তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৮৫০
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক ২০২২’ এর জন্য মনোনীত
মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
ঢাকা, ৩ শ্রাবণ (১৮ জুলাই) :
সাধারণ প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা ক্যাটাগরিতে উল্লেখযোগ্য ও প্রশংসনীয় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক ২০২২’ এর জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই গৌরবময় অর্জনের জন্য এবং ‘বঙ্গবন্ধু ও তাঁর শান্তি দর্শন : আন্তর্জাতিকীকরণ ও বিশ্ব রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিকতা’ উদ্যোগের সাথে সম্পৃক্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই গৌরবময় অর্জনের পেছনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সকল সহকর্মী, কর্মকর্তা, কর্মচারী, বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহে নিয়োজিত রাষ্ট্রদূত/হাইকমিশনার/মিশন প্রধানসহ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও অবদানের জন্য তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জনপ্রশাসন পদকের জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনয়নের সংবাদে সরকারি সফরে বর্তমানে ইন্দোনেশিয়াতে অবস্থানরত পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বেশ কয়েকটি কার্যক্রম বাস্তবায়নের সমন্বিত ফলস্বরূপ জনপ্রশাসন পদকের জন্য চূড়ান্ত মনোনয়ন লাভ সম্ভব হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে; (১) সদর দপ্তরসহ বিদেশস্থ সকল মিশনে বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন, (২) গণহত্যা কেন্দ্র (জেনোসাইড সেন্টার) স্থাপন, (৩) জনকূটনীতির পদক্ষেপসমূহ, (৪) বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে দশদিনব্যাপী ‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠান আয়োজনে সক্রিয় অবদান, (৫) বঙ্গবন্ধু রিসার্চ সেন্টার ফর ফরেন পলিসি এন্ড ডিপ্লোম্যাসি স্থাপন, (৬) বঙ্গবন্ধু লেকচার সিরিজ প্রবর্তন, (৭) বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমেটিক অ্যাওয়ার্ড অভ্ এক্সসেলেন্স প্রবর্তন, (৮) বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ প্রবর্তন ও বঙ্গবন্ধু চেয়ার স্থাপন (৯) বঙ্গবন্ধু-ইউনেস্কো অ্যাওয়ার্ড ফর ক্রিয়েটিভ ইকোনমি, (১০) বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে গত ডিসেম্বরে ঢাকায় ‘বিশ্ব শান্তি সম্মেলন’ আয়োজন, (১১) জাতিসংঘ এবং ছয়টি দেশের সাথে বঙ্গবন্ধু স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ, (১২) একাধিক বিদেশি ভাষায় বঙ্গবন্ধুর লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ প্রকাশ এবং (১৩) বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার জীবন, দর্শন ও বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতিতে অবদানের উপরে বিভিন্ন গ্রন্থ ও প্রকাশনা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এসব উদ্যোগের ফলে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম, বাংলাদেশের নিপীড়িত মানুষের কল্যাণে বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ-তিতীক্ষা, বাংলাদেশের নীতি ও মূল্যবোধ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক-নির্দেশনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে উল্লেখ করে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
#
মোহসিন/পাশা/রফিক/মোশারফ/মাহমুদ/আব্বাস/২০২২/২০৪৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৮৪৯
জননেত্রী শেখ হাসিনার মূলনীতি, গ্রাম শহরের উন্নতি
---আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্
মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী), ৩ শ্রাবণ (১৮ জুলাই) :
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেছেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার মূলনীতি, গ্রাম শহরের উন্নতি’। এ দর্শনকে ধারণ করে বর্তমান সরকার গ্রামীণ ও শহর অবকাঠামো ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি বিকাশে বহুমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জে বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন ইয়ার উদ্দিন খলিফার মাজার জিয়ারত শেষে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ২০১৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে দেশের প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণের ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। এ ঘোষণা অনুযায়ী ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আমার গ্রাম- আমার শহর কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিটি গ্রামে শহরের সুবিধাসহ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া হবে। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে উন্নত পরিবেশে লেখাপড়ার সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। এ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে প্রতিটি গ্রামে সুপেয় পানি সরবরাহ ও উন্নতমানের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে সুস্থ ধারার বিনোদন ও খেলাধুলার জন্য আধুনিক অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন, পটুয়াখালী জেলার অসংখ্য কৃতীসন্তান দেশ-বিদেশে ক্রীড়া, শিক্ষা, বিজ্ঞান, সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রেখে আসছেন। তিনি পটুয়াখালীবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের চলমান উন্নয়ন, অগ্রগতি ও প্রগতির ধারাকে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান।
#
আহসান/পাশা/মোশারফ/মাহমুদ/আব্বাস/২০২২/২০২৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৮৪৮
রাষ্ট্রপতির সাথে আইন কমিশনের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ৩ শ্রাবণ (১৮ জুলাই) :
আইন কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বে কমিশনের একটি প্রতিনিধিদল আজ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রতিনিধিদলে অন্যান্যের মধ্যে কমিশনের সদস্য বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীর উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা আইন কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত ‘অভিঘাত পরিক্রমায় বাংলাদেশ সংবিধান’ ও ÔThe Journey of the Constitution of BangladeshÕ শীর্ষক দুইটি গ্রন্থ রাষ্ট্রপতিকে উপহার দেন। এ সময় কমিশনের চেয়ারম্যান গ্রন্থ দুইটির বিভিন্ন দিক-সহ কমিশনের সার্বিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় যুগোপযোগী আইনের পাশাপাশি আইনের নিরপেক্ষ প্রয়োগ সমান গুরুত্বপূর্ণ। দেশের বিদ্যমান আইন কানুন আধুনিকায়ন ও যুগোপযোগী করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আইন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম এবং সচিব সংযুক্ত মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
#
ইমরানুল/পাশা/রফিকুল/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/২০২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৮৪৭
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে
-- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৩ শ্রাবণ (১৮ জুলাই) :
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ নড়াইলে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সম্পর্কে কটুক্তিকারী নুপুর শর্মার পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে নিন্দা জানান। ইসলাম ধর্মের কোথাও নেই যে, প্রতিবেশীদের ঘর-বাড়িতে হামলা করে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিতে হবে। ইসলাম হচ্ছে শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ধর্ম। তাই আমাদের সবাইকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
আজ রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘গান আড্ডা’র ‘পঞ্চাশে আমরা’ প্রোডাকশনের জন্য ‘ভারত-বাংলাদেশ সম্প্রীতি পুরস্কার ২০২২’ প্রাপ্তিতে আয়োজিত অ্যাওয়ার্ড সেলিব্রেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গান আড্ডা সংগঠনটির ব্যতিক্রমী কার্যক্রম আমাকে মুগ্ধ করেছে। করোনা অতিমারির সময়ে অনলাইনে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করে তারা সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে জাগ্রত রেখেছে। জাতির ইতিহাস-ঐতিহ্যকে তারা সংগীতের মাধ্যমে তুলে ধরেছে। তাদের এ কর্মকণ্ডকে আমি সাধুবাদ জানাই। তিনি বলেন, করোনাকালে আমাদের সংস্কৃতি চর্চা থমকে গেলেও থেমে থাকেনি মৌলবাদীদের কার্যক্রম। তারা সংগঠিত হয়েছে। তিনি বলেন, সাংস্কৃতিক জাগরণের মাধ্যমে এদেশের স্বাধীনতা যেমন ত্বরান্বিত হয়েছিল, তেমনি এর মাধ্যমে মৌলবাদী ও স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে। তবেই সুসংহত হবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি।
কে এম খালিদ বলেন, গান আড্ডা’র সভাপতি জামাল উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট নাট্য ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব দিলারা জামান ও খায়রুল আলম সবুজ। স্বাগত বক্তৃতা করেন গান আড্ডা অ্যাওয়ার্ড সেলিব্রেশন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক সাবেরা সুলতানা। আরো বক্তৃতা করেন অ্যাওয়ার্ড সেলিব্রেশন আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব বিপ্লব শুভ।
পরে বরেণ্য শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
#
ফয়সল/পাশা/রফিকুল/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/২০৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৮৪৬
কাগজপত্রের ঘাটতিতে নামজারি আবেদন বাতিল করা যাবে না এবং
নামজারির আবেদন সম্পূর্ণ তামাদিও করা যাবে না
ঢাকা, ৩ শ্রাবণ (১৮ জুলাই) :
নামজারির জন্য চাহিত দলিলপত্র তথা কাগজপত্রের ঘাটতি থাকলেই নামজারি আবেদন বাতিল করা যাবে না, এমনকি নামজারির আবেদন সম্পূর্ণ তামাদি করাও যাবে না। ভূমি মন্ত্রণালয় এ সম্পর্কিত এক পরিপত্র জারি করেছে। ভূমিসেবা গ্রাহকদের নির্বিঘ্নে সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করাই পরিপত্রটির উদ্দেশ্য।
ভূমি সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান কর্তৃক স্বাক্ষরিত ‘ই-নামজারি সিস্টেমে নামজারি নিষ্পত্তি করার বিষয়ে নির্দেশনা’ শীর্ষক পরিপত্রে এই ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে । এছাড়া পরিপত্রে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) জন্য আছে কিছু সুস্পষ্ট নির্দেশনা।
পরিপত্রটিতে বলা হয়েছে, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সেবা সহজীকরণের লক্ষ্যে ই-নামজারি সিস্টেমে ক্রয়সূত্রে নামজারি ফরম সম্প্রতি চালু করা হয়েছে। ই-নামজারির নতুন ফরম চালু করার ফলে ডিজিটাল ভূমিসেবা সিস্টেমে (ই-নামজারি/ ই-খতিয়ান/ ডিজিটাল এলডি ট্যাক্স) কিংবা ভূমি অফিসে সংরক্ষিত নেই- এমন কোনো তথ্যের ঘাটতি থাকলেই নামজারি আবেদন না-মঞ্জুর করা যাবে না। নামজারি মামলার ১ম আদেশে কোনো দলিলপত্রের ঘাটতি থাকলে তা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করে দাখিলের জন্য অনুরোধ জানাতে হবে। সাধারণভাবে ৭ কার্যদিবস কিংবা আবেদন বিবেচনা করে যুক্তিসঙ্গত সময় দেয়া যাবে।
আবেদনপত্র সম্পূর্ণ তামাদি না করার ব্যাপারে পরিপত্রে আরো জানানো হয়, উক্ত সময়ের (১ম আদেশে প্রদত্ত সময়) মধ্যে নামজারি আবেদনকারী তথ্য বা কাগজপত্র দাখিল করতে ব্যর্থ হলে আদেশে না-মঞ্জুর করা যাবে। পরবর্তী কালে না-মঞ্জুরকৃত আবেদনে চাহিত তথ্য/দলিলপত্রের প্রাপ্তি সাপেক্ষে পুনরায় নামজারি কার্যক্রম চালু করতে হবে (নতুন করে পুনরায় আবেদনের প্রয়োজন নাই)। এক্ষেত্রে আবেদন পুনরায় কার্যকর হওওয়ার তারিখ হতে নামজারি সেবা প্রাপ্তির সময় গণনা শুরু হবে।
এছাড়া পরিপত্রে নামজারি আবেদনের হার্ড কপি জমা না দেওয়া, দলিলের নামের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রের নামের পার্থক্য থাকা, মোবাইল ফোন নম্বর সঠিক প্রদান না করা, জমির বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকা, জমির শ্রেণির বিষয়ে সর্বশেষ রেকৰ্ড ও দলিলে ভিন্নভাবে উল্লেখ থাকাসহ আরো বিভিন্ন কারণে নামজারি বাতিল করতে নিষেধ করা হয়েছে। পরিপত্রে উপর্যুক্ত কারণ উল্লেখপূর্বক সহকারী কমিশনার (ভূমি)দের করণীয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে; যেন ভূমিসেবা গ্রাহক সময় ও সুযোগ পান, এমনকি প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিকল্প করণীয় সম্পর্কে জানতে পারেন।
ই-নামজারি আবেদনের সাথে সংশ্লিষ্ট দলিলপত্রাদি যাচাই শেষে সঠিক প্রতীয়মান হলে পক্ষগণের প্রাথমিক শুনানি না নেওয়ার জন্যেও বলা হয়েছে পরিপত্রে। ই-নামজারি আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে জটিল কোনো বিষয় না থাকলে অনলাইনে শুনানি গ্রহণের জন্য উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে। এতে ভূমিসেবা গ্রাহকগণের ভূমি অফিসে যাওয়া লাগবে না – ক্ষেত্র বিশেষে অনেক ভূমিসেবা গ্রাহকের মূল্যবান সময় ও অর্থ বেঁচে যাবে।
#
নাহিয়ান/পাশা/মোশারফ/মাহমুদ/রেজাউল/২০২২/২০০৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৮৪৫
প্রাণিসম্পদের মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে রাষ্ট্র সব ধরনের সহায়তা দেবে
-- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ঢাকা, ৩ শ্রাবণ (১৮ জুলাই) :
প্রাণিসম্পদের মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে রাষ্ট্র সব ধরনের সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
আজ রাজধানীর কাজী আলাউদ্দিন রোডে বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠান এবং বাংলাদেশে ভেটেরিনারি সেবা জোরদারকরণে বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের ভবিষ্যৎ অগ্রাধিকার বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন। বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের আনুষঙ্গিক সুবিধাসহ বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল ভবন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় এ অনুষ্ঠান ও সেমিনার আয়োজন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের প্রাণিসম্পদে যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে, এ ধারা উত্তরোত্তর সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের টেকসই ও গুণগত উন্নয়ন চান। কাজেই আমাদের মানসম্মত প্রাণিসম্পদের উৎপাদনে জোর দিতে হবে। রোগাক্রান্ত পশুর মাংস বা দুধ থেকে মানুষের শরীরে রোগের জীবাণু প্রবাহিত হতে পারে। সে জন্য গুণগত মানের প্রাণী উৎপাদন ও প্রাণীর চিকিৎসায় দায়িত্ববোধ নিশ্চিত করতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের নতুন ভবন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা, প্রচেষ্টা ও সদিচ্ছার বহিঃপ্রকাশ। এ ভবনের উদ্বোধন মুহূর্ত দেশের সব ভেটেরিয়ানদের জন্য অনিন্দ্য সুন্দর মুহূর্ত। এটি তাদের নিজস্ব একটি পরিচয়ের জায়গা। ভেটেরিনারি কাউন্সিল ভবন উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ভেটেরিনারি পেশাজীবীদের ওপর দায়িত্ব অর্পিত হলো। সে জন্য একটি শক্তিশালী কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ থাকতে হবে। এ প্রতিষ্ঠানকে কার্যক্ষম করে তুলতে হবে। এর কাজের প্রক্রিয়া নির্ধারণ করতে হবে। সরকারের বিধিসঙ্গতভাবে এ প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হতে হবে। নিয়মকানুনের অধীনে ভেটেরিনিয়ানদের রেজিস্ট্রেশন দিতে হবে।
ভেটেরিনারি কাউন্সিলের সমস্যা সমাধানে সবধরনের পদক্ষেপ নেয়ারও এ সময় আশ্বাস দেন মন্ত্রী। এর আগে মন্ত্রী বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের সভাপতি ডা. মোঃ মনজুর কাদিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ডা. গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোঃ ইমদাদুল হক চৌধুরী।
#
ইফতেখার/পাশা/রফিকুল/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/২০৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৮৪৪
"১৯ জুলাই থেকে দেশব্যাপী বুস্টার ডোজ ক্যাম্পেইন"
-স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ৩ শ্রাবণ (১৮ জুলাই):
১৯ জুলাই থেকে দেশব্যাপী করোনার বুস্টার ডোজ প্রদান ক্যাম্পেইন শুরু প্রসঙ্গে দেশের মানুষকে অবগত করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভার্চুয়াল জুম প্ল্যাটফর্মে অংশ নিয়ে সম্মেলন কেন্দ্রে উপস্থিত সংবাদকর্মীদের ভ্যাকসিন সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করে প্রেস ব্রিফিং ও বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশে করোনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসময় করোনার টিকা নেয়া থাকলে মানুষ নিরাপদ থাকবে, দেশ নিরাপদ থাকবে এবং দেশের অর্থনীতির চাকা ঊর্ধ্বমুখী থাকবে। কোভিড-১৯ মহামারি নিয়ন্ত্রণকল্পে সরকার ইতোমধ্যেই দেশের মোট জনসংখ্যার ৭৬ দশমিক ৫ শতাংশকে ১ম ডোজ, ৭০ দশমিক ৩ শতাংশকে ২য় এবং ১৭ দশমিক ৯ শতাংশকে বুস্টার (৩য়) ডোজ প্রদান করেছে যা সারাবিশ্বে সমাদৃত হয়েছে। ভ্যাকসিনের বৈশ্বিক অপ্রতুলতা সত্ত্বেও সরকার দেশের আপামর জনসাধারণকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদানে বদ্ধপরিকর। বর্তমানে দেশে ৫ প্রকারের (অ্যাস্ট্রজেনেকা, ফাইজার, সিনোফার্ম, সিনোভ্যাক এবং জনসন এন্ড জনসন) মোট প্রায় ২ কোটি ৭৮ লাখ ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন মজুত রয়েছে বলে জানান তিনি।
দেশে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ও তুলনামূলক কম বুস্টার (৩য়) ডোজ কাভারেজ বিবেচনা করে সরকার ১৯ জুলাই দেশব্যাপী একটি ‘কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন’ আয়োজনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এক দিনব্যাপী অনুষ্ঠিতব্য এই ক্যাম্পেইনে প্রায় ৭৫ লাখ মানুষকে বুস্টার (৩য়) ডোজ ও ২য় ডোজ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এই ক্যাম্পেইন চলাকালে দেশের সকল সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ইত্যাদির পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও উপজেলাসমূহের ওয়ার্ড পর্যায়েও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। একদিনে প্রায় ৭৫ লাখ মানুষকে সুষ্ঠুভাবে ভ্যাকসিন প্রদানের লক্ষ্যে সারাদেশে প্রায় ১৬ হাজার ১৮১টি টিকা কেন্দ্রের (৬২৩টি স্থায়ী ও ১৫ হাজার ৫৫৮টি অস্থায়ী কেন্দ্র) ব্যবস্থা করা হয়েছে।
৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকাদান প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, অচিরেই দেশের ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদেরকেও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশনের আওতায় নিয়ে আসব। সরকার এ বিষয়ে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ব্রিফিংকালে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, সম্মেলন কেন্দ্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর এবিএম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রশাসন ডা. আহমেদুল কবীরসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
মাইদুল/পাশা/রফিকুল/মাহমুদ/শামীম/২০২২/১৯৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৮৪৩
আইন কমিশনে বঙ্গবন্ধু কর্নারের উদ্বোধন করলেন আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ৩ শ্রাবণ (১৮ জুলাই):
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিকে চিরভাস্বর ও চিরজাগরূক করে রাখতে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের দুর্লভ ছবি এবং বঙ্গবন্ধুর জীবনচরিত ও কর্মসংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকার গ্রন্থাবলী সংরক্ষণের নিমিত্তে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্নারের উদ্বোধন করলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। এসময় আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক, সদস্য বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর, লেজিসলেটিভ সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মোঃ মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, বিভিন্ন স্তরের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাসহ সুধীজনরা উপস্থিত ছিলেন ।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ভবনে অবস্থিত আইন কমিশনে বঙ্গবন্ধু কর্নারের উদ্বোধন করেন।
বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন শেষে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ১৫ আগস্টে শাহাদতবরণকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা-সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যবর্গ, জাতীয় চার নেতা, শহিদ বুদ্ধিজীবীসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে শাহাদতবরণকারী ৩০ লাখ শহিদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও নাজাত কামনা করেন। এসময় তিনি রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন। প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেন সকল প্রকার বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে পারে সেজন্য তিনি মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে বিশেষভাবে প্রার্থনা করেন।
মোনাজাত শেষে অতিথিবৃন্দকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নার পরিদর্শন করেন আইন কমিশনের চেয়ারম্যান এবিএম খায়রুল হক। এসময় বঙ্গবন্ধু কর্নারে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে নিজের মন্তব্য-সহ স্বাক্ষর করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। মন্তব্যে তিনি লেখেন ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা ও সংবিধান উপহার দিয়েছেন। তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা। তাঁর অবদান চিরকালের। তিনি আমাদের মধ্যে চিরজীবী হয়ে থাকবেন।’
#
রেজাউল/পাশা/রফিকুল/মাহমুদ/শামীম/২০২২/১৭৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৮৪২
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ৩ শ্রাবণ (১৮ জুলাই) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গতকাল রবিবার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১ হাজার ৭২ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ। এ সময় ১০ হাজার ৯৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ২৪১ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ২৬ হাজার ৯৫৭ জন।
#
কবীর/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২২/১৭০৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৮৪১
করোনার মধ্যেও বিশ্বব্যাংকের প্রাক্কলনে বাংলাদেশে দারিদ্র্য কমেছে
-তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ৩ শ্রাবণ (১৮ জুলাই):
বিশ্বব্যাংকের প্রাক্কলনে করোনার মধ্যেও বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার কমেছে বলে উল্লেখ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ।
আজ সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী গত ১৪ এপ্রিল প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট-রিকভারি এন্ড রেসিলিয়েন্স অ্যামিড গ্লোবাল আনসারটেইনটি’ শিরোনামে প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে বলেন, সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতেও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ঘটার প্রেক্ষিতে ২০২১ অর্থবছরে বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার হ্রাস পেয়ে ১১ দশমিক ৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে যা ২০২০ অর্থবছরে ছিল ১২ দশমিক ৫ শতাংশ।
ড. হাছান বলেন, প্রকৃতপক্ষে বর্তমানে বাংলাদেশে অতি দারিদ্র্যের হার ১০ দশমিক ৫ শতাংশ এবং দারিদ্র্য হার ২০ দশমিক ৫ শতাংশ। অর্থাৎ এই করোনা মহামারির মধ্যেও সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপের কারণে এবং অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখার জন্য সরকার যে সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সে সমস্ত কারণে মানুষের মাথাপিছু আয় যেমন বেড়েছে একইসাথে দারিদ্র্যের হার কমেছে -এটি আমাদের বক্তব্য নয়, এটি বিশ্বব্যাংকের বক্তব্য।
সম্প্রতি প্রকাশিত আইএমএফ এর প্রতিবেদন অনুযায়ী জিডিপির নিরিখে বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর ৪১তম অর্থনীতির দেশ আর পিপিপিতে আমাদের অর্থনীতির অবস্থান আরো ওপরে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এই করোনা মহামারির মধ্যেও দেশ এগিয়ে যাচ্ছে অথচ মির্জা ফখরুল সাহেব বলছেন দেশে দারিদ্র্য ৪২ শতাংশ। বেগম খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিলো তখন ৪২ শতাংশ ছিলো। মির্জা ফখরুল সাহেব এখনও খালেদা জিয়ার আমলের মধ্যেই আছেন।’
হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিলো তখন বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিলো সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সেটি ৪৮ বিলিয়নে উন্নীত করেছে। বিশ্বে পণ্য, জ্বালানি, পরিবহণ এসব ব্যয় বৃদ্ধির কারণে সেই রিজার্ভ থেকে কিছু খরচ হয়েছে, এখন ৪০ বিলিয়ন ডলার আছে যেটি দিয়ে ৬ মাসের আমদানি ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব। কোনো দেশে ৩ মাসের আমদানি ব্যয়ের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থাকাটাই স্বস্তিদায়ক।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়া দেশকে পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছিলেন। হাওয়া ভবন স্থাপন করে সমস্ত ব্যবসায় টোল বসিয়েছিলেন। তখন দু’টা ভ্যাট ছিলো- একটা হচ্ছে সরকারি ভ্যাট, আরেকটা হচ্ছে হাওয়া ভবনের ভ্যাট। এখন বিরোধী দলের একজন দায়িত্বশীল নেতা ও মহাসচিব হিসেবে এবং ঢাকা কলেজের প্রাক্তন শিক্ষক হিসেবে তার অসত্য বক্তব্য দেয়া সমীচীন নয়। আমরা তাকে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের রিপোর্ট পড়ার জন্য অনুরোধ করবো, তাহলে তিনি নিশ্চয়ই মিথ্যা বক্তব্য থেকে ফিরে আসবেন।’
নড়াইলের ঘটনা নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্য -আওয়ামী লীগের আমলেই সাম্প্রদায়িক ঘটনা বেশি ঘটেছে, এর জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক। সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে নিয়েই তারা রাজনীতি করেন। তাদের জোটের বিভিন্ন দল প্রকাশ্যে বলে, তারা বাংলাদেশকে আফগানিস্তান বানাতে চায়। বিএনপি সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে রাজনীতি করে, যখন নির্বাচন আসে তখন সাম্প্রদায়িক স্লোগান দেয়। আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে এই দেশ ভারত হয়ে যাবে, আওয়ামী লীগ হিন্দুদের দল কিংবা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের দল এসব বিএনপিই বলে। সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে লালন-পালন, পোষণ-তোষণ এগুলোও বিএনপি করে এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকতাতেই দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালানো হয়।’
-২-
অতীতের এ ধরনের ঘটনা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় সেগুলোর পেছনে বিএনপির ইন্ধন ছিলো বলেন
ড. হাছান। তিনি বলেন, ‘আপনাদের নিশ্চয় মনে আছে, বিএনপি ২০০১ সালে নির্বাচনের পর নৌকায় ভোট দেয়ার অপরাধে গ্রামের পর গ্রামে নির্যাতন চালিয়েছিলো, বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দিয়েছিলো। কোটালীপাড়া, বরিশালের বানারীপাড়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় আমাদের দলীয় কার্যালয়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য লংগরখানা, আশ্রয় কেন্দ্র খুলতে হয়েছিলো। ধর্মীয় অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক দলের মুখপাত্র হিসেবে মির্জা ফখরুল সাহেব এ ধরনের কথা বলে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা চালাবে সেটিই স্বাভাবিক। যখনই এ ধরনের ঘ