তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪১৬
আইনমন্ত্রীর মায়ের জানাজায় ব্যাপক জনসমাগম দেখিয়ে
ফেইসবুকে ভাইরাল করা ছবিটি মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর
ঢাকা, ৭ বৈশাখ (২০ এপ্রিল) :
একটি কুচক্রী মহল সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের বা অন্য কোনো জায়গার ব্যাপক জনসমাগমের জন্য আলোচিত একটি জানাজার ছবিকে আইনমন্ত্রীর মায়ের জানাজার ছবি হিসেবে ফেসবুকে প্রচার করে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক। ফেইসবুকে প্রচার করা ছবিটি যে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তার অন্যতম প্রমাণ হলো উক্ত ছবিতে গার্ড অভ্ অনার প্রদানের স্থানে ছামিয়ানা ছিল। জানাজার স্থানে কোনো লালবৃত্ত ছিল না এবং সেখানে আইনমন্ত্রীর মায়ের জানাজায় অংশ নেওয়া কাউকে দেখা যাচ্ছে না। তাছাড়া জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার স্থানের প্রাকৃতিক দৃশ্যের সঙ্গেও মিল নেই।
উল্লেখ্য, আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের মা বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহানারা হক গত ১৮ এপ্রিল রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ঐদিন বাদ জোহর বনানীতে মরহুমার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় এবং বনানী কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। করোনা পরিস্থিতির কারণে লোক সমাগম পরিহার করতে পারিবারিকভাবে অত্যন্ত সীমিত পরিসরে জানাজার আয়োজন করা হয়। মরহুমার নিকট আত্মীয়-স্বজন এবং আইনমন্ত্রীকে সমবেদনা জানাতে আসা অল্প কিছু ব্যক্তি নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণ করেন। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে জানাজায় অংশগ্রহণকারী মুসল্লিগণ নির্দিষ্ট দূরত্ব পরপর তৈরি করা লাল বৃত্তে দাঁড়ান। মরহুমা বীরমুক্তিযোদ্ধা হওয়ায় তাঁকে গার্ড অভ্ অনার প্রদান করা হয় কিন্ত সেখানে কোনো ছামিয়ানা ছিল না।
এ ধরণের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সকলকে অনুরোধ করা হয়েছে।
#
রেজাউল/রাহাত/রেজ্জাকুল/সেলিম/২০২০/২২৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪১৫
কোভিড-১৯ ট্র্যাকার উদ্বোধন করলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৭ বৈশাখ (২০ এপ্রিল) :
করোনা ভাইরাসের সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে বাংলা ভাষায় গ্রাফচিত্রসহ মানচিত্র ভিত্তিক "কোভিড-১৯ ট্র্যাকার" উদ্বোধন করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় নিজ বাসভবন থেকে জুম অনলাইন ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের তৈরি এ ট্র্যাকারের উদ্বোধন করেন।
ট্র্যাকারটির মাধ্যমে করোনা ভাইরাস দেশজুড়ে এবং সারা বিশ্বে কিভাবে ছড়াচ্ছে তার প্রতিমুহূর্তের হালনাগাদ তথ্যচিত্র পাওয়া যাবে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াও নতুন সংক্রমিত রোগী, মোট মৃতের সংখ্যা, সুস্থ, সঙ্কটাপূর্ণ এবং মৃত্যু হারের সর্বশেষ তথ্য এ ট্র্যাকার থেকে জানা যাবে। ট্র্যাকারটি ব্যবহারের জন্য covid19tracker.gov.bd ওয়েববসাইটে প্রবেশ করতে হবে। ওয়েবের পাশাপাশি মোবাইল সংস্করণেও এটি ব্যবহার করা যাবে।
এ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণজনিত সকল তথ্যাদি জানতে এই ট্র্যাকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি আরো বলেন, চলমান সংকটে জনগণের নিকট জরুরি খাদ্য পৌঁছে দিতে হট লাইন ৩৩৩#২ এবং এক জেলা থেকে অন্য জেলায় খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে হট লাইন ৩৩৩#৫ চালু করা হয়েছে। এছাড়া এমআইএসটি, সাস্ট ও বুয়েট ছাড়াও ওয়ালটন এবং মাইওয়ান ভেন্টিলেটর তৈরির কাজ শুরু করায় কিছুদিনের মধ্যে ভেন্টিলেটর সরবরাহে ইতিবাচক খবর জানানো সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতিম দেব-সহ আইসিটি বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন ।
#
শহিদুল/রাহাত/রেজ্জাকুল/সেলিম/২০২০/২২০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪১৪
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তরের কর্মকর্তাগণকে
সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে উপস্থিত থেকে দায়িত্ব পালনের পুনর্নির্দেশ
ঢাকা, ৭ বৈশাখ (২০ এপ্রিল) :
করোনা পরিস্থিতিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তরের প্রধান কার্যালয়, বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তাগণকে কর্মস্থলে সার্বক্ষণিক উপস্থিত থেকে অর্পিত দায়িত্ব পালনের পুনর্নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় আজ এ সংক্রান্ত এক অফিস আদেশ জারি করেছে।
আদেশে কর্মকর্তাগণকে জরুরি চিকিৎসা, কৃত্রিম প্রজনন, টিকা প্রদান, পরামর্শ সেবা, জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কাজ এবং বিভিন্ন বয়সী হাঁস-মুরগী, গবাদি পশু, মাছের পোনা, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, প্রাণিজাত পণ্য, পোল্ট্রি, পশু ও মৎস্য খাদ্য, কৃত্রিম প্রজননসহ প্রাণী চিকিৎসা কাজে ব্যবহৃত ঔষধ ও সরঞ্জামাদি নিরবিচ্ছিন্ন উৎপাদন, পরিবহণ এবং বিপণনে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়া, কর্মকর্তাগণকে মন্ত্রণালয়ের কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগপূর্বক মাঠ পর্যায়ে উদ্ভূত সংকট সমাধান করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। কোথাও কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে কন্ট্রোল রুমে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করার পাশাপাশি মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে জানানোরও নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে অফিস আদেশে।
#
ইফতেখার/রাহাত/রেজ্জাকুল/সেলিম/২০২০/২১২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪১৩
কোভিড-১৯ সেবাদানকারীদের হয়রানি করলে
বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে
ঢাকা, ৭ বৈশাখ (২০ এপ্রিল) :
কোভিড-১৯ আক্রান্তদের সেবাদানকারী চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, জরুরি সেবাদানকারী ব্যক্তি, সংবাদকর্মী এবং করোনায় আক্রান্ত কোনো ব্যক্তিকে বাড়ির মালিক হয়রানি করলে তাদের (বাড়ির মালিকদের) বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
কেউ এ ধরনের হয়রানির শিকার হলে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিসমূহ, ডিপিডিসি, ডেসকো, নেসকো, ওজোপাডিকোর ওয়েবসাইটে দেওয়া কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও গ্রাহক সেবা কেন্দ্রের টেলিফোন নম্বরে যোগাযোগ করে জানাতে পারেন। এ ধরণের অভিযোগ পাওয়ার পর যাচাই করে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অনুরুপভাবে সংশ্লিষ্ট গ্যাস বিতরণ কোম্পানির ওয়েবসাইটে দেয়া কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও গ্রাহক সেবা কেন্দ্রের টেলিফোন নম্বরে যোগাযোগ করে হয়রানির তথ্য জানানো হলে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
#
আসলাম/রাহাত/রেজ্জাকুল/সেলিম/২০২০/২১৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪১২
সরিষাবাড়ীতে ডাক্তারদের পিপিই দিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী
সরিষাবাড়ী (জামালপুর), ৭ বৈশাখ (২০ এপ্রিল) :
করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষায় জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার-নার্সদের মাঝে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) ও সার্জিক্যাল মাস্ক বিতরণ করেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ মুরাদ হাসান।
প্রতিমন্ত্রী আজ উপজেলার দৌলতপুরস্থ নিজ বাসভবনে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার ও নার্সদের জন্য ৪০ পিস ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) এবং ৫০টি সার্জিক্যাল মাস্ক প্রদান করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাক্তার জারিন পিপিই ও সার্জিক্যাল মাস্ক গ্রহণ করেন।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী এ সময় বলেন, সরকার করোনা মোকাবিলা ও দেশের নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। সবাইকে সচেতন হতে হবে। প্রত্যেককে সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তিনি বলেন, সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
#
মাহবুবুর/রাহাত/রেজ্জাকুল/সেলিম/২০২০/২১০০ ঘণ্টাতথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪১১
সিনিয়র সচিব ও সচিবদের জেলা পর্যায়ে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও ত্রাণ কার্যক্রম সমন্বয়ের দায়িত্ব প্রদান
ঢাকা ৭ বৈশাখ (২০ এপ্রিল) :
সরকারের সিনিয়র সচিব ও সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে জেলা পর্যায়ে চলমান ত্রাণ কার্যক্রম সমন্বয়ের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
আজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক অফিস আদেশে কর্মকর্তাদেরকে জেলাওয়ারী দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
দায়িত্বপ্রাপ্তদের মাঝে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ শাহ্ কামালকে চাঁদপুর; আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ আসাদুল ইসলামকে মুন্সিগঞ্জ; তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমকে কুমিল্লা; অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিমকে সিরাজগঞ্জ; নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ আলমগীরকে টাঙ্গাইল; জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীনকে চট্টগ্রাম; পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সিনিয়র সচিব) সাহিন আহমেদ চৌধুরীকে নোয়াখালী; বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মহিবুল হককে বাগেরহাট; স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদকে কক্সবাজার; জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ আনিছুর রহমানকে শরীয়তপুর; পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সিনিয়র সচিব) বেগম শামীমা নার্গিসকে জয়পুরহাট জেলার দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়া গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকারকে গোপালগঞ্জ; বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) পবন চৌধুরীকে রাঙামাটি; রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়াকে লক্ষ্মীপুর; সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মোঃ নজরুল ইসলামকে রাজশাহী; বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান (সচিব) সুবীর কিশোর চৌধুরীকে ময়মনসিংহ; ভূমি আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) উম্মুল হাছনাকে নেত্রকোনা, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরীকে খাগড়াছড়ি; পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তীকে নাটোর; স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মোঃ আসাদুল ইসলামকে ঝিনাইদহ; পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মোঃ নুরুল আমিনকে নওগাঁ; পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ারকে মানিকগঞ্জ; প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আকরাম-আল-হোসেনকে মেহেরপুর; অর্থ বিভাগের সচিব আব্দুর রউফ তালুকদারকে শেরপুর; শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবদুল হালিমকে বরিশাল; কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামানকে ঝালকাঠি; বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান (সচিব) মোঃ সামছুর রহমানকে পটুয়াখালী; ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মাক্ছুদুর রহমান পাটওয়ারীকে পঞ্চগড়; কারিগরী ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মুনশী শাহাবুদ্দীন আহমেদকে ফরিদপুর; বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব আবুল মনসুর মোঃ ফয়েজউল্লাহকে ঠাকুরগাঁও; বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক (সচিব) সত্যব্রত সাহাকে গাজীপুর; মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আক্তারকে মাগুরা; সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোঃ আবু হেনা মোস্তফা কামালকে যশোর; পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) আবুল কালাম আজাদকে ভোলা; পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মেসবাহুল ইসলামকে লালমনিরহাট; সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মোঃ শহিদুজ্জামানকে কুষ্টিয়া; পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) মোঃ জাকির হোসেন আকন্দকে হবিগঞ্জ; শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আলী আজমকে নড়াইল; সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেনকে বান্দরবান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুনকে সাতক্ষীরা; বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের রেক্টর (সচিব) মোঃ রকিব হোসেনকে নারায়ণগঞ্জ; যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আখতার হোসেনকে মাদারীপুর; প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ সেলিম রেজাকে পাবনা; ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মোঃ নূর-উর-রহমানকে গাইবান্ধা; বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন সচিবালয়ের সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানকে রাজবাড়ী এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়াকে সিলেট জেলার দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়াও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মোঃ রেজাউল আহসানকে রংপুর; বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান (সচিব) তপন কান্তি ঘোষকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া; খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোছাম্মাৎ নাজমানারা খানুমকে চুয়াডাঙ্গা; মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ মাহবুব হোসেনকে জামালপুর; মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ; বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. সুলতান আহমেদকে বরগুনা; স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মোঃ আলী নূরকে ঢাকা; সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ জয়নুল বারীকে সুনামগঞ্জ; ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নুরুল ইসলামকে দিনাজপুর; বিসিএস (প্রশাসন) একাডেমির রেক্টর (সচিব) বদরুন নেছাকে নরসিংদী; প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মিয়াকে পিরোজপুর; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসানকে কুড়িগ্রাম; ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) মোঃ আবদুল মান্নানকে কিশোরগঞ্জ, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) গোলাম মোঃ হাসিবুল আলমকে নীলফামারী; মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম খানকে মৌলভীবাজার; অর্থনেতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিনকে বগুড়া; নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরীকে ফেনী এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মোঃ কামাল হোসেনকে খুলনা জেলার দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
আদেশে বলা হয় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ জেলার সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণের সাথে পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধন করে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার কাজ তত্ত্বাবধান ও পরিবীক্ষণ করবেন। তাঁরা জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পরিবীক্ষণ ও প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধন করবেন। এছাড়া কর্মকর্তাগণ প্রাপ্তসমস্যা, চ্যালেঞ্জ ও অন্যবিধ বিষয় সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থাকে লিখিত আকারে জানাবেন এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে নিয়মিত অবহিত করবেন।
#
কায়কাউস/রাহাত/রেজ্জাকুল/সেলিম/২০২০/২১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪১০
কৃষকের অ্যাপের মাধ্যমে বোরো ধান সংগ্রহ করবে সরকার
ঢাকা, ৭ বৈশাখ (২০ এপ্রিল) :
বোরো মৌসুমে ২২ উপজেলায় 'কৃষকের অ্যাপ' এর মাধ্যমে কৃষকের কাছ থেকে বোরো ধান সংগ্রহ করবে সরকার। খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে অ্যাপে ধান সংগ্রহের উপজেলাসমূহকে অনুমোদন দিয়ে খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো চিঠিতে এ কথা বলা হয়েছে।
চলতি বোরো মৌসুমে ‘ডিজিটাল খাদ্যশস্য সংগ্রহ ব্যবস্থাপনা ও কৃষকের অ্যাপ’ এর মাধ্যমে ধান সংগ্রহ করার অনুমোদন দেয়া উপজেলাগুলো হলো- সাভার, গাজীপুর সদর, নরসিংদী সদর, মানিকগঞ্জ সদর, কিশোরগঞ্জ সদর, রাজবাড়ী সদর, টাঙ্গাইল সদর, ময়মনসিংহ সদর, জামালপুর সদর, শেরপুর সদর, ভোলা সদর, নওগাঁ সদর, বগুড়া সদর, রংপুর সদর, দিনাজপুর সদর, ঝিনাইদহ সদর, যশোর সদর, হবিগঞ্জ সদর, মৌলভীবাজার সদর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ ও বরিশাল সদর।
স্থানীয় পরিস্থিতি বিবেচনায় অ্যাপের মাধ্যমে ধান ক্রয় যদি যৌক্তিক প্রতীয়মান না হয় বা করোনা ভাইরাস সংক্রমণের তীব্রতা যদি এতে বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাহলে জেলা সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটি প্রচলিত পদ্ধতিতে ধান সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কৃষক 'কৃষকের অ্যাপ'-এ রেজিস্ট্রেশন করে ধান বিক্রির জন্য আবেদন করতে পারবেন। পরে আবেদনকারীদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে যেসব কৃষক নির্বাচিত হবেন তাদেরকে অনলাইনেই বরাদ্দ প্রদান করা হবে। কৃষক এ বিষয়ে মোবাইলে এসএমএস পাবেন। এছাড়া একটা ওয়েটিং লিস্টও তৈরি করা হবে। নির্বাচিত কোনো কৃষক যদি ধান দিতে না পারেন তবে ওয়েটিং লিস্টের কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করা হবে।
#
সুমন/রাহাত/রেজ্জাকুল/সেলিম/২০২০/১৮৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪০৯
সুরক্ষা নিশ্চিত করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখুন
-- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৭ বৈশাখ (২০ এপ্রিল) :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিদ্যুৎ বিভাগে কর্মরতদের নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখতে নির্দেশনা দিয়েছেন। এ সময় তিনি বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলে দ্রুততার সাথে গ্রাহকদের পাশে দাঁড়াতে এবং রোস্টার করে কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করারও নির্দেশনা দেন।
প্রতিমন্ত্রী আজ তাঁর বারিধারাস্থ বাসভবন থেকে বিদ্যুৎ বিভাগ এবং এর অধিনস্ত কোম্পানিসমূহের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত “নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখা” সংক্রান্ত সভায় এসব নির্দেশনা দেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামীতে ঝড়-বৃষ্টি হবে, সচেতন থেকে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। অপারেশন এন্ড মেইনটেনেন্স কোম্পানি করার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যৌথ বিনিয়োগে এরুপ কোম্পানি হলে আমাদের সক্ষমতা অনেক বাড়তো এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে পরামূখাপেক্ষি হতে হতো না। তিনি এ সময় গ্রীড সাবস্টেশনগুলো নিয়মিত মেরামতের নির্দেশ দেন।
সভায় করোনা ভাইরাসের কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, চলমান প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নের সমস্যা ও সম্ভাব্য সমাধান, বিভিন্ন সময়ে করা চুক্তিসমূহ ও এর আওতা নিয়ে আলোচনা করা হয়। ভার্চুয়াল এই সভায় এ সময় অন্যান্যের মাঝে বিদ্যুৎ সচিব ডঃ সুলতান আহমেদ, পিডিবির চেয়ারম্যান মোঃ বেলায়েত হোসেন, আরইবির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবঃ) মঈন উদ্দিন, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন এবং দপ্তর ও কোম্পানিসমূহের ব্যবস্থাপনা পরিচালকগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
আসলাম/রাহাত/রেজ্জাকুল/সেলিম/২০২০/১৮২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪০৮
শ্রমিকদের জন্য টেলিমেডিসিন সেবা চালু করল ডাইফ
ঢাকা, ৭ বৈশাখ (২০ এপ্রিল):
শ্রমিকদের জন্য টেলিমেডিসিন পদ্ধতিতে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান শুরু করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর (ডাইফ)। নভেল করোনা ভাইরাসজনিত সংক্রমণ প্রতিরোধ ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ১১ জন চিকিৎসক এ সেবা প্রদান করবেন।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ছুটিকালীন সময়ে চিকিৎসকবৃন্দ নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিকদেরকে সেবা প্রদান নিশ্চিত করবেন। সারা দেশের শ্রমজীবী মানুষ সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকগণের সঙ্গে নির্ধারিত সময়ে মোবাইলে যোগাযোগ করে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ গ্রহণ করতে পারবেন। কোন শ্রমিকের করোনা সংক্রমণের উপসর্গ আছে বলে প্রতীয়মান হলে বর্ণিত সমস্যার করণীয় বিষয়ে চিকিৎসকবৃন্দ মৌখিক পরামর্শ দিবেন এবং ক্ষেত্রবিশেষে প্রয়োজনে মোবাইলে ফিরতি ম্যাসেজের মাধ্যমে ব্যবস্থাপত্র প্রদান করবেন।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে এবং বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এই বিপুল সংখ্যক শ্রমিক এবং তাদের পরিবারের স্বাস্থ্য ঝুঁকি প্রশমনে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরে কর্মরত নিম্নোক্ত চিকিৎসকবৃন্দকে টেলিফোনে মুঠোফোনে স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ এবং প্রয়োজনে ম্যাসেজের মাধ্যমে ব্যবস্থাপত্র প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করা হয়।
অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় থেকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করছেন ডা. নাজমুন নাহার (মোবাইল নম্বর: ০১৭৯৭০১১৯১৯)। ঢাকায় চিকিৎসা সেবা প্রদান করছেন ডা. দীপা দত্ত (মোবাইল নম্বর: ০১৭১৪২৬৬৮৪৩); ডা. লুৎফুন নাহার (মোবাইল নম্বর: ০১৯৭২১৩৮৫৩০); ডা. তামিনা হোসেন (মোবাইল নম্বর: ০১৭১১২৪০৩৯০)। গাজীপুর থেকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করছেন ডা. বীথি বিশ্বাস (মোবাইল নম্বর: ০১৮৪৭১২৯৪৯৩)। নারায়ণগঞ্জ থেকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করছেন ডা. রাজীব চন্দ্র দাস (মোবাইল নম্বর: ০১৭২২৯০৯১২২); ডা. জাকিয়া রিজওয়ানা লোটাস (মোবাইল নম্বর: ০১৭৮৭৩৮৬৩৬১)। বরিশালে চিকিৎসা সেবা প্রদান করছেন ডা. নবীন কুমার হাওলাদার (মোবাইল নম্বর: ০১৯৩৬৪৯৩৪২৭)। চট্টগ্রামে চিকিৎসা সেবা প্রদান করছেন ডা. বিশ্বজিত রায় (মোবাইল নম্বর: ০১৭১২৩৮৩৭৭৩)। খুলনা থেকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করছেন ডা. মো: সোয়াইব হোসেন (মোবাইল নম্বর: ০১৭৪৯৫৯৯৭৯৭)। সিলেটে সেবা প্রদান করছেন ডা. মোঃ শহিদুল ইসলাম (মোবাইল নম্বর: ০১৯১৪৩০০৯১৭)
#
ফোরকান/পরীক্ষিৎ/বিপু/২০২০/১৬০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪০৭
করোনা মোকাবিলায় বাড়তি সহায়তা দিতে এডিবির প্রেসিডেন্টেকে অর্থমন্ত্রীর অনুরোধ
ঢাকা, ৭ বৈশাখ (২০ এপ্রিল):
নভেল করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর স্বাস্থ্য ও অর্থনীতি খাতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ২০ বিলিয়ন বা দুই হাজার কোটি মার্কিন ডলার আর্থিক সহায়তার প্যাকেজ ঘোষণার জন্য এডিবি’র প্রেসিডেন্ট মাসাতাসুগু আসাকাওয়ার নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এডিবির প্রেসিডেন্টের গতিশীল নেতৃত্বে উন্নয়নশীল দেশগুলো করোনা ভাইরাসের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি স্বাস্থ্য খাতের জরুরি সেবা ও বাজেট সাপোর্টের জন্য এডিবি তৎক্ষনাত ভিত্তিতে বাংলদেশের জন্য যে ৬০২ দশমিক ৩৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছে সেজন্যও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। আজ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট মাসাতাসুগু আসাকাওয়ার সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি এবং সহযোগিতা নিয়ে ফোনে আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন।
এডিবি প্রেসিডেন্ট বলেন, এডিবি ঘোষিত সহযোগিতা প্যাকেজ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এবং বেসরকারি খাতকে এই মহামারি মোকাবিলা করার জন্য দ্রুত সরবরাহ করা হচ্ছে। তিনি অর্থমন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশে এডিবির চলমান প্রকল্প ও পাইপলাইনের প্রকল্পগুলো নিয়ে আলোচনা করে সেগুলো দ্রুত সফলভাবে সমাপ্ত করার পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ করেন। উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশে এডিবির প্রায় ৮ দশমিক ৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তায় ৬৩টি প্রকল্প চলমান রয়েছে, পাশাপাশি পাইপলাইনে রয়েছে প্রায় ৯ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তার ৮১টি প্রকল্প।
অর্থমন্ত্রী ও এডিবি প্রেসিডেন্টের মধ্যে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপ নিয়েও আলোচনা হয়। অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষ ও অর্থনীতির জন্য ৯৫ হাজার ৬১৯ কোটি টাকার বিভিন্ন আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন, যা জিডিপি’র ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। এই প্যাকেজের অর্থ ব্যয়ে জনসাধারণের ব্যয়বৃদ্ধি, সামাজিক সুরক্ষা জালকে প্রশস্ত করা এবং আর্থিক সরবরাহ বাড়ানোর ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প, পরিষেবা খাত এবং কুটির শিল্পগুলিকে সুরক্ষার জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে
কার্যনির্বাহী মূলধনের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, করোনার প্রভাবে আমাদের আমদানি-রপ্তানির উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে বেশিরভাগ দেশে প্রবাসী ভাইবোনেরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। স্থবিরতা নেমে এসেছে রেমিটেন্স প্রবাহে। এই সংকটময় পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার জন্য এডিবিকে অবিরাম সমর্থন ও সহায়তার জন্য অনুরোধ করছে বাংলাদেশ। এই ক্রান্তিকালিন সময়ে এডিবির তাৎক্ষণিক সহায়তাটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত জরুরি ছিল, কিন্তু বর্তমান উদ্ভুত পরিস্থিতে আমাদের প্রয়োজন এর চেয়ে আরো অনেক বেশি। বাংলাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে এডিবি বৃহত্তর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে অনুরোধ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সমাজের উপর করোনার বিরূপ প্রভাব মোকাবিলার জন্য এডিবি থেকে বর্ধিত প্রকল্প সহায়তা এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরের ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অতিরিক্ত ২০২০-২০২১ অর্থবছরের জন্য আরও ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট সাপোর্ট, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ফ্রন্টলাইন কর্মীদের -চিকিৎসা কর্মী, সিভিল প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, অত্যাবশ্যকীয় সেবা প্রদানকারী- জন্য ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, কোভিড-১৯ এর কারণে চাকুরী হারানো দেশি ও প্রবাসী বাংলাদে