ব্যয় ৯ হাজার ৫১৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা। এর মধ্যে জিওবি ৬ হাজার ৮৫৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব তহবিল ৭১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ২ হাজার ৫৯২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
আজকের একনেক সভায় মন্ত্রীবর্গসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল একনেক শেষে অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পগুলো নিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন।
#
তৌহিদুল/মাহমুদ/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৬০৪
জৈব কীটনাশককে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে
-- কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৫ জ্যৈষ্ঠ (২৯ ম)ে :
কৃষি হচ্ছে খাদ্যশক্তি, প্রাণশক্তি, শ্রমশক্তি, এবং বুদ্ধিবৃত্তির মূল উৎস। নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করতে হলে কৃষিতে কীটপতঙ্গ ব্যবস্থাপনায় বিষাক্ত রাসায়নিক কীটনাশকের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে জৈব কীটনাশকের ওপর অধিক গুরুত্ব দিতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী আজ ঢাকায় সচিবালয়ে তাঁর মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সার্কভুক্ত দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে অনুষ্ঠিত ‘জবমরড়হধষ ঞৎধরহরহম চৎড়মৎধস ড়হ ওহঃবমৎধঃবফ চবংঃ গধহধমবসবহঃ (ওচগ)’ এর আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র সচিব মাইনুদ্দিন আব্দুল্লাহ।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে খাদ্য উৎপাদনের জন্য আধুনিক, উন্নত ও টেকসই প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও ব্যবহার শক্তিশালী হয়েছে। এর ফলে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করাসহ ইতোমধ্যে চাল রপ্তানিও করেছে বাংলাদেশ। কৃষিতে অভূতপূর্ব সাফল্যে বিশ্ব সম্প্রদায় স্বীকৃতি প্রদান করেছে এবং প্রধানমন্ত্রীকে সম্মানিত করেছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ খাদ্যশস্যের একটি দেশ হয়ে উঠেছে। এখন সরকার টেকসই ও পুষ্টি নিরাপত্তার জন্য কাজ করছে। সরকার কীটপতঙ্গ ব্যবস্থাপনায় বিষাক্ত রাসায়নিক কীটনাশকের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর জন্য সমন্বিত কীটপতঙ্গ ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিআরই) ইতোমধ্যে বিভিন্ন ফসলের ধ্বংসাত্মক কীটনাশক নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন জৈব যৌক্তিক কীটপতঙ্গ ব্যবস্থাপনা কৌশল গড়ে তুলেছে।
#
গিয়াস/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৭৩৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর ঃ ১৬০৩
থাই রাজকুমারী গধযধ ঈযধশৎর ঝরৎরহফযড়ৎহ আজ ঢাকায় বিএডিসি’র সেচ ভবনে এক পরিদর্শনে আসেন। সেচ ভবনের অডিটোরিয়ামে বিএডিসি’র চেয়ারম্যান পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনার মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সম্পর্কে তাকে অবহিত করেন। পরে বাংলাদেশের পক্ষে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী রাজকুমারীকে উপহার তুলে দেন। এরপরে কৃষিমন্ত্রী রাজকুমারীকে নিয়ে থাইল্যান্ডের সবজির স্টল পরিদর্শন করেন ।
উল্লেখ্য, থাই রাজা ভুমিবল আদুলিয়াডেজের ঝঁভভরপরবহপু ঊপড়হড়সু চযরষড়ংড়ঢ়যু (ঝঊচ) দর্শনে দরিদ্র মানুষদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার দিকনিদের্শনা দেয়া হয়েছে। এই দর্শন বাস্তবায়নের পদ্ধতি হিসেবে সমন্বিত কৃষি উৎপাদনের কথা বলা হয়েছে যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রকটি বাড়ি একটি খামারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই তত্ত্বের বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিএডিসি’র সাথে থাই দূতাবাসের যৌথ স্বাক্ষরে একটি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়। সেই পরিকল্পনার আলোকে থাই রাজকুমারীর পৃষ্ঠপোষকতায় ২০১১ সালে গাজীপুরস্থ কাশিমপুরে ঝঁভভরপরবহপু ঊপড়হড়সু চযরষড়ংড়ঢ়যু (ঝঊচ) প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রথম দফায় প্রকল্পটি সফল হওয়ার পরে পুনরায় গধযধ ঈযধশৎর ঝরৎরহফযড়ৎহ’ং চৎড়লবপঃ (ঙচঝচ) এর আওতায় মধুপুর, টাঙ্গাইল আঞ্চলের পাঁচ জন কৃষককে থাইল্যান্ডে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এরই অংশ হিসেবে থাই রাজকুমারী বাংলাদেশ সফরে আসেন।